এই সময়: ভোটে রাজ্য নির্বাচন কমিশনই শেষ কথা, কলকাতা হাইকোর্ট এই মর্মে রায় দেওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ করার ইঙ্গিত দিল তারা৷ কমিশনের এক কর্তা শুক্রবার বলেন, রাজ্য সরকার পর্যাপ্ত বাহিনী দিতে না-পারলে প্রথম দফার ভোটকেই তিন দফায় করার ভাবনাচিন্তা শুরু করেছেন তাঁরা৷ পাশাপাশি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা আসনগুলি সম্পর্কে জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচনী অফিসারদের রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন৷ কমিশন সূত্রের খবর, দফা বৃদ্ধির যে ভাবনা নিয়ে কমিশন এগোচ্ছে তাতে জেলাশাসকদের ওই রিপোর্ট বড় ভূমিকা নেবে৷ হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, কমিশন স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপ করছে কি না, আদালত সে দিকে নজর রাখবে৷ কমিশনের এক পদস্থ কর্তা বলেন, হিংসাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের প্রধান কারণ হলে দফা বৃদ্ধির ব্যাপারে আদালতের কাছেও কমিশন স্বচ্ছতার পরিচয় দিতে পারবে৷ তবে একটি প্রশাসনিক প্রশ্নও রয়েছে৷ দফা বাড়াতে ভোটের নির্ঘণ্টই নতুন করে ঘোষণা করতে হবে৷
নিরাপত্তা বাহিনী কতটা পাওয়া যাবে সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চেয়ে শুক্রবারই রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছে কমিশন৷ বাহিনীর বিষয়ে এ দিন মহাকরণে দীর্ঘ বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শুক্রবার রাতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে বলেন, প্রথম দফায় কত বাহিনী নিরাপত্তা বাহিনী পাওয়া যাবে, রাজ্য সরকার কবে তা দিতে পারবে সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট জবাব চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে৷ মনোনয়ন পর্বে রাজ্য সরকার যে প্রতিশ্রুতিমতো বাহিনী দিতে পারেনি, চিঠিতে সে কথাও জানানো হয়েছে৷ রাজ্য সরকারের জবাব পাওয়ার পরই কমিশন পরবর্তী পদক্ষেপ করবে৷ কমিশন সূত্রে বলা হয়েছে, বিহারে অতীতে ছয় এবং দশ দফায় ভোট হয়েছে৷ পশ্চিমবঙ্গেও বিহার মডেল অনুসরণ করা হবে কি না, জানতে চাওয়া হলে মীরা পাণ্ডে বলেন, 'বাহিনী নিয়ে সরকারের জবাব না পাওয়া পর্যন্ত আমরা কিছুই বলতে পারব না৷' কমিশন জানিয়েছে, সরকারকে বলা হচ্ছে, ভোটে কত নিরাপত্তা বাহিনী পাওয়া যাবে সে ব্যাপারে সরকার স্পষ্ট জবাব দিক৷
শেষ পর্যন্ত বাহিনীর অভাবে কমিশন প্রথম দফার ভোটকেই ভেঙে তিন দফায় করার সিদ্ধান্ত নিলে তা হবে এক নজিরবিহীন পদক্ষেপ৷ অতীতে কোনও নির্বাচনে এর নজির নেই৷ ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বাহিনী না পেলে কমিশনের পক্ষে এমন অভাবনীয় পদক্ষেপ করা ছাড়া উপায় নেই৷ অবাধ ভোটের লক্ষ্যে ১৯৯৪ সালের রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং ২০০৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন আইনে কমিশনকে পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে৷ আর বৃহস্পতিবারই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সংবিধানের ২৪৩ (কে) অনুচ্ছেদের উল্লেখ করে জানিয়ে দিয়েছে, ভোটের ব্যাপারে কমিশনই শেষ কথা৷ কমিশনের আপত্তি উপেক্ষা করেই রাজ্য সরকার প্রথম দফায় নয়টি জেলায় ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়৷ ঘটনাচক্রে প্রথম দফার নয় জেলা দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, হাওড়া, হুগলি ও বর্ধমানেই সন্ত্রস্ত এলাকা বেশি৷
এ দিকে, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী প্রথম দফায় ভোটের ন'টি জেলায় শাসকদল তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় গ্রাম পঞ্চায়েতে ৪৪৬৮টি আসনে জিতে গিয়েছে৷ পঞ্চায়েত সমিতিতে তাদের জয় হয়েছে ৭৩০টি আসনে৷ হুগলিতে ছয়টি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় দু'টি জেলা পরিষদও জিতে গিয়েছে তারা৷ হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বর্ধমান, দুই মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়া-এই ছ'টি জেলায় ৩৯টি ব্লকে অস্বাভাবিক এই জয়ের কারণ খতিয়ে দেখে জেলাশাসকদের দ্রুত রিপোর্ট দিতে বলেছে নির্বাচন কমিশন৷ তবে এখনই বিজয়ীদের সার্টিফিকেট আটকানো বা স্বীকৃতি না-দেওয়ার কথা অবশ্য এখনই ভাবছে না তারা৷
নিরাপত্তা বাহিনী কতটা পাওয়া যাবে সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চেয়ে শুক্রবারই রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছে কমিশন৷ বাহিনীর বিষয়ে এ দিন মহাকরণে দীর্ঘ বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শুক্রবার রাতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে বলেন, প্রথম দফায় কত বাহিনী নিরাপত্তা বাহিনী পাওয়া যাবে, রাজ্য সরকার কবে তা দিতে পারবে সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট জবাব চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে৷ মনোনয়ন পর্বে রাজ্য সরকার যে প্রতিশ্রুতিমতো বাহিনী দিতে পারেনি, চিঠিতে সে কথাও জানানো হয়েছে৷ রাজ্য সরকারের জবাব পাওয়ার পরই কমিশন পরবর্তী পদক্ষেপ করবে৷ কমিশন সূত্রে বলা হয়েছে, বিহারে অতীতে ছয় এবং দশ দফায় ভোট হয়েছে৷ পশ্চিমবঙ্গেও বিহার মডেল অনুসরণ করা হবে কি না, জানতে চাওয়া হলে মীরা পাণ্ডে বলেন, 'বাহিনী নিয়ে সরকারের জবাব না পাওয়া পর্যন্ত আমরা কিছুই বলতে পারব না৷' কমিশন জানিয়েছে, সরকারকে বলা হচ্ছে, ভোটে কত নিরাপত্তা বাহিনী পাওয়া যাবে সে ব্যাপারে সরকার স্পষ্ট জবাব দিক৷
শেষ পর্যন্ত বাহিনীর অভাবে কমিশন প্রথম দফার ভোটকেই ভেঙে তিন দফায় করার সিদ্ধান্ত নিলে তা হবে এক নজিরবিহীন পদক্ষেপ৷ অতীতে কোনও নির্বাচনে এর নজির নেই৷ ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বাহিনী না পেলে কমিশনের পক্ষে এমন অভাবনীয় পদক্ষেপ করা ছাড়া উপায় নেই৷ অবাধ ভোটের লক্ষ্যে ১৯৯৪ সালের রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং ২০০৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন আইনে কমিশনকে পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে৷ আর বৃহস্পতিবারই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সংবিধানের ২৪৩ (কে) অনুচ্ছেদের উল্লেখ করে জানিয়ে দিয়েছে, ভোটের ব্যাপারে কমিশনই শেষ কথা৷ কমিশনের আপত্তি উপেক্ষা করেই রাজ্য সরকার প্রথম দফায় নয়টি জেলায় ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়৷ ঘটনাচক্রে প্রথম দফার নয় জেলা দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, হাওড়া, হুগলি ও বর্ধমানেই সন্ত্রস্ত এলাকা বেশি৷
এ দিকে, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী প্রথম দফায় ভোটের ন'টি জেলায় শাসকদল তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় গ্রাম পঞ্চায়েতে ৪৪৬৮টি আসনে জিতে গিয়েছে৷ পঞ্চায়েত সমিতিতে তাদের জয় হয়েছে ৭৩০টি আসনে৷ হুগলিতে ছয়টি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় দু'টি জেলা পরিষদও জিতে গিয়েছে তারা৷ হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বর্ধমান, দুই মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়া-এই ছ'টি জেলায় ৩৯টি ব্লকে অস্বাভাবিক এই জয়ের কারণ খতিয়ে দেখে জেলাশাসকদের দ্রুত রিপোর্ট দিতে বলেছে নির্বাচন কমিশন৷ তবে এখনই বিজয়ীদের সার্টিফিকেট আটকানো বা স্বীকৃতি না-দেওয়ার কথা অবশ্য এখনই ভাবছে না তারা৷
No comments:
Post a Comment