Dangers of Becoming a Terrorist sate!
--
জঙ্গি রাষ্ট্র বানানোর পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে
মনোয়ার হোসেন বদরুদ্দোজাঃ
এক ভয়ংকর খেলায় মেতেছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো। পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে!
একটা 'জঙ্গি' রাষ্ট্র একটা 'ব্যর্থ' (ফেইলড) রাষ্ট্রও বটে! 'ব্যর্থ' রাষ্ট্র তার প্রতিবেশিদের জন্য বা আন্তর্জাতিক কমিউনিটির জন্য ঝুঁকি স্বরূপ। সুতরাং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, আঞ্চলিক বা বিশ্ব শান্তির তদারকি করতে গিয়ে, সেই রাষ্ট্রে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বা সেই অঞ্চলের 'স্বার্থে' জাতিসংঘ বা কোন রিজিওনাল সংস্থার অনুরোধক্রমে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে পারে, নিয়ে থাকে।
এই সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ায় সাধারণত সেই 'ব্যর্থ' রাষ্ট্রের প্রতিবেশী প্রভাবশালী রাষ্ট্রের সহায়তা চায়- অন্য কথায়, সেই প্রভাবশালি প্রতিবেশি রাষ্ট্রটিই বৃহৎ ভুমিকা পালন করে থাকে।
উদাহরণ স্বরূপ- আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের মেজর কন্ট্রিবিউশন নাইজেরিয়া করে থাকে এবং তাদের মতামতই প্রাধান্য পায়, আন্তর্জাতিক মেকানিজমের ভিতরেই তা করা হয়ে থাকে।
মধ্যপ্রাচ্যের ইয়েমেনে প্রতিবেশী সৌদি আরব সে ভুমিকা পালন করছে, ইরাক বা সিরিয়ায়, ইরান সেই ভুমিকায় নেমেছে- আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পষ্ট মতামত না দিলেও পরোক্ষ ভাবে তা মেনে নিয়েছে বা সায় দিয়েছে।
বাংলাদেশের বেলায়, কেউ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আর কেউ ক্ষমতায় ফিরে যাওয়ার জন্য (একান্তই দলিয় স্বার্থে- রাষ্ট্রীয় স্বার্থ মোটেই ভাববেন না) কেউ সক্রিয় ভাবে রাষ্ট্রকে জঙ্গি রাষ্ট্র বানাতে চাইছেন আর কেউ মনে মনে তাই চাইছেন- এমন পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষের আল্টিমেট গোল- আন্তর্জাতিক ইনভল্বমেন্ট (সম্পৃক্ততা)!
আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততার প্রক্রিয়ায় প্রথম কনসাল্টেটিভ পার্টনার (পরামর্শক অংশিদার) হবে ইন্ডিয়া। ক্ষমতাসীন পক্ষ হয়ত সেই ক্যালকুলেশনেই বাংলাদেশকে একটা জঙ্গি রাষ্ট্রের ছাপ লাগাতে চাইছে আর ক্ষমতায় যাওয়ার আশায় যারা পাগলপারা তারাও পরোক্ষ ভাবে চাইছেন একটা আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততা।
উভয় পরস্থিতিতে ভারত, বাংলাদেশকে তার অর্থনৈতিক সাংস্কৃতিক কলোনিতে পরিনত করে আঞ্চলিক সুপার পাওয়ারের পদটি আরো শক্তিশালি করতে চাইবে- ক্ষমতায় যারা থাকবে, তাদের ক্ষমতা লেন্দুপ দর্জি, হামিদ কারজাই আর ইরাকের নুরি আল মালিকির চেয়ে বেশি হবে না।
ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও ১৬ কোটি জনগন। তাদের জীবন প্রণালী-বোধ-বিশ্বাস সংস্কৃতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর উদাহরণ পেতে চাইলে ৭৯ পূর্ব ইরানের সাংস্কৃতিক ও সামজিক পরিস্থিতি ও রাশিয়ার আগ্রাসন পূর্ব আফগানিস্থানের কথা স্মরণ করা যেতে পারে।
৭৯ পূর্ব ইরান কোকাকোলা না শুধু, যত্রতত্র বল ড্যান্স থেকে শুরু করে মেয়েদের মিনিস্কার্ট আর মদশালায় সয়লাব হয়ে গিয়েছিল। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে পুরু দেশের সাংস্কৃতিক চেহারাই বদলে দেয়া হয়েছিল - আমেরিকা বা পশ্চিমাদের সহায়তায়- ভারতের জন্য তা করাটা মোটেও কঠিন কিছু না।
দেশ এক ভয়ংকর অজানা পথে এগুচ্ছে আর এর পথ দেখাচ্ছে আমাদের বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলো!
মনোয়ার হোসেন বদরুদ্দোজা: মানবাধিকার কর্মী ও ব্রিটেনের মুল্ধারায় ট্রেড ইউনিওনিস্ট
একটা 'জঙ্গি' রাষ্ট্র একটা 'ব্যর্থ' (ফেইলড) রাষ্ট্রও বটে! 'ব্যর্থ' রাষ্ট্র তার প্রতিবেশিদের জন্য বা আন্তর্জাতিক কমিউনিটির জন্য ঝুঁকি স্বরূপ। সুতরাং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, আঞ্চলিক বা বিশ্ব শান্তির তদারকি করতে গিয়ে, সেই রাষ্ট্রে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বা সেই অঞ্চলের 'স্বার্থে' জাতিসংঘ বা কোন রিজিওনাল সংস্থার অনুরোধক্রমে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে পারে, নিয়ে থাকে।
এই সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ায় সাধারণত সেই 'ব্যর্থ' রাষ্ট্রের প্রতিবেশী প্রভাবশালী রাষ্ট্রের সহায়তা চায়- অন্য কথায়, সেই প্রভাবশালি প্রতিবেশি রাষ্ট্রটিই বৃহৎ ভুমিকা পালন করে থাকে।
উদাহরণ স্বরূপ- আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের মেজর কন্ট্রিবিউশন নাইজেরিয়া করে থাকে এবং তাদের মতামতই প্রাধান্য পায়, আন্তর্জাতিক মেকানিজমের ভিতরেই তা করা হয়ে থাকে।
মধ্যপ্রাচ্যের ইয়েমেনে প্রতিবেশী সৌদি আরব সে ভুমিকা পালন করছে, ইরাক বা সিরিয়ায়, ইরান সেই ভুমিকায় নেমেছে- আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পষ্ট মতামত না দিলেও পরোক্ষ ভাবে তা মেনে নিয়েছে বা সায় দিয়েছে।
বাংলাদেশের বেলায়, কেউ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আর কেউ ক্ষমতায় ফিরে যাওয়ার জন্য (একান্তই দলিয় স্বার্থে- রাষ্ট্রীয় স্বার্থ মোটেই ভাববেন না) কেউ সক্রিয় ভাবে রাষ্ট্রকে জঙ্গি রাষ্ট্র বানাতে চাইছেন আর কেউ মনে মনে তাই চাইছেন- এমন পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষের আল্টিমেট গোল- আন্তর্জাতিক ইনভল্বমেন্ট (সম্পৃক্ততা)!
আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততার প্রক্রিয়ায় প্রথম কনসাল্টেটিভ পার্টনার (পরামর্শক অংশিদার) হবে ইন্ডিয়া। ক্ষমতাসীন পক্ষ হয়ত সেই ক্যালকুলেশনেই বাংলাদেশকে একটা জঙ্গি রাষ্ট্রের ছাপ লাগাতে চাইছে আর ক্ষমতায় যাওয়ার আশায় যারা পাগলপারা তারাও পরোক্ষ ভাবে চাইছেন একটা আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততা।
উভয় পরস্থিতিতে ভারত, বাংলাদেশকে তার অর্থনৈতিক সাংস্কৃতিক কলোনিতে পরিনত করে আঞ্চলিক সুপার পাওয়ারের পদটি আরো শক্তিশালি করতে চাইবে- ক্ষমতায় যারা থাকবে, তাদের ক্ষমতা লেন্দুপ দর্জি, হামিদ কারজাই আর ইরাকের নুরি আল মালিকির চেয়ে বেশি হবে না।
ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও ১৬ কোটি জনগন। তাদের জীবন প্রণালী-বোধ-বিশ্বাস সংস্কৃতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর উদাহরণ পেতে চাইলে ৭৯ পূর্ব ইরানের সাংস্কৃতিক ও সামজিক পরিস্থিতি ও রাশিয়ার আগ্রাসন পূর্ব আফগানিস্থানের কথা স্মরণ করা যেতে পারে।
৭৯ পূর্ব ইরান কোকাকোলা না শুধু, যত্রতত্র বল ড্যান্স থেকে শুরু করে মেয়েদের মিনিস্কার্ট আর মদশালায় সয়লাব হয়ে গিয়েছিল। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে পুরু দেশের সাংস্কৃতিক চেহারাই বদলে দেয়া হয়েছিল - আমেরিকা বা পশ্চিমাদের সহায়তায়- ভারতের জন্য তা করাটা মোটেও কঠিন কিছু না।
দেশ এক ভয়ংকর অজানা পথে এগুচ্ছে আর এর পথ দেখাচ্ছে আমাদের বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলো!
মনোয়ার হোসেন বদরুদ্দোজা: মানবাধিকার কর্মী ও ব্রিটেনের মুল্ধারায় ট্রেড ইউনিওনিস্ট
__._,_.___
Pl see my blogs;
Feel free -- and I request you -- to forward this newsletter to your lists and friends!
No comments:
Post a Comment