লগ্নি কেলেঙ্কারি ছায়া ফেললেও এগিয়ে মমতাই
সময়: হাওড়ার লোকসভা উপনির্বাচনে কি মুখরক্ষা করতে পারবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল? নাকি সারদা কেলেঙ্কারি পরবর্তী অধ্যায়ে বাজি মাত করে বেরিয়ে যাবে সিপিএম?
উপনির্বাচনের প্রচারে নেমে সিপিএম থেকে কংগ্রেস- সব বিরোধীই বলছেন লড়াই থেকে বিজেপির সরে যাওয়াটা মমতার জন্য ব্যুমেরাং হবে৷ কংগ্রেসের সঙ্গে জোট না থাকায় ভোট কাটাকাটির অঙ্কেও প্যাঁচে পড়তে পারে শাসকদল৷ কিন্ত্ত হাওড়ার ভোটাররা কী বলছেন? উপনির্বাচনের প্রাক্কালে হাওড়ার চারটি অঞ্চল ঘুরে সেই প্রশ্নগুলিরই সুলুক সন্ধানে নেমেছিল 'এই সময়' ও ইপসোস৷ এবং সেই যৌথ সমীক্ষা বলছে, সারদা-কাণ্ড প্রভাব ফেললেও আসন বাঁচানো নিয়ে খুব বেশি চিন্তা নেই তৃণমূলের৷ কিন্ত্ত জনসমর্থন কিছুটা হলেও তাদের কমবে৷ হারানো জমি কিছুটা হলেও ফিরে পেতে পারে সিপিএম৷
বালি, সাঁকরাইল, পাঁচলা এবং মধ্য হাওড়ার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে দেখা যাচ্ছে, দল হিসেবে সমর্থনের ক্ষেত্রে ৫৩% নাগরিক পাশে রয়েছেন শাসকদল তৃণমূলের৷ ৩১% সমর্থন করছেন সিপিএমকে৷ আর ১০% মানুষ কংগ্রেসের প্রতি নিজেদের আস্থা রাখছেন৷ অঙ্কের হিসাবে এই উত্তর তৃণমূলের পক্ষে স্বস্তিদায়ক হলেও বাস্তবে পুরোটা তা নয়৷ কারণ ২০০৯ সালের ভোটে এই হাওড়া আসনেই তৃণমূল পেয়েছিল ৫৯% ভোট৷ জিতেছিলেন সদ্যপ্রয়াত অম্বিকা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সিপিএম পেয়েছিল ২৭% ভোট৷ যৌথ সমীক্ষা বলছে, তৃণমূলের সেই ভোটব্যাঙ্কের অন্তত ৬% শাসকদলের উপর আর ভরসা রাখছেন না৷ বরং ৪% ভোট বাড়তে পারে সিপিএমের৷
আর এই কিছুটা পরিবর্তনের কারণ হিসেবে মূলত উঠে আসছে সারদা অধ্যায়৷ যৌথ সমীক্ষার দলের প্রশ্নের জবাবে হাওড়ার ৭৮% নাগরিক জানাচ্ছেন, লগ্নি কেলেঙ্কারির ঘটনা কালি মাখিয়েছে রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তিতে৷ মাত্র ২১% মনে করছেন, সারদা-কাণ্ডের রেশ সরকার সম্পর্কে খারাপ ধারনা তৈরি করেনি৷ কিন্ত্ত ভোটের হিসেবে কতটা ফারাক তৈরি করতে পারে লগ্নি কেলেঙ্কারি? এই প্রসঙ্গে পাওয়া উত্তরও চিন্তায় রাখবে তৃণমূলকে৷ যৌথ সমীক্ষায় হাওড়ার ৫৭% নাগরিক জানাচ্ছেন, লগ্নি কেলেঙ্কারির প্রভাব ভোটের ফলে পড়বে৷ তবে ৩৯% আশাবাদী, আসন্ন উপনির্বাচনের ফলাফলে এই ঘটনা কোনও ফারাক তৈরি করতে পারবে না৷
প্রার্থী নির্বাচনের দিক থেকে সমীক্ষায় এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল৷ কারণ তৃণমূলের প্রার্থী, প্রাক্তন ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী হিসেবে যোগ্য মনে করছেন হাওড়ার ৫৩% নাগরিক৷ সেখানে সিপিএমের শ্রীদীপ ভট্টাচার্যকে যোগ্য মনে করছেন ৩৩%, সনাতন মুখোপাধ্যায়ের উপর আস্থা রয়েছে ১৩% নাগরিকের৷ তবে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য হাওড়ার ৫৫% নাগরিকই কেন্দ্রীয় বাহিনী চান৷ বাহিনী ছাড়া ভোট করানোর পক্ষপাতী ৪১% মানুষ৷
তার পরেও লড়াই যে হাড্ডাহাড্ডি হবে, সেটা কিছুটা বোঝা যাচ্ছে 'প্রশাসক' তৃণমূল ও সিপিএমের তুলনা টানতে গিয়ে৷ রাজ্যের নিরিখে তৃণমূলের প্রশাসন সম্পর্কে হাওড়ার ৫১% নাগরিক মনে করছেন, দু'বছর আগে পালাবদলের পর প্রশাসনে তেমন কোনও সদর্থক পরিবর্তন হয়নি৷ যদিও ৪৮% মানুষ নতুন প্রশাসন নিয়ে খুশি৷ এই হিসাবটাই কিছুটা উল্টো আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে৷ সে ক্ষেত্রে হাওড়ার ৫১% মানুষ রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে খুশি৷ ৪৯% নাগরিক যদিও এই নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন৷ তুলনামূলক বিচারে হাওড়ার ৫১% মানুষের মতে, বাম আমলের থেকে মমতার জমানায় সরকারি পরিষেবার উন্নতি হয়েছে৷ ৪৬% নাগরিক যদিও কেমন কোনও উন্নতির কথা জানাননি৷ তবে বামেদের কাছেও কিছুটা স্বস্তির খবর, তাদের হাতে থাকা হাওড়া পুরসভার কাজে ৩৮% মানুষ তুষ্ট৷ কিন্ত্ত সেই স্বস্তি কিছুটাই৷ কারণ ৩৩% নাগরিক মনে করেন পুরসভার কাজ খারাপ৷ আর ২৯%-এর মতে, পুরসভার কাজকে ভাল বা মন্দ-কোনও বিভাগেই ফেলা যায় না৷
উপনির্বাচনের প্রচারে নেমে সিপিএম থেকে কংগ্রেস- সব বিরোধীই বলছেন লড়াই থেকে বিজেপির সরে যাওয়াটা মমতার জন্য ব্যুমেরাং হবে৷ কংগ্রেসের সঙ্গে জোট না থাকায় ভোট কাটাকাটির অঙ্কেও প্যাঁচে পড়তে পারে শাসকদল৷ কিন্ত্ত হাওড়ার ভোটাররা কী বলছেন? উপনির্বাচনের প্রাক্কালে হাওড়ার চারটি অঞ্চল ঘুরে সেই প্রশ্নগুলিরই সুলুক সন্ধানে নেমেছিল 'এই সময়' ও ইপসোস৷ এবং সেই যৌথ সমীক্ষা বলছে, সারদা-কাণ্ড প্রভাব ফেললেও আসন বাঁচানো নিয়ে খুব বেশি চিন্তা নেই তৃণমূলের৷ কিন্ত্ত জনসমর্থন কিছুটা হলেও তাদের কমবে৷ হারানো জমি কিছুটা হলেও ফিরে পেতে পারে সিপিএম৷
বালি, সাঁকরাইল, পাঁচলা এবং মধ্য হাওড়ার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে দেখা যাচ্ছে, দল হিসেবে সমর্থনের ক্ষেত্রে ৫৩% নাগরিক পাশে রয়েছেন শাসকদল তৃণমূলের৷ ৩১% সমর্থন করছেন সিপিএমকে৷ আর ১০% মানুষ কংগ্রেসের প্রতি নিজেদের আস্থা রাখছেন৷ অঙ্কের হিসাবে এই উত্তর তৃণমূলের পক্ষে স্বস্তিদায়ক হলেও বাস্তবে পুরোটা তা নয়৷ কারণ ২০০৯ সালের ভোটে এই হাওড়া আসনেই তৃণমূল পেয়েছিল ৫৯% ভোট৷ জিতেছিলেন সদ্যপ্রয়াত অম্বিকা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সিপিএম পেয়েছিল ২৭% ভোট৷ যৌথ সমীক্ষা বলছে, তৃণমূলের সেই ভোটব্যাঙ্কের অন্তত ৬% শাসকদলের উপর আর ভরসা রাখছেন না৷ বরং ৪% ভোট বাড়তে পারে সিপিএমের৷
আর এই কিছুটা পরিবর্তনের কারণ হিসেবে মূলত উঠে আসছে সারদা অধ্যায়৷ যৌথ সমীক্ষার দলের প্রশ্নের জবাবে হাওড়ার ৭৮% নাগরিক জানাচ্ছেন, লগ্নি কেলেঙ্কারির ঘটনা কালি মাখিয়েছে রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তিতে৷ মাত্র ২১% মনে করছেন, সারদা-কাণ্ডের রেশ সরকার সম্পর্কে খারাপ ধারনা তৈরি করেনি৷ কিন্ত্ত ভোটের হিসেবে কতটা ফারাক তৈরি করতে পারে লগ্নি কেলেঙ্কারি? এই প্রসঙ্গে পাওয়া উত্তরও চিন্তায় রাখবে তৃণমূলকে৷ যৌথ সমীক্ষায় হাওড়ার ৫৭% নাগরিক জানাচ্ছেন, লগ্নি কেলেঙ্কারির প্রভাব ভোটের ফলে পড়বে৷ তবে ৩৯% আশাবাদী, আসন্ন উপনির্বাচনের ফলাফলে এই ঘটনা কোনও ফারাক তৈরি করতে পারবে না৷
প্রার্থী নির্বাচনের দিক থেকে সমীক্ষায় এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল৷ কারণ তৃণমূলের প্রার্থী, প্রাক্তন ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী হিসেবে যোগ্য মনে করছেন হাওড়ার ৫৩% নাগরিক৷ সেখানে সিপিএমের শ্রীদীপ ভট্টাচার্যকে যোগ্য মনে করছেন ৩৩%, সনাতন মুখোপাধ্যায়ের উপর আস্থা রয়েছে ১৩% নাগরিকের৷ তবে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য হাওড়ার ৫৫% নাগরিকই কেন্দ্রীয় বাহিনী চান৷ বাহিনী ছাড়া ভোট করানোর পক্ষপাতী ৪১% মানুষ৷
তার পরেও লড়াই যে হাড্ডাহাড্ডি হবে, সেটা কিছুটা বোঝা যাচ্ছে 'প্রশাসক' তৃণমূল ও সিপিএমের তুলনা টানতে গিয়ে৷ রাজ্যের নিরিখে তৃণমূলের প্রশাসন সম্পর্কে হাওড়ার ৫১% নাগরিক মনে করছেন, দু'বছর আগে পালাবদলের পর প্রশাসনে তেমন কোনও সদর্থক পরিবর্তন হয়নি৷ যদিও ৪৮% মানুষ নতুন প্রশাসন নিয়ে খুশি৷ এই হিসাবটাই কিছুটা উল্টো আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে৷ সে ক্ষেত্রে হাওড়ার ৫১% মানুষ রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে খুশি৷ ৪৯% নাগরিক যদিও এই নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন৷ তুলনামূলক বিচারে হাওড়ার ৫১% মানুষের মতে, বাম আমলের থেকে মমতার জমানায় সরকারি পরিষেবার উন্নতি হয়েছে৷ ৪৬% নাগরিক যদিও কেমন কোনও উন্নতির কথা জানাননি৷ তবে বামেদের কাছেও কিছুটা স্বস্তির খবর, তাদের হাতে থাকা হাওড়া পুরসভার কাজে ৩৮% মানুষ তুষ্ট৷ কিন্ত্ত সেই স্বস্তি কিছুটাই৷ কারণ ৩৩% নাগরিক মনে করেন পুরসভার কাজ খারাপ৷ আর ২৯%-এর মতে, পুরসভার কাজকে ভাল বা মন্দ-কোনও বিভাগেই ফেলা যায় না৷
No comments:
Post a Comment