Twitter

Follow palashbiswaskl on Twitter

Memories of Another day

Memories of Another day
While my Parents Pulin babu and Basanti devi were living

Monday, August 19, 2013

পুজোর আগেই বাড়তে পারে ভোগ্যপণ্যের দাম

পুজোর আগেই বাড়তে পারে ভোগ্যপণ্যের দাম

পুজোর আগেই বাড়তে পারে ভোগ্যপণ্যের দাম
নয়াদিল্লি: পুজোর আগে নতুন টিভি, ফ্রিজ বা এসি কেনার কথা ভাবলে, দেরি না করে এখনই কিনে ফেলুন৷ উত্‍সবের মুখে টিভি, ফ্রিজ-এর মতো দীর্ঘস্থায়ী ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ানোর কথা ভাবছে উত্‍পাদক সংস্থাগুলি৷ পুজোর মরসুমে চাহিদা বাড়লে এই সমস্ত ভোগ্যপণ্যের দাম পাঁচ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে৷টাকার বিনিময় দরে পতন এবং বৈদুতিক ভোগ্যপণ্যগুলির 'এনর্জি এফিসিয়েন্সি' নিয়ে প্রস্তাবিত বিধি মানতে সংস্থাগুলির উত্‍পাদন খরচ ইতিমধ্যেই বেড়ে গেছে৷ তাই পণ্যের বিক্রয় মূল্য বাড়ানোর কথা ভাবছে উত্‍পাদনকারী সংস্থাগুলি৷

ইতিমধ্যেই ভোলটাস ও ব্লু স্টার প্রভৃতি কয়েকটি সংস্থা তাদের এয়ার কন্ডিশনিং মেশিনের দাম পাঁচ শতাংশ বাড়িয়েছে৷ ব্লু স্টারের এয়ার কন্ডিশনিং অ্যান্ড রেফ্রিজারেটশন প্রোডাক্টের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর ও ভাইস প্রেসিডেন্ট বি ত্যাগরাজন বলেন, 'ভোগ্যপণ্যের সংস্থাগুলির উপর এখন দু'দিক থেকে চাপ আসছে- টাকার অবমূল্যায়ন ও এনার্জি এফিসিয়েন্সি সংক্রান্ত বিধি বদল৷' একই কথা বললেন ভোলটাসের সিইও প্রদীপ বকসী৷ তাঁর কথায়, 'নতুন স্টার রেটিং চালু হলে আমরা দাম বাড়াতে বাধ্য হব৷ তিন শতাংশ মতো দাম বাড়বে৷ তা ছাড়া টাকার দাম পড়ে যাওয়ার ফলেও লাভের অনুপাত কমছে৷'

ব্যুরো অফ এনার্জি এফিসিয়েন্সির নতুন নিয়ম আগামী বছর পয়লা জানুয়ারি থেকে লাগু হবে৷ সেই বিধি অনুযায়ী, বৈদ্যুতিক ভোগ্যপণ্যের বিদ্যুত্‍ খরচ সম্পর্কে গ্রাহকদের স্বচ্ছ ধারণা দিতে পণ্যগুলির গায়ে তারকা চিহ্ন ব্যবহার করতে হবে৷ যে পণ্য যত বেশি বিদ্যুত্‍ সাশ্রয়কারী সেই পণ্যের তত বেশি তারকা চিহ্ন থাকবে৷ সর্বাধিক পাঁচটি তারকা চিহ্ন থাকতে পারে৷ ধরা যাক, তারকা বিহীন (জিরো স্টার) কোনও এয়ার কন্ডিশন যন্ত্র ব্যবহারের ফলে বিদ্যুতের বিল হল ৫৫৩৭ টাকা৷ এক তারা থেকে পাঁচ তারা পর্যন্ত যন্ত্র ব্যবহার করলে বিদ্যুত্‍ বিলে সাশ্রয় হতো যথাক্রমে ৪৬২ টাকা, ৮৫৩ টাকা, ১১৮৯ টাকা, ১৪৭৯ টাকা ও ১৭৩৩ টাকা৷

আগামী বছরের গোড়ায় যাতে ধাক্কা খেতে না হয়, সে জন্য এ বছর অক্টোবর থেকেই ধীরে ধীরে নতুন বিধি মেনে উত্‍পাদন শুরু করতে চাইছে সংস্থাগুলি৷
টাকার বিনিময় দরে পতনের ফলে খরচ বাড়ছে সেই সমস্ত সংস্থাগুলির যাদের উত্‍পাদনের উপকরণ আমদানি করতে হয়৷ তাই, প্যানাসনিক ও সনি মতো সংস্থাগুলি ডলার-টাকা বিনিময় দরের উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছে৷ প্যানাসনিক ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মনীশ শর্মা বলেন, 'যদি ডলারের দাম ফের ৬২ টাকার বেশি হয় তা হলে আমাদের পণ্যের দাম বাড়তেই হবে৷ কতটা বাড়বে তা নির্ভর করছে পরিস্থিতির উপরে৷' সনি ইন্ডিয়ার মার্কেটিং হেড তাদাতো কিমুরা বলেন, 'আমরা পরিস্থিতি উপরে নজর রাখছি৷ ক্রেতাদের হতাশ করতে চাই না, তবে সবটাই নির্ভর করছে বাজারের অবস্থার উপরে৷'

No comments:

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...