রেল বাজেট ২০১৩
দীর্ঘ এক দশক পর গত জানুয়ারিতেই যাত্রীভাড়া বাড়িয়েছিলেন রেলমন্ত্রী। তখনই বুঝিয়েছিলেন, প্রয়োজন না হলে বাজেটে নতুন করে ভাড়া বাড়ানোর পক্ষপাতী তিনি নন। কিন্তু তার পরই ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায়, ফের যাত্রীভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি সামনে আসে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সরাসরি যাত্রীভাড়া বাড়ানোর রাস্তায় এগোননি বনসল। তিনি জানিয়েছেন, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে রেলের উপর খরচের বাড়তি বোঝা চাপবে। কিন্তু তিনি সেই বোঝা যাত্রীদের ঘাড়ে চাপাতে চান না। এ ছাড়াও পণ্য পরিবহণ মাশুল বেড়েছে ৫ শতাংশ।
ঘটনা হল, যাত্রীভাড়া না বাড়লেও রেলযাত্রার খরচ কিন্তু বাড়ছে। কেননা, মূল ভাড়ার থেকে জ্বালানি সংক্রান্ত খরচ এবার থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে, জ্বালানির মূল্যর সঙ্গে ওঠানামা করবে রেলের ভাড়া। একটি টিকিটের বিচারে সে বৃদ্ধি (বা হ্রাসের) পরিমাণ খুব বেশি না হলেও, সার্বিক ভাবে এতে রেলের ঘরে কিছুটা টাকা ঢুকবে বলে মনে করা হচ্ছে। সুপারফাস্ট চার্জের সঙ্গে রিজার্ভেশন চার্জ ধরলে স্লিপারে ১০, এসি থ্রি টিয়ারে ৩০, টু টিয়ারে ৪০ এবং প্রথম শ্রেণিতে ৫০ টাকা করে খরচ বাড়বে যাত্রীদের।
এ ছাড়াও রিজার্ভেশন, ক্যানসেলেশন, তত্কাল টিকিটের চার্জ বাড়ছে। এবার থেকে দিতে হবে সুপারফাস্ট ট্রেনের চার্জও। টিকিট বাতিলের চার্জ সব শ্রেণিতে ৫-৫০ টাকা বাড়ছে। এ ছাড়াও যাত্রীভাড়া পর্যালোচনা সংক্রান্ত কমিটি বিভিন্ন সময়ে ভাড়া খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী।
জোর করে জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার। ফলে, মেট্রো প্রকল্পগুলির জন্য প্রয়োজনীয় জমি পাওয়ায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এই অবস্থায় রেলমন্ত্রী রাজি নন অকারণে টাকা বরাদ্দ করতে। বরং তিনি ৩৪৭টি প্রকল্পকে প্রায়োরিটি প্রজেক্ট হিসেবে চিহ্নিত করে সেগুলিকে অগ্রাধিকার দিতে চান। আর এর জেরেই ব্যাপক ভাবে ছাঁটাই হল চারটি মেট্রো প্রকল্পে। জোকা-বিবাদি বাগ, নোয়াপাড়া-এয়ারপোর্ট-বারাসত, এয়ারপোর্ট-নিউ গড়িয়া এবং বারাসত-ব্যারাকপুর-দক্ষিণেশ্বর প্রকল্পের বরাদ্দ বিপুল ভাবে কমানো হয়েছে। গত বছর জোকা-বিবাদি বাগ মেট্রো প্রকল্পে ৭৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল৷ এবার তা কমে হয়েছে ৪৫ কোটি টাকা৷
নোয়াপাড়া-এয়ারপোর্ট-বারাসত মেট্রো প্রকল্পে ১ হাজার ৫০ কোটি টাকার বরাদ্দ করা হয়েছিল আগের বার। এবার তা ছেঁটে করা হয়েছে ১৭০ কোটি টাকা৷ এয়ারপোর্ট-নিউ গড়িয়া প্রকল্পে ১০৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলেও এবার তা করা হয়েছে ২৫০ কোটি টাকা৷ বারাসত-ব্যারাকপুর-দক্ষিণেশ্বর প্রকল্পে গত বছর বরাদ্দ ছিল ৬০২ কোটি টাকা৷ এবার তা কমে মাত্র ১০ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের কাজ হাতে নিয়েছে রেল। এ জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। দমদম-নোয়াপাড়া মেট্রো সম্প্রসারণ মার্চ ২০১৩-র মধ্যে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। ২০১১-র রেলবাজেটে এই প্রকল্পগুলির জন্য ৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও খরচ হয়েছিল মাত্র ৭০০ কোটি টাকা। ২০১২-তে ৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও ব্যয় হয় মাত্র ৮০০ কোটি টাকা। বাকি অর্থ ফেরত যায়।
এ ছাড়া এবারের বাজেটে মোট ৭টি নতুন ট্রেন পেয়েছে রাজ্য। কলকাতা-সীতামারি, কলকাতা-আগ্রা, কাটিহার-হাওড়া, হাওড়া-চেন্নাই বাতানুকূল দ্বিসাপ্তাহিক, হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বাতানুকূল দ্বিসাপ্তাহিক, শিয়ালদহ-বহরমপুর কোর্ট মেমু এবং কাটোয়া-জঙ্গিপুর ডেমু ট্রেনের ঘোষণা করেছেন রেলমন্ত্রী। থাকছে ১৮টি নতুন লোকাল ট্রেনও।
কিন্ত্ত চলতি ২০১২-১৩ অর্থ বছরে এই প্রকল্পে ৬৩০ কোটি টাকা বরাদ্দের পর আগামী বছরে ৫০০ কোটি টাকার বরাদ্দ হওয়া মানেও তো আগের বছরের চেয়ে বরাদ্দ কমে যাওয়া৷ এক কেএমআরসি কর্তা বলেন, রেল মন্ত্রক পরে মূলধন খাতে আরও টাকা দেবে বলেই তাঁদের বিশ্বাস৷
তবে এই ১০০ কোটি টাকার বরাদ্দও বাজেটে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্যও বিস্তর কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী ও কেএমআরসি কর্তৃপক্ষকে৷ মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ অন্য যে পাঁচটি মেট্রো প্রকল্প রূপায়ণ করছে, সেগুলির জন্য এই বাজেটে বরাদ্দ অতি সামান্য৷ সেই প্রেক্ষাপট মনে রাখলে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্প যে এগিয়ে যাওয়ার মতো অর্থ পাচ্ছে, সেটাই বড় কথা৷ এই প্রকল্পের গুরুত্ব ও তার এতদিনের কাজের অগ্রগতির কথা মন্ত্রকের মাথায় ঢোকাতে অনেক সময় লেগেছে৷ এক কেএমআরসি কর্তা মঙ্গলবার বলেন, 'একটা সময় তো মনে হচ্ছিল, এক পয়সাও বরাদ্দ হবে না৷ সেই অবস্থান বদল করে যে শেষ পর্যন্ত ১০০ কোটি টাকা রেলে মন্ত্রক বরাদ্দ করতে রাজি হল, সেটাই আমাদের বড় সাফল্য৷'
রেল ও যাত্রীদের সুরক্ষায় ট্রেন প্রোটেকশন ওয়ার্নিং পদ্ধতি ও অটোম্যাটিক সিগনালিং পদ্ধতিও চালু করার প্রস্তাব রয়েছে ২০১৩-১৪ সালের রেল বাজেটে৷ এর অঙ্গ হিসাবে রয়েছে ট্র্যাক ক্যাপাসিটিও৷ প্রস্তাব করা হয়েছে ৬০ কিলোগ্রাম ওজন সম্পন্ন রেল, ২৪০ মিটার বিশেষ ঝালাই প্যানেল ও জোড়মুখ ঝালাইয়ের বিশেষ ফ্ল্যাশ বাট ওয়েল্ডিং টেকনোলজি চালু করার প্রস্তাবও দিয়েছে রেল৷
সংঘর্ষ এড়াতে ট্রেন কলিশন অ্যাভয়ডান্স সিস্টেম (টিসিএসি) চালুর প্রস্তাবও করেছেন রেলমন্ত্রী৷ রেলের ট্র্যাকের গঠনও আরও আধুনিক করা হচ্ছে৷ ধীরে ধীরে সব কোচেই অ্যানটি-ক্লিম্ব ফিচার যোগ করা হবে, এর ফলে দুর্ঘটনা ঘটলেও একটি বগির উপরে আরেকটি উঠে যাবে না৷
বিপর্যয় মোকাবিলায় ঘণ্টায় ১৬০ থেকে ২০০ কিলোমিটার গতি সম্পন্ন যে বিশেষ ট্রেনের (সেল্প প্রপেলড অ্যাক্সিডেন্ট রিলিফ ট্রেনস) প্রস্তাবও বাজেটে রয়েছে৷ রেলসেতুগুলির মধ্যে বিপজ্জনক ১৭টিকে চিহ্নিত করেছে রেল, এ বছরের মধ্যেই সারাইয়ের কাজ শেষ করার প্রস্তাব করেছেন বনশল৷ অগ্নিকাণ্ড এড়াতে ডিটেক্টিভ সিস্টেম চালুর পাশাপাশি বহনযোগ্য অগ্নিনির্বাপক রাখার কথাও বলেছেন বনশল৷
যাত্রী সুরক্ষায় নতুন যত আরপিএফ কর্মী নিয়োগ করা হবে তার ১০ শতাংশ সংরক্ষিত থাকবে মহিলাদের জন্য৷ এ ছাড়াও লেডিজ স্পেশাল ট্রেনগুলির নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে। সেখানেও মোতায়েন করা হবে অতিরিক্ত আরপিএফ। খোলা হচ্ছে হেল্পলাইনও।
নয়াদিল্লি: এবারের রেল বাজেটে সরাসরি বাড়ানো হল না ট্রেনের যাত্রীর ভাড়া৷ যদিও ঘুরপথে রেলের আয়ের সংস্থান করলেন রেলমন্ত্রী পবন বনশল৷ তবে, সরাসরি ভাড়া না বাড়ালেও আগামী দিনে ভাড়াবৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন৷ বাজেটে রেলমন্ত্রীর ঘোষণা, এবার থেকে যাত্রী ভাড়ায় আলাদা করে ধরা হবে জ্বালানি খরচ৷ অর্থাত্ জ্বালানীর খরচ বাড়লে, যাত্রী ভাড়া বাড়ার সম্ভাবনা৷ এছাড়াও, যাত্রীভাড়া নির্ধারণে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে স্বাধীন রেল ট্যারিফ রেগুলেটরি অথিরিটি গঠনেরও ঘোষণা করেছেন পবন বনশল৷
ভাড়া না বাড়িয়ে ঘুরপথে আয়ের সংস্থান করতে এ বারের বাজেটে বাড়ানো হয়েছে সংরক্ষণ চার্জ৷
দ্বিতীয় শ্রেণি ও স্লিপারের সংরক্ষণ চার্জ একই রাখা হয়েছে৷ এসি চেয়ার কার ও ও এসি থ্রি টিয়ারের সংরক্ষণ চার্জ ২৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪০টাকা৷ এসি টু টিয়ারের সংরক্ষণ চার্জ ২৫ টাকা বেড়ে হল ৫০ টাকা৷ এসি প্রথম শ্রেণির ৩৫ থেকে বেড়ে ৬০ টাকা৷
বাড়ানো হয়েছে সুপারফাস্ট ট্রেনের চার্জও-
দ্বিতীয় শ্রেণির ভাড়া ছিল ১০ টাকা৷ বেড়ে হল ১৫ টাকা৷ স্লিপার ২০ থেকে বেড়ে ৩০৷ এসি চেয়ার কার, এসি থ্রি টিয়ার, এসি টু টিয়ারের চার্জ ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ টাকা করা হয়েছে৷ প্রথম শ্রেণি সাধারণের চার্জ তিরিশ টাকা থেকে বাড়িয়ে পঁয়তাল্লিশ টাকা করা হয়েছে৷ এসি প্রথম শ্রেণির সুপারফাস্ট ট্রেনের চার্জ ৫০ টাকা থেকে বেড়ে হল ৭৫টাকা৷ এর জেরে কেউ যদি সুপারফাস্ট ট্রেনে সংরক্ষিত টিকিট কাটতে চান, তা হলে সেক্ষেত্রেও খরচ বাড়ছে৷
দ্বিতীয় শ্রেণির সুপারফাস্টে খরচ বাড়ছে ৫ টাকা৷ স্লিপারে বাড়ছে ১০টাকা৷ সুপারফাস্টের এসি চেয়ারকার ও এসি থ্রি টিয়ারে ৩০টাকা৷ প্রথম শ্রেণি ও এসি টু টিয়ারে সফর খরচ বাড়ল ৪০ টাকা৷ সুপারফাস্ট ট্রেনের এসি প্রথম শ্রেণিতে গেলে খরচ বাড়ছে ৫০টাকা৷
তত্কালে টিকিট কাটতেও খরচ বাড়ছে-
স্লিপারে তত্কাল চার্জ ১৫০ থেকে বেড়ে হল ১৭৫ টাকা৷ এসি চেয়ারকারে ১৫০ থেকে বেড়ে ২০০টাকা৷ এসি থ্রি টিয়ারে ৩০০ থেকে বেড়ে ৩৫০৷ এসি টু টিয়ারে ও এসি প্রথম শ্রেণিতে তত্কাল চার্জ ৩০০ থেকে বেড়ে হল চারশো টাকা৷
এবারের বাজেটে টিকিট বাতিলের চার্জও বাড়ানো হয়েছে৷দ্বিতীয় শ্রেণির টিকিট বাতিলের চার্জ ২০ থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে৷ এসি প্রথম শ্রেণির ৭০ থেকে বাড়িয়ে ১২০টাকা৷
সি কে জাফর শরিফ থেকে পবন কুমার বনসল৷ মাঝে ১৭ টা বছরের ব্যবধানে তৃণমূলের সঙ্গে জোট ভাঙার পর মঙ্গলবার প্রথম রেল বাজেট পেশ করলেন বনসল৷ কেমন বাজেট উপহার দেন তিনি, সেদিকেই নজর ছিল আমজনতা থেকে শুরু করে সব মহলের। রেলমন্ত্রী হওয়ার পরই তিনি ভাড়া বাড়িয়েছেন।আবার কি বাড়বে? এই জল্পনা ছিল।সূত্রের খবরে অনুমান করা হচ্ছিল, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে তাল রাখতে গিয়ে রেলভাড়া বাড়ানো হতে পারে। সরাসরি না হলেও যাত্রী পরিষেবা সেস বসানো হতে পারে এবং তার পাশাপাশি জ্বালানি খাতে দামবৃদ্ধির ধাক্কা সামলাতে কোনও পদক্ষেপ করা হতে পারে যার জেরে যাত্রীভাড়া বাড়বে। শেষপর্যন্ত দেখা গেল রেলের আর্থিক ভাঁড়ারের হাল খুবই খারাপ, এই যুক্তি দেখিয়ে পরোক্ষে ভাড়া বাড়ানোর রাস্তাতেই হাঁটলেন বনসল।
http://abpananda.newsbullet.in/national/60-more/33960-2013-02-26-04-20-41
নয়াদিল্লি: সরাসরি যাত্রী ভাড়া না বাড়ালেও বাজেটে রেলের আয় বাড়াতে পণ্য মাসুল বাড়ালেন রেলমন্ত্রী পবন বনশল৷ ৫.৮ শতাংশ হারে বাড়ানো হল পণ্য মাসুল৷ ১ এপ্রিল থেকে এই বর্ধিত মাসুল কার্যকর হবে৷
বিভিন্ন খাদ্যশস্য, থেকে শুরু করে কয়লা, লোহা, ইস্পাত, ইউরিয়া, লৌহ আকরিক, ডিজেল, কেরোসিন, এলপিজি-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের পরিবহণে এবার থেকে বর্ধিত মাসুল দিতে হবে৷ এর আঁচ আম আদমির গায়ে লাগবে বলে আশঙ্কা বণিক মহল ও অর্থনীতিবিদদের একাংশের৷
অ্যাসোচেমের সভাপতি রাজকুমার ধুতের মত, পণ্য মাসুল বাড়ায় মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে৷ তাঁর বক্তব্য,শিল্পজাত পণ্য পরিবহণে মাসুল বাড়ালে আপত্তি নেই৷ কিন্তু, ইউরিয়া ও কৃষিজাত পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে বর্ধিত মাসুল রেলমন্ত্রী প্রত্যাহার করা উচিত৷ তা না হলে সাধারণ মানুষকে ভুগতে হবে৷
বণিকসভা সিআইআইয়েরও একই মত৷ তাদের আশঙ্কা,পণ্য মাসুল বৃদ্ধির জেরে জিনিসপত্রের দাম বাড়বে৷ মুদ্রাস্ফীতির বাড়তি চাপ সইতে হবে৷ বোঝা বাড়বে সাধারণ মানুষের উপর৷
যে ভাবে পবন বনশল আয় বাড়ানোর চেষ্টা করছে তাতে খুশি নয় আরেক বণিক সভা ভারত চেম্বার অফ কমার্সও৷ তাঁদের বক্তব্য, আর্থিক স্বাস্থ্য ফেরাতে উদ্ভাবনী কোনও পথ খুঁজে বের করতে পারল না রেল৷
অর্থনীতিবিদদেরও একটা বড় অংশ মনে করছে, পণ্য মাসুল বাড়ায় খাদ্যশস্য, পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য, সার-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের পরিবহণ খরচ বাড়বে৷ যার জেরে, মুদ্রাস্ফীতির হারও ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার আশঙ্কা৷
তবে বিশেষজ্ঞমহলের মহলের একটা অংশের এও বক্তব্য, পণ্য মাসুল বাড়ায় পরিবহণের খরচ বাড়বে ঠিকই, কিন্তু সেই বর্ধিত খরচের কতটা গ্রাহকদের উপরে চাপানো হবে সেটা এখন বাজারের হাতে৷ পণ্য মাসুল বাড়ানোর ক্ষেত্রে রেলমন্ত্রীর অবশ্য যুক্তি, ভাল পরিষেবা দিতে ও ভাল ভাবে সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে, আর্থিক ভাবে শক্তিশালী হতেই হবে৷
এদিকে, রেল বাজেটের পরই বাজারের মুখ ভার৷ বাজেট পেশের পরই শেয়াবাজারে ধস নামে৷ ৩১৬ পয়েন্ট নেমে সেনসেক্সের সূচক দাঁড়ায় প্রায় ১৯ হাজার পনেরোয়৷ ২৯ নভেম্বরের পর এই প্রথম শেয়ারবাজারে এতবড় ধস৷ ৯৩ দশমিক চার শূন্য পয়েন্ট নেমে নিফটির সূচক দাঁড়ায় ৫ হাজার ৭৬১তে৷
http://abpananda.newsbullet.in/national/60-more/33992-2013-02-26-14-35-30
নয়াদিল্লি: হাততালি কুড়োতে প্রকল্পের ফুলঝুরি নেই৷ সামর্থের বাইরে গিয়ে অহেতুক ঘোষণা নেই৷ বরং রেলের বেহাল আর্থিক দশার কথা মাথায় রেখেই বাস্তবমুখী রেল বাজেট পেশ করলেন রেলমন্ত্রী পবনকুমার বনশল৷ খোলা রাখলেন সংস্কারের দরজা৷
এদিন বাজেট বক্তৃতা পেশ করতে গিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, স্বপ্ন যতই উঁচু হোক, মাটিতে পা রেখে চলতে হবে৷ আর সেই বক্তব্যের ছাপই দেখা গেল তাঁর বাজেটেও৷ কীভাবে? রেলমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, এবার থেকে যাত্রী ভাড়ায় আলাদা করে ধরা হবে জ্বালানি খরচ৷ অর্থাত্ স্পষ্ট, জ্বালানির খরচ বাড়লে, যাত্রী ভাড়াও বাড়ার সম্ভাবনা৷ ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে রেলমন্ত্রী ভবিষ্যতে যাত্রী ভাড়া বাড়ানোর রাস্তা খোলা রাখলেন৷
চলতি আর্থিক বছরে পণ্য পরিবহণ থেকে রেলের আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে, ৯৩ হাজার ৫৫৪ কোটি টাকা৷ আর যাত্রী পরিবহণ থেকে ৪২ হাজার ২১০ কোটি টাকা৷
অপারেশনাল রেশিও অর্থাত্, ১০০ টাকা আয় করতে রেলের যত টাকা ব্যয় হয়, সেই অনুপাতের লক্ষ্যমাত্রাটা রাখা হয়েছে ৮৭.৮ শতাংশ৷ ২০১১-১২ আর্থিক বছরে এই অপারেশনাল রেশিও পৌঁছে গিয়েছিল ৯৪.৯ শতাংশে৷
প্রকল্প ঘোষণার ক্ষেত্রেও রয়েছে বাস্তবের ছোঁয়া৷ রেলওয়ে ল্যান্ড ডেভলপমেন্ট অথরিটি এবং ইন্ডিয়ান রেলওয়ে স্টেশন ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের জন্য ১ হাজার কোটি টাকা করে ফিক্সড ডিপোজিট করা হবে৷
পরিকল্পনা খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে ৬৩ হাজার ৩৬৩ কোটি৷ এর মধ্যে অর্থমন্ত্রক দেবে ২৬ হাজার কোটি টাকা৷
অন্যদিকে, রেলমন্ত্রী সংস্কারের রাস্তাও খোলা রেখেছেন৷ যাত্রীভাড়া নির্ধারণে রাজনৈতিক দখলদারি রুখতে একটি স্বাধীন রেল ট্যারিফ রেগুলেটরি অথিরিটি গঠন করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে৷
জোর দেওয়া হয়েছে বন্দর, খনি ও ভারী শিল্প উত্পাদন কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরির ওপর৷ এই খাতে অধিকাংশ প্রকল্পই তৈরি হবে পিপিপি মডেলে৷ যার জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৯ হাজার কোটি টাকা৷
হরিয়ানা, অন্ধ্রপ্রদেশের কয়েকটি রাজ্যকে অংশীদার করেও রেলের কয়েকটি প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে৷
এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলেও প্রায় কুড়িটি নতুন প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে৷ কিন্তু, তার মধ্যে ১৫টি প্রকল্প অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে দাঁড়িয়ে৷ রেলের ভাঁড়ারে হাঁড়ির হাল৷ রাজনৈতিক মহলের মতে, এই পরিস্থিতিতে শুধু জনপ্রিয়তা কুড়োতে সামর্থের বাইরে বেরিয়ে প্রকল্প ঘোষণার কোনও যুক্তি নেই, তা রেলমন্ত্রী খুব ভালভাবেই বুঝতে পেরেছেন৷ বরং আয় বাড়ানো এবং প্রকল্প রূপায়ণে জোর দেওয়াই বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত৷ আর বাস্তবের সেই দাবি মেনেই সংস্কারের দরজা খোলা রেখে এবং নির্দিষ্ট দিশায় পবনকুমার বনশলের এই বাজেট৷
http://abpananda.newsbullet.in/national/60-more/33991-2013-02-26-14-25-20
নয়াদিল্লি: ১৭ বছর পর কংগ্রেসের মন্ত্রী হিসেবে রেল বাজেট পেশ করতে গিয়ে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যে জোর দিলেন পবন বনশল৷ তাঁর ঘোষণা, এবার থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ই-টিকিট কাটা যাবে৷
ইন্টারনেটে টিকিট বুকিংয়ের সময়ও বাড়ানো হয়েছে৷ নতুন প্রজন্মের ই-টিকিট সিস্টেমের মাধ্যমে রাত সাড়ে বারোটা থেকে পরের দিন রাত সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত ইন্টারনেটে টিকিট কাটা যাবে৷ আগে যে খানে মিনিটে ২হাজার ই-টিকিট বুক করা যেত, এখন কাটা যাবে ৭ হাজার ২০০টি৷ এসএমএস অ্যালার্টের মাধ্যমে জানা যাবে সংরক্ষিত টিকিট বুকিংয়ের অবস্থান।
এছাড়াও, বিভিন্ন ট্রেনে করা হবে বায়ো টয়লেটের ব্যবস্থা।
বিশেষ কয়েকটি ট্রেনে থাকবে ওয়াই-ফাই সিস্টেম।
টিকিট কাটার জন্য অটোমেটিক টিকিট ভেন্ডিং সিস্টেম, আনরিজার্ভড টিকেটিং সিস্টেম, কয়েন অপারেটেড টিকিট ভেন্ডিং মেশিনের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।
যাত্রীরা যাতে ট্রেনে চড়ার সময় ফোন, এসএমএস, ইমেলের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখতে পারেন তার ব্যবস্থা৷
স্টেশনগুলিতে আরও বেশি সংখ্যায় ইলেকট্রনিক বোর্ড।
পরিষ্কার, পরিচ্ছন্নতায় বিশেষ নজর।
আরও ৬০টি স্টেশনকে আদর্শ স্টেশন করার পরিকল্পনা।
গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলিতে ১৭৯টি চলমান সিঁড়ি, এ-১ স্টেশনগুলিতে ৪০০ লিফট।
প্রতিটি স্টেশনে প্রাথমিক চিকিত্সার ব্যবস্থা।
নির্বাচিত কয়েকটি ট্রেনে বিশেষ সুবিধাযুক্ত 'অনুভূতি' কোচের সংযোজন।
বিজয়ওয়াড়া, নাগপুর, ললিতপুর, বিলাসপুর, জয়পুর ও আমদাবাদে আরও ৬টি রেল নীর প্রকল্প।
রেলের খাবারের গুণগত মান যাতে ঠিকঠাক থাকে সেদিকে নজর রাখতে একটি বিশেষ সেল গঠন৷ যার টোল ফ্রি নম্বর ১৮০০ ১১১ ৩২১।
এছাড়াও রেল পরিষেবায় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে৷ বনশল জানিয়েছেন, রেলকর্মীদে ও যাত্রীদের জন্য আঁধার কার্ড ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে৷
http://abpananda.newsbullet.in/national/60-more/33993-2013-02-26-14-49-48
রেল বাজেটে রাজ্যের প্রাপ্তি মাত্র ৫টি দূরপাল্লার ট্রেন। কলকাতা-সীতামারি, কলকাতা আগরা, কাটিহার- হাওড়া এবং হাওড়া নিউ জলপাইগুড়ি বাতানুকুল সাপ্তাহিক ট্রেনের ঘোষণা করেছেন রেলমন্ত্রী। ঘোষণা হয়েছে হাওড়া-চেন্নাই বাতানুকূল দ্বিসাপ্তাহিক এক্সপ্রেসের। এছাড়া শিয়ালদা-বহরমপুর কোর্ট মেমু এবং কাটোয়া-জঙ্গিপুর ডেমু ট্রেনের ঘোষণা করেছেন রেলমন্ত্রী।
সরাসরি বাড়ানো না হলেও ঘুরপথে বাড়ানো হল যাত্রীভাড়া। দূরপাল্লার প্রতিটি টিকিটের ক্ষেত্রে বসানো হচ্ছে বেশ কিছু সারচার্জ। আজ রেল বাজেট পেশ করে রেলমন্ত্রী পবন বনসল বলেন, "প্রতিটি টিকিটের ক্ষেত্রে সাপ্লিমেন্টারি চার্জ এবং রিজার্ভেশন চার্জ বাড়বে।" তাছাড়াও ততকালের ক্ষেত্রে এবং টিকিট বাতিল করলে আগের তুলনায় বেশি চার্জ লাগবে। তবে, বাজেট প্রস্তাব অনুযায়ী লোকাল ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে না। পণ্য মাশুল ৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে রেল বাজেটে। অর্থ সঙ্কট মেটাতেই রেলের পণ্য মাশুল বাড়াতে হয়েছে। আজ রেল বাজেট বক্তৃতার শুরুতেই একথা বলেন রেলমন্ত্রী পবনকুমার বনসল। তিনি বলেন, "টাকার অভাবে বহু জায়গায় থমকে গিয়েছে গেজ সম্প্রসারণের কাজ।"
রেল বাজেটে দেশজুড়ে ২৫টি কারখানার ঘোষণা করেছেন রেলমন্ত্রী পবনকুমার বনসল। তবে এই ২৫ টির মধ্যে মাত্র একটি প্রকল্প আসছে এ রাজ্যে। রেলমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, বহরমপুরে একটি ওয়ার্কশপ বানাবে রেল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন বহু রেল কারখানা ঘোষিত হয় এ রাজ্যের জন্য। তবে, তার বেশিরভাগ প্রকল্পের কাজই শুরু করা যায়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সময় ঘোষিত ৩৭ টি প্রকল্পের শিলান্যাস হলেও একটিরও ফিজিবিলিটি রিপোর্ট এখনও তৈরি করা যায়নি। কোদকর কমিটির সুপারিশ মেনে দুর্ঘটনা শূন্য ব্যবস্থা তৈরিই এই মুহূর্তে অন্যতম লক্ষ্য। রেল বাজেট পেশ করতে গিয়ে এমনটাই বললেন পবন বনসল।
তৃণমূলকে ধ্বংস করতেই এই রেল বাজেট। বাংলার প্রতি বঞ্চনার সংখ্যাতত্ত্ব তুলে অভিযোগ করল তৃণমূল কংগ্রেস। রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী অবশ্য এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। পবন বনসলের রেল বাজেটকে সামনে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে সিপিআইএম। দলের নেতা মহম্মদ সেলিমের মন্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত রেল প্রকল্পগুলির যে কোনও বাস্তব ভিত্তি ছিল না, এ বারের বাজেটে তাই প্রকাশ্যে চলে এসেছে।
তৃণমূল নেতা সৌগত রায়ের অভিযোগ, নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর-বারাসত মেট্রো প্রকল্পের জন্য ২,৩০০ কোটি টাকা খরচ ধরা হলেও বরাদ্দ হয়েছে মাত্র ১৭০ কোটি টাকা। বিমানবন্দর-নিউ গড়িয়া প্রকল্পের জন্য ৩৯০০ কোটি টাকা খরচ ধরা হলেও মাত্র ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। দমদম-বারাকপুর-দক্ষিণেশ্বর মেট্রো প্রকল্পে ২০০০ কোটি টাকা খরচ ধরা হলেও এ বারের রেল বাজেটে মাত্র ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সৌগত রায়। জোকা-বিবাদি মেট্রোয় ২৬০০ কোটি টাকা খরচের জায়গায় ৪৫ কোটি টাকা এবং ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পে ৪৮০০ কোটি টাকার বদলে মাত্র ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে তৃণমূলের অভিযোগ।
এ বার রেল বাজেট পেশের পর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত নানা অবাস্তব প্রকল্পের বেড়াল ঝুলি থেকে বেড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ, সিপিআইএম নেতা মহম্মদ সেলিমের।
রেলের আর্থিক সঙ্কটের কথা স্বীকার করায় পবন বনসলকে সাধুবাদ জানিয়েছে সিপিআইএম। তবে, ঘুরপথে রেলের ভাড়া বৃদ্ধি ও পণ্যমাশুল বাড়ানোর জন্য কংগ্রেসের সমালোচনা করা হয়েছে সিপিআইএমের পক্ষ থেকে।
সংস্কারের ছায়া ২০১৩ রেল বাজেটে। দাবি প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের। মঙ্গলবার সংসদে রেল বাজেট পেশের পর এবারের বাজেটকে `সংস্কার মূলক` বলার পাশাপাশি অগ্রগতির ইঙ্গিতবাহি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ দিন তিনি বলেন, "এবারের বাজেটে রেল অর্থনীতির বাস্তব ছবিটা ধরা পরেছে।"
রেলমন্ত্রী পবন বনসলের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী যাত্রী পরিষেবা উন্নয়ন ও রেলের খরচা নিয়ন্ত্রণে বনসল উল্লেখযোগ্য দিশা দেখাতে পেরেছেন বলে দাবি মনমোহনের। প্রধানমন্ত্রী বলেন, "রেলের পরিকাঠামো ঢেলে সাজাতে পবন কুমার বনসল ভাল কাজ করেছেন, আমি তার প্রশংসা করি।"
২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে জনমোহিনি বাজেট দিতে ঠিক কী কী চমক থাকবে রেলের পরিকল্পনায়, তা নিয়ে দফায় দফায় প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমের সঙ্গে বৈঠক করেন পবন বনসল।
এই কামরাগুলির নাম দেওয়া হবে 'অনুভূতি'। স্বাভাবিক ভাবেই কামরাগুলির ভাড়া বেশি হবে। সংরক্ষণের সময়ই সেই ভাড়া যাত্রীদের থেকে নেওয়া হবে। এ ছাড়াও বাছাই করা কয়েকটি ট্রেনে পাইলট ভিত্তিতে এসএমএস বা ফোন পরিষেবা শুরু করা হবে, যাতে ট্রেনের কর্মীদের সঙ্গে যাত্রীরা এসএমএস বা ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারবেন। এতে আরও ভালো পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করছেন রেলমন্ত্রী।
সংসদে রেল বাজেট পেশ করেছেন রেলমন্ত্রী পবন কুমার বনসল। রেলের ভাড়ার যে ক্রমেই শূন্য হচ্ছে সে কথা স্বীকার করে নিলেন রেলমন্ত্রী। যাত্রীদের রেল যাত্রাকে আরও সুরক্ষিত করতে বিশাল রেল নেটওয়ার্কের অর্থনৈতিক নির্ভরতা বাড়ানো দরকার আছে বলে মনে করেন তিনি। রেলমন্ত্রী বলেন, "দ্রুত রেল ব্যবস্থায় পরিকাঠামোর উন্নয়ন ঘটানো দরকার। অর্থনীতির সঙ্গে সাযুজ্য রেখে যাত্রী ও ফ্রেড ভাড়া নির্ণয় প্রয়োজন।" রেলের উন্নয়নের সঙ্গেই দেশের উন্নতি জড়িত বলে মনে করেন রেলমন্ত্রী।
চলতি আর্থিক বছরের রেলের ক্ষতির খতিয়ান দিয়েছেন পবন বনসল। তিনি জানিয়েছেন ২০১২-১৩ সালে রেলে মোট ক্ষতির পরিমাণ ২৪ হাজার কোটি টাকা। এ দিন সংসদে বাজেট পেশের সময় এলাহাবাদে পদপিষ্ট হয়ে পুন্যার্থীদের মৃত্যুর প্রসঙ্গও টেনে আনেন বনসল। গোটা ঘটনায় রেলের তরফে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। সেইসঙ্গে তাঁর এও দাবি, গত রেল দুর্ঘটনায় উল্লেখযোগ্য ভাবে রাশ টানতে পেরেছে মন্ত্রক। দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পবন বনসল বলেন, প্রতিটি ট্রেনে অ্যান্টি কোলিশন ডিভাইস বসানোর প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি গোটা দেশে মোট ১০ হাজার ৯৯৭ সয়ংক্রিয় লেভেল ক্রসিং তৈরির কথা ঘোষণা করেন রেলমন্ত্রী। নতুন করে কোনও কর্মিবিহীন লেভেল ক্রসিং তৈরি করা হবে না বলে জানান রেলমন্ত্রী। ট্রেনে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এ দিন সকালে রেলভবনে যাওয়ার পথে রেলমন্ত্রী জানান, "বাজেট পেশের পর সাধারণ মানুষ কী বলেন, সে দিকেই তাকিয়ে আমি।"
টাকার অভাবে বাড়ছে সমস্যা
অর্থের অভাবে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে
প্যাসেঞ্জার সার্ভিস খাতে ক্ষতির পরিমাণ ২০০১ সালের ৪৯৫৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০১১-২০১২ সালে ২২৫০০ কোটি টাকা হয়েছে। ২০১২-২০১৩ সালে
সেটা বেড়ে আনুমানিক ২৪৬০০ টাকা হওয়ার সম্ভাবনা।
আগের রেলবাজেটের অন্তর্গত প্রকল্প গুলোর মধ্যে লাইন বৈদুত্যিকরণ ও নতুন লাইন পাতার কাজ সম্পন্ন।
কিন্তু ডবল লাইন পাতার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা যায়নি।
১২তম প্ল্যানে মোট রেল বাজেট ৫ কোটি ১৯ লক্ষ টাকা।
তার থেকে গ্রস বাজেটারি সাপোর্ট পাওয়া যাবে ১ কোটি ৯৪ লক্ষ টাকা
অভন্ত্যরীণ সূত্র থেকে পাওয়া যাবে ১ কোটি ৫ লক্ষ টাকা
প্রতি ১০০ কিলোমিটারে অ্যাক্সিডেন্ট ২০০৩-এর ০.৪১ থেকে কমে ২০১১-২০১২ সালে ০.৩ নেমে এসেছে।
সেন্ট্রাল রেল ফান্ড থেকে ৫০০০ কোটি টাকা দরকার
মোট ক্ষতির পরিমাণ ২৫০০০ কোটি
আরও এলএইচবি কোচ চালু করা হবে।
রেললাইন পাড় করার সময় ট্রেনের ধাক্কায় যাতে হাতিদের মৃত্যু রোধে সে বিষয়ে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও বেশি সংখ্যক মহিলা আরপিএফ নিযুক্ত করা হবে।
লেডিস স্পেশাল ট্রেনগুলিতে মহিলা আরপিএফ নিযুক্ত করা হবে।
লেভেল ক্রসিং-এর সংখ্যা কমানো হবে।
নতুন কোন লেভেল ক্রসিং তৈরি হবে না।
ট্রেন সুরক্ষা সতর্কতা প্রযুক্তি চালু করা হবে।
অ্যান্টি ট্রেন কলিসন প্রযুক্তি পরীক্ষা করা হবে।
ট্র্যাকগুলির উন্নতমানের করা হবে।
ক্ষতিগ্রস্থ রেলব্রিজ গুলিকে দ্রুত সারিয়ে ফেলা হবে।
অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাকে জোরদার করা হবে। ধোঁয়া চিহ্নিতকারী যন্ত্রের প্রয়োগ করা হবে।
২০১৪ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে কর্পোরেট সুরক্ষা প্রকল্পটি রূপায়িত করা হবে।
রেলে নারী সুরক্ষার বিষয়টি জোরদার করা হবে। মহিলাদের জন্য ৮টি আরপিএফ ইউনিট তৈরি করা হবে।
লোকাল ও মেট্রোতে মহিলা কামরা গুলির জন্য মহিলা আরপিএফ নিযুক্ত করা হবে।
পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের মত বিষয় গুলিতে জোর দেওয়া হবে।
যে স্টেশন গুলি কোন ধর্মস্থানের সঙ্গে যুক্ত এবং যে স্টেশনগুলি মোটা ১০ লক্ষ মানুষের কোন জনপদ সংলগ্ন সেই রকম ১০৪টি স্টেশন চিহ্নিত করে তাদের পরিস্কার
পরিচ্ছন্নতার উপর জোর দিতে হবে।
ট্রেনের মধ্যে হাউস্কিপিং সুবিধা আনা হবে।
জামাকাপড় কাচার যান্ত্রিক সুবিধা আনা হবে।
বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেনের সময়সূচী নির্দেশক ইলেকট্রনিক বোর্ড চালু করা হবে।
বাছাই করা কিছু ট্রেনে বিনামূল্যে ওয়াইফাই পরিষেবা চালু করা হবে।
বাছাই করা ৯০০টির সঙ্ঘে আরও ৬০টি স্টেশ্নকে আপগ্রেড করা হবে।
রেলওয়ে স্টেশন গুলিতে ফার্স্ট এইড পরিষেবা চালু করা হবে।
রাজধানী ও সাহ্রাব্দি এক্সপ্রেসে বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের জন্য অনুভূতি কোচ চালু করা হবে।
স্টেশনে বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের জন্য লিফট ও এলিভেটর চালু করা হবে।
স্টেশন গুলিকে হুইল চেয়ার ব্যবহারের উপযুক্ত করে তুলতে হবে। বাড়াতে হবে হুইল চেয়ারের সংখ্যাও।
তৎকাল সহ আনুষঙ্গিক কয়েকটি পরিষেবায় চার্জ বাড়ছে
৫-৬ শতাংশ বাড়বে অতিরিক্ত আয়ের জন্য
ক্রমাগত জ্বালানীর মূল্যবৃদ্ধি রেল পরিষেবার খরচ বৃদ্ধি করে। ফলে জ্বালানির খরচ বৃদ্ধির সঙ্গে রেলের খরচে সামঞ্জস্য রাখতে নতুন প্রযুক্তি আমদানি করা হবে
মূল ভাড়ার মধ্যে জ্বালানিকে পৃথক অংশ হিসেবে রাখা হবে
জ্বালানি খরচ বাড়ার ফলে রেলের খরচ ৫ হাজার কোটি টাকা বাড়বে
৫ শতাংশের কম হারে বাড়বে ফ্রেট
ফুয়েল অ্যাডজাসমেন্ট কম্পোনেন্ট (ফ্যাক)-কে শক্তিশালী করা হবে
এপ্রিলের ১ থেকে ফ্রেট ট্র্যাফিকে ফ্যাক চালু হবে।
যাত্রী ভাড়া না বাড়ানোয় রেলের উপর ৮৫০ কোটি টাকার প্রভাব পড়বে
পরিকাঠামো উন্নয়ন
১২ হাজার কিলোমিটার বৈদ্যুতিকরণ করা হবে
কলকাতায় একাধিক মেট্রো রেলের কাজ সম্পন্ন করা হবে
কলকাতায় ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে
মুম্বইতে প্রথম শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মেমু (MEMU) চালু হবে
মুম্বইয়ে ৭২টি এবং কলকাতায় ১৮টি নতুন পরিষেবা চালু হবে
কলকাতায় ৮০টি রেলের রেক ৯ থেকে বাড়িয়ে ১২টি করা হবে
৫০০ কিমি নতুন রেলপথ তৈরি করা লক্ষ্য
২০১৩-১৪-এ রেলের নতুন প্রকল্প
নতুন লাইন
ভুপদেওপুর-রায়গড় (পিপিপি)
গেভরা রোড- পেনড্রা রোড (পিপিপি)
জয়সলমির- সানু
করাইকল-পেরালাম
রেওয়ারি-রোহটক (মাকরাউলি পর্যন্ত নতুন লাইন)
সুলতানপুর-কাদিপুর
থানজাভুর- পাট্টূকোট্টাই
মাভলি-বারি সাদরি সেকশনে গেজ পরিবর্তন
ডাবলিং
আলোয়ার-বান্দিকুই
চেন্নাই সেকশন-বেসিন ব্রিজ জাংশন (পঞ্চম এবং ষষ্ঠ লাইন)
দানিয়া-রাঁচি রোড
দাপ্পর-চণ্ডীগড়
গারওয়া রোড-রামনা
হাজিপুর-রামদয়ালু
জরাংডিহি-দানেয়া
পালানপুর-সমখিয়ালি
রায় বরেলি-আমেঠি
ভাতভা-আমেদাবাদ
বৈদ্যুতিকরণ
দিল্লি সরাই রোহিলা-রেওয়াড়ি-পালানপুর-আমেদাবাদ
কলোল-গান্ধীনগর-খোদিয়ার এবং আলোয়ার- বান্দিকুই জয়পুর-ফুলেরা
জখল-হিসার
জখল-ধুরি-লুধিয়ানা
রাজপুর-ধুরি-লুধিয়ানা
রাজপুর-ধুরি-লেহরা মোহাভাট
সিঙ্গাপুর রোড-দমনজোরি
পরিচ্ছন্ন রেল পরিষেবা
যাত্রী পরিষেবা উন্নয়নে দায়বদ্ধ রেল
পরিষেবা ও সুরক্ষার বিনিময় নতুন ট্রেন নয়
১০৪টি স্টেশন নির্দিষ্ট করে পরিচ্ছন্নতার জন্য নির্দিষ্ট করা হবে
আরও বেশি ট্রেনে বায়ো-টয়লেট তৈরি হবে
যাত্রীভাড়া ও ফ্রেট
বাড়ছে না যাত্রী-ভাড়া
তৎকাল সহ আনুষঙ্গিক কয়েকটি পরিষেবায় চার্জ বাড়ছে
৫-৬ শতাংশ বাড়বে অতিরিক্ত আয়ের জন্য
ক্রমাগত জ্বালানীর মূল্যবৃদ্ধি রেল পরিষেবার খরচ বৃদ্ধি করে। ফলে জ্বালানির খরচ বৃদ্ধির সঙ্গে রেলের খরচে সামঞ্জস্য রাখতে নতুন প্রযুক্তি আমদানি করা হবে
মূল ভাড়ার মধ্যে জ্বালানিকে পৃথক অংশ হিসেবে রাখা হবে
জ্বালানি খরচ বাড়ার ফলে রেলের খরচ ৫ হাজার কোটি টাকা বাড়বে
৫ শতাংশের কম হারে বাড়বে ফ্রেট
ফুয়েল অ্যাডজাসমেন্ট কম্পোনেন্ট (ফ্যাক)-কে শক্তিশালী করা হবে
এপ্রিলের ১ থেকে ফ্রেট ট্র্যাফিকে ফ্যাক চালু হবে।
যাত্রী ভাড়া না বাড়ানোয় রেলের উপর ৮৫০ কোটি টাকার প্রভাব পড়বে
পরিকাঠামো উন্নয়ন
১২ হাজার কিলোমিটার বৈদ্যুতিকরণ করা হবে
কলকাতায় একাধিক মেট্রো রেলের কাজ সম্পন্ন করা হবে
কলকাতায় ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে
মুম্বইতে প্রথম শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মেমু (MEMU) চালু হবে
মুম্বইয়ে ৭২টি এবং কলকাতায় ১৮টি নতুন পরিষেবা চালু হবে
কলকাতায় ৮০টি রেলের রেক ৯ থেকে বাড়িয়ে ১২টি করা হবে
৫০০ কিমি নতুন রেলপথ তৈরি করা লক্ষ্য
২০১৩-১৪-এ রেলের নতুন প্রকল্প
নতুন লাইন
ভুপদেওপুর-রায়গড় (পিপিপি)
গেভরা রোড- পেনড্রা রোড (পিপিপি)
জয়সলমির- সানু
করাইকল-পেরালাম
রেওয়ারি-রোহটক (মাকরাউলি পর্যন্ত নতুন লাইন)
সুলতানপুর-কাদিপুর
থানজাভুর- পাট্টূকোট্টাই
মাভলি-বারি সাদরি সেকশনে গেজ পরিবর্তন
ডাবলিং
আলোয়ার-বান্দিকুই
চেন্নাই সেকশন-বেসিন ব্রিজ জাংশন (পঞ্চম এবং ষষ্ঠ লাইন)
দানিয়া-রাঁচি রোড
দাপ্পর-চণ্ডীগড়
গারওয়া রোড-রামনা
হাজিপুর-রামদয়ালু
জরাংডিহি-দানেয়া
পালানপুর-সমখিয়ালি
রায় বরেলি-আমেঠি
ভাতভা-আমেদাবাদ
বৈদ্যুতিকরণ
দিল্লি সরাই রোহিলা-রেওয়াড়ি-পালানপুর-আমেদাবাদ
কলোল-গান্ধীনগর-খোদিয়ার এবং আলোয়ার- বান্দিকুই জয়পুর-ফুলেরা
জখল-হিসার
জখল-ধুরি-লুধিয়ানা
রাজপুর-ধুরি-লুধিয়ানা
রাজপুর-ধুরি-লেহরা মোহাভাট
সিঙ্গাপুর রোড-দমনজোরি
পরিচ্ছন্ন রেল পরিষেবা
যাত্রী পরিষেবা উন্নয়নে দায়বদ্ধ রেল
পরিষেবা ও সুরক্ষার বিনিময় নতুন ট্রেন নয়
১০৪টি স্টেশন নির্দিষ্ট করে পরিচ্ছন্নতার জন্য নির্দিষ্ট করা হবে
আরও বেশি ট্রেনে বায়ো-টয়লেট তৈরি হবে
৬০টি নতুন আদর্শ স্টেশন গড়ে তোলা হবে
বিজয়ওয়াড়া, নাগপুর, ললিতপুর, বিলাসপুর, জয়পুর এবং আহমেদাবাদে নতুন রেল ইউনিট গঠন করা হবে
৮ থেকে ১০টি লন্ড্রি তৈরি হবে
যাত্রী পরিষেবা
নতুন রেল সার্ভিস ব্যবস্থা
বেলা সাড়ে ১২টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত টিকিট বুকিং
মোবাইল ফোনে ই-টিকিট বুকিং ব্যবস্থা
নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টিকিট বুকিং
নতুন ব্যবস্থা প্রতি মিনিটে ৭২০০ টিকিট বুক করা যাবে, এবনিন প্রতি মিনিটে ২০০০ টিকিট বুক করা যায়
এক সঙ্গে এক লক্ষ ২০ হাজার ব্যবহারকারী ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারবে
ওয়েবসাইটে জালিয়াতি রুখতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে
দশ হাজার ৭৯৭ লেভেল ক্রসিং তুলে দেওয়া হবে
রেলের কিচেনে আইএসও কোয়ালিটি দেখা হবে
রেলে আধারের পরিষেবা চালু হবে
নিউ দিল্লি স্টেশনে এক্সিক্যুটিভ লাউঞ্জ
স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্পর্কে যাত্রীদের অবহিত করতে শিক্ষামূলক ট্রেন 'আজাদী এক্সপ্রেস' চালু হবে
ক্যাটারিং
নতুন ফুড টেস্টিং ল্যাবরেটারির সঙ্গে কাজ করবে রেল
প্রত্যেকটি বেস স্টেশনে আইএসও শংসাপত্র অত্যাবশ্যক
খাবার সংক্রান্ত অভিযোগ জানাবার জন্য নতুন টোল ফ্রি নম্বর ১৮০০-১১১-৩১০
বিলাসপুর, নাগপুর, বিশাখাপত্তনম, নাগপুর, পাটনা, আগ্রা, জয়পুর এবং ব্যাঙ্গালোরে এক্সেকিউটিভ লাউঞ্জ চালু করা হবে।
কোল মাইন কানেকটিভিটির জন্য ৪০০০ কোটি টাকা ধার্য করা হবে।
অরুণাচলপ্রদেশ কে রেলওয়ে কানেকটিভিটির মধ্যে আনা হবে
দ্রুতগতিতে মণিপুরে নতুন লাইনের কাজ করা হবে।
নতুন প্রকল্প
বিলাসপুর-মানালি-লেহ
জম্মু-পুঞ্চ-আখুর
পাবলিক-প্রাইভেট প্রজেক্ট
৩০০০ কোটি টাকা পোর্ট কানেকটিভিটির জন্য
ফুট ওভার ব্রিজ
রেলওয়ে রাজ্য গুলির সঙ্গে গাটছাঁড়া বেধে স্টেশ্ন গুলিতে এফওবি তৈরি করবে
প্রত্যাশিতভাবেই পবন বনশলের রেলবাজেটকে কটাক্ষ করল বিজেপি। এই বাজেটকে দীশাহীন বলে আক্রমণ করেছেন বিজেপি নেতারা। বিজেপি নেতা গোপিনাথ মুন্ডা বলেছেন, " এটা রেল বাজেট নয়, রায়বেরিলি বাজেট।" মুন্ডে বলেছেন, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, বিহার, ছত্তিশগড়ের জন্য কোনও প্রকল্পই নেই। শুধু সোনিয়াকে খুশি করার জন্য তাঁর লোকসভা কেন্দ্র রায়বেরালিতে লোকদেখানো প্রকল্পের ঢল নামানো হয়েছে।
বিরোধীরা এদিন লোকসভায় হই হট্টগোলের মধ্যেই রেল বাজেটের সমালোচনা করে জানিয়েছে, এবারের রেল বাজেটে রেলের পুনরুজ্জীবনের জন্য কোনও সঠিক দিশাই নেই। এই বাজেটে রেলের কোনও লাভই হবে না।
সমাজবাদি পার্টির প্রধান মুলায়ম সিংহ যাদব জানিয়েছেন, "বহুবছর বাদে এত খারাপ জনবিরোধী রেল বাজেট পেশ হল।"কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম রেলবাজেটের প্রশংসা করেছেন। কংগ্রেস মুখপাত্র অভিষেক মনু সিংভি জানিয়েছেন, "পবন কুমার বনশল একটি জাতীয় রেল বাজেট পেশ করলেন।" ট্যুইটারে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ জানিয়েছেন, পরিষেবার উন্নতি ও ব্যয় নিয়ন্ত্রণের দিকে লক্ষ্য রেখে রেল বাজেট পেশ করে প্রশংসরা দাবি করতে পারেন রেলমন্ত্রী
No comments:
Post a Comment