Twitter

Follow palashbiswaskl on Twitter

Memories of Another day

Memories of Another day
While my Parents Pulin babu and Basanti devi were living

Tuesday, December 9, 2014

নিউইয়র্কে সেমিনারে টবি ক্যাডম্যান যুদ্ধাপরাধ বিচারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ফৌজদারি আইন ও সাক্ষ্য আইনকে গ্রহণ করা হয়নি আন্তর্জাতিক আইনের ধারে কাছেও যায়নি

নিউইয়র্কে সেমিনারে টবি ক্যাডম্যান
যুদ্ধাপরাধ বিচারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ফৌজদারি আইন ও সাক্ষ্য আইনকে গ্রহণ করা হয়নি আন্তর্জাতিক আইনের ধারে কাছেও যায়নি
* বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে হত্যাকান্ড নিয়ে আমেরিকা, বৃট্রেন, জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন উদ্বিগ্ন
নিউইর্য়ক থেকে সংবাদদাতা : আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন যুদ্ধাপরাধ বিশেজ্ঞ মানবাধিকার আইনজীবী টবি ক্যাডম্যান বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ যুদ্ধাপরাধ ইস্যু নিয়ে ব্যাপকভাবে বিভক্ত। যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠবে, তাদের সবাইকে অবশ্যই দোষী সাব্যস্ত করতে হবে এবং ফাঁসি দিতে হবে। এর চেয়ে কম কিছুই যথেষ্ট বিবেচিত হবে না। এমনকি বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তিরাও যুদ্ধাপরাধের প্রশ্নে কা-জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। জামায়াত নেতা কাদের মোল্লা ইতিমধ্যে বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন। এই বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে হত্যাকান্ড নিয়ে আমেরিকা, বৃটেন, জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন উদ্বিগ্ন। 
বাংলাদেশে বিচারবিভাগীয় এবং বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড নিয়ে হিউম্যান রাইটস এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফর বাংলাদেশ আয়োজিত এক সেমিনারে মূল বক্তা হিসেবে টবি ক্যাডম্যান এসব কথা বলেন। গত ৬ ডিসেম্বর শনিবার নিউইয়র্কের ইয়র্ক কলেজ অডিটোরিয়ামে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এইচআরডিবির প্রেসিডেন্ট মাহতাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং জাহিদ জামির ও বশুরা লিমার পরিচালনায় সেমিনারে প্যানেল আলোচক ছিলেন মন্ট্রিয়েলের ডউসন কলেজের অধ্যাপক ড. আবিদ বাহার, নর্থ ক্যারোলিনা ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. নকিবুর রহমান, মজলিসে সুরার প্রেসিডেন্ট ড. শেখ আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক ড. আব্দুল হাফেদ জামেল। সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু, মীর মাসুম আলী, সিটি কলেজের সহকারী প্রফেসর ড. নিজাম উদ্দিন, এটর্নী এম আজিজ, সাহানা মাসুম, ডা. জুন্নুন চৌধুরী, প্রফেসর নূরুল ইসলাম, ওমামা মাসুম ও তালহা সাবাজ প্রমুখ।
টবি ক্যাডম্যান বলেন, আমাকে আইনজীবী হিসাবে জামায়াতে ইসলামি ২০১১ সালে নিয়োগ দেয়। আইনজীবী হিসাবে আমার কাজ হলো বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল নাম দিয়ে যে বিচারিক হত্যাকান্ড হচ্ছে তা বিশ্বকে জানানো। আমি তা জানিয়েছি। এই বিষয়ে সকলেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারাও কাজ করছে, তবে ধীর গতিতে। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা উচিত। তবে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ীই তা করা উচিত। 
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন যুদ্ধাপরাধ বিশেষজ্ঞ টবি ক্যাডম্যান বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচারপ্রক্রিয়া এবং এ নিয়ে সৃষ্টি সার্বিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে তুলে ধরে বলেন, ২০১০ সালের অক্টোবরে তিনি যখন প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আসেন, তখন ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে ভিআইপি লালগালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়েছিল। বিমানবন্দর থেকে তিনি হোটেল সোনারগাঁও ছুটে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আয়োজিত যুদ্ধাপরাধের নিরপেক্ষ বিচারবিষয়ক এক সভায় বক্তৃতা করতে। কিন্তু এই সম্মান খুবই স্বল্পস্থায়ী হয়েছিল। এরপরপরই বাংলাদেশ সরকারের তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়েন তিনি। 
বৃটিশ এ আইনজীবি বলেন, ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান নিজামুল হক ও জিয়াউদ্দিনের মধ্যে যে আলাপ হয়েছে তাতে এটি স্পষ্ট যে শুরু থেকেই ট্রাইব্যুনাল স্বাধীন ছিল না। সরকার যতই দাবি করুক না কেন, ট্রাইব্যুনালের গঠন প্রক্রিয়া ও সংশ্লিষ্ট বিধিতে ত্রুটি রয়েছে। ট্রাইব্যুনালের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ফৌজদারি আইন ও সাক্ষ্য আইনকে গ্রহণ করা হয়নি এবং আন্তর্জাতিক আইনের ধারে কাছেও যায়নি। ফলে ট্রাইব্যুনালের বিচারে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার যে দাবি সরকার করে আসছে তা রাখা তো দূরের কথা, জাতীয় মানও বজায় রাখা সম্ভব হবে না।
তিনি বসনিয়ায় যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউটর হিসেবে তার আট বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে বলেন, বসনিয়ার ট্রাইব্যুনাল আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল ছিল না, সেটি তাদের ন্যাশনাল ট্রাইব্যুনাল ছিল। কিন্তু বসনিয়া সরকার বিচার পরিচালনায় আন্তর্জাতিক আইনের সহযোগিতা নিয়েছে। সেখানে আন্তর্জাতিক বিচারক, আন্তর্জাতিক প্রসিকিউটর ও আন্তর্জাতিক তদন্তকারীরা ছিল বলে বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে কোন প্রশ্ন উঠেনি। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার 'সমগ্র বিশ্বের জন্য দৃষ্টান্ত' সৃষ্টি করতে সকল আন্তর্জাতিক আইন অগ্রাহ্য করেছে। 
টবি ক্যাডম্যান বলেন, আমরা চাই যুদ্ধারাধীদের বিচার আন্তর্জাতিক আদালতে এবং বাংলাদেশের বাইরে করা হোক। সেই বিচারালয়ের বিচারক নিয়োগ করা হোক আন্তর্জাতিক বিচারক। আমরা চাই না রাজনীতির হাতিয়ার বানিয়ে কাউকে দন্ড দেয়া হোক।
যুদ্ধাপরাধ মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর ছেলে ড. নকিবুর রহমান বলেন, কাশিম উদ্দিনের ছেলে শিবলি আমাকে বলেছে, ২০০১ সালের আগে আমি বা আমার পরিবার কোন দিন মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর নাম শুনিনি। তাকে মন্ত্রী করার পর আমরা চিনেছি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের এক নেতাকে আমার বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যা স্বাক্ষী দিতে বাধ্য করা হয়েছে। দ্বিতীয় স্বাক্ষী নান্নুকেও বাধ্য করা হয়েছে মিথ্যা স্বাক্ষী দিতে। তাকে তুলে আনা হয় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী টুকুর নির্দেশে সে মিথ্যা স্বাক্ষী দেয়। নেয় মোটা অংকের অর্থ। সেই সাথে হুমকি দেয়া হয় ছেলের চাকরি খাওয়া হবে। তিনি বলেন, এই অবিচারের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে।
যে মাওলানা কাশিম উদ্দিনকে হত্যা করার জন্য মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর (আমার বাবা) বিরুদ্ধে রায় দেয়া হয়েছে আমি তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেছি। কাশিম উদ্দিনের ছেলে শিবলি আমাকে জানিয়েছে তারা ১৫ বছর আগে আমেরিকায় আসে এবং তারা বর্তমানে ডালাসে বসবাস করছে। আসার পর তারা আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে যায়নি। তাদের পরিবারের সবাই এখন ডালাসে রয়েছে। 
ড. আবিদ বাহার বলেন, বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার হচ্ছে অবৈধ সরকার। শেখ মুজিব বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে, মানুষের বাক স্বাধীনতা, মানুষ হত্যা এবং সংবাদপত্রে স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে বাংলাদেশে বাকশাল কায়েম করেছিলেন। এখন তার মেয়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে বাকশাল টু কায়েম করছেন। তিনি বলেন, গোলাম আজমের অপরাধ তিনি ভুট্টোর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। ভুট্টুর সঙ্গেতো শেখ মুজিবও দেখা করেছিলেন। তার পরিবারকে রক্ষার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। ১৯৫ জন চিহ্নিত যুদ্ধুাপরাধীদের মুক্ত করে দিয়েছিলেন। বাংলাদেশে কেউ যদি রাজাকার থাকে তাহলে তিনি হচ্ছেন শেখ মুজিব। তিনিই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজাকার। কারণ তিনি যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি দিয়েছিলেন। আর এখন শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধী হিসাবে যাদের বিচার করছেন, তাদের কেউই মুজিবের লিস্টে ছিলেন না।

No comments:

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...