Twitter

Follow palashbiswaskl on Twitter

Memories of Another day

Memories of Another day
While my Parents Pulin babu and Basanti devi were living

Thursday, May 30, 2013

লগ্নি কেলেঙ্কারি ছায়া ফেললেও এগিয়ে মমতাই!

লগ্নি কেলেঙ্কারি ছায়া ফেললেও এগিয়ে মমতাই

সময়: হাওড়ার লোকসভা উপনির্বাচনে কি মুখরক্ষা করতে পারবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল? নাকি সারদা কেলেঙ্কারি পরবর্তী অধ্যায়ে বাজি মাত করে বেরিয়ে যাবে সিপিএম?

উপনির্বাচনের প্রচারে নেমে সিপিএম থেকে কংগ্রেস- সব বিরোধীই বলছেন লড়াই থেকে বিজেপির সরে যাওয়াটা মমতার জন্য ব্যুমেরাং হবে৷ কংগ্রেসের সঙ্গে জোট না থাকায় ভোট কাটাকাটির অঙ্কেও প্যাঁচে পড়তে পারে শাসকদল৷ কিন্ত্ত হাওড়ার ভোটাররা কী বলছেন? উপনির্বাচনের প্রাক্কালে হাওড়ার চারটি অঞ্চল ঘুরে সেই প্রশ্নগুলিরই সুলুক সন্ধানে নেমেছিল 'এই সময়' ও ইপসোস৷ এবং সেই যৌথ সমীক্ষা বলছে, সারদা-কাণ্ড প্রভাব ফেললেও আসন বাঁচানো নিয়ে খুব বেশি চিন্তা নেই তৃণমূলের৷ কিন্ত্ত জনসমর্থন কিছুটা হলেও তাদের কমবে৷ হারানো জমি কিছুটা হলেও ফিরে পেতে পারে সিপিএম৷
বালি, সাঁকরাইল, পাঁচলা এবং মধ্য হাওড়ার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে দেখা যাচ্ছে, দল হিসেবে সমর্থনের ক্ষেত্রে ৫৩% নাগরিক পাশে রয়েছেন শাসকদল তৃণমূলের৷ ৩১% সমর্থন করছেন সিপিএমকে৷ আর ১০% মানুষ কংগ্রেসের প্রতি নিজেদের আস্থা রাখছেন৷ অঙ্কের হিসাবে এই উত্তর তৃণমূলের পক্ষে স্বস্তিদায়ক হলেও বাস্তবে পুরোটা তা নয়৷ কারণ ২০০৯ সালের ভোটে এই হাওড়া আসনেই তৃণমূল পেয়েছিল ৫৯% ভোট৷ জিতেছিলেন সদ্যপ্রয়াত অম্বিকা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সিপিএম পেয়েছিল ২৭% ভোট৷ যৌথ সমীক্ষা বলছে, তৃণমূলের সেই ভোটব্যাঙ্কের অন্তত ৬% শাসকদলের উপর আর ভরসা রাখছেন না৷ বরং ৪% ভোট বাড়তে পারে সিপিএমের৷

আর এই কিছুটা পরিবর্তনের কারণ হিসেবে মূলত উঠে আসছে সারদা অধ্যায়৷ যৌথ সমীক্ষার দলের প্রশ্নের জবাবে হাওড়ার ৭৮% নাগরিক জানাচ্ছেন, লগ্নি কেলেঙ্কারির ঘটনা কালি মাখিয়েছে রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তিতে৷ মাত্র ২১% মনে করছেন, সারদা-কাণ্ডের রেশ সরকার সম্পর্কে খারাপ ধারনা তৈরি করেনি৷ কিন্ত্ত ভোটের হিসেবে কতটা ফারাক তৈরি করতে পারে লগ্নি কেলেঙ্কারি? এই প্রসঙ্গে পাওয়া উত্তরও চিন্তায় রাখবে তৃণমূলকে৷ যৌথ সমীক্ষায় হাওড়ার ৫৭% নাগরিক জানাচ্ছেন, লগ্নি কেলেঙ্কারির প্রভাব ভোটের ফলে পড়বে৷ তবে ৩৯% আশাবাদী, আসন্ন উপনির্বাচনের ফলাফলে এই ঘটনা কোনও ফারাক তৈরি করতে পারবে না৷

প্রার্থী নির্বাচনের দিক থেকে সমীক্ষায় এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল৷ কারণ তৃণমূলের প্রার্থী, প্রাক্তন ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী হিসেবে যোগ্য মনে করছেন হাওড়ার ৫৩% নাগরিক৷ সেখানে সিপিএমের শ্রীদীপ ভট্টাচার্যকে যোগ্য মনে করছেন ৩৩%, সনাতন মুখোপাধ্যায়ের উপর আস্থা রয়েছে ১৩% নাগরিকের৷ তবে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য হাওড়ার ৫৫% নাগরিকই কেন্দ্রীয় বাহিনী চান৷ বাহিনী ছাড়া ভোট করানোর পক্ষপাতী ৪১% মানুষ৷

তার পরেও লড়াই যে হাড্ডাহাড্ডি হবে, সেটা কিছুটা বোঝা যাচ্ছে 'প্রশাসক' তৃণমূল ও সিপিএমের তুলনা টানতে গিয়ে৷ রাজ্যের নিরিখে তৃণমূলের প্রশাসন সম্পর্কে হাওড়ার ৫১% নাগরিক মনে করছেন, দু'বছর আগে পালাবদলের পর প্রশাসনে তেমন কোনও সদর্থক পরিবর্তন হয়নি৷ যদিও ৪৮% মানুষ নতুন প্রশাসন নিয়ে খুশি৷ এই হিসাবটাই কিছুটা উল্টো আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে৷ সে ক্ষেত্রে হাওড়ার ৫১% মানুষ রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে খুশি৷ ৪৯% নাগরিক যদিও এই নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন৷ তুলনামূলক বিচারে হাওড়ার ৫১% মানুষের মতে, বাম আমলের থেকে মমতার জমানায় সরকারি পরিষেবার উন্নতি হয়েছে৷ ৪৬% নাগরিক যদিও কেমন কোনও উন্নতির কথা জানাননি৷ তবে বামেদের কাছেও কিছুটা স্বস্তির খবর, তাদের হাতে থাকা হাওড়া পুরসভার কাজে ৩৮% মানুষ তুষ্ট৷ কিন্ত্ত সেই স্বস্তি কিছুটাই৷ কারণ ৩৩% নাগরিক মনে করেন পুরসভার কাজ খারাপ৷ আর ২৯%-এর মতে, পুরসভার কাজকে ভাল বা মন্দ-কোনও বিভাগেই ফেলা যায় না৷

No comments:

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...