Twitter

Follow palashbiswaskl on Twitter

Memories of Another day

Memories of Another day
While my Parents Pulin babu and Basanti devi were living

Monday, August 19, 2013

পতাকা তোলার ‘অপরাধে’ প্রাণ গেল দলিতের

পতাকা তোলার 'অপরাধে' প্রাণ গেল দলিতের

পতাকা তোলার 'অপরাধে' প্রাণ গেল দলিতের
রোহতাস: সময় বদলেছে, কিন্তু বদলায়নি চিত্র!

২০১৩-এর ১৫ অগস্ট৷ বিহারের রোহতাসে বাড্ডি গ্রামে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের 'অপরাধে' প্রাণ গেল এক দলিতের৷ উচ্চবর্ণের মানুষের আক্রমণে আহত হলেন মহিলা, শিশু-সহ কমপক্ষে ৪০ জন৷ অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি৷ স্বাধীন ভারতের সংবিধানে সমানাধিকারের কথা যে খাতায়-কলমেই থেকে গিয়েছে, বিহারের এই ঘটনাই তার প্রমাণ৷

ঘটনার সূত্রপাত ১৫ অগস্ট সকালে৷ স্বাধীনতা দিবসের দিন গুরু রামদাসের মন্দিরের কাছে জাতীয় পতাকা তুলতে চেয়েছিল বাড্ডির দলিত মানুষগুলো৷ কিন্ত্ত তাদের এই স্পর্ধা মেনে নিতে পারেননি গ্রামের উচ্চবর্ণের মানুষ৷ রামদাসের মন্দিরের সামনেই রয়েছে তাঁর একটি মূর্তি৷ উচ্চবর্ণের মানুষরা চেয়েছিলেন সেখানে স্বাধীনতা সংগ্রামী নিশান্ত সিংয়ের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করতে, যিনি এক সময় ওই গ্রামেরই বাসিন্দা ছিলেন৷ ইচ্ছেপূরণ না হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই দলিতদের উপর রাগ ছিল উচ্চবর্ণের মানুষদের৷ তাঁরা নির্দেশ জারি করেন, স্বাধীনতা দিবসের দিন পতাকা উত্তোলন করতে পারবে না দলিতরা৷

কিন্ত্ত সে নির্দেশ না-মেনেই সে দিন পতাকা উত্তোলন করতে গিয়েছিল দলিত মানুষগুলো৷ শাস্তিস্বরূপ পাথর ছুড়ে মারা হয় এক দলিতকে৷ আহত হন মহিলা, শিশু-সহ অনেকেই৷ পাটনা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে আহতদের৷ তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন লোকসভার স্পিকার মীরা কুমার৷ জানান, এই ধরনের ঘটনা 'নিন্দনীয়'৷ দোষীদের কড়া শাস্তির আশ্বাসও দেন তিনি৷

প্রসঙ্গত, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এ দিনই পাটনার নিকটবর্তী একটি দলিত গ্রামে গিয়ে পতাকা উত্তোলন করেন৷ দলিত ভোট হাতে রাখতে সম্প্রতি তাঁদের মন জয়ে উঠেপড়ে লেগেছে নীতীশের জেডিইউ৷ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে ভোট জয়ের হাতিয়ার করে 'মহাদলিত' শব্দে প্রচারের মঞ্চ কাঁপাচ্ছেন নেতা-কর্মীরা৷ অথচ সেই পাটনা থেকেই কিছু দূরে পতাকা তোলার 'অপরাধে' প্রাণ যাচ্ছে দলিতদের৷ স্বাধীনতা লাভের ৬৭ বছর পর স্বাধীনতার 'প্রকৃত চিত্র' এটাই৷ --সংবাদসংস্থা

No comments:

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...