Twitter

Follow palashbiswaskl on Twitter

Memories of Another day

Memories of Another day
While my Parents Pulin babu and Basanti devi were living

Saturday, June 15, 2013

নীরব সুশীল সমাজকে উপেক্ষা করে পথে নামছে বারাসতের তরুণ সমাজ

নীরব সুশীল সমাজকে উপেক্ষা করে পথে নামছে বারাসতের তরুণ সমাজ

নীরব সুশীল সমাজকে উপেক্ষা করে পথে নামছে বারাসতের তরুণ সমাজ
বারাসতে নারী নিগ্রহের প্রতিবাদে কামদুনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের মিছিল। ---অমর কর
অতনু দাস

'ওরা বঙ্গবিভূষণের ভারে ক্লান্ত, তাই ওদের ডাক শোনা পর্যন্ত অপেক্ষা করা যাবে না৷'
এমন তীব্র ব্যঙ্গের মুখে রাজ্যের সুশীল সমাজ, বিশেষ করে বারাসতের৷ ফেসবুকের ওয়ালে আছড়ে পড়ছে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিবাদ৷ সেখানেই
ডাক আসছে পথে নামার৷ সাড়াও মিলছে প্রচুর৷ সুশীল সমাজকে উপেক্ষা করে শনি এবং রবিবার ছাত্র-ছাত্রীরা পথে নামছে সেই ডাকে সাড়া
দিয়েই৷ কবি-শিল্পী-নাট্যকর্মীদের বড় অংশের নীরবতার বিরুদ্ধেও তাদের ক্ষোভ একাত্ম হচ্ছে৷ প্রশ্ন উঠছে, তাঁরাও কি দলদাস হয়ে যাচ্ছেন?
ওয়ালে উঠে আসছে কবীর সুমনের গান, 'সরকারি রঙে বিবেক মেখে শিল্পীরা হন বর্ণচোরা৷'

এই ফেসবুক প্রতিবাদের ধরন কী রকম? বারাসতের বাসিন্দা ডায়েটিশিয়ান তানিয়া দাস ফেসবুক ওয়ালে জানাচ্ছেন, তিনি এখন সকালে উঠে খবরের কাগজ পড়তে ভয় পান৷ বারবার বারাসতের মেয়েদের শরীর নিয়ে ছিনিমিনি খেলা দেখলে তাঁর বমি পায়৷ ভয়ে তিনি খবরের
চ্যানেল দেখাও বন্ধ করেছেন৷

আইএসআই-এর রামায়ণী চৌধুরীর গলায় তীব্র শ্লেষ, 'কোনও দিন স্বপ্নেও ভাবিনি আমার বাংলা দুষ্কর্মের অভয়ারণ্য হয়ে উঠবে৷' এর পরও
মুখ্যমন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতা কিংবা বুদ্ধিজীবীদের রবীন্দ্রনাথ আওড়াতে দেখে তাঁর ব্যঙ্গ, 'ইস্, যদি রবীন্দ্রনাথ জন্ম না নিতেন৷'
কারও কারও বুকে কষ্ট৷ বারাসতেরই বাসিন্দা, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সুদীপ্ত দাসের ওয়ালে সতর্কবাণী, 'বি অ্যাওয়ার অফ বারাসত...ইট বিকামস মোর ফিউরিয়াস দ্যান ব্লাডি ডগস৷' জনস্বরের পরিচালক প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওয়াল বলছে, 'মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি নারীর নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে৷' মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজের প্রাক্তন ছাত্র, সমাজকর্মী শ্যামল চট্টোপাধ্যায় একটি চিঠি পোস্ট করেছেন অপরাজিতার উদ্দেশে, 'জানি না, তোর নাম অপরাজিতা কি না৷ ....সবাই বিচ্ছিন্ন ভাবে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে৷ এক হওয়ার কোনও চেষ্টা নেই৷ আসলে নিজেকে মেলে ধরার বিকৃত প্রয়াস মাত্র৷ আমি এই ভণ্ডামিতে থাকতে রাজি নই৷'

প্রতিবাদের ভাষা জেলা আদালতের আইনজীবী পার্থপ্রতিম বিশ্বাসের ওয়ালেও৷ তিনি লিখছেন, 'পরিবর্তন নাকি আকাশভাঙা৷ বাংলা আজ রক্তে রাঙা৷' বারাসত সরকারি কলেজের ছাত্র মৃত্যুঞ্জয় দে-র ওয়ালে হতাশা ঝরে পড়ছে, 'মন ভালো নেই৷ বারাসতের পর আবার নদিয়া৷' অরীন বসু প্রশ্ন তুলেছেন, 'আমরা কি সুবিধাবাদী প্রতিবাদী? পথে নামার আগে রিস্ক ফ্যাক্টর বুঝে নিতে চাই?' জবাবে কলেজ-ছাত্র সুকান্ত
মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, 'দিল্লি-কাণ্ডের পর মহানগরীর প্রতিবাদটা যে ফ্যাশন শো ছিল, এ বার বোঝা গেল৷' শাশ্বতী মিত্রের ব্যঙ্গ, 'বারাসতের
ঘটনা বঙ্গবিভূষণদেরও মৌন করে দিয়েছে৷ তাঁরাও ভাষা হারিয়ে ফেলছেন৷' প্রায় একই মত ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র তুহিন দে-র, 'বঙ্গবিভূষণের বড্ড ভার৷ ওই ভার কাঁধে নিয়ে সুশীল সমাজের পক্ষে কলকাতা থেকে বারাসতের গ্রাম পর্যন্ত হাঁটা অসম্ভব৷' দত্তপুকুরের সন্দীপন ঘোষের বক্তব্য, 'মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে নানা যুক্তি মনে প্রশ্রয় পাচ্ছিল৷ আর মন মানছে না৷ জানোয়ারগুলির মৃত্যুদণ্ডই হওয়া উচিত৷' পুলিশও পারছে না সুশীল সমাজের এমন নীরবতাকে মেনে নিতে৷ রাজ্য পুলিশের এক অফিসার দেবাশিস চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়া, 'অসত্‍‌ লোকেদের কর্মকাণ্ডে সমাজ ধ্বংস হয় না, সমাজ ধ্বংস হয় ভালো মানুষের নিষ্ক্রিয়তায়৷'

সোশ্যাল নেটওয়ার্কে এমন প্রতিবাদের ঝড়ে শেষমেশ সুশীল সমাজকে উপেক্ষা করেই পথে নামার ডাক দিয়েছে বারাসতের তরুণ সমাজ৷ শহরের শিল্পী শুভ্রা বেহরা 'প্রোটেস্ট এগেনস্ট রেপ কেস অফ বারাসত' নামে একটি কমিউনিটি খুলেছেন ফেসবুকে৷ আগামী শনিবার বিকেলে তাঁরা বারাসত ডাকবাংলো মোড় থেকে মুখে কালো কাপড় বেঁধে হাঁটবেন বলে জানিয়েছেন৷ তাঁর দাবি, প্রায় চারশো জন মিছিলে সামিল হবেন৷

কাঙাল হরিনাথ লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরির পক্ষ থেকেও ওই দিনই বারাসত স্টেশন থেকে সাড়ে ৬ টায় মোমবাতি মিছিলের ডাক দেওয়া
হয়েছে৷ অধ্যাপকদের সংগঠন ওয়েবকুটা পথে নামছে শনিবার৷ দুপুর দুটোয় তাঁদের মিছিল বেরোবে কলেজ স্ট্রিট থেকে৷

No comments:

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...