Twitter

Follow palashbiswaskl on Twitter

Memories of Another day

Memories of Another day
While my Parents Pulin babu and Basanti devi were living

Sunday, April 7, 2013

শুধু বিচারব্যবস্থা সংস্কার করে আর্থিক সংস্কারের অশ্বমেধ যজ্ঞে সংবিধান ও আইনের শাসন জলান্জলি দিলে আম আদমীর কি কল্যাণ হবে? দিল্লী ধর্ষণ নিয়ে আইন সংশোধন হল , কিন্তু সমাজে নারীর অবস্থান যেমন ছিল তাই থেকে গেল।হাতে গরম নমুনা এই বাংলায় মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ পিয়ালী দেবীর মৃত্যু। এ রহস্যের কিনারা কোনোদিনই হবে না।মণিপুরের ইরোম শর্মিলার বারো বছরের অনশনের পরও কাশ্মীর ও পুর্বোত্তর ভারতে রেসিয়াল এপারথেয়ডের শিকার নারীরা, রোজ ধর্ষিতা হচ্ছেন তাঁরা।তেমনিই দেশের বহুসংখ্য বহুজনসমাজের নারীরা বিচারপান না।আদিবাসী অন্ছলে অবাধ ধর্ষণ চলছে।শিখ গণহত্যা, বাবরি ধ্বংস, ভুপাল গ্যাস দুর্ঘটনা ও গুজরাত গণসংহার, মরিচঝাঁপি গণসংহারের নায়ক নায়িকারা রাজনীতি ও শাসনের শীর্ষে। উপরন্তু বাংলাদেশে যখন ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিসমুহের পর ধর্মান্ধ জাতীয়তার হামলায় সংখ্যালঘুরা বিপন্ন, প্রধানমন্ত্রিত্বের দাবিদার অযোধ্যাকান্ডের নায়ক লাল কৃষ্ণ আডবাণী বলে দিলেন রাম মন্দির আন্দোলন গর্বের বিষয়।রাজনীতি মনুস্মৃতি ব্যবস্থা কায়েম রাখতে সর্বদীয় ঐক্যবদ্ধতায় একের পর এক অসংবৈধানিক আইন পাশ করে চলেছে। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রির বক্তব্যের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে

শুধু বিচারব্যবস্থা সংস্কার করে আর্থিক সংস্কারের অশ্বমেধ যজ্ঞে সংবিধান ও আইনের শাসন জলান্জলি দিলে আম আদমীর কি কল্যাণ হবে? দিল্লী ধর্ষণ নিয়ে আইন সংশোধন হল , কিন্তু সমাজে নারীর অবস্থান যেমন ছিল তাই থেকে গেল।হাতে গরম নমুনা এই বাংলায় মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ পিয়ালী দেবীর মৃত্যু। এ রহস্যের কিনারা কোনোদিনই হবে না।মণিপুরের ইরোম শর্মিলার বারো বছরের অনশনের পরও কাশ্মীর ও পুর্বোত্তর ভারতে রেসিয়াল এপারথেয়ডের শিকার নারীরা, রোজ ধর্ষিতা হচ্ছেন তাঁরা।তেমনিই দেশের বহুসংখ্য বহুজনসমাজের নারীরা বিচারপান না।আদিবাসী অন্ছলে অবাধ ধর্ষণ চলছে।শিখ গণহত্যা, বাবরি ধ্বংস, ভুপাল গ্যাস দুর্ঘটনা ও গুজরাত গণসংহার, মরিচঝাঁপি গণসংহারের নায়ক নায়িকারা রাজনীতি ও শাসনের শীর্ষে। উপরন্তু বাংলাদেশে যখন ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিসমুহের পর ধর্মান্ধ জাতীয়তার হামলায় সংখ্যালঘুরা বিপন্ন, প্রধানমন্ত্রিত্বের দাবিদার অযোধ্যাকান্ডের নায়ক লাল কৃষ্ণ আডবাণী বলে দিলেন রাম মন্দির আন্দোলন গর্বের বিষয়।রাজনীতি মনুস্মৃতি ব্যবস্থা কায়েম রাখতে সর্বদীয় ঐক্যবদ্ধতায় একের পর এক অসংবৈধানিক আইন পাশ করে চলেছে। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রির বক্তব্যের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে

Delhi gang-rape initiated introspection of our laws, Manmohan Singh says

পলাশ বিশ্বাস

সাত দশক অতিক্রান্ত
।ভারতবর্ষে আইনের শাসন এখনো কায়েম হয়নি।ব্রাহ্মণ্যতান্ত্রিক কর্তৃত্বের জন্য। এখন তে একতরফা হিন্দূ সাম্রাজ্যবাদ ও করপোরেট জায়নবাদী সাম্রাজ্যবাদী জোটের রাজত্ব।সংবিধান আছে।কিন্তু সংবিধান লাগু হয়নি।সংবিধানের ধারা 39বি ও ধারা 39 সি, পন্চম ও ষষ্ঠ শিডিউল লঙ্ঘন করে চলছে বিল্ডার প্রোমোটার মাফিযা কালোটাকার রাজত্ব।দুর্নীতির অভিযোগে কোনো তদন্ত সমাভব নয়।যেহেতু 2 জি স্পেক্টারাম, কয়লা কেলেন্কারি, ব্যান্কে কালো টাকার কারবার, কপ্টার স্ক্যাম সহ সমস্ত মামলার পিছনে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির দীর্ঘ ছায়া। তিনি প্রেসিডেন্সিয়াল ইম্মুনিটিতে সুরক্ষিত।সশস্ত্র সৈন্যবাহিনী বিশেষাধিকার আইন অনুযায়ী নাগরিকত্বের যাবতীয় অধিকার, সংবৈধানিক মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার লঙ্ঘন চলছে অবাধ।ধর্ষণবিরোধী আইন হল কিন্তু সৌন্যবাহিনীকে ছাড় দিয়ে।তেলঙ্গানা অন্ছলে আজও নিজামজমানার আইন চলছে। অথচ দেশের বিচারব্যবস্থার সংস্কারের পক্ষে আজ সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ । প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিচারব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে সমাজব্যবস্থা ও মানবাধিকার রক্ষার দায়িত্ব বর্তায় রাজ্যের উপর।এজন্য বিচারবিভাগের পরিকাঠামো উন্নয়নে বরাদ্দ বাড়ানো হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন রাজ্যে বিচারকের সংখ্যা অপর্যাপ্ত মেনে নিলেও তিনি জমে থাকা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির উপর জোর দেন। প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে দেশ জুড়ে বিভিন্ন কোর্টে ৩ কোটিরও বেশি মামলার নিষ্পত্তি হওয়া বাকি, যার মধ্যে ২৬ শতাংশ মামলাই পাঁচ বছরের বেশি পুরনো।শুধু বিচারব্যবস্থা সংস্কার করে আর্থিক সংস্কারের অশ্বমেধ যজ্ঞে সংবিধান ও আইনের শাসন জলান্জলি দিলে আম আদমীর কি কল্যাণ হবে। দিল্লী ধর্ষণ নিয়ে আইন সংশোধন হল , কিন্তু সমাজে নারীর অবস্থান যেমন ছিল তাই থেকে গেল।হাতে গরম নমুনা এই বাংলায় মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ পিয়ালী দেবীর মৃত্যু। এ রহস্যের কিনারা কোনোদিনই হবে না।মণিপুরের ইরোম শর্মিলার বারো বছরের অনশনের পরও কাশ্মীর ও পুর্বোত্তর ভারতে রেসিয়াল এপারথেয়ডের শিকার নারীরা, রোজ ধর্ষিতা হচ্ছেন তাঁরা।তেমনিই দেশের বহুসংখ্য বহুজনসমাজের নারীরা বিচারপান না।আদিবাসী অন্ছলে অবাধ ধর্ষণ চলছে।শিখ গণহত্যা, বাবরি ধ্বংস, ভুপাল গ্যাস দুর্ঘটনা ও গুজরাত গণসংহার, মরিচঝাঁপি গণসংহারের নায়ক নায়িকারা রাজনীতি ও শাসনের শীর্ষে। উপরন্তু বাংলাদেশে যখন ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিসমুহের পর ধর্মান্ধ জাতীয়তার হামলায় সংখ্যালঘুরা বিপন্ন, প্রধানমন্ত্রিত্বের দাবিদার অযোধ্যাকান্ডের নায়ক লাল কৃষ্ণ আডবাণী বলে দিলেন রাম মন্দির আন্দোলন গর্বের বিষয়।রাজনীতি মনুস্মৃতি ব্যবস্থা কায়েম রাখতে সর্বদীয় ঐক্যবদ্ধতায় একের পর এক অসংবৈধানিক আইন পাশ করে চলেছে। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রির বক্তব্যের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে

Acknowledging that the Delhi gang-rape incident forced the government to change laws, Prime Minister Manmohan Singhon Sunday said "more needs to be done" to deal with crimes against women but cautioned against knee-jerk reaction which could drown the voiceof sanity.

"At a time when the demand for judicial reforms and change in the legal processes has acquired a new urgency, we must ensure that the voice of sanity and logic is not suborned to the momentary impulses of the day," he said here addressing the Conference of Chief Ministers and Chief Justices of States.

"Fundamental and time tested principles of law and natural justice must not be compromised to satiate the shrill rhetoric that often defines our political discourse and sometimes succeeds in drowning appeals to logic and justice," he said.

Referring to the Delhi gang-rape incident, Singh underscored the need for "urgent introspection" of the laws and the justice delivery system.

"The national outrage at the recent horrific tragedy of gang-rape in Delhi compels an urgent introspection about our laws and justice delivery system but we must not allow ourselves to be overcome by a sense of despair at some of the demonstrated inadequacies of our legal system," he said.

Singh said the government had moved with expedition to respond to the felt sensitivities of the people in the aftermath of the "gruesome tragedy" and brought about significant amendments in the criminal law to effectively deal with heinous offences against women.

"But, notwithstanding the steps that have already been taken, a great deal more needs to be done as far as offences against women are concerned," Singh said.

He thanked the judiciary for establishing special courts to fast-track trial of offences against women.

উল্লেখযোগ্য যে ভারতে সন্ত্রাস দমনবিষয়ক আইনের অপব্যবহার বন্ধে সে দেশের বিচারব্যবস্থার সংস্কারের দাবি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। একই সঙ্গে দেশটির নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও এনেছে সংগঠনটি। গতকাল বুধবার সংগঠনটির প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজ্য পুলিশ, কারা কর্মকর্তা ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষ মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো অপরাধ করছে। এসব অপরাধের মধ্যে রয়েছে নির্বিচারে গ্রেপ্তারের পর আটকাদেশ দেওয়া, নির্যাতন ও ধর্মগত বৈষম্য সৃষ্টি। এ ছাড়া প্রতিবেদনের ওপর ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন নামের নিষিদ্ধঘোষিত একটি জঙ্গি সংগঠনের ছয় সদস্যের ওপর নির্যাতনের বিবরণও দেওয়া হয়। ২০০৮ সাল থেকে সংগঠনটি কমপক্ষে ছয়টি ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক পরিচালক মীনাক্ষি গাঙ্গুলি জানান, জঙ্গি হামলাকারীদের ধরতে ভারতের পুলিশকে ভীষণ চাপের মধ্যে কাজ করতে হয়।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, তাঁরা মানবাধিকার সংগঠনের ওই প্রতিবেদন সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করবেন না।

জরুরি সংস্কার
বিচারপতি নিয়োগের দায়িত্ব বিচারপতিদের হাতেই থাকা উচিত কি না, সেই প্রশ্নটি পুরানো। দুর্নীতি, আর্থিক অনিয়ম ও সরকারি তহবিল তছরুপের দায়ে কলিকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমিত্র সেনের ইমপিচমেন্টকে কেন্দ্র করিয়া তাহা আবার নূতন করিয়া উঠিয়াছে। কেন্দ্রীয় সরকার একটি 'জাতীয় বিচারবিভাগীয় কমিশন' গড়িবার কথাও ভাবিতেছে বলিয়া জানা গিয়াছে। এই প্রস্তাবিত কমিশনটি গঠিত হইলে শীর্ষ আদালত এবং উচ্চ আদালতের বিচারপতিগণ এই কমিশনের মাধ্যমেই নিযুক্ত হইবেন। এই সূত্রে কিছু প্রাসঙ্গিক কথা ভাবিয়া দেখা দরকার। সৌমিত্র সেনের প্রশ্নে রাজ্যসভায় যে বিতর্ক ও আলোচনা চলিয়াছে, লোকসভাতেও যে সেই সর্বদলীয় ধিক্কারের পুনরাবৃত্তি ঘটিবে, এমন অনুমান স্বাভাবিক। কিন্তু এক অর্থে তাহা গৌণ প্রশ্ন। মুখ্য প্রশ্নটি বিচারব্যবস্থার আচরণ লইয়া। বিচারপতিরা নিজেরা যথাযথ আচরণ করিতেছেন না, এমন অভিযোগ সাম্প্রতিক কালে বারংবার উঠিয়াছে। অনেক ক্ষেত্রেই সেই অভিযোগ সরাসরি দুর্নীতির নহে, এমনকী প্রত্যক্ষ কোনও অন্যায় বা অনাচারেরও নহে, কিন্তু বিচারযন্ত্রের যন্ত্রীদের কাজে ও আচরণে যে নিখাদ নিরপেক্ষতা ও আত্মমর্যাদার পরিচয় থাকা জরুরি, তাহা হয়তো অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় না। কেন? রাজ্যসভায় সৌমিত্র সেন-বিষয়ক বিতর্কে একাধিক সাংসদ বলিয়াছেন, সমস্যার একটি মূল সম্ভবত রহিয়াছে বিচারপতি নিয়োগের প্রচলিত পদ্ধতিতে। বিচারপতিরাই এই দেশে বিচারপতিদের নিয়োগ করেন। তাহার ফলেই কি এক ধরনের আচরণ-শৈথিল্য প্রশ্রয় পাইয়াছে? প্রশ্নটি গুরুতর।
ভারতে অতীতে শাসনবিভাগ বিচারপতি নিয়োগের অধিকারী ছিল। সত্তরের দশকে তাহার পরিণাম ভাল হয় নাই, শাসনবিভাগের প্রতি 'দায়বদ্ধ' অর্থাৎ কার্যত বশংবদ বিচারব্যবস্থা তৈয়ারির উদ্যোগ ইন্দিরা গাঁধীর আমলে ভারতীয় গণতন্ত্রের অবক্ষয়কে তীব্রতর করিয়াছিল। সেই ব্যাধি নিরাময়ের উদ্দেশ্যেই বিচারপতি নিয়োগের দায়িত্ব বিচারপতিদের উপর ন্যস্ত হয়। কিন্তু অভিজ্ঞতা বলিতেছে, কেবলমাত্র শাসনবিভাগ বা কেবলমাত্র বিচারবিভাগ, কোনও একটিমাত্র বিভাগের হাতে সব দায়িত্ব না দিয়া মধ্যপন্থা অবলম্বনই শ্রেয়। রাজ্যসভার বিরোধী নেতা অরুণ জেটলি এবং সি পি আই এমের সীতারাম ইয়েচুরি সহ অধিকাংশ সাংসদই একটি জাতীয় বিচারবিভাগীয় কমিশন মারফত বিভিন্ন আদালতে বিচারক নিয়োগের পক্ষপাতী। এবং সেই কমিশনে শাসনবিভাগের প্রতিনিধিত্বও থাকা দরকার। লক্ষণীয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্টই কেন্দ্রীয় স্তরের বিচারপতিদের নিয়োগ করেন, সেনেট তাহা অনুমোদন করে। ব্রিটেনে আগে প্রধানমন্ত্রী ও চ্যান্সেলরের পরামর্শক্রমে রানি এই নিয়োগ করিতেন, বর্তমানে বিচারবিভাগীয় কমিশনের সামনে প্রার্থী বিচারকরা আপন যোগ্যতার প্রমাণ দিতে প্রতিযোগিতায় নামেন।
ভারতে বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট নাগরিকদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দেওয়া বিধেয়। এই বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রতিনিধিদের লইয়া গঠিত একটি কমিশন বিচারপতি নিয়োগের কাজটি সম্পন্ন করিলে সম্ভবত বিচারব্যবস্থার সংস্কার সাধিত হইতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবিত কমিশন হইতেই স্পষ্ট যে সেই ভাবনাটি শুরু হইয়াছে। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের মতো বিচারবিভাগের শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকদের দুর্নীতিরোধক লোকপাল বিলের আওতায় আনার যে-দাবিতে অণ্ণা হজারে ও তাঁহার সমর্থকরা মুখর, জাতীয় বিচারবিভাগীয় কমিশন তাহা অংশত পূরণ করিবে। ইহা শাসন বিভাগ 'বনাম' বিচার বিভাগের লড়াই নহে। বিচারপতিদেরই উচিত বিচারকদের নিয়োগ, পদোন্নতি ও বদলির প্রক্রিয়াটিকে স্বচ্ছ রাখিতে এবং শাসনবিভাগের সহিত ক্ষমতাবণ্টনে ভারসাম্য রক্ষা করিতে জাতীয় কমিশনের প্রস্তাবে সম্মত হওয়া। শাসনবিভাগ, বিচারবিভাগ ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিত্ব সংবলিত জাতীয় কমিশন যদি সততার অধিকারী সজ্জন ও দুর্নীতিমুক্ত আইনজীবীদের বিচারপতি পদের জন্য সুপারিশ করে, তবে অবিচারের ধারাও অনেকাংশে হ্রাস পাইবার সম্ভাবনা।
http://www.anandabazar.com/archive/1110822/22edit1.html

কলকাতা: ফ্ল্যাট ভাড়া প্রায় চল্লিশ হাজার টাকা, ড্রাইভার-সহ নিজস্ব গাড়ি, শহরের নামীদামি হোটেলে নিয়মিত যাতায়াত, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে জমিয়ে পার্টি-- এটাই ছিল তৃণমূল নেত্রী তথা আইনজীবী পিয়ালি মুখোপাধ্যায়ের লাইফ স্টাইল। শহরের। বিভিন্ন শপিং মলে গিয়ে জিনিসপত্র কেনার শখও ছিল তার। এমন অবস্থা থেকে কেন তিনি হঠাৎ করে আত্মহত্যা করতে যাবেন, এটাই এখন পুলিশকর্তাদের কাছে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।


তবে কি আর্থিক সঙ্কটে ভুগছিলেন পিয়ালি? তার ঘনিষ্ঠরা অবশ্য সে প্রশ্ন ফুৎকারে উড়িয়ে দিচ্ছেন।

তাদের বক্তব্য, মাসে দু'লক্ষ টাকারও বেশি উপার্জন করতেন এই অকাল প্রয়াত তৃণমূলনেত্রী। কেমন ছিল তার এহেন উপার্জনের পথ? শহরের বিশিষ্ট আইনজীবীরা বলছেন, শুধুমাত্র আইনের প্র্যাকটিস করে এই ক'বছরে মাস গেলে এত টাকা আয় করা কষ্টসাধ্য তো বটেই, অসম্ভবের নামান্তরও বটে। কলকাতা শহরের নামী আইনজীবী হলে অন্য কথা, কিন্ত্ত দীর্ঘদিন আইনের চর্চা করেও এত টাকা উপার্জন করতে যথেষ্ট কসরত করতে হয়। তাদের হিসেবে, সামান্য কয়েক বছর আগে এই শহরে আসা এবং বছরখানেক আগে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে প্র্যাকটিস করতে শুরু করা পিয়ালির এই রোজগার, শুধু ব্যাঙ্কশাল কোর্টে আইনচর্চা করে করা নিতান্তই 'অসম্ভব'। পুলিশ এখন পিয়ালির আয়ব্যয়ের হিসেব খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে। তিনি যে ফ্ল্যাটে থাকতেন তার মালিক ইসমাইল খান থাকেন অস্ট্রেলিয়ায়। পুলিশ তাকে ডেকে পাঠিয়েছে। ইসমাইল এলে পিয়ালির ফ্ল্যাটের ভাড়া কে দিতেন, কী ভাবে সেই টাকা ইসমাইল পেতেন-- এই সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার অপেক্ষা করছেন গোয়েন্দারা।

যুক্তিবুদ্ধির হিসেবে না এলে তা হলে মাস গেলে পিয়ালির কাছে এত টাকা আসত কী ভাবে?

জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্কশাল আদালতে তেমন পসার জমাতে না পারলেও কলকাতার অন্তত ৩টি সংস্থার আইনি পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করতেন পিয়ালি। তার মধ্যে একটি চিটফান্ড সংস্থাও রয়েছে। এই তিনটি সংস্থা থেকে পিয়ালি মাসে উপার্জন করতেন দেড় লক্ষ টাকা। আইনজীবীদের মতে, অন্তত ৫ বছরের অভিজ্ঞতা ছাড়া আজকাল কোনো সংস্থাই কাউকে ওই পদে নিতে চান না। প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে কোন প্রভাবের জোরে পিয়ালি ওই পদগুলি পেয়েছিলেন?

এর উত্তর পেতে হলে অবশ্য একটু পিছিয়ে যেতে হবে। ২০১০ সালে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে প্রথম তৃণমূলের ইউনিট খোলা হয়। রাতারাতি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সরস্বতী পুজো করে সেখানে তৃণমূলকে শক্তিশালী করে তোলেন তিনি। কিন্ত্ত কিছুদিনের মধ্যেই সেখানে শুরু হয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। সে বছরই তৃণমূলের এক শীর্ষনেতা বর্ধমানে দায়িত্ব নিয়ে যান। তার পর থেকেই পিয়ালির রাজনৈতিক উত্থান শুরু। ২০১১ সালে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ভর্তি নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। ভর্তির ক্ষেত্রে পাঁচজনকে টপকে পিয়ালীর নাম চলে আসায় বিতর্ক শুরু হতেই রাতারাতি বাদ দিয়ে দেয়া হয় তার নাম। শেষ পর্যন্ত হুগলি থেকে আইন পড়েন তিনি। এর পর চাকরি পেয়ে যান বর্ধমানের মেমারির একটি প্রাইমারি স্কুলে। কিন্ত্ত সেখানে বেশি দিন চাকরি করেননি। চলে আসেন কলকাতায়।

প্রথমে থাকতে শুরু করেন কেষ্টপুরের কাছে একটি ফ্ল্যাটে। তারপর চলে যান দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের কাছে একটি আবাসনে। ওখানে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে তৃণমূলের এক প্রভাবশালী নেতারও। তার পাশের ফ্ল্যাটটিতে থেকেই ব্যাঙ্কশাল কোর্টে প্র্যাকটিস শুরু করেন তিনি। তার ঘনিষ্ঠরা জানাচ্ছেন, সরকারি আইনজীবীদের প্যানেলে তার নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হবে এই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তাকে। কিন্ত্ত সেখানে সরকারি আইনজীবী হয়ে যান অন্য একজন। তার সঙ্গে খুব একটা ভালো সম্পর্ক ছিল না পিয়ালির। এমনকি, প্যানেলেও পিয়ালির নাম তোলা হয়নি। এই নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে অভিযোগও করেন তিনি। তার পরই জায়গা পরিবর্তন করে রাজারহাটে চলে আসেন মাসখানেক আগে।

ওই এলাকার তৃণমূলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। স্থানীয় তৃণমূল সূত্রে খবর, এলাকায় থাকার সুবাদে এলাকার গোষ্ঠী কোন্দলেও জড়িয়ে পড়েন এই তৃণমূল নেত্রী। দলের বিধায়ক, মন্ত্রী, নেতা এদের চক্রব্যূহে কার্যত বোড়ে হিসেবে ব্যবহার করা শুরু হয় তাকে। তাল বুঝে নিজের পেশাকে দলের মাধ্যমে আরও সমৃদ্ধ করার চেষ্টায় নেমে পড়েন পিয়ালীও। বর্ধমানে নিজের বাড়িতে যাওয়াও অনিয়মিত হয়ে পড়ে। ক্ষমতা পাওয়ার প্রবণতা আরও চোরাবালিতে টেনে নিয়ে যায় তাকে। সূত্র: ওয়েবসাইট।


ধর্মবিরোধী আইন লাগু করার দাবিতে গণসমাবেশ বাংলাদেশে
অন্তত কয়ের হাজার সমর্থকদের নিয়ে ঢাকায় হিফাজত-এ-ইসলামের বিশাল সমাবেশ।--এএফপি।
ঢাকা: বাংলাদেশে ক্রমশ জোরদার হচ্ছে ধর্মবিরোধী আইন প্রণয়নের সুর৷ ধর্মের অবমাননা করে ব্লগ লিখছেন যাঁরা, তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শনিবার ঢাকায় গণসমাবেশের ডাক দেয় দেশের ধর্মীয় সংগঠন জোট৷ মিছিলের মাধ্যমে ধর্মীয় অবমাননাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছে হিফাজত-এ-ইসলাম৷ 

শনিবারের মিছিলে অন্তত কয়েক হাজার মানুষ যোগ দেন৷ শহরের বিভিন্ন উঁচু বাড়ির ছাদ থেকে কেবল মানুষের মাথা ছাড়া আর কিছুই ঠাহর করা যায়নি বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন৷ 

শুক্রবার বিকেল থেকেই ধর্মীয় সংগঠনের সমাবেশে অবরুদ্ধ বাংলাদেশ৷ ধর্মবিরোধী ব্লগারদের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে শুক্রবার হিফাজত-এ-ইসলামের পক্ষ থেকে এক বিশাল লং মার্চের আয়োজন করা হয়৷ তার প্রতিবাদ জানায় দেশের ধর্মনিরপেক্ষ সংগঠনগুলি৷ তাদের যুক্তি, যে দেশের সংবিধান ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে কথা বলে, সে দেশে এমন ধর্মীয় উন্মাদনা বরদাস্ত করা সংবিধানের অমর্যাদার সমান৷ ধর্মবিরোধী আইন প্রণয়নের বিরোধিতা করে তারা ২২ ঘণ্টার বাংলাদেশ বন্ধের ডাক দেয়৷ সূত্রের খবর, মিছিল, সমাবেশ এবং অবরোধের জেরে ঢাকা দেশের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে৷ শনিবার রাস্তাঘাটে খুব কম সংখ্যক যানবাহনই চলাচল করতে দেখা গিয়েছে৷ 

এ দিকে, সরকার ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগে ব্লগারদের যথেচ্ছ ধরপাকড় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে৷ গ্রেন্তার হওয়া ব্লগারদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা হচ্ছে না বলেও কেউ কেউ ইতিমধ্যে অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ তবে আওয়ামি লিগ অবশ্য এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে বলেছে, সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই গত সপ্তাহে চার ব্লগারকে আটক করা হয়৷ তবে তাঁদের গ্রেন্তারের সঙ্গে ধর্মীয় অবমাননার কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দলীয় মুখপাত্রের দাবি৷ 

ঢাকা: গত কদিনের দেশজুড়ে উত্তেজনা আর উদ্বেগ শেষ হতে না হতে আবার হরতালের ফাঁদে বাংলাদেশ। হেফাজতের লংমার্চ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও গণজাগরণ মঞ্চের হরতাল-অবরোধের মুখোমুখি অবস্থান দেশজুড়ে যে উৎকণ্ঠা ছড়িয়েছিল, হেফাজতের  হরতাল ...

বিচার ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে দিল্লির বিজ্ঞানভবনে মুখ্যমন্ত্রী ও বিচারপতিদের সম্মেলনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। উপস্থিত আছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধানবিচারপতি আলতামাস কবির। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে জানালেন মানবধিকার রক্ষার দায়িত্ব রাজ্যের। তাঁর বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন ``বর্তমান সময় নতুন ভাবে বিচার ব্যবস্থা গঠনের দাবি করছে। এই সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে কোনও ভাবেই ন্যায় বিচার যেন অবহেলিত না হয়।`` তবে এর সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন সারা দেশ জুড়েই মামলার পাহাড় জমে রয়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় বিচারপতিদের সংখ্যা নগণ্য, মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজন বেশি সংখ্যক বিচারপতি নিয়োগ। 

আজকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে ফের একবার উঠে এল দিল্লি গণধর্ষণ কাণ্ড। স্বীকার করে নিলেন দিল্লি গণধর্ষণ কাণ্ডের পর সারা দেশ জুড়ে যে প্রতিবাদ সংগঠিত হয়েছিল তা সরকারকে নতুন ভাবে ভাবতে বাধ্য করেছে। এই ঘটনায় সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ ও ফাস্টট্র্যাক কোর্ট গঠন করার ঘটনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে স্বীকার করে নিলেন নারী নিরপত্তা সুনিশ্চিত করতে এখনও অনেক কিছুই করা বাকি। তার জন্য সব থেকে আগে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করার প্রয়োজনীয়তা মেনে নিলেন মনমোহন সিং। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি আলতামাস কবীরের সঙ্গে সহমত পোষণ করে তিনি জানিয়েছেন সারা দেশ জুড়েই মামলার পাহাড় জমে রয়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় বিচারপতিদের সংখ্যা নগণ্য, মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজন বেশি সংখ্যক বিচারপতি নিয়োগ। বিচার ব্যবস্থার সার্বিক গঠন ব্যবস্থার উন্নতিকল্পে রাজ্যগুলির সহযোগিতা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি। 

http://zeenews.india.com/bengali/nation/delhi-gang-rape-initiated-introspection-says-pm-at-conference-on-judicial-reforms_12555.html


আগামিকালই পার্ক স্ট্রিট কাণ্ডের শুনানি। আর আজই ফোনে তাঁকে কটুক্তি করা হয় বলে অভিযোগ তুললেন পার্ক স্ট্রিট ধর্ষণকাণ্ডে নিগৃহীতা মহিলা। তাঁর অভিযোগ ফোন করে অশ্লীল ভাষায় তাঁকে গালিগালাজ করা হয়। ঘটনার কথা জানিয়ে পর্ণশ্রী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিলা। তবে, এই প্রথম নয়। অভিযোগ, এর আগেও একাধিকবার এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে নিগৃহীতা মহিলার। 

যার জেরে বাড়ি পর্যন্ত পরিবর্তন করতে হয় ওই মহিলাকে। অভিযোগ, টাকা দিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার টোপও দেওয়া হয় মহিলাকে। গত শুক্র এবং শনিবারই পার্ক স্ট্রিট মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশে কলকাতায় ফৌজদারি মামলার আদালতের সংখ্যা নয় থেকে কমে তিনে এসে দাঁড়ানোয়, দুদিনের জন্য মামলাটি স্থগিত করে দেওয়া হয়।

http://zeenews.india.com/bengali/kolkatta/park-street-again-in-the-news_12576.html


পার্ক স্ট্রিটের ধর্ষিতাকে ফোনে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ
মামলা তুলে নেওয়ার জন্য পার্ক স্ট্রিটের ধর্ষিতাকে ফোনে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল৷ পুলিশ সূত্রের খবর, পার্ক স্ট্রিটের ধর্ষিতার মোবাইলে রবিবার সকালে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে৷ তাতে তাঁকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয়৷ বিষয়টি তিনি তাঁর আইনজীবীকে জানান৷ অভিযোগকারিণীর আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা বলেন, 'সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ফোনটি এসেছিল৷ আমরা বিষয়টি পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তাদের জানিয়েছিলাম৷ তাঁদের পরামর্শেই পর্ণশ্রী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ আমার মক্কেলকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য মোটা টাকার টোপ দেওয়া হয়েছিল৷ তাতে রাজি না হলে তাঁর বিপদ হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয়৷ তাঁকে উদ্দেশ করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজও করা হয়েছে৷' পুলিশ জানিয়েছে, কোন নম্বর থেকে ফোনটি এসেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ তবে ফোনটি এ দেশ থেকে এসেছে না বিদেশ থেকে এসেছে, তা নিয়ে কিছুটা ধন্দ আছে৷ 

বর্তমানে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে পার্ক স্ট্রিট মামলাটির শুনানি চলছে৷ অভিযোগকারিণীর সাক্ষ্যগ্রহণ ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে৷ গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে নাইটক্লাব থেকে ফেরার সময় গাড়িতে তুলে ধর্ষণ করা হয় ওই অ্যাংলো ইন্ডিয়ান মহিলাকে৷ ওই ঘটনায় তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে৷ তারা প্রত্যেকেই এখন জেল হেফাজতে রয়েছে৷ তবে এই কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত কাদের খান এখনও অধরা৷ সে বিদেশে পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারে বলে গোয়েন্দাদের সন্দেহ৷ এই অবস্থায় অভিযোগকারিণীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়াল৷


নয়াদিল্লি: মহিলাদের ওপর আক্রমণ প্রতিহত করতে ফৌজদারি আইনে সংশোধন করা হয়েছে৷ মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বাড়ানো হয়েছে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের সংখ্যাও৷ কিন্তু এখনও অনেক কাজ বাকি৷ আজ দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী ও হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিদের সম্মেলনে একথা বলেন মনমোহন সিং৷দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ডের উল্লেখ করে তিনি বিচার নিষ্পত্তির ব্যবস্থা জোরাল করার আহ্বান জানিয়েছেন।একইসঙ্গে মহিলাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আরও কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশের বিচারব্যবস্থার সংস্কারের পক্ষেও সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী। মহিলাদের ওপর নিগ্রহের ঘটনার ক্ষেত্রে বিচারবিভাগের আরও বেশি স্পর্শকাতর হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, এক্ষেত্রে মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করতে হবে। মামলা বকেয়া থাকা ও বিচারে দীর্ঘসূত্রীতা দূর করতে বিচারপতির সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।বৃদ্ধ ও নারী সহ সমাজের দুর্বল অংশের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মামলাগুলির বিচারের জন্য ফাস্ট-ট্রাক কোর্ট গঠনের প্রয়োজনীতার ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিচারব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে সমাজব্যবস্থা ও মানবাধিকার রক্ষার দায়িত্ব বর্তায় রাজ্যের উপর।এজন্য বিচারবিভাগের পরিকাঠামো উন্নয়নে বরাদ্দ বাড়ানো হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন রাজ্যে বিচারকের সংখ্যা অপর্যাপ্ত মেনে নিলেও তিনি জমে থাকা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির উপর জোর দেন। প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে দেশ জুড়ে বিভিন্ন কোর্টে ৩ কোটিরও বেশি মামলার নিষ্পত্তি হওয়া বাকি, যার মধ্যে ২৬ শতাংশ মামলাই পাঁচ বছরের বেশি পুরনো।

http://www.abpananda.newsbullet.in/national/60/35404


নয়াদিল্লি: ২০১৪-এ লালকৃষ্ণ আডবাণীর নেতৃত্বে সরকার গড়বে দল৷ নরেন্দ্র মোদী ঘনিষ্ঠ রাজনাথ সিংহের পাশে দাঁড়িয়ে বিতর্কিত এই মন্তব্য করেছেন বিজয় গোয়েল৷ তবে দলের চাপে পরে ফের সুর বদলের চেষ্টা করছেন তিনি৷

ফের বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে উঠে এল লালকৃষ্ণ আডবাণীর নাম৷ নরেন্দ্র মোদীর নাম যখন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে এগিয়ে, তখন আডবাণীর হয়ে সওয়াল করলেন  বিজেপি নেতা বিজয় গোয়েল৷ রাজনাথ সিংহের পাশে দাঁড়িয়েই আজ দিল্লিতে বিজয় গোয়েল বলেন, ২০১৪ সালে আডবাণীর নেতৃত্বেই কেন্দ্রে সরকার গড়বে৷ তার কিছুক্ষণ পরেই বিতর্ক বুঝে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন বিজয় গোয়েল৷ তিনি বলেন, প্রবীণ নেতা হিসেবেই আডবাণীর নাম তিনি বলেছেন৷ প্রধানমন্ত্রীর পদপ্রার্থী কে, তা ঠিক করবে দলের সংসদীয় বোর্ড৷ 

http://www.abpananda.newsbullet.in/national/60-more/35366-2013-04-06-08-15-56


ওয়াশিংটন:ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছিল বটে, তবে রাজধানীর বুকে ১৯৮৪-র শিখ-বিরোধী দাঙ্গা সংগঠিত গণহত্যা নয়। কট্টর খালিস্তানপন্থী গোষ্ঠীগুলিকে নিরাশ করে একথা জানিয়ে দিল ওবামা প্রশাসন।ইন্দিরা গান্ধী হত্যাকাণ্ডের জেরে শিখ 'নিধন যজ্ঞ'কে গণহত্যা বলে ঘোষণার উদ্যোগ নিয়েছে খালিস্তানপন্থীরা। এজন্য ওবামা প্রশাসনকে আর্জি জানিয়ে অনলাইন প্রচারও চালানো হয়েছে। ২০১২-র ১৫ নভেম্বর অনলাইনে স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। কয়েক সপ্তাহেই ৩০ হাজারেরও বেশি সই জমা পড়ে। মার্কিন প্রশাসনের চলতি রীতি হল, কোনও পিটিশনের সমর্থনে ২৫ হাজারের বেশি সই জমা পড়লেই তারা হ্যাঁ বা না, কিছু একটা মতামত জানায়। হোয়াইট হাউসের তরফে বলা হয়েছে, ১৯৮৪-র হিংসা চলাকালে এবং তারপরও আমেরিকা শিখ সম্প্রদায়ের ওপর ঘটে যাওয়া অত্যাচার ও ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা কভার করেছে, সে ব্যাপারে প্রতিক্রিয়াও দিয়েছে। মার্কিন বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে যে, মানবাধিকার সংক্রান্ত বিদেশ মন্ত্রকের দেশওয়াড়ি সরকারি রিপোর্টে ওই হিংসা ও তার পরের ঘটনাবলী বিস্তারিত কভার করা হয়েছে।আমরা এখনও ধর্মের ভিত্তিতে মানুষের ওপর অত্যাচারের বিরোধিতা ও নিন্দা করি। সব মানুষের স্বাধীনতা ও অধিকার রক্ষায় মার্কিন সরকার উদ্যোগী এবং এটা আমাদের বিদেশনীতির দীর্ঘদিনের বৈশিষ্ঠ্য। আমাদের কূটনীতিকরা এখনও সর্বত্র সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরব হন। 

তবে শিখ গোষ্ঠীগুলি ওবামা সরকারের বক্তব্যে হতাশ। নিউইয়র্কের শিখ ফর জাস্টিস গোষ্ঠীর প্রধান গুরপ্রীত এস পান্নুন এক বিবৃতিতে বলেছেন, সম্প্রতি ১৯৮৪-তে নিহতদের গণকবর মিলেছে। কিন্তু মার্কিন প্রতিক্রিয়ায় তাকে উপেক্ষা করা হল। ওবামা প্রশাসন এ ব্যাপারে কোনও জোরালো অবস্থান নিতে পারল না।(ফাইল চিত্র)


নির্মূল কমিটির সমাবেশে হেফাজতের হামলাতারা আমার লাশ ফেলে দিতো: শাহরিয়ার কবির নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর মহাখালী এলাকায় হেফাজতে ইসলামের মিছিল থেকে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সমাবেশে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে মহাখালীর আমতলা ক্রসিংসে রাস্তার ওপর চেয়ার ও কার্পেট বিছিয়ে সমাবেশ শুরু করে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতা-কর্মীরা। এ সময় বনানীর দিক থেকে হেফাজ কর্মীদের একটি মিছিল মতিঝিলের দিকে যাওয়ার সময় নির্মূল কমিটির সমাবেশে হামলা চালানো হয় বলে জানান পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা।

নির্মূল কমিটির সহসভাপতি অধ্যাপক মুনতাসির মামুন বলেন, আমাদের সমাবেশের পাশ দিয়ে হেফাজতকর্মীদের বড় একটি মিছিল যাচ্ছিল। মিছিল থেকে হঠাৎ আমাদের সমাবেশের ওপর ঢিল ছোড়া শুরু হয়। এরপর কয়েকজন এসে আমাদের চেয়ারগুলো ভেঙে দেয়। এই হামলায় নির্মূল কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছে বলে জানান তিনি। 

বনানী থানার এসআই জাকির হোসেন বলেন, সমাবেশ শুরুর পর সেখান থেকে স্লোগান দেওয়া হচ্ছিল। এ সময় পাশ দিয়ে যাওয়া হেফাজতের মিছিল থেকে হঠাৎ হামলা হয়। হামলার সময় এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলেও জানান এস আই জাকির।

আমাদের নেতা-কর্মীরা আমাকে রক্ষা না করলে তারা আমার লাশ ফেলে দিতো- এমন অভিযোগ করে নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, তারা জেনে বুঝেই এই হামলা চালিয়েছে। মতিঝিলে যাওয়ার আরো অনেক রাস্তা থাকলেও কেনো মহাখালী হয়ে তাদের যেতে হবে? আমরা এখানে সমাবেশ করছি জেনেই তারা পরিকল্পিতভাবে এখন দিয়ে এসে হামলা চালিয়েছে।
http://www.kalerkantho.com/?view=details&type=gold&data=news&pub_no=1204&cat_id=1&menu_id=0&news_type_id=3&news_id=338590&archiev=yes&arch_date=06-04-2013

পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে এবার নয়া তরজা৷ রাজ্যের টাকাতেই রাজ্যের বিরুদ্ধে মামলা করেছে নির্বাচন কমিশন৷ কটাক্ষ পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত ভট্টাচার্যের৷ সুব্রতর বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে কংগ্রেস-সিপিএম৷ এদিকে, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী জয়রাম রমেশ এদিন সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, সময়ে নির্বাচন না হলে বন্ধ হবে ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা৷


রাজ্য পঞ্চায়েত আইনের ৪২ নম্বর ধারার সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন৷ আর সেই মামলা নিয়ে কমিশনকে খোঁচা দিলেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী৷ তাঁর কটাক্ষ, রাজ্যের টাকাতেই রাজ্যের বিরুদ্ধে মামলা করেছে কমিশন৷ পাল্টা সমালোচনায় সরব হয়েছে কংগ্রেস ও সিপিএম৷  রেল প্রতিমন্ত্রী তথা কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরি বলেছেন, সুব্রতবাবুরাও তো রাজ্যের টাকাতেই মামলা লড়ছেন৷প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেছেন, সুব্রত হিতাহিতজ্ঞানশূন্য হয়ে এই মন্তব্য করেছেন৷  সিপিএম বিধায়ক রেজ্জাক মোল্লা বলেছেন, গণতন্ত্র রক্ষার জন্যই লড়ছে কমিশন৷
রাজ্য সফরে এসে এদিন পঞ্চায়েত ভোটে জট নিয়ে নিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনায় হন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী জয়রাম রমেশও৷ তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস হেরে যাওয়ার ভয় করছে৷ এজন্যই তারা পঞ্চায়েত নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চাইছে৷একই মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেত্রী দীপা দাশমুন্সিও। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও৷ ফের সংখ্যাতত্ত্ব আওড়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের মন্তব্য, ভয় পাওয়ার কি আছে? সংখ্যাগরিষ্ঠ বলেই তো রাজ্যে সরকারে রয়েছে তাঁরা৷ শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় এদিন সরকারকে হুঁশিয়ারির ঢঙে রমেশ  বলেছেন, ঠিক সময়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন না হলে আগামী আর্থিক বছরে একশো দিনের কাজের প্রকল্পের প্রায় ৫ থেকে ৬ কোটি টাকা রাজ্য পাবে না৷ ১০০দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা কেন্দ্র বন্ধ করে দিলে সেক্ষেত্রে সরকার বড়সড় আর্থিক সমস্যায় পড়তে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷
আবার রাজ্যের টাকায় কমিশনের মামলা লড়ার প্রসঙ্গ যেভাবে সুব্রত মুখোপাধ্যায় তুলেছেন, তা অবান্তর বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ৷ তাদের পাল্টা প্রশ্ন, যখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের একাংশের বিরুদ্ধে টুজি কেলেঙ্কারি তদন্ত করে সিবিআই, তখন কেন্দ্রের টাকাই তারা ব্যবহার করে, কিন্তু, কেন্দ্র কি কখনও তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে? তোলে না, তাহলে রাজ্য কেন এই হাস্যকর প্রশ্ন তুলছে৷

http://www.abpananda.newsbullet.in/state/34-more/35409-2013-04-07-12-52-21


থানের পুনরাবৃত্তি এ শহরেও ঘটার শঙ্কা


থানের পুনরাবৃত্তি এ শহরেও ঘটার শঙ্কা
মেরামতের সময় ভেঙে পড়ে কেশব সেন স্ট্রিটের বাড়িটি।
তাপস প্রামাণিক 

মহারাষ্ট্রের থানেতে বহুতল ভেঙে ৭২ জন মানুষের মৃত্যু চিন্তায় ফেলেছে পুরকর্তাদের৷ কলকাতার আনাচে কানাচে যেভাবে বেআইনি বাড়ি গজিয়ে উঠছে, তাতে থানের পুনরাবৃত্তি যে কোনও সময়ই এখানেও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা৷ কয়েক দিন আগেই উত্তর কলকাতার কেশবচন্দ্র সেন স্ট্রিটে পুরোনো বাড়িতে নির্মাণ কাজ চালাতে গিয়ে ভেঙে পড়ে৷ তার জেরে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়৷ এর আগেও অসংখ্যবার বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটেছে৷ গত ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ই এম বাইপাস লাগায়ো নয়াবাদ অঞ্চলে একটি নির্মীয়মাণ ছ'তলা বাড়ি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে৷ তার জেরে পাশের একটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ ওই বছরের মার্চ মাসে বেহালার এস এন রায় রোডে একটি নির্মীয়মাণ পাঁচতলা বাড়ির পিলার বসে যায়৷ পিলারের রড বেঁকে বিকট আওয়াজ হতে থাকে৷ বিপদের আশঙ্কায় আশপাশের বাসিন্দাদের সরিয়ে দিতে বাধ্য হয় প্রশাসন৷ পরে ঘটনার তদন্তে নামে বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সিভিল শাখার বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়াররা৷ তাতেই জানা যায়, বাড়িটির ভার বহন করতে না পারাতেই পিলারগুলি বেঁকে যাচ্ছিল৷ ফলে বাড়িটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় পুরসভা৷ পুরসভার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রোমোটারকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ 

বিল্ডিং বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, সবথেকে বেশি বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে পূর্ব কলকাতা, যাদবপুর, বেহালা, গার্ডেনরিচ এবং পার্ক সার্কাস-তপসিয়া অঞ্চলে৷ ই এম বাইপাসের লাগায়ো অঞ্চলে পুরসভাকে না জানিয়ে গত কয়েক বছরে প্রায় ১০-১২ হাজার বেআইনি বাড়ি তৈরি হয়েছে৷ যাদবপুরে ১৫-২০ হাজার বেআইনি নির্মাণ রয়েছে৷ পার্ক সার্কাস অঞ্চলেও বেশ কয়েক হাজার বেআইনি বাড়ি রয়েছে৷ উত্তর ও মধ্য কলকাতার বিভিন্ন অংশে পুরোনো আমলের বাড়ি ভেঙে নতুন বহুতল বাড়ি তৈরি হচ্ছে৷ তার জেরেও যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে৷ 

কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, অনেক ক্ষেত্রেই বাড়তি লাভের আশায় অসাধু প্রোমোটাররা বেআইনিভাবে বাড়ি বানিয়ে বিক্রি করছেন৷ পুকুর ভরাট করেও তার উপর বাড়ি বানানো হচ্ছে৷ ত্রুটিপূর্ণ নকশা এবং অবৈজ্ঞানিক নির্মাণের ফলে সেই সব বাড়ি ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিল্ডিং বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা৷ 

পুরসভা সূত্রের খবর, গত কয়েক বছরে কলকাতায় একাধিকবার নির্মীয়মাণ বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটেছে৷ প্রাণহানিও ঘটেছে৷ বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে পুরসভা৷ কিন্ত্ত তাই বলে বেআইনি বাড়ি নির্মাণ ঠেকানো যায়নি৷ রোজই বহু বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ জমা পড়ে সেই বাড়িতে বসবাস করেন বহু মানুষ৷ ফলে বাড়ি ভেঙে পড়লে প্রাণহানির সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে৷ বিল্ডিং বিভাগের কর্তারা জানাচ্ছেন, বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ এলেও মানবিক কারণেই বাড়ি ভাঙা সম্ভব হচ্ছে না৷ বিল্ডিং বিভাগের ডিজি (২) দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, 'অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রোমোটাররা বাড়ি বিক্রি করে ভেগে পড়েন৷ একবার কোনও বাড়িতে লোক ঢুকে পড়লে তাদের জোর করে সরানোর কাজটা কঠিন হয়ে পড়ে৷ আইনগত দিক থেকে কাউকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা যায় না৷ আবার অনেক সময় বাড়ির মালিক আদালতে চলে যান৷ দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলায় পুরসভারও কিছু করার থাকে না৷' 

শুধু নিরাপত্তা নয়, চাই মানসিকতায় বদল

No comments:

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...