Twitter

Follow palashbiswaskl on Twitter

Memories of Another day

Memories of Another day
While my Parents Pulin babu and Basanti devi were living

Saturday, December 22, 2012

কর্তৃত্ব ও শাসকশ্রেনী, পেশীশক্তি, ক্ষমতা, মুক্ত বাজার ও পুরুষতান্ত্রিক এই ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসবে ঠিক এমনি করেই। পলাশ বিশ্বাস http://basantipurtimes.blogspot.in/

কর্তৃত্ব ও শাসকশ্রেনী, পেশীশক্তি, ক্ষমতা, মুক্ত বাজার ও পুরুষতান্ত্রিক এই ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসবে ঠিক এমনি করেই

পলাশ বিশ্বাস

বিক্ষোভ এবার রাষ্ট্রপতি ভবনের দোরগড়ায়।নারীর নিরাপত্তা প্রশ্নে উত্তাল সারা দেশ।গণবিক্ষোভে টালমাটাল সরকার, প্রশাসন।জনগণ রুখে দাঁড়লে কর্তৃত্বকে আত্মরক্ষার ব্যবস্থা করতেই হয়। নীতি নির্ধারণেও তার প্রভাব অসম্ভাবী । কিন্তু এই বিক্ষোভ ধর্মান্ধ পুরুষতান্ত্রিক সমাজবিরুদ্ধে নয়।আপাতদৃষ্টিতে সরকার বাধ্য হবে দিল্লীতে ধর্ষিতাকে ন্যায় বিছার দিতে। কিন্তু সার্বিক ভাবে নারীর অবস্থানে কোনো পরিবর্তনের আশা নেই।মুক্ত বাজার ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী রাজনীতির শোরগুল শোনা গেলেও এমন গণবিক্ষোভ জনবিরোধী গণসংহার নীতি বা শাসনের বিরুদ্ধে আজ অবধি দেখা যায়নি। কারণ রাজনীতি মুক্ত বাজারের মনুস্মৃতি ব্যবস্থায় কর্তৃত্ব ও শাসকশ্রেণীর স্বার্থবিরোধী কোনও পদক্ষেপ নিতে পারে না।তাই দিল্লীর ঐতিহাসিক আবেগমথিত গণবিক্ষোভ খূব তাড়াতাড়ি প্রশমিত হয়ে যাবে এবং এই দেশে কিছুই বদলাবে না।তবু শিক্ষনীয়, কর্তৃত্ব ও শাসকশ্রেনী, পেশীশক্তি, ক্ষমতা, মুক্ত বাজার ও পুরুষতান্ত্রিক এই ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসবে ঠিক এমনি করেই

দিলি্লতে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের ঘটনা দেশটিতে প্রচলিত নারী-বিদ্বেষের প্রতিফলন বলে মনে করছেন সমাজবিজ্ঞানীরা। এ ধরনের গণধর্ষণের ঘটনা নিঃসন্দেহে ভারতের মতো গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল দেশে নারীদের অবস্থান নিয়ে পুনরায় সবাইকে ভাবতে বাধ্য করবে 

গত রবিবার দিল্লি ধর্ষণকাণ্ডের জের ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশে৷ দিল্লিতে আজও ধর্ষিতা তরুণীর প্রতি ন্যায়বিচার এবং দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সর্বস্তরের মানুষ মিছিল করে৷ রাষ্ট্রপতি ভবনের নিরাপত্তা বেষ্ঠনী ভেঙে ঢুকে পড়ে ভেতরে৷

ব্যুরো রিপোর্ট,এবিপি আনন্দ প্রতিবেদনঃ

একদল দুষ্কৃতীর হাতে নির্মমভাবে অত্যাচারিত ও গণধর্ষণের শিকার হয়ে হাসপাতালের বেডে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ২৩ বছরের তরুণী। এই নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদে ফুঁসছে মানুষ, যাদের বেশিরভাগই নতুন প্রজন্মের।সময় যত গড়াচ্ছে, ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ তীব্রতর হচ্ছে। শুক্রবারের মতো শনিবারও জাতীয় রাজধানীতে হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী,উদ্বিগ্ন নাগরিক গণধর্ষণের প্রতিবাদে বিভিন্ন জায়গায় সমবেত হয়েছে।সকাল থেকে শুরু হয়ে দিনভর চলে দফায় দফায় বিক্ষোভ। সন্ধ্যায় জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ হয় বিজয়চকে। পুলিশের গড়া ব্যারিকেড ভেঙে জনতা আজও পৌঁছে যায় রাইসিনা হিলসের সামনে।  কয়েক হাজার প্রতিবাদী জনতাতে সামলাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে পুলিশকে। তাদের হাতে ছিল পোস্টার,ব্যানার। রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে জনতার ভিড় সামলাতে জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ।লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশকে।পুলিশের লাঠির আঘাতে জখম হয়েছে বেশ কয়েকজন৷ পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ে বিক্ষোভকরীরা৷ আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশ৷  বিক্ষোভকারীদের হিংসা না ছড়ানোর আবেদন জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক৷ কিন্তু তা স্বত্তেও সমবেত জনতা তাদের জায়গা ছেড়ে যায়নি। একই জায়গায় ফিরে আসে তারা। কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে যায় রাষ্ট্রপতি ভবন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নামানো হয় র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স।এরই মধ্যে রাষ্ট্রপতি ভবন গ্রহণ করেছে বিক্ষোভকারীদের স্মারকলিপি।



বিক্ষোভে সামিল প্রাক্তন সেনাপ্রধান ভিকে সিংহ। নিগ্রহের শিকার তরুণীর জন্য প্রার্থনার পাশাপাশি পুলিশের ব্যর্থতা, দোষীদের কড়া সাজার দাবিতে প্রতিবাদে ফেটে পড়েছেন তরুণ-তরুণীরা। তাঁরা ধর্ষণ মোকাবিলায় আইন সংশোধন করে মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে মহিলাদের নিরাপত্তার উপযুক্ত বন্দোবস্ত করার দাবিও করছেন তাঁরা। হাজার হাজার প্রতিবাদী মানুষের ভিড়ে স্লোগান উঠেছে—উই ওয়ান্ট জাস্টিস।সকাল নটার সময় এই নির্ধারিত প্রতিবাদ কর্মসূচী থাকলেও তার অনেক আগে থেকেই প্রচুর সংখ্যক মানুষ সমবেত হন। ইন্ডিয়া গেট থেকে- রাইসিনা হিলসের রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত রাজধানীতে চলমান বিক্ষোভ। ইন্ডিয়া গেটের সামনে প্রতিবাদে যোগ দেন প্রাক্তন সেনা প্রধান। তিনি বলেছেন, দিল্লি পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার বিষয়টি সমাধান হওয়া দরকার। ইন্ডিয়া গেট থেকে রাইসিনা হিলস পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিলে গণধর্ষণের বিরুদ্ধে ধিক্কার ধ্বনিত হয়েছে।
গত রবিবার চলন্তবাসে গণধর্ষণ করা হয় ওই প্যারামেডিক্যাল ছাত্রী। তারপর থেকেই রাজধানী ছাড়াও লখনউ,ইলাহাবাদ,রাজকোট,ভোপাল,পাটনা,কলকাতা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছে। পথে নেমেছেন সাধারন মানুষ। একটি বিষয়কে সামনে রেখে এভাবে মানুষের,বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের পথে নামা অভূতপূর্ব বলেই মনে করা হচ্ছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বিক্ষোভ পৌঁছে যায় খাস রাষ্ট্রপতি ভবনের দরজায়। নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে রাইসিনা চত্বরে ঢুকেও পড়েন এক প্রতিবাদিনী। পুলিশ তাঁকে সরিয়ে দিলে তিনি ফুঁসতে ফুঁসতে বলেন, "ভিতরে ঢুকতে কেন অনুমতি লাগবে? আমাদের হেনস্থা করার সময় কি কারও অনুমতির দরকার হয়?"
এই পরিস্থিতিতে তাৎপর্যপূর্ণ শোনাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের মন্তব্য "দিল্লি সত্যিই নিরাপদ নয়। ওই মেয়েটির সামনে গিয়ে দাঁড়ানোর সাহস আমার নেই। আমি লজ্জিত, আমি কিছু করতে পারিনি।" 
নিরাপত্তার অভাব যে কতটা, তার আরও একটা জ্বলন্ত নজির ফের তৈরি হয়েছে। আবার। রবিবার রাতে ঘটনাস্থল ছিল চলন্ত বাস। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীরই ওয়েলকাম এলাকায় তিন প্রতিবেশীর হাতে গণধর্ষিতা হয়েছেন ৪০ বছরের এক মহিলা। চার সন্তানের জননী বাড়িতে একা ছিলেন। সেই সময়ে তাঁকে মাদক মেশানো পানীয় খাইয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। গফ্ফর নামে এক অভিযুক্ত ধরা পড়েছে। দু'জন পলাতক। 
মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়তে থাকা ছাত্রীর ধর্ষণে অভিযুক্তদের মধ্যে অবশ্য বাকি দু'জন শুক্রবার গ্রেফতার হয়েছে। এখন দাবি, দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির। ইন্ডিয়া গেট, যন্তরমন্তর, সফদরজঙ্গ হাসপাতাল, সর্বত্র গমগম করছে একটাই স্লোগান 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস'। অন্ধকার নামার সঙ্গে সঙ্গে  উজ্জ্বলতর হয় মোমের আলো।

http://abpananda.newsbullet.in/kolkata/59-more/31694-2012-12-22-05-54-33

ভারতীয় সেনাবাহিনীর ধর্ষণের প্রতিবাদে মনিপুরী নারীদের প্রতিবাদ

২৬ শে জুলাই, ২০১০ ভোর ৪:২৬ |

শেয়ারঃ
01

ভারতীয় সেনাবাহিনীর ধর্ষণের প্রতিবাদে মনিপুরী নারীদের প্রতিবাদ।

প্রতিবাদের ভাষা এক হয়না? প্রতিবাদে কেউ চিৎকার করে, কেউ গালি দেয়, কেউ মিছিল করে, কেউ করে মৌন মিছিল, কেউ চোখে কালো কাপড় বেধে দাড়িয়েঁ থাকে, কেউ অনশন করে। 

২০০৪ সালের জুলাই মাসে ভারতের মনিপুরে ভারতীয় সেনারা মনিপুরী মেয়েদের ধর্ষণ করে। ভারতীয় জওয়ানদের দ্বারা মেয়েরা ধর্ষিত হবার পর মনিপুরের মেয়েরা এবং তাদের মায়েরা দল বেধে সেনা ক্যাম্পের গেটে গিয়ে এক অভিনব প্রতিবাদ আয়োজন করে। 

তারা সমস্ত কাপড় খুলে আর্মি ক্যাম্পের গেটেদাড়িয়েঁ ছিল--- "কি করবি কর! কি দেখবি দেখ! আমরা এখানে আছি!", "ভারতীয় সেনা, আমাদের ধর্ষণ কর"-"Indian Army Rape Us"এই সব লেখা ব্যানার নিয়ে। 

সারা বিশ্ব এই প্রতিবাদের ভিডিও দেখেছে। কিন্তু এপিজে কালাম, মনমোহন, সোনিয়া টু শব্দ করে নি।

http://www.somewhereinblog.net/blog/sharifkafi/29207608

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ধর্ষণের আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জাপানের

Wed 17 Oct 2012 9:28 PM BdST

বিশ্ব ডেস্ক, ১৭ অক্টোবর (রিয়েল-টাইম নিউজ ডটকম)-- জাপান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দেশটির এক মহিলাকে গণধর্ষণের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানিয়েছে।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাতুশি মরিমুতু জাপানি মহিলাকে গণধর্ষণের বিষয়ে আমেরিকার সরকার ও সেনাবাহিনীর কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা বিষয়টি বুধবার সাংবাদিকদের জানান।

মঙ্গলবার জাপানি মহিলাকে গণ-ধর্ষণের অভিযোগে দুই মার্কিন সেনাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওই মহিলা হেঁটে বাড়ি যাবার সময় দুই মার্কিন সৈন্য তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং ধর্ষণের পর সে ঘাড়ে প্রচণ্ডভাবে আঘাত পায়।

জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, এটি একটি খুবই মারাত্মক অপরাধ। এ ধরনের অপরাধ বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতেও মার্কিন সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

জাপানি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, গত আগস্টেও এ ধরনের একটি যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিওন প্যানেট্টার সঙ্গে বিহিত করার কথা ভাবছেন বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার জাপানের ওকিনাওয়া দ্বীপের পুলিশ এক মহিলাকে গণ-ধর্ষণের সন্দেহে দুই মার্কিন সেনাকে আটক করে। ওকিনওয়ার প্রধান দ্বীপের কেন্দ্রীয় পার্কের রাস্তায় এ দুই মার্কিন সেনা পালাক্রমে ওই জাপানি মহিলাকে ধর্ষণ করে। 

এরপর ওই মহিলা পুলিশকে জানান,হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে তার ওপর এ হামলা চালায় দুই মার্কিন সেনা। তবে, তিনি হামলাকারীদের শনাক্ত করতে পারেননি। আটক এক সেনা, ধর্ষণের কথা স্বীকার করলেও অন্যজন এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।

মার্কিন দুই সেনারই বয়স ২৩ এবং তারা টেক্সাসের ফোর্থ ওয়ার্থ নেভাল এয়ার স্টেশনে ছিল। ওকিনাওয়া দ্বীপে বিতর্কিত ওসপ্রে সামরিক বিমান মোতায়েনের বিরুদ্ধে যখন তীব্র প্রতিবাদ হচ্ছে তখন এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটলো।

জাপানের ওকিনাওয়া দ্বীপে ৪৭ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে এবং হত্যা ও ধর্ষণসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে এসব সেনার বিরুদ্ধে দেশটির জনমত দিন বিরুপ হয়ে উঠছে।

রিয়েল-টাইম নিউজ ডটকম/ওয়েবসাইট/আরআই_ ২১৪২ ঘ.

দেশ আর সমাজ গঠনে নারীর ভূমিকা গোটা বিশ্বেই স্বীকৃত৷ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বারবারই দেখা গেছে, সেই সমাজ উন্নত হয়, যেখানে নারীরা এগিয়ে আসেন বিভিন্ন পেশায় - তৎপর হন সর্বক্ষেত্রে৷ তাদের নিয়ে ডয়চে ভেলের বিশেষ পরিবেশনা৷

দিল্লির হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ২৩ বছরের ধর্ষিতা তরুণী৷ তাঁর অবস্থার তেমন কোনো উন্নতি হয়নি৷ পাঁচবার অপারেশন হয়৷ ঐ তরুণীর প্রতি ন্যায়বিচারের দাবিতে ফেটে পড়ে যুব সম্প্রদায়, ছাত্র ও মহিলা সংগঠনের নেতা কর্মীরা৷

Indian students and teachers shout anti-government and police slogans as they demand the resignation of the Delhi Chief Minister Sheila Dikshit during a protest in New Delhi on December 21, 2012, following the gang-rape of a student. Indian police have arrested the driver and four others of a bus after a student was gang-raped and thrown out of the vehicle, reports said, in an attack that has sparked fresh concern for women's safety in New Delhi. AFP PHOTO/ RAVEENDRAN (Photo credit should read RAVEENDRAN/AFP/Getty Images) গণধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয় ভোপাল, লক্ষৌ, পাটনা ও কলকাতায়

কয়েক হাজার প্রতিবাদী মানুষের মিছিল ইন্ডিয়া গেট থেকে রাজপথ হয়ে রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত যায়৷ রাষ্ট্রপতি ভবনের নিরাপত্তা বেড়া ভেঙে ঢুকে পড়ে ভেতরে৷

দিল্লি ও অন্যত্র মহিলাদের নিরাপত্তা ও ধর্ষিতা তরুণীর প্রতি ন্যায়বিচারের দাবি উঠে এসেছে তাঁদের স্লোগানে৷ যাতে অংশ নেয় গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি, ইয়াং উইমেন্স খ্রিষ্চান অ্যাসোসিয়েশনস, জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নসহ একাধিক সংগঠন৷

জেএনইউ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট সুচেতা দে ডয়চে ভেলেকে তাঁর প্রতিক্রিয়ায় জানান, ''সরকারের তরফ থেকেও আমরা সংবেদনশীলতার প্রচণ্ড অভাব দেখি৷ মুখ্যমন্ত্রী থেকে মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের বক্তব্যে, শোনা যায় যে, নিরাপত্তার দায়িত্ব নাকি মহিলাদের নিজেদের৷ পুরো সমাজের মধ্যে লিঙ্গ বৈষম্য এবং স্পর্শকাতরতার যে অভাব রয়েছে এটা তারই প্রতিফলন৷ জেন্ডার সেনজেটাইজেশনের বিষয়ে আরো সিরিয়াস হতে হবে৷'' এছাড়াও বিচারবিভাগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিচার বিভাগেরও এ বিষয়ে দায়িত্ব আছে৷ ধর্ষণের ঘটনায় মাত্র ৩০ শতাংশের শাস্তি হয়৷ তাই 'ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট' গঠন করে দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে৷

Activists of the National Students Union of India (NSUI) hold placards as they shout slogans condemning a recent act of alleged gang rape in Delhi, durings de demonstration in the northern Indian city of Jammu, the winter capital of Kashmir, India, 21 December 2012. Protests are held countrywide in India over the gang rape of a 23-year-old woman on a bus in India's capital, where six men repeatedly raped a medical student on a moving bus in New Delhi, and beat her and her male friend with iron rods before throwing them off the vehicle on 16 December, said police. EPA/JAIPAL SINGH pixelকয়েক হাজার প্রতিবাদী মানুষের মিছিল ইন্ডিয়া গেট থেকে রাজপথ হয়ে রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত যায়

অনুরূপ প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয় ভোপাল, লক্ষৌ, পাটনা ও কলকাতায়৷ যাতে যোগ দেয় অসংখ্য মানুষ৷ কালো পতাকা ও ফুটপাতে মোমবাতি জ্বালিয়ে ধর্ষিতার দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হয়৷

এক সমীক্ষায় জানা গেছে, দিল্লিতে গড়ে মাসে ধর্ষিতা ও নিগৃহীতা হন ৫৬ জন মহিলা৷ পাশাপাশি, রাজনৈতিক দলগুলির নৈতিক দ্বিচারিতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে৷ গত পাঁচ বছরে সংসদীয় নির্বাচনে এমন ছয়জনকে এবং বিধানসভা নির্বাচনে এমন ২৮ জনকে মনোনয়ন দেয়া হয় , যাঁদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আছে এবং আদালতে সে বিষয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা চলছে৷








বারবার ছোড়া হল কাঁদানে গ্যাস, চলেছে জল কামান, লাঠিও। তবুও আয়ত্তে আসেনি রাজধানীর রাজপথ। ক্রমশই বহরে বাড়ছে রাষ্ট্রপতি ভবনের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাওয়া প্রতিবাদী জনতার ঢল। আক্রমণ এসেছে পুলিসের দিকেও। পুলিসকে লক্ষ্য করে শনিবার দুপুরে পাথর ছোঁড়ে উত্তেজিত জনতা। ইন্ডিয়া গেটের সামনেও ভিড় বাড়ছে মানুষের। চলছে প্রতিবাদী পথনাটকও। বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে হিংসা না ছড়ানোর আবেদন জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।


সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাবে জমায়েত প্রচারের জেরে দিল্লির বহু মানুষ রাজপথে জমা হন। প্রতিবাদীদের মিছিল এগিয়ে চলে রাষ্ট্রপতি ভবনের দিকে। দফায় দফায় প্রতিবাদের জেরে সকাল থকেই উত্তেজিত হয়ে ওঠে রাষ্ট্রপতি ভবন চত্বর। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে হাতাহাতিও হয় পুলিসের। পুলিস ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে শুরু করে আম জনতা। ঘটনাস্থলে পৌঁছন দিল্লির পুলিশ কমিশনার নীরজ কুমার। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এর পরেও পরিস্থিতি আয়ত্তে আসেনি। পরে বিক্ষোভকারীদের হঠাতে ছোঁড়া হয় জল কামান। লাঠি চার্জ করে পুলিশ। ছোঁড়া হয় কাঁদানে গ্যাসও। এর পরই পুলিসকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে বিক্ষোভকরীরা। বিক্ষোভকারীদের ছোঁড়া পাথরে আহত হন বেশ ক'জন পুলিস। অবস্থা সামলাতে র‍্যাফ নামানো হয়। পুলিসের সঙ্গে হাতাহাতি ও লাঠি চালানোর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জন বিক্ষোভকারী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। যাঁদের মধ্যে ৯ জনকে রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বেশিরভাগেরই মাথায় চোট লেগেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

এদিন ইন্ডিয়া গেটে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সেনা প্রধান ভি কে সিংও। তিনি বলেন, "এই ঘটনায় দিল্লি পুলিসের ব্যর্থতা স্পষ্ট। এই প্রতিবাদের একটা আশু ফলাফল হওয়া উচিত।"

দিল্লি ধর্ষণ কাণ্ডে প্রতিবাদে উত্তাল সারা দেশ। প্রতিবাদের আঁচে তপ্ত রাইসিনা হিলস থেকে ইন্ডিয়া গেট। কিন্তু এর মাঝেই আবার ধর্ষণের ঘটনা ঘটল দেশের রাজধানীতে। পশ্চিম দিল্লির একটি প্লে স্কুলে ধর্ষকের পৈশাচিক মনোবৃত্তির শিকার হল তিন বছরের এক শিশু। 

চলতি সপ্তাহের সোমবার পশ্চিম দিল্লির সাগরপুরের প্লে স্কুলটির মালকিনের স্বামী ধর্ষণ করে শিশু কন্যাটিকে। ঘটনাটির পরে বাচ্চাটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরিবারের লোকজন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানকার ডাক্তাররা জানান মেয়েটি ধর্ষিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। 

শিশু ও নারী কল্যাণ মন্ত্রী কিরণ ওয়ালিয়া দিল্লির শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানকে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এর সঙ্গেই তিনি দিল্লি পুলিসকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে তার বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। 

কমিশনের তরফ থেকে পুলিসকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে এই ঘটনার যাবতীয় রিপোর্ট জমা দেওয়ার। পুলিস স্কুলটি বন্ধ করে দিয়েছে। 


দিল্লির নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর ব্যবস্থার নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী। আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে গণধর্ষণের ঘটনা এবং পুলিসি তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডে। এরপরেই নিরাপত্তা নিয়ে রাজধানীর নিরাপত্তা নিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। 

ইতিমধ্যেই বিক্ষোভকারীদের পাঁচজন প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন শিন্ডে। বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণের জন্য ঘটনাস্থলে নামানো হয়েছে র‍্যাফ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন তিনি ঘটনাটি নিজের পর্যবেক্ষণাধীন রাখছেন। 

এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সে বিষয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে সচেষ্ট হতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী নারায়ণস্বামী জানান, গণধর্ষণকাণ্ডে জড়িতরা যাতে কঠোর সাজা পায় সেদিকে নজর রাখা হবে। তবে বিক্ষোভ কোনও সমাধানের পথ নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।


অন্যদিকে, নিগৃহীতা তরুণীর এখনও সফদরজং হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে চলেছেন। চিকিতসকরা জানিয়েছেন, ওই ছাত্রীর শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে। কিন্তু তাঁর রক্তের অনুচক্রিকার (প্লেটলেট) সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন সফদরজং হাসপাতালের চিকিতসকরা।

দিল্লির চলন্ত বাসে ধর্ষিতা ২৩ বছরের তরুণীর শারীরিক অবস্থার আশাতীত উন্নতি হয়েছে বলে জানালেন সাফদারগঞ্জ হাসপাতালের ডাক্তাররা। মেয়েটির মানসিক অবস্থাও স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন তাঁরা। মেয়েটি কথাও বলছে স্বাভাবিক ভাবে। তবে এখনও মেয়েটির শরীরে সংক্রমণ দ্রুত গতিতেই ছড়াচ্ছে। 

হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে মেয়েটির শরীরে শ্বেতরক্তকণিকার পরিমাণ বৃদ্ধি পেলেও কমে গেছে অণুচক্রিকার (প্লেটলেট) সংখ্যা। তবে অপরিসীম মানসিক জোরের জন্যই মেয়েটির অবস্থার দ্রুত উন্নতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররা। সামগ্রিক ভাবেই মেয়েটির শারীরিক স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন তাঁরা। 

ইন্ডিয়া গেট থেকে রাষ্ট্রপতি ভবন, রাজধানীর চলন্ত বাসে তরুণীর গণধর্ষণের প্রতিবাদে ক্ষোভে ফুঁসছে দিল্লি। অন্যদিকে সাব-ডিভিশনাল ম্যজিস্ট্রেটের কাছে বয়ান নথিভুক্ত করলেন নিগৃহীতা তরুণী। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে ও পুলিসের ওপর চাপ বাড়াতে এই বয়ান সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

দিল্লি পুলিসের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, "সফদরজং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তরুণী শনিবার এসডিএমকে গোটা ঘটনাটি জানিয়েছেন।" তিনি আরও বলেন, নিগৃহীতা তরুণীর বয়ান ইতিমধ্যেই অদালতে পেশ করা হয়েছে। 

শুক্রবার স্বরাষ্ট্র সচিব আর কে সিং জানিয়েছিলেন, গণধর্ষণে অভিযুক্তদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের চেষ্টা চালবে দিল্লি পুলিস। সেইসঙ্গে রাজধানীতে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। 

ইতিমধ্যেই দিল্লি ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত ৬ জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিস। শুক্রবার বিহারের ঔরঙ্গাবাদ থেকে ষষ্ঠ অভিযুক্ত অক্ষয় ঠাকুরকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার পঞ্চম অভিযুক্ত রাজুকে উত্তর প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলের বাদাউন থেকে গ্রেফতার করে পুলিস। তার আগেই গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত বাসের চালক রাম সিং, তার ভাই মুকেশ, পবন এবং বিনয়কে। আদালতে পেশ করা হলে রাম সিং, পবন এবং বিনয়ের পুলিসি হেফাজত ও মুকেশের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।

দিল্লিতে চলন্ত বাসে এক তরুণীর গণধর্ষণে অভিযুক্তরা তাদের অপরাধ কবুল করেছে পুলিশ ও আদালতের কাছে৷ একজন আদালতের কাছে নিজের ফাঁসিও চায়৷ আর এহেন ঘটনা রোধে সংসদে গুচ্ছ পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷

গত রবিবার দিল্লিতে চলন্ত বাসে এক মেডিকাল ছাত্রীর ধর্ষণকাণ্ডের পর ''ধর্ষণের রাজধানী দিল্লি'' – এই তকমাটা চেপে বসেছে শহরের গায়ে৷ বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে দিল্লিতে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে৷ এর বিরুদ্ধে পথে নেমেছে আমজনতা, ছাত্র সংগঠন, বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা৷ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে বুধবার পুলিশ লাঠি চালায়, জলকামান ব্যবহার করে৷ জনৈক বিক্ষুব্ধ ছাত্রী বলেন, ''আমরা চুপ থাকবো না৷ আমরা চাই ধর্ষিতা তরুণীর প্রতি ন্যায়বিচার, যিনি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে যুজছে৷''

Indian women hold placards outside the residence of Delhi Chief Minister Sheila Dikshit during a protest over the gang rape of a woman in New Delhi, India, Wednesday, Dec. 19, 2012. Lawmakers, rights groups and citizens across India expressed outrage Wednesday over the gang rape of a woman on a bus in New Delhi and are urging the government to crack down on crimes against women. The outpouring of anger is unusual in a country where attacks against women are often ignored and rarely prosecuted. (AP Photo/Manish Swarup)ধর্ষকদের প্রতি ধিক্কার

উল্লেখ্য, ধর্ষিতা তরুণীর অবস্থা এখনও সংকটাপন্ন৷ তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে৷ প্রচণ্ড আঘাতে তাঁর শরীরের ভেতরে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বুধবার৷ কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং আরো অনেকে তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান৷ তরুণীটির অবস্থার দিকে নজর রাখতে একজন আইপিএস মহিলা অফিসার মোতায়েন করেছে সরকার৷ তিনি নিয়মিতভাবে ডাক্তার ও মেয়েটির বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন৷

ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে বুধবারও সংসদ উত্তাল৷ বিরোধীদের শান্ত করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই ধরণের ঘটনা রোধে এক গুচ্ছ সুপারিশের কথা ঘোষণা করেন৷ যার মধ্যে আছে, দিল্লির পাবলিক বাসে বা বাণিজ্যিক বাহনে কালো কাঁচ এবং পর্দা লাগানো চলবে না৷ ডিউটি শেষে বাস রাখতে হবে বাস মালিকের কাছে৷ ড্রাইভার বা কর্মচারিদের কাছে নয়৷ পারমিটের শর্তাদি লঙ্ঘন করলে বাস বাজেয়াপ্ত করা হবে এবং পারমিট বাতিল করা হবে৷ ড্রাইভারের লাইসেন্স এবং ফটো ভালোভাবে টাঙিয়ে রাতে হবে বাসে৷ পুলিশ কন্ট্রোল ভ্যানের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে৷ সর্বোপরি, ধর্ষণের শাস্তি আরও কঠোর করতে ফৌজদারি আইনবিধি সংশোধনী প্রস্তাব সংসদের বিবেচনাধীনও আছে৷

DOCTORS PROTEST RAPE  NEW DELHI, DEC 19 (UNI):- Physiotherapy Community of India protesting against the gang rape case in New Delhi on Wednesday. UNI PHOTO - 29Uসাধারণ মানুষ তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন

বিজেপি এবং মহিলা সংগঠনগুলির দাবি, ধর্ষণের শাস্তি হওয়া উচিত ফাঁসি৷ কিন্তু এই নিয়ে বিতর্ক আছে৷ বিশিষ্ট আইনজীবী রামজেঠমালানির মতে, ''এটা ধোপে টিকবে না৷ ফাঁসি মানে কয়েক সেকেন্ডেই শেষ, কিন্তু যাবজ্জীবন হলে তিল তিল করে শাস্তি সারা জীবন ধরে৷''

নাগরিক সমাজের একাংশের মতে, ফাঁসি যেখানে উঠে যাচ্ছে বিশ্বের প্রায় সব দেশে, সেখানে ফাঁসির বদলে উপযুক্ত শাস্তি হলো ধর্ষককে খোজা করে দেয়া, যাতে ভবিষ্যতে সে তার যৌনাঙ্গ ব্যবহার করতে না পারে৷ তাঁদের মতে, বাসে কালো কাঁচ বা পর্দা ব্যবহার নিষিদ্ধ করে ধর্ষণ রোধ করা যাবে না৷


'উই ওয়ান্ট জাসটিস!' ধ্বনিতে দিল্লি ধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদ আছরে পড়ল রাইসিনা হিলসে। আজ দিল্লিতে সফদরজং হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাওয়া ২৩ বছরের তরুণীর ন্যয়বিচারের দাবিতে নজিরবিহীন ভাবে কয়েক হাজার প্রতিবাদী মানুষের মিছিল রাষ্ট্রপতি ভবনের নিরাপত্তা বেষ্টনী পেরিয়ে ভিতরে ঢুকে পরেন। দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি জানাতেই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা।

গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি, ইয়ং ওমেনস ক্রিশ্চান অ্যাস্যোসিয়েশন সহ একাধিক সংগঠনের সমাজকর্মী, ছাত্র ছাত্রী ও সাধারণ মানুষ রাজপথ থেকে বিজয়চক হয়ে রাইসিনা হিলসে পৌঁছন। এর পর নিরাপত্তা বেষ্টনী পেরিয়ে প্রতিবাদী জনতার মিছিল রাষ্ট্রপতি ভবন, সাউথ ব্লক ও নর্থ ব্লকের দিকে এগিয়ে যায়। মহিলাদের জন্য নিরাপদ দিল্লি এবং ধর্ষিতার ন্যয়বিচারের দাবিই উঠে এসেছিল স্লোগানে। ধর্ষণকারীর চরম শাস্তিও দাবি করেন তাঁরা। 

শুধু রাজধানী নয়, রবিবারের নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদের ঝড় ছড়িয়েছে সারা দেশেই। দিল্লিতে তরুণীর গণধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেন কলকাতার প্রাতঃভ্রমণকারীরা। আজ ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এলাকায় কালো পতাকা নিয়ে মিছিল করেন প্রাতঃভ্রমণকারীরা। দিল্লি সরকারের সমালোচনায় স্লোগানও দেন তাঁরা। সবশেষে ফুটপাথে মোমবাতি জ্বালিয়ে নিগৃহীতা তরুণীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। প্রাতঃভ্রমণকারীদের দাবি, ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত বিচার শেষ করে অবিলম্বে শাস্তি দেওয়া হোক। পাশাপাশি গোটা দেশে মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সরকারের উপযুক্ত ব্যবস্থারও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।  

মধ্যপ্রদেশের ভোপালেও প্রতিবাদে অংশ নেন অসংখ্য মানুষ। উত্তরপ্রদেশের লখনউ এবং বিহারের পাটনাতেও প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন অসংখ্য মানুষ। গণধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে কলকাতাতে আজ সকালে মোমবাতি জ্বালানো হয়। 


দিল্লি গণধর্ষণ ঘটনায় বিশেষ অধিবেশনের দাবি জানালেন লোকসভার বিরোধী দলনেত্রী সুষমা স্বরাজ। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় তিনি শনিবার টুইট করেন। ধর্ষণের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডের সাজা হওয়া উচিত কিনা তা নিয়ে বিশেষ অধিবেশনের দাবি জানিয়েছেন বিজেপি নেত্রী তাঁর টুইটে। এ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন সুষমা।  

দিল্লিতে গণধর্ষণের প্রতিবাদকারীদের ওপর  লাঠি, জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস চালানোয় দিল্লি পুলিসের কড়া সমালোচনা করে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কথা বলার প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপি মুখপাত্র রবি শঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, "দিল্লি ধর্ষণের রাজধানীতে পরিণত হয়েছে।" সে কারণেই দিল্লির তরুণ সমাজ এতটা উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছেন রবি শঙ্কর।

রাইসিনা হিলসের সামনে ছাত্রদের জমায়েতের ওপর পুলিসি পদক্ষেপের প্রসঙ্গ টেনে সরকারের এ বিষয়ে আরও সচেতন হওয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন। বিজেপি নেতা প্রসাদ বলেন, "তাঁদের ওপর লাঠিচার্জ করা হয়। সেইসঙ্গে জলকামানও প্রয়োগ করা হয়। পুলিসের এই গোটা পদক্ষেপের সমালোচনা হওয়া উচিৎ।" বিজেপি দলের তরফেও এই ঘটনার নিন্দা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।


দিল্লি ধর্ষণ কাণ্ডে সারা দেশ এখন প্রতিবাদে উত্তাল। দেশের রাজধানীতে দিন দিন বেড়ে চলা নারী নির্যাতনের জন্য তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছে রাজ্য সরকার তথা দিল্লি পুলিস। এর মাঝেই আজ দিল্লির পুলিস কমিশনার নীরজ কুমার এবং কেন্দ্রীয় সরাষ্ট্রসচিব আরকে সিং সমবেত সাংবাদিক সম্মেলনে করলেন। তাঁরা জানালেন শহরে সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও মজবুত করে তোলার জন্য সরকারের তরফ থেকে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

পদক্ষেপ গুলি হল, ১.কোন যানবাহনই আর জানলায় ঘষা কাচ ব্যবহার করতে পারবে না। ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিস শতাধিক বাস এবং অনান্য গাড়ি চিহ্নিত করে জানলা থেকে ঘষা কাচ সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। 
২. পুলিসের তরফ থেকে সমস্ত ট্যাক্সি এবং অটো ড্রাইভারদের যাচাই হবে। ট্যাক্সি এবং অটো ড্রাইভারদের নির্দিষ্ট ব্যাজ পরতে হবে। যাতে বোঝা যায় তাদের কাছে গাড়ি চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি আছে। 
৩. যে সমস্ত চার্টাড বাস গুলি রাতে বেআইনি ভাবে যাত্রী পরিবহণ করে সেগুলিকে দ্রুত সনাক্ত করে বাজেয়াপ্ত করা হবে।
৪. যাত্রীবাহী সাধারণ বাস গুলির চালকদের নতুন করে পরীক্ষা দিতে হবে। তাদের লাইসেন্স দিল্লির কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে।
৫. সাধারণ পোষাকের পুলিসরা সমস্ত যানবাহনের দিকে নজর রাখবেন। কোন চালক মদপ্য অথবা গাড়ি চালাতে অকারণ বিলম্ব করছেন কি না তার দিকে খেয়াল রাখবেন তাঁরা। 
৬. সমস্ত সাধারণ পরিবহণ চালককে নিজেদের সঙ্গে সচিত্র পরিচয়পত্র এবং লাইসেন্স গাড়িতে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। 
৭. প্রত্যেকটি যানবাহনকে জিপিএসের আওতায় আনা হবে। 

তবে পুলিসের এই পদক্ষেপ গুলি কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। যে চলন্ত বাসটিতে মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল সেই বাসটি ওই সময় ৩৪ টি পুলিস চেক পোস্টের উপর দিয়ে গিয়েছিল। বাসটির গায়েই লেখা ছিল সেটি একটি স্কুল বাস। ঘষা কাচের জানলায় টাঙানো ছিল পর্দা। দিল্লির বর্তমান আইনব্যবস্থায় এর প্রত্যেকটি বেআইনি। কিন্তু ওই চেকপোস্ট গুলির একটিতেও আটকানো হয়নি ওই বাসটিকে। নিরপত্তার স্বার্থে দিল্লি সরকারের নেওয়া নতুন পদক্ষেপগুলি কতটা কার্যকরী হবে ভবিষ্যতই তা বলে দেবে। 


গত রবিবার রাতে দক্ষিণ দিল্লির একটি সিনেমা হল থেকে ফিরছিলেন ২৩ বছরের এই তরুণী ও তাঁর পুরুষ সঙ্গী। সেইসময় একটি বেসরকারী বাসে ওই তরুণীর ওপর পাশবিক অত্যাচার চালানো হয়। গণধর্ষণের পর তাঁকে লোহার রড দিয়ে দীর্ঘক্ষণ মারা হয়। ব্যাপক মারধর করা হয় তাঁর বন্ধুকেও। তাঁদের পোশাক খুলে বাস থেকে ছূঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়। প্রায় ৪০ মিনিট পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় দু`জনকেই রাস্তার ধার থেকে উদ্ধার করে পুলিস। নিগৃহীতা তরুণী বর্তমানে সাবদারজং হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। 

দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলছে শনিবারেও। এদিন সকাল থেকেই রাজধানী দিল্লির ছাত্র ও সাধারণ নাগরিক বিশাল সংখায় ইন্ডিয়া গেট চত্তরে জমা হতে শুরু করে। রাতের রাজধানীতে চলন্ত বাসে এক ২৩ বছরের ছাত্রীকে গণধর্ষণের প্রতিবাদে রাষ্ট্রপতি ভবন, বিজয় চক, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সামনে মানুষ প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিসের হাতাহাতির খবর পাওয়া গিয়েছে। 

বিক্ষোভকারীরা ঘটনার কড়া সমালোচনা করে, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। নিগৃহীত ছাত্রীর জন্য বিচার চেয়ে সরকার ও পুলিস প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগিড়ে দিয়েছেন অনেকেই। 

`উই ওয়ান্ট জাসটিস!` ধ্বনিতে দিল্লি ধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদ আছরে পড়ে রাইসিনা হিলসে। গতকালও দিল্লিতে সফদরজং হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাওয়া ২৩ বছরের তরুণীর ন্যয়বিচারের দাবিতে নজিরবিহীন ভাবে কয়েক হাজার প্রতিবাদী মানুষের মিছিল রাষ্ট্রপতি ভবনের নিরাপত্তা বেষ্টনী পেরিয়ে ভিতরে ঢুকে পরেন। দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি জানাতেই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা।

গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি, ইয়ং ওমেনস ক্রিশ্চান অ্যাস্যোসিয়েশন সহ একাধিক সংগঠনের সমাজকর্মী, ছাত্র ছাত্রী ও সাধারণ মানুষ রাজপথ থেকে বিজয়চক হয়ে রাইসিনা হিলসে পৌঁছন। এর পর নিরাপত্তা বেষ্টনী পেরিয়ে প্রতিবাদী জনতার মিছিল রাষ্ট্রপতি ভবন, সাউথ ব্লক ও নর্থ ব্লকের দিকে এগিয়ে যায়। মহিলাদের জন্য নিরাপদ দিল্লি এবং ধর্ষিতার ন্যয়বিচারের দাবিই উঠে এসেছিল স্লোগানে। ধর্ষণকারীর চরম শাস্তিও দাবি করেন তাঁরা।

শুধু রাজধানী নয়, রবিবারের নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদের ঝড় ছড়িয়েছে সারা দেশেই। দিল্লিতে তরুণীর গণধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেন কলকাতার প্রাতঃভ্রমণকারীরা। আজ ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এলাকায় কালো পতাকা নিয়ে মিছিল করেন প্রাতঃভ্রমণকারীরা। দিল্লি সরকারের সমালোচনায় স্লোগানও দেন তাঁরা। সবশেষে ফুটপাথে মোমবাতি জ্বালিয়ে নিগৃহীতা তরুণীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। প্রাতঃভ্রমণকারীদের দাবি, ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত বিচার শেষ করে অবিলম্বে শাস্তি দেওয়া হোক। পাশাপাশি গোটা দেশে মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সরকারের উপযুক্ত ব্যবস্থারও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। 

মধ্যপ্রদেশের ভোপালেও প্রতিবাদে অংশ নেন অসংখ্য মানুষ। উত্তরপ্রদেশের লখনউ এবং বিহারের পাটনাতেও প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন অসংখ্য মানুষ। গণধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে কলকাতাতে আজ সকালে মোমবাতি জ্বালানো হয়।

দিল্লির চলন্ত বাসে এক তরুণীর গণধর্ষণের ঘটনা রুখতে সরকারের ব্যর্থতার তীব্র সমালোচনা করে মঙ্গলবার সংসদের ভেতরে দলমত নির্বিশেষে সাংসদরা অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত শাস্তির দাবি জানান৷ ঘটনার ধিক্কার জানায় সুশীল সমাজও৷

রবিবার রাতে দিল্লির একটি চলন্ত বাসে এক মেডিক্যাল ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ ছয় ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে৷ এদের মধ্যে আছে বাসের ড্রাইভার ও তার ভাই৷ বাসটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ বাসটি দিল্লির বিভিন্ন স্কুলে ভাড়া খাটতো৷ জানা গেছে, তরুণীকে লোহার রড দিয়ে মেরে রাস্তায় ফেলে দেয়া হয়৷ তরুণীকে বাঁচাতে যাওয়ায় তাঁর বন্ধুটিকেও লোহার রড দিয়ে মারা হয়৷ শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, হাসপাতালে ঐ তরুণীর অবস্থা এখনও সংকটজনক৷

এই ঘটনায় মঙ্গলবার সংসদে দলমত নির্বিশেষে সাংসদরা রাজধানী দিল্লির আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিন্দা করে অপরাধীদের গ্রেপ্তার এবং দ্রুত কড়া শাস্তি দেবার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছ থেকে নির্দিষ্ট আশ্বাস দাবি করেন, যাতে ভবিষ্যতে এই ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়৷ তাঁরা বলেন, দিল্লিতে যে হারে গণধর্ষণের ঘটনা বাড়ছে, তাতে পুলিশ প্রশাসনের অকর্মন্যতাই প্রমাণ করে৷

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই ধরণের ঘটনা রোধে একটি 'টাস্কফোর্স' গঠনের কথা বলেন৷ যৌন অপরাধের শাস্তি যাতে আরো কঠোর করা হয়, তার জন্য সংশ্লিষ্ট ফৌজদারি আইন সংশোধনের কথাও উল্লেখ করেন তিনি৷

ধর্ষণ – এক জঘণ্য অপরাধ!

নাগরিক সমাজ এই ঘটনায় সোচ্চার৷ পশ্চিমবঙ্গ মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুনন্দা মুখোপাধ্যায় ডয়চে ভেলেকে বলেন, ধর্ষণকারীর ফাঁসি হওয়া উচিত৷ আমাদের দেশে ফাঁসি তো উঠে যায়নি৷ বিরলতম বিরল ক্ষেত্রে ফাঁসি আছে৷ আর শুধু ফাঁসি নয়, এই ধরণের অপরাধে প্রকাশ্যে ফাঁসি হওয়া উচিত', বলেন তিনি৷

কয়েক বছর আগে পশ্চিমবঙ্গে ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের ঘটনার উল্লেখ করে তিনি বললেন, ''ধর্ষণকারীরা নেক্রোফেলিয়া নামে এক ভয়ঙ্কর মানসিক রোগী৷'' এছাড়া, ''আইনে যে সব ধারা আছে সেগুলিকে যথার্থ কার্যকর করে তুলতে হবে৷ ধর্ষণের অভিযোগ ধর্ষিতা মহিলাকে নানা রকম চাপ দিয়ে যেন তুলে নেয়া না হয়৷ আইনের জায়গাগুলোকে আরো বেশি করে তুলে ধরতে হবে৷''

নিজেকে বাঁচাতে মহিলাদের সাবধানতার বিষয়ে মহিলা কমিশনের প্রধান জানান, ''কেন একজন মহিলা রাত হলেই বাইরে বের হতে পারবে না? সমাজ কী তাহলে একটা জঙ্গল? এ বিষয়ে মহিলাদের চেয়ে পুরুষদের বেশি সোচ্চার হওয়া দরকার৷''


নারীদের অধিকার আদায় করা, নারী নির্যাতন বন্ধ করা সমাজের সবার মানসিকতা না বদলানো পর্যন্ত প্রায় অসম্ভব৷ আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিবাদ পক্ষ পালনের সময়ে বেশ হতাশা নিয়েই কথা বলতে হলো নারীনেত্রী শিরিন হককে৷

১৯৬০ সালের ২৫শে নভেম্বর ডোমিনিকান রিপাবলিকে বর্বরোচিত এক নির্যাতনে তিনজন নারী মারা যান৷ তাঁদের স্মরণ করে ১৯৮১ সালে ২৫শে নভেম্বরকে নারী নির্যাতন বিরোধী দিবস ঘোষণা করা হয়৷ এরপর ১৯৯৩ সালে আসে আরেক ঘোষণা৷ সেবার ২৫শে নভেম্বর থেকে ১০ই ডিসেম্বর – এ সময়টাকে করা হয় 'আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিবাদ পক্ষ'৷ ২৫শে নভেম্বর তখন থেকে 'আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস'৷

বাংলাদেশে 'আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিবাদ পক্ষ' প্রথম উদযাপন করা  হয় ১৯৯৭ সালে৷ শুরু করেছিল বেসরকারি সংস্থা নারীপক্ষ৷ এবারও বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে নারী নির্যাতন বন্ধ করার, নারী-পুরুষ সবার মাঝে নারী অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে৷ এ নিয়েই কথা হলো শিরিন হকের সঙ্গে৷ প্রশ্ন ছিল, আর দশটা সংস্থার মতো নারীপক্ষও কেন এবার প্রায় সব কর্মসূচী রাজধানীতেই সীমাবদ্ধ রাখলো? জবাবে বাংলাদেশের সুপরিচিত এই নারীনেত্রী জানিয়েছেন, এ বছর বিশেষ কারণে ঢাকার বাইরে শুধু বরিশাল বিভাগে কর্মসূচি পালন করলেও বরাবর দেশজুড়েই করা হয়৷

সাক্ষাৎকারটি শুনতে ক্লিক করুন এখানে

এমন কর্মসূচির কার্যকারিতা সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হয়েছিল৷ জবাবে বাস্তবতাকে এড়িয়ে যাননি শিরিন হক৷ নারীর অধিকার আদায় যে খুব কঠিন এক লড়াই, এ লড়াই যে শুধু পুরুষের বিপক্ষে নয়, অনেক ক্ষেত্রে নারীও যে নারীর প্রতিপক্ষ আর তাই লড়াইটা যে মূলত সমাজের গভীরে প্রোথিত একটা মানসিকতার বিরুদ্ধে, সেটাও স্বীকার করলেন অসহায়ভাবে৷

তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে আসা শিরিন হক হতাশা এবং অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন আরেকটি প্রশ্নেও৷ গৃহকর্মীদের ওপর নানা ধরনের নির্যাতন, এমনকি হত্যাও বাংলাদেশে অনেকদিন ধরেই প্রায় নিয়মিত ঘটনা৷ তাঁদের জন্য কি 'নারীপক্ষ' আলাদাভাবে কিছু করছে? উত্তর ছিল 'না'৷ সরাসরি শুধু গৃহকর্মীদের জন্য কিছু করতে না পারায় হতাশা প্রকাশ করার পাশাপাশি শিরিন হক অবশ্য এ কথাও জানিয়েছেন যে, একটি সংস্থা গৃহকর্মীদের হয়ে কাজ করছে এবং নারীপক্ষ সবসময়ই তাঁদের প্রয়োজনমতো সাহায্য-সহযোগিতা করে থাকে৷

সমাজের প্রায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাওয়া কোনো মানসিকতাকে বদলে দেয়া খুব কঠিন এবং তা পারা যায়নি বলে অনেক না পারার কথা হতাশা নিয়ে শিরিন হক স্বীকার করলেও নারীপক্ষ যে তিন দশকে কিছুই অর্জন করেনি তা কিন্তু নয়৷ পত্র-পত্রিকায় যে এখন নারী বিষয়ক, বিশেষ করে নারী নির্যাতন এবং ধর্ষণের খবরে বিশেষ কিছু নিয়ম মানা হয় সেটা কিন্তু নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনেরই অর্জন৷ ডয়চে ভেলেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তেমন কিছু সাফল্যের কথাও বলেছেন শিরীন হক৷


দিল্লির গণধর্ষণ নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে গোটা দেশ জুড়ে। প্রতিবাদে সামিল হয়েছে বলিউডও। সংবাদমাধ্যম, টুইটার, ফেসবুকের মাধ্যমে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান, করিনা কপুররা। 

বুধবার সকালে পরপর তিনটি টুইটে শাহরুখ লিখেছেন, "আমরা এই নৃশংস ঘটনাটাকে কখনই একা দায়ী করতে পারি না। সারা বিশ্বেই পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এর জন্য আমরাই দায়ী। আমরা যদি সঠিক সময় দোষীদের শাস্তি দিতে না পারি তাহলে আমাদেরই শাস্তি পাওয়া উচিত। খুব তাড়াতাড়ি। এই ধরণের অমানবিক অপরাধ আমাদের ঘরে পৌঁছনোর আগেই"। 
শাহরুখের মতোই একাধিক টুইট করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অমিতাভ বচ্চনও। পরপর সাতটি টুইটে অমিতাভ লিখেছেন, আমি অনেক কিছুই বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে সত্যিই খুব বিবৃত। এটা একটা ক্ষমাহীন অপরাধ। এইসব ইস্যু নিয়ে যদি মুখ খুলি তাহলে সবাই বলে শুধু বলে কী হবে? কাজে কিছুই হয় না। আর কিছু না বললে বলা হয়, আপনি কখনই কিছু বলেন না। বিচারব্যবস্থা, আইনকানুন সবকিছুর অবনতি হচ্ছে। আমাদের আগের প্রজন্ম নিশ্চয়ই এই স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেনি। ধর্ষণের বিচার না হলে অনেক কথা আলোচনা হবে। শাস্তির ক্ষেত্রে কঠোর হতে হবে। দুর্গা, কালী, লক্ষ্মী সবাই দেবী। আমরা তাদের আরাধনা করি। শ্রদ্ধা করি। মহিলাদের শ্রদ্ধা করা উচিত। জনসমক্ষে আমি এই ঘটনা নিয়ে আলোচনা করতে চাই না। পশুরাও এরকম আচরণ করবে না। অনেক হয়েছে! আমি আর কিছু বলতে পারছি না। 

আটান্ন তম ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডের ঘোষণা উপলক্ষে বুধবার দিল্লিতে গিয়েছিলেন করিনা কপুর। গণধর্ষণ প্রসঙ্গে করিনা বলেন, "যা হয়েছে সেটা কখনই হওয়া উচিত ছিল না। আমাদের দেশে সব ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর আমরা সচেতন হই। আমাদের দেশে বিচার পাওয়া সত্যিই সময় সাপেক্ষ। দেশের আইন নতুন করে তৈরি হোক। বিচার তাড়াতাড়ি হওয়া প্রয়োজন। আমি আজই পড়লাম অন্তত চল্লিশটা ধর্ষণের ঘটনা এখনও বিচারের অপেক্ষায় রয়েছে। একজন মহিলার রাতে একা বেরনো উচিত নয় বলে দিলেই সমস্যার সমাধান হবে না। একজন আধুনিক মহিলা হিসেবে আমি কখনই সেটা সমর্থন করি না। আমি লেটনাইট পার্টি পছন্দ করি। দিল্লির মতো বড় শহরে এরকম ঘটনা সত্যিই লজ্জাজনক। আমাদের দেশের ছোট শহরে এরকম অনেক ঘটনাই ঘটে যা আমরা জানতেও পারি না। 

অমিতাভ, শাহরুখ, করিনার পাশাপাশি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সলমন খান, ফারহান আখতার ও সানিয়ে মির্জাও। 


নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে তরুণদের সচেতন করতে শুরু হচ্ছে 'ব্রেভ ম্যান ক্যাম্পেন'৷ এই প্রচারণার উদ্যোক্তা জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, তবে মূল পরিকল্পনাকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. শাইখ ইমতিয়াজ৷

ইমতিয়াজ বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে একটি বড় সমস্যা৷ এই ধরনের ঘটনায় জড়িত থাকে অল্প কজন পুরুষ৷ কিন্তু বাকিরা এটা প্রতিরোধে এগিয়ে আসেনা৷ তিনি বলেন, এই এগিয়ে না আসার কারণ হচ্ছে, অধিকাংশ পুরুষ এটাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন না৷ এই না ভাবাটা একধরণের কাপুরুষতা বলে মনে করেন ইমতিয়াজ৷ তাঁর মতে, যারা নারী নির্যাতন প্রতিরোধে এগিয়ে আসে তারা প্রকৃত সাহসী৷ এই ক্যাম্পেনের মাধ্যমে প্রকৃত সাহসী হয়ে ওঠার জন্য তরুণদের প্রতি আহ্বান জানানো হবে৷

সাক্ষাৎকারটি শুনতে ক্লিক করুন এখানে

এ লক্ষ্যে ফেসবুকে একটা গ্রুপ তৈরি করেবিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের তরুণদের সংগঠিত করা হচ্ছে বলে জানান ইমতিয়াজ৷ এছাড়া ঢাকার ১১টি স্কুল বাছাই করা হয়েছে৷ সেখানকার অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রথমে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে৷ এবং তাদেরকে নারী নির্যাতনের বিভিন্ন ধরণ সম্পর্কে জানানো হবে৷ যেমন কোনো একজন মা হয়তো সারা জীবন ধরে সারাদিন ঘরে কাজ করে যাচ্ছেন৷ কিন্তু তাঁকে তাঁর কাজে সাহায্য করা হচ্ছে না৷ এমনকি তাঁকে কোনো স্বীকৃতিও দেয়া হচ্ছে না৷ এটাও এক ধরণের নির্যাতন বলে মনে করেন ইমতিয়াজ৷

তিনি বলেন, এভাবে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন নির্যাতন সম্পর্কে ধারণা দিয়ে সেগুলো কীভাবে প্রতিরোধ করা যায় তা জানতে চাওয়া হবে৷ তাদের দেয়া পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে সেরা নির্বাচন করা হবে৷ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে 'ব্রেভ ম্যান ক্যাম্পেন'-এর শোভাযাত্রা বের করার মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে এই প্রচারণা৷

ইমতিয়াজ জানান, ভবিষ্যতে ঢাকার বাইরের স্কুলগুলোকেও এই প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের৷

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পাশাপাশি এই ক্যাম্পেনের সহযোগিতা করছে ইউএনডিপি, সুইস কনফেডারেশন, সুইডেন এবং ডেনিডা৷ আর বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে সেন্টার ফর মেন অ্যান্ড ম্যাসকুলিনিটিস, সিএমএমসি এবং ইউনাইটেড নেশনস ইয়ুথ অ্যান্ড স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ, ইউএনওয়াইএসএবি৷

DW.DE








দিল্লিতে 'লজ্জা'র,বাংলায় 'সাজানো'
ব্যুরো রিপোর্ট,এবিপি আনন্দ

Saturday, 22 December 2012 

দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ডকে ধিক্কার জানাচ্ছে গোটা দেশ৷ দিল্লি পুলিশ ৬ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলেও রাজধানীতে মহিলাদের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে৷ এই পরিস্থিতিতে, শীলা দীক্ষিতও স্বীকার করেছেন, দিল্লি সত্যিই নিরাপদ নয়৷ বলেছেন, ওই মেয়েটির সামনে গিয়ে দাঁড়ানোর তাঁর সাহস নেই৷ কিছু করতে না পারায় তিনি লজ্জিত৷ বছর শেষে দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ডকে কেন্দ্র করে রাজপথে রাজধানী৷ আঁচ পড়েছে দেশজুড়ে৷ বছরের শুরুতে কলকাতাও দেখেছে পার্কস্ট্রিট গণধর্ষণকাণ্ড৷ ফেব্রুয়ারির রাতের শহরে গাড়িতে তুলে মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয়৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় অবশ্য দাবি করেন,  'পুরো ঘটনাটাই সাজানো৷ সরকারকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা৷ তদন্তে সব বেরিয়ে আসবে৷' পার্ক স্ট্রিটকাণ্ডের পর কাটোয়া৷ ফের ধর্ষণের অভিযোগকে সাজানো আখ্যা দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এবার তিনি দাবি করেন, তাঁর দাবি, মেডিক্যাল রিপোর্টে ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি৷ সবটাই সিপিএমের সাজানো৷


মুখ্যমন্ত্রী যতই ধর্ষণের ঘটনাকে সাজানো অভিযোগ বলে দাবি করুন না কেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ জাতীয় ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর ২০১১-র হিসেব বলছে, ধর্ষণে দেশের মধ্যে দু'নম্বরে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ৷ ২০১১ সালে রাজ্যে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছে ২ হাজার তিনশো তেষট্টিটি৷ দেশের মধ্যে দ্বিতীয়৷ প্রথম মধ্যপ্রদেশ৷ সেখানে গত বছর ধর্ষণের অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে ৩ হাজার চারশো ছ'টি৷ 
ধর্ষণে দু'নম্বরে থাকলেও, জাতীয় ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর রেকর্ড বলছে নারী নির্যাতনে পশ্চিমবঙ্গ প্রথম৷ গোটা দেশে গত এক বছরে ২ লক্ষ ২৮ হাজার ৬৫০টি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে৷ এর মধ্যে শুধু পশ্চিমবঙ্গেই ঘটেছে ২৯ হাজার ১৩৩টি ঘটনা৷ সারা দেশের হিসেবে যা বারো দশমিক সাত শতাংশ।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক অবশ্য জানাচ্ছে, গত কয়েক বছর ধরেই ধর্ষণ, নারী নির্যাতনের ঘটনা গোটা দেশ জুড়েই বেড়েছে৷
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী যে ঘটনায় লজ্জিত, এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সে ধরণের ঘটনাকেই অবলীলায় সাজানো আখ্যা দেন৷ ওয়াকিবহাল মহলের ব্যাখ্যা, তাতে পরিসখ্যান ঢাকা পড়ে না, রাজ্যবাসীর মুখ ঢেকে যায় লজ্জায়৷ 

অপরাধের মুক্ত বাজার


কলকাতা, ১৭ অক্টোবর ২০১২

বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্ষণের প্রতিবাদ করিতেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্ষণের সংবাদের প্রতিবাদ করিয়া থাকেন। ইহা পুরাতন সংবাদ। নূতন চমক তাঁহার সমাজবীক্ষায়। আজকাল সমাজ যে পুরুষ-নারীর মেলামেশার প্রতি বড়ই উদার মনোভাব দেখাইতেছে, এমনকী পরস্পর হাত ধরিয়া ঘুরিলেও অভিভাবকরা তাহাদের কষিয়া বকিতেছেন না, এমন 'উন্মুক্ত' সমাজব্যবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী বড়ই বিরক্ত। তাঁহার ক্ষুব্ধ বক্তব্য, সমাজ যেন মুক্ত বাজারের ন্যায় সঙ্গী নির্বাচনের অবাধ স্বাধীনতা দিতেছে। প্রকাশ্য সভায় তাঁহার এই উক্তি স্পষ্ট করিয়া দিল, প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষকেও 'নাবালক' বলিয়া দেখিয়া তাহাদের উপর সামাজিক বিধিনিষেধের কঠোর নিয়ন্ত্রণ চাপানোয় তিনি বিশ্বাসী। যাহাদের রাজনৈতিক নির্বাচনের অধিকারের বলে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হইয়াছেন, তাহাদের প্রণয়সঙ্গী নিবার্চনের অধিকার দিতে তিনি রাজি নহেন। কিন্তু এহ বাহ্য। মুখ্যমন্ত্রী যে ব্যক্তির স্বাধীনতায় কত দূর আস্থাবান, তাহা তাঁহার মন্ত্রিসভার দিকে তাকাইলেই স্পষ্ট হয়। সে বিষয়ে আলোচনা নিষ্প্রয়োজন। কিন্তু সঙ্গী নির্বাচনের এবং নারী-পুরুষের খোলাখুলি মেলামেশার বিরুদ্ধে তাঁহার এই বক্তব্যকে লঘু ভাবে গ্রহণ করা চলে না এই কারণে যে, তিনি ধর্ষণের প্রসঙ্গে এই কথাটি বলিয়াছেন। পশ্চিমবঙ্গকে 'ধর্ষণভূমি' বলিয়া দেখানো হইতেছে, ইহাই তাঁহার ক্ষোভ। ইহার ফলে নারীর সঙ্গী নির্বাচনের স্বাধীনতার সহিত তাহার যৌন-নির্যাতনের একটি যোগসূত্র রচিত হইতেছে, যাহা পশ্চিমবঙ্গকে বসাইয়া দিয়াছে হরিয়ানার পাশে। কোনও তরুণীর সামাজিক স্বাধীনতাই তাহার সামাজিক বিপন্নতার কারণ, এমন ভয়ানক মন্তব্য কেহ প্রকাশ্য সভায় করিতে পারেন, তাহা সহসা বিশ্বাস হইতে চাহে না।
মমতা রাজ্যের রাজনীতি, কেন্দ্রীয় রাজনীতি রপ্ত করিয়াছেন। তিনি লিঙ্গ রাজনীতির মৌলিক কথাটুকু কি বুঝিতে পারেন নাই? মেয়েদের সুরক্ষার উপায় তাহাদের উপর নিয়ন্ত্রণ নহে, অপরাধীদের উপর নিয়ন্ত্রণ। মেয়েদের উপর অভিভাবকত্ব ফলাইলে তাহাদের আরও সমস্যায় ফেলা হয়, কারণ লক্ষ্মণরেখা পার হইবার দায় তাহাদের উপরেই স্বচ্ছন্দে চাপাইয়া দেওয়া যায়। মুখ্যমন্ত্রীর অনুগামীরা এ যাবৎ তাহাই করিয়াছেন। কেহ প্রশ্ন করিয়াছেন, ধর্ষিতা মহিলা অধিক রাতে কেন বাড়ির বাহিরে ছিলেন, কেহ বলিয়াছেন মেয়েরা কেন আধুনিক পোশাক পরিয়া বাহির হয়। যে সকল 'অভিভাবক' মেয়েদের পায়ে শিকল পরাইয়া তাহাদের 'সুরক্ষিত' রাখিতে চাহে, এক মহিলা মুখ্যমন্ত্রী তাহাদের নেতৃত্ব দিতেছেন, ইহা বড়ই আক্ষেপের বিষয়।
আশঙ্কার বিষয় এই যে, এই মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যটি নারীদের উপর অপরাধের সংখ্যায় সকল রাজ্যের শীর্ষে। ২০১১ সালে অপরাধ বিষয়ক জাতীয় পরিসংখ্যান অনুসারে, পশ্চিমবঙ্গে ২৯,১৩৩টি অপরাধ ঘটিয়াছে মহিলাদের উপর, যাহার মধ্যে রহিয়াছে ধর্ষণ, যৌন হয়রানি, পারিবারিক নির্যাতন, অপহরণ, প্রভৃতি। হরিয়ানা ও দিল্লি অপেক্ষাও পশ্চিমবঙ্গে ধর্ষণের সংখ্যা অধিক। যৌন হয়রানি এবং শ্লীলতাহানিতে এ রাজ্য জাতীয় হার অতিক্রম করিয়াছে। ইহা অকস্মাৎ ঘটে নাই, গত আট বৎসর ধরিয়াই পশ্চিমবঙ্গ মহিলাদের উপর অপরাধের শীর্ষে। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ নারী নির্যাতনকারীদেরই উন্মুক্ত বাজার। অপরাধীরা ঘরে বাহিরে ইচ্ছা মতো শিকার নির্বাচন করিতে পারে। রাজ্যে প্রায় অর্ধেক পরিবারে প্রাপ্তবয়স্ক হইবার পূর্বে মেয়েদের বিবাহ দেওয়া হয়, যাহাতে সে স্বয়ং সঙ্গী নির্বাচন করিতে না পারে। অথচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মেয়েদের সম্মুখে পুরুষসঙ্গীর 'মুক্ত বাজার' লইয়া উদ্বিগ্ন। মেয়েদের উপর অপরাধকে অধিক গুরুত্ব দিয়া দেখাইবার জন্য তিনি সংবাদমাধ্যমকে দোষারোপ করিয়াছেন। অথচ প্রয়োজন ছিল ঠিক বিপরীত। মেয়েদের প্রতি অপরাধের ঘটনাগুলিকে গুরুত্ব দিবার নির্দেশই তাঁহার কাছে প্রত্যাশিত ছিল। রাজ্যের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করিতে ধর্ষণের ঘটনাকে অন্তরালে রাখিতে হইবে, এই নিপাট পুরুষতান্ত্রিক দাবি করিতে কোনও পুরুষ মুখ্যমন্ত্রী হয়তো সাহস করিতেন না। মহিলা হইবার সুযোগ গ্রহণ করিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

আনন্দবাজার পত্রিকা

http://wwwww.anandabazar.com/content/%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC-273


ধর্ষণে অভিযুক্ত অন্তত ২০ জনকে ভোটের টিকিট, দাবি সমীক্ষায়



ধর্ষণে অভিযুক্ত অন্তত ২০ জনকে ভোটের টিকিট, দাবি সমীক্ষায়
নয়াদিল্লি: দিল্লিতে গণধর্ষণের প্রতিবাদে মুখর হয়েছে সবক'টি রাজনৈতিক দল। এমনকী সংসদ পর্যন্ত উত্তপ্ত হয়েছে। সমবেত কণ্ঠে এসেছে ধিক্কার এবং কঠোরতম সাজার দাবি। অথচ, অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমক্র্যাটিক রিফর্মস-এর (এডিআর) একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ধর্ষণে অভিযুক্ত অন্তত ২০ জন গত পাঁচ বছরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার টিকিট পেয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার এডিআর-এর রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়েছে। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা জগদীপ ছোকার বলছেন, '২০০৭ সাল থেকে রাজনৈতিক দলগুলি এমন অন্তত ২০ জন প্রার্থীকে টিকিট দিয়েছে, যাঁদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। এই তথ্যটি রীতিমতো দুশ্চিন্তার। অবিলম্বে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।' রাজনীতিকদের একহাত নিয়ে তিনি বলেছেন, 'আজ যে সব রাজনীতিকরা ধর্ষণের প্রতিবাদে গলা ফাটাচ্ছেন, তাঁদেরই অনেকে ধর্ষণে অভিযুক্তদের নির্বাচনে লড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। এটা দ্বিচারিতা।' 

রিপোর্টে দাবি, ধর্ষণে অভিযুক্ত তো বটেই, মহিলাদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি-সহ একাধিক অত্যাচারে অভিযুক্ত অন্তত ২৬০ জনকেও নির্বাচনের টিকিট দেওয়া হয়েছে। তবে অভিযুক্তদের মধ্যে শেষ পর্যন্ত কত জন দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, তা নিয়ে রিপোর্টে কিছু বলা হয়নি। ছোকারের সংযোজন, 'বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্তদের টিকিট দেওয়াই বন্ধ করে দেওয়া উচিত। যে সব রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের ক্ষমতা থেকে ছুড়ে ফেলা উচিত।'

'আমরা সুবিচার চাই' : ভারতে তরুণীকে গণধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড়

ঢাকা, ২১ ডিসেম্বর, এবিনিউজ : 'আমরা সুবিচার চাই' ধ্বনিতে তরুণী গণধর্ষণের প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়ল রাইসিনা হিলসে। আজ দিল্লীতে সফদর জং হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইরত ২৩ বছরের ধর্ষিতা তরুণীর ন্যায় বিচারের দাবিতে নজিরবিহীনভাবে কয়েক হাজার প্রতিবাদী মানুষের মিছিল রাষ্ট্রপতি ভবনের নিরাপত্তা বেষ্টনী পেরিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়ে। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাতেই এই পদক্ষেপ বলে জানায় মিছিলকারীরা। এদিকে দিল্লী গণধর্ষণের ঘটনায় আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ সকালে উত্তর প্রদেশের বেরিলি ও বরায়ু থেকে এদের আটক করা হয়। এদের মধ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে বরায়ুর রাজুকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দিল্লী পুলিশ কমিশনার নীরজ শর্মা।
গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি, ইয়ং উইমেনস ক্রিশ্চান অ্যাসোসিয়েশনসহ একাধিক সংগঠনের সমাজকর্মী, ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ মানুষ রাজপথ থেকে বিজয়চক হয়ে রাইসিনা হিলসে পৌঁছে। এর পর নিরাপত্তা বেষ্টনী পেরিয়ে প্রতিবাদী জনতার মিছিল রাষ্ট্রপতি ভবন, সাউথ ব্লক ও নর্থ ব্লকের দিকে এগিয়ে যায়। মহিলাদের জন্য নিরাপদ দিল্লী এবং ধর্ষিতার ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়ে স্লোগান দেয় তারা। ধর্ষণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও দাবি করেন তারা।
শুধু রাজধানী নয়, রবিবারের নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদের ঝড় ছড়িয়েছে সারা দেশেই। দিল্লীতে তরুণীর গণধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলেন কলকাতার প্রাতঃভ্রমণকারীরা। আজ ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এলাকায় কালো পতাকা নিয়ে মিছিল করেন প্রাতঃভ্রমণকারীরা। দিল্লী সরকারের সমালোচনায় স্লোগানও দেন তারা। সবশেষে ফুটপাথে মোমবাতি জ্বালিয়ে নির্যাতিত তরুণীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
প্রাতঃভ্রমণকারীদের দাবি, ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত বিচার শেষ করে অবিলম্বে শাস্তি দেয়া হোক। পাশাপাশি গোটা দেশে মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সরকারের উপযুক্ত ব্যবস্থারও দাবি জানিয়েছেন তারা। মধ্যপ্রদেশের ভুপালেও প্রতিবাদে অংশ নেন অসংখ্য মানুষ। উত্তরপ্রদেশের লখনৌ এবং বিহারের পাটনাতেও প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন অসংখ্য মানুষ।
রবিবার রাতে চলন্ত বাসের মধ্যে কলেজ-ছাত্রীকে ধর্ষণের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ৪ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। যাদের মধ্যে ছিল বাসচালক রাম সিংহ, রাম সিংহের ভাই মুকেশ, জিম ইনস্ট্রাকটর বিনয় শর্মা ও ফলবিক্রেতা পবন গুপ্ত। আরও দুই অভিযুক্ত অক্ষয় ও রাজুকে খুঁজতে বিহার, উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থানে চিরুনী তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। রাজুকে গ্রেফতার করা হলেও ষষ্ঠ জনের সঠিক পরিচয় এখনও জানা যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।

এবিএন/শুক্র-২য়/আন্তর্জাতিক/ডেস্ক/মুস্তাফিজ/রিপা

http://abnews24.com/newsdetails/4/28997



sophie-chaudhary--SSMM-120121220050549বিনোদন ডেস্ক: রাজধানী দিল্লিতে চলন্ত বাসে এক ছাত্রীর গণধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদ বিক্ষোভে সরব এখন সমগ্র ভারত। চরম নিন্দনীয় আর বিভৎস এ ঘটনায় ক্ষমতাসীন কংগ্রেস প্রধান সোনিয়া গান্ধী থেকে নিয়ে সরকারি-বেসরকারি সব পক্ষই এখন সোচ্চার। ধর্ষণকারী ৬ জনের মধ্যে বাস ড্রাইভারসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

তবে এ ঘটনায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ যেন থামছেই না। সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন জনবহুল শহরে ধর্ষণের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার ধারাবাহিকতায় দিল্লির এ ঘটনা দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে এক কাতারে নিয়ে এসেছে। কেউ বলছে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিতে। কেউ বলছে ওই মৃত্যুর পদ্ধতিকে দৃষ্টান্তমূলক এবং অধিক যন্ত্রণাদায়ক করতে। কারও মতে ধর্ষকদের শুলে চড়িয়ে দিতে, কেউ বলছে তাদের মৃত্যু পর্যন্ত জেলদণ্ড দিতে, কেউ বলছে প্রকাশ্যে পাথর ছুড়ে হত্যা করতে, আবার কারো মত হচ্ছে ধর্ষকদের নপুংসক করে দিতে।

অন্যদের সঙ্গে মুম্বাই ফিল্মের আইটেম গার্ল সোফি চৌধুরীও এ ব্যাপারে তার মত জানিয়েছেন। তিনি ধর্ষকদের নপুংসক করে দেওয়া ছাড়াও এখন থেকে পুরুষদের পরিধেয় প্যান্টে তালা-চাবি ব্যবস্থা চালু করার দাবিও করেছেন। অন্য সময়ে হলে একজন বিনোদনকর্মী নারীর এ ধরনের কথা হয়তো অনেকে হাল্কাভাবে নিতেন। কিন্তু দিল্লির ওই জঘন্য ঘটনা যা ভারত ছাড়াও বিশ্বের অন্যত্রও বিবেকবান মানুষকে আহত করেছে— তার সূত্রে সোফির এ বক্তব্যকে গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে ভারতের বিভিন্ন মিডিয়া।

হিন্দি অনলাইন পত্রিকা নবভারত টাইম্‌স-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে সোফি দেশের শাসকশ্রেণীসহ পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার ব্যাপক সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, মেয়েদেরকে সাবধানে সংযমী হয়ে চলাফেরা করতে বলা হয়। দিল্লির এ ঘটনায় ওইসব পরামর্শ দেনেওয়ালারা এখন কী বলবেন? কারণ এ ঘটনার শিকার মেয়েটি একা ছিল না। তার সঙ্গে তার বন্ধুও ছিল। সময়ও অনেক রাত হয়নি তখন। আর সবচেয়ে বড় কথা এ ঘটনা ঘটেছে পাবলিক বাসে। একজন মেয়ের পক্ষে এরচেয়ে সাবধান আর কীভাবে হতে পারে? তাহলে কি তাদেরকে ঘরের মধ্যে পিঞ্জিরা বন্দি হয়ে থাকতে হবে? তবে এভাবে থাকলেও কি কোনো গ্যারান্টি আছে যে মেযেরা নিরাপদ থাকবে?

সোফি বলেন, কেউ কেউ বলেন মেয়েরা উত্তেজক ক্ষুদ্র আকারের পোশাক পরে পুরুষদেরকে ধর্ষণে ইন্ধন দেয়। কিন্তু যেসব নারী আপাদমস্তক পর্দায় থঅকেন বা শিশুরা যখন ধর্ষণের শিকার হচ্ছে— এর জবাবে তারা কী বলবেন?

তিনি আরো বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে, যে দেশে মা দুর্গা, লক্ষী আর কালীর পূজা করা হয় সেই ভারতে পুরষদের মনে নারীদের জন্য কোনো সম্মানই নেই। বলা হয়ে থাকে, সব ভালো কাজের সূচনা হয় ঘর থেকে। কিন্তু এখানে জন্ম থেকেই ছেলে আর মেয়েতে ভেদাভেদ চর্চা শুরু হয়, মেয়েদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা হয়। এর ফলাফল তো খারাপ হবেই। এখন কি সে সময় আসেনি যে মেয়েরা কোন পোশাক পড়বে আর কোনটা পড়বে না, তা না শিখিয়ে পুরুষদের আচরণ বিষয়ে শিক্ষা দেয়া উচিৎ। কিংবা পুরুষদের প্যান্টে তালা লাগনোর প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। যদি দিল্লির ওই ঘটনার শিকার নিরপরাধ মেয়েটি বেঁচেও যায়, তাহলে কি সারাজীবন সে সেই ক্ষত নিয়ে স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে পারবে যেটা তার আত্মাকে ক্ষতবিক্ষত করেছে! ধর্ষণের মত অপরাধকে আমাদের খুনের মতই সিরিয়াসলি নিতে হবে। বাস্তব অর্থে ধর্ষণ তো একধরনের হত্যা'ই। এটা একটি মেয়ের শুধু শরীর'ই নয়, আত্মাকেও শেষ করে দেয়। আইনকে এখন বদলাতেই হবে। ধর্ষকদের শুলে চড়িযে দেওয়া উচি‍ৎ কিংবা এরচেয়েও বড় সাজা  হতে পারে ‍তার পুরুষত্বের চিহ্নই মিটিয়ে দেয়া যেতে পারে। তাকে নপুংসক করে দেওয়া উচিৎ। যদি এদেশের পুরুষরা নারীদের ইজ্জত করতে না শিখে তাদের মনে এ সংক্রান্ত আতংকই তৈরি করা হোক। দেশবাসী, এবার তো জাগবে তোমরা— যা-ই ঘটছে তা খুব লজ্জাজনক। আপনাদের 'ইন্ডিয়া শাইনিং' তার মঞ্জিল থেকে অনেক দূরে এখনো।

http://www.amaderlaksam.com/entertainment/2316-2012-12-20-13-17-52.html


দিল্লি কায়দায় আরেক গণধর্ষণ
শুক্রবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১২

মানবজমিন ডেস্ক: দিল্লিতে চলন্ত বাসে এক যুবতীকে গণধর্ষণের পর ভারতে যখন ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে ঠিক তখনই প্রায় একই রকম ঘটনা ঘটেছে উত্তর প্রদেশে। সেখানে মাও জেলায় একটি বাসস্ট্যান্ডে ৩৮ বছর বয়সী এক নারীকে ধর্ষণ করেছে তিন নরপিশাচ। মিডিয়ায় লেখালেখির কারণে দিল্লির ঘটনায় পুলিশ ত্বরিত পদক্ষেপ নিলেও উত্তর প্রদেশের ঘটনায় পুলিশ ধর্ষণের মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। উল্টো তারা একটি যৌন নির্যাতন, ইভটিজিং ও চুরির অভিযোগ নিবন্ধিত করেছে। ওদিকে দিল্লিতে যে প্যারামেডিকেল ছাত্রীকে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ করা হয়েছে তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। তার ওপর নির্যাতনের ঘটনায় ভারতের পার্লামেন্টে উত্তপ্ত বিতর্ক হয়েছে। একপর্যায়ে অধিবেশন স্থগিত করা হয়। নারী অধিকারবিষয়ক সংস্থাগুলো প্রতিবাদে রাজপথ উত্তপ্ত করে তুলেছে। মানবাধিকারবিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলো মুখ খুলেছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া। ওই যুবতীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাঁচ দিন আগে ভর্তি করা হয় সফদারগঞ্জ হাসপাতালে। গতকাল সেখানকার সিনিয়র চিকিৎসক বলেছেন, তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল। তার চেতনা আছে। সাড়া দিচ্ছেন। যন্ত্রের সাহায্য ছাড়াই তিনি নিঃশ্বাস নিচ্ছেন। বুধবার এক রিপোর্টে জানানো হয়েছিল- ওই ধর্ষিতার প্রজনন তন্ত্রে মারাত্মক ক্ষত হয়েছে। এ জন্য তার পাঁচ বার অপারেশন করাতে হতে পারে। রোববার রাতে তাকে ভর্তি করার পর এরই মধ্যে দু'বার তার অপারেশন করা হয়েছে। তার ওপর নির্যাতন চালানোর জন্য পুলিশ ৬ জনকে সন্দেহ করছে। তার মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে দু'জন তাদের দোষ স্বীকার করেছে। তারা বলেছে- যে অপরাধ করেছে তাতে তাদের ফাঁসি হওয়া উচিত। দিল্লির এ ঘটনার পর মঙ্গলবার রাতে উত্তর প্রদেশের মাও জেলায় ঘটে গেছে আরেক ধর্ষণের ঘটনা। ওই রাতে ৩৮ বছর বয়সী এক নারী তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে আজমগড় জেলা থেকে বিন্দ্যাচল যাচ্ছিলেন। কিন্তু পথে প্রতিবেশী ঝংকু রাম, প্রেম চাঁদ ও তিলাকধারী তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। ওই ধর্ষিতার সঙ্গে তারাও মাওগামী একই বাসে উঠে। মাও থেকে তাদের বিন্দাচলের ট্রেন ধরার কথা ছিল। সেখানে পৌঁছার পর পরই ওই নারীর পরিবারের লোকেরা রেলস্টেশনে যায় টিকিট করতে। এ সময় ওই নারী বাসস্ট্যান্ডের ওয়েটিং রুমে অবস্থান করছিলেন সঙ্গে ব্যাগ ও জিনিসপত্র দেখাশোনার জন্য। এ পরিস্থিতির সুযোগ নেয় ওই তিন প্রতিবেশী। তারা মিলে ওই নারীর মুখে কাপড় গুঁজে দিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ধর্ষিতা অচেতন হয়ে পড়লে তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ওই নারীর স্বজনরা সেখানে ফিরে এসে এ পরিস্থিতি দেখে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ধর্ষিতাকে ও তার স্বজনদের থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু তারা গণধর্ষণের মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। সাংবাদিকরা থানায় হাজির হলে পুলিশ একটি যৌন নির্যাতনের অভিযোগ নেয়। এ সময় তারা দাবি করে, ওই নারী গণধর্ষণের কোন অভিযোগ দেয়নি। ওদিকে দিল্লির গণধর্ষণের প্রতিবাদে ও নারীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজ্যে অপরাধ বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। লক্ষ্নৌতে অল ইন্ডিয়া ডেমোক্রেটিক ওমেন্স এসোসিয়েশন বিক্ষোভ করেছে। তারা ধর্ষণের ঘটনায় দ্রুত বিচার দাবি করেছেন। নারী নেত্রীরা আশিয়ানা ধর্ষণ ঘটনাও তুলে ধরেন। আশিয়ানা ধর্ষণের ঘটনার ৭ বছর পরও এর মূল আসামির বিরুদ্ধে এখনও বিচার শুরু হয় নি। ওদিকে আরও বিক্ষোভ হয়েছে কানপুর, বারানসি, মিরাট ও গাজিয়াবাদে। বুধবার ২৪ ঘণ্টায় গণধর্ষণের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে রায়বেরেলি, রামপুর, ছোনভাদ্রা ও ফারুকাবাদে।

http://www.mzamin.com/details.php?nid=MzUxOTQ=&ty=MA==&s=MjE=&c=MQ==


দিল্লির পর এবার দার্জিলিংয়ে গণধর্ষণ


টাইমস্ আই বেঙ্গলী ডটকম, দার্জিলিং থেকে: দুই দিনের ব্যবধানে ফের গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ভারতে। তবে এবার দিল্লি নয়, দার্জিলিং। ফের এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। তবে এখানেই শেষ নয়। ধর্ষণের পর তরুণীকে খুন করার জন্য, তার গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। সারা শরীরে পোড়ার ক্ষত নিয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লঙছেন তিনি।বাগডোগরা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। অভিযুক্তরা এখনও পলাতক।দিল্লিতে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের ঘটনায় সরগরম সারাদেশ। তার মধ্যেই ফের গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল পশ্চিমবঙ্গে। শিলিগুড়ির কাছে বাগডোগরার একটি বস্তিতে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত ১৪ ডিসেম্বর  সন্ধে সাতটায় বাড় থেকে বেরিয়েছিলেন ওই তরুণী। কিন্তু তারপরই নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। পরের দিন অর্থাৎ ১৫ ডিসেম্বর বস্তিরই অন্য একটি ঘর থেকে লোকজন চিৎকার শুনতে পান। তারা গিয়ে দেখেন, নিখোঁজ হয়ে যাওয়া তরুণী দাউদাউ করে জ্বলছেন। কোনও মতে উদ্ধার করে তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই তরুণীর শরীরের বেশিরভাগ অংশই পুড়ে গিয়েছে। হাসপাতালে শুয়ে এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। যে বাড় থেকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তরুণীকে উদ্ধার করা হয়, সেই বাড়িটি তার নিজের বাড়ি থেকে কয়েকটি বাড়ি পরেই।তরুণী অভিযোগ জানিয়েছেন, ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় এক যুবক তাকে জোর করে একটি ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে মাদক জাতীয় কিছু খাইয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়।ভোরে জ্ঞান ফেরার পর তরুণী পালানোর চেষ্টা করেন।
কিন্তু যুবকটি তা দেখে ফেলে এবং তরুণীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। এই ঘটনায় বাগডোগরা থানায় গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।হাসপাতালের চিকিৎসক এবং পুলিশ ক্যামেরার সামনে কেউই মুখ খুলতে চাননি। কিন্তু সূত্রের খবর, তরুণীর মেডিক্যাল রিপোর্টে চারজন মিলে ধর্ষণের কথা বলা হয়েছে। যদিও তরুণী নিজে একজন যুবকের কথাই বলেছেন। মাদক খাইয়ে অচৈতন্য করে দেওয়ার কারণেই, ঘটনার সময় একাধিক লোকের উপস্থিতি তিনি টের পাননি বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। অভিযুক্ত যুবক কয়েকদিন আগেই ওই বস্তিতে আশ্রয় নেয়। তারপর থেকে ওখানেই বসবাস করছিল সে। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক। তার সন্ধানে তল্লাসি চালাচ্ছে পুলিশ।

http://www.timesibengali.com/index.php/%E0%A6%9A%E0%A6%B2%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6/%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0-%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A6%A3%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%A3.html


ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১২ তে ১০:৪১ পিএম

কলকাতায় এঙ্গলো ইন্ডিয়ান তরুনীকে গণধর্ষণ, পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন


rape2

দীপক রায়, ভারত প্রতিনিধি: এক ভয়ংকর ঘটনায় তোলপাড় হয়ে গিয়েছে বাংলার কল্লোলিনী কলকাতা। গত ৫ ই ফেব্রুয়ারী রাতে নাইট ক্লাব থেকে গাড়িতে ফেরার পথে এক এঙ্গলো ইন্ডিয়ান তরুনীকে পাঁচজন মিলে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। ওই মহিলা আরো অভিযোগ করেছেন, বাধা দিতে গেলে মুখে রিভলভার ঢুকিয়ে খুনের হুমকি দেয় ধর্ষণকারী পাঁচ যুবক। ঘটনার পর প্রথমে দুদিন আতংকে থাকলেও ৮ ই ফেব্রুয়ারী তিনি পাক স্ট্রীট থানায় অপরাধীদের ছবিসহ অভিযোগ দায়ের করেন।কিন্তু পুলিশ কিছু করেনি। এরপরে তার পরেরদিন একটি ডায়েরী নেয়। দুদিন আগে তার ডাক্তারী পরীক্ষা করা হয়। থানায় ছবি দিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা সত্ত্বেও অপরাধীরা ধরা না পড়ায় ধর্ষিতার পরিবারের লোকজন থানায় এ ব্যাপারে জানাতে গেলে গতকাল ভ্যালেন্টাইন্স ডে তে নাইট ক্লাবে যাবার জন্য কুপ্রস্তাব দেয় পুলিশ। শহরে এ ধরনের ঘটনা এবং তাতে পুলিশের ভূমিকায় কলকাতার বিশিষ্টজনেরা ক্ষুব্ধ। আজ প্রচারমাধ্যম নড়ে চড়ে বসলে এবং কংগ্রেস কমীরা থানা ঘেরাও করলে পুলিশ ২ জনকে আটক করেছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী এই ঘটনাকে প্রচারমাধ্যমের বাড়াবাড়ি বলে মন্তব্য করেছেন।

ঘটনায় প্রকাশ, মধ্যরাতে পার্ক স্ট্রিটের এক নাইটক্লাবে কয়েকজন যুবকের সঙ্গে আলাপ হয় ওই মহিলার। ফেরার পথে তাঁকে গাড়িতে লিফটের প্রস্তাব দেয় ওই পাঁচ যুবক। পথে গাড়িতে তারা গণধর্ষণ করে ও সঙ্গে চলে মারধর ও অশ্রাব্য গালিগালাজ। অসহায় অবস্থায় চিত্‍কার করে সাহায্য চাইতে গেলে মুখে রিভলভার ঢুকিয়ে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়। শেষে প্রায় বিবস্ত্র অবস্থায় মহিলাকে গাড়ি থেকে ছুড়ে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। ওই ঘটনার পর প্রায় দশদিন পার হলেও, থানায় ছবি ও নাম দিয়ে এফআইআর করা সত্ত্বেও পুলিশ এখনও নির্বিকার বলে অভিযোগ। সুবিচারের আশায় প্রকাশ্যে এলেও অভিযোগ জানাতে গিয়ে খোদ আইনের রক্ষকদের কাছ থেকেই কটূক্তি আর কুপ্রস্তাব মিলেছে বলে অভিযোগ করেছেন ধর্ষিতা মহিলার বাড়ির লোকেরা। এমনকী ধর্ষণের অভিযোগের ক্ষেত্রে ডাক্তারি পরীক্ষার ওপর সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হলেও অভিযোগ পাওয়ার সাতদিনের মাথায় সেই পরীক্ষা হয়েছে গতকাল।

আরো অভিযোগ, ৮ ফেব্রুয়ারি তিনি থানায় অভিযোগ জানালেও তাঁর হাতে এফআইআরের কোনও কপি দেয়নি পুলিস। শুধু তাই নয়, এফআইআর দায়ের করার ৬ দিন পর গতকাল ১৪ ফেব্রুয়ারি তিনি এফআইআর-এর কপি হাতে পান বলেও জানিয়েছেন তিনি। ধর্ষিতার আরও অভিযোগ, অভিযুক্তদের পরিচয় এবং গাড়িটির নম্বর পুলিসকে জানানো সত্ত্বেও পুলিস কোনও রকম ব্যবস্থা নেয়নি । এমনকী ঘটনার পর দিতে চাইলেও সংগ্রহ করা হয়নি তাঁর পোশাক। ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, আইনজীবীরাও ধর্ষিতাকে এমন কোনও মন্তব্য করতে পারেন না, যাতে ধর্ষিতাকে লজ্জিত হতে হয়। সেখানে পুলিসের বিরুদ্ধে এহেন আচরণের অভিযোগে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে পুলিসের ভূমিকা নিয়েই।

এই ঘটনার পরে আজ একটি চ্যানেলে হাজির হয়ে অভিযোকারী ঐ মহিলা সব ঘটনা খুলে বলেন। এইরকম সাহসী শিক্ষিতা একজন মহিলা সব প্রমান দাখিল করলেও, যেহেতু অপরাধীরা সমাজের ধনী মানুষ, তাই পুলিশ কোন ব্যাবস্থা নেয়নি বলে মনে করছেন অনেকেই। কয়েকমাস ধরেই সারা রাজ্যে ঘটছে শিশুমৃত্যু, কৃষকের আত্মহত্যা, শিক্ষাঙ্গনে হামলা, ব্যাবসায়ী খুন, ডাকাতির মতো ঘটনা। ধষনের ঘটনা এর সাথে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তাই ক্ষুব্ধ ও শঙ্কিত কলকাতা তথা রাজ্যবাসী।

http://bd24live.com/4/%E0%A6%95%E0%A6%B2%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%8F%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%B2%E0%A7%8B-%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8/#.UNXQX-S-pA0

দুর্গাপুর সিটি সেন্টারে গণধর্ষণ

Author: 
 বাংলাবাজার ব্যুরো

দুর্গাপুর, ১০ সেপ্টেম্বর দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের মতো অভিজাত এলাকায় এক মহিলাকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল৷ রবিবার রাতে স্বামীর সঙ্গে বাড়ি ফেরার সময় মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে একদল যুবক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ৷

পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার স্বামী রাতে সিটি সেন্টারে অফিস ফেরতা স্ত্রীকে আনতে গিয়েছিলেন৷ কোনও কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা হয়৷ এসময় স্বামীর গাড়ি থেকে রাস্তায় নেমে এগিয়ে যাচ্ছিলেন মহিলা৷ অভিযোগ, সেই সময় তাঁকে চারদিক থেকে এসে ঘিরে ধরে চার-পাঁচজনের দুষ্কৃতী দল। মহিলার স্বামী তাদের বাধা দিতে গেলে তাঁকে মারধর করে দুষ্কৃতীরা ওই মহিলাকে তুলে নিয়ে সিটি সেন্টার সংলগ্ন পিয়ালা কালীমন্দিরের পিছনের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। মহিলার স্বামী সিটি সেন্টার পুলিশ ফাঁড়িতে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ মহিলাকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে৷

http://www.banglabazar.co.in/node/2985



ধর্ষণ নগরী নয়াদিল্লি।। হায়রে ভারত! আর কত নিজেদের কুত্তামি লুকাইয়া রাখবি!?

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৩১ |

শেয়ারঃ
00

ঘটনা-১
এবার রেহাই পেলো না তিন বছরের শিশুও

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ঢাকা: পাবলিক ট্রান্সপোর্টে ভ্রমণরত ২৩ বছর বয়সী ডেন্টাল ছাত্রীর গণধর্ষণের শিকার হওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে। এবার নরপশুর লালসার শিকার হলো তিন বছরের এক অবুঝ শিশু।
জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা ওই ডেন্টাল ছাত্রীর ধর্ষণের প্রতিবাদে যখন পুরো ভারত উত্তাল তখন দিল্লিতে আবারও একই ধরণের ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন রাজধানীর নারীরা।
সোমবার পশ্চিম দিল্লির সাগরপুরা এলাকার একটি বিদ্যালয়ে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়। ধর্ষণকারী আর কেউ নয় ওই স্কুলেরই মালিকের লম্পট স্বামী বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।

ঘটনা-২
আগুনে ঘৃতাহুতি!
দিল্লিতে এবার বিদেশিনী ধর্ষিত

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
রাজধানী দিল্লিতে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের ঘটনায় সার্বজনীন প্রতিবাদ-বিক্ষোভে এখন বলা যায় অগ্নিগর্ভ সমগ্র ভারত। জনতার বিক্ষোভ প্রশমণে রীতিমত জটিল সময পার করছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীনরা। এরই মধ্যে আগুনে ঘৃতাহুতি দেওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে ফের খোদ দিল্লিতেই। এবার এক বিদেশি নারী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। হিন্দি অনলাইন সংবাদপত্র নবভারত শনিবার এ খবর দিয়ে জানিয়েছে, গত শুক্রবারের ওই ঘটনার শিকার নারী আফ্রিকার নাগরিক। ন্যাক্কারজনক এ ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ দিল্লির মালবয়ীয় নগরের হৌজরানী এলাকায়।
এদিকে, পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ২৫ বছর বয়সী ওই নারী দিনকয়েক আগে ভারত ভ্রমণে আসেন এবং দিল্লির মালবীয় নগরের হৌজরানী এলাকায় অবস্থান করছিলেন। ঘটনার দিন রাত সাড়ে দশটার দিকে তিনি তার ডেরায় ফিরছিলেন। এসময় দুই যুবক তাকে পাকড়াও করে এবং ধর্ষণ করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ধর্ষকদের কাউকে চিনতে পারেননি তিনি। এসময় আক্রান্ত নারীর আর্ত‍ৎচিকার ‍শুনে একজন পথিক ফোনে পুলিশকে খবর দেয়।

ঘটনা-৩
নির্মম!!!
মা আমি বাঁচতে চাই: দিল্লিতে গণধর্ষণের শিকার মেডিকেল ছাত্রী

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
দিল্লিতে গণধর্ষণের শিকার ২৩ বছর বয়সী মেডিকেল ছাত্রী বেঁচে থাকার আকুতি জানিয়েছে। হাসপাতালে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা ওই ছাত্রী ছোট্ট এক টুকরো কাগজে মায়ের কাছে লিখেছে ,"মা আমি বাঁচতে চাই।"
এদিকে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রীর অবস্থা এখনও সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বুধবার দিল্লির সফদরজাং হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার ক্ষতিগ্রস্ত অন্ত্রের ১৫ ইঞ্চি পরিমাণ অংশ কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে।
উপর্যুপরি র্ধষণের কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অন্ত্র বাদ না দেওয়া হলে সংক্রমণের কারণে তার জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বেঁচে থাকলেও ধর্ষণের শিকার ওই মেডিকেল ছাত্রী হয়ত আর কখনও স্বাভাবিক খাবার খেতে পারবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে সফদরজাং হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসক ড. বিডি অ্যাথানি জানান, "পাশবিক নির্যাতনে কারণে তার পরিপাকতন্ত্রের পুরোটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেঁচে থাকলেও তাকে সারা জীবন স্যালাইনের মাধ্যমে খাদ্য গ্রহণ করতে হবে।
রোববার মধ্যরাতে দক্ষিণ দিল্লিতে একজন বন্ধুর সঙ্গে সিনেমা দেখে বাড়ি ফেরার সময় গণধর্ষণের শিকার হতে হয় ওই মেডিকেল ছাত্রীকে।

http://www.somewhereinblog.net/blog/naturalman9/29734898



ধর্ষণ: রাজধানীর বিক্ষোভের দিনলিপি
ব্যুরো রিপোর্ট, এবিপি আনন্দ

Saturday, 22 December 2012 

নয়াদিল্লি: উই ওয়ান্ট জাস্টিস৷ এই স্লোগানে দিনভর মুখর রইল রাজধানীর রাজপথ৷ স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভ আছড়ে পড়ল রাইসিনা হিলসের সামনে৷ উত্তাল বিজয়চকও৷ পুলিশের লাঠিচার্জ৷ সন্ধেয় বিক্ষোভের আঁচ ছড়াল সংসদভবনের সামনেও৷ একদিকে ধিক্কার, স্লোগান, বিক্ষোভ৷ জবাবে পুলিশের লাঠি, কাঁদানে গ্যাস, জল কামান৷ 
ধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে ফুঁসছে রাজধানী৷ প্রতিবাদে মুখর গোটা দেশ৷ 
শুক্রবারই প্রতিবাদের রেশ পৌঁছেছিল রাইসিনা হিলসের গেটে৷ শনিবার সেই প্রতিবাদই ঢেউ হয়ে আছড়ে পড়ল রাজধানীর সবথেকে হাই প্রোফাইল জোনে৷ 



সকাল ৯
শুক্রবারের মত এদিনও ইন্ডিয়া গেটের সামনে হাজার হাজার মানুষের ভিড়৷ হাতে প্ল্যাকার্ড৷ মুখে স্লোগান৷

সকাল ৯.৩০
গন্তব্য রাইসিনা হিলস৷ নিরাপত্তার বেষ্টনি ভেঙে ইন্ডিয়া গেটের সামনে থেকে রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে এগোতে শুরু করল মানুষের ভিড়৷ দোষীদের ফাঁসির দাবি৷ আকাশ বাতাস জুড়ে একটাই স্লোগান, উই ওয়ান্ট জাস্টিস৷

সকাল ১০.৩০
বিজয়চকে ভিড়ের গতি আটকালো পুলিশ৷ ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা ক্ষুব্ধ জনতার৷ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে হাতাহাতি পুলিশের৷ 

সকাল ১১.১৫
ঘটনাস্থলে পৌঁছন দিল্লির পুলিশ কমিশনার নীরজ কুমার৷ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথাও বলেন৷ কিন্তু, আয়ত্তে এল না পরিস্থিতি৷

সকাল ১১.৩৫
বিক্ষোভকারীদের হঠাতে জলকামান আনল পুলিশ৷ শুরু লাঠিচার্জ৷ ছোড়া হল কাঁদানে গ্যাসও৷ পুলিশের লাঠির আঘাতে জখম ১৷ পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে বিক্ষোভকরীরা৷ বিক্ষোভকারীদের ছোড়া পাথরে আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীও৷ অবস্থা সামলাতে নামে র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স বাহিনী৷ 

বেলা ১২
ফের লাঠিচার্জ করে পুলিশ৷ আহত হন বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী৷

দুপুর ১
৫ জন বিক্ষোভকারীকে রাষ্ট্রপতি ভবনে ডেকে পাঠানো হয়৷ স্মারকলিপি দেন তাঁরা৷

বিকেল ৫
বিজয়চকে ফের আছড়ে পড়ল বিক্ষোভ৷

বিকেল ৫.৩০
সংসদ ভবনের বাইরে বিক্ষোভ৷ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে পুলিশের৷ পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে ক্ষুব্ধ জনতা৷ পাল্টা লাঠিচার্জ পুলিশের৷

বিকেল ৫.৩৭
ফের গর্জে উঠল সন্ধের রাজধানী৷

বিকেল ৫.৪০
বিজয়চকে ব্যাপক লাঠিচার্জ পুলিশের৷ বিক্ষোভকারীদের হঠানো হল রাজপথের দিকে৷ খালি করে দেওয়া হল বিজয়চক৷ 

দিল্লির সঙ্গে প্রতিবাদে মুখর কলকাতাও৷ বিজয়চকে লাঠিচার্জের প্রতিবাদে মোমবাতি মিছিল হল শিবপুরে৷

গণধর্ষণ: পুলিশকে ভর্তসনা আদালতের
ব্যুরো রিপোর্ট,এবিপি আনন্দ
Wednesday, 19 December 2012
নয়াদিল্লি: রাজধানীতে বাসে গণধর্ষণের ঘটনায় পুলিশকে তীব্র ভর্ত্‍‍সনা করল দিল্লি হাইকোর্ট৷ নির্যাতিত' হচ্ছেন মহিলারা।রাস্তায় বেরোতে ভয় পাচ্ছেন কী করছে পুলিশ?এ কোন রাজধানী? রাজধানীতে গণধর্ষণকাণ্ড নিয়ে কার্যত এই ভাষাতেই প্রশ্ন তুলল দিল্লি হাইকোর্ট৷ বুধবার স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে পুলিশকে ভর্ত্‍‍সনা করে আদালত৷ 
পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করে দিল্লি হাইকোর্ট বলে,
জনগণকে নিরাপত্তা দেওয়া রাজ্য ও পুলিশের দায়িত্ব৷ কিন্তু দিল্লিতে যা ঘটছে, তা থেকে বোঝা যায়, রাজধানীতে নারীরা সুরক্ষিত নন৷ মহিলারা রাস্তার বেরোতে ভয় পাচ্ছেন৷ কী করছে পুলিশ? এরকম চলতে থাকলে পুলিশের ওপর থেকে সাধারণ মানুষের আস্থা উঠে যাবে৷
ঘটনার দিন দিল্লির মুর্নিকার যে রাস্তা দিয়ে বাসটি গিয়েছিল৷ সেখানে টহলদারীর দায়িত্বে ছিল তিনটি পুলিশ ভ্যান৷ কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেনি পুলিশ৷ টহলদারীর দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে এখনও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? দিল্লি পুলিশের কাছে জানতে চায় হাইকোর্ট৷ 
পুলিশ জানিয়েছে, সব তথ্যপ্রমাণ হাতে এসেছে৷ ঘটনার তদন্ত চলছে৷ সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ ১ মাসের মধ্যে মামলার চার্জশিট পেশ করা হবে৷
তদন্ত যাতে কোনও ভাবে প্রভাবিত না হয়, সেজন্য এদিন দিল্লি পুলিশকে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট৷ তদন্তের রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়৷ এই মামলা দ্রুত শেষ করতে পাঁচটি স্পেশাল কোর্টে শুনানির আবেদন জানায় দিল্লি পুলিশ৷ দাবি মেনে নিয়েছে হাইকোর্ট৷ নিগৃহীতা ছাত্রীর চিকিত্‍সার সমস্ত দায়িত্ব নিতে দিল্লি সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷

গণধর্ষণ: কান্নায় ভেঙে পড়লেন জয়া
ব্যুরো রিপোর্ট,এবিপি আনন্দ

Tuesday, 18 December 2012

নয়াদিল্লি: রাজ্যসভায় আলোচনার মধ্যেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন জয়া বচ্চন। লোকসভায় সুষমা স্বরাজ দাবি জানালেন, ধর্ষণের সাজা হোক মৃত্যুদণ্ড! দিল্লিতে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সংসদের উভয় কক্ষেই এভাবে দলমতনির্বিশেষে তীব্র ক্ষোভ জানান সাংসদরা। প্রশ্নোত্তরপর্ব বাতিল করে রাজ্যসভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনার দাবি জানায় বিজেপি৷প্রধান বিরোধী দলের হই-হট্টগোলে কিছুক্ষণের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয় রাজ্যসভা৷ফের সভা শুরু হলে সদস্যদের ক্ষোভের মুখে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী রাজীব শুক্ল আশ্বাস দেন, গণধর্ষণের ঘটনাটি নিয়ে রাজ্যসভায় বিবৃতি দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিণ্ডে৷লোকসভাতেও অধিবেশনের শুরুতেই গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে সরব হন বিরোধী দলনেত্রী সুষমা স্বরাজ। তিনি দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান। কংগ্রেস সাংসদ গিরিজা ব্যাস দোষীদের দ্রুত বিচারের দাবি তোলেন। এদিকে, দিল্লিতে ক্রমবর্ধমান শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের ঘটনা প্রতিরোধে পুলিশের ব্যর্থতার প্রতিবাদে ছাত্রছাত্রীরা এদিন বসন্ত বিহার থানায় বিক্ষোভ দেখান।

 'শিরদাঁড়া দিয়ে ভয়ের হিমশীতল স্রোত' নামিয়ে দেওয়ার গতকালের নারকীয় ঘটনায়  সোমবার সন্ধ্যায়ই পুলিশ গ্রেফতার করে বাসের চালক রাম সিংহকে৷ মূল অভিযুক্ত রাম সিংহকে জেরা করেই পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ দুপুর পর্যন্ত আটক করা হয়েছে আরও চারজনকে৷  সূত্রের খবর, এরা ঘটনার পর রাজধানী  সংলগ্ন রাজ্যগুলিতে পালিয়ে গিয়েছিল। তাদের দিল্লিতে নিয়ে আসা হচ্ছে। বিকেলে তাদের সাকেত আদালতে পেশ করা হবে।  বাকি দুষ্কৃতীদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। যে বাসে তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছিল, সেটি ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ওই তরুণী  ও তার বন্ধুকে যে লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছিল, সেটিও উদ্ধার করা হয়েছে।  পুলিশ জানিয়েছে, বাসটির সিসিটিভির ফুটেজ গুরগাঁওয়ের একটি টোল প্লাজা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

অভিযোগ, রবিবার রাতে চলন্ত বাসে বন্ধুর সামনেই গণধর্ষণ করা হয় ওই ডাক্তারির ছাত্রীকে৷ এরপর ছাত্রী ও তাঁর বন্ধুকে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ৷ দু'জনকে মাহিপালপুর উড়ালপুলের কাছ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ৷ দু'জনকে প্রথমে এইমস ট্রমা সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়৷ পরে ছাত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় তাঁকে সফদরজঙ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়৷ চিকিত্‍সকরা জানিয়েছেন, ওই ছাত্রীর মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে৷ এছাড়া দেহের অন্যান্য জায়গাতেও আঘাত রয়েছে৷ ছাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে৷ তাঁকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে৷ তার বন্ধুকে অবশ্য চিকিত্সার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত এই ঘটনায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।


অভিনেত্রীর শ্লীলতাহানি: ফুঁসছে মণিপুর
ব্যুরো রিপোর্ট, এবিপি আনন্দ
Saturday, 22 December 2012 
ইম্ফল: শুধু নয়াদিল্লিই নয়, নারী নিগ্রহের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর গর্জে উঠেছে উত্তর পূর্ব ভারতেও। নাগা জঙ্গি গোষ্ঠী এনএসসিএন (আই এম)-এর এক ক্যাডারের হাতে প্রকাশ্যে মণিপুরি চলচ্চিত্র অভিনেত্রীর শ্লীলতাহানির বিরুদ্ধে ইম্ফলের রাস্তায় নেমেছে হাজার হাজার মানুষ। এখনও অধরা অভিযুক্ত জঙ্গির গ্রেফতারির দাবিতে তারা বিক্ষোভ দেখায় মোকাবিলায় পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে। পাল্টা মারমুখী মেজাজে ফুঁসে ওঠে বিক্ষুব্ধ জনতা। ইম্ফলের পূর্ব ও পশ্চিমের জেলাগুলি থেকেও বিক্ষোভের খবর এসেছে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, নানা জায়গায় টায়ার পুড়িয়ে রাস্তা অবরোধ করেছে স্থানীয় মানুষ। মণিপুর ফিল্ম ফোরাম জানিয়েছে, গত ১৮ ডিসেম্বর মণিপুরী অভিনেত্রী মোমোকা চান্ডেল জেলায় এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সেখানে জনসমক্ষে তাঁর শ্লীলতাহানি করে লিভিংস্টোন আনাল নামে এক স্বঘোষিত নাগা জঙ্গি। মোমোকাকে বাঁচাতে দুজন শিল্পী এগিয়ে গেলে তাঁদের লক্ষ্য করেও গুলি চালায় লিভিংস্টোন। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় তাঁরা কোনওক্রমে বেঁচে যান। এর প্রতিবাদে এবং লিভিংস্টোনের গ্রেফতারি চেয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য মণিপুর বনধের ডাক দেয় ফোরাম আজই তার শুরু হয়েছে। ফোরামের অভিযোগ, ওই নাগা জঙ্গির গ্রেফতারির জন্য কোনও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ করেননি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও অন্য নেতারা। তাই বাধ্য হয়ে তারা বনধের ডাক দিয়েছে। সমর্থন জানিয়েছে ইউনাই়টে়ড কমিটি মণিপুর, অল মণিপুর ইউনাইটে়ড ক্লাবস অর্গানাইজেশন। অনেক মহিলা সংগঠনও সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। দোকানপাট, বাজারহাট, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও সিনেমা হল বন্ধ ছিল। যানবাহনও চলাচল করেনি। স্তব্ধ হয়ে পড়ে স্বাভাবিক জনজীবন। তবে বনধ সমর্থকরাও অনেককে জোর করে বাড়ি থেকে বেরতে দেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।বনধ উপেক্ষা করে পথে নামা গাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোঁড়ে পুলিশের একটি ভ্যানও ভাঙচুর করে তারা।

দেড় লাখ নাও, থানায় যেও না, ধর্ষিতাকে পঞ্চায়েত
ব্যুরো রিপোর্ট, এবিপি আনন্দ
Friday, 21 December 2012 
মুজফফরনগর: দিল্লির বাসে গণধর্ষণের বিরুদ্ধে যখন নিন্দা-প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে, রাস্তায় নেমেছে মহিলা সংগঠনগুলি, রাষ্ট্রপতি ভবনের বাইরে বিক্ষোভ হয়েছে, তখন উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগরে টাকা দিয়ে ধর্ষিতার মুখ বন্ধ রাখার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, ১৫ বছরের এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে তিনদিন ধরে ধর্ষণ করে তার পাড়ার এক যুবক। সে কোনওমতে পালিয়ে বাড়ি ফিরে তার ওপর অত্যাচারের কথা জানায়। ন্যায় বিচারের আশায় মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা তাকে নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু সুবিচার পাওয়ার পরিবর্তে তাদের এমন কথা শুনতে হয় যা শুনবে বলে তারা ধারণাই করেনি।তাদের বলা হয়, থানায় যাওয়ার দরকার নেই। দেড় লাখ টাকা নাও, বাড়ি চলে যাও, থানায় যেও না! যদিও পঞ্চায়েতের ফতোয়া না মেনে মেয়েটি থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ধর্ষিতাকে ওই যুবক বিয়ে করলে অভিযোগ তুলে নিতে রাজি হয়েছে তার পরিবার।এখনও তারা আশা করছে, পঞ্চায়েত মেয়েটিকে সাহায্য করবে।আর দেশের রাজধানী থেকে ১৩০ কিমি দূরে পঞ্চায়েতের এই তালিবানি শাসনের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ কী করেছে? অভিযুক্ত যুবক গ্রেফতার হয়েছে, কিন্তু তালিবানি আচরণের জন্য পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে!

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালেয়র ছাত্রীকে গণধর্ষণ
ব্যুরো রিপোর্ট,এবিপি আনন্দ
Monday, 24 September 2012
নয়াদিল্লি: দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল৷ সেই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ২ জনকে৷ শুক্রবার দিল্লির বাইরে বাওয়ানা এলাকায় পানীয় খাইয়ে বেহুঁস করে ওই দুই ছাত্রীকে তিন জন যুবক মিলে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ৷ অভিযোগ পেয়ে রবিবার রাতে ভিকি ও অজিত নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ সুনীল নামে আরেক অভিযুক্ত যুবক পলাতক৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগকারিণীরা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রী৷ তাঁদের সঙ্গে কিছুদিন আগেই বন্ধুত্ব হয় ভিকি ও সুনীলের৷ অভিযোগ শুক্রবার রাতে তাঁদেরকে একটি বাড়িতে খাওয়া-দাওয়ার জন্য ডাকা হয়৷ এরপর তাঁদের পানীয় খাইয়ে আচ্ছন্ন করে সুনীলের গ্যারাজে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখানেই তাঁদের ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ৷

No comments:

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...