'সহজ ভাষায়, কাগজে-কলমে যতই কড়া হোক, আইনথাকবেআইনেরজায়গায়৷আরজলে-জঙ্গলে-খাদানে বড়োলগ্নিরতত্কালঅনুমোদনথাকবে আইনেরআওতারবাইরে৷'লিখছেনজয় মজুমদার
শুরুতে গল্পটা সংক্ষেপে বলা দরকার৷ উন্নয়নের গপ্পোও বলতে পারেন, বা জঙ্গল কেটে, জঙ্গলবাসীদের উত্খাত করে জল-জমি-আকর লুটের৷
এ গল্পের শুরু প্রায় দু'শো বছর আগে৷ সাঁওতাল বিদ্রোহেরই তো ১৫৮ বছর হবে এই ৩০ তারিখ৷ কিন্তু আমরা গল্পটায় ঢুকবো এই সময়৷ ধন্দটা কেটে যায়২০১১-রগোড়াতে৷ তার আগে প্রথমইউপিএসরকারেরআমলেইঅবশ্যশুরুহয়ে গিয়েছিল দেশ জুড়েজল-জঙ্গলেরচৌহদ্দিতেযত্রতত্রউন্নয়নপ্রকল্পেরহিড়িক৷কিন্তুঅনেকেইবিশ্বাসকরতেচাননিযেবন্যপ্রাণীসংরক্ষণআরঅরণ্যেরঅধিকারের মতো দু-দুটোমোক্ষম আইনসংসদেসংশোধনআর পাশ (২০০৬) করানোরপরেওএইসরকারসত্যিইখাদানআরকারখানারজন্যজঙ্গলচেঁছেফেলেআদিবাসীদের বেঘরকরতেচায়৷
তার উপর, ২০০৮-এ পরিবেশ মন্ত্রীর পদে এসে জয়রাম রমেশ সকাল-বিকেল 'আমি-তোমাদেরই-লোক'-মার্কা ধুন গেয়ে প্রকৃতিপ্রেমীদের মনেএক আষাঢ়ে আশা জাগিয়েছিলেন৷ তাই অধিকাংশেরইধারণা ছিল যেওইযেকোনও-মূল্যে-উন্নয়নেরতাগিদমূলতমনমোহনসরকারেরকিছুআগমার্কা'প্রগতি'শীলমন্ত্রীরমন্ত্রকপ্রসুত৷ এমন ভবিষ্যবাণীওশোনাগিয়েছিলযেসনিয়া'নব-সমাজবাদী'গান্ধীরএজলাসেতাদেরঅত্যুত্সাহেবালুকাপাত অনিবার্য৷
উন্নয়নের অজুহাত
কিন্তু বালি রইল মরীচিকাই৷ বদলে, গুড়ে মাছি এল ভনভনিয়ে৷ শুরুটা পরিবেশ মন্ত্রকেই৷ ছাড়পত্র পেল লাভাসা (মহারাষ্ট্র) আর পসকো (ওডিশা)৷সম্ভবতউপায় ছিল নাকারণযোজনাদপ্তরইতিমধ্যেইছাঁটতেশুরুকরেছিলপরিবেশমন্ত্রকেরআর্থিকবরাদ্দ৷ দুধ দিয়েকালসাপপোষা-জাতীয়মন্তব্যআমলামহলেনৈমত্তিক হয়ে ওঠারপররিজার্ভব্যাঙ্ক-ওজানুয়ারি২০১১-তেবিদেশিবিনিয়োগেএক-তৃতীয়াংশকমতিরজন্যআঙুলতুললএনভায়রনমেন্টালিজম-এরদিকেই৷বাকিছিলেনপ্রধানমন্ত্রী৷ফেব্রুয়ারি-তেতিনিওহুঁশিয়ারিদিলেনযেসবুজআইনেরবিবিধ বিধি-নিষেধনাকিপ্রাক-অর্থনৈতিকউদারীকরণযুগের'লাইসেন্স-পারমিট রাজ' ফিরিয়েআনবে৷
পসকো আর বেদান্ত-র মতো বিতর্কিত প্রোজেক্টকে বেআইনি ছাড়পত্র দেওয়ার চাপের পেছনে ছিল বিদেশি বিনিয়োগের অজুহাত৷ তার সঙ্গে এ বার যোগ হলজাতীয়নিরাপত্তারপ্রশ্ন৷বোঝানোহলকয়লারঅভাবেদেশেতাপবিদ্যুতেরআকাল৷জঙ্গলকেটেনতুনকয়লাখাদাননাখুঁড়লেশিল্পের ভরাডুবিআসন্ন৷
প্রধানমন্ত্রির দাবড়ানিতে অরণ্যের অধিকার আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পসকো-কে ওডিশায় কারখানার অনুমতি দিয়েই অকুতভয় রমেশ লেগেপড়েছিলেন তার বিনা-আস্ফালনে-নাহি-দিব-সুচ্যগ্র-জঙ্গলইমেজপুনরুদ্ধারে৷ তার পরিবেশমন্ত্রকসাড়ম্বরেঘোষণা করল যে কোন জঙ্গলকাটাযাবেআরকোনটাযাবেনা (go, no-go) তার হিসেব-নিকেশনাহওয়াপর্যন্তকোনওনতুনখাদানেরঅনুমতিমিলবে না৷ কয়েকমাসেরমধ্যেইকয়লামন্ত্রীশ্রীপ্রকাশজয়সওয়াল-এরসামনেপরিবেশমন্ত্রীকেতার কাটা-যাবে-নাতালিকাথেকেকেটেদিতেহল৮৫শতাংশজঙ্গল ৷
শুধু বিদেশি বিনিয়োগ আর বিদ্যুত্ নিরাপত্তাই নয়, ইতিমধ্যে রাষ্ট্রীয় রাজমার্গ নির্মাণযজ্ঞেও বাধা সাব্যস্ত হয়েছে সংরক্ষণ আর অরণ্যের অধিকারআইনগুলি৷ দেশেরদু-দশটাটিকেথাকানিরবচ্ছিন্নঅরণ্যপ্রসরকেহাইওয়েছুটিয়েফালাফালানাকরলেনাকিপ্রকল্পেরসুবিধা ও সাশ্রয়কোনওটাই সম্ভব নয়৷সবমিলে২০১২নাগাদঅবস্থাপৌঁছে যায় এমন পর্যায়েযেজাতীয়অর্থনীতিরযাকিছুসমস্যা তার দায় চাপে, বরং চাপিয়ে দেওয়াহয়,পরিবেশমন্ত্রকনামককেষ্টারউপর৷
চাপিয়ে দেওয়া বলছি কারণ কাগজে-কলমে দেখা যাচ্ছে ঠিক উল্টোটাই৷ উন্নয়নে বাধা হওয়া দূরে থাক, উন্নয়নের নামে কানুনের পরোয়া না করেইজারি করা হচ্ছেঢালাওছাড়পত্র৷রমেশেরআমলে (২০০৮-২০১১) পরিবেশমন্ত্রকে জমা হওয়াপ্রকল্পেরদরখাস্তেরমধ্যেখারিজহয়েছিলমাত্র ১শতাংশ৷একাদশ ও দ্বাদশযোজনায়২০১৭-এরমধ্যে মোট ১,৫০,০০০ মেগাওয়াটঅতিরিক্ততাপবিদ্যুতেরলক্ষ্যরাখাহয়েছে৷২০০৭থেকে ২০১১-এরমধ্যেপরিবেশমন্ত্রকেরছাড়পত্রপাওয়াপ্রোজেক্টেরউত্পাদনক্ষমতা ২,১০,০০০ মেগাওয়াট, যাকিনা২০১৭-এরসরকারিলক্ষ্যেরচেয়েও৪০শতাংশবেশি৷১৯৮২থেকেধরলে, ৯৪শতাংশকয়লাখাদানেরদরখাস্তঅনুমতিপেয়েছেপরিবেশমন্ত্রকের৷
তথাকথিত উন্নয়নপন্থীদের আর এক বড়ো অভিযোগ ছাড়পত্র মিলতে মিলতে সবুজ ফিতের ফাঁসে নষ্ট হয় অনেক সময়৷ পরিসংখ্যান কিন্তু অন্য কথাবলে৷১৯৮২থেকে১৯৯৯-এরমধ্যেপ্রোজেক্টফাইলেফয়সালা হতে সময় লাগতোগড়পড়তাপাঁচবছর৷বিজেপিআমলে এটা কমে দাঁড়ায় তিনবছরে৷প্রথমইউপিএসরকারেরপরিবেশমন্ত্রীএন্দিমুথু'টু-জি'রাজাপ্রোজেক্ট-পিছু সময় নিতেনমাত্র১৭মাস৷২০০৮থেকেরমেশের পরিবেশমন্ত্রক গড়ে১১মাসেছাড়পত্রবিলোতেশুরুকরে৷
গত দু' বছরে, রমেশের উত্তরসূরি জয়ন্তী নটরাজনের হাতে সেই ধারা অব্যাহত৷ আঞ্চলিক জনগোষ্ঠী এবং বিশেষজ্ঞদের তীব্র বিরোধিতার তোয়াক্কানা করে, ৫০,০০০ মেগাওয়াটজলবিদ্যুত্উত্পাদনেরলক্ষ্যপূরণেতিনিইতিমধ্যেইঅরুণাচলেরতাওয়াংআরলোহিতেদু'টিঅতিকায়বাঁধেরঅনুমতিদিয়েছেন৷অরুণাচলেইব্রহ্মপুত্রউপত্যকায়প্রস্তাবিত আরও ১৫০টিজলবিদ্যুত্প্রকল্পেরঅবাস্তবতারবিরুদ্ধে তার মন্ত্রকএখনওরা কাড়েনি৷
তা হলে সংঘাতটা কোথায়? সমস্যা হল যে কিছু বড়ো প্রকল্পের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংরক্ষণ সংস্থা আর পরিবেশবিদ সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত পৌঁছেগিয়েছেন৷ বেদান্তেরআরপসকো-রক্ষেত্রেকোর্টের রায় গিয়েছেসরকারেরবিরুদ্ধে৷বন্যপ্রাণীবাঅরণ্য আইন নয়, অরণ্যেরঅধিকারআইনেআটকেছেস্থানীয়আদিবাসীদেরইচ্ছেরবিরুদ্ধেজবরদস্তিপ্রকল্পেরপ্রয়াস৷ একই রকম ভাবে, মূলতবন্যপ্রাণীআইনেরধারায়, বেশ কিছুহাইওয়েপ্রকল্প ফেঁসে আছেকোর্টে৷ শেষ পর্যন্তগো, নো-গোতালিকাতৈরি হলে বেশ কিছুখাদানেরবিলিবন্দোবস্তওখারিজ হতে পারে৷আইন ভাঙারবহুজাতিকআবদার
সত্যি কথা বলতে কিছু কট্টরপন্থী ছাড়া, পরিবেশপ্রেমী কেউই কিন্তু বিদেশি বিনিয়োগ, বিদ্যুত্ উত্পাদন কিংবা হাইওয়ের বিরুদ্ধে নন৷ তাদের আপত্তিঅন্যজায়গায়৷ভারতদুনিয়ারদ্বিতীয়বৃহত্তমবাজার৷এখানেবিদেশিপুঁজিরলগ্নিঅবধারিত৷সেজন্যসরকারেরকোনওবহুজাতিককোম্পানিরঅন্যায়আবদারমেনেনেওয়ারপ্রয়োজননেই৷ওডিশারনিয়মগিরিরআদিবাসীরা যদি তাদেরপাহাড়েখাদাননা চায়, কিংবাঢিঙ্কিয়ার বাসিন্দাদের যদিপসকোকারখানাথেকেপানের বরজ বেশিলাভজনক মনে হয়, বিদেশিবিনিয়োগেরনামেতাদেরউত্খাতশুধুঅযৌক্তিকই নয়, অরণ্যেরঅধিকার আইনপ্রণয়নেরপর, বেআইনিওবটে৷
আর মোটা বিদেশি লগ্নিতে কি সত্যিই লাভবান হবে দেশের অর্থনীতি? পসকোর কথাই ধরুন৷ ওডিশার কারখানায় বিদেশি বিনিয়োগ হবে ৫২হাজার কোটিটাকার৷চাট্টিখানি কথা নয়, কিন্তুএরবদলেসরকারকীদেবেপসকো-কে? ২০০৫-এরমৌঅনুযায়ীপসকো৩০ বছর ধরে ভারতে বাত্সরিক৬০০ মিলিয়নটন লৌহ আকর খুঁড়ে বের করবেযাআন্তর্জাতিকবাজারেকিনতে হলে কোম্পানিকেঅতিরিক্ত খরচ করতেহত অন্তত ৩৭২হাজারকোটিটাকা৷
আরও আছে৷ ২০০৫-এর চুক্তিতে পসকো তার কোরিয়ার কারখানার জন্য ভারতের বাজার থেকে অতিরিক্ত ৪০০ মিলিয়ন টন লৌহ আকরকিনতে পারবে৷দেশিআরআন্তর্জাতিকবাজারে লৌহ আকরেরদামেরফারাকটনপিছু৩০০০টাকারহিসেবেস্রেফরপ্তানিতেইপসকোরমুনাফা আরও ১৭৪হাজারকোটিটাকা৷ এ ছাড়াস্পেশালইকোনমিকজোনেরসুবাদেরাজ্য ও কেন্দ্রীয়সরকারেরকাছেপসকোকরবাবদছাড় পাবে আরও ৩১৪হাজারকোটিটাকা৷এতকিছুরপরেওকোম্পানিওডিশারকারখানায়তৈরিইস্পাতভারতেবেচবেআন্তর্জাতিকদামেই৷
একের পর এক জঙ্গল কেটে খাদান খোঁড়ার তাগিদও একই রকম আত্মঘাতী৷ লৌহ আকর রপ্তানিতে অস্ট্রেলিয়া আর ব্রাজিলের পর ভারত বিশ্বে তিননম্বরে৷কিন্তুঅস্ট্রেলিয়ায়আরব্রাজিলেযেখানেমাথাপিছুআকরেরআমানত২০০০ ও ৩৩৩ টন, সেখানেভারতের রসদ মাত্র২১টন৷এইহারেরপ্তানিচললেআগামী১৫-৩০বছরেইআমাদের লৌহ আকর আমদানিশুরুকরতে হতে পারে৷
তাপবিদ্যুতের চাহিদা অনুযায়ী দেশে নাকি কয়লার ঘাটতি ২০ শতাংশ৷ কিন্তু মন্ত্রী জয়সওয়াল নিজে স্বীকার করেছেন যে দুর্নীতির কারণে মার খায়২৫-৩০শতাংশকয়লাউত্পাদন৷তাছাড়া, মান্ধাতারআমলেরবণ্টনব্যবস্থারকল্যাণেউত্পাদনকেন্দ্রআরউপভোক্তাদেরমাঝখানেনষ্টহয়২৫-৩৫শতাংশবিদ্যুত্৷অন্যদিকেএকেরপরএককয়লাখাদানআগলেউত্পাদনশুরুনা করে ভবিষ্যতেবেশিমুনাফারআশায় বসে থাকাকোম্পানিরাকয়লারঘাটতিরঅজুহাতেনিত্যনতুনবনাঞ্চলেখাদানখোলারদাবি করে চলেছে৷
হাইওয়ের কথাই ধরুন৷ অতীতে সমস্ত পথই তৈরি হয়েছিল জঙ্গল ভেদ করে মানুষের পায়ে চলার রেখায়৷ গত দুই শতকে সে সব পথে প্রথমে ঘোড়া, তার পরঘোড়া-গাড়ি, আধুনিকগাড়িথেকেআজঘণ্টায় শয়ে-শয়ে গাড়িছোটে৷যেদু-দশটাজায়গায়এখনওপুরনোজঙ্গলটিকেআছে, সেখানে আইন এবংকাণ্ডজ্ঞান বলে যেহাইওয়েবিকল্পজায়গাথাকলে তার রাস্তাবদলাবেঅথবাবন্যপ্রাণীরঅবাধযাতায়াতেরজন্যজমি ছেড়েজঙ্গলেরপরিসরটুকুফ্লাইওভার হয়ে পার হবে৷
বাকি জায়গার কথা ছেড়েই দিন, মহারাষ্ট্র-ছত্তিসগড় আর মহারাষ্ট্র-মধ্যপ্রদেশের মাঝখানে কানহা, পেঞ্চ, তাদোবা, নাগজিরা, নাভেগাঁও,ইন্দ্রাবতির মতো প্রাকৃতিকসম্পদে ভরা ব্যাঘ্রসঙ্কুলঅরণ্যপ্রসরেওন্যাশনালহাইওয়েঅথরিটিএতটুকুডাইনে-বাঁয়েকরতেরাজি নয়৷ অগত্যারাষ্ট্রীয়রাজমার্গ ৬ এবং ৭-এরভবিষ্যত্ঝুলে আছে সেই সুপ্রিমকোর্টে৷
আমাদের পরিবেশ আর জনজাতির অধিকারের আইনগুলি যথেষ্ট প্রাঞ্জল৷ কোনও প্রকল্পের দূষণ, বন আর বন্য প্রাণীর উপর কী প্রভাব পড়বে তারসমীক্ষায়কিছুটা সময় লাগারইকথা৷কিন্তুপরিবেশমন্ত্রকেরছাড়পত্রনিয়েযেকয়টিপ্রকল্পেদীর্ঘটানাপড়েনেরঅভিযোগ তার সবক্ষেত্রেইদায়ীসরকারেরযেকোনওমূল্যে, প্রয়োজনে আইন ভেঙেচুরে, প্রকল্পচালুকরারচেষ্টা৷
গত সেপ্টেম্বরে, যোজনা দপ্তরের কর্ণধার মন্টেক সিং আলুওয়ালিয়া দিল্লিতে এক সংবাদপত্রের ঘরোয়া বৈঠকে কিছু চমকপ্রদ মন্তব্য করেছিলেন৷যেটুকু ছাপাহয়েছিল তার মধ্যে ছিল আইন ভাঙার দায় থেকেআমলাদেররেহাইদিতে তার ফাইলনোটিং-এরপরিবর্তে'স্পিকিংঅর্ডার'প্রথাচালুকরারপরামর্শ ৷ ঝুলিথেকেবেড়ালটিশেষমেশবেরিয়ে পরে হাজারকোটিটাকারবেশিলগ্নিরপ্রকল্পেরতত্কালঅনুমোদনপ্রসঙ্গে৷
অর্থমন্ত্রী চিদাম্বরম বলেছেন, আলুওয়ালিয়া জানান, যে প্রয়োজনে 'রুলস অব বিজনেস' বদলে ফেলতে হবে যাতে যে সব প্রকল্পকে ছাড়পত্র দিতেই হবে যেন দেওয়াযায়৷
সহজ ভাষায়, কাগজে-কলমে যতই কড়া হোক, আইন থাকবে আইনের জায়গায়৷ আর জলে-জঙ্গলে-খাদানে বড়ো লগ্নির তত্কাল অনুমোদনথাকবে আইনেরআওতারবাইরে৷যত দিন নাসেটাসম্ভবহচ্ছেউন্নয়নেরএইকাল্পনিকবিপন্নতাকাটার নয়৷
লেখক তথ্যচিত্র নির্মাতা
শুরুতে গল্পটা সংক্ষেপে বলা দরকার৷ উন্নয়নের গপ্পোও বলতে পারেন, বা জঙ্গল কেটে, জঙ্গলবাসীদের উত্খাত করে জল-জমি-আকর লুটের৷
এ গল্পের শুরু প্রায় দু'শো বছর আগে৷ সাঁওতাল বিদ্রোহেরই তো ১৫৮ বছর হবে এই ৩০ তারিখ৷ কিন্তু আমরা গল্পটায় ঢুকবো এই সময়৷ ধন্দটা কেটে যায়২০১১-রগোড়াতে৷ তার আগে প্রথমইউপিএসরকারেরআমলেইঅবশ্যশুরুহয়ে গিয়েছিল দেশ জুড়েজল-জঙ্গলেরচৌহদ্দিতেযত্রতত্রউন্নয়নপ্রকল্পেরহিড়িক৷কিন্তুঅনেকেইবিশ্বাসকরতেচাননিযেবন্যপ্রাণীসংরক্ষণআরঅরণ্যেরঅধিকারের মতো দু-দুটোমোক্ষম আইনসংসদেসংশোধনআর পাশ (২০০৬) করানোরপরেওএইসরকারসত্যিইখাদানআরকারখানারজন্যজঙ্গলচেঁছেফেলেআদিবাসীদের বেঘরকরতেচায়৷
তার উপর, ২০০৮-এ পরিবেশ মন্ত্রীর পদে এসে জয়রাম রমেশ সকাল-বিকেল 'আমি-তোমাদেরই-লোক'-মার্কা ধুন গেয়ে প্রকৃতিপ্রেমীদের মনেএক আষাঢ়ে আশা জাগিয়েছিলেন৷ তাই অধিকাংশেরইধারণা ছিল যেওইযেকোনও-মূল্যে-উন্নয়নেরতাগিদমূলতমনমোহনসরকারেরকিছুআগমার্কা'প্রগতি'শীলমন্ত্রীরমন্ত্রকপ্রসুত৷ এমন ভবিষ্যবাণীওশোনাগিয়েছিলযেসনিয়া'নব-সমাজবাদী'গান্ধীরএজলাসেতাদেরঅত্যুত্সাহেবালুকাপাত অনিবার্য৷
উন্নয়নের অজুহাত
কিন্তু বালি রইল মরীচিকাই৷ বদলে, গুড়ে মাছি এল ভনভনিয়ে৷ শুরুটা পরিবেশ মন্ত্রকেই৷ ছাড়পত্র পেল লাভাসা (মহারাষ্ট্র) আর পসকো (ওডিশা)৷সম্ভবতউপায় ছিল নাকারণযোজনাদপ্তরইতিমধ্যেইছাঁটতেশুরুকরেছিলপরিবেশমন্ত্রকেরআর্থিকবরাদ্দ৷ দুধ দিয়েকালসাপপোষা-জাতীয়মন্তব্যআমলামহলেনৈমত্তিক হয়ে ওঠারপররিজার্ভব্যাঙ্ক-ওজানুয়ারি২০১১-তেবিদেশিবিনিয়োগেএক-তৃতীয়াংশকমতিরজন্যআঙুলতুললএনভায়রনমেন্টালিজম-এরদিকেই৷বাকিছিলেনপ্রধানমন্ত্রী৷ফেব্রুয়ারি-তেতিনিওহুঁশিয়ারিদিলেনযেসবুজআইনেরবিবিধ বিধি-নিষেধনাকিপ্রাক-অর্থনৈতিকউদারীকরণযুগের'লাইসেন্স-পারমিট রাজ' ফিরিয়েআনবে৷
পসকো আর বেদান্ত-র মতো বিতর্কিত প্রোজেক্টকে বেআইনি ছাড়পত্র দেওয়ার চাপের পেছনে ছিল বিদেশি বিনিয়োগের অজুহাত৷ তার সঙ্গে এ বার যোগ হলজাতীয়নিরাপত্তারপ্রশ্ন৷বোঝানোহলকয়লারঅভাবেদেশেতাপবিদ্যুতেরআকাল৷জঙ্গলকেটেনতুনকয়লাখাদাননাখুঁড়লেশিল্পের ভরাডুবিআসন্ন৷
প্রধানমন্ত্রির দাবড়ানিতে অরণ্যের অধিকার আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পসকো-কে ওডিশায় কারখানার অনুমতি দিয়েই অকুতভয় রমেশ লেগেপড়েছিলেন তার বিনা-আস্ফালনে-নাহি-দিব-সুচ্যগ্র-জঙ্গলইমেজপুনরুদ্ধারে৷ তার পরিবেশমন্ত্রকসাড়ম্বরেঘোষণা করল যে কোন জঙ্গলকাটাযাবেআরকোনটাযাবেনা (go, no-go) তার হিসেব-নিকেশনাহওয়াপর্যন্তকোনওনতুনখাদানেরঅনুমতিমিলবে না৷ কয়েকমাসেরমধ্যেইকয়লামন্ত্রীশ্রীপ্রকাশজয়সওয়াল-এরসামনেপরিবেশমন্ত্রীকেতার কাটা-যাবে-নাতালিকাথেকেকেটেদিতেহল৮৫শতাংশজঙ্গল ৷
শুধু বিদেশি বিনিয়োগ আর বিদ্যুত্ নিরাপত্তাই নয়, ইতিমধ্যে রাষ্ট্রীয় রাজমার্গ নির্মাণযজ্ঞেও বাধা সাব্যস্ত হয়েছে সংরক্ষণ আর অরণ্যের অধিকারআইনগুলি৷ দেশেরদু-দশটাটিকেথাকানিরবচ্ছিন্নঅরণ্যপ্রসরকেহাইওয়েছুটিয়েফালাফালানাকরলেনাকিপ্রকল্পেরসুবিধা ও সাশ্রয়কোনওটাই সম্ভব নয়৷সবমিলে২০১২নাগাদঅবস্থাপৌঁছে যায় এমন পর্যায়েযেজাতীয়অর্থনীতিরযাকিছুসমস্যা তার দায় চাপে, বরং চাপিয়ে দেওয়াহয়,পরিবেশমন্ত্রকনামককেষ্টারউপর৷
চাপিয়ে দেওয়া বলছি কারণ কাগজে-কলমে দেখা যাচ্ছে ঠিক উল্টোটাই৷ উন্নয়নে বাধা হওয়া দূরে থাক, উন্নয়নের নামে কানুনের পরোয়া না করেইজারি করা হচ্ছেঢালাওছাড়পত্র৷রমেশেরআমলে (২০০৮-২০১১) পরিবেশমন্ত্রকে জমা হওয়াপ্রকল্পেরদরখাস্তেরমধ্যেখারিজহয়েছিলমাত্র ১শতাংশ৷একাদশ ও দ্বাদশযোজনায়২০১৭-এরমধ্যে মোট ১,৫০,০০০ মেগাওয়াটঅতিরিক্ততাপবিদ্যুতেরলক্ষ্যরাখাহয়েছে৷২০০৭থেকে ২০১১-এরমধ্যেপরিবেশমন্ত্রকেরছাড়পত্রপাওয়াপ্রোজেক্টেরউত্পাদনক্ষমতা ২,১০,০০০ মেগাওয়াট, যাকিনা২০১৭-এরসরকারিলক্ষ্যেরচেয়েও৪০শতাংশবেশি৷১৯৮২থেকেধরলে, ৯৪শতাংশকয়লাখাদানেরদরখাস্তঅনুমতিপেয়েছেপরিবেশমন্ত্রকের৷
তথাকথিত উন্নয়নপন্থীদের আর এক বড়ো অভিযোগ ছাড়পত্র মিলতে মিলতে সবুজ ফিতের ফাঁসে নষ্ট হয় অনেক সময়৷ পরিসংখ্যান কিন্তু অন্য কথাবলে৷১৯৮২থেকে১৯৯৯-এরমধ্যেপ্রোজেক্টফাইলেফয়সালা হতে সময় লাগতোগড়পড়তাপাঁচবছর৷বিজেপিআমলে এটা কমে দাঁড়ায় তিনবছরে৷প্রথমইউপিএসরকারেরপরিবেশমন্ত্রীএন্দিমুথু'টু-জি'রাজাপ্রোজেক্ট-পিছু সময় নিতেনমাত্র১৭মাস৷২০০৮থেকেরমেশের পরিবেশমন্ত্রক গড়ে১১মাসেছাড়পত্রবিলোতেশুরুকরে৷
গত দু' বছরে, রমেশের উত্তরসূরি জয়ন্তী নটরাজনের হাতে সেই ধারা অব্যাহত৷ আঞ্চলিক জনগোষ্ঠী এবং বিশেষজ্ঞদের তীব্র বিরোধিতার তোয়াক্কানা করে, ৫০,০০০ মেগাওয়াটজলবিদ্যুত্উত্পাদনেরলক্ষ্যপূরণেতিনিইতিমধ্যেইঅরুণাচলেরতাওয়াংআরলোহিতেদু'টিঅতিকায়বাঁধেরঅনুমতিদিয়েছেন৷অরুণাচলেইব্রহ্মপুত্রউপত্যকায়প্রস্তাবিত আরও ১৫০টিজলবিদ্যুত্প্রকল্পেরঅবাস্তবতারবিরুদ্ধে তার মন্ত্রকএখনওরা কাড়েনি৷
তা হলে সংঘাতটা কোথায়? সমস্যা হল যে কিছু বড়ো প্রকল্পের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংরক্ষণ সংস্থা আর পরিবেশবিদ সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত পৌঁছেগিয়েছেন৷ বেদান্তেরআরপসকো-রক্ষেত্রেকোর্টের রায় গিয়েছেসরকারেরবিরুদ্ধে৷বন্যপ্রাণীবাঅরণ্য আইন নয়, অরণ্যেরঅধিকারআইনেআটকেছেস্থানীয়আদিবাসীদেরইচ্ছেরবিরুদ্ধেজবরদস্তিপ্রকল্পেরপ্রয়াস৷ একই রকম ভাবে, মূলতবন্যপ্রাণীআইনেরধারায়, বেশ কিছুহাইওয়েপ্রকল্প ফেঁসে আছেকোর্টে৷ শেষ পর্যন্তগো, নো-গোতালিকাতৈরি হলে বেশ কিছুখাদানেরবিলিবন্দোবস্তওখারিজ হতে পারে৷আইন ভাঙারবহুজাতিকআবদার
সত্যি কথা বলতে কিছু কট্টরপন্থী ছাড়া, পরিবেশপ্রেমী কেউই কিন্তু বিদেশি বিনিয়োগ, বিদ্যুত্ উত্পাদন কিংবা হাইওয়ের বিরুদ্ধে নন৷ তাদের আপত্তিঅন্যজায়গায়৷ভারতদুনিয়ারদ্বিতীয়বৃহত্তমবাজার৷এখানেবিদেশিপুঁজিরলগ্নিঅবধারিত৷সেজন্যসরকারেরকোনওবহুজাতিককোম্পানিরঅন্যায়আবদারমেনেনেওয়ারপ্রয়োজননেই৷ওডিশারনিয়মগিরিরআদিবাসীরা যদি তাদেরপাহাড়েখাদাননা চায়, কিংবাঢিঙ্কিয়ার বাসিন্দাদের যদিপসকোকারখানাথেকেপানের বরজ বেশিলাভজনক মনে হয়, বিদেশিবিনিয়োগেরনামেতাদেরউত্খাতশুধুঅযৌক্তিকই নয়, অরণ্যেরঅধিকার আইনপ্রণয়নেরপর, বেআইনিওবটে৷
আর মোটা বিদেশি লগ্নিতে কি সত্যিই লাভবান হবে দেশের অর্থনীতি? পসকোর কথাই ধরুন৷ ওডিশার কারখানায় বিদেশি বিনিয়োগ হবে ৫২হাজার কোটিটাকার৷চাট্টিখানি কথা নয়, কিন্তুএরবদলেসরকারকীদেবেপসকো-কে? ২০০৫-এরমৌঅনুযায়ীপসকো৩০ বছর ধরে ভারতে বাত্সরিক৬০০ মিলিয়নটন লৌহ আকর খুঁড়ে বের করবেযাআন্তর্জাতিকবাজারেকিনতে হলে কোম্পানিকেঅতিরিক্ত খরচ করতেহত অন্তত ৩৭২হাজারকোটিটাকা৷
আরও আছে৷ ২০০৫-এর চুক্তিতে পসকো তার কোরিয়ার কারখানার জন্য ভারতের বাজার থেকে অতিরিক্ত ৪০০ মিলিয়ন টন লৌহ আকরকিনতে পারবে৷দেশিআরআন্তর্জাতিকবাজারে লৌহ আকরেরদামেরফারাকটনপিছু৩০০০টাকারহিসেবেস্রেফরপ্তানিতেইপসকোরমুনাফা আরও ১৭৪হাজারকোটিটাকা৷ এ ছাড়াস্পেশালইকোনমিকজোনেরসুবাদেরাজ্য ও কেন্দ্রীয়সরকারেরকাছেপসকোকরবাবদছাড় পাবে আরও ৩১৪হাজারকোটিটাকা৷এতকিছুরপরেওকোম্পানিওডিশারকারখানায়তৈরিইস্পাতভারতেবেচবেআন্তর্জাতিকদামেই৷
একের পর এক জঙ্গল কেটে খাদান খোঁড়ার তাগিদও একই রকম আত্মঘাতী৷ লৌহ আকর রপ্তানিতে অস্ট্রেলিয়া আর ব্রাজিলের পর ভারত বিশ্বে তিননম্বরে৷কিন্তুঅস্ট্রেলিয়ায়আরব্রাজিলেযেখানেমাথাপিছুআকরেরআমানত২০০০ ও ৩৩৩ টন, সেখানেভারতের রসদ মাত্র২১টন৷এইহারেরপ্তানিচললেআগামী১৫-৩০বছরেইআমাদের লৌহ আকর আমদানিশুরুকরতে হতে পারে৷
তাপবিদ্যুতের চাহিদা অনুযায়ী দেশে নাকি কয়লার ঘাটতি ২০ শতাংশ৷ কিন্তু মন্ত্রী জয়সওয়াল নিজে স্বীকার করেছেন যে দুর্নীতির কারণে মার খায়২৫-৩০শতাংশকয়লাউত্পাদন৷তাছাড়া, মান্ধাতারআমলেরবণ্টনব্যবস্থারকল্যাণেউত্পাদনকেন্দ্রআরউপভোক্তাদেরমাঝখানেনষ্টহয়২৫-৩৫শতাংশবিদ্যুত্৷অন্যদিকেএকেরপরএককয়লাখাদানআগলেউত্পাদনশুরুনা করে ভবিষ্যতেবেশিমুনাফারআশায় বসে থাকাকোম্পানিরাকয়লারঘাটতিরঅজুহাতেনিত্যনতুনবনাঞ্চলেখাদানখোলারদাবি করে চলেছে৷
হাইওয়ের কথাই ধরুন৷ অতীতে সমস্ত পথই তৈরি হয়েছিল জঙ্গল ভেদ করে মানুষের পায়ে চলার রেখায়৷ গত দুই শতকে সে সব পথে প্রথমে ঘোড়া, তার পরঘোড়া-গাড়ি, আধুনিকগাড়িথেকেআজঘণ্টায় শয়ে-শয়ে গাড়িছোটে৷যেদু-দশটাজায়গায়এখনওপুরনোজঙ্গলটিকেআছে, সেখানে আইন এবংকাণ্ডজ্ঞান বলে যেহাইওয়েবিকল্পজায়গাথাকলে তার রাস্তাবদলাবেঅথবাবন্যপ্রাণীরঅবাধযাতায়াতেরজন্যজমি ছেড়েজঙ্গলেরপরিসরটুকুফ্লাইওভার হয়ে পার হবে৷
বাকি জায়গার কথা ছেড়েই দিন, মহারাষ্ট্র-ছত্তিসগড় আর মহারাষ্ট্র-মধ্যপ্রদেশের মাঝখানে কানহা, পেঞ্চ, তাদোবা, নাগজিরা, নাভেগাঁও,ইন্দ্রাবতির মতো প্রাকৃতিকসম্পদে ভরা ব্যাঘ্রসঙ্কুলঅরণ্যপ্রসরেওন্যাশনালহাইওয়েঅথরিটিএতটুকুডাইনে-বাঁয়েকরতেরাজি নয়৷ অগত্যারাষ্ট্রীয়রাজমার্গ ৬ এবং ৭-এরভবিষ্যত্ঝুলে আছে সেই সুপ্রিমকোর্টে৷
আমাদের পরিবেশ আর জনজাতির অধিকারের আইনগুলি যথেষ্ট প্রাঞ্জল৷ কোনও প্রকল্পের দূষণ, বন আর বন্য প্রাণীর উপর কী প্রভাব পড়বে তারসমীক্ষায়কিছুটা সময় লাগারইকথা৷কিন্তুপরিবেশমন্ত্রকেরছাড়পত্রনিয়েযেকয়টিপ্রকল্পেদীর্ঘটানাপড়েনেরঅভিযোগ তার সবক্ষেত্রেইদায়ীসরকারেরযেকোনওমূল্যে, প্রয়োজনে আইন ভেঙেচুরে, প্রকল্পচালুকরারচেষ্টা৷
গত সেপ্টেম্বরে, যোজনা দপ্তরের কর্ণধার মন্টেক সিং আলুওয়ালিয়া দিল্লিতে এক সংবাদপত্রের ঘরোয়া বৈঠকে কিছু চমকপ্রদ মন্তব্য করেছিলেন৷যেটুকু ছাপাহয়েছিল তার মধ্যে ছিল আইন ভাঙার দায় থেকেআমলাদেররেহাইদিতে তার ফাইলনোটিং-এরপরিবর্তে'স্পিকিংঅর্ডার'প্রথাচালুকরারপরামর্শ ৷ ঝুলিথেকেবেড়ালটিশেষমেশবেরিয়ে পরে হাজারকোটিটাকারবেশিলগ্নিরপ্রকল্পেরতত্কালঅনুমোদনপ্রসঙ্গে৷
অর্থমন্ত্রী চিদাম্বরম বলেছেন, আলুওয়ালিয়া জানান, যে প্রয়োজনে 'রুলস অব বিজনেস' বদলে ফেলতে হবে যাতে যে সব প্রকল্পকে ছাড়পত্র দিতেই হবে যেন দেওয়াযায়৷
সহজ ভাষায়, কাগজে-কলমে যতই কড়া হোক, আইন থাকবে আইনের জায়গায়৷ আর জলে-জঙ্গলে-খাদানে বড়ো লগ্নির তত্কাল অনুমোদনথাকবে আইনেরআওতারবাইরে৷যত দিন নাসেটাসম্ভবহচ্ছেউন্নয়নেরএইকাল্পনিকবিপন্নতাকাটার নয়৷
লেখক তথ্যচিত্র নির্মাতা
No comments:
Post a Comment