ক্রমে ক্রমে বিশ্বময় বার্তা গেল রটি, বাংলায় পরিবর্তনের একমেব দিশারী অগ্নিকন্যা মমতা ব্যানার্জি। গণবিদ্রোহকে ক্যাশ করিয়ে নিয়ে ক্ষমতা দখল করার খেলায় নিঃসন্দেহে তর্কাতীত ভাবে দিদির সাফল্য প্রশ্নাতীত। তৃণমুলী জনতার আনুগত্যও প্রশ্নাতীত। কিন্তু আখেরে ঝুলি থেকে বিড়াল বেরিয়েই পড়ল বিদ্রোহী তৃণমুল সাংসদ কবীর সুমন ও টিভি চ্যানেল 24 ঘনিটার কল্যাণে। তাঁর বিস্ফোরক মন্তব্যের জের কাটতে না কাটতে মুক্ত সাহিত্যিক নন্দীগ্রামের হার্মাদখ্যাত সাহিত্যিক মাণিক মন্ডলের আরও খোলাসা করে তৃণমুল মাওবাদী যোগাযোগ ফাঁস করলেন। কোটেশ্বর রাও নিজেই মাওবাদীদের তৃণমুলের ঝান্ডা ধরতে ফতোয়া দিয়ে গিয়েছেন। নন্দীগ্রামের গণপ্রতিরোধ আসলে মাওবাদী আন্দোলন। কবীর সুমন ঝেড়ে কেশে ফেলেছেন যে ভূমি উচ্ছেদ কমিটিতে মাওবাদীরা ছিলেনই। জঙ্গলমহলে তৃণমুলী সমর্থনের জীবনী শক্তি আদতে ঔ মাওবাদিরাই। সিঙ্গুর থেকে নন্দীগ্রাম হয়ে গণ আন্দোলনের সম্মুখ সমরে দমনতন্ত্র হার্মাদ বাহিনীর মোকাবিলা করেছে এসইঊসি, মাওবাদী, নক্সালবাদী ও সাধারণ মানুষ। আমরা ত বার বারই লিখেছি দিদি ত ঘটনাস্থলে যেতেই পারেননি। মাটি কামড়ে যারা আন্দোলন করেছেন সেদিন সবাই দেখতে দেখতে রাষ্ট্রেশত্রু হয়ে গেল। দিদকে সমর্থনের মূল্য দিতে হয়েছে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করতে যিনি সবচেয়ে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন সেই কোটেশ্বর রাওকে। পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী কমিটির যে ছত্রধর মাহাতোর সাহায্যে জঙ্গল মহল দখল করল তৃণমুল, তিনি এখনও জেলে। অথচ যে পরিবর্তন এল সবার প্রচেষ্টায়, তাঁর দখল নিয়ে নিল বাজার। এই আন্দোলনের পুরোভাগে সেদিন ছিল মেধা পাটকরের নেতৃত্বে ভারতের তামাম গণসংগঠন এবং ্অবশ্যই অনুরাধা তলোয়ারের নেতৃত্বে পশ্টিম বঙ্গ খেত মজুর সমিতি।যারা সেদিন বার বার পুলিশের লাঠি খেয়েছেন, রক্তাক্ত হয়েছেন, জেলে গিয়েছেন, যেদিল অনশন বিক্ষোভ শুরু হতে অনেক দেরী। মাওবাদীদের সঙ্গে মাটি কামড়ে সেদিন সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম লালগঢ়ে কাজ করেছেন এসইঊসি, নক্সাল কর্মীরা।আজ পরিবর্তনের মন্ডা মেঠাই খেয়ে জনগণের নিকুচি করছে যে সুশীল সমাজ, নন্দীগ্রাম গণহত্যার আগে তাঁকে রাস্তায় নামতে দেখা যায়নি।
"জঙ্গলমহলে তৃণমূলের আন্দোলনে মাওবাদীরা ছিল কীনা, সে প্রশ্নরে উত্তর এবার রাজ্যবাসীর সামনে দেওয়া উচিত তৃণমূলের। ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূলের অবস্থানের পরিবর্তন হয়েছে।" কবীর সুমনের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা বললেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দীপা দাশমুন্সি।
জঙ্গলমহলে তৃণমূলের কোনও সংগঠন ছিল না। নন্দীগ্রামে গেরিলা যুদ্ধে প্রশিক্ষণ দিত মাওবাদীরা। সোনাচূড়ায় ছিল অস্ত্র কারখানা। কবীর সুমনের জবানবন্দির পরিপ্রেক্ষিতে এমন সব তথ্যই জানালেন সাহিত্যিক মানিক মণ্ডল। তিনি বলেন, "বর্তমানে মাওবাদী বন্ধুদের ভুলে গেছে সরকার।"
সাক্ষাৎকারে তৃণমূল কংগ্রেসের সংস্কৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সুমন। ভাঙড়ের জলসাকাণ্ডকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মানতে নারাজ তৃণমূলের এই বিদ্রোহী সাংসদ। তাঁর মতে, রাজ্যজুড়ে তৃণমূল নেতৃত্ব যা করছে, তারই প্রতিফলন ঘটেছে ভাঙড়ে। "মাথাটা যখন পচতে শুরু করেছে, তখন পা কে দোষ দিয়ে লাভ কী!" ভাঙরের জলসা কাণ্ড নিয়ে এমনই উপলব্ধি কবীর সুমনের।
পার্ক স্ট্রিট কাণ্ড নিয়ে তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদারের মন্তব্যেরও তীব্র সমালোচনা করলেন কবীর সুমন। তাঁর প্রশ্ন একজন মহিলা হয়ে কীভাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন?
দলের কাজকর্ম নিয়ে হঠাত্ই মুখ খুলেছিলেন কবীর সুমন। আর তার পর থেকেই দলের কাছে ব্রাত্য তিনি। তবে রাজ্যের পট পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা অস্বীকার করেন না কেউই। দল তাকে ব্রাত্য করে রাখলেও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ইস্যুতে সরব হয়েছেন কবীর সুমন। মাওবাদী নেতা কিষেণজীর মৃত্যুর পর গান বেঁধেছেন তাকে নিয়ে। ছত্রধরের মুক্তির দাবিতে সোচ্চারে গান গেয়েছেন তিনি। এই নিয়ে বারবার বিতর্কের মুখে পড়তে হলেও পিছু হঠেননি বিদ্রোহী সাংসদ। ফের সরব। ব্রিগেড থেকে ভাঙড়। কবীরের সমালোচন থেকে বাদ যায়িনি কিছুই। ২৪ ঘন্টাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাত্কারে আরও বেশ কিছু ইস্যুতে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তিনি। যা অতীতে কখনও করেননি। তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে আলোড়ন গোটা রাজনৈতিক মহলে। দল থেকে এবার বহিষ্কার করা হবে তাঁকে? আর যদি বহিষ্কার করা না হয় তাহলে কী তৃণমূল নেতৃত্ব মেনে নিচ্ছেন তাঁর এই বক্তব্য? কী করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? শাস্তি নাকি উপেক্ষা? রাজনৈতিক মহলের এখন সেটাই জল্পনা।
তৃণমূল সাংসদ কবীর সুমনের জবানবন্দি দেখতে ক্লিক করুন এখানে
সিঙ্গুরের পাশাপাশি নন্দীগ্রাম আন্দোলনের জেরেও রাজ্যে তৃণমূলের পালে হাওয়া লাগে৷ রাজনৈতিক জমি খুঁজে পায় তারা৷ তৃণমূলের দাবি, তাদের আন্দোলনের ধাক্কায়ই সিপিএম মুছে গিয়েছে। কিন্তু কবীর সুমনের দাবি, শুধু তৃণমূল নয়, ওখানে মাওবাদীরাও ছিল৷ তাছাড়া আরও বেশ কয়েকটি নকশাল গোষ্ঠীর নাম উল্লেখ করে তারাও নন্দীগ্রাম আন্দোলনে ছিল বলে তিনি দাবি করেছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাওবাদী নেতা কিষেণজির মৃত্যুকে তাঁর সরকারের জঙ্গলমহলে শান্তি ফেরানোর প্রক্রিয়ায় বড় সাফল্য বলে দাবি করার পর সিপিএমের অনেকে তৃণমূলের উদ্দেশে কটাক্ষ করে বলতে শুরু করেন, কাজের বেলা কাজি, কাজ ফুরোলে কিষেণজি! এই পরিস্থিতিতে কবীর সুমনের উপলব্ধি ফের তৃণমূলকে অস্বস্তি ফেলল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷
-
Latest News Video : ব্রাত্য নন্দীগ্রাম নিয়ে সিনেমাও
৩ নভেম্বর, ২০১২রাজরোষের শিকার এক চলচ্চিত্র। শুধু তাই নয় যে চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে নন্দীগ্রামের চোখের জলকে ঘিরে। আমার নন্দীগ্রাম - YouTube
১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১২ - PurohitRamanuj আপলোড করেছেনকথা ও সুর - অসীম গিরি। শিল্পী - অসীম গিরি। সঙ্গীত আয়োজনে - কজমিক হারমনি। সার্বিক তত্ত্বাবধানে - সুমন চট্টোপাধ্যায়।তোমার নাম আমার নাম নন্দীগ্রাম - YouTube
১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১২ - PurohitRamanuj আপলোড করেছেনকথা ও সুর - মমতা বন্দোপাধ্যায়। শিল্পী - অসীম গিরি। সঙ্গীত আয়োজনে - কজমিক হারমনি। সার্বিক তত্ত্বাবধানে - সুমন চট্টোপাধ্যায়।- নন্দীগ্রাম »-এর জন্য আরো ভিডিও
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী)
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী) | |
---|---|
নেতা | মুপ্পালা লক্ষ্মণ রাও ওরফে "গণপতি" |
সংস্থাপিত | ২১ সেপ্টেম্বর, ২০০৪ |
মতাদর্শ | কমিউনিজ়্ম, Anti-Revisionist মার্ক্সবাদ-লেনিনবাদ, মাওবাদ |
ওয়েবসাইট | |
পিপল্স্ মার্চ |
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী) হল ভারতের একটি নিষিদ্ধ মাওবাদী রাজনৈতিক সংগঠন। ২০০৪ খ্রিস্টাব্দের ২১ সেপ্টেম্বর ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী) জনযুদ্ধ এবং ভারতের মাওবাদী কমিউনিস্ট সেন্টার মিলিত হয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী)। একই বছর ১৪ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক ভাবে এই সংগঠনটির প্রতিষ্ঠা ঘোষিত হয়।
[সম্পাদনা]মতাদর্শ
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী) চিনা কমিউনিস্ট নেতা মাও সে তুং কর্তৃক প্রবর্তিত পন্থানুসারে জনযুদ্ধ সংঘটিত করে থাকে।
|
মাওবাদী দমনে নামানো হচ্ছে সিআইএসএফ - EI-Samay
2 দিন আগে – মাওবাদী দমনে জোরদার পদক্ষেপ করছে কেন্দ্র৷ বিশেষ প্রশিক্ষিত পুলিশ, বিএসএফ এবং সিআরপিএফ-এর পাশাপাশি মাওবাদী দমনে নামানো হবে কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনী, সিআরপিএফ-ও৷.
BBC Bangla - খবর - শীর্ষ মাওবাদী নেতা নিহত বলে ধারণা
24 নভ 2011 – ভারতের পুলিশ বলছে অন্যতম মাওবাদী শীর্ষ নেতা কোটেশ্বর রাও ওরফে কিষেণজী তাদের সাথে বন্দুক লড়াইতে মারা গেছেন বলে তাদের ধারণা.
মাওবাদী - Star Ananda
কলকাতা: পুনর্বাসন প্যাকেজ না পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিযোগ জানাতে এসে ধরা পড়লেন আত্মসমর্পণকারী দুই মাওবাদী৷ শনিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রীর কালিঘাটের বাড়ির সামনে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় তাঁদের৷ শালবনির বেলাসোলের বাসিন্দা চিরঞ্জিত্ মাহাতো ও সন্ধ্যাখালির বাসিন্দা শুকদেব মাহাতোকে আটক ...
বাবার মুখাগ্নি করতে বাড়ি ফিরলেন মাওবাদী - Bengali News - Yahoo!
6 দিন আগে – Anandabazar Bengali News তে 'বাবার মুখাগ্নি করতে বাড়ি ফিরলেনমাওবাদী'পড়ুন৷ শনিবার বাবার মুখাগ্নি করতে বাড়ি ফিরলেন মাওবাদী সদস্য রাজীব কিস্কু। এদিন সকালে নিরাপত্তার ঘেরাটোপের মধ্যে তাঁকে নিয়ে আসা হয় সারেঙ্গা থানার খয়েরপাহাড়ির বাড়িতে। রাজীব কিস্কু ২০০৯ সালে রায়পুর নাশকতার সঙ্গে জড়িত ...
মাওবাদী রাজনীতির সুলুক সন্ধান - Yahoo! Anandabazar Bengali News
8 ডিস 2012 – Yahoo! Anandabazar Bengali News তে 'মাওবাদী রাজনীতির সুলুক সন্ধান'পড়ুন৷ হাতে আসা দু'টি গ্রন্থেরই বিষয়বস্তু এক মাওবাদ। নির্দিষ্ট করে বললে, এ দেশে মাওবাদ তথা মাওবাদী রাজনীতির সুলুক সন্ধানে পরিক্রমা। একটি গ্রন্থ ইংরেজিতে, আর একটি বাংলায়। এই দুই গ্রন্থেরই পরিক্রমার ক্ষেত্র এক, বস্তার। ছত্তীসগঢ়ের বস্তারের ...
গ্রেফতার ছয় মাওবাদী, উদ্ধার অস্ত্র | Anandabazar
my.anandabazar.com/.../গ্রেফতার-ছয়-মাওবাদী- দ্ধার-অ...রাজ্য পুলিশ ও পিসিআরপিএফের যৌথ অভিযানে বিহারের জামুই জেলা থেকে গ্রেফতার হল ছয়মাওবাদী। সঙ্গে উদ্ধার হল প্রচুর অস্ত্র, ডিটোনেটার ও বিস্ফোরক। ভিডিও: এ এন আই , কলকাতা, ২৩ এপ্রিল, ২০১২. দেখেছেন: ১,৪৭৪ জন. ভোট: 0. গুণমান: URL: Embed: Tags: video, latest video, bengali video online, bengali video, latest bengali video, latest bangla ...
Latest News Video : ঝাড়গ্রামে মাওবাদী বন্ধ
২২ অক্টোবর, ২০১১ঝাড়গ্রামে মাওবাদী বন্ধ. ... মারধর করে'; 'মুখে অ্যাসিড ঢেলে দেওয়া হয়'; অভিযোগ মৃতার ছেলের; দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছল তরুনীর দেহ; বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীর শোকবার্তা; যন্তর-মন্তরে রাতভর বিক্ষোভ; পৌঁছনোর কয়েক ঘণ্টার ...- মাওবাদী »-এর জন্য আরো ভিডিও
মাওবাদী-এর চিত্র
- চিত্রগুলি রিপোর্ট করুনজঙ্গলমহলে গ্রেফতার মাওবাদী নেতা
6 অক্টো 2012 – পশ্চিম মেদিনীপুরের কাঁদনাশোলের জঙ্গল থেকে এসটিএফ-এর হাতে গ্রেফতার হলমাওবাদী নেতা মানসিং মুর্মু। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আজ সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ গ্রেফতার করা হয় তাকে। পুলিশ সূত্রে খবর, মানসিং মুর্মু মাওবাদী নেতা রঞ্জন মুণ্ডা স্কোয়াডের অন্যতম সদস্য।
অনুসন্ধানের ফলাফল
-
পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী আন্দোলনের নেতা ছত্রধর মাহাতো গ্রেপ্তার ...
লালগড় আন্দোলনের জননেতা ছত্রধর মাহাতো গ্রেপ্তার। রাজ্য পুলিশ তথা সিআইডি সাংবাদিক ছদ্মবেশে লালগড় থানার বীরকাড় গ্রাম থেকে গত ২৬ তারিখ অষ্টমীর দিন শনিবার তাঁকে গ্রেপ্তার করে। অন্যদিকে জনসাধারণের কমিটির দুই শীর্ষ নেতাকে পুলিশ ও যৌথবাহিনী গ্রেপ্তার করায় সমস্ত জঙ্গলখণ্ডে তীব্র প্রতিবাদ এবং উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন ছত্রধর মাহাতো - প্রথম আলো
8 এপ্রিল 2011 – ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গল মহলের মাওবাদী-সমর্থিত পুলিশি সন্ত্রাসবিরোধী জনগণের কমিটির নেতা ছত্রধর মাহাতো (৪৫) আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঝাড়গ্রাম আসনে প্রার্থী হচ্ছেন। খুন, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, বিস্ফোরণ ঘটানো, সড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন অভিযোগে করা মামলার আাাসামি তিনি। বর্তমানে তিনি ...
বিধানসভা নির্বাচনে জেল থেকে ভোটে লড়বেন জঙ্গলমহলের ছত্রধর মাহাতো
7 এপ্রিল 2011 – জঙ্গলমহলে জনসাধারণের কমিটির সাবেক সম্পাদক জেলবন্দী ছত্রধর মাহাতোবিধানসভা নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে লড়বেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
ছত্রধর মাহাতো মাওবাদী জানতাম না:মহেশ্বতা দেবী - Worldnews.com
6 অক্টো 2009 – পুলিশের হাতে আটক মাওবাদী নেতা ছত্রধর মাহাতোকে নিয়ে নিজের আগের বলা বক্তব্য থেকে সরে আসলেন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার প্রাপ্ত বিখ্যাত লেখিকা মহেশ্বতা দেবী৷ পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে আটক ছত্রধর মাহাতো যে মাওবাদীর সঙ্গে জড়িত তা জানতেন না বলে দাবি করেন মহেশ্বতা দেবী৷ মঙ্গলবার.
Chhatradhar Mahato - Wikipedia, the free encyclopedia
Chhatradhar Mahato (Bengali: ছত্রধর মাহাতো) (born 1964) is an Indian political activist from Lalgarh, West Bengal. He is the convener of the Maoist-backed Police Santrash Birodhi Janasadharaner Committee ( People's Committee Against Police Atrocities (PCAPA)), and a prominent tribal leader, though he himself is not an ...
আন্তর্জাতিক - Ganashakti
নিজস্ব সংবাদদাতা. মেদিনীপুর, ১৩ই মার্চ— মাওবাদী-তৃণমূল বাহিনীর একাংশের সুরেই শশধর মাহাতোর মৃতদেহ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিল তারই ছোট ভাই অনিল মাহাতো। কিন্তু রবিবার ঝাড়গ্রাম হাসপাতালের মর্গে এসেই মাওবাদী স্কোয়াড সদস্য শশধর মাহাতোর মৃতদেহ শনাক্ত করলো জেলবন্দী ছত্রধর মাহাতো। তৃণমূল কর্মী ছত্রধর মাহাতোর ভাই শশধর মাহাতো গত ...
আন্তর্জাতিক - Ganashakti
ঝাড়গ্রাম, ৬ই এপ্রিল— ঝাড়গ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে প্রার্থী হতে চান লালগড়ের তৃণমূল কর্মী, মাওবাদীদের সঙ্গী ছত্রধর মাহাতো। একাধিক নাশকতা, খুন, হামলা, ... বুধবার ঝাড়গ্রাম আদালতে ছত্রধর মাহাতো বিচারপতি শেখ মহম্মদ রেজ্জার এজলাসে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আবেদন জানিয়েছে। এই বিষয়ে কলকাতায় ...
পাকা পথেই এগোচ্ছে পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়ন - Ganashakti
ছত্রধর মাহাতো এখন জেলবন্দী। জঙ্গলমহলের মানুষের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থায় ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। গণপ্রতিরোধে কোণঠাসা হয়েছে মাওবাদী-তৃণমূলী সশস্ত্র জল্লাদবাহিনী। দু'বছরের অন্ধকার দিন কাটিয়ে ক্রমেই আলোয় ফিরছে পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহল। জনজীবনও স্বাভাবিক হচ্ছে। সশস্ত্র হানাদারদের ভয়ে আর সিঁটিয়ে থাকছেন না লালগড়, ...
বামফ্রন্ট সরকারের সাফল্যের মুখ খোদ ছত্রধরের ছেলেই | Amarblog.com ...
11 মে 2010 – ধৃতিপ্রসাদ মাহাতো—তাঁর পুরো নাম। লালগড় রামকৃষ্ণ বিদ্যালয় ( উচ্চমাধ্যমিক)-র দশম শ্রেণীর ছাত্র সে। আমলিয়া গ্রামে তার বাস। ঐ গ্রামেই ছত্রধর মাহাতোর বাড়ি। আরো নির্দিষ্ট তথ্য হলো—কিশোর ধৃতিপ্রসাদ ছত্রধর মাহাতোর বাড়িরই বাসিন্দা। ছত্রধর মাহাতো হলেন ধৃতিপ্রসাদের বাবা। ছত্রধর একদিকে তৃণমূলের নেতা।
জঙ্গলমহলে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস নিয়ে অনামিকার সাহসী তথ্যচিত্র - - The ...
www.thesundayindian.com/bn/story/জঙ্গলমহলে.../20/232/... রেখে তৈরি হয় পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণের কমিটি৷ ছত্রধর মাহাতো, লালমোহন টুডু, সিধু সোরেনদের নেতৃত্বে জনজাতিদের এই আন্দোলনকে সরকার মাওবাদী আখ্যা দিয়ে নামিয়ে আনল লাগামহীন সন্ত্রাস৷ লালমোহন টুডু, সিধু সোরেনদের মতো অনেকেই খুন হয়েছেন৷ জেলবন্দী ছত্রধর মাহাতো সহ তিন শতাধিক কমিটির সদস্য৷ রাস্তা কেটে, কালভার্ট ভেঙে, ...
ভারতে মাওবাদী বিদ্রোহ নিয়ে অরূন্ধতী রায়: অরণ্যে, কমরেডদের সঙ্গে
২২ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১২:৩৫ |
দরজার নিচ দিয়ে আসা খামে মোড়া টাইপ করা ছোট্ট চিঠিটি ভারতের গুরুতর নিরাপত্তা হুমকির সঙ্গে আমার মোলাকাত নিশ্চিত করেছে। মাসের পর মাস আমি তাদের জবাবের জন্য প্রতীক্ষা করছিলাম। আমাকে ছত্তিশগড়ের দান্তেওয়াদার মা দান্তেশ্বরী মন্দিরে তাদের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
দান্তেওয়াদা এক অদ্ভুত শহর। যেন কোনো সীমান্ত শহরকে ভারতের একদম মধ্যস্থলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটিই হলো একটি যুদ্ধের উৎপত্তিস্থল, যেখানে সবকিছু উল্টে গেছে। এখানে পুলিশ সাদা পোশাক পড়ে আর বিদ্রোহীরা পরে ইউনিফর্ম। বন্দীরা এখানে মুক্ত আর জেল সুপার জেলবন্দী। ধর্ষিতারা এখানে পুলিশ হেফাজতে আর সরকারি মদদের খুনে বাহিনী সালভা জুদামের ধর্ষকরা বক্তৃতা দেয় বাজারে।
ইন্দ্রাবতী নদী পেরুলেই মাওবাদী নিয়ন্ত্রিত এলাকা। পুলিশ একে বলে 'পাকিস্তান'। সেখানে গ্রামগুলি বিরান কিন্তু জঙ্গলে গিজগিজ করছে মানুষ। এই অরণ্যের জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ভয়াবহ এক যুদ্ধ ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। প্রকাশ্যে তারা এর অস্তিত্ব স্বীকার না করলেও এই যুদ্ধ নিয়ে সরকার গর্বিত। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (এই যুদ্ধের সিইও) পি চিদাম্বরম বলেছেন 'অপরাশেন গ্রিন হান্ট' বলে কিছু নেই, এসব মিডিয়ার সৃষ্টি। অথচ বিরাট অঙ্কের টাকা ঢালা হচ্ছে এর পেছনে, জমায়েত করা হচ্ছে লাখ লাখ সেনা। এই যুদ্ধের রণাঙ্গন মধ্যভারতের অরণ্য হলেও, আমাদের সকলের জন্য এর পরিণতি গুরুতর।
বনের মধ্যে মুখোমুখি হওয়া দুই পক্ষের সামর্থ্য অতুলনীয়। একদিকে বিপুল আধাসামরিক বাহিনী, যাদের রয়েছে অর্থ, অস্ত্রক্ষমতা, মিডিয়া ও এক উদীয়মান পরাশক্তির দম্ভ। অন্যদিকে রয়েছে মামুলি অস্ত্রে সজ্জিত সাধারণ গ্রামবাসী, যাদের পেছনে রয়েছে দারুণ সংগঠিত, প্রচণ্ডভাবে উদ্দীপ্ত মাওবাদী গেরিলাদের লড়াকু শক্তি। রাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের লড়াইয়ের ইতিহাস অনেক পুরনো: পঞ্চাশের দশকের তেলেঙ্গানা বিদ্রোহ, ষাট দশকের শেষ থেকে সত্তর দশক অবধি পশ্চিম বঙ্গ, বিহার, অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীকাকুলাম এবং আবার আশির দশক থেকে অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার ও মহারাষ্ট্রে তারা লড়েছে। এখন পর্যন্ত এই লড়াই চলছে। পরস্পরের কৌশল ও যুদ্ধপ্রণালী দুই পক্ষের কাছেই অনেক পরিচিত। প্রতিবারই মনে হয়েছে, মাওবাদীরা কেবল পরাজিতই নয় একেবারে নির্মূল হয়ে গেছে। কিন্তু প্রতিবারই আগের থেকে সংগঠিত, সঙ্কল্পবদ্ধ এবং প্রভাবশালী অবস্থায় আবার তাদের আবির্ভাব ঘটেছে। আজ আবার তাদের অভুত্থান ছড়িয়ে পড়ছে ভারতের খনিজ সমৃদ্ধ ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড, উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গের বনাঞ্চলে। ভারতের লাখ লাখ আদিবাসীর এই মাতৃভূমি আজ কর্পোরেট জগতের স্বপ্নভূমিও বটে।
শহুরে সুবোধ ভদ্রলোকদের পক্ষে বিশ্বাস করা সহজ যে যারা নির্বাচনকে ভাওতাবাজি মনে করে, সংসদকে বলে শুওয়ের খোয়াড় এবং যারা খোলাখুলি ভারতীয় রাষ্ট্রকে উচ্ছেদ করতে চায়; সরকারের সঙ্গে লড়াই চলছে সেই মাওবাদীদের। তারা সহজেই ভুলে যায়, মাও-য়ের জšে§রও শত বছর আগে থেকেই মধ্যভারতের উপজাতীয় জনগণ প্রতিরোধ চালিয়ে আসছে। না লড়লে তারা মুছে যেত। হো, ওরাঁও, কোল, সাঁওতাল, মুন্ডা ও গন্ডরা বারেবারে ব্রিটিশ সরকার, জমিদার ও সুদখোর মহাজনদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে। প্রতিবারই নৃশংসভাবে তাদের দমন করা হয়েছে, খুন হয়েছে হাজারে হাজারে, কিন্তু তারা বশ মানেনি। এমনকি স্বাধীনতার পরের প্রথম অভ্যুত্থানগুলোও ঘটিয়েছে তারাই। নকশালবাড়ী আন্দোলনকে ভারতের প্রথম মাওবাদী আন্দোলন বলা হয়। তখন থেকেই নকশালী রাজনীতি ও আদিবাসীদের প্রতিরোধ একাকার।
ভারতের সরকারগুলো সবসময় তাদের প্রান্তিক করে রেখেছে। ১৯৫০ সালে গৃহীত ভারতের নতুন সংবিধানে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক বিধিগুলো বহাল রাখা হলে আদিবাসীদের জš§ভূমিগুলো রাষ্ট্রের হাতে চলে যায়। রাতারাতি রাষ্ট্র তাদের খেদিয়ে অল্প কিছু জায়গার মধ্যে জড়ো করে। তারা বঞ্চিত হয় বনের ফলফলাদি থেকে, তাদের জীবনযাত্রাকে বেআইনী করে দেওয়া হয়। তারা ভোটাধিকার পায়, কিন্তু হারায় তাদের জীবনধারণের উপায় আর সম্মান।
প্রতিবারই যখন বড় বাঁধ, সেচপ্রকল্প কিংবা খনি করার প্রয়োজনে বিপুলসংখ্যক মানুষকে সরাতে হয়েছে প্রতিবারই তখন 'উপজাতীয়দের মূল ধারায় সামিল' করা অথবা তাদের 'উন্নয়নের সুফল' দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কেবল বাঁধ বানাতেই ভারতে তিন কোটি মানুষকে উচ্ছেদ হয়ে যেতে হয়েছে। তারা হলো ভারতের প্রগতির বাস্তুহারা, আর তাদের বড় অংশই হলো উপজাতীয়। তাই যখনই সরকার আদিবাসীদের কল্যাণের কথা বলে, তখনই তারা দুশ্চিন্তায় পড়ে।
অতিসম্প্রতি ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম জানিয়েছেন, তিনি চান না উপজাতীয় সংস্কৃতি 'জাদুঘরে থাকুক'। কিন্তু পেশাগত জীবনে কর্পোরেট আইনজীবী হিসেবে বেশ ক'টি খনি কোম্পানির হয়ে কাজ করার সময় আদিবাসীদের কল্যাণে তাঁর আগ্রহ ছিল বলে জানা জায় না। গত পাঁচ বছরে ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড, উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গের সরকার খনি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে শত শত বিলিয়ন ডলারের শত শত সমঝোতাপত্র সই করেছে। ইস্পাত ও লৌহ কারখানা, বিদ্যুৎকেন্দ্র, অ্যালুমিনিয়াম পরিশোধনাগার, বাঁধ ও খনির জন্য করা এসব চুক্তির সবই হয়েছে গোপনে। এসবের মাধ্যমে টাকা বানাবার স্বার্থে আদিবাসীদের বসতি ছাড়তেই হবে।
অতএব, এই যুদ্ধ।
একটি দেশ যা নিজেকে বলে গণতান্ত্রিক, তা যখন নিজ সীমান্তের ভেতরেই যুদ্ধ ঘোষণা করে, তখন কেমন হয় সেই যুদ্ধ? প্রতিরোধের কোনো সুযোগ তখন থাকে কি? মাওবাদী কারা? তারা কি কেবলই কোনো অচল মতবাদ কায়েম করতে চাওয়া নৈরাজ্যবাদী? সশস্ত্র সংগ্রাম কি সর্বদাই অগণতান্ত্রিক?
রওনা হওয়ার আগের দিন ঘুমঘোর স্বরে মা বললেন, 'আমার কেবল মনে হচ্ছে, ভারতের এখন একটা বিপ্লব প্রয়োজন।'
ইন্টারনেটের একটি লেখা বলছে, মাওবাদী সংগঠনগুলোকে 'নেতৃত্বহীন' করার জন্য ইসরায়েলের মোসাদ ভারতের ৩০ জন উচ্চপদস্থ পুলিশ অফিসারকে টার্গেট করে গুপ্তহত্যার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। (বাংলাদেশেও জরুরি অবস্থার সময়ে গঠিত সোয়াত (ঝডঅঞ) বাহিনীর একদল উচ্চপদস্থ অফিসারকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ব্ল্যাকওয়াটার। ইরাক ও পাকিস্তানে সিআইএ-র ভাড়াটে হিসেবে গণহত্যা চালাবার পর এরা নামপরিবর্তন করে রাখে ঢবথঅনুবাদক) সংবাদ মাধ্যমে খবর আসছে, ইসরায়েল থেকে অনেকগুলি যন্ত্র কেনা হয়েছে: লেজার রেঞ্জ-ফাইন্ডার, থার্মাল ইমেজিং ইক্যুইপমেন্ট এবং চালকবিহীন বিমান। মার্কিন সেনাবাহিনীতে এগুলো খুবই জনপ্রিয়। গরিবদের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য মোক্ষম সব অস্ত্র।
রায়পুর থেকে দান্তেওয়াদা যাওয়ার ১০ ঘন্টা পথের অঞ্চলটিকে বলা হয় 'মাওবাদী উপদ্রুত' এলাকা। উপদ্রব ও সংক্রমণ নির্মুল করাই নিয়ম। এভাবে গণহত্যার শব্দ আমাদের ভাষায় ঢুকে পড়েছে। রায়পুরের ঠিক বাইরেই বিরাট এক বিলবোর্ডে বেদান্ত ক্যান্সার হাসপাতালের বিজ্ঞাপন। এই কোম্পানি (এখানেই একসময় চাকরি করতেন আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) উড়িষ্যার যেখানেই বক্সাইটের খনি বানায় সেখানেই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থায়ন করে। এভাবেই খনি কোম্পানিগুলো আমাদের মনে জায়গা করে নেয়। তাদের এই কৌশলের নাম কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি (সিএসআর)_ সামাজিক ভাবে দায়বদ্ধ কর্পোরেট। এই সিএসআর-এর মাধ্যমেই তারা তাদের অর্থনৈতিক কায়কারবার ঢেকে রাখে। কর্ণাটক রাজ্যের সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদন বলছে, প্রতি টন লোহার জন্য খনি কোম্পানি সরকারকে দেয় ২৭ রুপি আর তাদের লাভ হয় ৫০০০ টাকা। বক্সাইট কিংবা অ্যালুমিনিয়াম খনিতে লাভের হার আরো আরো বেশি। এভাবেই প্রকাশ্য দিবালোক বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার লুট হয়ে যাচ্ছে। এই টাকা দিয়েই তারা নির্বাচন, বিচারক, সংবাদপত্র, টিভি চ্যানেল, এনজিও ও সাহায্য সংস্থাগুলোকে কিনে রাখতে পারে। তাই কোথাও ক্যান্সার হাসপাতাল দেখলেই আমার সন্দেহ হয়, আসেপাশে কোথাও খনি রয়েছে।
পথে পড়লো ব্রিগেডিয়ার বি. কে. পনওয়ারের বিখ্যাত সন্ত্রাসবিরোধী ও জঙ্গলযুদ্ধ প্রশিক্ষণ কলেজ। তাঁর কাজ হলো দুর্নীতিবাজ ও বখাটে পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিয়ে জঙ্গল-কমান্ডো বানানো। প্রতি ছয় সপ্তাহে এখান থেকে আটশ পুলিশ সদস্য যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিয়ে বেরয়। ভারত জুড়ে এরকম আরো বিশটি কলেজ হচ্ছে। এভাবে পুলিশদের সেনা বানানো হচ্ছে (কাশ্মীরে হচ্ছে উল্টোটা। সেখানে সেনাবাহিনীই পুলিশের কাজ করছে)। যা-ই করা হোক, জনগণ তাদের শত্র"।
দান্তেশ্বরী মন্দিরে আমি সময়মতোই পৌঁছলাম। কথামতো আমার হাতে ক্যামেরা ও নারকেল, কপালে টিপ। কিন্তু ক্যাপ পরা কাউকে দেখা গেল না। কয়েক মিনিটের মধ্যে একটি কিশোর আমার সামনে এল। কিন্তু সঙ্কেতবাক্য বললো না। সঙ্গে একটি আউটলুক পত্রিকা ও কলা আনবার কথা তার, সেগুলোও দেখা গেল না। একটি চিরকুট দিল সে, তাতে লেখা: 'আউটলুট পত্রিকা পাওয়া গেল না'। আর কলা?
'খেয়ে ফেলেছি', কিশোরটি বললো, 'ক্ষুধা লেগেছিল'।
তার কাঁধে একটি ঝোলা। তার নাম মাংটু। এই নাকি ভারতের বৃহত্তম নিরাপত্তা হুমকি?
মন্দির থেকে হেটে কিছুটা এগলেই সব কিছু দ্রুত ঘটতে লাগলো। মটরবাইকে করে দুটো লোক এল। তাদের পেছনে চড়ে বসলাম। জানি না কোথায় যাচ্ছি। স্থানীয় পুলিশ সুপারের বাড়ি পার হলাম। গতবার এখানে এসে তার সঙ্গে কথা হয়। সেই এসপি অকপটে বলেছিলেন, 'দেখুন ম্যাম, খোলাখুলি বলছি, এই সমস্যার সমাধান পুলিশ বা সেনাবাহিনী দিয়ে হবে না। এইসব উপজাতীয়দের সমস্যা হলো তারা লোভ বোঝে না। তাদের লোভী করে তুলতে না পারলে আমাদের কোনো আশা নেই। আমি আমার বসকে বলেছি, বাহিনীগুলো সরিয়ে নিন আর প্রত্যেক আদিবাসীদের বাড়িতে একটি করে টেলিভিশন দিয়ে দিন। দেখবেন, সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।'
আমরা শহর পেরিয়ে এলাম। তিন ঘন্টা চলার পর হঠাৎ একজায়গায় তারা থামলো। আমি আর মাংটু নেমে পড়লাম। ঝোলা কাঁধে নিয়ে আমি এই পুচকে অভ্যন্তরীণ হুমকির পিছু পিছু রাস্তা ছেড়ে বনের ভেতর গিয়ে ঢুকলাম। দিনটা দারুণ সুন্দর। বনের মেঝে ঝরাপাতায় সোনায় মোড়া। কিছুটা যাওয়ার পর একটা নদী পড়লো। 'ওই পারে' সেই এসপি বলেছিলেন, কাউকে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেওয়া আছে'। নদীটা পার হতে হতে আমার সেই কথা মনে পড়লো। কিন্তু মাংটুকে মনে হলো নিশ্চিন্ত। ওর পিছু পিছু আমিও ঢুকে পড়লাম মাওবাদী অধ্যুষিত দণ্ডকারণ্যের অরণ্যের আরো গভীরে। ...
অরণ্যে থাকার শেষ রাতে একটি পাহাড়ের ঢালে আমরা ক্যাম্প করলাম। এটা পেরুলেই সেই রাস্তা, যেখানে আমাকে মটরবাইক থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এ ক'দিনে বনটাও যেন বদলে গেছে। চিরাউঞ্জি, তুলা আর আমগাছগুলোয় ফুল আর মুকুল ফোটা শুরু করেছে।
কুদুর গ্রামবাসীরা থেকে আমার জন্য সদ্য ধরা মাছ পাঠিয়েছে। আর পাঠিয়েছে বন থেকে পাওয়া অথবা তাদের ফলানো একাত্তর পদের ফল, সবজি, কালাই ডাল, পতঙ্গের একটি তালিকা। সামান্য একটি তালিকা অথচ এটাই যেন তাদের দুনিয়ার মানচিত্র।
বনে খবর আসে ছোটো ছোটো চিরকুটে করে। ওরা বলে বিস্কুট। আমার জন্য এরকম দুটি বিস্কুট এসেছে। কমরেড নর্মদা পাঠিয়েছে একটি কবিতা আর কমরেড মাসে পাঠিয়েছে সুন্দর এক চিঠি (অথচ কখনো কি জানবো কে এই নারী?)।
কমরেড সুখদেবের কম্পিউটারে আমি ইকবাল বানোর গাওয়া ফায়েজ আহমদ ফায়েজের লেখা হাম দেখেঙ্গে গানটি তুলে দিলাম। গানটি তিনি গেয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়া-উল হকের দুঃশাসনের সময় লাহোরের একটি বিখ্যাত কনসার্টে।
যখন বাতিল আর অভিশপ্তরা বসবে উঁচুতে
সব মুকুট আর সিংহাসন ধূলায় লুটাবে,
হাম দেখেঙ্গে
গানের জবাবে লাহোরের পঞ্চাশ হাজার দর্শক একসঙ্গে আওয়াজ তুলেছিল, ইনকিলাব জিন্দাবাদ, বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক। এত এত বছর পর সেই আওয়াজ আবার এই অরণ্যে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। অদ্ভুত, এই মিল।
'যারা ভুল করে মাওবাদীদের বুদ্ধিবৃত্তিক অথবা বাস্তব সাহায্য করবে' স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের হুমকি দিয়েছেন। সঙ্গীত ভাগাভাগি করা কি সেরকম অপরাধের পর্যায়ে পড়ে?
ভোরবেলা আমি বিদায় নিলাম। হাঁটা শুরু করার পর এই প্রথম দেখলাম নীতি আর সুখদেব তাদের একে ৪৭-এর সেফটি ক্যাচ অন করে নিল। 'আমাদের ওপর আক্রমণ শুরু হলে আপনি কী করবেন, জানেন?', বললো সুখদেব।
'হ্যাঁ', বললাম আমি, 'সঙ্গে সঙ্গে আমরণ অনশন ঘোষণা করবো'।
পাথরের ওপর বসে সে হাসতে লাগলো।
এক ঘন্টা ধরে আমরা পাহাড়ে উঠলাম। নীচে সেই রাস্তা, যা দিয়ে অরণ্যে ঢুকেছিলাম। লুকিয়ে থেকে আমরা মটরবাইকের আওয়াজের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। যখন তা আসলো, লাল সালাম বলে বিদায় জানাল ওরা। লাল সালাম কমরেড।
পেছন ফিরে দেখি, তারা সেখানে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। হাত নাড়ছে। ছোটো এক বন্ধন। ওই মানুষেরা স্বপ্ন নিয়ে লড়াই করছে, যখন দুনিয়া বাস করছে দুঃস্বপ্নের মধ্যে। প্রতি রাতে আমার এই সফরের কথা মনে আসে। সেইসব রাতের আকাশ, সেইসব বনের পথ। আমি যেন দেখি, আমার টর্চের আলোয় ক্ষয় হয়ে যাওয়া চপ্পলের ওপর কমরেড কমলার পা হেঁটে চলেছে। জানি, সে এখনো ছুটে বেড়াচ্ছে। ছুটছে, কেবল তার নিজের জন্য নয়, আমাদের সকলের হয়ে আশাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য।
আউটলুক থেকে করা মূল রচনার সংক্ষেপিত অনুবাদ।
http://www.somewhereinblog.net/blog/farukwasifblog/29121098
মূল রচনার লিংক Click This Link
বিষয়বস্তুর স্বত্বাধিকার ও সম্পূর্ণ দায় কেবলমাত্র প্রকাশকারীর...
অ্যালবাম
- ১৯৯২: তোমাকে চাই
- ১৯৯৩: বসে আঁকো .
- ১৯৯৩: ইচ্ছে হলো
- ১৯৯৪: গানওলা
- ১৯৯৫: ঘুমাও বাউণ্ডুলে
- ১৯৯৬: চাইছি তোমার বন্ধুতা
- ১৯৯৭: জাতিস্মর
- ১৯৯৮: নিষিদ্ধ ইস্তেহার
- ১৯৯৯: পাগলা সানাই
- ২০০০: যাবো অচেনায়
- ২০০০: নাগরিক কবিয়াল
- ২০০২: আদাব
- ২০০৩: রিচিং আউট (Reaching Out, ইংরাজী)
- ২০০৫: দেখছি তোকে
- ২০০৬: তেরো - (সাবিনা ইয়াসমিনের সঙ্গে গাওয়া)
- ২০০৭: নন্দীগ্রাম
- ২০০৮: রিজওয়ানুরের ব্রিত্ত
- ২০০৮: প্রতিরোধ
- ২০১০ : সুপ্রভাত বিষণ্ণতা
- ২০১০: ছত্রধরের গান
- ২০১০: লালমোহনের লাশ
- ২০১২ : ৬৩ তে
For Kabir Kala Manch, art is much more than entertainment. It's an anthem to denounce injustice, mobilise the oppressed, prepare them for struggle, create consciousness and ensure change. Kabir Kala Manch is a group of students and professionals. It has been creating awareness about social issues through their Shahiri, protest songs and street plays in Pune.
In May 2011, members of Kabir Kala Manch (KKM), a group of Dalit protest singers and poets from Pune, were accused by the police of being Naxalites. Two KKM members have been in prison for more than a year, while others are hiding, in fear of their safety. There is no evidence mostly it is to do with supposed ties to Anjali Sontakke, the Naxal ideologue arrested by Maharashtra's Anti-Terrorist Squad in April last year
Shri Prithviraj Chavan, Chief Minister Maharashtra
Sushil Kumar Shinde, Union Home Minsiter
Shri R R Patil, Home Minister Maharashtra
----------------
Release KKM members
Dear Sir,
According to official government figures, on an average 2 dalits are killed and 3 raped every day across India. All the more shocking is the fact that even in Maharashtra which gave birth to major social reformists and progressive thinkers like Jotiba Phule and Dr....
নন্দীগ্রাম গণহত্যা
নন্দীগ্রাম গণহত্যা পশ্চিমবঙ্গের নন্দীগ্রামে সংঘটিত একটি গণহত্যামূলক হিংসাত্মক ঘটনা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়াশহরের নিকটস্থ নন্দীগ্রামে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ইন্দোনেশীয় সালেম গোষ্ঠীর জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড বা সেজ) গঠন করার উদ্দেশ্যে ১০,০০০ একর জমি অধিগ্রহণ করতে চাইলে স্থানীয় মানুষেরা প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু করেন। এই আন্দোলন দমনের জন্য সরকার চার হাজারেরও বেশি সশস্ত্র পুলিশের একটি বাহিনী ওই অঞ্চলে প্রেরণ করে। ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় গ্রামবাসীদের সংঘাত বাধলে পুলিশের গুলিতে চোদ্দো জন গ্রামবাসী নিহত হন।
নন্দীগ্রাম পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একটি বর্ধিষ্ণু গ্রাম। একটি বিশেষ সেজ নীতির আওতায় এই অঞ্চলে সরকার ইন্দোনেশিয়ার সালেম গোষ্ঠীকে[১][২][৩] একটি কেমিক্যাল হাব গঠন করতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে এই সেজ বিতর্কের সূত্রপাত হয়। বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা গ্রামের সঙ্গে প্রশাসনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন এবং গ্রামে প্রবেশের সব রাস্তা কেটে দেওয়া হয়। কলকাতার দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকায় এই সংবাদ প্রকাশিত হয় ফলস অ্যালার্ম স্পার্কস ক্ল্যাশ (ভ্রান্ত সতর্কবার্তায় ছড়িয়ে পড়ল বিবাদ) শিরোনামে। ওই সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুসারে, যে গ্রাম পঞ্চায়েত সভায় নন্দীগ্রামের জমি অধিগ্রহণের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল, সেটি আসলে ছিল নন্দীগ্রামকে "পরিচ্ছন্ন গ্রাম" ঘোষণার সভা (যার অর্থ, উক্ত গ্রামের সব বাড়িতে স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার বর্তমান)। প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয় নন্দীগ্রামেভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির (বিইউপিসি) প্রতিরোধ ভেঙে দেওয়ার জন্য। ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ কমপক্ষে তিন হাজার সশস্ত্র পুলিশ অপারেশন চালায় নন্দীগ্রামে। এই অভিযানের খবর কোনোভাবে বিইউপিসির কর্ণগোচর হয় এবং তাঁরা প্রায় ২০০০ গ্রামবাসীকে নিয়ে একটি পাল্টা প্রতিরোধ বাহিনী গড়ে তোলেন। এই বাহিনীর পুরোভাগে ছিলেন মহিলা ও শিশুরা। এই সংঘাতে প্রাণ হারান চোদ্দোজন গ্রামবাসী। নিহতদের একজনের কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি। ধারনা করা হয় সে মাওবাদী দলের নেতা ছিল। তবে ইদানীং সিবিআই তদন্তে সিপিআই(এম) দলের বিরুদ্ধে কোন প্রমান তারা দাখিল করতে পারেনি বলে তৃনমুল দলের পক্ষ থেকে সিবিআই তদন্ত দলের সমালোচনা করা হয়েছে।
পরিচ্ছেদসমূহ[আড়ালে রাখো] |
[সম্পাদনা]পটভূমি
নন্দীগ্রামে প্রস্তাবিত কেমিক্যাল হাব গড়ার বরাত পেয়েছিল সালেম গোষ্ঠী। ইন্দোনেশিয়ার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি সুহার্তোর ঘনিষ্ঠ সুদোনো সালেম ছিলেন এই গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা। প্রস্তাবিত কেমিক্যাল হাবটির জন্য প্রয়োজন ছিল ১৪,০০০ একর বা ৫৭ বর্গকিলোমিটার জমি। মোট ২৯টি মৌজা নিয়ে এই কেমিক্যাল হাব গড়ে ওঠার কথা ছিল। এর মধ্যে ২৭টি মৌজাই ছিল নন্দীগ্রামে।[৪] জেলার ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিআই) সাংসদ প্রবোধ পান্ডা জানিয়েছিলেন, যে জমিটি অধিগৃহীত হতে চলেছে তা বহুফসলি জমি এবং সেই জমি অধিগৃহীত হলে চল্লিশ হাজারেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হবে।[৪]স্বাভাবিক কারণেই তাই জমি ও জীবিকা হারানোর ভয়ে এলাকার কৃষিজীবী দরিদ্র মানুষ অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে একজোট হন।[৫] এই গ্রামবাসীদের মধ্যে কেবলমাত্র বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরাই নয়, বরং শাসক সিপিআই(এম)-এর কর্মী-সমর্থকেরাও ছিলেন। তাঁরা সকলেইভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি (বিইউপিসি) নামক এক নবগঠিত সংগঠনের যৌথ ব্যানারে আন্দোলনে সামিল হন।[৬]
ইতঃপূর্বে বামফ্রন্ট সরকারের অন্যান্য শরিক দলগুলি, এমনকি সিপিআই(এম)-এর ভূমি ও ভূমি সংস্কার মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লাও এই প্রকল্পের সাফল্যের ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন।[৭] কিন্তু রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের সমর্থনে জানান যে নয়টি রাজ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতার পর তাঁরা এই কেমিক্যাল হাব গঠনের সুযোগ পেয়েছেন।[৮] নিকটবর্তী হলদিয়ায় পেট্রোরসায়ন শিল্প ও তৈল সংশোধনাগার থাকার কারণে কাঁচামাল সরবরাহের সুবিধার দিকটি মাথায় রেখেই রাজ্য সরকার নন্দীগ্রামকে কেমিক্যাল হাবের জন্য উপযুক্ত মনে করেছিলেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সিপিআই(এম)-এর দাবি অনুযায়ী, হলদিয়ার পূর্বোক্ত প্রকল্পগুলি এক লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানে সক্ষম হয়েছিল।[৯]
একাধিক উচ্চপর্যায়ের প্রকল্পের জন্য সালিম গোষ্ঠীকে মোট ৩৫,০০০ একর (১৪০ বর্গ কিলোমিটার) জমি দেওয়ার কথা হয়।[১০] পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন নিগমের সঙ্গে ৫০:৫০ শেয়ারে যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ছাড়াও একটি ১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১০০ মিটার প্রশস্ত ইস্টার্ন লিঙ্ক এক্সপ্রেসওয়ে ও হলদিয়া ও নন্দীগ্রামকে সংযোগকারী হলদি নদীর উপর একটি চার লেনের সড়কসেতু নির্মানেরও পরিকল্পনাও গৃহীত হয়। প্রস্তাবিত সেতুটির হলদিয়া ও নন্দীগ্রামে প্রস্তাবিত সেজ-এর মধ্যে সংযোগ রক্ষা করার কথা ছিল।[১১] বারাসাত-রায়চক এক্সপ্রেসওয়ে ও রায়চক-কুকড়াহাটি সেতুর দ্বারা হলদিয়ার সঙ্গে ৩৪ নং জাতীয় সড়ককে যুক্ত করার কথাও ছিল।
তবে সালেম গোষ্ঠীকে এক্সপ্রেসওয়ের বরাত দেওয়ার সিদ্ধান্তটিও ছিল বিতর্কিত।[১২] কারণ, কার্যকারিতা সমীক্ষা[১৩] সহ এই প্রকল্পের প্রাথমিক কাজগুলি করার বরাত এর আগে দেওয়া হয় স্বনামধন্য জাপান ইন্টারন্যাশানাল কর্পোরেশন এজেন্সি (জেআইসিএ)-কে।[১৪] মুখ্যমন্ত্রী সর্বসমক্ষে প্রকল্পটি ঘোষণার আগে পর্যন্ত জেআইসিএ-কে এই ব্যাপারে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রাখা হয়েছিল।[১৫]
হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ ২০০৭ সালের ৩ জানুয়ারি তারিখে জমি অধিগ্রহণের নোটিশ জারি করে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই পর্ষদের চেয়ারম্যান হলদিয়ার স্থানীয় সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ। যদিও পরে মুখ্যমন্ত্রী মৌখিকভাবে[১৬] জানিয়েছিলেন যে তিনি এই নোটিশের ব্যাপারে অবগত ছিলেন না। কিন্তু কোনো পরবর্তী নোটিশ জারি করে উক্ত নোটিশটি খারিজ করা হয়নি। অনেক পরে সিপিআই(এম)-এর ইংরেজি মুখপত্র পিপলস ডেইলি-র ১৮ নভেম্বর, ২০০৭ সংখ্যায় লেখা হয়েছিল যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন কেমিক্যাল হাব নন্দীগ্রামে হবে না ; হবে হুগলির মোহনার কাছে অবস্থিত নয়াচর নামে একটি জনবিরল নদীচরে। যাই হোক, প্রস্তাবিত হাবের জন্য জমি অধিগ্রহণের ইস্যুতে নন্দীগ্রাম অশান্ত হয়ে ওঠে। এদিকে জমি হারানোর ভয়ে গ্রামবাসীরা সন্ত্রস্ত হয়ে আন্দোলনে সামিল হন। রাস্তাঘাট খুঁড়ে, সংযোগকারী তার কেটে ফেলে নন্দীগ্রামকে জমি অধিগ্রহণ সহ সকল প্রকার সরকারি হস্তক্ষেপরহিত এক মুক্তাঞ্চল বলে ঘোষণা করা হয়।[১৭]
[সম্পাদনা]ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি
"ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরক্ষা কমিটি" (বিইউপিসি) নন্দীগ্রামের সেজ-বিরোধী কৃষক আন্দোলনের নেতৃস্থানীয় যৌথ সংগঠন। ২০০৭ সালের ৫ জানুয়ারি এই অঞ্চলের তিনটি সেজ-বিরোধী সংগঠন যৌথভাবে আন্দোলন পরিচালনার লক্ষে একত্রিত হয়ে এই কমিটি গড়ে তোলেন। যে তিনটি সংগঠন নিয়ে বিইউপিসি গঠিত হয়, সেগুলি হল ২০০৬ সালের অগস্ট মাসে এসইউসিআই ও ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত 'কৃষক উচ্ছেদ বিরোধী ও জনস্বার্থ রক্ষা কমিটি', সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত 'কৃষি জমি রক্ষা কমিটি' এবং জামাত-এ-উলেমা-এ-হিন্দ ও পিসিসি, সিপিআই(এমএল) প্রতিষ্ঠিত 'গণ উন্নয়ণ ও জন অধিকার সংগ্রাম সমিতি'।[১৮][১৯] বিইউপিসি-র আহ্বায়ক ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক শিশির অধিকারী[২০] ও যুগ্মসচিব ছিলেন এসইউসিআই নেতা নন্দ পাত্র।[২১]
[সম্পাদনা]২০০৭ সালের ১৪ মার্চের ঘটনা
প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয় নন্দীগ্রামে বিইউপিসি-র প্রতিরোধ গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য। ৩০০০ পুলিশ সমন্বিত এক বিশাল বাহিনীর অভিযান চালানো হয়। সঙ্গে যোগ দেয় পুলিশের ইউনিফর্মে সজ্জিত একদল সশস্ত্র ও প্রশিক্ষিত সিপিআইএম ক্যাডার।[২২] যদিও অভিযানের সংবাদ জানাজানি হওয়ায় বিইউপিসি-ও প্রায় ২০০০ গ্রামবাসীকে একত্রিত করে প্রতিরোধ বাহিনী গড়ে তোলে। যাদের সম্মুখভাগে রাখা হয় মহিলা ও শিশুদের। এই প্রতিরোধ বাহিনীর উপর পুলিশ গুলি চালালে অন্তত পক্ষে চোদ্দো জনের মৃত্যু হয়।[২৩]
এই গণহত্যা সংগঠনের অব্যবহিত পরেই চিকিৎসকদের একটি স্বেচ্ছাসেবী দল নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্যকেন্দ্র, তমলুকের জেলা হাসপাতাল ও পরে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতাল পরিদর্শন করে একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রস্তুত করেন।[২৪]
সিপিআইএম-এর ক্যাডাররা গ্রামে ঢোকার পথে "চেকপোস্ট" বসিয়ে সাংবাদিকদের গতি রুদ্ধ করেন।[২৫] অল্প কয়েকজন সাংবাদিকই মূল ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পেরেছিলেন। একটি নিউজ চ্যানেলের দুই সাংবাদিককে সাময়িকভাবে অপহরণও করা হয়।[২৬]
ঘটনার ভয়াবহতায় সমগ্র রাজ্য স্তম্ভিত হয়ে যায়। তৃণমূল কংগ্রেস পঞ্চাশজন মৃত বলে দাবি করে। বামফ্রন্টের অন্যতম শরিক রেভোলিউশনারি সোশালিস্ট পার্টি সদস্য তথা পুর্তমন্ত্রী ক্ষিতি গোস্বামীও জানান ৫০টি দেহ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে প্রকৃতপক্ষে কত জন মারা গিয়েছেন তা বলা যাচ্ছে না।[২৭] এর প্রতিক্রিয়ায় অঞ্চলের মানুষ সিপিআইএম সমর্থকদের ও তাদের পরিবারবর্গকে এলাকা থেকে বের করে দিয়ে তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিতে থাকে। ১৪ মার্চের সংঘর্ষের এক সপ্তাহ পর দ্য হিন্দু পত্রিকার হিসেব অনুযায়ী দেখা যায় ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ভয়ে প্রায় ৩৫০০ জন আশ্রয় নিয়েছেন শরণার্থী শিবিরে।[২৮]
সিপিআইএম অবশ্য হিংসা ছড়ানোর জন্য জমি অধিগ্রহণ বিরোধী সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটিকেই দায়ী করে। তারা অভিযোগ করে কমিটি শরণার্থী শিবিরে আক্রমণ চালানোয় তিন জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং একটি গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।[২৯]
নন্দীগ্রামে নতুন করে হিংসাত্মক ঘটনার সূত্রপাত হয় ২৯ এপ্রিল। ফলে পশ্চিমবঙ্গ মানবাধিকার কমিশনকে নিয়োগ করা হয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য।[৩০] কলকাতা থেকে বিদ্বজ্জন ও নাট্যব্যক্তিত্বদের একটি প্রতিনিধিদল রাজ্যের নানা জায়গা থেকে সংগৃহীত ত্রাণসামগ্রী নন্দীগ্রামে পৌঁছে দিয়ে ফেরার পথে সিপিআইএম-এর ক্যাডারবাহিনীর দ্বারা আক্রান্ত হয়।[৩১]
নন্দীগ্রামের এই গণহত্যা ভারতের বামপন্থীদের কার্যকলাপ নিয়ে একটি বিরাট বিতর্কের জন্ম দেয়।[৩২] কারণ, যুক্তরাষ্ট্রীয় তদন্ত সংস্থা ঘটনাস্থল থেকে যে বুলেটগুলি উদ্ধার করে, তা পুলিশের ব্যবহার্য বুলেট নয়। এই ধরনের বুলেটের বহুল ব্যবহার দেখা যায় কেবলমাত্র অপরাধ দুনিয়াতেই।[৩৩]
[সম্পাদনা]প্রতিক্রিয়া
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল তথা মহাত্মা গান্ধীর পৌত্র গোপালকৃষ্ণ গান্ধী একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে নন্দীগ্রামে রাজ্য সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেন। তাঁর বক্তব্যকে "স্বতঃপ্রবৃত্ত গ্রাহ্যতা" বা suo moto cognisance ধরে নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (সিবিআই) তদন্তের কাজে নিয়োগ করেন।[৩৪] যদিও পরে সিবিআইকেও ঠিকমতো তদন্ত করতে না পারায় জন্য দোষারোপ করা হয়।[৩৫]
ভূতপূর্ব মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল র্যাম্জি ক্লার্ক নন্দীগ্রামের ঘটনাকে বর্ণনা করেন "বর্বরোচিত ও গ্রহণ অযোগ্য" বলে। তিনি তাঁর বক্তব্যে সিপিআইএম চালিত বামফ্রন্ট সরকারের নীতিকে প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ চালিত মার্কিন প্রশাসনের নীতির সঙ্গে তুলনা করেন।[৩৬][৩৭] তিনি সোশ্যালিস্ট ইউনিটি সেন্টার অফ ইন্ডিয়া (এসইউসিআই) নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এই অঞ্চল ঘুরে দেখেন এবং সকল স্তরের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষদের নন্দীগ্রাম ও অন্যান্য অঞ্চলে প্রসারিত দলীয় সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে আহ্বান করেন।[৩৮]
প্রবীন সিপিআইএম নেতা ও প্রাক্তন বামফ্রন্ট অর্থমন্ত্রী ডক্টর অশোক মিত্র সরকার ও তাঁর দলের সমালোচনা করে বলেন যে নন্দীগ্রামের ঘটনা নিয়ে মুখ বন্ধ রাখলে আমৃত্যু তিনি বিবেকের কাছে অপরাধবোধে বিদ্ধ হবেন। তিনি বলেন, সিপিআইএম নেতৃবৃন্দ লোভে অন্ধ হয়ে গেছেন। আর পার্টিও পরিণত হয়েছে সমাজবিরোধীদের দ্বারা চালিত তোষামোদকারী ও ভাঁড়েদের খোলা মাঠে।[৩৯]
দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকার সম্পাদকীয়তে লেখা হয়, পার্টির গঠনযন্ত্র পরিণত হয়েছে "এমন এক অর্থনৈতিক নীতি কার্যকর করার তরবারিতে যেটি সম্পত্তির অধিকার সংক্রান্ত জটিল সমস্যাগুলির জন্ম দিচ্ছে।" [৪০]
বিশিষ্ট ঔপণ্যাসিক তথা মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বন্ধু সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় রাজ্যে শিল্পায়নের প্রয়োজনীয়তার কথা বললেও এই রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসকে বর্বরোচিত বলে মনে করেন।[৪১] সমাজসেবী মেধা পাটকর ২০০৬ সালের ৭ ডিসেম্বরেই জমি অধিগ্রহণের বিরোধিতা করে নন্দীগ্রাম ঘুরে যান।[৪২] পরে ১৪ মার্চের গণহত্যার পর অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও প্রতিবাদ আন্দোলনে সামিল হন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ম্যাগসেসে ও জ্ঞানপীঠ পুরস্কার জয়ী সাহিত্যিকমহাশ্বেতা দেবী, বুকার পুরস্কার জয়ী সাহিত্যিক অরুন্ধতী রায়, চিত্র-পরিচালক ও অভিনেত্রী অপর্ণা সেন, নাট্যব্যক্তিত্ব শাঁওলী মিত্র ও বিভাস চক্রবর্তী, চিত্রকর শুভাপ্রসন্ন, সংগীতশিল্পী কবীর সুমন প্রমুখ।
এরপরে সিপিআইএম সর্বসমক্ষে ঘোষণা করে, নন্দীগ্রামে অধিবাসীদের সম্মতি ছাড়া জমি অধিগ্রহণ করা হবে না। প্রস্তাবিত সেজটির রূপায়নও এই পুলিশ অভিযানের ফলে স্থগিত করে দেওয়া হয়।[৪৩] যদিও স্থানীয়, জেলা ও রাজ্য প্রশাসন বলতে থাকে যে নন্দীগ্রামেই প্রস্তাবিত প্রকল্পটির কাজ শুরু হবে। পুর্তমন্ত্রী ক্ষিতি গোস্বামীও সিপিআইএম-এর বিরোধিতা করে বলেন, সেই দল নন্দীগ্রামে প্রতিবাদ সত্ত্বেও সেজ স্থাপনের চেষ্টা চালাচ্ছে।[৪৪]
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সরকারের ১৪ মার্চের অভিযানের শেষ পরাজয়টি ঘটে কলকাতা হাইকোর্টে। ২০০৭ সালের ১৬ নভেম্বর বিচারপতি এস এস নিঝ্ঝর ও বিচারপতি পিনাকীচন্দ্র ঘোষের এক যৌথ বেঞ্চ ঘোষণা করেন,
" | ১৪ মার্চ, ২০০৭ তারিখে পুলিশ বিভাগ নন্দীগ্রামে যে গুলিচালনার ঘটনা ঘটিয়েছে, তা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক ও আইনের কোনো ধারা অনুসারে বিধিবদ্ধ নয়।... সার্বভৌম প্রতিবাদের ক্ষেত্রে পুলিশের এই কাজকে ছত্রছায়া দান বা যথাযথ বলে বিবেচনা করা চলে না।... এই কাজ অপরাধী কার্যক্রম বিধির কোনো ধারা বা ১৮৬১ সালের পুলিশ আইন অথবা ১৯৪৩ সালের পুলিশ রেগুলেশন দ্বারা সমর্থিত নয়।... আমরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে এই মর্মে নির্দেশ দিচ্ছি ১৪ মার্চ, ২০০৭ রারিখে পুলিশের গুলিচালনায় মৃতের ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারবর্গকে প্রতিক্ষেত্রে অবিলম্বে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিক।... আমরা রাজ্য সরকারকে এই ঘটনায় ব্যক্তিদেরও অবিলম্বে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছি এবং সেই ক্ষতিপূরণের অর্থমূল্য এক লক্ষ টাকার কম হওয়া উচিত নয়।... এছাড়াও আমরা রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিচ্ছি, যাঁরা এই ঘটনায় ধর্ষিতা হয়েছেন তাঁদের যথাযথভাবে চিহ্নিত করে প্রত্যেককে দুই লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার। | " |
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশানাল এই মর্মে উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সকল রাজ্যবাসীকে জোর করে উৎখাত ও অঞ্চলছাড়া করার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না। যাঁরা হিংসাত্মক ঘটনার প্রেক্ষিতে জমি থেকে উৎখাত হচ্ছেন তাঁরাও জীবনধারণের জন্য ন্যূনতম প্রয়োজনীয় খাদ্য, আশ্রয়, জল ও শৌচালয় পরিষেবা, স্বাস্থ্য পরিষেবা, শিক্ষার সুযোগ এবং তারই সঙ্গে নিঃশর্ত প্রত্যাবর্তন, পুণরায় বসতিস্থাপন ও সমন্বয়ের অধিকার লাভে বঞ্চিত হচ্ছেন।[৪৫]
[সম্পাদনা]স্থান পরিবর্তন
এই রক্তক্ষয়ী হিংসাত্মক ঘটনার পরে জমি অধিগ্রহণ বিতর্ক নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ও সোশ্যালিস্ট ইউনিটি সেন্টার অফ ইন্ডিয়া (এসইউসিআই) প্রভৃতি বিরোধী দল ও আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক প্রভৃতি বাম শরিক দলগুলির ক্রমাগত চাপে মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ৩ সেপ্টেম্বর কেমিক্যাল হাবের স্থান হিসেবে সরকারের নতুন পছন্দের জায়গার কথা ঘোষণা করেন। এই জায়গাটি হলদিয়া থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে নয়াচর নামে একটি জনবিরল দ্বীপে অবস্থিত।[৪৬][৪৭]
[সম্পাদনা]২০০৭ সালের নভেম্বর মাসের হিংসাত্মক ঘটনা
২০০৭ সালের নভেম্বর মাসে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি যাঁদের গ্রাম ছাড়া করেছিল, তাঁরা গ্রামে ফিরতে শুরু করলেই নন্দীগ্রামে নতুন করে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। সেজ প্রকল্প বাতিল হয়ে যাওয়ার পরেও বিইউপিসি নন্দীগ্রামকে কার্যত মুক্তাঞ্চল করেই রেখে দেয়। এই সময় শাসকদলের ক্যাডারদের সঙ্গে বিইউপিসি-র ক্যাডাররা সংঘাতে জড়িয়ে পড়লে আবার হিংসাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এই প্রত্যাবর্তনকে গণমাধ্যম ব্যাখ্যা করেছিল সিপিআইএম-এর নন্দীগ্রাম "পুনর্দখল" হিসেবে।[৪৮] বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ থেকে জানা যায়, রাজ্য প্রশাসনকে সম্পূর্ণ অকার্যকর করে রেখে পার্টির পক্ষ থেকে এই অভিযান চালানো হয়েছিল। পার্টি এই অভিযানের শুধু প্রশংসাই করেনি, পার্টি চেয়ারম্যান একে "নতুন সূর্যোদয়" ও মুখ্যমন্ত্রী এটিকে "ওদের ইঁটের বদলে পাটকেল ছোঁড়া" বলে বর্ণনা করেন।[৪৯] শেষ মন্তব্যটি প্রাথমিকভাবে সম্ভবত মাওবাদীদের উদ্দেশ্য করে করা হয়, যাঁরা, সিপিআইএম-এর দাবি অনুযায়ী, নন্দীগ্রামে সক্রিয় ছিল। কিন্তু সরকার এই দাবি সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন।[৫০] ঘটনাটিকে "লাল সন্ত্রাস"-এর অন্যতম বলে বর্ণনা করা হয়।[৫১] ভারতের মানবাধিকার কমিশনকে লিখিত একটি বার্তায় মেধা পাটকর বলেন, নন্দীগ্রামের এই সংঘর্ষ পরিস্থিতি ওই অঞ্চলে হাজার হাজার সিপিআইএম ক্যাডারদের অবস্থানের কারণেই বজায় আছে। পুলিশ অফিসাররা ওই অঞ্চলে উপস্থিত আছেন বটে, কিন্তু তাঁরাও নন্দীগ্রাম আক্রমণের কর্মসূচিটি সমর্থন করছেন।[৫২]
এই নতুন ঘটনার পর জাতীয় স্তরে প্রতিবাদ শুরু হয়।[৫৩] ১২ নভেম্বর, ২০০৭ তারিখে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে নন্দীগ্রামের পরিস্থিতির উপর একটি তথ্যগত রিপোর্ট পেশ করতে বলে।[৫৪] চিত্রপরিচালক অপর্ণা সেন ও ঋতুপর্ণ ঘোষ প্রতিবাদে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসববয়কট করেন।[৫৫] অপর্ণা সেন বলেন, "নন্দীগ্রাম কসাইখানায় পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন সেখানে রক্তপাত ঘটছে। সিপিএম এখনও সবকিছুর নিয়ন্ত্রক হতে পারে, কিন্তু রাজ্যটা আমাদের।" [৫৫]
ভারতের সংসদ নন্দীগ্রামের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে আলোচনার সিদ্ধান্ত নেয়। সিপিআইএম ও বিরোধীদলের সংসদদের মধ্যে দুই দিন বিবাদ ও অচলাবস্থা চলার পর ২১ নভেম্বর, ২০০৭ তারিখে নিয়মিত প্রশ্নোত্তর পর্বের সময় ছেঁটে এই নিয়ে আলোচনা হয়। ইউপিএ সদস্য সহ সব দল গণহত্যার বিরুদ্ধে সমগ্র জাতির ধিক্কারকে সমর্থন করলে সিপিআইএম একঘরে হয়ে পড়ে।[৫৬]
[সম্পাদনা]২০০৮ সালের হিংসাত্মক ঘটনা
২০০৮ সালের মে মাসে আবার ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি ও সিপিআইএম কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে নতুন করে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। দুই পক্ষ থেকেই অপর পক্ষের দিকে ব্যাপক বোমাবাজি ও গুলি ছোঁড়া হয়।[৫৭]
৫ মে সিপিআইএম-এর মিছিলে যেতে অনিচ্ছুক তিন মহিলার শ্লীলতাহানি ঘটানো হয়।[৫৮][৫৯] এর বিরুদ্ধে ব্যাপক রাজনৈতিক ও নাগরিক বিক্ষোভের মুখে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকার ঘটনার পূর্ণাঙ্গ সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয়।[৬০][৬১] সিপিআইএম নেতৃত্ব অভিযোগ অস্বীকার করে একে অপপ্রচারমূলক প্রচারাভিযান বলে বর্ণনা করে।[৫৯].
কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি এবং অপর্ণা সেন সহ বিদ্বজ্জন সমাজের এক প্রতিনিধি দল দুটি পৃথক প্রেস বক্তব্যে দাবি করেন নন্দীগ্রামে অনুষ্ঠিতব্য পঞ্চায়েত নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হোক। কারণ, এই সন্ত্রাসের পরিমণ্ডলে ভোট হলে তা আদৌ শান্তিপূর্ণ ও অবাধ হবে না।[৬২]
[সম্পাদনা]২০০৮ সালের নির্বাচন
[সম্পাদনা]পঞ্চায়েত নির্বাচন
নন্দীগ্রামের ভোটাররা কৃষিজমি অধিগ্রহণ করে সরকারি শিল্পায়ন নীতি এবং অন্যান্য সন্ত্রাস সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে সমর্থন করলেন না। ১১ মে, ২০০৮ তারিখে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিরোধী দল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের ৫৩টি আসনের মধ্যে ৩৫টি দখল করে নিল। যা বামশাসিত পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে এক অভাবনীয় ঘটনা। এর আগে ২০০৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল ৫১টির মধ্যে মাত্র দুটি আসন জিতেছিল। ভোটের ফল দাঁড়ায়:তৃণমূল কংগ্রেস – ৩৫, এসইউসিআই – ১, সিপিআইএম – ১৪, সিপিআই – ২ ও ডিএসপি – ১। নন্দীগ্রাম ১ ও নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের চারটি কেন্দ্রে কেমিক্যাল হাবের জন্য জমি অধিগ্রহণের কথা ছিল। এই চারটি আসনেই একজন হেভিওয়েট নেতা সহ সব সিপিআইএম প্রার্থীরা তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের হাতে পরাস্ত হন। তৃণমূল সমর্থিত বিইউপিসি নেতা শেখ সুফিয়ান সিপিআইএম প্রার্থী অশোক জানাকে তেরো হাজারেরও বেশি ভোটে হারান। অন্যদিকে অপর তৃণমূল নেতা পীযূষ ভূঁইয়া সিপিআইএম জোনাল কমিটি সেক্রেটারি অশোক বেরাকে একুশ হাজারেরও বেশি ভোটে পরাস্ত করেন।[৬৩]
[সম্পাদনা]বিধানসভা উপনির্বাচন
তৃণমূল কংগ্রেসের ফিরোজা বিবি বিধানসভা উপনির্বাচনে বামফ্রন্ট প্রার্থী পরমানন্দ ভারতীতে ৩৯,৫৫১ ভোটের ব্যবধানে পরাস্ত করে নন্দীগ্রামের বিধায়ক নির্বাচিত হন। উল্লেখ্য ফিরোজা বিবির কিশোর পুত্র ২০০৭ সালের ১৪ মার্চে নন্দীগ্রাম গণহত্যায় নিহত হয়েছিল।[৬৪], [৬৫]
[সম্পাদনা]আরও দেখুন
- আবাহলালি বেসএমজনডোলো, দক্ষিণ আফ্রিকা
- ইজেডএলএন, মেক্সিকো
- ফানমি লাভালাস, হাইতি
- হোমলেস ওয়ার্কার্স মুভমেন্ট, ব্রাজিল
- ল্যান্ডলেস পিপলস মুভমেন্ট, দক্ষিণ আফ্রিকা
- ল্যান্ডলেস ওয়ার্কার্স মুভমেন্ট, ব্রাজিল
- নর্মদা বাঁচাও আন্দোলন, ভারত
- পশ্চিম অন্তরীপ উচ্ছেদ-বিরোধী প্রচারাভিযান, দক্ষিণ আফ্রিকা
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
- ↑ For more information on the Salim Group please see Sudono Salim
- ↑ Asia Week
- ↑ Far Easter Economic Review October 1998
- ↑ ৪.০ ৪.১ The Telegraph, 4 January 2007
- ↑ The Statesman, 15 November 2006
- ↑ The Statesman, 7 January 2007 Nandigram forms anti-landgrab front
- ↑ Tehelka.com, August 26 2006
- ↑ The Statesman
- ↑ CPI (M) org
- ↑ One India 16 June 2006
- ↑ The Hindu Business Line, 1 August 2006
- ↑ The Telegraph, 03 August 2006 Double-deal bridge ache
- ↑ JICA
- ↑ JICA For more information on JICA visit the JICA website
- ↑ The Indian Express, 09 September 2006
- ↑ The Hindu January 10, 2007
- ↑ Sub-Inspector killed in Nandigram, The Hindu February 08, 2007
- ↑ Microsoft Word - full report_wtfig
- ↑ Nandigram: Scare still looms large
- ↑ Peace returns to Nandigram, Khejuri after war-like situation
- ↑ The Statesman
- ↑ The Telegraph
- ↑ Red-hand Buddha: 14 killed in Nandigram re-entry bid. প্রকাশক: The Telegraph. 15 March 2007। সংগৃহীত হয়েছে: 2007-03-15.
- ↑ Medical Team Report from Nandigram with names, locations, and injuries - April 5.
- ↑ The Times of India 15 March 2007 Nandigram: Mediapersons roughed up by CPM activists
- ↑ Tara TV
- ↑ Nandigram turns Blood Red
- ↑ The Hindu : National : Nandigram victims narrate their tales of woe
- ↑ nandigram
- ↑ Zee News
- ↑ Sify
- ↑ Nandigram and the deformations of the Indian left. প্রকাশক: International Socialism. 2 July 2007.
- ↑ BBC
- ↑ The Statesman
- ↑ The Statesman
- ↑ Nandigram people's struggle "heroic" : Clark
- ↑ Nandigram says 'No!' to Dow's chemical hub
- ↑ Ramsey Clark's visit to Nandigram
- ↑ Dr. Ashok Mitra (Former Left Front Finance Minister) on Nandigram
- ↑ Indian Express
- ↑ Daily India
- ↑ India eNews.com 7 December 2006
- ↑ The Statesman
- ↑ WB PWD Minister against CPI(M)
- ↑ Report on Nandigram by Amnesty International: Urgent need to address large scale human rights abuses during Nandigram recapture
- ↑ Nandigram Chemical hub shifted
- ↑ Nandigram will remain a black mark
- ↑ [১]
- ↑ NDTV November 14, 2007
- ↑ Sify.com November 13, 2007
- ↑ Red terror continues Nandigram's bylanes.
- ↑ NHRC sends notice to Chief Secretary, West Bengal, on Nandigram incidents: investigation team of the Commission to visit the area.
- ↑ Nandigram | Top News
- ↑ National Human Rights Commission
- ↑ ৫৫.০ ৫৫.১ CPM cadres kill 3 in Nandigram.
- ↑ Lok Sabha to discuss Nandigram today
- ↑ Fresh violence in Nandigram, two injured. The Times of India. 5 May 2008.
- ↑ CPM mob strips woman in Nandigram, probe on. The Times of India. 7 May 2008.
- ↑ ৫৯.০ ৫৯.১ Women activists blame CPM of beating in Nandigram. Economic Times. 7 May 2008.
- ↑ CID probe ordered into stripping of women at Nandigram. Sify News. 7 May 2008.
- ↑ Intellectuals Meet West Bengal Poll Panel Over Nandigram. News Post India. 7 May 2008.
- ↑ Fresh attempt to cut off Nandigram.The Hindu. 7 May 2007
- ↑ [২]. The Statesman.
- ↑ Nandigram nightmare continues for CPM, Trinamool wins Assembly bypoll
- ↑ Trinamool Congress wins Nandigram assembly by-election
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
- Most comprehensive database on "Nandigarm" at Sanhati
- "Nandigram" photos, links to videos, reports - a comprehensive archive at Counterviews
- Nandigram links, photos, videos and regular updates from Sacred Media Cow
- Nandigram Information - facts, details, accounts - updated regularly
- Nandigram Documentary by Medical Service Centre
- Lessons from Nandigram : What Next
- Arundhathi Roy says CM used Taslima to shift focus from Nandigram
- Sara Flounders member of the Workers World Party secretariat speaks of her experience after visiting Nandigram
- Nandigram Movement Timeline
কবীর সুমন | Bangla Music । বাংলা মিউজিক
-
ছত্রধরের গান - বাঁধ ভাঙার আওয়াজ
www.somewhereinblog.net/blog/gohon/29165706 - বাংলাদেশ০১. অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে সুমনের ২০১০ এ লেখা গণমুখী গানের একটি অ্যালবাম। এটি কপিলেফ্ট। ০২. এই অ্যালবামে সুমন বলেন: These songs that I have recently done for my new album 'Chatradharer Gaan. 'I wrote 'Chatradharer Gaan' about one and...
ছত্রধরের গান - বাঁধ ভাঙার আওয়াজ
These songs that I have recently done for my new album 'Chotrodhorer Gaan.'I wrote 'Chotrodhorer Gaan' about one and a half months ago. Then I felt a strong urge to write more. I wrote seven songs in 2 days and then put them to tune and recorded them in 3 days and nights last week. Feel free to make copies or forward ...
সমকাল :: ভোট দেননি কবীর সুমন ::
সমকাল ডেস্ক ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে কংগ্রেস-তৃণমূল প্রবল টানাপড়েনের সময় প্রণব মুখার্জিকে সমর্থনের ঘোষণা দিয়েছিলেন তৃণমূলে বিদ্রোহী সংসদ সদস্য ও গায়ক কবীর সুমন। কিন্তু তিনি ভোটই দেননি। বিধানসভায় ভোট দিতে গেলে পাছে 'হেনস্তা'র মুখে পড়ার আশঙ্কাতেই ভোট দিতে যাননি বলে দাবি করেছেন তিনি। তৃণমূল নেতা মমতা ...music with life: ছত্রধরের গান( chotrodhorer gaan)
17 মার্চ 2010 – বছর দুয়েক আগে আমরা যখন নিউটন ভাইয়ের বাসায় সুমন অঞ্জনের গানকরতাম তখন অ্যালবাম সংকটে ভুগতাম রাজশাহীতে। তখনই আমরা এইসব গান সহজলভ্য করার কথা বলতাম। কিন্তু তারপর নেটের জগতের খুব ঘনিষ্ট বাসিন্দা হওয়ার পর দেখলাম সুমনের গানডাউনলোডের জন্য আবার জাতে উঠতে হয়। ঐ সময় বহু সময় দিতে হয়েছে সুমনের গান শোনার জন্য।
Latest News Video : উন্নয়ন নয়, ক্ষমতায় টিকে থাকতে ব্যস্ত তৃণমূল ...
নিজের দলের বিরুদ্ধে ফের তোপ দাগলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কবীর সুমন। দলের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের এই সাংসদ। এমনকি চলতি আর্থিক বর্ষে তিনি তাঁর সাংসদ তহবিলের একটি টাকাও হাতে পাননি বলে জানান সুমন। তাঁর চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, তৃণমূলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সাধারণ মানুষের উন্নয়ণের পরিবর্তে ক্ষমতায় ...কবীর সুমন একক - YouTube
১৮ জুলাই, ২০১২ - SubhadeepSaha9 আপলোড করেছেন২০ শে অগস্ট,২০১২ কলামন্দিরে কবীর সুমনের একক গানের অনুষ্ঠান। পরিবেশনায় সপ্তর্ষি প্রকাশন।কবীর সুমন || চাইছি তোমার বন্ধুত্ত - YouTube
৭ নভেম্বর, ২০০৯ - MRIProductions2009 আপলোড করেছেনকবীর সুমন || চাইছি তোমার বন্ধুত্ত. MRIProductions2009·193 videos. Subscribe Subscribed Unsubscribe ... বুকের ভিতর বৃষ্টি পড়ে- sumon (suman) সুমন 11:56 ...
বর্ষশেষে,গানের দেশে - কবীর সুমন একক | Facebook
বছর শেষের শীতসন্ধে হয়ে উঠুক আরও রঙিন। কবীর সুমনের সঙ্গীতের হাত ধরে, তাঁর সুরের নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে শুরু হোক নতুন বছর। আবার কবীর সুমন একক। ৩১ ডিসেম্বর, কলামন্দিরে। টিকিট কোথা থেকে, কী ভাবে পাবেন, সে সম্পর্কে জানতে চোখ রাখুন এখানে। সবাই ভাল থাকুন, সুমনে থাকুন। ধন্যবাদ।অস্বস্তি বাড়িয়ে ফের রাজ্য সরকারের সমালোচনায় কবীর সুমন
18 অক্টো 2012 – রাজ্যে ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে। এই তথ্য মানতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্ক স্ট্রিট ধর্ষণ কাণ্ডকে সাজানো ঘটনা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও তাকে মিডিয়ার প্রচার বলে অভিহিত করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী এই কথা বললেও তারই দলের সাংসদ কবীর সুমন কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন ধ.বয়স আমার মুখের রেখায় - কবীর সুমন - বাঁধ ভাঙার আওয়াজ
বয়স আমার মুখের রেখায় শেখায় আজও ত্রিকোণমিতি, কমতে থাকা চুলের ফাকে মাঝবয়সের সংস্কৃতি হাটুতে আজ টান লেগেছে, টান লেগেছে গাটে গাটে মধ্যবিত্ত শরীরে আজ, সময় শুধু ফন্দি আটে; খালি চোখে পড়তে গিয়ে হোচট খেয়ে চশমা নেয়া বয়স হওয়ার মানেই বোধহয় স্বচ্ছতাকে বিদায় দেওয়া; বিদায় নিল অনেক কিছু, কোনটা...হাসি নিয়ে থাকো হাসিমুখে থাকো... - পাঁচফোড়ন
16 এপ্রিল 2012 – কবীর সুমন. হাসি নিয়ে থাকো হাসিমুখে থাকো... শান দাও হাসিতে, বারানসী কাশীতে , কলকাতাতেও বঙ্গ রঙ্গ হোক, হেসে নিক সব লোকো যন্ত্রণাতেও হাসি থাক শেষ কাঠে, ...আমি আছি ফেসবুকে, হাসি নিয়ে আছি সুখে, হাসি নিয়ে গাই আমারও আসবে দিন, আপাতত হু চি মিন, হাসিটা শানাই... কবীর সুমন. HASHI NIYE THAKO Posted on April 15, ...বর্ষণমন্দ্রিত অন্ধকারে /কবীর সুমন - YouTube
১৯ জুন, ২০১২ - purenutinutube আপলোড করেছেনবর্ষণমন্দ্রিত অন্ধকারে এসেছি তোমারি দ্বারে , পথিকেরে লহো ডাকি তব মন্দিরের এক ধারে ॥ বনপথ হতে , সুন্দরী , এনেছি মল্লিকামঞ্জরী -- তুমি লবে নিজ বেণীবন্ধে মনে রে...- কবীর সুমন »-এর জন্য আরো ভিডিও
কবীর সুমনের "ছত্রধরের গান" | কফিহাউসের আড্ডা
ছত্রধরের গান(২০১০) | Facebook
ছত্রধরের গান - AMAR PREMER GAAN - eSnips
ছত্রধরের গান - Sumaner-katha - eSnips
:: কালের কণ্ঠ :: :: আমার গান কারো সঙ্গে আপস করে না
কবীর সুমনের "ছত্রধরের গান"
www.blogvani.com/posts/.../কবীর-সুমনের-"ছত্রধরের-গান"17 मार्च 2010 – কবীর সুমনের বিগত কিছু কাল ধরে ব্যাক্তিগত জীবনের কার্যকলাপ ও তাঁর সাম্প্রতিক রাজনৈতিক দোদুল্যমানতায়, সুমনের প্রতি মনটা একপ্রকার বিষিয়েই ছিল। বলতে গেলে মনে মনে ঘৃণা করতেই শুরু করেছিলাম 'কবীর সুমন' নামক মানুষটাকে। এর মাঝেই একদিন শুনলাম সুমন বার.
লালমোহনের লাস কবীর সুমন - সাপলুডু
আসানসোল গণধর্ষণকাণ্ডে সরব কবীর সুমন
সাংসদ পদ ছাড়ছেন না কবীর সুমন - প্রথম আলো
7 এপ্রিল 2010 – গতকাল মঙ্গলবার রাতে কবীর সুমন প্রখ্যাত সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবীর সঙ্গে দেখা করেন। তাঁর অনুরোধেই তিনি সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেন বলে জানান। যদিও ইতিমধ্যে লোকসভার তৃণমূল কংগ্রেসের চিফ হুইপ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় কবীর সুমনের সাংসদ পদ বাতিলের জন্য দলের পক্ষ থেকে স্পিকারের কাছে চিঠি ...
orkut - প্রতিবাদী কবীর সুমন
www.orkut.com › ... › Communities › Company › Star Ananda › Forumটি ভি-তে তৃণমুল সাংসদ কবীর সুমনকে দেখি উনি তীব্র ভাষায় নিজের দলের সমালোচনা করছেন।যারা প্রতিবাদী হন তারা অন্যায় দেখলেই প্রতিবাদ করেন,আপন-পর বিবেচনা করেন না।একদা অর্থমন্ত্রী কম .অশোক মিত্র মহাশয় নিজ দলের সঙ্গে মানিয়ে চলতে পারেন নি বলে সব ছেড়ে ছুড়ে চলে যান।ঘাটলে এমন নজির আরও পাওয়া যাবে।যে দলের সঙ্গে এত মত পার্থক্য কবীর ...
http://zeenews.india.com/bengali/videos/kabir-takes-on-mamata-by-his-new-rebel-number_1757.html
Latest News Video : ২৪ ঘণ্টার সঙ্গে ফোনে কবীর সুমন | |
zeenews.india.com/bengali/videos/kabir-suman-with-24-ghanta_1286.html?Page=54 অক্টো 2012 ২৪ ঘণ্টার সঙ্গে ফোনে কবীর সুমন. ... কাকলি ঘোষদস্তিদারের মন্তব্যে নাট্যকর্মী কৌশিক সেনের প্রতিক্রিয়া · কাকলি ঘোষদস্তিদারের মন্তব্যে তৃণমূল সাংসদ কবীর সুমনের প্রতিক্রিয়া · কাকলির কুরুচিকর মন্তব্য, সমালোচনা পার্ক স্ট্রিট কাণ্ডে নিগৃহীতার ৩ · কাকলির ... |
আবার জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী। জঙ্গলমহলে ছাত্র-যুব বিবেক উত্সবে যোগ দিতে আজ বিকেলে সড়কপথে পশ্চিম মেদিনীপুর যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পৌঁছনোর পর সন্ধে সাতটা নাগাদ মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা তৃণমূল নেত্রীর। পরের দিন অর্থাত্ শনিবার সকাল দশটা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক। বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, ডিজি, উন্নয়ন ও পরিকল্পনা দফতরের সচিব, আইজি, পুরুলিয়া-বাঁকুড়া-পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক, পুলিস সুপার ও উন্নয়ন আধিকারিকরা থাকবেন।
দুপুরে কলেজ ময়দানে জঙ্গলমহল উত্সবে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী।
আমন্ত্রিত নই: কবীর সুমন
Monday, 27 August 2012 1
সারের দামবৃদ্ধির প্রসঙ্গে আন্দোলন করাই উচিত, বললেন তৃণমূল সাংসদ কবীর সুমন৷ কিন্তু তিনি নিজে ওই আন্দোলন কর্মসূচিতে অংশ নেননি, কারণ তাঁকে জানানোই হয়নি, বললেন তৃণমূল সাংসদ৷ একই সঙ্গে তাঁর অভিমত, ওই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চাওয়া শিলাদিত্য চৌধুরীকে গ্রেফতার করাও ঠিক হয়নি সরকারের৷
http://www.youtube.com/my_videos_edit?ns=1&video_id=NYVMCUkN6vk
সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামের... কবিতা (সংগ্রহ - মূল সূচি) এই ক্রমবর্ধমান সংগ্রহে ৬০০-র উপর কবিতা রয়েছে | এ ছাড়া অন্য সুরের কবিতার জন্য আমাদের বিশাল কবিতার সংগ্রহ "কবিদের সভা" ঘুরে দেখুন |
২) প্রতুল মুখোপাধ্যায়---------------পড়ুন |
৬) কবীর সুমন-----------------------পড়ুন |
19) Amar Nath Mukherjee---- --Read |
Click here to see Videos on SINGUR and NANDIGRAM See what Buddhadeb Bhattacharya and his Party is doing in West Bengal, the Oasis of peace, in his own words ! |
৪) তরুণ সান্যাল----------------------পড়ুন |
১) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্মতলার ------অনশন মঞ্চে লেখা কবিতা------------পড়ুন |
নন্দীগ্রাম ও সিঙ্গুর কাণ্ড দেখে ভিতরে ভিতরে ফুঁশছেন! আপনার ভাবনাগুলোকে কথার রূপ দিয়ে কাগজে লিখলে যা দাঁড়াচ্ছে তা যদি সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের কবিতা হয়ে দেখা দেয়, তাহলে আমাদের ই-মেল করুন srimilansengupta@yahoo.co.in |
Buddhadeb Bhattacharya must be sacked immediately. Speak out ! Click here and give your comments |
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর অবিলম্বে অপসারণ চাই... মূক না থেকে এখানে ক্লিক করে এ বিষয় আপনার মতামত জানান |
১০) মৃদুল শ্রীমানী-------------------- পড়ুন |
১৩) পল্লব কীর্তনীয়া------------------পড়ুন |
১২) মৈত্রেয়ী চট্টোপাধ্যায়------------পড়ুন |
৩) শঙ্খ ঘোষ--------------------------পড়ুন |
১৪) তপন চক্রবর্তী--------------------পড়ুন |
১৫) অপরাজিতা গোপ্পী---------------পড়ুন |
১৭) নবারুণ ভট্টাচার্য-----------------পড়ুন |
১৮) প্রণব রায়চৌধুরী----------------পড়ুন |
২০) রবিন গাঙ্গুলী---------------------পড়ুন |
২১) গান,সিঙ্গুরের মায়েদের কণ্ঠে---পড়ুন |
২২) অশোক মুখার্জী------------------পড়ুন |
২৩) দেবীপ্রসাদ মুখার্জী--------------পড়ুন |
২৪) সিদ্ধেশ্বর সেন--------------------পড়ুন |
ছবিতে ক্রোধ এবং ধিক্কার Protest through Art in Anguish Just click on any picture for enlarged views |
২৫) দেবায়ুধ চট্টোপাধ্যায়-----------পড়ুন |
|
|
২৬) সব্যসাচী দেব--------------------পড়ুন |
২৭) ওয়াজেদ আলি ----------------পড়ুন |
২৮) বিশ্বনাথ গড়াই-------------------পড়ুন |
২৯) যশোধরা রায়চৌধুরী ----------পড়ুন |
৩০) শ্রীজাত ---------------------------পড়ুন |
৩১) ছড়া-নিন্দুক, কার্টুন-আরবি ---পড়ুন |
৩২) সাধন বারিক -------------------পড়ুন |
৩৩) তপন চিত্রকর-------------------পড়ুন |
৩৪) প্রণব মুখার্জী --------- ----------পড়ুন |
৩৬) ইভা চক্রবর্তী ----------------- -পড়ুন |
৩৭) দুর্গাদাস মিদ্যা --------------- -পড়ুন |
৩৮) অরুণ ভট্টাচার্য---------------- -পড়ুন |
৩৯) অনুরাধা মহাপাত্র------------ -পড়ুন |
৪০) বিপ্রদাস ঘোষাল-------------- -পড়ুন |
৪১) শীলা চক্রবর্তী------------------ -পড়ুন |
৪২) মিহির চৌধুরী----------------- -পড়ুন |
৪৩) রাজেশ দত্ত-------------------- -পড়ুন |
৪৪) দিলীপ সামন্ত------------------ -পড়ুন |
৪৫) শৌভিক চক্রবর্তী-------------- -পড়ুন |
৪৬) রত্না ভৌমিক------------------ -পড়ুন |
৪৭) সুদীপ বাগ--------------------- -পড়ুন |
৪৮) ডলি মিদ্যা--------------------- -পড়ুন |
৪৯) সান্ত্বনা-------------------------- -পড়ুন |
৫০) অর্ধেন্দু চক্রবর্তী-------- ------ -পড়ুন |
৫১) অনুপমা ঘোষ---------- ------ -পড়ুন |
৫২) অমর পোদ্দার---------- ------ -পড়ুন |
৫৩) মানস সরকার-------------------পড়ুন |
৫৪) প্রণব কুমার ভৌমিক- --------পড়ুন |
৫৫) কাঞ্চন কুমার--------------------পড়ুন |
৫৬) আশিস দলপতি-----------------পড়ুন |
৫৮) সাগর চক্রবর্তী------------ -----পড়ুন |
৫৭) প্রসূন ভৌমিক------------ -----পড়ুন |
দলের মধ্যে যিনিই তৃণমূলে দলের নেতাদের তোলাবাজির বিরুদ্ধে মুখ খোলেন তাঁকেই কি একঘরে হতে হয়? কবীর সুমনের ক্ষেত্রে এমনটাই দেখা গিয়েছে। সেই একই ইস্যুতে এবার সরব দলের সিঙ্গুরের বিদ্রোহী মাষ্টারমশাই এবং মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। তাঁর ক্ষেত্রেও কি হবে একই পরিণতি? দুজনই তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি। একজন সাংসদ অন্যজন বিধায়ক। দুজনের মধ্যে আরও একটা অদ্ভুত মিল। এই দুই জনপ্রতিনিধিই আওয়াজ তুলেছেন দলের নেতাকর্মীদের তোলাবাজির বিরুদ্ধে।
সিঙ্গুরের বর্ষীয়ান মাষ্টারমশাই রবীন্দ্রনাথবাবু এখন রীতিমতন বিদ্রোহী। তৃণমূলের দাবি মন্ত্রীত্ব বদলে যাওয়ার কারণেই বিদ্রোহী মাষ্টারমশাই। আর রবীন্দ্রনাথবাবুর দাবি, নীতির কারণেই তাঁর এই অবস্থান। কিন্তু মাষ্টরমশাইয়ের এই নীতির কথা শুনবে কে? দলের নীতি, অনুশাসন, নেতাদের তোলাবাজির কথা বলতে গিয়ে রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল কবীর সুমনকে। এখনও একঘরে তিনি। প্রায়শই কবীর সুমন অভিযোগ করেন তৃণমূলের একাংশের কর্মীরা তাঁকে হেনস্থা করার চেষ্টা করছে। দলের তোলাবাজদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার পর রবীন্দ্রনাথবাবুরও কী সেই অবস্থাই হতে চলছে? সিঙ্গুর জুড়ে এখন জল্পনা এটাই।
No comments:
Post a Comment