আজ দেশভক্ত একমাত্র তারাই যারা প্রতিরক্ষা আন্তরিক সুরক্ষার নামে গোটা দেশটাই বিক্রি করে দিচ্ছে।
সত্য বলিলেই দেশদ্রোহ।
জেটলির বাজেট সবচেয়ে বড় এফডিআই।
পলাশ বিশ্বাস
ভারতের সংসদে প্রত্যাশা মত নামী করপোরেট উকীল অরুণ জেটলি যিনি একাধারে অর্থ ও পর্তিরক্ষা মন্ত্রী মার্কিন স্বার্থ পূরণকে অগ্রাধিকার দিয়ে বীমা ও প্রতিরক্ষায এফডিআই প্রস্তাবের অনুমোদন করিয়ে নিলেন নবধনাঢ্য এক প্রতিশত মধ্য উচ্চবিত্য শাসক শ্রেণীকে করছাড় দিয়ে এবং আম জনতার জন্য ধর্মোন্মাদী জাতীযতাবাদ মোড়কে গুজরাত মডেলের এক গুচ্ছ পিপিপি প্রকল্প ঘোষণা করে।
মার্কিন ভারত পরমাণু চুক্তি অনুযায়ী ভারতের প্রতিরক্ষা আন্তরিক সুরক্ষা বাজার খুলে দিলেন জেটলি।
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমেরিকার যুদ্ধে পারটনার ভারত গৌরিক শাসনে আরও বেশি করে ইজরাইলের দোসর।
সেই ইজরাইল,যে গাজায় চালাচ্ছে ধংসলীলা।
ইরাক আফগানিস্তানে আমেরিকার যুদ্ধে বর্ণবর্টস্বী ব্রাহ্মণ্যতান্ত্রক ভারত সরকার আমেরিকার পার্টনার ছিল।
দিল্লীর গৌরিক সরকার তাই গাজায় ধংলসলীলার প্রসঙ্গে আমেরিকা ও ইজরাযেলেরই পক্ষে।
জায় ইসরাইল হামলা বন্ধ হবে না। আরও বাড়বে। বদলা হত্যার জেরে শুরু হওয়া গাজা অভিযান চলবে। আক্রমণ আরও বিস্তৃত হবে। বৃহস্পতিবার অপারেশন প্রকেক্টিভ এজর তৃতীয় দিনে নিরাপত্তা কেবিনেটের সংক্ষিপ্ত বৈঠকে এমন মন্তব্য করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
তিনি বলেন, হামলার যেমন পরিকল্পনা হয়েছিল তা বাস্তবায়ন হয়েছে। হামলার পরবর্তী ধাপগুলোতে আক্রমণ আরও বাড়বে। নেতানিয়াহু আরও বলেন, গাজা থেকে সন্ত্রাসীদের রকেট হামলা আমরা আয়রন ডোম প্রযুক্তিতে ঠেকিয়ে দিয়েছি। এ সময় গাজায় স্থল বাহিনী পাঠানোরও ইঙ্গিত দেন তিনি। তবে স্থল ভাগের সেনা অপারেশন কখন কিভাবে হবে তা স্পষ্ট করেননি নেতানিয়াহু। বিস্তৃত হামলায় ব্যাপারে কি কি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে সে বিষয়েও কিছু জানাননি।
অন্যদিকে ইসরাইলের এক কর্মকর্তা জানান, দুই সপ্তাহ আগে থামার বদলে থামা শর্তে যুদ্ধবিরতির যে সুযোগ ছিল, তা এখন আর নেই। নেতানিয়াহু আর কোনো যুদ্ধবিরতিতে যাবেন না, কারণ এতে হামাস ঘর গোছানোর সুযোগ পাবে।
এদিকে ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, গাজায় ইসরাইল বাহিনী এবার স্থল আক্রমণের প্রস্তুতি নিয়েছে। ফিলিস্তিনিদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ করতেই তাদের এই পদাতিক আক্রমণ। তবে ইসরাইলের এই আগ্রাসনে পিছু হটবে না ফিলিস্তিন। নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকবে।
আব্বাস বলেন, আমি তাদের বলছি, আমরা ভূমি ছেড়ে যাবো না। আমাদের অস্ত্র নেই। প্রয়োজনে মুখ দিয়ে যুদ্ধ করবো। তিনি আরও বলেন, ইসরাইলের ক্ষেপণাস্ত্র আছে, গোলাবারুদ আছে। আমাদের কিছুই নেই। তবে মানে এই না যে, আমরা আত্মসমর্পণ করবো।
মাহমুদ আব্বাসের মতে, দুই পথেরই এখন শর্তহীনভাবে থামা উচিত। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে রক্তপাত বন্ধ করা।
আজকের কাগজে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ কান্না অভিব্যক্ত হল সস্কার যজ্ঞের পূর্ণাহুতি না হওয়ার হতাশায়।
কিন্তু জেটলি সংস্কারের সিংহদ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছেন।
মার্কিন নির্দেশনামা মেনে।
বীমা ও প্রতিরক্ষায় এফডিআই চালূ না করার অপরাধে মুক্তবাজারের ঈশ্বরকে স্বর্গচ্যুত করে যে হিন্দুত্ব সুনামির জোরে আজ গুজরাত মডেল সারা দেশে,তার সবচেয়ে বড় এজেন্ডা এক ঝটকায় পাশ করিয়ে নিলেন মোদী।
বেসরকারিকরণ চলছে জোর কদমে, সেই অটল শৌরি জমানা থেকে।
লম্বা রেসের ঘোড়া রেল বাজেটে রেল ভাড়া তেলের সঙ্গে যুক্ত করে ইতিমধ্যে শুধু রেলভাড়া মালভাড়া ডিকন্ট্রোলই করেননি বরং ঢালাও বেসরকারিকরণের ব্যপস্থা করেছেন।
অটল শৌরি জমানায় প্রাইভেট পার্টি জিপি গোয়েন্কা,নুস্লি ওয়াডিয়া ও চল্দ্রশেখরণের ডিসইনভেস্ট মেন্ট কাউনসিলের রিপোর্ট ও রোডম্যাপ অনুযায়ী বেসরকারিকরণ অব্যাহত।
যাবতীয সরাকি ব্যান্কের সরকারি শেযার 51 পার্সেন্টের কম করে প্রাইভেট ব্যান্কিং এর লাইসেন্স চালু হওয়ার পূর্বেই এসবিআই সহ সমস্ত সরকারি ব্যন্ককে ফিনিশ করার ব্যবস্থাও হয়ে গেল।
অসংবৈধানিক আধার ও নাগরিকত্ব সংশোধনী মার্ফত ডিজিটাল দেশে ব্যাপক বেদখলি অভিযান চলছে।
বদলে যাচ্ছে ভূমি অধিগ্রহণ আইন।
বদলে যাচ্ছে খনন অধিনিয়ম।
বদলে যাচ্ছে ট্রাই আইন।
বদলে যাচ্ছে পরিবেশ আইন।
শেষ করে দেওয়া হচ্ছে লেবার ল।
না থাকছে চাকরি ,না থাকছে লেবার কমিশন না থাকছে ওয়েজ বোর্ড।
সবকিছু হায়ার এন্ড ফাযার।
একশোটি স্মার্ট সিটি গড়ার ঘোষণা করেছেন জেটলি।2030 পর্যন্ত দশ লক্ষ জনসংখ্যাবহুল 30টি শহর গড়ার প্রকল্প উন্নয়ণের নামে।
সঙ্গে যোগ করুন অমৃতসর কোলকাতা,দিল্লী পুণে, মুম্বাই চেন্নাই,মুম্বাই বেঙ্গালুরু ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডোর।ইতিমধ্যে অটল স্বর্ণিম চতুর্ভুজে ব্যাপক বিস্থাপন হয়ে গেছে।এবার হীরক বুলট চতুর্ভুজ।
আগ্রা দিল্লী এক্সপ্রেসওয়ে পশ্চমিম উত্তর প্রদেসশের কৃষকদের উত্খাত করে তিন তিনটি মেগা সিটির পত্তন করে দিয়েছে।
প্রতি বুলেট ট্রেন বাবত এফডিআই ও পিপিমডেলে 65 হাজার কোটি টাকা খরচ এবং সেই অনুপাতে রেলওয়ে ট্র্যাক পিপিমডেলে।
রাজ্যে রাজ্যে দিল্লীর ধাঁচে হাসপাতাল,আইটিটি,আইএসএম সবই গুজরাত মডেলে ইহার নামই উন্নয়ন।
সারা দেশ মজেছে উন্নয়মের কামসূত্রে।
সেজ পুনর্জীবিত।
লোককল্যাণকারি রাজ্যের অবসান।
গণতন্ত্রের অবসান।
সাংসদ,বিধায়ক মন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সবাই বিলেনিয়ারর বাহুবলি আইকন।
নিদেনপক্ষে কোটিপতি।
এই ধংসযজ্ঞে যাদের সারা বছর পৌষমাস,তাঁদের মাথাব্যথা হওয়ার কথাই নয় গণসংহার সংস্কৃতি নিয়ে।
নব্য হারামাদ বাহিনীর দিকেই তাকিয়ে জনগণ তবু।
এফডিআই,পিপি মডেল,ডিকন্ট্রোল,ডিরেগুলেশন,ডিসইনভেস্টমেন্টের ফসল মুদ্রাস্ফীতি,মূল্যবৃদ্ধি, কিন্তু আম জনতা গৌরিক জাত্যাভিমানে তথ্য বন্চিত মোডে কার্ণিবালে নিজের ধ্বংসের প্রতীক্ষায় উল্লসিত,আমোদিত।রাজনীতি এই ধংসযজ্ঞের বিরোধিতা করছে না।
না রাজপথে কোনো মিছিল,না সংসদে কনো প্রতিবাদ সংস্কারের বিরুদ্ধে।সংস্কারের ফসল নিয়েই কাজিয়া।
বাজেটের পূর্ব সন্ধায় গুজরাত মডেল বিশেষজ্ঞ অমিত শাহ বিজেপি প্রেসিডেন্ট।
রাজধানী দিল্লীতাতে কি,রাজকার্য এখন নাগপুরের রিমোট কন্ট্রোলে,যার আবার নাড়িতে নাড়িতে সংযোগ ওয়াসিংটন ও তেল আবীবের সঙেগ।
কৃষি ধংস শেষ।
ইন্ডাস্ট্রলাইজেশানের নামে চলছে জমি দখল,অন্ধ শহরিকরণ,পাড়াযপাড়ায় বিল্ডার প্রোমোটার মস্তান রাজ।
কৃষি বিকাশ দর তিন প্রতিশতের নীচে।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ জিরো।
মেনুফ্যাক্চারিং লেবার ছাড়া হয় না।
গৌরিক পিপিপি মডেল তেলা মাথায় আরও তেল যুগিয়ে কাল টাকা ফিরিয়ে আনার নামে নিরন্কুশ পুঁজির রাজ কায়েম করে চলেছে।
মীডিয়া উন্নয়নের কনডোম বিলি করে চলেছে।
বিলি হচ্ছে জাপানি তেল।
অমোঘ পরিণাম ধর্ষণ এবং হত্যালীলা।
যার প্রতিফলন পদে পদে।
মনুষত্বের,প্রকৃতি,পরিবেশের চরম বিপর্যয়।
আজ দেশভক্ত একমাত্র তারাই যারা প্রতিরক্ষা আন্তরিক সুরক্ষার নামে গোটা দেশটাই বিক্রি করে দিচ্ছে।
সত্য বলিলেই দেশদ্রোহ।
জেটলির বাজেট সবচেয়ে বড় এফডিআই।
মার্কিন সফরের আগে মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রে এই সেদিন পর্যন্ত অবান্ছিত মুক্ত বাজারের নূতন ঈশ্বরের জন্য অধীর আগ্রহে প্রতীক্ষারত বারাক ওবামা।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণ পেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার মার্কিনি ডেপুটি সেক্রেটারি উইলিয়াম বার্নস ওবামার হয়ে ওয়াংশিটনে আমন্ত্রণ জানালেন মোদীকে।
প্রধানমন্ত্রী ওয়াশিংটনের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। সূত্রে খবর, মোদী জানিয়েছেন দু`দেশের মধ্যে কৌশলী সম্পর্ককে নতুন দিশা দিতে তিনি এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছেন।
আগামী সেপ্টেম্বর মাসে রাষ্টপুঞ্জের সাধারণ সমাবেশের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন মোদী। অনুমান করা হচ্ছে ওই সময়েই মোদী ভারত-মার্কিন সম্পর্ক সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে ওবামার সঙ্গে সাক্ষ্যাত করবেন।
বৃহস্পতিবার উইলিয়াম বার্নস দু`দেশের দ্বিপাক্ষিক বন্ধন নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে দেখা করেছেন।
``পৃথিবীর দুই বৃহত্তম গণতন্ত্র, ও দুই বৃহত্তম অর্থনীতি পরস্পরের সাফল্য উৎসাহের সঙ্গে ভাগ করে নিলে পৃথিবীও নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধির দিকে পা বাড়াবে।`` অরুণ জেটলির সঙ্গে বৈঠকের পর মন্তব্য করেন বার্ন।
নেহরুগান্ধীদের সরিয়ে ইতিহাসের পাতা থেকে কংগ্রেসবিরোধী চরিত্ররা ঢুকে পড়লেন নরেন্দ্র মোদির বাজেটে।
মোদির অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বৃহস্পতিবার যখন বাজেট পেশ করলেন, সেখানে দেখা গেল প্রায় আধ ডজন এমন চরিত্রের নামেই ঘোষণা হয়েছে বিভিন্ন প্রকল্প।
গত এক দশকে ইউপিএ জমানায় নেহরু-গান্ধী পরিবারের ছাপ থাকত সরকারী প্রকল্পে।
এবার সেসব স্থান কেড়ে নিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, দীনদয়াল উপাধ্যায়, জয়প্রকাশ নারায়ণ, পণ্ডিত মদনমোহন মালব্যরা।
খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
ভোটের আগেই গুজরাটে সর্দার বল্লভভাই প্যাটলের ৫৯৭ ফুট উঁচু একটি মূর্তি তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন মোদি। প্যাটলের রাজনীতিও গান্ধী-নেহরু ঘরানার মধ্যে পড়ে না।
ভোট প্রচারে দেশের প্রথম উপপ্রধানমন্ত্রীকেই হাতিয়ার করেছিলেন মোদি। বৃহস্পতিবার বাজেটে সেই মূর্তি স্থাপনের জন্যও ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
বাজেট পেশের পর জেটলি জানান, এর পরেও বাদ থেকে গেল কিছু নাম। যেমন, রামমনোহর লোহিয়া, এনটি রাম রাও। ভবিষ্যতে তাদের নামেও কোন প্রকল্প ঘোষণা হতে পারে।
বিজেপির এক শীর্ষ নেতার ব্যাখ্যা, ইউপিএ জমানায় নেহরু-গান্ধী পরিবারের বাইরে কাউকে স্বীকৃতিই দেয়নি কংগ্রেস। কিন্তু গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রচারের ভিতটাই ছিল কংগ্রেসমুক্ত ভারত গড়া। দেশের মানুষও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। তাই সরকার শুধু বিজেপি বা জনসঙ্ঘের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদেরই স্বীকৃতি দিচ্ছে না। বরং ইতিহাসের পাতা থেকে সেই সব ব্যক্তিকেও তুলে আনছে, যাদের অনেকে এক সময় কংগ্রেসে থাকলেও পরে কংগ্রেসমুক্ত ভারত গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন।
সেই সূত্র ধরেই বৃহস্পতিবার বাজেটে গ্রামীণ এলাকায় শহরের পরিকাঠামো পৌঁছে দিতে 'শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রুরাল মিশন' ঘোষণা করা হয়েছে।
সমস্ত ঘরে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুত দেয়ার লক্ষ্যে ঘোষণা হয়েছে 'দীনদয়াল উপাধ্যায় গ্রাম জ্যোতি যোজনা'।
পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশে একটি জাতীয় কলা উৎকর্ষ কেন্দ্রের নামকরণ করা হয়েছে জয়প্রকাশ নারায়ণের নামে ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে যিনি আন্দোলন গড়েছিলেন।
এক সময়ে কংগ্রেসের সভাপতি হয়েও পরে হিন্দু জাতীয়তাবাদকে সমর্থন করেছিলেন পণ্ডিত মদনমোহন মালব্য।
হিন্দু মহাসভার নেতা ছিলেন তিনি।
বারাণসী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ও তার হাতে গড়া।
শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য তার নামে একটি প্রকল্পও ঘোষণা হয়েছে আজকের বাজেটে।
এ ছাড়া, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসীর জন্যও একগুচ্ছ প্রকল্প ঘোষণা করেছেন জেটলি।
ঘাটের সংস্কার, মেগা-ক্লাস্টার, বৌদ্ধ সার্কিটের মতো ঘোষণা রয়েছে বাজেটে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রের মতে, ইউপিএ জমানার বেশ কয়েকটি প্রকল্পের নামও বদলে ফেলা হয়েছে, যেগুলো আগে নেহরু-গান্ধী পরিবারের নামে ছিল।
'ইন্দিরা গান্ধী বয়স্ক পেনশন প্রকল্প'র নাম বদলে 'বরিষ্ঠ পেনশন বিমা যোজনা' করা হয়েছে।
দীনদয়ালের নামে যে প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে, সেটি রাজীব গান্ধীর নামে ছিল বলে সূত্রের খবর।
কংগ্রেসের নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, "বিজেপির আসল চরিত্রটি ধীরে ধীরে প্রকাশ পাচ্ছে। এই বাজেটে অভিনবত্ব কিছু নেই। কংগ্রেস আমলের প্রকল্পগুলোই নতুন নাম দিয়ে চালানোর চেষ্টা হচ্ছে। নেহরু-গান্ধী পরিবারের নাম বদলে দিয়ে এখানে যে রাজনীতিই হচ্ছে, সেটা স্পষ্ট।"
সুর আরও চড়িয়ে এক কংগ্রেস নেতার কটাক্ষ, মোদিকে খুশি করতে প্যাটেলের মূর্তিতে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করলেন জেটলি, অথচ নারীকল্যাণ বা যুদ্ধ স্মারকের মতো ২৯টি প্রকল্পে মাত্র ১০০ কোটি করে বরাদ্দ করলেন!
আবার তৃণমূল পার্লামেন্ট সদস্য সৌগত রায়ের মতে, গঙ্গা নিয়ে প্রকল্প ঘোষণা, যুদ্ধ স্মারক ও পুরনো প্রকল্পগুলোর নাম বদলের মধ্যেই বিজেপির হিন্দুত্ব-কর্মসূচীটি প্রকাশ পাচ্ছে।
তার কথায়, "ওরা সব সময়েই নিরাপত্তার সঙ্গে হিন্দুত্বকে যোগ করে দেখে। বাজেটেও সেই হিন্দুত্বের জয়গান হলো।''
এক ঝলকে
২ আয়কর ছাড়ের সীমা বাড়ল৷ হল আড়াই লাখ টাকা৷ প্রবীণ নাগরিকদের জন্য আরও ৫০ হাজার বেড়ে ৩ লাখ৷
২ আয়করের ৮০ সি ধারায় বিনিয়োগের সীমা দেড় লাখ থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ করার প্রস্তাব দেওয়া হল সংসদে৷
২ পি পি এফে বছরে দেড় লাখ টাকা পর্যম্ত রাখা যাবে৷ এতদিন এই সীমা ছিল ১ লাখ৷
২ অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা, কিসান বিকাশ পত্র আবার চালু হচ্ছে৷ এন এস সি-তে বিনিয়োগ করলে জীবন বিমার সুবিধাও পাওয়া যাবে৷
২ নিজে থাকার জন্য বাড়ি করতে গৃহ ঋণের সুদে ছাড়ের সীমা ২ লাখ টাকা করা হচ্ছে৷ অর্থাৎ ৫০ হাজার টাকা বাড়ল৷
২ কর্মচারী ভবিষ্যনিধিতে চলতি ৬,৫০০ টাকার বেতন সীমা বাড়ছে৷ হবে ১৫ হাজার টাকা৷
২ মাসিক পেনশন হবে ন্যূনতম ১ হাজার টাকা৷
২ বড় শহরে মহিলাদের নিরাপত্তা বাড়াতে বাজেটে ১৫০ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে৷
২ পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৪ রাজ্যে এ আই আই এম এসের মতো প্রতিষ্ঠান৷
২ গ্রামে ও স্কুলে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দিতে 'ন্যাশনাল রুরাল ইন্টারনেট অ্যান্ড টেকনোলজি মিশন' গঠন করা হবে৷
২ গঙ্গার নিবিড় সংস্কারে নতুন প্রকল্প 'নমমি গঙ্গে'৷ এই খাতে আলাদাভাবে বরাদ্দ করা হয়েছে ২,০৩৭ কোটি টাকা৷ পাশাপাশি এলাহাবাদ ও হলদিয়ার মধ্যে জলপথ পরিবহণ চালু করতে ৪,২০০ কোটি টাকার নতুন প্রকল্প 'জল মার্গ বিকাশ'৷
২ খাদ্য ও সারে ভর্তুকিতে নজর রাখতে 'ব্যয় পরিচালন কমিশন' গঠিত হচ্ছে৷
২ ক্ষুদ্র উদ্যোগীদের উৎপাদক শিল্প সংস্হা স্হাপনে উৎসাহ দিতে বিনিয়োগ ভাতা৷
২ জৈব কৃষিতে উৎসাহ দিতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে৷
২ ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পে গ্রামীণ স্তরে ব্রডব্যান্ড যোগাযোগ ব্যবস্হা গড়ে তুলবে সরকার৷
বিদেশি পঁুজির সরকার! মমতা
| |
|
চিনির মোড়কে তেতো ওষুধ
দেবারুণ রায়, দিল্লি | |
| |
|
কথা রাখলেন মোদি
বাজেটে বারানসির পোয়াবারো
সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়, নয়াদিল্লি | আপডেট: ০০:০৭, জুলাই ১২, ২০১৪ |
ভারতে গত এপ্রিম-মে মাসে অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনের সময় প্রচারে বারানসি গিয়ে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নরেন্দ্র মোদি দুটো কথা বারবার বলেছিলেন।এক, 'মা গঙ্গা'র মালিন্য ঘোচানো।দুই, বারানসির জগদ্বিখ্যাত বেনারসি শাড়ির গরিমা ও ব্যাপ্তি বাড়ানো। প্রথম বাজেটেই কথা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
উত্তর প্রদেশের পূর্বাঞ্চলের আলসে ও আয়েশি শহর বারানসির পরিচিতি তার গলিতে, তার মন্দিরে এবং বেনারসি শাড়িতে। এই শহরেই রয়েছে হিন্দুদের পবিত্র কাশী বিশ্বনাথ মন্দির।বাবা বিশ্বনাথের মন্দিরের প্রায় কোল ঘেঁষে প্রবাহিত গঙ্গা।
আর বিশ্বখ্যাত বেনারসি শাড়ি! কত বছর হবে কে জানে, বেনারসি সিল্কের শাড়ি ও ভারতীয় নারী অবিচ্ছেদ্য হয়ে আছে। সেই বারানসি ক্রমে ক্রমে বিপন্ন হয়ে দুয়োরানির সন্তানের মতো অযত্নে দিন যাপন করছিল। মোদির প্রাক-নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে চনমনে হয়ে ওঠা সেই বারানসি আজ হিসাব মিলাতে ব্যস্ত।
গত বৃহস্পতিবার প্রস্তাবিত বাজেটে বেনারসি শাড়ির গরিমা রক্ষা ও তার ব্যাপ্তি ঘটাতে বারানসিতে একটা বাণিজ্য কেন্দ্র গঠন করার প্রস্তাব রেখেছেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।এই বাণিজ্য কেন্দ্র বেনারসি শাড়ির বাণিজ্য-প্রসারে সহায়ক হবে।এত দিন ব্যক্তিগত উদ্যোগে বেনারসি শাড়ি রপ্তানি হয়েছে।এবার পাবে প্রাতিষ্ঠানিক সাহায্য।
গঙ্গার মালিন্য ঘোচাতে প্রধানমন্ত্রী মোদি অবশ্য প্রথম থেকেই সচেষ্ট।গঙ্গার পুনরুজ্জীবনে একটা মন্ত্রক তৈরি করেছেন। গত বৃহস্পতিবারের বাজেটে গঙ্গা-পরিকল্পনা আরও বিস্তার পেল। এলাহাবাদ থেকে বারানসি হয়ে পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া পর্যন্ত এক হাজার ৬২০ কিলোমিটার গঙ্গার পলি সরিয়ে এই জলপথকে বাণিজ্য বিস্তারে ব্যবহার করা হবে। ছয় বছরের জন্য এই প্রকল্পে খরচ ধার্য হয়েছে চার হাজার ২০০ কোটি রুপি। প্রকল্পের নাম 'জলমার্গ বিকাশ'।
গোটা বারানসির অর্থনীতিই দালালনির্ভর। মন্দিরের দালালি, শাড়ির দালালি, কার্পেটের দালালি বা ঘাটের দালালি এই শহরকে বাঁচিয়ে রেখেছে। কেদার থেকে শুরু করে হরিদ্বার, কানপুর, দিল্লি, এলাহাবাদ, বারানসি, পাটনা প্রভৃতি শহরের ঘাটের সংস্কার ও উন্নয়নে চলতি বাজেটে ১০০ কোটি রুপির সংস্থান রাখা হয়েছে। বারানসিকে হিসেবে রেখেই এবারের বাজেটে 'নমনি গঙ্গা' পরিকল্পনা করা হয়েছে। বারানসি থেকে পশ্চিমবঙ্গের হুগলি পর্যন্ত গঙ্গার সংস্কারে খরচ হবে দুই হাজার ৩৭ কোটি রুপি। আর বাড়তি পাওনা?
বারানসিতেও অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসের (এইমস) ধাঁচে নতুন হাসপাতাল গড়া হবে। বাজেটে এযাবৎ অবহেলিত বারানসির পোয়াবারো।
|
- See more at: http://www.jugantor.com/ten-horizon/2014/07/12/121662#sthash.5GaJ59OI.dpuf
আড়াই লাখ পর্যম্ত করমুক্ত |
বাড়তি সঞ্চয়ে আরেকটু ছাড়
আজকালের প্রতিবেদন: দিল্লি, ১০ জুূলাই– করমুক্ত ব্যক্তিগত আয়ের সীমা বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা পর্যম্ত করে দেওয়া উচিত৷ এরকমই মত ছিল তাঁর৷ কিন্তু এই মতটা তিনি যখন জানিয়েছিলেন দেশে তখন ভোট চলছে৷ গত এপ্রিলের কথা৷ সরকারে আসার পর, আরও ঠিক বললে অর্থমন্ত্রকের বিপুল দায় ও দায়িত্ব হাতে পাওয়ার পর বদলে গেছে উপলব্ধি৷ বা হিসেব৷ তাঁর প্রথম বাজেট ভাষণে আজ অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি জানিয়ে দিলেন, তেমন বড় মাপের করছাড়ের সুবিধে এখন অম্তত সম্ভব নয়৷ তবু কর কাঠামোয় তেমন বদল না এনেও কিছুটা সুবিধে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন মোদি সরকারের অর্থমন্ত্রী৷ করমুক্ত আয়ের সীমা কিছুটা বাড়ানো, বাড়তি সঞ্চয় থেকে করছাড়ের বাড়তি সুযোগ দেওয়া এবং গৃহঋণের সুদ থেকে ছাড়ের সুযোগ বাড়ানো৷ করমুক্ত আয়ের সীমা ২ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ২.৫ লাখ টাকা৷ ছোট মাপের করদাতাদের অম্তত এটা কিছুটা স্বস্তি দেবে৷ অবশ্যই, কিছু কর বাঁচবে বেশি আয়ের করদাতাদেরও৷ ষাটোধর্ব প্রবীণ নাগরিকদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা করে দেওয়া হয়েছে ৩ লাখ টাকা৷ নতুন কর কাঠামো দাঁড়াচ্ছে এরকম: বছরে আড়াই লাখ টাকা পর্যম্ত আয়ে কর শূন্য৷ তার পর থেকে ৫ লাখ পর্যম্ত আয়ে করের হার ১০ শতাংশ৷ ৫ লাখের ওপর থেকে ১০ লাখ পর্যম্ত ২০ শতাংশ এবং তার ওপর থেকে ৩০ শতাংশ৷ করমুক্ত আয়ের সীমা ৫০ হাজার টাকা বাড়িয়ে দেওয়ায় কর বাঁচবে ৫ হাজার টাকা৷ এর সঙ্গে কর বাঁচানোর অন্য বাড়তি সুযোগও কিছু রয়েছে৷ ৮০ সি ধারায় অর্থাৎ পি পি এফ, এন এস সি ইত্যাদিতে ১ লাখ টাকা পর্যম্ত বিনিয়োগে করছাড়ের সুযোগ ছিল৷ সেই সীমাটা ১.৫ লাখ টাকা করে দেওয়া হয়েছে৷ এবং পি পি এফে সঞ্চয়ের সীমাও বছরে ১ লাখ থেকে বাড়িয়ে ১.৫ লাখ করে দেওয়া হয়েছে৷ কর বিশেষজ্ঞদের হিসেব অনুযায়ী এই সুযোগ পুরোপুরি নেওয়া হলে ৫ লাখ টাকা পর্যম্ত আয়ে এখনকার তুলনায় বাড়তি যে কর বাঁচানো সম্ভব হবে, তা হল ১০,৩০০ টাকা, ১০ লাখ টাকা পর্যম্ত আয়ে ১৫,৪৫০ টাকা, ২০ লাখ টাকা পর্যম্ত আয়ে ২০,৬০০ টাকা৷ কর সাশ্রয়ের আরও একটি বাড়তি সুযোগ জেটলি দিয়েছেন৷ সেটা হল গৃহঋণের সুদের ওপর ছাড়ের সুযোগ বাড়ানো৷ এই ক্ষেত্রে ১.৫ লাখ টাকা থেকে সীমাটা বাড়িয়ে করা হয়েছে ২ লাখ৷ ঋণ নিয়ে করা নিজের বসতবাড়ির ক্ষেত্রেই এই সুযোগ মিলবে৷ পি পি এফ ইত্যাদিতে বাড়তি সঞ্চয় এবং গৃহঋণের সুদ থেকে বাড়তি ছাড়ের সম্পূর্ণ সুযোগ কেউ নিতে পারলে এখনকার তুলনায় বাড়তি কর সাশ্রয়ের অঙ্কটা হবে এই রকম: ৫ লাখ টাকা আয়ের ক্ষেত্রে ১৫,৪৫০ টাকা, ১০ লাখ পর্যম্ত আয়ে ২৫,৭৫০ টাকা, ২০ লাখের ক্ষেত্রে ৩৬,০৫০ টাকা৷ গৃহঋণের সুদের ওপর বাড়তি সুযোগ আবাসন শিল্পে উৎসাহ জোগাবে৷ ৮০ সি ধারায় বাড়তি সুযোগ এবং পি পি এফে লগ্নির সীমা বাড়ানোর পদক্ষেপ সংসারী মানুষের সঞ্চয়ের হার বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে৷ এদিকে কর্মচারী ভবিষ্যনিধির ই পি এস-৯৫ প্রকল্পে ন্যূনতম ১০০০ টাকা পেনশনের প্রস্তাব বাস্তবায়িত হয়েছে৷ এতে উপকৃত হবেন ২৮ লাখ কর্মচারী৷ চলতি অর্থবর্ষে এর জন্য ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বাজেটে৷ কর্মচারী ভবিষ্যনিধির প্রকল্পের আওতায় আরও অনেক বেশি কর্মচারীকে নিয়ে আসার প্রস্তাবও কার্যকর হচ্ছে৷ চাকরিতে ঢোকার সময়ে মহার্ঘ ভাতা-সহ যাদের মাসিক মূল বেতন ৬৫০০ টাকার নিচে, তাঁরাই এই প্রকল্পের আওতায় আসতেন৷ এই সীমা ১৫ হাজার টাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷ উল্লেখ্য, আগের সরকারের আমলেই এই প্রস্তাব কার্যকর করার সিদ্ধাম্ত হয়ে গিযেছিল৷ এবার বিজ্ঞপ্তি বেরোবে, জানান আজ জেটলি৷ |
মরণাপন্ন অর্থনীতিকে বাঁচাতে এ বাজেট সঞ্জীবনী: মোদি
আজকালের প্রতিবেদন: দিল্লি, ১০ জুলাই– পূর্বসূরি ইউ পি এ সরকারকে খোঁচা দিয়েই নিজের সরকারের প্রথম বাজেটের তারিফ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ বললেন, মরণাপন্ন দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে এই বাজেট সঞ্জীবনী৷ এই বাজেটের ফলে উন্নয়ন হবে সবার, সমাবেশক, সর্বদেশক, সর্বস্পর্শী৷ মোদি বললেন, এই বাজেটে ১২৫ কোটি ভারতীয়ের সবার আশা-আকাঙ্খা পূরণের সূচনা হয়েছে৷ সমাজের সমস্ত শ্রেণী, গরিব, নব মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত– সবার জন্য এই বাজেট৷ মোদির মতে, এই বাজেট গরিব, সমাজের দুর্বল শ্রেণীর সামনে আশার আলো ফেলেছে৷ অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী মোদি বললেন, তাঁর সরকারের আত্মবিশ্বাস ছিল, আর্থিক সঙ্কট থেকে ভারতকে উদ্ধার করে উন্নয়নের পথে আনা হবেই৷ এই বাজেটে অর্থমন্ত্রী সফলভাবে তার সূচনা করলেন৷ এই বাজেট ভারতকে দক্ষতার পথে এগিয়ে দেওয়ার, ডিজিটাল ভারতে পরিণত করার৷ অর্থমন্ত্রী জেটলিকে অভিনন্দন জানিয়ে মোদি বললেন, এই বাজেট জনভাগীদারির, এ বাজেট জনশক্তির৷ বাজেটের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মোদির মন্ত্রীরাও৷ কংগ্রেস এই বাজেটকে গরিব-বিরোধী এবং বাগাড়ম্বরের, উচ্চাকাঙ্খার বলে সমালোচনা করায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বললেন, মোটেই এ বাজেট উচ্চাকাঙ্খার নয়৷ এ বাজেট বাস্তবোচিত৷ এ বাজেট গরিবদের স্বার্থে, যুব সম্প্রদায়ের স্বার্থে, কৃষকদের স্বার্থে, মহিলাদের স্বার্থে৷ রাজনাথ বললেন, এ বাজেট সবার৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ খুশি পুলিসবাহিনীর আধুনিকীকরণে এ বাজেটে ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হওয়ায়৷ রাজনাথ বলেছেন, এতে রাজ্যে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্হিতির উন্নতি ঘটবে৷ কাশ্মীর থেকে উদ্বাস্তু হয়ে আসা মানুষজনের পুনর্বাসনে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হওয়াতেও সম্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি৷ কংগ্রেস এই বাজেটকে হতাশাব্যঞ্জক আখ্যা দেওয়ায় সংসদীয় মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডু বলেছেন, কংগ্রেস তো হতাশ হবেই৷ সারা দেশ এ বাজেটে খুশি হয়েছে, এতে কংগ্রেসের হতাশা তো জাগবেই৷ বেঙ্কাইয়া বলেছেন, এই বাজেটে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে৷ সঙ্কট কাটার সূচনা হয়েছে এই বাজেটে৷ বেঙ্কাইয়ার হাতে অতিরিক্ত দায়িত্ব রয়েছে নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের৷ তিনি বললেন, গৃহঋণে ছাড়, নগরোন্নয়ন, আবাসন– এ সব ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দে তিনি খুশি৷ রেলমন্ত্রী সদানন্দ গৌড়া বলেছেন, আর্থিক বৃদ্ধির সহায়ক হবে এই বাজেট৷ গরিব মানুষ, কৃষক সম্প্রদায়, যুব সম্প্রদায়, মহিলারা এ বাজেটে উপকৃত হবেন৷ সার ও রসায়ন মন্ত্রী অনম্ত কুমার বলেছেন, উন্নয়নের সহায়ক এই বাজেট৷ বাজেটে রয়েছে যথেষ্ট ভাবনাচিম্তা৷ জলসম্পদ মন্ত্রী উমা ভারতী খুশি৷ গঙ্গা প্রকল্পে ২০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হওয়ায়৷ উমা বলেছেন, এই বাজেটে দেশ হাঁটবে উন্নয়নের নতুন পথে৷ গরিব মানুষ উপকৃত হবেন৷ অতি চমৎকার বাজেট, বলেছেন সড়ক পরিবহণ ও জাতীয় সড়ক মন্ত্রী নীতিন গাডকারি৷ বন্দরগুলির বরাদ্দে তিনি খুশি৷ বর্ষীয়ান বি জে পি নেতা মুরলীমনোহর যোশি খুশি বাজেটে৷ বলেছেন, জেটলি সমাজের সব শ্রেণীর মানুষের কথা ভেবে চমৎকারভাবে এই বাজেট তৈরি করেছেন৷
মোদীকে আমেরিকা আসার আমন্ত্রণ ওবামার
নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর অভিনন্দন বার্তার মাধ্যমেই মিলেছিল বরফ গলার ইঙ্গিত। এ বার সেই ইঙ্গিতকেই কাজে পরিণত করে দেখালেন বারাক ওবামা। নরেন্দ্র মোদীকে সরকারি ভাবে আমেরিকা সফরে আসার আমন্ত্রণ জানালেন তিনি। সেপ্টেম্বরে মোদীকে ওয়াশিংটন আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের চিঠি প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পৌঁছে দেন মার্কিন বিদেশ দফতরের ডেপুটি সেক্রেটারি উইলিয়াম বার্নস। ভিসা বিতর্কের জেরে প্রায় এক দশক আমেরিকা যাননি মোদী। ওবামার এই আমন্ত্রণ দীর্ঘ অচলাবস্থা কাটিয়ে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করবে বলে আশা কূটনীতিকদের।
সংবাদ সংস্থা
১১ জুলাই, ২০১৪
সঞ্চয়ের ঝোঁক বাড়াতে কিছুটা ছাড় আয়করে
অনেক প্রত্যাশা জাগিয়ে ক্ষমতায় আসা নরেন্দ্র মোদীর সরকারের কাছে জিনিসপত্রে দাম কমানোটা এক বড় চ্যালেঞ্জ। তবে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মধ্যবিত্তের অসন্তোষ কমাতে ব্যক্তিগত আয়করে কিছুটা ছাড় ও সাশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দিলেন অরুণ জেটলি। এবং করের হার বা কাঠামোয় কোনও বদল না করেই এটা করেছেন তিনি। মোদী সরকারের প্রথম সাধারণ বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী জেটলি ঘোষণা করলেন, আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের জন্য এখন আর কোনও আয়কর দিতে হবে না। এত দিন এই ছাড়ের পরিমাণ ছিল দু'লক্ষ টাকা। ষাটোর্ধ্ব নাগরিকদের জন্য এই ছাড়ের পরিমাণ আড়াই লক্ষ থেকে বাড়িয়ে করা হল তিন লক্ষ টাকা।
শঙ্খদীপ দাস
১১ জুলাই, ২০১৪
অভিজ্ঞতার অভাবে থমকে বড় সংস্কার
প্রত্যাশা ছিল, সংস্কারের গোল লক্ষ্য করে আছড়ে পড়বে একের পর এক গোলার মতো শট। অরুণ জেটলির বাজেট কিন্তু সে ভাবে গ্যালারির মন ভরাতে পারল না। হয়তো যথেষ্ট সাহস ও অভিজ্ঞতার অভাবেই মাঝমাঠে আটকে রইলেন নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর অর্থমন্ত্রী। এটা ঠিক যে, অনেক বাধা নিয়েই মাঠে নামতে হয়েছিল জেটলিকে। পর পর দু'বছর ৫ শতাংশের নীচে আর্থিক বৃদ্ধির হার; মাত্রাছাড়া মূল্যবৃদ্ধি; মন্দার বাজারে নতুন কর বসিয়ে আয় বাড়ানো এবং সরকারি ব্যয় কমানোর তেমন সুযোগ না থাকা এত সব সমস্যা নিয়েই বাজেটের অঙ্ক কষতে বসেছিলেন তিনি। চ্যালেঞ্জ ছিল, আর্থিক বৃদ্ধির হার বাড়ানোর দিশা দিতে হবে। রাজকোষ ঘাটতি বেঁধে রাখতে হবে। লাগাম পরাতে হবে মূল্যবৃদ্ধিকে।
প্রেমাংশু চৌধুরী
১১ জুলাই, ২০১৪
প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরিতে বিদেশি লগ্নি বেড়ে ৪৯%
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্বও রয়েছে তাঁরই হাতে। তাই অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির কাছে প্রত্যাশা কিছুটা বেশিই ছিল প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরির ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) ঊর্ধ্বসীমা ২৬ থেকে ৪৯ শতাংশে বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়ে সেই প্রত্যাশা মেটানোর চেষ্টা করলেন জেটলি। সেই সঙ্গে গত আর্থিক বছরের তুলনায় প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ ১২.৫ শতাংশ বাড়াতে চান তিনি।
সংবাদসংস্থা
১১ জুলাই, ২০১৪
নজরে শিক্ষা-স্বাস্থ্য, মেয়েদের সব স্কুলে শৌচালয়
স্কুল থাকলেও তাতে শৌচালয় নেই। শৌচালয় থাকলেও মেয়েদের জন্য পৃথক শৌচালয়ের ব্যবস্থা নেই। আবার পৃথক শৌচালয় থাকলেও তাতে জল নেই। এই পরিস্থিতিতে দশম শ্রেণিতে ওঠার আগেই আমাদের দেশে বহু মেয়ে স্কুলছুট হতে বাধ্য হচ্ছে বলে একাধিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু অবস্থা বদলায়নি। দিন তিনেক আগেই কেন্দ্র প্রায় ১৪ লক্ষ গ্রামীণ স্কুলে মেয়েদের জন্য যথাযথ শৌচালয়ের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছিল সব রাজ্যকে।
নিজস্ব সংবাদদাতা
১১ জুলাই, ২০১৪
নজির গড়ে বিরতি চাইলেন ব্যথা-কাতর মন্ত্রী
ক্লান্তি কাটাতে বিশ্বকাপ ফুটবলে এ বার থেকেই শুরু হয়েছে পাঁচ মিনিটের বিশেষ বিরতি বা 'লেমন ব্রেক'। সেই ছোঁয়া যেন লাগল বাজেট বক্তৃতাতেও। বিরোধীদের বাধায় অর্থমন্ত্রীর বাজেট-ভাষণ থমকে যাওয়ার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে এ দেশে। কিন্তু পিঠের ব্যথায় কাতর অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি আজ নিজেই পাঁচ মিনিট বিরতি চেয়ে নিলেন স্পিকারের কাছে।
দিগন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়
১১ জুলাই, ২০১৪
লক্ষ্যমাত্রায় পূর্বসূরিরই পথে জেটলি
তাঁর প্রথম বাজেটে পূর্বসূরি পি চিদম্বরমের ছায়া এড়াতে পারলেন না অরুণ জেটলি। গত ফেব্রুয়ারিতে ইউপিএ সরকারের অর্থমন্ত্রী চিদম্বরম ২০১৪-১৫ আর্থিক বছরের অন্তর্বতী বাজেট পেশ করতে গিয়ে যে লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছিলেন, কার্যত তারই প্রতিফলন ঘটল নতুন সরকারের প্রথম বাজেট পরিকল্পনায়। ঘটেছে সংখ্যার সামান্য হেরফের মাত্র। কোথাও কোথাও তাও নয়।
দেবব্রত ঠাকুর
১১ জুলাই, ২০১৪
গাঁধী-নেহরু বাদ, প্রকল্পে শ্যামাপ্রসাদরা
নেহরু-গাঁধীদের সরিয়ে ইতিহাসের পাতা থেকে কংগ্রেস-বিরোধী চরিত্ররা ঢুকে পড়লেন নরেন্দ্র মোদীর বাজেটে। মোদীর অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি আজ যখন বাজেট পেশ করলেন, সেখানে দেখা গেল প্রায় আধ ডজন এমন চরিত্রের নামেই ঘোষণা হয়েছে বিভিন্ন প্রকল্প। গত এক দশকে ইউপিএ জমানায় নেহরু-গাঁধী পরিবারের ছাপ থাকত সরকারি প্রকল্পে। এ বার সেই সব স্থান কেড়ে নিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, দীনদয়াল উপাধ্যায়, জয়প্রকাশ নারায়ণ, পণ্ডিত মদনমোহন মালবীয়রা।
দিগন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়
১১ জুলাই, ২০১৪
দৃষ্টিহীনদের সুবিধার জন্য এ বার নোটে ব্রেল
নোট হাতে ছুঁয়ে সেটা কত টাকা, সব সময় বুঝতে পারেন না দৃষ্টিহীনরা। দোকান, বাসট্রাম, ব্যাঙ্ক সর্বত্র পরমুখাপেক্ষী হতে হয় তাঁদের। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় বাজেটে সরকার নোটে ব্রেল হরফে টাকার পরিমাণ লিখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করায় দৃষ্টিহীন মানুষেরা উচ্ছ্বসিত। তবে একই সমস্যা পয়সার ক্ষেত্রেও হয় বলে জানিয়েছেন তাঁরা। পয়সার আকার এখন বদলে যাওয়ায় কোনটা এক টাকার কয়েন, কোনটা দু'টাকার বা আধুলি, তা বেশির ভাগ সময় ছুঁয়ে তাঁরা বুঝতে পারেন না।
পারিজাত বন্দ্যোপাধ্যায়
১১ জুলাই, ২০১৪
ছক ভেঙে বাজেটে গুরুত্ব উচ্চশিক্ষায়
কড়া সংস্কারের পথে হাঁটেননি ঠিকই, কিন্তু শিক্ষা ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও ছক ভাঙার চেষ্টা করলেন অরুণ জেটলি। কেন্দ্রের বাজেটে এ যাবৎ উচ্চশিক্ষার চেয়ে প্রাথমিক শিক্ষাই বেশি গুরুত্ব পেয়ে এসেছে। তবে এ বার বাজেটে উচ্চশিক্ষার সার্বিক উন্নতিতেই বেশি জোর দিলেন অর্থমন্ত্রী। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে পাঁচটি আইআইটি ও পাঁচটি আইআইএম নির্মাণের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে জেটলি বুঝিয়ে দিয়েছেন, সার্বিক ভাবে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রটি শক্তিশালী করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে চাইছে মোদী সরকার।
অনমিত্র সেনগুপ্ত
১১ জুলাই, ২০১৪
How to get Disinvestment Going Building India's Future Report of the Special Subject Group Members : Shri GP Goenka Shri Rajeev Chandrasekhar Shri Nusli Wadia
How to Get Disinvestment Going "Building India's Future"
1. Why disinvest? Since reforms began in 1991, this is the first time after 1993-94 that one feels that reforms are going to go forward. Except industrial delicensing and some changes in the financial sector, almost nothing has so far happened on domestic economic reforms. The second generation of reforms is about domestic economic reforms. And domestic economic reforms have to begin with public sector reform and privatization. Without this as a prerequisite, nothing else is possible. Nothing else can happen. Modern Foods is a good beginning. This report will express some skepticism about what is proposed for Indian Airlines. But more than these two, what has been reported in the media about the government's intentions is the really positive signal. Why is disinvestment necessary? THE CITIZENS' CHARTERv Who are shareholders of public sector undertakings (PSUs)? Indian citizens are, the government only acts on their behalf. v As percentage of GDP (gross domestic product), does the government need to spend so much? The government in India spends 32.6% of GDP. Indonesia spends 16.2%, South Korea 17.8%, Malaysia 23.2% and Thailand 18.6%. v Only 3.5% of GDP is spent on education. v If government expenditure is reformed, 5.1% of GDP can be saved – 1.5% from privatization and repurchase of public debt, 0.6% from fertilizer subsidies, 0.2% from PDS, 0.3% on public administration and 2.5% from smaller transfers to States. This is an additional expenditure that can be made on primary education and rural health care. v The government subsidizes losses of almost Rs 80 billion per year made by around 120 Central PSUs. v Each individual citizen pays Rs 80 a year, each household pays Rs 400 a year. Are 6 million jobs in PSUs worth it? v The government has no right to decide, shareholders must decide.
1 Coal India employs 700,000 people, of whom, one-third are redundant. In the entire governm ent, 2 million people are believed to be redundant. This is out of a total employment of 20 million, of which, 6 million is in PSUs, 3 million in the Central government, 7 million in State governments and 2 million in local bodies. 2 The cash value of most PSUs is more than the present value of profit flows, even if the cash value is evaluated on book value of assets. The conclusion is stronger if valuation is done at current value. Perhaps it is necessary to mention that some loss-making PSUs also have positive market value. 3 Roughly half of these make losses. Of the ones that make losses, roughly half have eroded their net worth and these figures are only for the Centre. BUILDING INDIA'S FUTURE SECOND GENERATION REFORMS
PSUs have never earned profits that have exceeded 6 per cent of capital employed (Table 1)4. Their return on capital has been between 5 and 7 percentage points below the rate of interest on long term government bonds. That is just one measure of the lost opportunity cost of return. Table 1: Profitability of Indian PSUs
These poor returns have occurred despite huge rents that accrue from government monopolies like petroleum and power. Once these are netted out, PSUs show negative return (Table 2)5.
4 Public Enterprises Survey. PAT = Profits after tax; GS = Gross sales; CE = Capital employed. 5 L. Bhandari and O. Goswami, The Wasted Years: The Public Sector in India, National Council of Applied Economic Research, forthcoming, 2000.
Table 2: Differential PSU profitability (%)
For a while, governments tried the system of having target-setting memoranda of understanding (MOUs) between PSUs and their administrative ministry. The idea was to make a PSU achieve greater efficiency without diluting the government's majority ownership and control. Despite the Department of Public Enterprises showing high 'success' rates, the MOUs failed.6 First, there is a sample selection bias: virtually no loss-making PSU signs a MoU. Thus, over 55% of the PSUs remain outside the MOU ambit. Second, the targets are set low enough to ensure achievement. The post-MOU performance of the so-called 'excellent' and 'very good' achievers is no better — and often worse — than before. 6 Bhandari and Goswami (2000). 2. Tactics and strategy There is a difference between tactics and a strategy. So far, disinvestment has been driven by the tactical compulsion of financing the fiscal deficit. This is perhaps the reason why the word privatization has not been used until recently, the word disinvestment tending to imply a soft choice. This is in contrast to a country like Britain, where privatization and disinvestment were driven by a conscious recognition that this improves efficiency.7 However, there are no soft choices. As countries like Peru, Brazil, Chile, France, Morocco, Poland, Indonesia, Malaysia, the former German Democratic Republic, the Philippines, Pakistan, Sri Lanka, Taiwan, Indonesia and New Zealand have recognized, the fiscal deficit or releasing resources for social or infrastructure sectors cannot be the only reasons for disinvestment. Other reasons are improved efficiency and competition and broadening and deepening the capital market. PSU reform attempts go back to the 1980s, where there was some attempt to increase functional autonomy of PSUs, without privatization and disinvestment. Post-1991, there were ad hoc equity sales in around 50 PSUs, with equity sales ranging from 5% to 49%. There was a hang-up about letting go of more than 51% equity.8 This led to some improvement in efficiency and pre-tax profit as a percent of capital employed in PSUs more than doubled from the base figure of 3.4% in 1990-91.9 This illustrates what is possible with full-fledged reforms. 7 However, the Rangarajan Committee Report (Report of the Committee on Restructuring Public Enterprises), 1992, did mention improved efficiency as an objective. 8 As a parallel move, fresh issues of equity in global markets for expansion also diluted government equity. 9 See detailed figures in M.S. Ahluwalia, "India's Economic Reforms: An Appraisal" in Jeffrey D. Sachs, Ashutosh Varshney and Nirupam Bajpai edited, India in the Era of Economic Reforms, Oxford University Press, 1999.
SECURING THE FUTURE OF INDIA'S PSUs
The hang-up about giving up more than 51% equity was possibly given up with the setting up of the Disinvestment Commission in 1996, a commission that has now been wound up. The Disinvestment Commission examined 50 PSUs, ostensibly non-strategic and non-core, where government equity could be brought down to zero and management handed over. In most cases, it is now accepted that government equity can be brought down to 26%. The 51% figure is important. Any firm where the government has more than 50% equity is legally interpreted as part of Article 12 of the Constitution and is accountable to administrative ministries, government audits and Parliament. There will also be the Central Vigilance Commission (CVC) and the Central Bureau of Investigation (CBI). Moreover, with a 51% hang-up, new private shareholders will always be a minority on the boards. Naturally, bids would have been higher had the government agreed to dilute equity to 26% in a time-bound fashion. However, driven by tactical considerations, the entire disinvestment process so far has been left to bureaucrats who do not necessarily have a perfect understanding of how capital markets operate or how international investor decisions are taken. Therefore, issuance is piecemeal, there are long delays in appointment of lead managers and finalization of IPOs (initial public offerings) and flawed criterion used in selection of lead managers. There has been lack of transparency, a fact that reports of the Comptroller and Auditor General (CAG) of India have also commented on. It should not be surprising that foreign investments in the disinvestment process in India are a trickle compared to global investments that flow into disinvestment processes world-wide. It is remarkable that not a single PSU is yet under autonomous private management and the cross-holdings by oil companies is a particularly perverse illustration of this phenomenon. It is only recently that the government has become a bit more serious about disinvestment. As the following will make clear, this report favours what has been done for Modern Foods, but not what has been done for Indian Airlines, unless that is a temporary step. Unlike what happened historically, a strategy will have a proper vision and plan of action.
First, the management and responsibility of the entire disinvestment process should exclusively be with the Disinvestment Ministry (DM). Setting up such a DM ensures transparency and fairness and also contributes to a comprehensive approach to disinvestment, as opposed to ad hoc decisions. This is one reason why most developing countries have opted for formal structures. Other ministries can be co-opted only if it is absolutely necessary. The Secretary of DM must have sufficient capital market experience. For each proposal, the DM will be responsible for taking the proposal to a Cabinet Committee on Disinvestment that will consist of the Prime Minister, the Finance Minister, the Disinvestment Minister and any other economic ministry that may be necessary from the point of view of the specific proposal. The DM will be a specific pre-determined target of capital that will be raised over a fixed time horizon, say the next two years. Thus, for the next two years, the DM will develop a plan and course of action that addresses individual companies and sectors and draws up a strategy for each. The strategy need not be the same across all companies or across all sectors. To ensure a realistic and successful course of action, the DM will have an Advisory Board. The Advisory Board will have as members, individuals who have sufficient capital market and international investor experience. Examples are representatives from financial institutions, management consultants, merger and acquisition (M&A) experts and private companies. It is important to ensure that the DM and politicians and bureaucrats involved in the disinvestment process are granted immunity from prosecution and investigation by the Central Bureau of Investigation (CBI) or Central Vigilance Commission (CVC). If the process is transparent, as is argued in this report, the need for these will not arise. In this framework, there is no need to revive the Disinvestment Commission. It has no further role to play. HOW MANY OF THESE JUSTIFICATIONS FOR PSUs ARE VALID NOW? v Infant industry v Heavy industry based development strategy v Right distribution of ownership of capital v Lack of resource v No technical competence in private sector v Under-developed capital market v Balanced regional development v Employment promotion v Protection Second, the candidates for disinvestment must be chosen carefully. Stronger PSUs are the ones that must enter the market first, in the immediate short run (the first four years). This will whet the appetite of investors and make India a success story, a phenomenon that tends to snowball. Creation of markets is in fact an indirect positive fallout of successful disinvestments. In the medium term however, all government companies that are non-strategic should be candidates for disinvestment. Strategic or core must be carefully defined. Other than arms, ammunition and defence equipment, atomic energy, radioactive minerals and railway transport, there is nothing else that can appropriately be defined as strategic or core. Therefore, in every other case, there is no reason why government equity should not be brought down to 26% and this includes banking, insurance, aviation, the petroleum sector and tourism. 26% equity is enough to ensure that the government has some influence over corporate decision making. The only caveat to 26% can be if prior privatization of management enhances valuation. The disinvestment process is best managed if there are a defined number of large transactions per year, as opposed to a large number of small transactions. Perhaps some overall restructuring of PSUs through mergers and acquisitions (or even winding up) is therefore necessary prior to disinvestment. Stated differently, one of the first decisions the DM has to take is on the extent of disinvestment. Will there be total disinvestment? Will there be partial disinvestment with managerial control retained by the State? Will managerial control be handed over to a strategic investor, with only minority share holding granted to such an investor? As the statements above indicate, this report argues for total disinvestment. The selling of bundles of portfolios of shares will not work. Moreover, selling lots of 5 or 10% is counterproductive because buyers know that further shares will be offered. The mindset that a PSU, even if does not make losses, is a going concern must change. Instead, the block of assets must be sold. Whether the enterprise will continue to be a going concern or not, is for the new management to decide. There is some urgency in doing this. Before liberalization, many PSUs were monopolies. They are now being exposed to competition. This process will intensify as further liberalization of trade (cuts in tariffs and elimination of quantitative restrictions) and investments (foreign direct investments) take place. To get a good value for these PSUs, the time to disinvest is now. Not later. Third, the present system of selecting lead managers on the basis of bidding for fees is entirely unsatisfactory. Second-best lead managers are chosen and are often not interested, or do not deliver their best resources, to issuances. Globally, there are only 5 or 6 top lead managers. All these should be empanelled and additions to this panel can be through co-managers from smaller investment banks. The norms for fees can be fixed and such norms can be suggested by a team of financial institutions that have requisite expertise. These empanelled lead managers can be allotted initial issuances in random fashion and further issuance mandates can be based on performance (over-subscription, market-making, pricing). All this will eliminate delays in the process of selecting lead managers. Fourth, the process of disinvestment need not be completely capital market driven, as it is today. The capital market focus, the small percentage of equity disinvested and an overall lack of clarity result in a less than optimum value being derived from the disinvestment process. There are nine, not mutually exclusive, options possible for the disinvestment process and PSU reform and all nine can be used to ensure flexibility and maximum value from disinvestments. Often, the choice may be dictated by whether the eventual shareholding is meant to be narrow or wide. These nine options are the following. First, there can be strategic majority sales to a partner and global trends show that there is more realizable value (about 20 to 30% more) through strategic sales to companies in the same sector. 51% or even 100% equity can be sold to such strategic buyers. Second, there can be open public auctions for units to bidders, with or without pre-qualifications. However, sales should not be only to public sector financial institutions and their subsidiary mutual funds. Third, there can be public sales through stock exchanges in the domestic capital market. One can continue with capital market disinvestments, except that larger shares of equity must be off-loaded through initial IPOs. It is necessary to privatize management before IPOs for value to be maximized. Global trends are that 20 to 30% more value is obtained through disinvestments after privatization of management than before privatization of management. Fourth, it is possible for PSUs to enter into joint ventures (JVs) with the private sector and transfer their business for stock in the new enterprise. However, in such cases, shareholder agreements between the private company and the PSU must over-ride government decision making or policy. Once the JV route has been followed, capital market transactions are possible. Fifth, GDRs/depository receipts can be issued in international capital markets.10 Sixth, as an imperfect framework of disinvestments, there can be management contracts for limited periods of time with private operators. Seventh, there can be sales in blocks. Eighth, despite all attempts at reform, there will be some clear cases of winding up. Ninth, there can be mergers and restructuring. For Central PSUs, this report later gives suggestions about what modality can be attempted for which PSU. Since employees and Indian citizens in general have to be part of the disinvestment process, employees must first be given up to 10% of stock at par or at discounts on market values. This can be spliced with deferred payment for employees and loyalty bonus of shares if shares are held for a minimum period. In addition, a small additional IPO or up to 10% of capital can be offered to Indian citizens in individual capacity. There can be a caveat that a single individual cannot have more than 1000 shares. This will eliminate some resistance to disinvestment and employees or others will become part of the process that creates more value for their company. PSUs will move from being employment creators for those who are employed with the company to enterprises that create wealth for their share-holders, the citizens of India. This is what should have happened with PSUs in the first place. In addition, it may be necessary to ensure that willing employees are provided attractive severance packages. Without the possibility of surplus manpower being shed, bids will be marked down. The role of a media campaign in generating consensus also needs to be emphasized. What is the need to privatize profit making PSUs? v Because it fetches better prices. v Unless an enterprise is in the strategic sector and unless the market structure is a monopoly, profit making is an argument for disinvestment – not an argument against it. There will continue to be a problem with loss-making PSUs, many of which historically are loss-making private sector enterprises that should have been closed down, but were nationalized in the 1970s. The Board for Industrial and Financial Reconstruction (BIFR) is supposed to examine these and recommend ones that cannot be revived. Not a single one has been closed down, primarily because of court intervention on labour grounds. While loss-making PSUs that have positive market value can be sold, this is also true of loss-making PSUs that have eroded their net worth,11 provided that the assets are sold as a block. There may be a few cases where actual closing down is necessary. Properly used, the National Renewal Fund (NRF) can be used to retrain and re-deploy people who are retrenched because of closing down. However, the NRF cannot be equated with a Voluntary Retirement Scheme (VRS). As originally stated, the NRF was supposed to be used for VRS, retraining and unemployment insurance. Only the first has come about. The proceeds of disinvestment should not go into the Consolidated Fund of India. They have to be used to retire the public debt or for a genuine NRF (from which Rs 1000 crore can be earmarked for VRS). In fact, the present value of future wage and pension flows of workers is easy to compute. From funds obtained through sales, this amount can be set aside, so that a worker who loses a job does not lose the income security. There has to be fresh legislation to ensure fast transfer or leasing of government land and user rights. This can even provide for special tribunals, without violating Article 14 of the Constitution. Otherwise, the entire process can get stuck in the court system. 10 In passing, there should be greater resort to the American Depository Receipt (ADR) route, which has greater depth and can therefore offer higher valuation. 11 A rough figure will be 60 at the Central level and at least 60 at the State level. 3. Sequence and transition For the entire mechanism and process to be credible, two units must be sold by 31 March 2000. Thereafter, there should be a clear target for the next two years. 12 billion US dollars over the next two-year time span is a reasonable target, that is, Rs 52,000 crores. It is not possible for this report to be specific about the time sequencing of disinvestment. However, some principles can be mentioned. First, there is urgency about sectors where monopoly is being threatened because of liberalization. Second, the government is generally bad in areas where there is a service orientation. Therefore, services, manufacturing and trading are sectors where the initial flush of disinvestments can take place. This emphasis on service orientation also explains why banks have to go first. Barring the strategic sectors, no more than 26% government equity need be retained. But in the interim period, the government might wish to continue as the single largest shareholder. Retaining government shareholding directly will constrain PSUs because of interference from government ministries, Parliament and government audits. Once government equity is below 50%, decisions on appointing management must be left to Boards and not to Joint Secretaries in administrative ministries. Another advantage of bringing equity down to 26% is avoidance of the Central Vigilance Commission (CVC), the Central Bureau of Investigation (CBI) and the Prevention of Corruption Act (PCA). Section 13 of the Prevention of Corruption Act defines that a public servant is guilty of criminal misconduct (corruption) if a decision taken by the public servant benefits a third party, unless it can be proved that this benefit to the third party is in the public interest. Any decision taken benefits a third party and it is impossible to prove that this benefit to the third party is in the public interest. Therefore, public servants become risk averse and don't take decisions. There is no point asking PSUs to function along commercial principles as long as such a section continues. Ideally, until the government shareholding is brought down to below 51%, there should be a National Shareholding Trust as a non-profit trust under the Societies Registration Act or the Companies Act. The entire government shareholding can be transferred to this Trust. On the advice of the DM, the Trust will sell equity in block sales to banks, financial institutions or mutual funds or directly to retail investors. In the interim, there can be a stipulation that shares held by the Trust will not drop below the 26% threshold. The Trust will be preferable to a Special Purpose Vehicle as it will take the enterprise out of the purview of the CVC, CBI, PCA, government ministries, Parliament and government audits. However, if this is not done and government shareholding is more than 50%, the enterprise must still explicitly be taken outside the CVC, CBI, PCA, government ministries, Parliament and government audits. The salaries paid to management must also be delinked from government salary structures. Management salaries have to be decided by boards and by no one else. There has to be a proper competition policy to cover unfair and restrictive trade practices and issues like transfer pricing. The competition policy must also cover mergers and acquisitions. At present, no prior approval is required for mergers and acquisitions, although that is the practice in many developed countries also. Subsequent de-monopolization through breaking up involves significant transaction costs. It is a better idea to require prior approval. One must also be careful in some service sectors. With many individual countries, service sector liberalization depends on reciprocity clauses – banking and aviation are examples. These may have to be renegotiated if government equity drops below 50%. Incidentally, there is no reason to exclude banking from disinvestments, although changes in the Banking Regulation Act will be necessary. Banks, when privatized, can have certain guidelines on lending for priority sectors. But these guidelines must be set out by the Reserve Bank in the offer letter itself, and not introduced subsequently. In line with these points, this report suggests the following modalities for Central PSUs. In the annexure table, "X" indicates that the route is appropriate for a PSU, the absence of "X" indicates that for that PSU, that route is not appropriate. 4. The road map
|
এক নালিশ বাম-তৃণমূলের, ওড়ালেন জেটলি
কেন্দ্রীয় বাজেটে রাজ্যের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি নিয়ে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলছে! নরেন্দ্র মোদীর সরকারের ক্ষেত্রেও যার অন্যথা হল না। পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূলের বক্তব্য, রাজ্য বঞ্চিত। অথচ, বিজেপি এমন প্রত্যাশা তৈরি করেছিল যে, মনে হচ্ছিল, নব্বই দশকের গোড়ায় মনমোহন সিংহের বাজেটের মতো চমকপ্রদ কিছু হতে চলেছে দেশজুড়ে। তৃণমূলের দাবি, এই বাজেট দেশকে বিপর্যয়ের দিকেই ঠেলে দেবে।
অগ্নি রায় ও অনমিত্র সেনগুপ্ত
১১ জুলাই, ২০১৪
অর্থ লগ্নির ফাঁদ রুখতে এ বার কড়া হবে আইন
সারদা কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি রুখতে এ বার কেন্দ্রীয় আইনে সংশোধন করতে চাইছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। আজ অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি তাঁর বাজেটে ঘোষণা করেছেন, আইনের ফাঁকফোকর রুখতে চিট ফান্ড সংক্রান্ত ১৯৭৮ সালের আইনে সংশোধন করা হবে। এবং তা করা হবে আর্থিক ক্ষেত্রে সংস্কারের অঙ্গ হিসেবেই। জেটলির বক্তব্য, "যে সব ব্যক্তি বা সংস্থা আইনের ফাঁকফোকরের সুযোগ নিয়ে দেশের বহু গরিব মানুষকে ঠকিয়েছে, এর ফলে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।"
নিজস্ব সংবাদদাতা
১১ জুলাই, ২০১৪
No comments:
Post a Comment