Reaction in Bangladesh against Indian Economic Blockade of Nepal!
ණ☛ নেপালের নতুন সংবিধান দেশের সবার মনোপুত হবে এমনতো নয়। সদ্য ঘোষিত নেপালের সংবিধান সেদেশের তরাই অঞ্চলের মাধেশী বা মদেশী যাদের নেপালীরা বিদেশী বলে তাদের মনপুত হয়নি। তাই মাধেশীরা সড়ক অবরোধ করে বসে আছে ফলে ভারতের সাথে নেপালের সড়ক পথের আশি ভাগ যে ব্যাবসা বাণিজ্য হয় স্হবীর হয়ে গেছে। এই সংবিধান যে শুধু তরাই অঞ্চলের মধেশীদের মনোপুত হয়নাই তানয়। মধেশীদের সীমান্ত পারের ঠাকুর ভারতেরোও মপোপুত নাহবার ফলে ভারত সেদেশের মহা আধিকারিকেদের নেপালে পাঠিয়ে দেনদরবার পর্যন্ত করে।
ණ☛ কিন্তু ভবি ভোলেনি। নেপাল সংবিধান বিষয়ে অনড় থেকেছে। দেখাযাক কেন মধেশীরা এই সংবিধান মানতে চাইছেনা? মানতে চাইছেনা কারন নতুন সংবিধানে শাসন ব্যাবস্হায় নেপালকে কয়েকটি প্রদেশে ভাগ করলেও জনসংখ্যার ত্রিশ শতাংশ মধেশীদের আবাস্হল তরাই অঞ্চলকে প্রদেশ ঘোষনা না করে এর পশ্চিম, মধ্য ও পূর্বাঞ্চলের জেলাসমুহকে অন্য প্রদেশের সাথে আত্মিকরন করা হয়েছে। ফলে মাধেশীরা নিজেদের বঞ্চিত ভাবতেছে। ইতিমধ্যে মধেশীদের বসবাস তরাই অঞ্চলকে পাহাড়ের মানুষদের সেটেলার হিসাবে বসবাসের শুবিধা দিয়ে এর পাহাড়ীকরন করা হয়েছে। তদুপরি নেপালের ব্রাক্ষ্মন ও ছত্রিরা মধেশীদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক মনে করে সমকক্ষতো নয়ই । দেখি এই মধেশীরা কারা? মধেশীরা ভারতে বিহার ও মধ্য প্রদেশ থেকে নেপালে এসে বসতী গড়ে। বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ীদের মত। পার্বত্য চট্টগ্রামে যেমন বাঙ্গালীদে সেটেল করা হয়েছে ঠিক একই ভাবে তরাই অঞ্চলে মধেশীদের আবাস্হলেও পাহাড়ের নেপালীদের সেটেল করেছে নেপাল সরকার উওরের বনাঞ্চলে। মধেশীদের ভাষা হিন্দি এবং ঐতিয্যগতভাবে মধেশিরা ভারতমুখী।
ණ☛ সম্ভবত একারনে নেপালের নতুন সংবিধানে মধেশীদের জন্য কোন প্রদেশ সৃষ্টি করা হয়নি। বরং মধেশীদের অন্য প্রদেশসমুহের সাথে মার্জ করে দেয়া হয়েছে। মদেশীরা যে এই নেপাল অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছে তাতে ভারতের সায়যে আছে বলার অপেক্ষা রাখেনা। আমি বলছিনা মধেশীদের সংবিধান সংশোধনের বিরুদ্ধে তাদের অবরোধ / প্রতিবাদ অবৈধ। আমি শুধু অভিজ্ঞতার আলোকে বাস্তবতাকে তুলে ধরবার চেষ্টা করেছি মাত্র।
ණ☛ এবারে ভুরাজনীতি নিয়ে আলোচনা করব। ভু ও রাজনীতি দুয়ে মিলে ভুরাজনীতি। একক মাবে ভু বা ভুমি যেমন ভুরাজনীতি নয় তেমনি শুধু রাজনীতিও ভুরাজনীতি নয়। আমার ব্যাখ্যায় ভু বা ভুমি বলতে একটি দেশের ভুমির আদলকে নির্দেশ করা হয়নি। আমার ব্যখ্যায় ভুমি বলতে বুঝিয়েছি 'বিশ্ব মানচিত্রে একটি দেশের অবস্হানকে। অর্থাৎ বিশ্ব মানচিত্রে দেশটির অবস্থান কোথায় এবং সেই দেশের নিকটতম ,(যেসব দেশের সাথে ভুমিসীমার অংশিদারিত্ব রয়েছে) মধ্য দুরত্বের এবং দুরের প্রতিবেশী দেশ হিসাবে কোন দেশগুলোর অবস্হান। ভুরাজনৈতিক বিবেচনায় বিশ্ব মানচিত্রে কোথায় একটি দেশের অবস্হান এবং ঐদেশের প্রতিবেশী দেশ কোন দেশগুলো নির্দেশ করে ঐদেশটির ভুরাজনৈতিক গুরুত্ব। একটি দেশের রাজনীতির পরিবর্তন হয় কিন্তু ভুমির পরিবর্তন সহসাই হয় না। তাই যৌক্তিক বিবেচনায় একটি দেশের ভুমিকে ঘিরেই আবর্তীত হয় সেদেশের :
এক। রাজনীতি।
দুই। অর্থনীতি।
তিন। কূটনীতি।
চার। সমরনীতি।
ණ☛ উদাহরন হিসাবে বলা যায় যেমন নেপালের সমুদ্রসীমা নাই বলে নেপালের কোনো নৌবাহিনী নাই। এক্ষেত্রে সেদেশের ভুমি নির্দেশ করছে নেপালের সমর বাহিনীর বিন্যাস কি হবে? আবার এই ভুমিই দিকনির্দেশনা দিচ্ছে একটি দেশের সশস্ত্র বাহিনীর গুরুত্ব কেমন হবে? যেমন বাংলাদেশের স্হল ও সমুদ্র সীমার গুরুত্ব বিবেচনায় প্রথমে আর্মি অতঃপর নেভি এবং বিমান বাহিনী। অন্য দিকে ইংল্যান্ডের জন্য সমুদ্রের গুরুত্ব বেশী হওয়ায় বাহিনী বিন্যাসে প্রথমে নেভি এবং পরে আর্মি ও এয়ার ফোর্স।
ණ☛ ঠিক এভাবেই একটি দেশের ভুমি সেদেশের প্রতিবেশীর অবস্থান বিবেচনায় রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, কুটনৈতিক ও সমরনীতি প্রনয়নে দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকে। যেমন রাজনৈতিক পরিকল্পনার মর্মশাশ হচ্ছে সেদেশের মানুষের মঙ্গল করা। দেশটির সরকারের রাজনৈতিক পরিকল্পনা হল প্রতিবেশী দেশের সাথে ব্যাবসা বানিজ্য করে নিজদেশের ও জনগণের উন্নয়ন সাধন করা। অর্থাৎ দেশটির পরিকল্পনা হচ্ছে প্রতিবেশীর সাথে ব্যাবসায়ে ট্রেড ব্যালান্স যেন নিজ দেশের দিকে থাকে। অন্য দিকে প্রতিবেশীও চাইবে ট্রেড ব্যালান্স নিজ দেশের দিকে রেখে দেশ ও জনগণের উপকার করতে। এই ক্ষেত্রে উভয় প্রতিবেশীর মধ্যে সংঘাত ও সংঘর্ষ অনিবার্য। তাই কোনো দেশ যখন প্রতিবেশী দেশকে সামনে রেখে কোনো পরিকল্পনা গ্রহন করে তখন ঐ পরিকল্পনার পিছনে ফোর্স বা শক্তি অবশ্যই থাকতে হবে। কারন কোনো রাষ্ট্র পরিকল্পনা গ্রহন করল আর সেই পরিকল্পনার সমর্থনে কোনো ক্রেডিবল ফোর্স বা শক্তি যদি না থাকে তবে সেই পরিকল্পনা পরিকল্পনাই থাকবে এর সফল ও বাস্তবসম্মত বাস্তবায়ন করা সম্ভব না হবার ফলে ঐ পরিকল্পনার দ্বারা দেশের ও দেশের মানুষের উন্নতি করা সম্ভব হবেনা। তো কোনো দেশের পরিকল্পনার পিছনের ফোর্স বা শক্তিকে বলা হয় " ফোর্স টু পলিসি রেশিও"। আর এই ফোর্স বা শক্তি হচ্ছে সেদেশের সশস্ত্র বাহিনী। কারন প্রতিবেশী দেশের সেন্ট্রিফিউগাল ফোর্সকে ইম্ব্যাল্যান্স কেবল করতে পারে সেদেশের সশস্ত্র বাহিনী। এবং এই বাহিনীর অদল কি হবে তাও নির্দেশ করে সেদেশের ভুমি ও প্রতিবেশী দেশের অবস্হান। এনিয়ে বিশদ আলোচনা এখানে সম্ভব নয়।
ණ☛ নেপালের বড় শুবিধা হল তার প্রতিবেশী মহাচীন। নেপালকে ভারতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে নেপালের জন্য চীন সঙ্গতকারনে সবকিছু করবে। যে শুবিধা নেপালের আছে বাংলাদেশের সে শুবিধাও নাই। বাংলাদেশের জন্য চীন রয়েছে হিমালয়ের দুর্লঙ্ঘ্য ব্যাবধানে। পুর্ব দক্ষিণে মিয়ানমার রোহিঙ্গা সমস্যার কারনে বাংলাদেশের জন্য কোনো আলোকবর্তীকা নয়। ভারতের মত মিয়ানমারও বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেয়া প্রায় সম্পন্ন করে ফলেছে। অতএব বাংলাদেশ এখন কাঁটাতারের বেড়া ঘেরা অবরুদ্ধ একটি দেশ। আমরা সমুদ্রের দিকে তাকাতে পারি। কিন্তু আমাদের সমুদ্র সীমান্ত বিপদকালে উন্মুক্ত রাখতে প্রয়োজন ব্লুওয়াটার নেভির। সেই সামর্থ্য হয়তো একদিন বাংলাদেশের হবে ইনশাহআল্লাহ। তবে আমাদের আছে আনুপম জনসংবদ্ধতা ভুরাজনৈতিক শত সীমাবদ্ধতার মাঝে আলোকবর্তিকা হিসাবে বাংলাদেশের জন্য বহুমাত্রিক ইতিবাচক আশার ইঙ্গিতবহ।
লেখক : কলামিস্ট ও প্রাক্তন মহাপরিচালক বিডিআর।
--
নেপালের চলমান অবরোধ ও বাংলাদেশের ভুরাজনৈতিক ভাবনা
Tue, November 3
সাবেক বিডিআর প্রধান জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমান
ණ☛ নেপালের নতুন সংবিধান দেশের সবার মনোপুত হবে এমনতো নয়। সদ্য ঘোষিত নেপালের সংবিধান সেদেশের তরাই অঞ্চলের মাধেশী বা মদেশী যাদের নেপালীরা বিদেশী বলে তাদের মনপুত হয়নি। তাই মাধেশীরা সড়ক অবরোধ করে বসে আছে ফলে ভারতের সাথে নেপালের সড়ক পথের আশি ভাগ যে ব্যাবসা বাণিজ্য হয় স্হবীর হয়ে গেছে। এই সংবিধান যে শুধু তরাই অঞ্চলের মধেশীদের মনোপুত হয়নাই তানয়। মধেশীদের সীমান্ত পারের ঠাকুর ভারতেরোও মপোপুত নাহবার ফলে ভারত সেদেশের মহা আধিকারিকেদের নেপালে পাঠিয়ে দেনদরবার পর্যন্ত করে।
ණ☛ কিন্তু ভবি ভোলেনি। নেপাল সংবিধান বিষয়ে অনড় থেকেছে। দেখাযাক কেন মধেশীরা এই সংবিধান মানতে চাইছেনা? মানতে চাইছেনা কারন নতুন সংবিধানে শাসন ব্যাবস্হায় নেপালকে কয়েকটি প্রদেশে ভাগ করলেও জনসংখ্যার ত্রিশ শতাংশ মধেশীদের আবাস্হল তরাই অঞ্চলকে প্রদেশ ঘোষনা না করে এর পশ্চিম, মধ্য ও পূর্বাঞ্চলের জেলাসমুহকে অন্য প্রদেশের সাথে আত্মিকরন করা হয়েছে। ফলে মাধেশীরা নিজেদের বঞ্চিত ভাবতেছে। ইতিমধ্যে মধেশীদের বসবাস তরাই অঞ্চলকে পাহাড়ের মানুষদের সেটেলার হিসাবে বসবাসের শুবিধা দিয়ে এর পাহাড়ীকরন করা হয়েছে। তদুপরি নেপালের ব্রাক্ষ্মন ও ছত্রিরা মধেশীদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক মনে করে সমকক্ষতো নয়ই । দেখি এই মধেশীরা কারা? মধেশীরা ভারতে বিহার ও মধ্য প্রদেশ থেকে নেপালে এসে বসতী গড়ে। বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ীদের মত। পার্বত্য চট্টগ্রামে যেমন বাঙ্গালীদে সেটেল করা হয়েছে ঠিক একই ভাবে তরাই অঞ্চলে মধেশীদের আবাস্হলেও পাহাড়ের নেপালীদের সেটেল করেছে নেপাল সরকার উওরের বনাঞ্চলে। মধেশীদের ভাষা হিন্দি এবং ঐতিয্যগতভাবে মধেশিরা ভারতমুখী।
ණ☛ সম্ভবত একারনে নেপালের নতুন সংবিধানে মধেশীদের জন্য কোন প্রদেশ সৃষ্টি করা হয়নি। বরং মধেশীদের অন্য প্রদেশসমুহের সাথে মার্জ করে দেয়া হয়েছে। মদেশীরা যে এই নেপাল অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছে তাতে ভারতের সায়যে আছে বলার অপেক্ষা রাখেনা। আমি বলছিনা মধেশীদের সংবিধান সংশোধনের বিরুদ্ধে তাদের অবরোধ / প্রতিবাদ অবৈধ। আমি শুধু অভিজ্ঞতার আলোকে বাস্তবতাকে তুলে ধরবার চেষ্টা করেছি মাত্র।
ණ☛ এবারে ভুরাজনীতি নিয়ে আলোচনা করব। ভু ও রাজনীতি দুয়ে মিলে ভুরাজনীতি। একক মাবে ভু বা ভুমি যেমন ভুরাজনীতি নয় তেমনি শুধু রাজনীতিও ভুরাজনীতি নয়। আমার ব্যাখ্যায় ভু বা ভুমি বলতে একটি দেশের ভুমির আদলকে নির্দেশ করা হয়নি। আমার ব্যখ্যায় ভুমি বলতে বুঝিয়েছি 'বিশ্ব মানচিত্রে একটি দেশের অবস্হানকে। অর্থাৎ বিশ্ব মানচিত্রে দেশটির অবস্থান কোথায় এবং সেই দেশের নিকটতম ,(যেসব দেশের সাথে ভুমিসীমার অংশিদারিত্ব রয়েছে) মধ্য দুরত্বের এবং দুরের প্রতিবেশী দেশ হিসাবে কোন দেশগুলোর অবস্হান। ভুরাজনৈতিক বিবেচনায় বিশ্ব মানচিত্রে কোথায় একটি দেশের অবস্হান এবং ঐদেশের প্রতিবেশী দেশ কোন দেশগুলো নির্দেশ করে ঐদেশটির ভুরাজনৈতিক গুরুত্ব। একটি দেশের রাজনীতির পরিবর্তন হয় কিন্তু ভুমির পরিবর্তন সহসাই হয় না। তাই যৌক্তিক বিবেচনায় একটি দেশের ভুমিকে ঘিরেই আবর্তীত হয় সেদেশের :
এক। রাজনীতি।
দুই। অর্থনীতি।
তিন। কূটনীতি।
চার। সমরনীতি।
ණ☛ উদাহরন হিসাবে বলা যায় যেমন নেপালের সমুদ্রসীমা নাই বলে নেপালের কোনো নৌবাহিনী নাই। এক্ষেত্রে সেদেশের ভুমি নির্দেশ করছে নেপালের সমর বাহিনীর বিন্যাস কি হবে? আবার এই ভুমিই দিকনির্দেশনা দিচ্ছে একটি দেশের সশস্ত্র বাহিনীর গুরুত্ব কেমন হবে? যেমন বাংলাদেশের স্হল ও সমুদ্র সীমার গুরুত্ব বিবেচনায় প্রথমে আর্মি অতঃপর নেভি এবং বিমান বাহিনী। অন্য দিকে ইংল্যান্ডের জন্য সমুদ্রের গুরুত্ব বেশী হওয়ায় বাহিনী বিন্যাসে প্রথমে নেভি এবং পরে আর্মি ও এয়ার ফোর্স।
ණ☛ ঠিক এভাবেই একটি দেশের ভুমি সেদেশের প্রতিবেশীর অবস্থান বিবেচনায় রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, কুটনৈতিক ও সমরনীতি প্রনয়নে দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকে। যেমন রাজনৈতিক পরিকল্পনার মর্মশাশ হচ্ছে সেদেশের মানুষের মঙ্গল করা। দেশটির সরকারের রাজনৈতিক পরিকল্পনা হল প্রতিবেশী দেশের সাথে ব্যাবসা বানিজ্য করে নিজদেশের ও জনগণের উন্নয়ন সাধন করা। অর্থাৎ দেশটির পরিকল্পনা হচ্ছে প্রতিবেশীর সাথে ব্যাবসায়ে ট্রেড ব্যালান্স যেন নিজ দেশের দিকে থাকে। অন্য দিকে প্রতিবেশীও চাইবে ট্রেড ব্যালান্স নিজ দেশের দিকে রেখে দেশ ও জনগণের উপকার করতে। এই ক্ষেত্রে উভয় প্রতিবেশীর মধ্যে সংঘাত ও সংঘর্ষ অনিবার্য। তাই কোনো দেশ যখন প্রতিবেশী দেশকে সামনে রেখে কোনো পরিকল্পনা গ্রহন করে তখন ঐ পরিকল্পনার পিছনে ফোর্স বা শক্তি অবশ্যই থাকতে হবে। কারন কোনো রাষ্ট্র পরিকল্পনা গ্রহন করল আর সেই পরিকল্পনার সমর্থনে কোনো ক্রেডিবল ফোর্স বা শক্তি যদি না থাকে তবে সেই পরিকল্পনা পরিকল্পনাই থাকবে এর সফল ও বাস্তবসম্মত বাস্তবায়ন করা সম্ভব না হবার ফলে ঐ পরিকল্পনার দ্বারা দেশের ও দেশের মানুষের উন্নতি করা সম্ভব হবেনা। তো কোনো দেশের পরিকল্পনার পিছনের ফোর্স বা শক্তিকে বলা হয় " ফোর্স টু পলিসি রেশিও"। আর এই ফোর্স বা শক্তি হচ্ছে সেদেশের সশস্ত্র বাহিনী। কারন প্রতিবেশী দেশের সেন্ট্রিফিউগাল ফোর্সকে ইম্ব্যাল্যান্স কেবল করতে পারে সেদেশের সশস্ত্র বাহিনী। এবং এই বাহিনীর অদল কি হবে তাও নির্দেশ করে সেদেশের ভুমি ও প্রতিবেশী দেশের অবস্হান। এনিয়ে বিশদ আলোচনা এখানে সম্ভব নয়।
ණ☛ নেপালের বড় শুবিধা হল তার প্রতিবেশী মহাচীন। নেপালকে ভারতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে নেপালের জন্য চীন সঙ্গতকারনে সবকিছু করবে। যে শুবিধা নেপালের আছে বাংলাদেশের সে শুবিধাও নাই। বাংলাদেশের জন্য চীন রয়েছে হিমালয়ের দুর্লঙ্ঘ্য ব্যাবধানে। পুর্ব দক্ষিণে মিয়ানমার রোহিঙ্গা সমস্যার কারনে বাংলাদেশের জন্য কোনো আলোকবর্তীকা নয়। ভারতের মত মিয়ানমারও বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেয়া প্রায় সম্পন্ন করে ফলেছে। অতএব বাংলাদেশ এখন কাঁটাতারের বেড়া ঘেরা অবরুদ্ধ একটি দেশ। আমরা সমুদ্রের দিকে তাকাতে পারি। কিন্তু আমাদের সমুদ্র সীমান্ত বিপদকালে উন্মুক্ত রাখতে প্রয়োজন ব্লুওয়াটার নেভির। সেই সামর্থ্য হয়তো একদিন বাংলাদেশের হবে ইনশাহআল্লাহ। তবে আমাদের আছে আনুপম জনসংবদ্ধতা ভুরাজনৈতিক শত সীমাবদ্ধতার মাঝে আলোকবর্তিকা হিসাবে বাংলাদেশের জন্য বহুমাত্রিক ইতিবাচক আশার ইঙ্গিতবহ।
লেখক : কলামিস্ট ও প্রাক্তন মহাপরিচালক বিডিআর।
__._,_.___
Pl see my blogs;
Feel free -- and I request you -- to forward this newsletter to your lists and friends!
No comments:
Post a Comment