---------- Forwarded message ----------
From: Desh Bondhu <desh_bondhu@ymail.com>
Date: 2011/12/19
Subject: [bangla-vision] '৭২-এর সংবিধান' ফিরে না এলেও বাহাত্তর এসেছে
To: YG A Chottala <chottala@yahoogroups.com>
-- From: Desh Bondhu <desh_bondhu@ymail.com>
Date: 2011/12/19
Subject: [bangla-vision] '৭২-এর সংবিধান' ফিরে না এলেও বাহাত্তর এসেছে
To: YG A Chottala <chottala@yahoogroups.com>
----- Forwarded Message -----
From: Shahadat Hussaini <shahadathussaini@hotmail.com>
From: Shahadat Hussaini <shahadathussaini@hotmail.com>
'৭২-এর সংবিধান' ফিরে না এলেও বাহাত্তর এসেছে
স ঞ্জী ব চৌ ধু রী
গত জাতীয় নির্বাচনের আগে সাধারণভাবে মহাজোটের এবং বিশেষভাবে আওয়ামী লীগের জোরালো অঙ্গীকার ছিল—ক্ষমতায় গেলে তারা বাহাত্তরের সংবিধান ফিরিয়ে আনবে; কিন্তু সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী পাশ হওয়ার পর বাংলাদেশের সংবিধানের যে চেহারা দাঁড়িয়েছে, সেটাকে সোনার পাথরবাটি বললেও কম বলা হয়। ব্যাপারটা এমন ভজঘট হয়ে গেছে যে, খোদ ক্ষমতাসীনরাই সংশোধিত সংবিধান সরকারিভাবে ছাপাতে লজ্জা পাচ্ছেন; ফলে সর্বশেষ সংশোধনীসহ সংবিধানের মুদ্রিত কপি কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। আওয়ামী লীগের অনেকে এবং মহাজোটের শরিকদের প্রায় সবাই (এরশাদের জাতীয় পার্টি ছাড়া) গভীর মর্মপীড়ার সঙ্গে মনে করেন, '৭২-এর সংবিধান ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে তারা শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছেন। কেন এবং কার জন্য এই পরাজয়, সে কথা কিন্তু তাদের কেউ খোলসা করে বলেন না। ক্ষীণ কলেবর বিরোধী দল বিএনপি এবং ক্ষীণতর জামায়াতে ইসলামীর সংসদ সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় সংসদের অধিবেশন বর্জন করে চলেছেন। এমনিতেই মহাজোট সংসদে তিন-চতুর্থাংশের বেশি গরিষ্ঠতার অধিকারী। অতএব 'রাজাকার এবং রাজাকারের দোসরদের জন্য করা গেল না'—এ কথা বলার সুযোগ নেই। ক্ষমতাসীনরা যদি সংবিধান সংশোধনের নামে আসলেই 'শিব' গড়তে গিয়ে 'ছুঁচো' বানিয়ে ফেলে থাকেন, তবে তার সমুদয় কৃতিত্বের ভার অনন্তকাল ধরে মহাজোটের সংসদ সদস্যদের বহন করতে হবে।
অবশ্য '৭২-এর সংবিধান' শব্দবন্ধটির ব্যাপারে কাণ্ডজ্ঞানসম্পন্ন যে কোনো মানুষের আপত্তি থাকার কথা। সংবিধান হচ্ছে রাষ্ট্র পরিচালনার সর্বোচ্চ মৌলিক নীতিমালা। এছাড়া অন্যসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনার সর্বোচ্চ মৌলিক নীতিমালাকে গঠনতন্ত্র বলে, সংবিধান নয়। সংবিধান রাষ্ট্রের হয়, কোনো বিশেষ বছরের হয় না। বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীন হয়েছে; তাই বলে বাংলাদেশের উল্লেখকালে কেউ '৭১-এর বাংলাদেশ বলে না। অতএব বাংলাদেশের (ভার্জিন) সংবিধান বোঝাতে '৭২-এর সংবিধান বলা হবে কেন? '৭২-এর সংবিধান' কথাটির জন্মদাতা যে আক্কেলজ্ঞানের ঘাটতি—এই সত্য অস্বীকার করার সুযোগ নেই।
যা-ই হোক, ১৯৭২ সালে জাতীয় সংসদে অনুমোদিত বাংলাদেশের সংবিধান হুবহু সে চেহারা ফিরে না পেলেও স্বাধীন বাংলাদেশে বাহাত্তর সাল আবার ফিরে এসেছে বলে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে। '৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ শত্রুমুক্ত হলেও এদেশের বিধ্বস্ত দশা ১৯৭২ সালে এসেও কাটেনি। ১৯৭২ সালে আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন ছিল অবশ্যই দেশের সংবিধান প্রণয়ন এবং জাতীয় সংসদ কর্তৃক তা অনুমোদন। বিধ্বস্ত সেতু-কালভার্টের সিংহভাগ মেরামতি সে বছরই সম্পন্ন হয়েছিল; যোগাযোগ ব্যবস্থাও হয়ে উঠেছিল চলনসই। প্রশাসনিক কাঠামো সক্রিয়তা পেয়েছিল থানা স্তর পর্যন্ত। কিন্তু সে সময় স্বাধীনতার 'সুফল' ভোগ করার প্রতিযোগিতা এমন প্রবল ও রক্তাক্ত হয়ে উঠেছিল যে তারপরও বাংলাদেশ কীভাবে টিকে গেল, সে এক মহাবিস্ময় বটে! ১৯৭২ সালেই '১৬ ডিসেম্বর-পরবর্তী মুক্তিযোদ্ধারা' রণাঙ্গনে যুদ্ধ করা মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যায় এবং দাপটে এমনভাবে কোণঠাসা করে ফেলেছিল যে, তাদের বেশিরভাগই দীর্ঘশ্বাস ফেলতে ফেলতে পরলোকগমন করা ছাড়া আর বেশিকিছু করতে পারেননি। তবে একটা কথা মানতে হবে, ১৯৭২ সালে এখনকার মতো গুপ্তহত্যা হতো না; হত্যাকাণ্ড যা ঘটার প্রকাশ্যেই ঘটত। স্টুয়ার্ড মুজিব আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার তিন নম্বর আসামি ছিলেন। এই মামলার একনম্বর আসামি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানিদের হাতে বন্দী হন। দুই নম্বর আসামি লে. কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেনকে ২৬ অথবা ২৭ মার্চ পাকবাহিনী ঢাকায় হত্যা করে। স্টুয়ার্ড মুজিব মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ৯ মাস বিভিন্ন রাণাঙ্গনে প্রবল বিক্রমে লড়াই করেন। '৭২-এর জানুয়ারিতে তিনি ঢাকার গুলিস্তান এলাকায় একটি রেস্টুরেন্টে নাস্তা খাচ্ছিলেন। ২-৩ জন 'মুক্তিযোদ্ধা' হঠাত্ সেখানে ঢুকে তাকে বাইরে টেনে নিয়ে যায়। রাস্তার ওপর স্টুয়ার্ড মুজিবকে গুলি করে মেরে ফেলা হয়। আমরা তখন বুঝে ফেলেছিলাম, নিজের ভাগ্য গড়া এবং পথের কাঁটা সাফ করাই হচ্ছে দেশ গড়ার প্রধান কাজ। এ কাজে অতিব্যস্ততার কারণে সেদিন কেউ স্টুয়ার্ড মুজিবের জন্য দু'ফোঁটা চোখের পানি ফেলার সময় করে উঠতে পারেনি। ১৯৭২ সালে সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে রেস্টুরেন্টে নাস্তা খাওয়ার সময়, সেলুনে চুল কাটার সময়, প্রকাশ্য রাস্তায়, নামাজ পড়তে দাঁড়ানো অবস্থায়, ঘর থেকে বে করে নিয়ে, ঘরের মধ্যেই কতজন যে খুন হয়েছেন, তার কোনো পরিসংখ্যান তখনও ছিল না; এখনো নেই।
'৭২-এর সেই অরাজকতার পথ ধরে '৭৩-এ অনুষ্ঠিত স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় নির্বাচনকে আমরা এমনভাবে কলঙ্কিত করেছিলাম, যে কালির দাগ হাজার বছরের প্রায়শ্চিত্তেও মোছার নয়। '৭৩-এর জাতীয় নির্বাচনে রাষ্ট্রশক্তির স্থূল হস্তক্ষেপে হেলিকপ্টারে করে ব্যালট বাক্স কুমিল্লা থেকে ঢাকায় ছিনিয়ে এনে যাকে জেতানো হয়েছিল, সেই খন্দকার মোশতাক মাত্র দু'বছর বাদে বঙ্গবন্ধুর লাশ ডিঙিয়ে দেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। এরপর যে চুয়াত্তরের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ এসেছিল; পঁচাত্তরে গণতন্ত্র হত্যা, বঙ্গবন্ধু হত্যা, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বাদনকারী চার জাতীয় নেতাকে জেলখানায় হত্যা করার মতো হৃদয়বিদারক ঘটনা একের পর এক ঘটে চলেছিল—এ সবই আজ ইতিহাসের অংশ।
তারপরও বাংলাদেশ টিকে আছে এবং অনেক চড়াই-উত্রাই পার হয়ে সংসদীয় গণতন্ত্রে স্থিত হয়েছে। কিন্তু আজ একুশ শতকের দ্বিতীয় দশকের প্রথম বছরে আমরা যখন মহান বিজয়ের ৪০তম বার্ষিকী পালন করছি, তখন অজানা শঙ্কার কালো মেঘ শুধু মনের আকাশে আনাগোনা করছে না; বরং আকাশ ছেয়ে ফেলতে চাইছে। প্রতিদিন চারিদিকে যা দেখছি, শুনছি, যেসব তিক্ত অভিজ্ঞতা অর্জন করছি, এর সবই একটা স্বাধীন দেশের গণতান্ত্রিক সমাজের পক্ষে একেবারেই বেমানান। ফলে যারা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সক্রিয় ছিলেন এবং এখনও বেঁচে আছেন তাদের মনে এই আশঙ্কা জাগা অস্বাভাবিক নয় যে, কালের পরিক্রমায় আবার কি বাহাত্তর ফিরে এলো? বাহাত্তর ফিরে এলে তার পরবর্তী বছরগুলোর পুনরাবৃত্তির শঙ্কাও প্রবল থেকে প্রবলতর হয়ে ওঠে। কিন্তু তা হচ্ছে কেন? স্বাধীনতার পরমুহূর্ত আর ৪০ বছর পেরিয়ে আসা কি এক? তাহলে চার দশক ধরে আমরা কি কেবল ঘোড়ার ঘাসই কেটেছি? আর কিছু করিনি অথবা শিখিনি? ভালো বর্জন আর মন্দ অনুশীলনই কি আমাদের নিয়তি?
অবশ্য '৭২-এর সংবিধান' শব্দবন্ধটির ব্যাপারে কাণ্ডজ্ঞানসম্পন্ন যে কোনো মানুষের আপত্তি থাকার কথা। সংবিধান হচ্ছে রাষ্ট্র পরিচালনার সর্বোচ্চ মৌলিক নীতিমালা। এছাড়া অন্যসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনার সর্বোচ্চ মৌলিক নীতিমালাকে গঠনতন্ত্র বলে, সংবিধান নয়। সংবিধান রাষ্ট্রের হয়, কোনো বিশেষ বছরের হয় না। বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীন হয়েছে; তাই বলে বাংলাদেশের উল্লেখকালে কেউ '৭১-এর বাংলাদেশ বলে না। অতএব বাংলাদেশের (ভার্জিন) সংবিধান বোঝাতে '৭২-এর সংবিধান বলা হবে কেন? '৭২-এর সংবিধান' কথাটির জন্মদাতা যে আক্কেলজ্ঞানের ঘাটতি—এই সত্য অস্বীকার করার সুযোগ নেই।
যা-ই হোক, ১৯৭২ সালে জাতীয় সংসদে অনুমোদিত বাংলাদেশের সংবিধান হুবহু সে চেহারা ফিরে না পেলেও স্বাধীন বাংলাদেশে বাহাত্তর সাল আবার ফিরে এসেছে বলে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে। '৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ শত্রুমুক্ত হলেও এদেশের বিধ্বস্ত দশা ১৯৭২ সালে এসেও কাটেনি। ১৯৭২ সালে আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন ছিল অবশ্যই দেশের সংবিধান প্রণয়ন এবং জাতীয় সংসদ কর্তৃক তা অনুমোদন। বিধ্বস্ত সেতু-কালভার্টের সিংহভাগ মেরামতি সে বছরই সম্পন্ন হয়েছিল; যোগাযোগ ব্যবস্থাও হয়ে উঠেছিল চলনসই। প্রশাসনিক কাঠামো সক্রিয়তা পেয়েছিল থানা স্তর পর্যন্ত। কিন্তু সে সময় স্বাধীনতার 'সুফল' ভোগ করার প্রতিযোগিতা এমন প্রবল ও রক্তাক্ত হয়ে উঠেছিল যে তারপরও বাংলাদেশ কীভাবে টিকে গেল, সে এক মহাবিস্ময় বটে! ১৯৭২ সালেই '১৬ ডিসেম্বর-পরবর্তী মুক্তিযোদ্ধারা' রণাঙ্গনে যুদ্ধ করা মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যায় এবং দাপটে এমনভাবে কোণঠাসা করে ফেলেছিল যে, তাদের বেশিরভাগই দীর্ঘশ্বাস ফেলতে ফেলতে পরলোকগমন করা ছাড়া আর বেশিকিছু করতে পারেননি। তবে একটা কথা মানতে হবে, ১৯৭২ সালে এখনকার মতো গুপ্তহত্যা হতো না; হত্যাকাণ্ড যা ঘটার প্রকাশ্যেই ঘটত। স্টুয়ার্ড মুজিব আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার তিন নম্বর আসামি ছিলেন। এই মামলার একনম্বর আসামি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানিদের হাতে বন্দী হন। দুই নম্বর আসামি লে. কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেনকে ২৬ অথবা ২৭ মার্চ পাকবাহিনী ঢাকায় হত্যা করে। স্টুয়ার্ড মুজিব মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ৯ মাস বিভিন্ন রাণাঙ্গনে প্রবল বিক্রমে লড়াই করেন। '৭২-এর জানুয়ারিতে তিনি ঢাকার গুলিস্তান এলাকায় একটি রেস্টুরেন্টে নাস্তা খাচ্ছিলেন। ২-৩ জন 'মুক্তিযোদ্ধা' হঠাত্ সেখানে ঢুকে তাকে বাইরে টেনে নিয়ে যায়। রাস্তার ওপর স্টুয়ার্ড মুজিবকে গুলি করে মেরে ফেলা হয়। আমরা তখন বুঝে ফেলেছিলাম, নিজের ভাগ্য গড়া এবং পথের কাঁটা সাফ করাই হচ্ছে দেশ গড়ার প্রধান কাজ। এ কাজে অতিব্যস্ততার কারণে সেদিন কেউ স্টুয়ার্ড মুজিবের জন্য দু'ফোঁটা চোখের পানি ফেলার সময় করে উঠতে পারেনি। ১৯৭২ সালে সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে রেস্টুরেন্টে নাস্তা খাওয়ার সময়, সেলুনে চুল কাটার সময়, প্রকাশ্য রাস্তায়, নামাজ পড়তে দাঁড়ানো অবস্থায়, ঘর থেকে বে করে নিয়ে, ঘরের মধ্যেই কতজন যে খুন হয়েছেন, তার কোনো পরিসংখ্যান তখনও ছিল না; এখনো নেই।
'৭২-এর সেই অরাজকতার পথ ধরে '৭৩-এ অনুষ্ঠিত স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় নির্বাচনকে আমরা এমনভাবে কলঙ্কিত করেছিলাম, যে কালির দাগ হাজার বছরের প্রায়শ্চিত্তেও মোছার নয়। '৭৩-এর জাতীয় নির্বাচনে রাষ্ট্রশক্তির স্থূল হস্তক্ষেপে হেলিকপ্টারে করে ব্যালট বাক্স কুমিল্লা থেকে ঢাকায় ছিনিয়ে এনে যাকে জেতানো হয়েছিল, সেই খন্দকার মোশতাক মাত্র দু'বছর বাদে বঙ্গবন্ধুর লাশ ডিঙিয়ে দেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। এরপর যে চুয়াত্তরের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ এসেছিল; পঁচাত্তরে গণতন্ত্র হত্যা, বঙ্গবন্ধু হত্যা, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বাদনকারী চার জাতীয় নেতাকে জেলখানায় হত্যা করার মতো হৃদয়বিদারক ঘটনা একের পর এক ঘটে চলেছিল—এ সবই আজ ইতিহাসের অংশ।
তারপরও বাংলাদেশ টিকে আছে এবং অনেক চড়াই-উত্রাই পার হয়ে সংসদীয় গণতন্ত্রে স্থিত হয়েছে। কিন্তু আজ একুশ শতকের দ্বিতীয় দশকের প্রথম বছরে আমরা যখন মহান বিজয়ের ৪০তম বার্ষিকী পালন করছি, তখন অজানা শঙ্কার কালো মেঘ শুধু মনের আকাশে আনাগোনা করছে না; বরং আকাশ ছেয়ে ফেলতে চাইছে। প্রতিদিন চারিদিকে যা দেখছি, শুনছি, যেসব তিক্ত অভিজ্ঞতা অর্জন করছি, এর সবই একটা স্বাধীন দেশের গণতান্ত্রিক সমাজের পক্ষে একেবারেই বেমানান। ফলে যারা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সক্রিয় ছিলেন এবং এখনও বেঁচে আছেন তাদের মনে এই আশঙ্কা জাগা অস্বাভাবিক নয় যে, কালের পরিক্রমায় আবার কি বাহাত্তর ফিরে এলো? বাহাত্তর ফিরে এলে তার পরবর্তী বছরগুলোর পুনরাবৃত্তির শঙ্কাও প্রবল থেকে প্রবলতর হয়ে ওঠে। কিন্তু তা হচ্ছে কেন? স্বাধীনতার পরমুহূর্ত আর ৪০ বছর পেরিয়ে আসা কি এক? তাহলে চার দশক ধরে আমরা কি কেবল ঘোড়ার ঘাসই কেটেছি? আর কিছু করিনি অথবা শিখিনি? ভালো বর্জন আর মন্দ অনুশীলনই কি আমাদের নিয়তি?
__._,_.___
Palash Biswas
Pl Read:
http://nandigramunited-banga.blogspot.com/
No comments:
Post a Comment