Twitter

Follow palashbiswaskl on Twitter

Memories of Another day

Memories of Another day
While my Parents Pulin babu and Basanti devi were living

Saturday, June 15, 2013

বৌমা কংগ্রেসে, সম্পর্কচ্ছেদ সিপিএম শ্বশুরের

বৌমা কংগ্রেসে, সম্পর্কচ্ছেদ সিপিএম শ্বশুরের

বৌমা কংগ্রেসে, সম্পর্কচ্ছেদ সিপিএম শ্বশুরের
হেমাভ সেনগুপ্ত

রামপুরহাট: ভোট বলে কথা!
তার সামনে সব তুচ্ছ৷ কা তব কান্তা, কস্তে পুত্রা৷ কেউ কারও নয়৷
কাজেই রীতিমতো লিফলেট, পুস্তিকা বিলি করে ছেলে-বৌমার সঙ্গে সম্পর্ক ঘোচাতে উঠে পড়ে লেগেছেন রামপুরহাট ১ জোনাল সম্পাদক গোলাম কুদ্দুস৷ এবং তাঁর দাবি, জেলা নেতৃত্বের নির্দেশেই এই কাজে নেমেছেন তিনি৷ মুখে অবশ্য বলছেন, 'প্রত্যেকের স্বতন্ত্র রাজনৈতিক পরিচয় আছে৷

থাকতেই পারে৷ তবে ছেলে-বৌমার সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের ব্যাপারটা এ ভাবে লিফলেট বিলি করে বলতে হচ্ছে, এটা নিঃসন্দেহে দুঃখজনক৷'
স্থানীয় সূত্রের খবর, সিপিএমের বীরভূম জেলা কমিটির সদস্য তথা রামপুরহাট ১ নম্বর জোনাল কমিটির সম্পাদক গোলাম কুদ্দুস দখলবাটি
গ্রামের দীর্ঘদিনের বাসিন্দা৷ এলাকায় পরিচিত মুখ৷ স্ত্রী ও পাঁচ ছেলে-বৌমাদের নিয়ে একান্নবর্তী ভরা সংসার৷ কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের
মনোনয়ন পর্ব শুরু হতেই চাপা অশান্তির গুঞ্জন শুরু হয় সেই পরিবারে৷ কারণ আর কিছুই নয়৷ কুদ্দুসের ছোট ছেলে সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী
শাহিনা ইয়াসমিন এ বার রামপুরহাট ১ নম্বর পঞ্চায়তে সমিতির কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন৷ সিপিএম পরিবারে এহেন
দলবদল মোটেই ভাল চোখে দেখলেন না জেলা নেতৃত্ব৷ দলেই শুরু হয় তীব্র বাদানুবাদ৷ কুদ্দুসের দাবি, জেলা নেতৃত্বের তরফে বিতর্ক ধামাচাপা দিতে কুদ্দুসকে ছেলে-বৌমার সঙ্গে অবিলম্বে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বলা হয়৷ এবং সেই কথা প্রচারপুস্তিকা ও প্রেস বিজ্ঞপ্তির আকারে এলাকায় বিলি করার নির্দেশও দেওয়া হয়৷

দলীয় নির্দেশ শিরোধার্য৷ কাজেই বৃহস্পতিবার এলাকাবাসীর হাতে হাতে ফিরল সেই লিফলেট, যাতে গোটা গোটা কালো অক্ষরে লেখা - 'আমি
গোলাম কুদ্দুস, সিপিএমের রামপুরহাট জোনাল সম্পাদক জনসাধারণের উদ্দেশ্যে জানাই যে আমার ছেলে সিরাজুল ইসলাম ও পুত্রবধূ শাহিনী
ইয়ায়মিনের সঙ্গে বিগত তিন বছর ধরে আমার কোনও সম্পর্ক নেই৷ তারা পৃথক বাড়িতে বসবাস করে৷ আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শাহিনা
কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছে৷ তাই ছেলে-বৌমার সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করছি৷' কার্যক্ষেত্রে অবশ্য একই বাড়িতে রয়েছেন
শ্বশুর-বৌমা-ছেলে৷ ঘর আলাদা, হাঁড়ি আলাদা৷ তবে বাবার এহেন আচরণে 'দুঃখ পেয়েছি' বলে জানালেন ছেলে সিরাজুল৷ তাঁর কথায়, 'এক
বাড়িতে থাকলেও বাবার কাছ থেকে কোনও সুবিধে নিই না৷ স্বামী-স্ত্রী টিউশনি করে পেট চালাই৷ আদর্শগত তফাতের জন্য বাবা এ রকম
হাটে বাজারে লিফলেট ছাপিয়ে সম্পর্কচ্ছেদ করার কথা ঘোষণা করবেন, ভাবতে পারিনি৷'

কিন্তু দলীয় নেতৃত্ব কি সত্যিই পারেন এ রকম হিটলারি ফতোয়া জারি করতে? বোলপুরের সিপিএম সাংসদ রামচন্দ্র ডোমের কথায়, 'ঘটনাটা
প্রকাশ্যে আসার পর দলের তরফেই এ রকম নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ তা না করা হলে জনসাধারণের কাছে ভুল বার্তা যেত৷ আমাদের কর্মী
গোলাম কুদ্দুসের সঙ্গে ওঁর ছোট বৌমা বা ছেলের যে কোনও সম্পর্ক নেই সেটা আনুষ্ঠানিক ভাবে না জানালে জনসাধারণের মধ্যে প্রতিক্রিয়ার
সৃষ্টি হতে পারত৷ তাই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷' বীরভূমের কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক মিল্টন রশিদ অবশ্য বলেন, 'রাজনৈতিক মতাদর্শ ভিন্ন বলে সম্পর্ক রাখবে না, এ আবার কী রকম? খুবই দুঃখজনক ঘটনা৷'

No comments:

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...