জাতের নামে বজ্জাতির রাজনীতির বিরুদ্ধে শিরদাঁড়া সোজা করে রুখে দাঁড়ান!
কানহাইয়া তিহার থেকে ছাড়া পেলেন তবু না দমে ওরাঁ আজই হুমকি দিচ্ছেন বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে,ঔ সব বেয়াড়া ছাত্র ছাত্রীদের ছ ইন্চি ছোট করে দেবেন!
আজই এই বাংলা থেকে আওয়াজ উঠল অদূরদর্শী মানব সম্পদ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির পদত্যাগ চাই!
সেই পিটিশান এই লেখার সঙ্গে আবার যোগ করলাম,বাংলার শুভবুদ্ধির,বিবেকের দরবারে!
পলাশ বিশ্বাস
অবশেষে তিহার থেকে ছাড়া পেলেন।
কানহাইয়া তিহার থেকে ছাড়া পেলেন অবশেষে।
আজই এই বাংলা থেকে আওয়াজ উঠল অদূরদর্শী মানব সম্পদ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির পদত্যাগ চাই!
আমরা আমদের ব্লগে,সোশাল মীডিয়ায আজ সকাল থেকে লাগাতার এই পিটিশান শেয়ার করছি।আপনারাও করুন।
যারা বাংলা দখলের বর্গী আক্রমণ প্রতিহত করতে চান,যারা চান না যে ভবিষ্যত্ প্রজন্মের কন্ঠরোধ করে, তাঁদের দেশদ্রোহী তকমা দিয়ে তাঁদের ছ ইন্চি ছোট করার হুমকি শেষপর্যন্ত বাংলার শাসন ক্ষমতা দখলের পরিণতি পাক,জাতের নামে বজ্জাতির রাজনীতির বিরুদ্ধে শিরদাঁড়া সোজা করে রুখে দাঁড়ান!
যারা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে,বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধ,অসহিষ্ণুতা ও ঘৃণা বিদ্বেষ নির্ভর ধর্মোন্মদের বিরুদ্ধে,জাতের নামে বজ্জাতির রাজনীতির বিরুদ্ধে শিরদাঁড়া সোজা করে রুখে দাঁড়ান!
স্বাধীনতার মূল্য দিয়ে এই নদীমাতৃক সোনার বাংলার সব নদী,সমস্ত জলের উত্স,বাদা বন ,পাহাড়ে আমরা এতদিন শুধু রক্তের বন্যায় ভেসে চলেছি,এই ভারত বিভাজনের রাজনীতি,এই রক্ত নদীর বন্যার যারা শেষ চান,জাতের নামে বজ্জাতির রাজনীতির বিরুদ্ধে শিরদাঁড়া সোজা করে রুখে দাঁড়ান!
যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন,মতামতের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন,মানুষের আস্থা,জীবন জীবিকার সম্মান করতে পিছপা হন না,যারা সাম্যের পক্ষে,অন্যায় অত্যাচার নিপীড়নের বিরুদ্ধ মনুষ্যতা ও সভ্যতার স্বাধীনতা চান,যারা প্রগতির পক্ষে,যারা অন্ধকারের সাম্রাজ্যে আলোর ঠিকানা ভোলেন নি এবং নরকের কীট বিষাক্ত ভাইরাস দংশনে শিশুদের জন্য এই পৃথীবীকে বসবাস অযোগ্য করে তোলার যাবতীযউপক্রমের বিরুদ্ধে,জাতের নামে বজ্জাতির রাজনীতির বিরুদ্ধে শিরদাঁড়া সোজা করে রুখে দাঁড়ান!
এই বাংলার পিছিয়ে পড়া মানুষের,দলিত দরিদ্র আদিবাসী মেহনতী সংখ্যালঘুদের সন্তানের নিয়তি রোহিত ভেমুলার মত না হোক্,তাঁদের কাছে বিনম্র নিবেদন,শুধু পড়লে হবে না,প্রথমতঃ এই পিটিশানে স্বাক্ষর করুন,শেযার করুন এবং জাতের নামে বজ্জাতির রাজনীতির বিরুদ্ধে শিরদাঁড়া সোজা করে রুখে দাঁড়ান!
যারা মাতৃভক্ত, পুরুষতান্ত্রিক সামন্তবাদী মনুস্মৃতিতে নারীত্বকে ধর্ষণ সুনামির শিকার হতে দিতে যাদের মনুষত্যে বাধে,যারা বর্বর অসভ্য সময়ে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান না সভ্যতার ইতিহাসকে,যারা জীবন ও জীবিকার স্বাধীনতার পক্ষে,প্রথমতঃ এই পিটিশানে স্বাক্ষর করুন,শেযার করুন এবং জাতের নামে বজ্জাতির রাজনীতির বিরুদ্ধে শিরদাঁড়া সোজা করে রুখে দাঁড়ান!
সেই পিটিশান এই লেখার সঙ্গে আবার যোগ করলাম,বাংলার শুভবুদ্ধির,বিবেকের দরবারে!
হায়দারাবাদে দলিত স্কলার রোহিত ভেমুলা মনুস্মৃতির বলি হওয়ার পর জাতি উন্মুলনের আম্বেডকরি মিশন নিয়ে আজকের ছাত্র যুব প্রজন্মের ঐতিহাসিক আন্দোলনের ডাক-জাত পাত নিপাত যাক!মনুবাদ নিপাত যাক্!
দেশে সর্বত্র ঔ ছেলেমেয়েরা আক্রান্ত,তাঁদের পাশে দৃঢ় পদক্ষেপে দাঁড়াবে না যারা,মনুষত্বের ইতিহাস তাঁদের কোনোদিন মাফ করবে না,সে তিনি যত বড়ই হোমরা চামরা হোন না কেন!
আপনি পাশে থারুন অথবা না থাকুন,ইতিহাস পিছন ফিরে তাকাবে না,ভারতবর্ষের সবগুলি বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতন্ত্র ও বাক্ স্বাধীনতার লড়াই শুরু হয়ে গেছে।এ লড়াই চলবে!
ওরাঁ অন্ধকারকে আর ভয় পায় না!
ওরাঁ আলোর সন্ধানে নেমেছে,ওরাঁ ঔ আলোকেরই সন্তান সন্ততি!ওদের মুখ ভালোবাসার মুখ!ওদের গানে বসন্তের জয়!ভালোবাসার জয়!ওদের জয় হবেই হবে!
ঔ ছয় ইন্চি ছোট করে দিলেও ওদের হারানো যাবে না!
এ মিছিল শুধু ওদের মিছিল নয়,ঔ মিচছিলে শামিল ভারততীর্থে সমাহিত মনুষত্বের শত সহস্র ধারা!
ঔ মিছিলের পাশে আছেন রবীন্দ্রনাথ,নেতাজি,জগদীশচন্দ্র , মাইকেল,ঈশ্বর চন্দ্র,নজরুল,জীবনানন্দ সবাই,আমরা থাকি না থাকি,সময় তৈরি করবেই ইতিহাস!
মিছিলের শ্লোগান মনুস্মৃতি শাসন নিপাত যাক্!
বর্ণ বৈষম্য নিপাত যাক্!
শাসকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সন্ত্রাসের,বর্ণ বৈষম্যের মুক্তবাজারি মনুস্মৃতির বিরুদ্ধে জোর আন্দোলন চলছে!
নয়া দিল্লীতে এই আন্দোলনের নেতৃত্বে জেএনউ!
জেএনউতে ছাত্রীদের সংখ্যা প্রায় সত্তর শতাংশ!
দলিত,ওবিসি,সংখ্যালঘু ,আদিবাসী ছাত্র ছাত্রীরা সেখানে সবচেয়ে বেশি পড়ার সুযোগ পান!
শুধু তাই নয়,এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় আশি শতাংশ ছেলে মেয়েরা আর্থির ভাবে দরিদ্র ও অতি দরিদ্র পরিবারের সন্তান!
দেশদ্রোহী তকমা দিয়ে যাদের কন্ঠরোধ করার অভিযান চলছে অসত্যের বেসরা সাজিয়ে,তারা সবাই দরিদ্র বা অতি দরিদ্র পরিবারের সন্তান!
যেমন কানহাইযার পরিবারের মোট আয় মাত্র ছ হাজার টাকা এবং তার মা আঙন বাড়ি কর্মী!
রাষ্ট্রক্ষমতার অপব্যবহারে নাগরিক ও মানব অধিকারের অবমাননার বিরুদ্ধে,জল জঙ্গল জমিন থেকে সাধারণ মানুষের উত্খাতের বিরুদ্ধে,অমানবিক জাতি ব্যবস্থা ও বর্ণবেষম্য,নিরন্কুশ ফ্যাসিজ্মের অসহিষ্ণুতরা বিরুদ্ধে তারাই ভারতীয় আম জনতার জীবন জীবিকা যন্ত্রণার চিত্কারগুলিকে রাজপথে প্রতিধ্বনিত করছিল বার বার!
ভারতবর্ষ শুধু ভূগোল নয়!
রাজনীতিতে,মনুস্মৃতি শাসনে, সন্ত্রাসে, অত্যাচারে, উত্পীড়নে,নিপীড়ণে,ধর্ষণে খন্ডিত বিখন্ডিত ভারততীর্থের প্রতি ধূলিকণা নিয়ে ওরা আবার অগ্নিপাখীর প্রাণ ফেরানোর অগ্নিপরীক্ষায় নেমেছে,ওরাঁ আমাদেরই সন্তান!
সেই জন্যেই #Shut Down JNU!
স্বাধীনতা,সমতা,ন্য়াযের দাবিতে জেএনউর পাশে দাঁড়িয়েচে এই বাংলার ভবিষ্যত প্রজন্ম,আমাদেরই কলজের টুকরোরা!
তাই#Shut Down JADAVPUR UNIVERSITY!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কামানের গোলা দিয়ে বাবরি হয়নি,স্বর্ণমন্দির ব্লুস্টারও হয়নি,সৃষ্টি হয়েছে নয়া ইতিহাস,আমাদের সেই বাঙালিত্বের হৃত্পিন্ডের নামে ও আামার জন্মভূমি,ও আমার সোনার বাংলা এবং অবশ্যই জন গণ মন অধিনায়কের ইতিহাস!
প্রথমে ওরা হুমকি দিয়েছিল এই বাংলায় গৈরিক বাহিনী ক্ষমতায় থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে ওদের কলার টেনে মারতেন!
নয়া দিল্লীর রাষ্ট্রক্ষমতা ব্যবহার করে তাঁরা বাংলার ছেলেমেয়েদের উচিত শিক্ষা দিতে তাঁদের গায়েও দেশদ্রোহী তকমা সাঁটার কম চেষ্টা করেননি!
বাংলার মানুষের শুভবুদ্ধি বিবেক ও ঐতিহ্যর কারণে,একযোগে বাংলার সম দল নির্বিশেষ প্রতিরোধের কারণে আমাদের ছেলেমেয়েদের ওরা অব্যহতি দিতে বাধ্য হন ক্ষমতার সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে লাগাতার চাপ সৃষ্টির পরও!যাদবপুর ওদের ঔ ফ্যাসিস্ট আক্রমণ প্রতিহত করেছে!করবে!
আমরা পাশে রোহিত ভেমুলা!
রোহিত ভেমুলা মরেও মরে নাই!
সব ছেলেমেয়ের মুখ ভালোবাসার মুখ!
সব চেলেমেয়ের মুখ রোহিত বেমুলার মুখ!
আমরা পাসে আছি জেএনউ!
আমরা পাশে আছি যাদবপুর!
হায়দারাবাদে দলিত স্কলার রোহিত ভেমুলা মনুস্মৃতির বলি হওয়ার পর জাতি উন্মুলনের আম্বেডকরি মিশন নিয়ে আজকের ছাত্র যুব প্রজন্মের ঐতিহাসিক আন্দোলনের ডাক-জাত পাত নিপাত যাক!মনুবাদ নিপাত যাক্!
দেশে সর্বত্র ঔ ছেলেমেয়েরা আক্রান্ত,তাঁদের পাশে দৃঢ় পদক্ষেপে দাঁড়াবে না যারা,মনুষত্বের ইতিহাস তাঁদের কোনোদিন মাফ করবে না,সে তিনি যত বড়ই হোমরা চামরা হোন না কেন!
তাই এখন তারাই আবার জেএনউয়ের দেশদ্রোহীদের ছ ইন্চি ছোট করার হুমকি দিয়ে গেরুয়া মেরুকরণ মার্ফত বাংলা বর্গি বাহিনীর দখলে দিতে উঠে পড়ে লেগেছেন!
নেতাজি এই জাতের নামে বজ্জাতি,সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে তাঁর শেষ ভাষনে সময় থাকিতে সাবধান হউন,সতর্ক বার্তা জারি করেছিলেন!
আমরা বার বার সেই শেষ সতর্ক বার্তা শেয়ার করছি তা
র অপরিসীম প্রাসঙ্গিকতার জন্য
।
আজও এই লেখার সঙ্গে সেই সতর্কবার্তা থাকছে।
অদূরদর্শী মানব সম্পদ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির পদত্যাগ চাই
To
The President of India
Rashtrapati Bhavan
New Delhi : 110001
মাননীয় মহাশয়,
আমরা ভারত রাষ্ট্রের অধিবাসী। ভারত রাষ্ট্রকে আমারা মায়ের মতই ভালবাসি। রাষ্ট্রের অতীত ইতিহাস, সাংস্কৃতিক পরম্পরা নিয়ে আমরা গর্ব বোধ করি। গর্ব বোধ করি যখন ভরতরাষ্ট্রের কোন প্রতিনিধি বিশ্বের দরবারে ভারতের "বহুজন হিতায়, বহুজন সুখায়"এর বাণী প্রচার করে ভারতবর্ষকে সর্ব জীবের কল্যাণকারী রাস্ট্র হিসেবে তুলে ধরেন। কিন্তু সাম্প্রতি এই কল্যাণকারী রাষ্ট্রে কিছু দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী এমন অবিবেকের মত আচরণ করছেন তাতে আমরা অপমানিত বোধ করছি। বিশেষত বর্তমান মন্ত্রীসভার ভারপ্রাপ্ত মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মাননীয়া স্মৃতি ইরানী রোহিত ভেমুলার মৃত্যু নিয়ে যে ভাবে সংসদকে কলুষিত করেছেন, যে ভাবে স্বাধিকার ভঙ্গ করেছেন তা গণতন্ত্রের পক্ষে লজ্জাজনক। যে ভাবে তিনি ধর্মীয় ভাবাবেগের দ্বারা পরিচালিত হয়ে সংসদের আলোচনার মধ্যে "মহিষাসুর" এবং "দুর্গা" প্রসঙ্গ এনে সারা ভারতবর্ষকে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার পথে ঠেলে দিয়েছেন তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। যে ভাবে তিনি সংসদে মিথ্যে তথ্য পরিবেশন করে সমগ্র দেশকে ধোকা দিয়েছেন তা কলঙ্কজনক।
সংসদ ভারতের সর্বোচ্চ ক্ষমতার মন্দির। এর স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা রক্ষা করাই মন্ত্রী সাভার সদস্যদের অন্যতম কাজ। কিন্তু উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী তথা মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মাননীয়া স্মৃতি ইরানী যেভাবে তার ক্ষ্মতাকে অপব্যবহার করে এই ক্ষমতার মন্দিরকে কলুষিত করেছেন তা সংসদীয় রীতি-নীতির পরিপন্থী। তিনি সংসদীয় গণতন্ত্রের শপথ বাক্য ভুলে তার ক্ষ্মতাকে ব্যক্তিগত স্বার্থ এবং দলীয় ব্যবহার করছেন। তার এই অভব্য আচরণের জন্যই দেশের সর্বধর্ম সমন্বয়ের পরম্পরা ক্ষুন্ন হয়েছে। তার একপেশে ধর্মীয় মতবাদ প্রকাশের জন্যই দেশের বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মনে ভ্রাতৃত্বের পরিবর্তে বিদ্বেষের বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে। মহিষাসুর জয়ন্তী নিয়ে আলোচনা চালিয়ে জাবার জন্য সিন্ধু নামে এক মালয়ালম পরিচালিকা খুনের হুমকির শিকার হয়েছে।
এমন অশান্ত এবং অসহিষ্ণুতার বাতাবরণ তৈরি করার পরেও মাননীয়া স্মৃতি ইরানীর কোন প্রকার অনুশোচনা হয়নি বরং তিনি আরো রুঢ় আচরণ করে চলেছেন এবং সংসদীয় রীতি-নীতিকে বিসর্জন দিয়ে দেশকে বিভ্রান্ত ভুল পথে পরিচালিত করছেন। তার এই উদ্ধত আচরণের ফলে যে কোন মুহূর্তে দেশের ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ভেঙ্গে গিয়ে অশান্ত পরিবেশ তৈরি হতে পারে। সমগ্র ভারতে নেমে আসতে পারে দাঙ্গার করাল ছায়া।
তাই অবিলম্বে আমারা এই অভব্য, উদ্ধত এবং অদূরদর্শী মানব সম্পদ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির পদত্যাগ চাইছি।
নমস্কারান্তে
সদস্যবৃন্দ
সচেতন বাংলা ও মূলনিবাসী সমিতি, পশ্চিমবঙ্গ।
পুনশ্চঃ এই চিঠির সঙ্গে মাননীয়া স্মৃতি ইরানিকে লেখা একটি খোলা চিঠি সংযোজিত করা হল।
মাননীয়া
স্মৃতি ইরানী মহাশয়াকে একটি খোলা চিঠিঃ
Smt. Smriti Zubin Irani
Minister of Human Resource Development
302-C, Shastri Bhawan, New Delhi.
মহাশয়া,
হায়দারাবাদ বিশ্ব বিদ্যালয়ের গবেষক ছাত্র রোহিত ভেমুলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন আপনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে একাধিক চিঠি লিখে ছিলেন তার জবাব জানার জন্য এই চিঠি নয়। আপনাদের অসহিষ্ণুতা, ষড়যন্ত্র ও অবজ্ঞার জন্য কার্ল সাগানের মত একজন ভাবী লেখক তার মায়ের হাঁসি মুখ দেখতে পেল না তার জন্যও আমরা কৈফিয়ত চাইছি না। আমরা এটাও জানতে চাইছি না যে লোকসভায় দাঁড়িয়ে যে কাগজটি দেখিয়ে আপনি দাবী করেছিলেন যে, রোহিতের মৃত্যুর পর পরের দিন (১৮ই জানুয়ারী ২০১৬) সকাল ৬:৩০টা পর্যন্ত তার লাশের কাছে পুলিশ ও ডাক্তারকে ঘেঁসতে দেওয়া হয়নি সেই কাগজটি তেলেঙ্গানা পুলিশের রিপোর্ট নয়। আপনি ভারতের সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভাকে অভিনয়ের মঞ্চ হিসেবে নিয়েছিলেন কি না সেটিও আমরা জানতে চাইছি না। কৈফিয়ত চাইছি না কেন আপনি রোহিত ভেমুলার মৃত্যু নিয়ে ৫ বার ভুল তথ্য দিয়ে মানুষকে বোকা বানাতে চাইলেন!
উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী হিসেবে আপনার কৃতিত্বকে খাটো করে দেখার কোন ইচ্ছে আমাদের নেই বরং উচ্চ শিক্ষার ডিগ্রি না থাকা সত্ত্বেও আপনি উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী, এমন কৃতিত্ব কম মানুষের হয় বলে আমরা বিশ্বাস করি। আপনার কৃতিত্ব অপ্রতিরোধ্য। পদাধিকার, দায়, দায়িত্ব ও গুরুত্বে আপনি মন্ত্রীসভার পাঁচ জনের এক জন। বহুজন সেবিত ভারতবর্ষের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও দর্শনের রক্ষণাবেক্ষণের দায় দায়িত্ব আপনারই বর্তায় কেননা আপনি মানব সম্পদ কল্যাণ মন্ত্রীও বটে। যোগ্য ব্যক্তি হিসেবেই আপনি সুপ্রাচীন ভারতবর্ষের জনপুঞ্জের ঐতিহ্যকে জানবেন, অনুধাবন করবেন এবং গুরুত্ব দেবেন বলেই আমরা মনে করে থাকি।
রোহিত ভেমুলার মৃত্যু প্রসঙ্গে আপনি বহিন মায়াবতীকে কথা দিয়েছিলেন যে, আপনার বক্তব্যে সন্তুষ্ট না হলে আপনি নিজের মাথা কেটে বহিন মায়াবতীর পায়ের নিচে রাখবেন। এ হেন প্রত্যয় দেখে আমরা আপনার সদিচ্ছার উপর আস্থা রাখতে চেয়েছিলাম। বিশ্বাস করতে চাইছিলাম যে, রোহিতের "প্রাতিষ্ঠানিক হত্যা"র সুবিচার হবে। বুঝতে পারিনি যে আপনার এই প্রতিশ্রুতি ছিল পরিকল্পিত একটি নাটকের খসড়া। বুঝতে পারিনি যে আপনি পরের দিনই সেই নাটকের কালো বিড়ালটি বের করে আনবেন এবং এই বেড়ালের সাথে সাথেই বেরিয়ে পড়বে আরএসএস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বজরং দলের মৌলবাদী শক্তির গোপন দস্তাবেজ। বুঝতে পারিনি যে আপনি রোহিত ভেমুলা বা দিল্লীর জহরলাল নেহেরু ইউনিভার্সিটির প্রসঙ্গের জবাব দিতে গিয়ে " মহিষাসুর" প্রসঙ্গ টেনে আনবেন এবং জহরলাল নেহেরু ইউনিভার্সিটির সাথে মহান ন্যায় পালক "মহিষাসুর"কেও রাষ্ট্র বিরোধী প্রমান করার জন্য যুদ্ধ ঘোষণা করে বসবেন।
আপনি বলেছিলেন,
"What is Mahishasur Martyrdom Day, madam speaker? Our government has been accused…....
Posted on October 4, 2014. A statement by the SC, ST and minority students of JNU. And what do they condemn? May my God forgive me for reading this.
"Durga Puja is the most controversial racial festival, where a fair-skinned beautiful goddess Durga is depicted brutally killing a dark-skinned native called Mahishasur. Mahishasur, a brave self-respecting leader, tricked into marriage by Aryans. They hired a sex worker called Durga, who enticed Mahishasur into marriage and killed him after nine nights of honeymooning during sleep."
Freedom of speech, ladies and gentleman. Who wants to have this discussion on the streets of Kolkata? I want to know. Will Rahul Gandhi stand for this freedom? I want to know. For these are the students. What is this depraved mentality? I have no answers for it.
জহরলাল নেহেরু ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত "মহিষাসুর সাহাদাত দিবস" পালনের এই প্যামপ্লেটটি হাতে নিয়ে আপনি ছাত্র ছাত্রীদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, "don't make education a battlefield" as the consequences could be grave. অর্থাৎ আপনারা যুদ্ধ লাগাবেন, প্রতিবাদী বা বিরোধী মত প্রকাশকদের জন্য শ্মশানের ব্যবস্থা করবেন, পরিশেষে যুদ্ধের দায়ভার চাপিয়ে দেবেন তাদের ঘাড়ে যারা ভারতবর্ষ থেকে অজ্ঞানতা দূর করার জন্য, ন্যায়ের শাসন কায়েম করার জন্য শিরদাড়া খাড়া করে লড়াই করে চলেছে! আপনার অভিসন্ধির সত্যি তুলনা হয় না!
তবে আপনাকে আমরা ধন্যবাদ দিয়ে রাখি এই কারণে যে আপনি জ্ঞাতে হোক বা অজ্ঞাতে হোক সংসদে "মহিষাসুর" প্রসঙ্গ টেনে এনে ভারতবর্ষের মানুষদের দুটি সংঘাতরত শ্রেণীতে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। একটি আক্রমণকারী, ষড়যন্ত্রকারী, ধ্বংসকারী, হত্যাকারী "দুর্গা বাহিনী" এবং অন্যটি নিজের দেশের স্বতন্ত্রতা, শিল্প, সংস্কৃতি ও মর্যাদা রক্ষা করার "মহিষাসুর ব্রিগেড"।
জহরলাল নেহেরু ইউনিভার্সিটির "মহিষাসুর সাহাদাত দিবস" এর প্যামপ্লেটে দুর্গাকে কেন যৌনকর্মী বা বেশ্যা বলে অভিহিত করা হয়েছে এবং মহিসাসুরকে কেন ন্যায় পালক হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে তা নিয়ে আপনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং এই ধরণের আলোচনাকে রাস্ট্র বিরোধী আখ্যা দিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। অর্থাৎ আপনি মনুস্মৃতি প্রদর্শিত মাত্র ১৫% মানুষের(৩.৫% ব্রাহ্মণ, ৫.৫% ক্ষত্রিয় এবং ৬% বৈশ্য) জন্য ব্রাহ্মন্যবাদী বিধানকে রাষ্ট্রীয় বিধান হিসেবে চাপিয়ে দিতে চাইছেন এবং ৮৫% জনপুঞ্জের ভাষা, সংস্কৃতি, দর্শন ও ধর্মীয় বিশ্বাসকে রাষ্ট্রদ্রোহী চিহ্নিত করে এই মানুষগুলিকেই দেশদ্রোহী বলতে চাইছেন! চমৎকার!!
মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী হিসেবে আপনার কাছে থেকে আমারা আর একটু মেধা, বিবেচনা এবং সংযত আচরণ আশা করেছিলাম। আমরা আশা করেছিলাম যে, পরম কল্যাণকারী, প্রজাপালক রাজা "মহিষাসুর" সম্পর্কে সমগ্র ভারতবর্ষ জুড়ে যে লোকায়ত ইতিহাস রয়েছে তা আপনি জানবেন। রাজা মহিষাসুরের নামে "মহীশুর" রাজ্যের ইতিহাস আপনি শুনে থাকবেন। আপনি শুনে থাকবেন যে এই মহীশুর রাজ্যের মানুষেরা রাজা মহিষাসুরকে ভগবান হিসেবে পূজা করে। আপনার জানা উচিৎ ছিল যে, ভারতের সেন্সাস রিপোর্টে যে সম্প্রদায়গুলির তালিকা আছে সেখানে "অসুর" নামে একটি আদিম জাতি আছে যারা নিজেদের মহিষাসুরের বংশজ বলে দাবী করে। এই অসুর জাতি দেবীর (দুর্গার আসল নাম) মুখ দর্শন করেনা। দুর্গাকে বেশ্যা বলে এবং তাদের রাজার হত্যাকারী মনে করে। এই মানুষেরা ৫ দিন ধরে "দাশাই" পরবের মধ্য দিয়ে তাদের মহান রাজাকে স্মরণ করে। আপনার জানা উচিৎ ছিল যে, এই মহান রাজা মহিষাসুরের প্রচলিত নাম ছিল "হুদূড় দুর্গা"। আর্যরা ষড়যন্ত্র করে দেবী নামক এক বেশ্যার সাথে তাকে বিবাহ দেয়। এই দেবী মহিষাসুরকে সম্ভোগে আচ্ছাদিত করে তাকে খুন করে এবং তার শরীরকেও গোপনে পাচার করে দেয়। আজও দাশাই পরবের পাঁচদিন ধরে আদিবাসীরা ভুয়াং নাচের মাধ্যমে তাদের হারানো রাজাকে খুঁজে বেড়ায়। পুরানে হুদুড় দুর্গা নামে অসুরকে বধ করার জন্য দেবীর নাম রাখা হ্য় দুর্গা তা আপনার জানা উচিৎ ছিল। আপনার জানা উচিৎ ছিল যে, আর্যরা ভারতবর্ষ আক্রমণ করে যে সমস্ত মূলভারতীয় রাজাদের পরাজিত করেছিল তারা সকলেই ছিলেন অসুর। আপনার জানা উচিৎ ছিল যে ভারতবর্ষের জনপুঞ্জের ভাষা ছিল অসুর ভাষা। আপনার জানা উচিৎ যে ভারতের সমস্ত লোকসংস্কৃতির উৎসই হল অসুর সংস্কৃতি।
আসলে আপনাদের দুরভিসন্ধি আরো বেশি দ্বান্দ্বিক। আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে, ভারতের মূলনিবাসীদের জ্ঞান চক্ষু খুলতে শুরু করেছে। তারা কেউ আর একলব্য হতে চাইছেনা। বরং শম্বূকের মতই রামরাজ্যের উত্থানের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে জীবন দিতেও পিছপা হচ্ছেনা। এক রোহিতের বলিদানে জেগে উঠেছে সহস্র কানাইয়া এবং উমর খলিদেরা। ক্ষুদ্রতার গণ্ডি ভাঙ্গতে ধেয়ে আসছে প্রবল জলোচ্ছ্বাস। ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে আলোড়ন তুলছে ছাত্রছাত্রীরা।
নিশ্চিত ভাবে এটি রামরাজ্য এবং মনুর শাসনের পরিপন্থী। তাই আপনারা শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। ধর্মদ্রোহ এবং দেশদ্রোহের নামে জড়িয়ে দিতে চাইছেন মনুবাদের থেকে মুক্তিকামী প্রজন্মকে। প্রশাসনকে ব্যবহার করে শুরু করেছেন মিথ্যাচার এবং বলপ্রয়োগ। নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার জন্যই সংসদের সর্বোচ্চ কক্ষকে কলুষিত করতে পিছপা হচ্ছেন না। মানব সম্পদ রক্ষা করার পরিবর্তে মানুষকে শ্মশানের চিতায় তোলার ধমকি দিচ্ছেন!
আমরা আপনার এই অভব্য আচরণে বিভ্রান্ত হলেও হতাশ নই। কেননা আপনি সংসদের একেবারে উচ্চ কক্ষে দাঁড়িয়ে চিনিয়ে দিয়েছেন আপনি কে। আপনার সংগঠন এবং তাদের গোপন দস্তাবেজ কি? আপনি জানিয়ে দিয়েছেন যে আপনার রাজনৈতিক দল বিজেপি এখনও মূলভারতীয় সংস্কৃতিকে নিকৃষ্ট অসুর সংস্কৃতি মনে করে। ৮৫% মূলনিবাসী দলিত বহুজনকে দুষ্কৃতি মনে করে। দুষ্কৃতির বিনাশই আপনাদের কাজ। এই চরম সত্য প্রকাশ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।
নমস্কারান্তে
সদস্য বৃন্দ,
সচেতন বাংলা ও মূলনিবাসী সমিতি, পশ্চিমবঙ্গ
LETTER TO
To The President of India Rashtrapati Bhavan New Delhi : 110001
অদূরদর্শী মানব সম্পদ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির পদত্যাগ চাই
Saradindu Uddipan started this petition with a single signature, and now has 9 supporters. Start a petition today to change something you care about.
Sign this petition
9 supporters
91 needed to reach 100
Saradindu Uddipan signed this petition
--
Pl see my blogs;
Feel free -- and I request you -- to forward this newsletter to your lists and friends!
No comments:
Post a Comment