অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশাড় উপকূল থেকে মানুষদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করে দেওয়া হল। রবিবার বিশাখাপত্তনামের উপকূলে আছড়ে পড়বে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় হুদহুদ। ১৭০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার হাওয়ার গতিবেগ থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
দু'রাজ্যে কীধরনের প্রস্তুতি করা হয়েছে, তা জানতে আজ বিকেলে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শ্রীকাকুলাম, বিজয়নগরম, বিশাখাপত্তনাম ও পূর্ব গোদাবরী থেকে বহু মানুষকে ইতিমধ্যেই স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
বিশাখাপত্তনম জেলা থেকে সারানো হয়েছে ২৪ হাজার, বিজয়নগরম থেকে ১৫ হাজার ও শ্রীকাকুরাম থেকে ৪৫ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা কে রামচন্দ্র রাও বলেন, ""আগামিকাল ভাইজাকের উপকূল পার করবে হুদহুদ। যার জেরে অতি ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণ ওড়িশার উপকূলেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে।''
ঢাকা: প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় 'হুদহুদ' ভারতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি রোববার দুপুর নাগাদ ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ ও ওড়িষ্যায় আঘাত হানবে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ হবে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৬০ কিলোমিটার। এরইমধ্যে ভারতের উপকূলের সাড়ে চার লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, হুদহুদের প্রভাবে বাংলাদেশের বিভিন্নস্থানে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশের বিভিন্নস্থানে বৃষ্টিপাতের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়া অধিদফতরের ডিউটি অ্যাসিস্ট্যান্ট জানান, টেকনাফে ১ মিলিমিটার, কুতুবদিয়ায় ৯ মিলিমিটার, চট্টগ্রামে ১ মিলিমিটার, মাইজদী কোর্টে ১৯ মিলিমিটার, হাতিয়ায় ৫৯ মিলিমিটার, কুমিল্লায় ২৩ মিলিমিটার, ঢাকায় ১ মিলিমিটার, ভোলায় ২ মিলিমিটার, পটুয়াখালীতে ২ মিলিমিটার, মংলায় ১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় 'হুদহুদ'র প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১-৩ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর।
এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ০৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সর্তকতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় অন্ধ্রপ্রদেশ ও উড়িষ্যায় ৩৫টি মোবাইল টিম নিয়োগ করেছে ভারতের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।
** 'হুদহুদ'র প্রভাবে ৩ ফুট জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা
** উপকূলে ৩ নম্বর সর্তকতা, উড়িষ্যায় আঘাত হানবে 'হুদহুদ'
** প্রলয়ঙ্করী ঝড়ে পরিণত হচ্ছে 'হুদহুদ'
** মংলা বন্দর থেকে ৯৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে হুদ হুদ
** রোববার ভারত উপকূল অতিক্রম করতে পারে হুদহুদ - See more at: http://www.banglanews24.com/beta/fullnews/bn/330939.html#sthash.8qxsY7Iq.dpuf
ওয়েব ডেস্ক: ধেয়ে আসছে হুদহুদ। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আছড়ে পড়ার প্রহর গুণছে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশা প্রশাসন। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবার দুপুরের মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম এবং ওড়িশার গোপালপুরের মাঝামাঝি এলাকায় আছড়ে পড়বে হুদহুদ। স্থলভূমিতে প্রবেশ করার সময় এই সাইক্লোনের গতিবেগ থাকবে একশো কুড়ি থেকে তিরিশ কিলোমিটার। এর প্রভাবে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম, বিজয়নগরম ও শ্রীকাকুলাম জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছে প্রশাসন।
ভারী বৃষ্টি ও প্লাবনের আশঙ্কা করা হচ্ছে পূর্ব এবং পশ্চিম গোদাবরী জেলাতেও। হুদহুদ আছড়ে পড়ার আগেই অন্ধ্রপ্রদেশের ওই পাঁচ জেলায় পাঁচশোটি গ্রামে সাড়ে চার লক্ষকে মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ প্রশাসনের সামনে। চ্যালেঞ্জের মুখে ওড়িশা সরকারও। ওড়িশার দক্ষিণ অংশের মালকানগিরি, কোরাপুট, নবরঙ্গপুর, রায়গড়া, গজপতি, গঞ্জা, কালাহান্ডি এবং কন্দমাল জেলায় মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ভুবনেশ্বর ও বিশাখাপত্তনমের মাঝে চলাচলকারী সমস্ত ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
হুদহুদের পরোক্ষ প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গেও। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, হুদহুদের প্রভাবে দিঘা উপকূলে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে। মত্স্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। দুই মেদিনীপুর সহ রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই হুদহুদের প্রভাবে কমবেশি বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। হুদহুদের কারণে ইতিমধ্যেই রাজ্য থেকে দক্ষিণ ভারতের দিকে যাওয়া একাধিক ট্রেনের গতিপথ নাগপুর দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।তবে ভুবনেশ্বর ও পুরীগামী ট্রেনগুলি স্বাভাবিক রুটেই চলবে বলে রেল মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে।
No comments:
Post a Comment