Twitter

Follow palashbiswaskl on Twitter

Memories of Another day

Memories of Another day
While my Parents Pulin babu and Basanti devi were living

Saturday, February 26, 2011

২৯০কোটির প্রকল্পে ১কোটি! এই নাকি বাংলা-দরদ?

২৯০কোটির প্রকল্পে ১কোটি! এই নাকি বাংলা-দরদ?

নিজস্ব প্রতিনিধি: নয়াদিল্লি, ২৫শে ফেব্রুয়ারি— রেলমন্ত্রীর ঘোষণাই সার, বিভিন্ন প্রকল্পে যত অর্থের প্রয়োজন, বরাদ্দ সেই তুলনায় নামমাত্র। বোঝাই যাচ্ছে গত দুটি বাজেটের মতোই চমক দেখাতেই ব্যস্ত রেলমন্ত্রী এবারেও একের পর এক প্রকল্প ঘোষণা করে বসে আছেন অর্থের সংস্থান ছাড়াই। 

ভাদুতলা-ঝাড়গ্রাম ভায়া লালগড় নতুন লাইন। প্রকল্পটির জন্য প্রয়োজন ২৮৯কোটি ৬৪লক্ষ টাকা। বাজেটে রেলমন্ত্রীর বরাদ্দ মাত্র ১কোটি টাকা। তারাপীঠ-সাঁইথিয়ার মধ্যে তৃতীয় লাইন তৈরির জন্য প্রয়োজন ১৯৩কোটি ৪৪লক্ষ টাকার বেশি। রেলমন্ত্রীর বরাদ্দ ৩০কোটি টাকা। ব্যাণ্ডেল-বৈঁচি তৃতীয় লাইন নির্মাণের জন্য আনুমানিক ব্যয় ২৮৮কোটি ৩৫লক্ষ। বরাদ্দ হয়েছে মাত্র ৩০কোটি টাকা। বৈঁচি-শক্তিগড় তৃতীয় লাইনের জন্য প্রয়োজন ১৭৫কোটি ৮০লক্ষ টাকা, বরাদ্দ হয়েছে ২০কোটি টাকা।

পলাশী-জিয়াগঞ্জের মধ্যে প্রায় ৫৪কিলোমিটার নতুন লাইন পাততে আনুমানিক খরচ ২৪৮কোটি ৯৭লক্ষ টাকা। এক্ষেত্রেও রেলমন্ত্রীর বরাদ্দ ৩০কোটি টাকা। প্রিন্সেপঘাট-মাঝেরহাট ডবল লাইনের জন্য আনুমানিক ব্যয় প্রায় ২৯৯কোটি ৬০লক্ষ টাকা। বরাদ্দ মাত্র ২০কোটি। তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর-ধনেখালি-আরামবাগ নতুন লাইনের জন্য প্রয়োজন ১১কোটি, বরাদ্দ হয়েছে ৩কোটি। তারকেশ্বর-মগরা লাইনের জন্য প্রয়োজন ৩কোটি, বরাদ্দ ১কোটি। বালুরঘাট-হিলির মধ্যে লাইন তৈরির জন্য প্রয়োজন ২৪কোটি টাকা। বরাদ্দ হয়েছে ২০লক্ষ টাকা। 

একই অবস্থা মেট্রো রেলের প্রকল্পগুলিরও। চলতি বাজেটে বহু মেট্রো প্রকল্পের প্রস্তাব করে বসে আছেন রেলমন্ত্রী। অথচ আগের প্রকল্পগুলিতেই প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করেননি তিনি। বরানগর-ব্যারাকপুর-দক্ষিণেশ্বর মেট্রো রেলের জন্য প্রয়োজন ৩৯কোটি টাকা। এবারের বাজেটে বরাদ্দ ১৬কোটি। দমদম বিমানবন্দর থেকে রাজারহাট মেট্রোর জন্যও প্রয়োজন ৩৯কোটি, বরাদ্দ হয়েছে ১৬কোটি। জোকা-বি বা দী বাগ মেট্রোর প্রথম পর্যায়েই আনুমানিক খরচ ২৬কোটি। বরাদ্দ হয়েছে ১৬কোটি। কলকাতা মেট্রো রেলের বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রথম পর্যায়ের প্রকল্পের জন্য আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩ কোটি টাকা। বরাদ্দ হয়েছে মাত্র ১০লক্ষ টাকা মাত্র। উত্তমকুমার, নেতাজীভবন, এসপ্ল্যানেড, গিরিশ পার্ক, শোভাবাজার, শ্যামবাজার, বেলগাছিয়া মেট্রো স্টেশন উন্নয়নের জন্য আনুমানিক ব্যয় ৩কোটি ৫০লক্ষ টাকা। বরাদ্দ হয়েছে ২০লক্ষ টাকা। মেট্রোর ৯টি নতুন চলমান সিঁড়ির তৈরির জন্য আনুমানিক ব্যয় ৯কোটি ৮৫লক্ষ টাকা। বরাদ্দ হয়েছে ২০লক্ষ টাকা। পুরানো চলমান সিঁড়ি সরিয়ে দমদম, কালীঘাট, শ্যামবাজারে নতুন চলমান সিঁড়ির প্রকল্পের জন্য আনুমানিক খরচ ৩কোটি ৬১লক্ষ টাকা। বরাদ্দ হয়েছে ২০লক্ষ টাকা। 

এবারের বাজেটে রেলমন্ত্রীর সবচেয়ে চমকপ্রদ প্রস্তাব সম্ভবত দার্জিলিঙে রেলের তথ্য প্রযুক্তি কেন্দ্র তৈরির ঘোষণা। ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ইনফরমেশন টেকনোলজি ইনকিউবেটর অ্যান্ড সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট সেন্টার তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। এটিকে পাইলট বা সূচনা প্রকল্প হিসেবেও ঘোষণা করেছেন তিনি। এই কেন্দ্র গড়ার জন্য আনুমানিক খরচ ২কোটি ৫০লক্ষ টাকা। সেই পাইলট প্রকল্পের জন্য চলতি বাজেটে রেলমন্ত্রীর বরাদ্দ মাত্র ১০লক্ষ টাকা। 

মালদার প্রস্তাবিত নার্সিং কলেজ এবং হস্টেলের জন্য প্রয়োজন ১০কোটি ৩১লক্ষ টাকা। রেলমন্ত্রী বরাদ্দ করেছেন মাত্র ১০লক্ষ টাকা। হাওড়ায় গঙ্গার পাড় বাঁধানোর জন্যও যেখানে ৪কোটি ৯২লক্ষ টাকার প্রয়োজন, সেখানেও মাত্র ১০লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছেন রেলমন্ত্রী। 

রেলমন্ত্রীর বহু ঘোষিত ডানকুনির ইলেকট্রিক লোকো কারখানা এবং অনুসারী শিল্পের জন্য আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছে ১৩কোটি। রেলমন্ত্রীর বরাদ্দ মাত্র ১লক্ষ টাকা! ডানকুনি কারখানা এবং বিশেষ হাসপাতালের জন্য সংযোগকারী রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য আনুমানিক খরচ ২কোটি ৪০লক্ষ টাকা। বরাদ্দ হয়েছে ২০লক্ষ টাকা। 

শিয়ালদহ ডিভিশনের ৩৭টি স্টেশনকে 'আদর্শ স্টেশন' করার জন্য আনুমানিক খরচ ৭৯কোটি ৩০লক্ষ টাকা। রেলমন্ত্রীর বরাদ্দ ২০লক্ষ টাকা। হাওড়া ডিভিশনের মেন লাইনের স্টেশনের উন্নয়নের জন্য আনুমানিক খরচ ৫৭কোটি টাকা, বরাদ্দ হয়েছে ২০লক্ষ টাকা। হাওড়ার কর্ড লাইনে স্টেশন উন্নয়নের জন্য আনুমানিক ব্যয় ২৬কোটি ৯৯লক্ষ টাকা। বরাদ্দ হয়েছে ২০লক্ষ টাকা। যাত্রীদের যাতায়াত সুগম করতে হাওড়া স্টেশনে প্রবেশ ও বাহির পথের সংস্কার কাজের জন্য আনুমানিক ব্যয় ১৬৬কোটি ৮৯লক্ষ টাকা। রেলমন্ত্রী বরাদ্দ করেছেন মাত্র ১কোটি।



রেল চলেছে ধ্বংসের পথে, অভিযোগ পলিট ব্যুরোর

আই এন এন: ভাঁড়ার শূন্য, তাই লোক দেখাতে ভাঁওতাবাজির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে রেল বাজেটে। ঘোষণা করা হয়েছে রকমারি প্রকল্প। শুক্রবার লোকসভায় পেশ করা রেল বাজেট সম্পর্কে এমনই কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সি পি আই (এম) পলিট ব্যুরো। স্পষ্ট বলা হয়েছে, এইসব প্রকল্পগুলি কখনই বাস্তব রূপ নেবে না। বাস্তবিকই চরম অর্থনৈতিক সঙ্কটে ভুগছে রেল। আসলে ধ্বংসাত্মক লাইনেই চলছে ভারতীয় রেল। এদিন রেল বাজেট নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সি পি আই (এম) পলিট ব্যুরো সদস্য সীতারাম ইয়েচুরি পরিষ্কার বলেন, রেলমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বাজেট প্রস্তাবে যেভাবে অকাতরে প্রকল্প ঘোষণা করে গেলেন তাতে ভারতীয় রেলকে আরও দেউলিয়া অবস্থার দিকেই ঠেলে দেবে। পূর্ব ঘোষিত বহু প্রকল্প বকেয়া পড়ে আছে, অথচ দায়িত্ব এড়িয়ে গোটা বিষয়টি যোজনা কমিশনের ঘাড়ে ছেড়ে দিলেন রেলমন্ত্রী। এদিকে, এই রেল বাজেট আসলে রেলমন্ত্রীর ইচ্ছাপত্রেরই প্রকাশ ঘটেছে বলে কটাক্ষ করেছে সি আই টি ইউ। যে বাজেটে প্রকল্পগুলির অর্থ সংস্থান এবং সময়সীমা—কোনো কিছুরই উল্লেখ নেই। পলিট ব্যুরোর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধির হার ৮শতাংশ হলেও মাসুল বাবদ আয়ের পরিমাণ একটুও বাড়েনি। রেলে নিরাপত্তার বেহাল দশা, এরফলে গত এক বছরে ২০০জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন দুর্ঘটনায়। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং খাবার-দাওয়ারের মতো যাত্রী সুবিধার মান দিনে দিনে খারাপ হচ্ছে, সময় মেপে ট্রেনও চলাচল করছে না। প্রকৃত তথ্য গোপন করে ২০১১-১২সালের প্রস্তাবিত রেল বাজেটে রেল পরিচালনার আনুপাতিক হার (অপারেটিং রেসিও) কম করে দেখিয়ে ৯২.১শতাংশ উল্লেখ করা হয়েছে। এসবই পরিসংখ্যানের কারিকুরি। চলতি আর্থিক বছরের শেষে গিয়ে দেখা যাবে রেলে পণ্য পরিবহন হয়েছে ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রার থেকে ২কোটি টন কম (রেলমন্ত্রী তাঁর বাজেট পেশের সময় স্বীকারও করেছেন একথা)। এর থেকেই রেলের অপদার্থতা আরও প্রকট হয়। তাসত্ত্বেও, বাজেটে পণ্য মাসুল বাবদ আয়ের পরিমাণ গতবারের মতোই থাকবে বলে দাবি করা হয়েছে। বাস্তবের থেকে বেশি পরিমাণ পণ্য পরিবহন বাবদ আয় হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। এর ওপর, ২০১০-১১সালে রেল যে লভ্যাংশ দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার থেকে ১৭০০কোটি টাকা কম দিয়েছে। কৃত্রিমভাবে রেল পরিচালনার আনুপাতিক হারও বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। এরপর রেলের হিসাব প্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। পলিট ব্যুরো বলেছে, রেল বাজেটে বার্ষিক যোজনা বরাদ্দ ৫৭,৬৩০কোটি টাকা ঘোষণা করা হয়েছে। গত বছর খরচ হয়েছে ৪০৩১৪.৯৩কোটি টাকা। লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, এই অর্থের সিংহভাগই জোগান দেওয়া হবে কেন্দ্রীয় বাজেটের বর্ধিত তহবিল থেকে (মোট বাজেট সহায়তা)। যে বাজেট সহায়তা গত বছর ছিল ১৫৮০০কোটি টাকা, বেড়ে দাঁড়াবে ২০০০০কোটি টাকা। আই আর এফ সি থেকে ঋণ বাবদ আসবে ২০৫০০কোটি, যা গতবার ছিল ১০১০০কোটি। অথচ রেলের অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ যেমন যাত্রী ও পণ্য পরিবহন বাবদ খরচ গতবারের তুলনায় ৩০০কোটি কম ঘোষণা করা হয়েছে। এর থেকে স্পষ্ট, রেলের নিজস্ব সম্পদ সংগ্রহের পরিমাণ আরও অবনতি ঘটবে। উলটে, সাধারণ বাজেট এবং বাজার থেকে ঋণ নিয়ে সম্পদ সংগ্রহের লক্ষণ স্পষ্ট। রেলের অর্থনৈতিক অবস্থাকে আরও ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়ার প্রবণতা ফুটে উঠছে এই বাজেটে। ২০১০-১১সালের রেল বাজেটেও বহু প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছিল। যার মধ্যে আন্তর্জাতিক মানের স্টেশন, রেলের কোচ ও লোকো তৈরির কারখানা, ওয়াগন ও অ্যাক্সেল ইউনিট নির্মাণ, বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ, অটো হাব, স্পোর্টস কমপ্লেক্স তৈরি, হাসপাতাল নির্মাণ ইত্যাদি বিষয়গুলি ছিল। এবারের বাজেট দেখে মনে হচ্ছে, ঐ ঘোষণাগুলি পুরোটাই চমক ছিল। কেননা এরমধ্যে কিছু প্রকল্প এবারও দেখা যচ্ছে অথবা বেমালুম ভুলে যাওয়া হয়েছে। যোজনা বরাদ্দ এবং নির্দিষ্ট সময়সীমা ব্যতীত প্রকল্প ঘোষণা স্রেফ ভাঁওতা ছাড়া কিছুই নয়। এবারের বাজেটেও এমন অনেক ভাঁওতা দেওয়া হয়েছে। এতে ভারতীয় রেলের মতো মহান প্রতিষ্ঠানের মর্যাদাই ক্ষুন্ন হচ্ছে। সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো, গত বাজেটে ৬টি উচ্চ গতিসম্পন্ন যাত্রী করিডরের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। এবারের বাজেটে এর কোনো উল্লেখই নেই। পলিট ব্যুরো মনে করে, অত্যন্ত হালকা চালে পরিসংখ্যান-ভাঁওতার আশ্রয় নিয়ে রেলমন্ত্রী বাজেট ঘোষণাকালে দাবি করলেন, রেলে যাত্রী সুরক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি ঘটেছে। অথচ গত এক বছরে রেল দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২১৬জনের। রেলমন্ত্রীর আচরণেই স্পষ্ট যে তিনি সাধারণ মানুষের মৃত্যু নিয়ে মোটেই উদ্বিগ্ন নন। তিনটি রেল জোনে সংঘর্ষ প্রতিরোধী যন্ত্র বা অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস বসানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ২০০৯সালের বাজেটে। তা আজো তা হয়নি। এখন আরো চার জোনে ঐ অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস বসানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আবার এবারের বাজেটে 'ট্রেন প্রোটেকশন ওয়ার্নিং সিস্টেম' বসানোর কোনো উল্লেখই নেই। গত বাজেটে অবশ্য এই ব্যবস্থা বসানোর কথা বড়াই করে বলা হয়েছিল। পলিট ব্যুরোর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফের শূন্যপদ পূরণ নিয়ে ফাঁকা প্রতিশ্রুতি শোনালেন রেলমন্ত্রী। অথচ এখনও পর্যন্ত ১লক্ষ ৭৫হাজার গ্রুপ সি ও ডি পদ এবং ১৩হাজার আর পি এফ পদ পূরণে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বস্তুত, ২০০৯-র মার্চ থেকে ২০১০-র মার্চের মধ্যে ভারতীয় রেলের কর্মীসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে ২৪৬০০। এখন মোট রেলকর্মীর সংখ্যা ১৩লক্ষ ৬১হাজার ৫১৯জন। মোটেই ১৪লক্ষ নয়, যা রেলমন্ত্রী বলার সময় বার বার উল্লেখ করছিলেন। এটা স্পষ্ট, রেলমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে ভারতীয় রেল ধ্বংসের পথে চলছে। প্রধানমন্ত্রী কি জোটধর্ম পালনের স্বার্থেই এসব মুখ বুঁজে অনুমোদন করছেন? সীতারাম ইয়েচুরিও রেল বাজেটে অকাতরে প্রকল্প ঘোষণা প্রসঙ্গে কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-কে। তাঁরও প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রী কি জোট রাজনীতির স্বার্থ দেখছেন? এদিকে রেলের দেউলিয়া অবস্থা। যেমন, অর্থনীতির প্রশ্নে ৯শতাংশ মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের কথা বলা হচ্ছে। তাহলে সেক্ষেত্রে রেলের বিকাশ প্রয়োজন ১১শতাংশ। কিন্তু বাস্তবে সেই বিকাশের হার ৩.৫শতাংশ। অধিকাংশ প্রকল্পই বকেয়া। আর সেসবই যোজনা কমিশনের ঘাড়ে চাপিয়ে দায় এড়িয়েছেন রেলমন্ত্রী। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিকাশের উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ করে ইয়েচুরি বলেন, রেলের পণ্য পরিবহন দিনে দিনে কমে ৩৫শতাংশে এসে ঠেকেছে। রেল পরিচালনার আনুপাতিক হার নিয়েও ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছে। রেলমন্ত্রী বলেছেন, ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী বেতন দিতে গিয়ে রেল বহু লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে উঠতে পারেনি। এতে রেলমন্ত্রীর শ্রমিক-কর্মচারী বিরোধী মনোভাবই প্রতিফলিত হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রেলমন্ত্রী যেভাবে চলছেন তাতে আমরা নয়, জনগণই একসময় তাঁকে প্রশ্ন করবেন। জবাব তাঁকে দিতে হবে। সি আই টি ইউ-র অভিযোগ, বকেয়া প্রকল্প যোজনা কমিশনের ঘাড়ে ফেলে দিয়ে ফের নতুন নতুন প্রকল্পের কথা অকাতরে ঘোষণা করেছেন রেলমন্ত্রী। বহু নতুন ট্রেন ঘোষণা হয়েছে কিন্তু সেই পরিমাণ ইঞ্জিন, বগি এমনকি রেললাইন পর্যন্ত নেই। এমনকি রেলের বার্ষিক রিপোর্টেই স্পষ্ট যে রেলের কর্মীসংখ্যা দিনে দিনে হ্রাস পাচ্ছে। সি আই টি ইউ স্পষ্টতই রেলমন্ত্রীর ঘোষিত 'উদার অবসর প্রকল্প'-এর ঘোরতর বিরোধিতা করেছে সি আই টি ইউ। এদিন রেল বাজেট সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ফরওয়ার্ড ব্লক অভিযোগ করেছে যে, রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিকাঠামো উন্নতি সম্পর্কে কোনো কথাই নেই। উলটে রেলমন্ত্রী তাঁর নিজের ভাবমূর্তি বাড়ানোর দিকেই নজর দিয়েছেন বেশি। গত বাজেটে উল্লেখিত বহু প্রকল্পের কোনো উল্লেখই নেই এবারের বাজেটে। এই রেলমন্ত্রীর আমলে রেলের আর্থিক পরিস্থিতির বেহাল দশা হয়েছে। 


Back Previous Pageমতামত

শূন্য কলসির আওয়াজ বেশি

নিজস্ব প্রতিনিধি



নয়াদিল্লি, ২৫শে ফেব্রুয়ারি- যেমন ভাবা হয়েছিল, ঠিক তেমনই। রেলের আর্থিক হাল তলানিতে ঠেকলেও ঘোষণায় কোনো কার্পণ্য করেননি রেলমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। যাত্রী ভাড়া, পণ্য মাসুল বাড়েনি। ৫৬টি নতুন এক্সপ্রেস, ৯টি নতুন 'দুরন্ত' চালুর কথাও ঘোষণা হয়েছে। ভোটের কথা মাথায় রেখে পশ্চিমবঙ্গের বরাতে জুটেছে অনেক প্রকল্পও। সেগুলির বরাদ্দ অবশ্য নামমাত্র। 

কিন্তু, যে প্রশ্ন এদিন লোকসভা কক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন সর্বত্রই রেলমন্ত্রীকে তাড়া করেছে তা হলো আগে ঘোষিত প্রকল্পগুলির কী হলো? নতুন প্রতিশ্রুতির ফোয়ারা তো ছুটলো, গত দু'বছরের বাজেটে ঘোষিত অর্ধেক প্রকল্পই উধাও হয়ে গেলো কোন জাদুতে? রেলের পরিকাঠামো উন্নয়ন, যাত্রী পরিষেবা, সামাজিক প্রকল্প, শিল্প তৈরির প্রায় কোনো ঘোষণাই বাস্তবায়িত করতে পারেনি রেল। তার হিসেব দেবার প্রয়োজনীয়তাও বোধ করেননি রেলমন্ত্রী। আর্থিক পরিস্থিতি সম্পর্কে রেলমন্ত্রীর দেওয়া তথ্যে বড় আকারের গরমিলের গুরুতর অভিযোগও উঠেছে। 

নতুন লাইন



রেলমন্ত্রী গত বছরের বাজেটে বলেছিলেন, এক বছরে ১হাজার কিলোমিটার নতুন লাইন তৈরি করা হবে। বলেছিলেন, 'বিরাট উল্লম্ফন'। এবার বাজেট পেশের সময়ে খুব সচেতন ভাবেই তিনি এড়িয়ে যান ঠিক কত কিলোমিটার বসেছে। তিনি বলেন, এখন আমাদের লক্ষ্য এ বছরে ৭০০কিলোমিটার তৈরি করা। রেলমন্ত্রী না জানালেও এদিনই সংসদে পেশ হওয়া অর্থনৈতিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, এপ্রিল-ডিসেম্বরে হয়েছে ২০৬কিলোমিটার। 

ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর



শুধু পণ্য পরিবহনের জন্য পণ্য করিডরকে রেলমন্ত্রী ২০০৯-এ গালভরা 'হীরক করিডর' নামে অভিহিত করেছিলেন। ২০১০-এ কাজ এগিয়েছে বলে দাবি করেছিলেন। এবার তিনি দাবি করেছেন, পশ্চিম অংশের জন্য জাপানের ঋণ পাওয়া গেছে। ডানকুনি থেকে পূর্ব অংশের কাজ শুরু হয়েছে। ২০১৬-র মধ্যে কাজ শেষ হবে। বাস্তবে এই করিডরের কাজ একফোঁটাও এগোয়নি। অর্থনৈতিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, এই কাজে রেল দারুণভাবে পিছিয়ে আছে। 

আন্তর্জাতিক মানের স্টেশন



২০০৯-র বাজেটে রেলমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, ৫০টি স্টেশনে বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধা তৈরি করে আন্তর্জাতিক মানের স্টেশনে উন্নীত করা হবে। তার মধ্যে ছিলো পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া, শিয়ালদহ, কলকাতা, নিউ জলপাইগুড়ি, মাঝেরহাট। গতবার বলেছিলেন, এই তালিকায় যুক্ত হলো আরো ১০, তার মধ্যে নাম ছিলো বোলপুর, খড়গপুরের। এবার বললেন: খরচ খুব বেশি হবে বলে এই প্রকল্প নিয়ে তেমন এগোনো যায়নি। ভারতীয় যাত্রীদের প্রয়োজন অনুসারে কী করা যায় নতুন করে ভেবে দেখব। প্রকল্পটি বাতিল। 

আদর্শ স্টেশন



২০০৯ এবং ২০১০ মিলে ঘোষণা করেছিলেন ৫৮৪স্টেশনকে আদর্শ স্টেশন বানানো হবে। থাকবে শৌচালয়, পানীয় জল, প্রতীক্ষালয়, মহিলাদের ডরমিটারি এবং অন্যান্য সুবিধা। এবার রেলমন্ত্রীর দাবি ৪৪২টির কাজ মার্চেই শেষ হবে। অথচ মাপকাঠিগুলি মানা হয়নি ৯০শতাংশ স্টেশনের ক্ষেত্রে। রং করা, কোথাও কোথাও শৌচালয় ছাড়া কিছুই তৈরি হয়নি। রেলমন্ত্রী এবারও ২৩৬টি স্টেশনকে নতুন করে এই তালিকায় যুক্ত করেছেন। ইংরাজী বর্ণমালায় যখন যে নাম মনে পড়েছে, প্রায় সেই ভাবেই। 

মাল্টি ফাংশনাল কমপ্লেক্স



২০০৯ এবং ২০১০-এ মোট ১৪৩টি স্টেশনে মাল্টি ফাংশনাল কমপ্লেক্স তৈরির ঘোষণা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, সেখানে কম দামের হোটেল, ভূগর্ভস্থ পার্কিং, নানা ধরনের দোকান, শপিং কমপ্লেক্স, রেস্তোরাঁ, টেলিযোগাযোগ গড়ে তোলা হবে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ২৫টি স্টেশনের নাম ছিলো। তারাপীঠ, দীঘা, গঙ্গাসাগর (যেখানে স্টেশনই নেই),ঝাড়গ্রামের পাশাপাশি ঢাকুরিয়া, নিউ মাল, সিউড়িও ছিলো। এবারে বলা হয়েছে ' কয়েকটি শেষ হয়েছে এবং কয়েকটিতে প্রক্রিয়া চলছে'। সংখ্যা এড়িয়ে যাবার কারণ আছে। কেননা গোটা দেশে মাত্র চারটির জন্য কাজ এগিয়েছে। প্রতিশ্রুতির হাল বোঝা যায় যখন 'বিশ্বমানের' থেকে বোলপুর এবারে নেমে আসে মাল্টি ফাংশনাল কমপ্লেক্সে, আবার এম এফ সি থেকে দার্জিলিঙ নেমে আসে 'আদর্শ' স্টেশনে। এরপরেও রেলমন্ত্রী আরো কিছু এম এফ সি তৈরির ঘোষণা করে দিয়েছেন। 

হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র



গত বাজেটে রেলমন্ত্রীর অন্যতম চমক ছিলো স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে যৌথভাবে ৫২২টি হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরির ঘোষণা। ৫২২টি স্টেশনের নাম বলেও দিয়েছিলেন তিনি। আসানসোল, ডানকুনি, হলদিয়া, খড়গপুর, নিউ মাল, রানাঘাট, রামপুরহাটে এমনকি মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল হবে বলেও ঘোষণা হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গের বহু জায়গায় জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগোনস্টিক সেন্টার গড়ার কথা বলা হয়েছিল। এই প্রকল্পের কী হলো? রেলমন্ত্রী এবারের বাজেটে তার উল্লেখ পর্যন্ত করেননি। কেননা, শুধু পশ্চিমবঙ্গেই না, ভারতের কোথাও একটিও স্বাস্থ্যকেন্দ্র হয়নি। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের 'মৌ' আদৌ স্বাক্ষরিত হয়েছিল কিনা, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে সংবাদমাধ্যমে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী দীনেশ দ্বিবেদীর চিঠি প্রকাশিত হবার পরে। এই একটি ক্ষেত্র যেখানে রেলমন্ত্রী কোনো শিলান্যাসও করতে পারেননি। বেমালুম উল্লেখ এড়িয়ে গেছেন এদিন। 

মেডিক্যাল কলেজ, নার্সিং কলেজ



২০০৯-এ বাজেটে বলা হয়েছিল রেল ১৮টি মেডিক্যাল কলেজ তৈরি করবে। এর মধ্যে কলকাতা, গার্ডেনরিচ, খড়গপুর, বারাসতের নামও ছিলো। আজ পর্যন্ত কোথাও কোনো উদ্যোগই নেওয়া হয়নি। রেলমন্ত্রী এবার এই বিষয়টিও এড়িয়ে গেছেন। 

কলকাতা-সহ সাত জায়গায় নার্সিং কলেজ করার ঘোষণা ছিলো। একটাও হয়নি। 

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান



গত বাজেটে রেলমন্ত্রী বলেছিলেন, ৫০টিকেন্দ্রীয় বিদ্যালয়, ১০টি আবাসিক বিদ্যালয়, মডেল ডিগ্রি কলেজ, ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে। কী হলো? রেলমন্ত্রী চুপ, কেননা একটিও হয়নি। আগের প্রতিশ্রুতি ভুলে গিয়ে এবারে রেলমন্ত্রী ধরেছেন পলিটেকনিক তৈরির ঘোষণা। এর মধ্যে মসলন্দপুরের নামও আছে। 

বটলিং প্ল্যান্ট



ফরাক্কা-সহ ৬টি জায়গায় বটলিং প্ল্যান্ট খোলার কথা ঘোষণা হয়েছিল ২০১০-এ। হয়নি, এবারে তার আর উল্লেখ নেই। 

ক্রীড়া



২০১০-এ বলা হয়েছিল, ৫টি স্পোর্টস আকাদেমি তৈরি করা হবে। এবারের বাজেটে কমনওয়েলথ গেমসে রেলের ক্রীড়াবিদদের সাফল্য সম্পর্কে ন্যায্যতই গর্ব করার পরে রেলমন্ত্রী আকাদেমি হয়েছে কিনা তা আর জানাননি। বরং অনির্দিষ্টভাবে বলে দিয়েছেন, রেল আরো ক্রীড়া আকাদেমি বানাবে। 

নতুন টিকিট কেন্দ্র



গ্রাম পঞ্চায়েতে রেলের টিকিট বিক্রির কথা জানানো হয়েছিল। তেমনই ২০০৯-এ-ই বলা হয়েছিল, ৫হাজার ডাকঘর থেকে মিলবে টিকিট। সেই প্রকল্প বাতিল, তার বদলে কিছু মুশকিল আসান ভ্যান বাড়ানো হচ্ছে। 

রেলের কোচ-ওয়াগন তৈরির কারখানা



রেল কোচ-ওয়াগন তৈরির একগুচ্ছ কারখানা তৈরির কথা গত দু'বছর ঘোষণা করেছিলেন রেলমন্ত্রী। বেশিটাই সরকারী-বেসরকারী যৌথ উদ্যোগ বা তথাকথিত পি পি পি মডেলে। এর মধ্যে একমাত্র সোনিয়া গান্ধীর রায়বেরিলিতে কাজ দ্রুত এগোচ্ছে বলে রেলমন্ত্রী এবার জানিয়েছেন। তিনমাসের মধ্যে প্রথম কোচ সেই কারখানা থেকে বেরোবে বলেও রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন। কিন্তু বাকিগুলি সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য খুবই কূটনৈতিক: 'রেল কাজ চালাচ্ছে।' মমতা বলেছেন, কাঁচড়াপাড়া, ডানকুনি, মাধেপুরা, মারহোয়ারা প্রকল্পের মডেল নতুন বলে ধীরে কাজ করতে হচ্ছে। একটি কোর গ্রুপ দেখাশোনা করছে। নিউ জলপাইগুড়ি, আদ্রা, জেলিংহাম, কুলটিতে কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে বলেও তাঁর ঘোষণা । যদিও একটি ক্ষেত্রেও প্রকল্প রিপোর্ট চূড়ান্ত হয়নি, কারা বানাবে তা স্থির হয়নি, বরাত হয়নি। উপরন্তু মণিপুরে একটি লোকোমোটিভ সেন্টার গড়ার কথা বলেছেন তিনি। সেন্টারের অর্থ কী, তা স্পষ্ট নয়। কালাহাণ্ডিতে কোচ কারখানা গড়ার কথা বলে গত বছরই জোর হাততালি পাওয়া রেলমন্ত্রী এবারে জানিয়েছেন, বিবেচনা করা হচ্ছে। গত বছর বলা হয়েছিল, ১০টি অটোমোবাইল হাব গড়ে তোলা হবে। এবারে একমাত্র উল্লেখ হলো 'উৎসাহজনক সাড়া' পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য, শালিমারের 'হাব' এখন দুর্দশাগ্রস্ত, ভারতের অন্য কোথাও হাবের কোনো দেখা নেই। গত বছর ঘোষণা করা ১০টি ইকো পার্কের কী হলো, তার উল্লেখই নেই রেলমন্ত্রীর এবারের 'সবুজ উদ্যোগে'। 

রবীন্দ্রনাথ



গত বাজেটে জানানো হয়েছিল, রবীন্দ্রনাথের সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে হাওড়ায় রবীন্দ্র মিউজিয়াম এবং বোলপুরে গীতাঞ্জলি মিউজিয়াম গড়ে তোলা হবে। দুটোর কোনোটাই হয়নি, রেলমন্ত্রী সে-কথা উল্লেখও করেননি। 

অভিজ্ঞতা থেকে এবার অবশ্য লোকসভায় রেলমন্ত্রীর ঘোষণা শুনে টেবিল চাপড়ানোর পরিমাণ ছিলো অনেক কম। রেলমন্ত্রী নিজের নাটকীয়তায় তার খানিকটা পূরণ করেছেন। সংসদের ভেতরে-বাইরে শোনা গেছে পরিচিত প্রবাদের মন্তব্য: শূন্য কলসেরই আওয়াজ বেশি হয়।


নিজস্ব প্রতিনিধি
কলকাতা, ২৫শে ফেব্রুয়ারি— দ্বাদশ পরিকল্পনায় স্থান হবে যে প্রকল্পের তার শিলা পোঁতা হয়ে গেছে ১০মাস আগেই! মছলন্দপুর রেল স্টেশনে আবার কী শিলা পুঁতবেন রেলমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি!...

>>>

নিজস্ব প্রতিনিধি 
কলকাতা, ২৫শে ফেব্রুয়ারি— আগের দু'বার মমতা ব্যানার্জির রেল বাজেট দেখে বিশেষ করে বাংলার যাঁরা টেবিল চাপড়েছিলেন, এবার তাঁদের কপাল চাপড়ানোর পালা। সবাই যে টেবিল চাপড়েছিলেন, তা নয়।...

>>>

বাসুদেব আচারিয়া
পশ্চিমবঙ্গেও রেল দিশাহীন। রাজ্যের রেল পরিকাঠামোর উন্নতিতে যেগুলি জরুরী প্রয়োজন তা স্থান পায়নি রেল বাজেটে। শুধু প্রকল্প ঘোষণা করলেই হবে না সেগুলি যাতে যথাযথ রূপায়ণ হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করা দরকার। রাজ্যে বিভিন্ন এলাকায় রেল পরিষেবা সম্প্রসারণ প্রয়োজন। কিন্তু তার কোন দিশা নেই।...

>>>

ছবির খাতা

প্রতিরোধে শ্রমজীবীরা

আরো ছবি

ভিডিও গ্যালারি

Video

শ্রদ্ধাঞ্জলি

আড্ডা ঘর

মিডিয়ার সঙ্গে কর্পোরেট সংস্থার আঁতাত

আপনার কী মতামত?

আপনার রায়

মাওবাদী-তৃণমূল আঁতাতের বিষয়টি কি উপেক্ষা করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী পি চিদাম্বরম?

হ্যাঁ
না
জানি না
 

ই-পেপার

No comments:

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...