পেনশন বিল পাশ করাতে মরিয়া সরকার
নয়াদিল্লি: খাদ্য সুরক্ষা এবং জমি অধিগ্রহণর বিলের পর ইউপিএ সরকারের এ বার লক্ষ্য সংসদে পেনশন বিল পাস করানো৷ পেনশন বিল পাস হলে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে, তাই এই বিল পাস করাতে মরিয়া অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম৷
সংসদের অধিবেশন শেষ হতে আর তিনদিন বাকি৷ ওই সময়ের মধ্যে অতিরিক্ত ব্যয়বরাদ্দের দাবি ছাড়া পেনশন বিল লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাস করাতে চাইছে সরকার৷
কিন্ত্ত কয়লা কেলেঙ্কারি নিয়ে বিজেপি যে রকম চরম অবস্থান নিয়েছে তাতে সংসদের বাদল অধিবেশনে পেনশন বিল পাস হওয়া নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে৷ মঙ্গলবার কয়লা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জবাবে অসন্ত্তষ্ট বিজেপি বলেছে, সহযোগিতা কখনও একতরফা হয় না৷ বিজেপি সব বিল পাসে সরকারকে সাহায্য করবে, আর সরকার বিজেপির প্রশ্নের জবাব দেবে না এটা হয় না৷ তা হলে, বিজেপি কি পেনশন বিল পাস করতে সরকারকে সহযোগিতা করবে না? বিজেপির মুখপাত্র রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, 'এ ব্যাপারে দলের শীর্ষ নেতারা কৌশল ঠিক করবেন'৷
কংগ্রেস অবশ্য আশা প্রকাশ করেছে, পেনশন বিল পাস হবে৷ কারণ, বিজেপি এই বিল পাস করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে৷ বিজেপি-র সঙ্গে অর্থমন্ত্রী চিদম্বরমের কথাও হয়ে গিয়েছে৷ পেনশন বিলে বিজেপির দু'টি সংশোধনী সরকার মেনে নেওয়ায় প্রধান বিরোধী দল পেনশন বিল পাস করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে৷ নতুন করে কোনও বিতর্ক দেখা না-দিলে পেনশন বিল পাস করার ক্ষেত্রে সরকারের অসুবিধা হওয়ার কথা নয়৷ সিপিএম-সহ বামেরা এবং তৃণমূলের মতো কয়েকটি দল এর বিরোধিতা করতে পারে ঠিকই, কিন্ত্ত তাতে বিল পাস করতে কোনও অসুবিধা হবে না৷ সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরির স্বীকারোক্তি, কংগ্রেস-বিজেপি একজোট হলে যে কোনও বিলই পাস হয়ে যাবে৷ অন্য দলগুলি সমর্থন করল বা বিরোধিতা করল তাতে কিছু যায় আসে না৷ সিপিএম শুধু দাবি করেছে, সরকারকে গ্যারান্টি দিতে হবে, সরকারি কর্মী যখন অবসর নেবেন, তখন শেষ যে বেতন পাচ্ছিলেন তার অর্ধেক তিনি পেনশন পাবেন৷ কিন্ত্ত এমন কোনও নিশ্চয়তা দিতে রাজি নয় সরকার৷
প্রথম ইউপিএ সরকারের সময় শরিক দল সিপিএমের বিরোধিতা এবং দ্বিতীয় ইউপিএর শরিক দল তৃণমূলের বিরোধীতায় এই বিল পাস করানো যায়নি৷ এখন বিরোধী বিজেপি-র সাহায্যে সেই বিল পাস করাতে চাইছে সরকার৷ পেনশন বিলে আইনানুগভাবে একটি পেনশন তহবিল রেগুলেটরি ও ডেভলাপমেন্ট অথরিটি গঠনের প্রস্তাব আছে৷ কেন্দ্রীয় সরকারি চাকুরেদের জন্য নতুন পেনশন ব্যবস্থা ২০০৪ সাল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে৷ সরকার প্রশাসনিক নির্দেশবলে একটি অস্থায়ী রেগুলেটরি অথরিটিও তৈরি হয়েছে৷ সাতাশটি রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তাঁদের কর্মীদের জন্য নতুন পেনশন প্রকল্প গ্রহণ করেছেন৷ ২০০৯ সালে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সরকার বহির্ভূত যে কেউ এই পেনশন প্রকল্পে যোগ দিতে পারবেন
সংসদের অধিবেশন শেষ হতে আর তিনদিন বাকি৷ ওই সময়ের মধ্যে অতিরিক্ত ব্যয়বরাদ্দের দাবি ছাড়া পেনশন বিল লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাস করাতে চাইছে সরকার৷
কিন্ত্ত কয়লা কেলেঙ্কারি নিয়ে বিজেপি যে রকম চরম অবস্থান নিয়েছে তাতে সংসদের বাদল অধিবেশনে পেনশন বিল পাস হওয়া নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে৷ মঙ্গলবার কয়লা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জবাবে অসন্ত্তষ্ট বিজেপি বলেছে, সহযোগিতা কখনও একতরফা হয় না৷ বিজেপি সব বিল পাসে সরকারকে সাহায্য করবে, আর সরকার বিজেপির প্রশ্নের জবাব দেবে না এটা হয় না৷ তা হলে, বিজেপি কি পেনশন বিল পাস করতে সরকারকে সহযোগিতা করবে না? বিজেপির মুখপাত্র রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, 'এ ব্যাপারে দলের শীর্ষ নেতারা কৌশল ঠিক করবেন'৷
কংগ্রেস অবশ্য আশা প্রকাশ করেছে, পেনশন বিল পাস হবে৷ কারণ, বিজেপি এই বিল পাস করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে৷ বিজেপি-র সঙ্গে অর্থমন্ত্রী চিদম্বরমের কথাও হয়ে গিয়েছে৷ পেনশন বিলে বিজেপির দু'টি সংশোধনী সরকার মেনে নেওয়ায় প্রধান বিরোধী দল পেনশন বিল পাস করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে৷ নতুন করে কোনও বিতর্ক দেখা না-দিলে পেনশন বিল পাস করার ক্ষেত্রে সরকারের অসুবিধা হওয়ার কথা নয়৷ সিপিএম-সহ বামেরা এবং তৃণমূলের মতো কয়েকটি দল এর বিরোধিতা করতে পারে ঠিকই, কিন্ত্ত তাতে বিল পাস করতে কোনও অসুবিধা হবে না৷ সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরির স্বীকারোক্তি, কংগ্রেস-বিজেপি একজোট হলে যে কোনও বিলই পাস হয়ে যাবে৷ অন্য দলগুলি সমর্থন করল বা বিরোধিতা করল তাতে কিছু যায় আসে না৷ সিপিএম শুধু দাবি করেছে, সরকারকে গ্যারান্টি দিতে হবে, সরকারি কর্মী যখন অবসর নেবেন, তখন শেষ যে বেতন পাচ্ছিলেন তার অর্ধেক তিনি পেনশন পাবেন৷ কিন্ত্ত এমন কোনও নিশ্চয়তা দিতে রাজি নয় সরকার৷
প্রথম ইউপিএ সরকারের সময় শরিক দল সিপিএমের বিরোধিতা এবং দ্বিতীয় ইউপিএর শরিক দল তৃণমূলের বিরোধীতায় এই বিল পাস করানো যায়নি৷ এখন বিরোধী বিজেপি-র সাহায্যে সেই বিল পাস করাতে চাইছে সরকার৷ পেনশন বিলে আইনানুগভাবে একটি পেনশন তহবিল রেগুলেটরি ও ডেভলাপমেন্ট অথরিটি গঠনের প্রস্তাব আছে৷ কেন্দ্রীয় সরকারি চাকুরেদের জন্য নতুন পেনশন ব্যবস্থা ২০০৪ সাল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে৷ সরকার প্রশাসনিক নির্দেশবলে একটি অস্থায়ী রেগুলেটরি অথরিটিও তৈরি হয়েছে৷ সাতাশটি রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তাঁদের কর্মীদের জন্য নতুন পেনশন প্রকল্প গ্রহণ করেছেন৷ ২০০৯ সালে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সরকার বহির্ভূত যে কেউ এই পেনশন প্রকল্পে যোগ দিতে পারবেন
No comments:
Post a Comment