হেমাভ সেনগুপ্ত
রামপুরহাট: ভোট বলে কথা!
তার সামনে সব তুচ্ছ৷ কা তব কান্তা, কস্তে পুত্রা৷ কেউ কারও নয়৷
কাজেই রীতিমতো লিফলেট, পুস্তিকা বিলি করে ছেলে-বৌমার সঙ্গে সম্পর্ক ঘোচাতে উঠে পড়ে লেগেছেন রামপুরহাট ১ জোনাল সম্পাদক গোলাম কুদ্দুস৷ এবং তাঁর দাবি, জেলা নেতৃত্বের নির্দেশেই এই কাজে নেমেছেন তিনি৷ মুখে অবশ্য বলছেন, 'প্রত্যেকের স্বতন্ত্র রাজনৈতিক পরিচয় আছে৷
থাকতেই পারে৷ তবে ছেলে-বৌমার সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের ব্যাপারটা এ ভাবে লিফলেট বিলি করে বলতে হচ্ছে, এটা নিঃসন্দেহে দুঃখজনক৷'
স্থানীয় সূত্রের খবর, সিপিএমের বীরভূম জেলা কমিটির সদস্য তথা রামপুরহাট ১ নম্বর জোনাল কমিটির সম্পাদক গোলাম কুদ্দুস দখলবাটি
গ্রামের দীর্ঘদিনের বাসিন্দা৷ এলাকায় পরিচিত মুখ৷ স্ত্রী ও পাঁচ ছেলে-বৌমাদের নিয়ে একান্নবর্তী ভরা সংসার৷ কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের
মনোনয়ন পর্ব শুরু হতেই চাপা অশান্তির গুঞ্জন শুরু হয় সেই পরিবারে৷ কারণ আর কিছুই নয়৷ কুদ্দুসের ছোট ছেলে সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী
শাহিনা ইয়াসমিন এ বার রামপুরহাট ১ নম্বর পঞ্চায়তে সমিতির কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন৷ সিপিএম পরিবারে এহেন
দলবদল মোটেই ভাল চোখে দেখলেন না জেলা নেতৃত্ব৷ দলেই শুরু হয় তীব্র বাদানুবাদ৷ কুদ্দুসের দাবি, জেলা নেতৃত্বের তরফে বিতর্ক ধামাচাপা দিতে কুদ্দুসকে ছেলে-বৌমার সঙ্গে অবিলম্বে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বলা হয়৷ এবং সেই কথা প্রচারপুস্তিকা ও প্রেস বিজ্ঞপ্তির আকারে এলাকায় বিলি করার নির্দেশও দেওয়া হয়৷
দলীয় নির্দেশ শিরোধার্য৷ কাজেই বৃহস্পতিবার এলাকাবাসীর হাতে হাতে ফিরল সেই লিফলেট, যাতে গোটা গোটা কালো অক্ষরে লেখা - 'আমি
গোলাম কুদ্দুস, সিপিএমের রামপুরহাট জোনাল সম্পাদক জনসাধারণের উদ্দেশ্যে জানাই যে আমার ছেলে সিরাজুল ইসলাম ও পুত্রবধূ শাহিনী
ইয়ায়মিনের সঙ্গে বিগত তিন বছর ধরে আমার কোনও সম্পর্ক নেই৷ তারা পৃথক বাড়িতে বসবাস করে৷ আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শাহিনা
কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছে৷ তাই ছেলে-বৌমার সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করছি৷' কার্যক্ষেত্রে অবশ্য একই বাড়িতে রয়েছেন
শ্বশুর-বৌমা-ছেলে৷ ঘর আলাদা, হাঁড়ি আলাদা৷ তবে বাবার এহেন আচরণে 'দুঃখ পেয়েছি' বলে জানালেন ছেলে সিরাজুল৷ তাঁর কথায়, 'এক
বাড়িতে থাকলেও বাবার কাছ থেকে কোনও সুবিধে নিই না৷ স্বামী-স্ত্রী টিউশনি করে পেট চালাই৷ আদর্শগত তফাতের জন্য বাবা এ রকম
হাটে বাজারে লিফলেট ছাপিয়ে সম্পর্কচ্ছেদ করার কথা ঘোষণা করবেন, ভাবতে পারিনি৷'
কিন্তু দলীয় নেতৃত্ব কি সত্যিই পারেন এ রকম হিটলারি ফতোয়া জারি করতে? বোলপুরের সিপিএম সাংসদ রামচন্দ্র ডোমের কথায়, 'ঘটনাটা
প্রকাশ্যে আসার পর দলের তরফেই এ রকম নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ তা না করা হলে জনসাধারণের কাছে ভুল বার্তা যেত৷ আমাদের কর্মী
গোলাম কুদ্দুসের সঙ্গে ওঁর ছোট বৌমা বা ছেলের যে কোনও সম্পর্ক নেই সেটা আনুষ্ঠানিক ভাবে না জানালে জনসাধারণের মধ্যে প্রতিক্রিয়ার
সৃষ্টি হতে পারত৷ তাই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷' বীরভূমের কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক মিল্টন রশিদ অবশ্য বলেন, 'রাজনৈতিক মতাদর্শ ভিন্ন বলে সম্পর্ক রাখবে না, এ আবার কী রকম? খুবই দুঃখজনক ঘটনা৷'
রামপুরহাট: ভোট বলে কথা!
তার সামনে সব তুচ্ছ৷ কা তব কান্তা, কস্তে পুত্রা৷ কেউ কারও নয়৷
কাজেই রীতিমতো লিফলেট, পুস্তিকা বিলি করে ছেলে-বৌমার সঙ্গে সম্পর্ক ঘোচাতে উঠে পড়ে লেগেছেন রামপুরহাট ১ জোনাল সম্পাদক গোলাম কুদ্দুস৷ এবং তাঁর দাবি, জেলা নেতৃত্বের নির্দেশেই এই কাজে নেমেছেন তিনি৷ মুখে অবশ্য বলছেন, 'প্রত্যেকের স্বতন্ত্র রাজনৈতিক পরিচয় আছে৷
থাকতেই পারে৷ তবে ছেলে-বৌমার সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের ব্যাপারটা এ ভাবে লিফলেট বিলি করে বলতে হচ্ছে, এটা নিঃসন্দেহে দুঃখজনক৷'
স্থানীয় সূত্রের খবর, সিপিএমের বীরভূম জেলা কমিটির সদস্য তথা রামপুরহাট ১ নম্বর জোনাল কমিটির সম্পাদক গোলাম কুদ্দুস দখলবাটি
গ্রামের দীর্ঘদিনের বাসিন্দা৷ এলাকায় পরিচিত মুখ৷ স্ত্রী ও পাঁচ ছেলে-বৌমাদের নিয়ে একান্নবর্তী ভরা সংসার৷ কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের
মনোনয়ন পর্ব শুরু হতেই চাপা অশান্তির গুঞ্জন শুরু হয় সেই পরিবারে৷ কারণ আর কিছুই নয়৷ কুদ্দুসের ছোট ছেলে সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী
শাহিনা ইয়াসমিন এ বার রামপুরহাট ১ নম্বর পঞ্চায়তে সমিতির কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন৷ সিপিএম পরিবারে এহেন
দলবদল মোটেই ভাল চোখে দেখলেন না জেলা নেতৃত্ব৷ দলেই শুরু হয় তীব্র বাদানুবাদ৷ কুদ্দুসের দাবি, জেলা নেতৃত্বের তরফে বিতর্ক ধামাচাপা দিতে কুদ্দুসকে ছেলে-বৌমার সঙ্গে অবিলম্বে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বলা হয়৷ এবং সেই কথা প্রচারপুস্তিকা ও প্রেস বিজ্ঞপ্তির আকারে এলাকায় বিলি করার নির্দেশও দেওয়া হয়৷
দলীয় নির্দেশ শিরোধার্য৷ কাজেই বৃহস্পতিবার এলাকাবাসীর হাতে হাতে ফিরল সেই লিফলেট, যাতে গোটা গোটা কালো অক্ষরে লেখা - 'আমি
গোলাম কুদ্দুস, সিপিএমের রামপুরহাট জোনাল সম্পাদক জনসাধারণের উদ্দেশ্যে জানাই যে আমার ছেলে সিরাজুল ইসলাম ও পুত্রবধূ শাহিনী
ইয়ায়মিনের সঙ্গে বিগত তিন বছর ধরে আমার কোনও সম্পর্ক নেই৷ তারা পৃথক বাড়িতে বসবাস করে৷ আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শাহিনা
কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছে৷ তাই ছেলে-বৌমার সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করছি৷' কার্যক্ষেত্রে অবশ্য একই বাড়িতে রয়েছেন
শ্বশুর-বৌমা-ছেলে৷ ঘর আলাদা, হাঁড়ি আলাদা৷ তবে বাবার এহেন আচরণে 'দুঃখ পেয়েছি' বলে জানালেন ছেলে সিরাজুল৷ তাঁর কথায়, 'এক
বাড়িতে থাকলেও বাবার কাছ থেকে কোনও সুবিধে নিই না৷ স্বামী-স্ত্রী টিউশনি করে পেট চালাই৷ আদর্শগত তফাতের জন্য বাবা এ রকম
হাটে বাজারে লিফলেট ছাপিয়ে সম্পর্কচ্ছেদ করার কথা ঘোষণা করবেন, ভাবতে পারিনি৷'
কিন্তু দলীয় নেতৃত্ব কি সত্যিই পারেন এ রকম হিটলারি ফতোয়া জারি করতে? বোলপুরের সিপিএম সাংসদ রামচন্দ্র ডোমের কথায়, 'ঘটনাটা
প্রকাশ্যে আসার পর দলের তরফেই এ রকম নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ তা না করা হলে জনসাধারণের কাছে ভুল বার্তা যেত৷ আমাদের কর্মী
গোলাম কুদ্দুসের সঙ্গে ওঁর ছোট বৌমা বা ছেলের যে কোনও সম্পর্ক নেই সেটা আনুষ্ঠানিক ভাবে না জানালে জনসাধারণের মধ্যে প্রতিক্রিয়ার
সৃষ্টি হতে পারত৷ তাই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷' বীরভূমের কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক মিল্টন রশিদ অবশ্য বলেন, 'রাজনৈতিক মতাদর্শ ভিন্ন বলে সম্পর্ক রাখবে না, এ আবার কী রকম? খুবই দুঃখজনক ঘটনা৷'
No comments:
Post a Comment