তালিবানদের গুলিতে খুন 'কাবুলিওয়ালার বাঙালি বউ'
কাবুল: আফগানিস্তান থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পালিয়ে এসেছিলেন তিনি। সেই আফগানিস্তানেই শেষ পর্যন্ত প্রাণ দিতে হল 'কাবুলিওয়ালার বাঙালি বউ'কে। আফগান জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হল বাঙালি লেখিকা সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বৃহস্পতিবার আফগান পুলিশ এ কথা জানিয়েছে।
৪৯ বছরের সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায় আফগান ব্যবসায়ী জাঁহাবাজ খানকে বিয়ে আফগানিস্তানে বসবাস শুরু করেন। তালিবান শাসনে বিধ্বস্ত আফিগান মুলুক থেকে '৯৫ সালে পালিয়ে আসেন তিনি। সেই পালানোর রূদ্ধশ্বাস কাহিনি তিনি 'কাবুলিওয়ালার বাঙালি বউ' নামে বইয়ের আকারে প্রকাশ করেন। গোটা দেশেই অত্যন্ত জনপ্রিয়তা পায় তাঁর এই লেখা। একসময়ে দীর্ঘদিন জাতীয় স্তরে বেস্টসেলারের জায়গা নিয়েছিল 'কাবুলিওয়ালার বাঙালি বউ'। ২০০৩ সালে এই কাহিনি অবলম্বনে একটি বলিউডি ছবি তৈরি। 'এসকেপ ফ্রম তালিবান' নামে সেই সিনেমায় সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন মনীষা কৈরালা। পরে অবশ্য ফের আফগানিস্তানেই ফিরে যান তিনি।
আফগানিস্তানের পাকটিকায় তাঁর শ্বশুর বাড়িতে হামলা চালায় বেশ কয়েকজন সশস্ত্র জঙ্গি। সুস্মিতার স্বামী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বেঁধে রেখে টেনে-হিঁচড়ে তাঁকে ঘরের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই গুলি করে তাঁক খুন করে জঙ্গিরা। অবশ্য কোনও জঙ্গি সংগঠন এখনও পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেনি। খুন করার পর স্থানীয় একটি ধর্মীয় স্কুলে সুস্মিতার মৃতদেহ ফেলে দিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।
পাকটিকায় স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে কাজ করতে সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাজের পাশাপাশি স্থানীয় মহিলাদের জীবনযাত্রার উপর ছবিও তুলতেন তিনি। এটাই তালিবান জঙ্গিরা ভালো চোখে নেয়নি বলে মনে করা হচ্ছে।
৪৯ বছরের সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায় আফগান ব্যবসায়ী জাঁহাবাজ খানকে বিয়ে আফগানিস্তানে বসবাস শুরু করেন। তালিবান শাসনে বিধ্বস্ত আফিগান মুলুক থেকে '৯৫ সালে পালিয়ে আসেন তিনি। সেই পালানোর রূদ্ধশ্বাস কাহিনি তিনি 'কাবুলিওয়ালার বাঙালি বউ' নামে বইয়ের আকারে প্রকাশ করেন। গোটা দেশেই অত্যন্ত জনপ্রিয়তা পায় তাঁর এই লেখা। একসময়ে দীর্ঘদিন জাতীয় স্তরে বেস্টসেলারের জায়গা নিয়েছিল 'কাবুলিওয়ালার বাঙালি বউ'। ২০০৩ সালে এই কাহিনি অবলম্বনে একটি বলিউডি ছবি তৈরি। 'এসকেপ ফ্রম তালিবান' নামে সেই সিনেমায় সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন মনীষা কৈরালা। পরে অবশ্য ফের আফগানিস্তানেই ফিরে যান তিনি।
আফগানিস্তানের পাকটিকায় তাঁর শ্বশুর বাড়িতে হামলা চালায় বেশ কয়েকজন সশস্ত্র জঙ্গি। সুস্মিতার স্বামী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বেঁধে রেখে টেনে-হিঁচড়ে তাঁকে ঘরের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই গুলি করে তাঁক খুন করে জঙ্গিরা। অবশ্য কোনও জঙ্গি সংগঠন এখনও পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেনি। খুন করার পর স্থানীয় একটি ধর্মীয় স্কুলে সুস্মিতার মৃতদেহ ফেলে দিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।
পাকটিকায় স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে কাজ করতে সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাজের পাশাপাশি স্থানীয় মহিলাদের জীবনযাত্রার উপর ছবিও তুলতেন তিনি। এটাই তালিবান জঙ্গিরা ভালো চোখে নেয়নি বলে মনে করা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment