দাঙ্গাবাজদের মুখে ছাই বিহারিরা বুড়বক নয়,প্রমাণ হল!
साबित हुआ,बिहारी बुरबक नहीं होते!
বাংলা নিরুত্তাপ তবু রেপ সুনামির শেষ দেখবে ভারত,যারা গৌরিকীকরণ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর মেরুদন্ড হারিয়েছেন,ইতিহাসের আস্তাকুঁড়েতেও জায়গা হবেনা শিরোনামে যারা, সেই সব বিদ্বতজনদের!
KUMAR ( STUDIOMAHUA )9304550100 LYRICS BY SHAKTI BABUA
https://www.youtube.com/watch?v=E0ANGYr-100
পলাশ বিশ্বাস
TRAN, BHARAT TIRTHA - YouTube
www.youtube.com/watch?v=gyEzxTqGh8Y
Dec 29, 2010 - Uploaded by Asim Duttaroy
TAGORE POEMS A Video By Asim Duttaroy I am not the owner of this song. Uploaded for general entertainment.
Bharat tirtha (English recitation - YouTube
https://www.youtube.com/watch?v=7ZiouiTWedE
Apr 1, 2011 - Uploaded by Asim Duttaroy
In the process of this assimilation, the constant infusion of new blood and the purification of the self ...
হাতে রক্ত,মুখে রক্ত,যুদ্ধ অপরাধীর রাজ্যাবিষেক তবু দেখল ভারত।গণসংহার সংস্কৃতির অশ্বমেধ শুরু হতে না হতে মেহনতী মানুছের সব অধিকার,আইন কানুন, পরিবেশ, সংবিধান,কৃষি, শিল্প,বাণিজ্য,জীবন জীবিকা,উত্পাদন খতম করার গুজরাত গণসংহার শুরু হল।
শুরু হল দেশ বিক্রীর নিলামী।
শুরু হল গ্রীক ট্রাজেডি।
ধর্মের নামে জাত নিয়ে বজ্জাতির আত্মধ্বংসী খেলা শুরু হল।এই প্রগতিবাদী খ্যাত রবীন্দ্র বিবেকানন্দ, নেতাজি, চৈতন্য মহাপ্রভূ,লালন ফকীর পীর বাউলদের বাংলায়,বৌদ্ধময় বাংলার ঐতিহ্য থাবা বসাতে বানর সেনায় নাম লেখানোর হুজুগও হল।
ভোটেও গৌরিকীকরণ, মেরুকরণ হল এবং আমরা বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে হঠাত শুধু হিন্দু হতে থাকলাম।
সারা দেশে যখন প্রতিবাদ,সুশীল সমাজ প্রতিবাদের প্রতিবাদ করে সোচ্চার ঘোষণা করল প্রতিবাাদ জানিয়ে কিছু বদলায় না।
নিকট অতীতে তবু বাংলা নন্দীগ্রাম সিঙুর আন্দোলন এবং পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করেছে। কিন্ত যারা শাসকের রক্ত চক্ষুকে ভয় পাননি,তাঁরা সোনা দিয়ে বাঁধিয়ে পুরস্কার বুকে আঁকড়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার প্রয়োজন বোধ করলেন না।
তবু প্রতিবাদ হল।প্রতিবাদ চলছে।চলবে।রাজপথে সহিষ্ণুতার মিছিলে মহিলা সাংবাদিককে ঘেরাও,রেপ করে দেওয়া বা বেস্যা মাগি বলার অসভ্যতা,চিরহরণের রেপ সুনামির বিরুদ্ধে বিদ্বতজনদের হোক না হোক,সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ চলবে।
গুজরাতের মহাদাঙাবাজেরা বার বার বাংলায় বুক বাজিয়ে বিষবৃক্ষের চাষ করতে থাকলেন,মেরুকরণের রাজনীতি হল।
সেই মেরুকরণের রাজনীতিতে ফতোয়া জারি হল বিহারে,তাঁদের পার্টি হারলে নাকি পাকিস্তানে দেওয়ালি উদ্যাপন হবে।তাঁরা গো হারা হারিলেন।
বিহারের ভোটাররা পাকিস্তানে পাঠানোরর হুমকিকে তোয়াক্কা না করে প্রমাণ করলেন কোনো পরিবর্তন কিন্তু শেষ পরিবর্তন নয়।পরিবর্তনের পরও পরিবর্তনহতে থাকে।
ভারতের ধর্মপ্রাণ মানুষ ভালোবাসা ও সহিষ্ণুতার হিন্দুত্বে অভ্যস্ত,মহাকাব্যের কুরুক্ষেত্রে কুরুবংশ ধ্বংসে,দ্রোপদীর চিরহরণে তাঁদের সমর্থন নেই।তাঁরা বুড়বক নয়,ফ্যাসিবাদী দাঙ্বাজদেরমুখে ছাি দিলেন তাঁরাই।
তাঁদের লাল সেলাম।
তাঁদের নীল সেলামও।
অথছ আমাদের বাংলায়, এই সেদিন হঠাত গোমাংস বিপ্লবের ডাক হল,যারা পুরস্কার ফেরত দিতে অস্বীকার করলেন,তাঁরা সর্বজনসমক্ষে গোমাংস ভক্ষণ করে বুঝিয়ে দিলেন যে তাঁরা গৌরিকীরকরণের পক্ষেই।
ধর্মের নামে মেরুকরণের ফলে বাংলা বিভক্ত এবং ধর্ম অত্যন্ত সংবেদনশীল জায়গা,যেহেতু পিছিয়ে পড়া কৃষি নির্ভর মানুষের,মেহনতী সর্বহারাদের পুঁজি বলতে, সারভাইভাল কিট বলতে ঔ ধর্ম,ভারত ভাগের বলি হয়ে ওপার বাংলা বা ওপার পান্জাব সিন্ধ থেকে যারা উদ্বাস্তু হয়ে এসেছেন,তাঁদের আস্থাকে চোট করে মেরুকরণে গৌরিক বাংলা গড়তে ফ্যাসিবাদে হাত মজবুত করার প্রস্তুতি করতে তাঁদের দ্বিধা বোধ হল না।
আমি বাংলাতে এই গোমাংস বিপ্লব নিয়ে আগেই লিখেছি।
আজরকের মৌলিক খবর হল যে রবীন্দ্রনাথের ভারততীর্থে,হিন্দু ধর্ম টিকে আছে মনুস্মৃতি ও বর্ণবৈষম্য সত্বেও,সাতশো সালের ইসলামি ও দুশো বছরের ইংরেজ রাজত্বের পরে,তার মুল কারণ হল সহিষ্ণুতা, ভালোবাসা,বহুলতা - কত মানুষের ধারা হেথা হল লীণ!
বৌদ্ধময় ভারতের অবসানের পর,বৌদ্ধময় বাংলার অবসানের পর গৌতমবুদ্ধের আদর্শ ও মুল্যবোধকে গ্রহণ করে বৈদিকী হিংসাকে বিসর্জন দিয়েছে হিন্দুধর্ম।
সেই ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা ফ্যাসিবাদকে গোহারা হারিয়ে দিল বিহারে।আগামী বছর বাংলায় ভোট,যেখানে চান বোট দিন,কিন্তু ফ্যাসিবাদকে পরাস্ত না করলে আমরাই বুড়বক হয়ে থাকব,ইতিহাস ঔ ঐতিহ্যের সম্মান রক্ষা হবে না।
ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে,পুর্বোত্তর ও দক্ষিণ ভারতে এবং পিছিয়ে পড়া ব্রাত্য বহিস্কৃত হিন্দু সমাজের গরিষ্ঠ অংশের খাদ্য গোমাংস,কিন্তু গোমাংস বিপ্লবে তাঁদের সায় নেই তেমনিই যেমন গোমাংস নিষেধেও তাঁদের সম্মতি নেই।ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতিতে তাঁরা নেই।
ফ্যাসীবাদী শাসন ও রাজনীতি চাসবাস উঠিয়ে দিয়ে,একাধিকারবাদী আক্রমণে গ্রাম ভারতকে শ্মশানে পরিণত করার যে সংস্কার গণসংহার অভিযান শুরু করেছে ফ্যাসিবাদ,তার ফলে সারা দেশে চাষিরা আত্মহননে পথ বেছে নিয়েই বাঁচার রাস্তা খুঁজতে বাধ্য হয়েছেন মুক্ত বাজারের বিভীষিকা থেকে।
সেই মুক্তবাজারের বিরুদ্ধে সেভাবে আমরা প্রতিবাদ করিনি।
মানুষ যেমন নগরায়ণের প্রমোটার সিন্ডিকেট বিল্ডার হাব শিল্পায়ণে বেদখল,আশ্রয়হীন, খাদ্যহীন- তেমনিই গোমাতার আশ্রয় ,খাদ্যও অমিল উত্পাদনহীন সার্ভিস দালালি নির্ভর এই বটমলেস জমিদারিতে,যে জমিদারী বাঁচানোর জন্যই কোটি কোটি মনুষকে উদ্বাস্তু হতে হল।
গোমাতর স্থান নেই,গোবর অমিল,অথচ যারা প্রতিনিয়ত মানুষের সাথে সাথে গোহত্যাও করে ছলেছেন তাঁরা গোরক্ষার নামে ধর্মীয় মেরুকরণের উদ্দেশ্যে আরব বসন্ত আমদানি করলেন ভারতকে তালিবান রাজ্যে পরিণত করে এক শতাংশ জমিদার শ্রেণীর শাসক শ্রেণীর আধিপাত্য,অসমতা ও আন্যায়,সৈন্য শাসন জারী রাখতে,সলওয়া জুড়ুম অব্যাহত রাখতে, আফস্পায় বর্ণবৈষম্যে হিমালয় ও প্রাকৃতিক সম্পদ,আমাদের সুন্দরবনকে বিদেশি লগ্নির নামে বিলিয়ে দিতে.তাঁরাই এখন গোমাতার সন্তান।গরুর দুধ বিলি করছেন বিনি পয়সায় বাংলায় হিন্দুত্বের ব্যবসা ফাঁদার জন্যই।
আমরা প্রতিবাদ করতে পারিনি।
শুধু চ্যানেলে প্যানেলে মুখ দেখানোর জন্য,শাসকের পাতের অবশিষ্ট কুড়িয়ে সাধারমের নজরে বিশিষ্ট হয়ে থাকার জন্য যা যা প্রয়োজন করকেট ক্যাপসুল,জাপানী তেল নিবেদিত শিরোনামে থাকার জন্য শুধু তাই করা হচ্ছে।
অথচ ভারত বার বার প্রমাণ করেছে,অসহিষ্ণুতা আমাদের ধর্ম নয়।ধর্মের নামে হিন্দুত্বকে শেষ করার এই আয়োজন বেনিয়া দালাল শাসক শ্রেণীর, যারা উত্পাদণ প্রণালি ও অর্থব্যবস্থা,শিল্প বাণিজ্য ও কৃষিকে জলান্জলি দিয়ে শেযারবাজারে সব কিছু ঠেলে দিয়ে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার কামিয়ে নিচ্ছেন।
আমরা তার প্রতিবাদ করিনি।
রাাজনীতির জন্যসবকিছু ধ্বংস করে আত্মধ্বংসী দেবদাস বাঙালি মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়াতে ভূলে গেছে।
বাংলা নিরুত্তাপ তবু রেপ সুনামির শেষ দেখবে ভারত,যারা গৌরিকীকরণ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর মেরুদন্ড হারিয়েছেন,ইতিহাসের আস্তাকুঁড়েতেও জায়গা হবেনা শিরোনামে যারা, সেই সব বিদ্বতজনদের!
পুরস্কার ফেরত কিচ্ছু হয় না?
সুশীল সমাজের প্রতিবাদে কিচ্ছু হয় না?
ভারতের জনগণকে পাকিস্তানে পাঠানোর ক্ষমতা নেই ভরা হাটে নাঙা,দাঙার রাজনীতিতে বাংলা দখল হবে না,ভারত দখলও হইল না
বামেরা নেই,তবু বাংলা দুর্জয়,জাত ধর্মের রাজনীতি চলবে না আবার বাংলা ভাগ হবে না,ভারত ভাগে মুখে ছাই ফ্যাসিবাদী বজরঙ্গী মুখে ছাই।
খানিকটা দুধ দিল্লীতে আর খানিকটা নাগপুরে এখনোই পাঠানো উচিত ধ্বসে যাওয়া মনোবল চাঙা করতে
কমরেডদের গোমাংস উত্সবে সায় নেই পার্টির,দুধ খাওয়ালেই বাংলা দখল হবে না,বাংলা গৌরিক হবে না
No comments:
Post a Comment