Twitter

Follow palashbiswaskl on Twitter

Memories of Another day

Memories of Another day
While my Parents Pulin babu and Basanti devi were living

Sunday, June 16, 2013

কলকাতায় সরব বুদ্ধদেব, দিল্লিতে কথা কারাট-শরদের

কলকাতায় সরব বুদ্ধদেব, দিল্লিতে কথা কারাট-শরদের

কলকাতায় সরব বুদ্ধদেব, দিল্লিতে কথা কারাট-শরদের
কলকাতা ও নয়াদিল্লি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেডারেল ফ্রন্টের বিরোধিতায় এ বার মাঠে নেমে পড়ল সিপিএম৷ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যখন দিল্লিতে অ -কংগ্রেসি ও অ -বিজেপি দলগুলির সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে, তখন কলকাতায় দলের ছাত্র-যুবদের সমাবেশে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মমতার প্রস্তাবিত ফেডারেল ফ্রন্টকে তুলোধনা করেছেন৷ প্রায় এক ঘণ্টার ভাষণে মিনিট দশেক ফেডারেল ফ্রন্টের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন তিনি৷ তবে বামেরা যে তৃতীয় বিকল্প তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে, তা সফল করাও কঠিন বলে এদিন কবুল করেছেন সিপিএম পলিটব্যুরোর এই প্রবীণ নেতা৷

এদিনও দিল্লিতে বাম নেতৃত্ব লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে তৃতীয় বিকল্প জোট গড়ার লক্ষ্যে দিনভর বৈঠক করেন৷ কলকাতা এবং দিল্লিতে বাম নেতাদের এই তত্পরতাতেই স্পষ্ট, তৃণমূল নেত্রীর ফেডারেল ফ্রন্ট গড়ার উদ্যোগ বামেরা মোটেই সহজ ভাবে নিচ্ছে না৷ শনিবার ইউনিভার্সিটি হলে এসএফআই রাজ্য কমিটির মুখপাত্র ছাত্র সংগ্রামের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর সভায় বুদ্ধদেববাবু ফেডারেল ফ্রন্ট নিয়ে অনেক শব্দ ব্যয় করলেও 'ফেডারেল ফ্রন্ট' শব্দটি একবারের জন্যও উচ্চারণ করেননি৷ কিন্ত্ত পশ্চিমবঙ্গ, ওডিশা, বিহারের মতো রাজ্যের কাছাকাছি আসা মানেই ফ্রন্ট গড়ে ওঠা বোঝায় না বলে যুক্তি খাড়া করেছেন তিনি৷ তাঁর কথায়, 'অনেক বিকল্পর কথা এখন বলা হচ্ছে বাজারে৷ কিন্ত্ত ওডিশা, বিহার, পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্য কাছাকাছি আসছে কিনা, কয়েকটি রাজ্য ও ব্যক্তি কাছে আসা মানে ফ্রন্ট গড়ে ওঠা নয়৷ ফ্রন্ট গড়ে ওঠে কর্মসূচির ভিত্তিতে৷'

এই কটাক্ষ করে বুদ্ধবাবুর প্রশ্ন, 'এই বিকল্প ফ্রন্টের কর্মসূচি কি? কর্মসূচিহীন কোনও বিকল্প হয় না৷ একমাত্র কর্মসূচির ভিত্তিতে বিকল্প তৈরি হলে মানুষ নেবে৷' এদিকে শনিবার চিন রওনা হওয়ার আগে তৃতীয় বিকল্প গড়ার চেষ্টাটাকে আরও বাড়িয়ে নিয়ে গেলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাট৷ তিনি এদিন ফোনে কথা বলেছেন সংযুক্ত জনতা দল সভাপতি শরদ যাদবের সঙ্গে৷ তেলুগু দেশম নেতা চন্দ্রবাবু নাইডুও ফোন করেছিলেন শরদকে৷ বাম সূত্রের খবর, শরদ যাদব বলেছেন, তিনি নীতীশ কুমারের সঙ্গে পুরো বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন৷ সংযুক্ত জনতা দল এখনও বিজেপি -র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেনি৷ তার আগেই বাম নেতারা কেন এ ভাবে ঝাঁপালেন? উদ্দেশ্যটা যে তৃণমূল নেত্রীর উদ্যোগটাকে বানচাল করা সেটা গোপন করেননি ফরোয়ার্ড ব্লক নেতা দেবব্রত বিশ্বাস৷ তাঁর ব্যাখ্যা 'প্রতিটি ক্রিয়ার তো একটা প্রতিক্রিয়া আছে৷ কেউ যদি জোটের জন্য এ ভাবে চেষ্টা করে, তার পরেও বামেরা কি চুপচাপ বসে থাকতে পারে?'

তবে এখন যতই চেষ্টা হোক না কেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে কোনও ফ্রন্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম, সে ব্যাপারে বামেদের মনে খুব একটা সন্দেহ নেই৷ কারণ, অধিকাংশ দলই আগে ভোটের ফলের জন্য অপেক্ষা করবে৷ প্রকাশ কারাট যেমন মনে করেন, সব আঞ্চলিক দল আগে তাঁদের নিজেদের শক্তি যতটা সম্ভব বাড়িয়ে নিতে চাইবে৷ তার পর তাঁরা জোট নিয়ে ভাববেন৷ কিন্ত্ত তা সত্ত্বেও তাঁরা নিয়মিত শরদ যাদবের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন দু'টি কারণে৷ প্রথমত, নীতীশ কুমার যাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাত না মেলান তার চেষ্টা করা৷ তা ছাড়া তাঁদের একটা আশঙ্কা আছে, এনডিএ থেকে বেরিয়ে নীতীশ শেষ পর্যন্ত কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাতে পারেন৷ সেটাও বন্ধ করে নীতীশকে নিজেদের দিকে নিয়ে আসার চেষ্টা৷

No comments:

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...