Twitter

Follow palashbiswaskl on Twitter

Memories of Another day

Memories of Another day
While my Parents Pulin babu and Basanti devi were living

Thursday, October 31, 2013

নজরদারিতে সবাই, দাবি এনএসএ-র

নজরদারিতে সবাই, দাবি এনএসএ-র

US spymaster defends spying on world leaders
ওয়াশিংটন: একা নয় আমেরিকা, ইউরোপের একাধিক দেশের নাগরিকদের ওপর যে বৈদ্যুতিন নজরদারি চালিয়েছেন মার্কিন গোয়েন্দারা, তাতে শরিক সেই দেশের গোয়েন্দাসংস্থাও৷ মার্কিনদের সঙ্গে সবাই মিলেই ভাগ করে নিয়েছে নজরদারির ফল৷ এনএসএ কর্তা জেনারেল কিথ আলেকজান্ডারের এই দাবিতে ফের উত্তাল আন্তর্জাতিক রাজনীতি৷

জার্মানির 'ডার স্পাইগেল' বা ফ্রান্সের 'ল্য মঁদ' কিংবা স্পেনের 'এল মুন্দো' সংবাদপত্রে যে প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে তা সত্য নয়৷ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সাধারণ মানুষের মোবাইল ফোন কিংবা ই-মেল অ্যাকাউন্টে দীর্ঘদিন ধরে যে নজরদারি চলে এসেছে তা একেবারে গোপনে নয়৷

আমেরিকার 'হাউস ইন্টেলিজেন্স কমিটি'-র কাছে জেনারেল আলেকজান্ডার জানিয়েছেন, 'আক্রান্ত' দেশগুলির রাজনীতিকরা যতই বিরক্তি প্রকাশ করুন না কেন, কিছুই তাঁদের অজান্তে হয়নি৷ সন্দেহভাজনদের তথ্য মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দেশের গোয়েন্দারা৷

জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের ব্যক্তিগত ফোনে আড়ি পাতার বিষয়ে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা করতে এক বিশেষ প্রতিনিধিদলকে পাঠানো হয়েছে৷ মার্কেলের ফোনে প্রায় ১০ বছর ধরে আড়ি পেতেছিলেন মার্কিন গোয়েন্দারা, এমন তথ্য ফাঁস হওয়ার পর বিরক্ত জার্মান প্রশাসন আমেরিকার কাছে কৈফিয়তও তলব করেছে৷

আমেরিকায় যে বিশেষ প্রতিনিধিদলকে পাঠানো হয়েছে সেই দলে রয়েছেন চ্যান্সেলরের অন্যতম বৈদেশিক উপদেষ্টা ক্রিস্টফ হিউসজেন ও জার্মান গোয়েন্দা দপ্তরের পদস্থ কর্তা গুন্টার হেইস৷ দু'দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে মার্কিন পক্ষে হাজির থাকার সম্ভাবনা আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সুজান রাইস, গোয়েন্দাপ্রধান জেমস ক্ল্যাপার ও প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা লিজা মোনাকোর৷

মার্কিন ও জার্মান প্রতিনিধিদের আলোচনার ওপর নির্ভর করছে দু'দেশের সম্পর্কের ভবিষ্যত্‍৷ নজরদারির কথা জানতে পেরে বিরক্ত হয়ে চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছিলেন, 'দু'টি বন্ধু দেশের মধ্যে এমন আচরণ বরদাস্ত করা যায় না৷' সম্পর্ক আগের মতোই মজবুত থাকবে কি না তা বলে দেবে প্রতিনিধিদের বৈঠকই৷

মার্কিন গোয়েন্দাকর্তা জেমস ক্ল্যাপার অবশ্য সমালোচনা সত্ত্বেও বৈদ্যুতিন আড়িপাতার পক্ষেই সওয়াল করেছেন৷ তাঁর দাবি, যে ভাবে সন্ত্রাসবাদ বাড়ছে তাতে আমেরিকাকে বাঁচাতে এ ছাড়া রাস্তা নেই৷ তাই আক্রান্ত হওয়ার আগেই আক্রমণ প্রতিহত যদি করতে হয় তা হলে নজর রাখতেই হবে৷

আমেরিকার নজরদারির কথা প্রকাশ হয়ে পড়ার পর চিনের বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিশেষ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করা হয়েছে৷ বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনয়িং জানিয়েছেন, মার্কিন নজরদারির প্রতিটি রিপোর্টই মন দিয়ে দেখছে চিন৷ যাতে চিনের নিজস্ব কোনও তথ্য বাইরে ফাঁস হয়ে না যায় তার জন্য প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে৷ আমেরিকার মতোই চিনও বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের ওপর নজর রাখবে কি না সে বিষয়ে অবশ্য কোনও কিছুই জানানো হয়নি৷ - সংবাদসংস্থা

No comments:

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...