| এই সব গণখুনের ঘটনা আমাদের একটা ঐতিহ্যতে পরিণত হয়েছে । ১৯৯৭ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত রাজউকের হিসেবেই ভবন ধস ও হেলে পড়ার ৫০ টি ঘটনার রেকর্ড আছে। ২০১০ সালে বেগুনবাড়িতে আব্বাসউদ্দিনের ৫ তলা বাড়ি পাশের একটি বস্তিতে হেলে পড়লে ২৫ জন মারা যান। ২০০৬ সালে ২৪ ফেব্রয়ারি তেজগাঁওয়ে ফিনিক্স ভবন ট্রাজেডিতে ২১ জনের মৃত্যু হয়। ২০০৫ এ ফেব্রিক্স ইন্ড্রাস্টিজ ও স্পেকট্রাম সোয়েটার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড এর ৮ তলা ভবন ধসে ৬২ জন নির্মান শ্রমিকের মৃত্যু ঘটে। গত নভেন্বরে তাজরিন গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে আগুনে পুরে মারা যান ১১০ জন। হাতের কাছে পাওয়া এসব তথ্য খবুই অপ্রতুল। এসব ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা অগুনতি। নিহতের সংখ্যাও লুকানো হয়। এত এত হত্যার নিয়মিত মহড়া দেখে আমরা মোটামুটি অভ্যস্ত হয়ে উঠেছি। আমরা এখন লাশের সংখ্যা গুনতে গুনতে অংক শিখতে পারছি। বাচ্চাদের গণিতে দক্ষ বানাতে পারছি। বড় অবাক লাগে, স্তম্ভিত হই। রানা প্লাজায় আগে থেকেই ফাটল দেখা গেল। কারখানা ছুটিও দেয়া হল। মালিক সোহেল রানা, সাভার থানার যুবলীগের সিরিয়র যুগ্ম আহবায়ক বললেন, এমন ফাটল কোন ব্যাপার না। এখন যে শতাধিক লোকের লাশ বের করা হল, এটা কি তার কাছে কোনো ব্যাপার না? হাঁ, ব্যাপার না। এরা মানুষ ছিল না। ছিল শ্রমিক। শ্রমিকরা কি মানুষ নাকি? এক-দেড়শ মরেছে; আবারও আনা হবে এ রকম অসংখ্য শ্রমদাসদের। নিয়োজিত করা হবে আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল করতে। সুতরাং সমস্যা কি? পেটের দায়ে তারা যাবে কোথায়? মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও তাদের ওই কবরে ঢুকতে হবে। নিয়তি।http://www.poriborton.com/article_details.php?article_id=18353 |
No comments:
Post a Comment