Twitter

Follow palashbiswaskl on Twitter

Memories of Another day

Memories of Another day
While my Parents Pulin babu and Basanti devi were living

Monday, August 8, 2016

আমাদের মেয়ে দীপানোভা কর্মকার দীপানোভা প্রমাণ করল,আমরাও পারি। ত্রিপুরায় তাঁদের মাতৃভাষা হারিয়ে যায়নি।বাংলা ছাড়া সবচেয়ে বেশী বাংলা ভাষার চর্চা ও সাহিত্য সৃজন ত্রিপুরা এবং অসমেই হয়।অন্যান্য রাজ্যের মত তাঁরা মাতৃভাষা কিংবা সংরক্ষণের অধিকার থেকে বন্চিত নন।পুরোদস্তুর নাগরিক তাঁরা।যে নাগরিকত্ব থেকে পশ্চিম বঙ্গেও জীবনের সর্বক্ষেত্রে বাঙালরা আজও বন্চিত। পলাশ বিশ্বাস

আমাদের মেয়ে দীপানোভা কর্মকার

দীপানোভা প্রমাণ করল,আমরাও পারি

ত্রিপুরায় তাঁদের মাতৃভাষা হারিয়ে যায়নি।বাংলা ছাড়া সবচেয়ে বেশী বাংলা ভাষার চর্চা ও সাহিত্য সৃজন ত্রিপুরা এবং অসমেই হয়।অন্যান্য রাজ্যের মত তাঁরা মাতৃভাষা কিংবা সংরক্ষণের অধিকার থেকে বন্চিত নন।পুরোদস্তুর নাগরিক তাঁরা।যে নাগরিকত্ব থেকে পশ্চিম বঙ্গেও জীবনের সর্বক্ষেত্রে বাঙালরা আজও বন্চিত।


পলাশ বিশ্বাস

ত্রিপুরার বাঙালিরাও সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কোটি কোটি বাঙালিদের মতই বাস্তুহারা,উদ্বাস্তু এবং ছিন্নমূল।কিন্তু বাংলা এবং বাংলাদেশ ছাড়া একমাত্র ত্রিপুরাতেই বাঙালিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ।আবার বাংলাদেশ ও পশ্চিম বাংলার তুলনায় সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালিরা আমাদের মত  সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কোটি কোটি বাঙালিদের মতই বাস্তুহারা,উদ্বাস্তু এবং ছিন্নমূল।


ঢাকা,ফরিদপুর, বরিশাল,যশোর,পাবনা,রাজশাহীর মানুষ যখন বাংলার সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে এসেছেন,তখন ঢাকা কুমিল্লা সিলেট নোয়াখালি ও বাংলাদেশের অন্যান্য জেলা থেকে মানুষের ঢল সবচেয়ে বেশি ত্রিপুরায় নেমেছে।


অসমের চাইতে বেশি মানুষ ত্রিপুরায় শরণার্থী।তবে ভারতবর্ষের অন্যান্য রাজ্য এমনকি সাধের পশ্চিম বাংলার বিপরীতে ত্রিপুরায় তাঁদের শরণার্থী পরিচয় মূল ত্রিপুরী আদিবাসী জনগোষ্ঠীসমূহের সঙ্গে একাকার হয়ে গেছে এবং তাঁরা বাংলা সহ অন্যান্য রাজ্যের শরণার্থীদের মত চিন্মূল ত ননই,পুরোদস্তুর ভারতের নাগরিক।


নিজেদের ভাগ্যের নিয়ন্ত্রক,জীবনের সর্বক্ষেত্রেই তাঁরা প্রতিষ্ঠিত।

ত্রিপুরায় তাঁদের মাতৃভাষা হারিয়ে যায়নি।বাংলা ছাড়া সবচেয়ে বেশী বাংলা ভাষার চর্চা ও সাহিত্য সৃজন ত্রিপুরা এবং অসমেই হয়।অন্যান্য রাজ্যের মত তাঁরা মাতৃভাষা কিংবা সংরক্ষণের অধিকার থেকে বন্চিত নন।পুরোদস্তুর নাগরিক তাঁরা।যে নাগরিকত্ব থেকে পশ্চিম বঙ্গেও জীবনের সর্বক্ষেত্রে বাঙালরা আজও বন্চিত।


প্রয়াত কবি মন্ত্রী অনিল সরকারের সৌজন্যে এই ত্রিপুরাকে জানার সুযোগ আমার হয়েছে এবং তাঁদের আদিবাসীদের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বের মানববন্ধন আমি চিরকালই অন্যান্য রাজ্যের বাঙালিদের সঙ্গে সেই রাজ্যের অধিবাসীদের গড়ে তোলার কাজে আজ অবধি সক্রিয়।


উদ্বাস্তুরা যেখানেই আছেন,তাঁরা স্থানীয়মানুষদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে কোনো ক্রমে বেঁচে বর্তে আছেন কিন্তু অসম কিংবা উত্তরপ্রদেশে কিংবা উত্তরাখন্ডে কিংবা দনডকারণ্যের আওতায় ওড়ীশা, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্র,ছত্রিশগঢ়,মধ্যপ্রদেশ ব্যাতিরেক বিহার ও ঝারখন্ডে স্ংখ্যার বিচারে অনেক বেশি বাঙালি ছন্নছাড়া,বাস্তুহারা মানুষ বসবাস করলে ও তাঁরা অনেকাংশই বেনাগরিক এবং বাংলাতেও পূর্ব বঙ্গের মানুষ,তাঁদের মাতৃভাষা,তাঁদের সংস্কৃতি,তাঁদের জীবনযাত্রা,জীবিকা,পরিচিতি এবং গোটা অস্তিত্বটার বাস্তব অর্থে কোনো জমি জায়গা নেই।


বলা বাহুল্য বাংলার মাটিতে পূর্ব বঙ্গ থেকে আসা মামুষজন আজও অনাহুত, রবাহুত, অবান্ছিত,বহিরাগত।বাংলায় তাঁরা জবর দখল কলোনীতে,রিফিউজি ক্যাম্পের জায়গায় সরকারি ভসত পাচট্টায়,রেল ধারে,বিল ধারে,খাল পাড়ে পোকা মাকড়ের মত বসবাস করছেন এবং শাশক শ্রেণী তাঁদের উত্খাত করার জন্য যা যা করার 15 আগস্ট থেকে আজ অবধি প্রতিনিয়ত অবর্ণনীয় ঘৃণায়,হিংসায় ও প্রতিশোধ স্পৃহায় করে চলেছে।


বিদানরায় যেমন এদের পান্জাবের দেশভাগের বলির মত মানুষ মানেননি এবং তত্কালীন দিল্লী ও কোলকাতার শাশকেরা এদের পূর্ববাংলার না খেতে পাওয়া আকালের বুভুক্ষু মানুষদের খাদ্যও আশ্রয়ের সন্ধানে সীমান্ত পেরিয়ে আসা অনাহুত হতদরিদ্র নামানুষ মনে করে তাঁদের তাত্ক্ষণিক মানবিক সাহায্য দিয়ে ভদ্রতার খাতিরে পশ্চিম বাংলা ও ভারতের অন্যান্য রাজ্যের ট্রান্জিট ক্যাম্পে বা ভারতের বিভিন্য  রাজ্যে জলে জঙ্গলে, দ্বীপে, দ্বীপান্তরে, পাহাড়ে, চা বাগানে, কফি বাগানের কুলি করে রেখে আবার ভারতে থেকে বিতাড়িত করে পূর্ববঙ্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন।


ডিপোর্টেশান,ডিটেনশান ও এথনিক ক্লীন্জংঃসেই সুনিয়োজিত পরিকল্পনার দরুণই পূর্ব বাংলার ভিটেহারাদের পুনর্বাসন,নাগরিকত্ব,মাতৃভাষা,সংরক্ষণের দাবিতে বাংলা কখনো সোচ্চার হয় নি।প্রণব মুখার্জি বলেছেনঃ তিনি ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হলে পত্রপাঠ এই আপদ পূর্ব বাংলাতে ফেরত পাঠাতেন।


2003 সালের কালো নাগরিকত্ব সংশোধণী আইন সেই প্রতিশোধের নাম।


সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন প্রণব মুখার্জি নিজে এবং তিনি কোনো উদ্বাস্তু সংগঠন বা নাগরিক উদ্বাস্তুর সঙ্গে দেখা প্রযন্ত করতে অস্বীকার করে এই বিলটিকে আইনে পরিবর্তিত করতে নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করেন এবং পশ্চিম বঙ্গের সমস্ত সাংসদরা দল মত নির্বিশেষ বাঙাল খেদাও আইনের সমর্থন করেন।আরএসএস কে,কেন্দ্রকে সর্বার্থে দায়ী করার রাজনৈতিক শ্লোগানে আমরা কিন্তু এই নির্মম সত্যের মুখোমুখি হতে পারছি না।


আইনিটি প্রণয়ণ করেছিলেন লাল কৃষ্ণ আঢওযানী যিনি আরএসএশের মুখ এবং অটল জমানায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হিসাবে তিনিই আইনচি পাশ করান।


সামনের এই ছবির পিছনে কিন্তু রং বেরং বাংলার নেতাদের অবস্থান যারা আজও নিজেদের আধিপাত্যের স্বার্থে পূর্ববালার দেশভাগের বলি মানুষদের সারা বারত থেকে বিদায় জানাবার বন্দোবস্ত করে চলেছেন।


এই জন্যই গত পাঁচই আগস্ট কোলকাতায় দশ হাজার উদ্বাস্তুদের মিছিল ও সমাবেশের কোনো খবর হল না বা এর আগে এই সব মানুষদের রাজনৈতিক ভোটব্যান্ক বা আপরাধিক শিরোণাম ছাডা় কোনো খবর হয়না।


দীপানোভা কর্মকারকে মনে রাখা প্রয়োজন।অসম্ভব আত্মবিশ্বাসী,লক্ষ্যে অস্থির ত্রিপুরার এই মেয়েটি আমাদেরই মেয়ে।আমাদের মেয়ে দীপানোভা।যে ত্রিপুরার জীবন যাত্রা ,সাহিত্য সংস্কৃতি বাংলায় কোনো স্বীকডতি পায়না,সেই ত্রিপুরার মেয়ে ওলিম্পিকে ভারতের মুখ হযে যাওয়া দীপানোভা আজ খবরের শিরোনামে,কাগজে পাতা জুড়ে তাঁর ছবি।


আমাদের বন্ধু গাইড  কবি মন্ত্রী অনিল সরকার বেঁছে তাকলে যা লিখতে পারতেন ,তা লেখার ক্ষমতা আমার নেই।দীপা প্রমাণ করেছে যে দেশভাগের রপর না থেমে থাকা গণসংহার,ধর্ষণ,বিতাড়ন,অবহেলা,বন্চনা,ঘৃণা ও নাসুযোগের এই পরিবেশেও আমাদের  শিরদাঁড়া ভেঙ্গে পড়ে নি।পদক না জিতলেও,কিছু আসে যায়না।


ওলিম্পিকে প্রথম ভারতীয় জিমনাস্ট হিসাবে প্রথাম আবির্ভাবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান,এলিম্পিক চ্যাম্পিয়ানদের দীর্ঘাঙ্গী শ্বেত আধিপাত্যের মুখোমুখি আমাদেরম মেয়ে দীপানোভার পা এতটুকু চলে নি।ভল্টের প্রাণসংসশয়ের বিপদকে অবহেলায় হারিয়ে আবির্ভাবেই ফাইনালে উঠে সেই আজ ভারত ও দক্ষিণ এশিযার মুখ।  দীপানোভা প্রমাণ করল,আমরাও পারি।



--
Pl see my blogs;


Feel free -- and I request you -- to forward this newsletter to your lists and friends!

No comments:

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...