উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিআইআই-এর সভাপতি আদি গোদরেজ, সিআইআই-এর ডিজি, চিন ও মায়ানমারের কনসাল জেনারেল, বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার এবং ৮০টি শিল্প সংস্থার প্রতিনিধি৷ অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, রাজ্যে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে শিল্প সংস্থাগুলিকে সব রকমের সহযোগিতা করবে রাজ্য সরকার৷ শিল্পপতি আদি গোদরেজ বলেন, রাজ্যে বিনিয়োগ টানার ক্ষেত্রে এই র্যালি সহায়কের ভূমিকা নেবে৷
২১ মাসের শাসনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে ফিকির সভায় গিয়েছেন৷ কিন্তু এ রাজ্যে বণিকসভাগুলিকে আমন্ত্রণ জানালেও তাদের কোনও সভায় যাননি৷ এই প্রেক্ষাপটে এই প্রথম কোনও অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণে সাড়া দিলেন তিনি৷ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ব্যাখ্যা, টাটা মোটর্সের অংশগ্রহণ সত্ত্বেও র্যালির উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন, টাটাদের সম্পর্কে তাঁর কোনও ছুঁত্মার্গ নেই৷ পাশাপাশি বণিকসভার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে রাজ্যে বিনিয়োগ টানার লক্ষ্যে তাদেরও পাশে টানার চেষ্টা করলেন তিনি৷ কারণ, ২১ মাসেও বড় লগ্নি অধরা এ রাজ্যে৷
সংসদের দুই কক্ষের সদস্যদের প্রতি তাঁর ভাষণে তিনি বলেন, "এখনও মন্দায় ইউরোপ। এই অবস্থায় শ্লথ হচ্ছে অর্থিনীতির বৃদ্ধির হার।" এই পরিস্থিতিতে আর্থিক বৃদ্ধির বাধাগুলি কাটানোর জন্য আলোচনা করা উচিত।
রাষ্ট্রপতি বলেন, "আর্থিক বৃদ্ধির হার বাড়ানোর চেষ্টা করছে সরকার। এই পরিস্থিতি সকলের জন্যই উদ্বেগের। মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পেলেও এখনও উদ্বেগ কাটেনি।"
বিনিয়োগকারীদের উৎসাহ দিতে তাঁর সরকার সচেষ্ট বলে জানান তিনি।
মিরিটিতে পুজোয় এ বার রাষ্ট্রপতি প্রণব - Bengali News - Yahoo!
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্তচুক্তি অনুমোদনের জন্য সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব বুধবার ভারতের মন্ত্রীসভায় অনুমোদিত হয়েছে।
দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংএর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রীসভার বৈঠকে এ প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।
লোকসভার বাজেট অধিবেশনে বিলটি উত্থাপিত হবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এই সীমান্তচুক্তিটি ভারতের পার্লামেন্টে পাস হলে ২০১১ সালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পরস্পরের ভুখন্ডের মধ্যে থাকা ছিটমহল বিনিময়ের যে প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয়েছিল - তা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
১৯৭৪ সালে দুদেশের তৎকালীন দুই প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান ও ইন্দিরা গান্ধীর মধ্যে ওই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বাংলাদেশ সফরের সময় ওই চুক্তি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
কিন্তু লোকসভায় এটি পাস করাতে হলে কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোট সরকারকে অন্য দলগুলোর সমর্থন নিতে হবে।
রাষ্ট্রপতি হিসাবে প্রথম ভাষণে প্রণব মুখার্জি বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়েছে ভারতেও। প্রবৃদ্ধির হার হরাস পেলেও ঘাটতি মোকাবেলা করবে সরকার। তিনি জানান, ভারত এ বছরই মঙ্গল গ্রহ অভিযান শুরু করবে। এছাড়া এ বছর একাধিক মহাকাশ অভিযানের পরিকল্পনা আছে। বিরোধী দল বিজেপির সভাপতি রাজনাথ সিং বলেছেন, দুর্নীতি ও মূল্যস্ফীতি শক্তভাবে তারা পার্লামেন্টে তুলে ধরবেন। তারা আশা করেন সরকার ঘাটতি কমানোর বাজেট পেশ করবে। তারা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও সামরিক হেলিকপ্টার ক্রয়ে দুর্নীতিসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগে সরব থাকবেন। তবে তারা চান, এই অধিবেশন নির্ঝাঞ্ঝাট হোক। সরকার ২৮ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করবে যাতে ব্যয় হরাসের পরিকল্পনা থাকবে।
বামেরা তো ধর্মঘটের সমর্থনে রাষ্ট্রপতির ভাষণই বয়কট করলেন৷ প্রণববাবু যখন তা পড়ছেন, তখন বাম সাংসদরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সংসদ ভবনের মূল প্রবেশদ্বারের বাইরে৷ যতদিন সাংসদ ও মন্ত্রী ছিলেন, ততদিন সংসদের মধ্যে এই ধরনের বিক্ষোভে কখনও সমর্থন ছিল না প্রণববাবুর৷ বরাবরই এই ধরনের ঘটনায় তিনি ক্ষুব্ধ হতেন৷ তাঁকেই ভাষণ দেওয়ার সময় এই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল৷
এই বিক্ষোভ বাদ দিলে, সরকারের তৈরি করা যে ভাষণ পড়েছেন প্রণববাবু তাতে কিন্তু দুর্নীতির প্রসঙ্গ তেমন গুরুত্ব পায়নি৷ ভাষণে মোট ১১৫টি প্রসঙ্গ ছিল৷ তার মধ্যে ৯০তম স্থানে এসে দুর্নীতি প্রতিরোধে ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে৷ উল্লেখ করা হয়েছে লোকপাল-সহ কিছু বিলের এবং বলা হয়েছে, সরকার দুর্নীতি রোধ আইনের সংশোধন করার কথা ভাবছে, যাতে দোষীদের আরও কঠোর শাস্তি দেওয়া যায়৷ আবার সত্ অফিসারদেরও বাঁচানো যায়৷ অথচ, গত কয়েক দিন ধরে খবরের শিরোনামে এসেছে ভি ভি আই পি হেলিকপ্টার কেনা নিয়ে দুর্নীতি৷ বিরোধীরাও সরকারকে কোণঠাসা করতে কপ্টার কেলেঙ্কারিকেই হাতিয়ার করছে৷ আজও বিজেপি বলেছে, সরকার জেপিসি-র প্রস্তাব দিয়ে সময় নিতে চাইছে৷ কিন্তু বিজেপি এই সময় দিতে রাজি নয়৷ তবে সরকারের সহযোগী দলের নেতা মায়াবতী বলেছেন, তিনি চান জেপিসি এই অভিযোগের তদন্ত করুক৷
বিজেপি-র অভিযোগ, রাষ্ট্রপতির ভাষণ কখনই সরকারের কর্মসূচির বর্ণনা হতে পারে না৷ এর মধ্যে দেশের অবস্থা, দিশা ও দশা কিছুই নেই৷ এমন অনেক কর্মসূচির কথা বলা হয়েছে, যা একেবারেই অপ্রধান৷
সূত্রের খবর, লস্কর-ই-তৈবা এবং ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের নাম করে গোয়েন্দারা সতর্ক করেছিলেন সরকারকে। বিশেষ করে যে তিনটি শহরের কথা বলা হয়েছিল, তার মধ্যে হায়দরাবাদ ছাড়াও ছিল কোয়েম্বাটুর এবং বেঙ্গালুরু। এ কথা যদি সঠিক হয়, তা হলে কেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী 'সুনির্দিষ্ট তথ্য' না-থাকার কথা বললেন, সে প্রশ্ন উঠেছে। শিন্ডে জানিয়েছেন, বিস্ফোরণ নিয়ে তিনি সংসদে বিবৃতি দেবেন। এদিন সকালেই দিলসুখনগরে যান শিন্ডে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অন্ধ্র প্রদেশের রাজ্যপাল ইএসএল নরসিংহম, মুখ্যমন্ত্রী কিরণকুমার রেড্ডি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সবিতা রেড্ডি।
এখনও পর্যন্ত তদন্তে গোয়েন্দাদের ধারণা, এক কেজি-রও বেশি বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল। বিস্ফোরকটি সম্ভবত অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। এলাকার কিছু সিসিটিভি ফুটেজ তদন্তকারীরা পেয়েছেন ঠিকই, কিন্তু তাঁদের তাক লেগে গিয়েছে সন্ত্রাসীদের প্রস্তুতি দেখে। বেশ কয়েকটি জায়গায় সিসিটিভি-র তার কাটার প্রচেষ্টা হয়েছে। ঘটনা হল, হায়দরাবাদে রেকি করার কথা দিল্লি পুলিশকে জানিয়েছিল ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের তিন জঙ্গি। গত বছরই তারা রেকি করে গিয়েছিল। সে তথ্য কেন্দ্রকে জানানো হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কেন দিলসুখনগরের মতো ব্যস্ত জায়গায় নিরাপত্তার আঁটোসাঁটো বন্দোবস্ত করা হল না, সে প্রশ্ন উঠেছে।
কতটা ঢিলেঢালা ছিল নিরাপত্তা, তা পুলিশ সূত্রের বয়ানেই স্পষ্ট। বলা হচ্ছে, ঘটনাস্থলের কাছেই যে সিসিটিভি ক্যামেরাটি ছিল, চার দিন আগেই সেটির যোগাযোগ ছিন্ন করা হয়েছে। এবং সে কাজ এমন ভাবে করা হয়েছে যে, পুলিশ বিন্দুমাত্র টের পায়নি।
সন্ত্রাসবাদীরা নাশকতা চালাতে পারে। দিন কয়েক আগে থেকেই এই খবর ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। সেইমতো সতর্কবার্তাও পাঠানো হয়েছিল। তবু সন্ত্রাস রোখা গেল না। পরপর বিস্ফোরণে নিজামের শহরে মৃত্যু হল ১৭ জনের। এই বিষয়টিকেই হাতিয়ার করে শুক্রবার সংসদে সরব হয়ে বিরোধী দলগুলি। খবর থাকা সত্ত্বেও কেন সন্ত্রাস আটকানো যাবে না, সে প্রশ্ন তোলা হয়। প্রতিবারই এই ধরনের ঘটনা ঘটার পর কেন্দ্রীয় সরকার ও গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে ফাঁক প্রকট হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেত্রী সুষমা স্বরাজ।
সন্ত্রাস আটকাতে সরকারের দুর্বলতা কোথায় তা জানতে চান সিপিএম নেতা বাসুদেব আচারিয়া, সপা প্রধান মুলায়ম সিং যাদব এবং অন্যান্যরা। সন্ত্রাসমূলক ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে যাতে সাধারণ মানুষ হয়রান না হন, তা নিশ্চিত করতে সরকারের কাছে দাবি জানান বিএসপি নেতা দারা সিং চৌহান। কেন্দ্রীয় সরকারকে 'নিধিরাম সর্দার' (লেম ডাক) বলেছেন জেডিইউ নেতা শরদ যাদব। সরকারের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসই বারবার এই ধরনের ঘটনার পেচনে অন্যতম কারণ বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাওবাদীদের নাশকতা মূলক কাজকর্মকে 'শূন্যে' নামিয়ে এনেছেন বলেও দাবি করেন তিনি। সেখানে কেন্দ্রের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসই সন্ত্রাসবীদের পরোক্ষে মদত দিচ্ছে বলে অভিযোগ সুদীপের।
২০০৭ সালে গোকুল চাট আর লুম্বিনী পার্ককে বেছে নিয়েছিল সন্ত্রাসীরা৷ সন্ধে ৭.৪৫ এবং ৭.৫০-এ পর পর বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে গিয়েছিল ঐতিহ্যের শহর৷ মৃত্যুর মিছিল নিশ্চিত করতে জঙ্গিরা বেছে নিয়েছিল ব্যস্ততম সময়কেই, ঠিক যেমনটা ঘটানো হয়েছে বৃহস্পতিবার৷ দিলসুখনগরে বিস্ফোরণ দু'টি হয় সন্ধে ৭.০১ এবং ৭.০৬ মিনিটে৷ স্থানীয়রা বলছেন, তৃতীয় বিস্ফোরণের শব্দও তাঁরা পেয়েছেন৷ শুধু সময়ের নিরিখেই নয়, জায়গার বিচারেও ২০০৭ সালের জোড়া বিস্ফোরণের সঙ্গে এই নাশকতার অদ্ভুত মিল৷ এবারেও বেছে নেওয়া হয়েছে শহরের অন্যতম ব্যস্ত এলাকাকেই৷ এবং ঘটনাচক্রে গোকুল চাটের খুব কাছে দিলসুখনগর না-হলেও, খুব একটা দূরেও নয়৷
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানিয়েছে, দু'টি সাইকেলে রাখা ছিল মারণ-বিস্ফোরক৷ প্রথমে মনে করা হয়েছিল, সিলিন্ডার বিস্ফোরণ৷ এবং সেটা খুব স্বাভাবিকও৷ কেননা, সাইবাবা মন্দির, শপিং মল, বড় দোকান, বাস স্ট্যান্ড, সিনেমা হলের পাশাপাশি দিলসুখনগর এলাকায় রয়েছে বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁও৷ কিন্তু ভুল ভাঙতে দেরি হয়নি৷ কোনার্ক-ভেঙ্কাটাদ্রি থিয়েটারের সামনে প্রথম বিস্ফোরণের পরই কান ফাটানো শব্দ ভেসে আসে রাস্তার উল্টো দিকের ডিএসএনআর বাস স্ট্যান্ডের সামনে থেকে৷ রাস্তার দু'দিক থেকে তখন আতঙ্কগ্রস্ত জনতা ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটতে শুরু করেছে ফুটব্রিজের দিকে৷ কেউ আশ্রয় নিলেন দোকানের ভিতরে, কেউ শপিং মলে, কেউ বা সাইবাবা মন্দিরে৷ ত্রস্ত এলাকা ভরে গেল বারুদের গন্ধে৷ ব্যস্ত রাস্তায় পড়ে নিথর দেহের সারি৷ ছয়, আট, দশ, পনেরো...ক্রমেই বাড়তে থাকে মৃতের সংখ্যা৷ হাসপাতালে থরে থরে শোয়ানো নিথর দেহ৷
অল্প সময়ের মধ্যেই পুলিশ ঘিরে ফেলে গোটা এলাকা৷ ফাঁকা করে দেওয়া হয় দোকানপাট৷ এমনকী ওই এলাকার মোবাইল পরিষেবার উপরও জারি হয় নিয়ন্ত্রণ৷ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এনআইএ এবং এনএসজি-র দল৷ দিল্লি থেকে রওনা হয় এনআইএ-র বিশেষ টিম, নেতৃত্বে আইজি স্বয়ং৷ রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছন অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী কিরণকুমার রেড্ডি৷ ঘটনাস্থল থেকেই তিনি ক্রমাগত যোগাযোগ রেখে চলেন শিন্ডের সঙ্গে৷ তার কয়েক মিনিট আগেই ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় নিষ্ক্রিয় বিস্ফোরক৷ কোনও ভাবে সেটির হাত থেকে রেহাই পেয়েছে দিলসুখনগর৷ ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে একাধিক এলপিজি সিলিন্ডার৷ বিস্ফোরণের তীব্রতা বাড়াতে সেগুলি আগেভাগেই মজুত করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের৷ যে ভাবে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে, তাতে একটি বিষয়ে মোটামুটি নিশ্চিত গোয়েন্দারা, ব্যবহার করা হয়েছে দূর সঞ্চালক যন্ত্র৷ এবং রীতিমতো পরিকল্পনা করেই নিশানা করা হয়েছে দিলসুখনগরকে৷ ঘটনা হল, ২০০৭ সালে জোড়া বিস্ফোরণের সময়ও দিলসুখনগর ফুটব্রিজের সামনে মিলেছিল ব্যাগ ভর্তি জিলেটিন স্টিক৷
নাশকতার আঁচ আগাম পেয়েছিলেন গোয়েন্দারা৷ সেইমতো রাজ্যগুলিকে সতর্কও করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷ বিস্ফোরণের পর জরুরি ভিত্তিতে ডাকা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সুশীলকুমার শিন্ডে জানিয়েছেন, 'আমাদের কাছে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলার খবর গত দু'দিন ধরেই ছিল৷ কিন্তু সবিস্তার তথ্য ছিল না৷ প্রাপ্ত তথ্যই আমরা বিভিন্ন রাজ্যকে পাঠিয়েছি, সতর্ক করে দিয়েছি৷ এর বেশি এখন আর কিছু বলা সম্ভব নয়৷' প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের অফিস থেকে টুইট, 'ঘৃণ্য আক্রমণ৷ দোষীদের নিস্তার নেই৷' শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ মৃতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন তিনি৷
হায়দরাবাদে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে বিতর্ক। রাত পোহাতেই বদলে গেল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডের বক্তব্য। আজ সকালে শিন্ডে জানান, কেন্দ্র সরকারের কাছে সতর্কতা থাকলেও এতবড় নাশকতার নির্দিষ্ট কোনও তথ্য তাঁরা পাননি। প্রশ্নটা উঠছে, কারণ জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা-এনআইএ আগেই হামলার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে। গতকালই বিস্ফোরণের পর সুশীল কুমার শিন্ডের দাবি করেছিলেন, সব রাজ্যের মতোই তথ্য পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল অন্ধ্র সরকারের কাছেও। যদিও, এমন কোনও সতর্কবার্তা তারা পাননি বলে দাবি করেছিলেন অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী কিরণ কুমার রেড্ডি। প্রশ্ন উঠছে, কেন্দ্র-রাজ্যের সমন্বয়ের অভাবেই কি চলে গেল ১৪টি প্রাণ? একটু সতর্ক হলে কি এড়ানো যেত হায়দরাবাদ বিস্ফোরণ?
প্রথমে আজমল আমির কসাভ। তারপর আফজল গুরু। আশঙ্কা ছিল এই দুজনের ফাঁসির পর বদলা নিতে দেশের যে কোনও কোণায় আঘাত হানতে পারে সন্ত্রাসবাদীরা। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছ থেকে গত ১৯ তারিখই এসেছিল সতর্কবার্তা। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পেরেছে, বিস্ফোরক হিসেবে আইইডি ব্যবহার করেছে জঙ্গিরা। যা এতটাই শক্তিশালী ছিল যে দু-তিন কিলোমিটার দূর থেকেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। বিস্ফোরক রাখা হয়েছিল দুটি সাইকেলে। সাইকেল দুটির মধ্যে ব্যবধান ছিল মাত্র দেড়শ মিটারের। হতাহতের সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যেই বেছে নেওয়া হয়েছিল সন্ধের ব্যস্ত সময়টিকে। টার্গেট করা হয়েছিল কোনার্ক থিয়েটার, দিলসুখনগর বাসস্ট্যান্ডের মতো জনবহুল এলাকা।
ইতিমধ্যেই বিস্ফোরণস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেছে এনআইএ এবং অন্ধ্রের কাউন্টার টেরর ইউনিট-অক্টোপাস। এনআইএ এবং এনএসজি মিলে খতিয়ে দেখবে ঘটনাস্থলে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ। এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি সংগঠন হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে বিস্ফোরণের ধরণ দেখে প্রাথমিকভাবে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনকেই সন্দেহ করা হচ্ছে।
http://zeenews.india.com/bengali/nation/shinde-on-hyderabad-serial-blast_11587.html
পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলি হামলা চালাতে পারে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফে এ কথা গতকাল সকালেই জানানো হয়েছিল হায়দরাবাদ পুলিসকে। শুক্রবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে এই কথা জানানো হয়েছে। তা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা না নেওয়াতেই ফের রক্তাক্ত হল দেশের মাটি। গতকাল সন্ধেয় ব্যস্ত বাজারে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল হয়দারারবাদ। মৃত ১৬, আহত ১১৯।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে হায়দারাবাদ, ব্যঙ্গালুরু সহ মোট চারটি শহরে নাশকতার সতর্কবার্তা পাঠানো হয়। একইসঙ্গে, মহারাষ্ট্র ও গুজরাত পুলিসকেও সতর্ক করে দেওয়া হয় বলে এক আধিকারিক জানিয়েছেন। মন্ত্রক আধিকারিকদের মত, ফেব্রুয়ারির ১৯ এবং ২০ তারিখ পাঠানো সতর্কবার্তায় স্পষ্ট করে দেওয়া হয়, ২৬/১১ জঙ্গি আজমল কসাভ ও সংসদ হানার চক্রী আজমল গুরুর ফাঁসির বদলা নিতে পাক জঙ্গি সংগঠনগুলি হামলা চালাতে পারে। এই মর্মে দেশের সবকটি রাজ্য প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়।
কেন্দ্রের তরফে মঙ্গলবার যে বার্তা পাঠানো হয়, তাতে বলা হয় দেশের যে কোনও প্রান্তে লস্কর-এ-তইবা ও জয়-সি-মহম্মদের মতো সংগঠনগুলি নাশকতা চালাতে পারে। বুধবারের পাঠানো সতর্কতায় নিশ্চিত করা হয় যে ইন্ডিয়ান মুজাহিদ্দিন কাসাব ও আজমল গুরুর ফাঁসির বদলা নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
গতকাল হায়দরাবাদে ধারাবাহিক বিস্ফোরোণের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডে দাবি তোলেন, সম্ভাব্য নাশকতা নিয়ে আগে থেকেই রাজ্যগুলিকে নির্দিষ্ট করে সতর্ক করা হয়েছিল। যদিও, অন্ধ্রপ্রদেশ মুখ্যমন্ত্রী কিরণ কুমার রেড্ডি দাবি তোলেন, কেন্দ্রের পাঠানো সতর্কতা আর পাঁচটা সাধারণ বার্তার মতোই ছিল।
হায়দরাবাদ ও নয়াদিল্লি: হায়দরাবাদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্দে৷ বিস্ফোরণস্থল দিলসুখনগর ঘুরে দেখেন তিনি৷ সঙ্গে যান রাজ্যের রাজ্যপাল ইএসএল নরসিংহম, মুখ্যমন্ত্রী কিরণ কুমার রেড্ডি ও রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সবিতা রেড্ডি৷ এদিন সাতসকালেই হায়দরাবাদ পৌঁছে যান শিন্দে। তারআগে দফায় দফায় বিস্ফোরণ স্থল পরিদর্শন করেন এনআইএ ও এনএসজি-র কম্যান্ডোরা৷ ফরেনসিক রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর ১ কেজি বিস্ফোরক থাকার তথ্য পুলিশের হাতে এসেছে৷ অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বিস্ফোরক হিসেবে ব্যবহার হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ৷ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে পুলিশের হাতে৷ তবে বিস্ফোরণে কার হাত রয়েছে এখনও স্পষ্ট নয়৷ ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের হাত থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ করছে পুলিশ৷
উল্লেখ্য, গতকাল রাতে জোড়া বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে নিজামের শহর। জনবহুল দিলসুখ নগরের বাসস্ট্যান্ডের কাছে এই জোড়া বিস্ফোরণ ঘটে। সাইকেলে বিস্ফোরক রেখে এই বিস্ফোরণ ঘটনানো হয়। ২ সিনেমা হলের সামনে বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ হয়েছে বলে সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর। প্রায় ১১৯জন জখম৷ বিস্ফোরণে মালাকপেটের যশোদা হাসপাতাল ও ওসমানিয়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সমেত বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি জখমরা৷শিন্দে হাসপাতালে গিয়ে জখমদের সঙ্গেও দেখা করেন। আহতদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন শিন্দে।এদিকে, বিজেপি আজ বন্ধের ডাক দিয়েছে৷
অন্যদিকে, এদিন এই বিস্ফোরণকাণ্ড নিয়ে সংসদের বাজেট অধিবেশন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিরোধী সদস্যরা গোয়েন্দা বিভাগের ব্যর্থতা নিয়ে সরব হয়েছেন। হায়দরাবাদ থেকে ফিরে লোকসভা ও রাজ্যসভায় বিবৃতি দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷
হায়দরাবাদের বিস্ফোরণকে পুলিশ বা গোয়েন্দা বিভাগের ব্যর্থতা বলে মানতে রাজি নন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দে৷ হায়দরাবাদে তিনি বলেছেন,জঙ্গি হানার যে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল, তা কোনও নির্দিষ্ট জায়গার জন্য নয়, সারা দেশের জন্যই প্রয়োজ্য ছিল৷ হায়দরাবাদে এই নাশকতার ঘটনায় জঙ্গি সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের হাত থাকার সন্দেহ ক্রমশ জোরাল হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের তদন্তের ক্ষেত্রে সব সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে । বিস্ফোরণ সম্পর্কে শিন্দে অবহিত করেছেন অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের ডিজি।
http://abpananda.newsbullet.in/national/60-more/33830-2013-02-22-04-11-04
সন্ত্রাসবাদী হানায় রক্তাক্ত হায়দরাবাদের জনবহুল ও ব্যস্ত এলাকা দিলসুখনগর৷ কিন্তু এই প্রথম নয়, অতীতেও বার বার জঙ্গি হানায় রক্তে লাল হয়েছে হায়দরাবাদের মাটি৷ নিজামের শহরে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে প্রাণ গিয়েছে বহু নিরীহ মানুষের৷ প্রতিটি ক্ষেত্রেই জঙ্গিরা বেছে নিয়েছে শহরের জনবহুল এলাকাকে এবং এমন সময়কে যখন বিস্ফোরণ ঘটালে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হবে৷ প্রতিবারই টার্গেট ছিল ব্যস্ত শহরের জনবহুল এলাকা৷ কখনও সিনেমা হল, ধর্মীয় স্থান, বাস স্ট্যান্ড, কখনও মামুলি ডাস্টবিনে রাখা বোমা ফেটে মর্মান্তিক, ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে৷
২৫ অগাস্ট, ২০০৭৷ সময় রাত ৭.৪৫ ৷ লুম্বিনী পার্ক অ্যাম্পি থিয়েটারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হল৷ ঘটনার আকস্মিকতা বুঝে ওঠার আগেই ঠিক পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে ঠিক পৌনে আটটা নাগাদ লুম্বিনী পার্ক থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে গোকূল চাট ভাণ্ডার নামে এক রেস্তোরায় দ্বিতীয় বিস্ফোরণ৷ জোড়া বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ৪২জনের৷ আহত শতাধিক৷ বিস্ফোরণের পিছনে হাত ছিল হরকত-উল-জিহাদ জঙ্গি গোষ্ঠীর৷
এরপর ১৮ মে, ২০০৭৷ দুপুর ১.১৫-য় বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে চার্মিনার সংলগ্ন মেক্কা মসজিদ৷ ১৬জনের মৃত্যু হয়৷ মোবাইলের সাহায্যে ঘটানো হয় বিস্ফোরণ৷ ব্যবহার করা হয়েছিল আরডিএক্স৷ ঘটনায় নাম জড়ায় একাধিক গোষ্ঠীর৷
হায়দরাবাদ শহরতলির মিঁয়াপুরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয় ২০১২-র ২৩ ফেব্রুয়ারি৷ ডাস্ট বিনে বোমাটি রাখা ছিল৷ বিস্ফোরণের তীব্রতায় কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা৷ আশপাশের বাড়িতে গভীর ফাটল দেখা দেয়৷ বিস্ফোরক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল জিলেটিন স্টিক৷
http://abpananda.newsbullet.in/national/60-more/33824-2013-02-21-15-58-12
নয়াদিল্লি: আর্থিক বিকাশের ক্ষেত্রে শ্লথগতি, কর্ম ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা এবং নারী ও শিশুদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকার। সংসদের যৌথ অধিবেশনে তাঁর প্রথম বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় বর্তমান সামাজিক ও আর্থিক বৈষম্যের উল্লেখ করে বলেছেন, এক নতুন ভারতের অভ্যূদয় ঘটেছে। যে ভারত চায় আরও বেশি সুযোগ, উন্নত পরিকাঠামো এবং যথার্থ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নতুন এই ভারতের চালিকা শক্তি হিসেবে যুব সম্প্রদায়ের মনোভাবের প্রশংসা করেছেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেছেন, এই তরুণরা আমাদের জাতীয় সম্পদ। তাঁরা আত্মবিশ্বাসী এবং সাহসী। তাঁদের আবেগ, উত্সাহ ও উদ্যোগ দেশকে এক নতুন উত্তরণের পথে নিয়ে যাবে বলেও প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি।
এই ধরনের আকাঙ্খার মধ্যেই আর্থিক ক্ষেত্রে অধোগতি, কর্মের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা ও কর্মসংস্থানের সম্ভাবনার মতো সমস্যাগুলির সঙ্গে সরকারকে যুঝতে হচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, মানুষ এখন নারী ও শিশুদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন। দেশে নারী নিগ্রহের ঘটনায় উদ্বিগ্ন সরকার এধরনের অপরাধ মোকাবিলায় কড়া অর্ডিন্যান্স এনেছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি৷
রাষ্ট্রপতি বলেছেন, বিচারপতি জে এস ভার্মা কমিটির সুপারিশ পর্যালোচনার পর কেন্দ্র মহিলাদের বিরুদ্ধে নৃশংশ অত্যাচার চালানোয় দোষীদের কঠোর শাস্তি প্রদানের জন্য ফৌজদারি আইনের সংশোধন করে কঠোর অর্ডিন্যান্স জারি করেছে।উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে রাজধানীতে এক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও পরে তার মৃত্য নিয়ে উত্তাল হয়েছিল দেশ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতির এদিনের বক্তব্য খুবই তাত্পর্যপূর্ণ।
রাষ্ট্রপতি নারীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারের একাধিক প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহনের প্রসঙ্গটিও উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, হিংসার শিকার মহিলাদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সাহায্য দেওয়ার জন্য দ্য ন্যাশনাল মিশন ফর এমপাওয়ারমেন্ট অফ উইমেন পরীক্ষামূলকভাবে দেশের ১০০ টি হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার প্রকল্প গড়ে তুলবে। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তার জন্য সরকারের ইতিমধ্যেই কঠোর আইন প্রবর্তন করেছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যৌন হয়রানি ঠেকাতে গতবছর লোকসভায় একটি আইন পাশ হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
http://abpananda.newsbullet.in/national/60-more/33796-2013-02-21-07-47-30
নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্ডেকে সংসদের আসন্ন বাজেট অধিবেশনে আক্রমণের নিশানা করার সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি। শিন্ডের বিরুদ্ধে প্রধান বিরোধী দলের অভিযোগ, তাদের এবং সংঘ পরিবারকে হিন্দু সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িয়েছেন তিনি। বিজেপি ও আর এস এস দেশে গেরুয়া সন্ত্রাসের ভিত্তি তৈরি করছে, শিন্ডের এই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ সুষমা স্বরাজ, অরুণ জেটলিরা জানিয়েছেন, এজন্য তিনি ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত সংসদে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ চালিয়ে যাবেন তাঁরা।তবে এ ব্যাপার সংসদের কোনও কক্ষেই মুলতুবি আনার জন্য চাপাচাপি করবে না বিজেপি। মঙ্গলবার লালকৃষ্ণ আদবানির পৌরোহিত্যে বিজেপি সংসদীয় দলের কর্মসমিতি সংসদের আসন্ন বাজেট অধিবেশনের কৌশল নির্ধারণে আলোচনায় বসে। বিজেপি মুখপাত্র রবিশংকর প্রসাদ বলেছেন, কাল বিরোধী জোট এনডিএ-র ফ্লোর নেতারা নিজেদের মধ্যে কথা বলে যাবতীয় পরিকল্পনায় চূড়ান্ত রূপ দেবেন।ঠিক হয়েছে, কাল শিন্ডের বিরুদ্ধে যন্তর মন্তর থেকে প্রতিবাদ মিছিল বের করবে বিজেপি। সূত্রের খবর, লোকসভার বিরোধী নেত্রী সুষমা স্বরাজ বৈঠকে প্রস্তাব দেন, মিছিল করে শিন্ডের সরকারি বাসভবনেই যাওয়া হোক।রবিশংকর বলেন, শিন্ডের মন্তব্যকে বিজেপি খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখছে আমাদের দাবি, উনি ক্ষমা চান।এ ব্যাপারে কীভাবে আমরা সংসদে প্রতিবাদের পথে এগোব, সেটা কৌশলের প্রশ্ন যা প্রকাশ্যে বলব না। মনে রাখতে হবে, শিন্ডে স্রেফ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীই নন, লোকসভার নেতাও।রাজনৈতিক মহলের ধারণা, শিন্ডের ক্ষমা চাওয়ার দাবির ইস্যুতে এনডিএ-র বাকি সব শরিককেও পাশে পেয়ে যাবে বিজেপি।ফলে সরকার চাপে পড়তে পারে আর শরিকরা বিজেপির পাশে থেকে শক্তি বাড়ালে সংসদ বিনা বাধায় চলা কঠিন হয়ে পড়বে, গুরুত্বপূর্ণ বিলগুলির অনুমোদনও বাধার মুখে পড়বে।
উল্লেখ্য সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে তাদের কটাক্ষ করায় এর আগে পি চিদম্বরমকেও সংসদের গোটা একটা অধিবেশন বয়কট করেছিল বিজেপি।
http://abpananda.newsbullet.in/national/60-more/33725-2013-02-19-11-14-52
No comments:
Post a Comment