Twitter

Follow palashbiswaskl on Twitter

Memories of Another day

Memories of Another day
While my Parents Pulin babu and Basanti devi were living

Monday, July 8, 2013

গাইঘাটাতেও মাওবাদী জুজু দেখছেন জ্যোতিপ্রিয়

গাইঘাটাতেও মাওবাদী জুজু দেখছেন জ্যোতিপ্রিয়

গাইঘাটাতেও মাওবাদী জুজু দেখছেন জ্যোতিপ্রিয়
বারাসত: কামদুনির পর গাইঘাটার প্রতিবাদীদের মধ্যেও মাওবাদী খুঁজে পেল শাসকদল৷ শনিবার খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গাইঘাটার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের এক নেতাকে মাওবাদী বলে তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চক্রান্তের অভিযোগ করেছেন বারাসত থানায়৷ পাশাপাশি গাইঘাটার দুই তৃণমূল নেতা এক বছর আগে খুন হওয়া প্রতিবাদী শিক্ষক বরুণ বিশ্বাসের বাবা জগদীশ বিশ্বাস-সহ প্রতিবাদ মঞ্চের সদস্যদের বিরুদ্ধে মাওবাদীদের আশ্রয় দেওয়ার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ দু' ক্ষেত্রেই তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা জীবনহানির আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন থানায়৷

যদিও গাইঘাটা প্রতিবাদ মঞ্চের নেতারা ওই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন৷ তাঁদের বক্তব্য, আসলে বরুণ খুনের সিবিআই তদন্ত দাবি করা হয়েছে বলেই বরুণের হত্যাকারীরা মাওবাদী আতঙ্কে ভুগছেন৷ অন্য দিকে, বারাসত আদালত এবং কলকাতা হাইকোর্টের কাছে জোর ধাক্কা খাওয়ার পর সিআইডি কামদুনির ঘটনার তদন্তে নতুন করে নড়ে বসেছে৷ এদিন সন্ধ্যায় কামদুনির ওই আট বিঘা কারখানা চত্বরে সাক্ষীর খোঁজে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সিআইডি৷ তাতে বলা হয়েছে, ৭ জুনের ওই ঘটনা সম্পর্কে কারও কিছু জানা থাকলে, তাঁরা যেন ভবানী ভবনে যোগাযোগ করেন৷ কিন্তু যেখানে চার্জশিটে মোট ৫৪ জন সাক্ষীর নাম রয়েছে, সেখানে নতুন করে সাক্ষীর খোঁজ কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আইনজীবী মহল৷ তাঁরা মনে করছেন, আদালতের গুঁতো খেয়েই সিআইডি-র এই তত্পরতা৷

আজ অপরাজিতার মৃত্যুর এক মাস পূর্তি হচ্ছে৷ আজ সন্ধ্যায় কামদুনির মানুষ দোষীদের শাস্তির দাবিতে মোমবাতি মিছিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ সেই মিছিল থেকেই আরও বড় আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে৷ শনিবার ফরওয়ার্ড ব্লকের যুব শাখা যুব লিগের একদল প্রতিনিধি অপরাজিতার গ্রামে আসেন৷ সেখানে তাঁরা গ্রামের বাসিন্দাদেরও আসতে অনুরোধ করেন৷ কিন্তু বাসিন্দারা সেই অনুরোধ বিনয়ের সঙ্গে ফিরিয়ে দিয়েছেন, পাছে তাঁদের গায়ে রাজনীতির রং লাগে৷ অপরাজিতার জ্যাঠতুতো দাদার বক্তব্য, কামদুনির মানুষকে নিয়ে রাজনীতি করা যাবে না৷ এই কারণেই রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরীর ব্যবস্থাপনায় তাঁরা দিল্লিতে রাষ্ট্রপতির কাছে দরবার করতে যেতে চাননি৷ বাসিন্দারা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে ১৫ জুলাই রাষ্ট্রপতির অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেয়েছেন৷

৩ জুলাই কলকাতায় বরুণের বাবা জগদীশবাবু সরাসরিই অভিযোগ করেছিলেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নির্দেশে এবং ষড়যন্ত্রে বরুণকে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা৷ শুক্রবার বরুণের প্রথম মৃত্যু দিবসে একই অভিযোগ ওঠে প্রতিবাদ মঞ্চ এবং গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতির সভায়৷ আরও অভিযোগ, খাদ্যমন্ত্রী এর আগে বরুণের চাকরি খাওয়ারও চেষ্টা করেছিলেন৷ খাদ্যমন্ত্রী সেই অভিযোগ নস্যাত্‍‌ করে বলেন, 'বরুণকে নিয়ে ব্যবসা হচ্ছে এবং প্রতিবাদ মঞ্চ রাজনীতি করছে৷' এর পরই এদিন তিনি বারাসত থানায় এপিডিআর-এর গাইঘাটার সম্পাদক নন্দদুলাল দাসের বিরুদ্ধে বারাসত থানায় অভিযোগ করেন৷ নন্দবাবু অবশ্য বলছেন, 'নিজেরা ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়েই জ্যোতিপ্রিয়বাবুরা এমন অবান্তর অভিযোগ করছেন৷ গাইঘাটার তৃণমূল নেতা বিষ্ণুপদ ঘোষ এবং মিহির বিশ্বাস প্রতিবাদ মঞ্চের বিরুদ্ধে লোক খেপানোর অভিযোগ করেন থানায়৷ মঞ্চের সভাপতি ননীগোপাল পোদ্দার বলেন, 'খুনি-ধর্ষকদের কথার উত্তর দিতে চাই না৷'

No comments:

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...