Twitter

Follow palashbiswaskl on Twitter

Memories of Another day

Memories of Another day
While my Parents Pulin babu and Basanti devi were living

Tuesday, June 11, 2013

বেলাগাম উচ্চাকাঙ্ক্ষায় হাস্যাস্পদ আদবানি রাজেশ কালরা

বেলাগাম উচ্চাকাঙ্ক্ষায় হাস্যাস্পদ আদবানি


ল্যুটিয়েন্স দিল্লি ছেয়ে গিয়েছে লালকৃষ্ণ আদবানির ইস্তফাপত্রে৷ দেওয়ালে দেওয়ালে পোস্টারের আকারে ছয়লাপ৷ মূলত যে অংশে আদবানি লিখেছেন, 'সাম্প্রতিক কিছুকাল ধরে দল যে ধরনের কার্যক্রম নিচ্ছে, বা যে পথে চলছে, তার সঙ্গে একমত হওয়াটা আমার পক্ষে কঠিন বলে মনে হচ্ছে৷ ডক্টর মুখার্জি, দীন দয়ালজি, নানাজি এবং বাজপেয়ীজি এই আদর্শবাদী দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন৷ কিন্তু তার সঙ্গে আজকের দলটির কোনও মিল আমি অনুভব করি না৷ ওই নেতাদের আগ্রহের মূলে ছিল এই দেশ এবং জনসাধারণ৷ কিন্তু বর্তমানে আমাদের দলের বেশির ভাগ নেতারই উদ্দেশ্য, ব্যক্তিগত ফায়দা তোলা…', সেই অংশটির উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে৷ 

কেউ যদি ভেবে থাকেন, প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিলকুল ওয়াকিবহাল না হয়ে আদবানি এ সব কথাবার্তা লিখেছেন এবং তা প্রকাশ্যে এনেছেন, তা হলে সেটা নিপাট নির্বুদ্ধিতা৷ রাজনৈতিক মহলে এর কী প্রতিক্রিয়া হতে পারে, তা বোঝার মতো চাতুর্য তাঁর পর্যাপ্ত রয়েছে৷ আর এতেই অনেকে যারপরনাই আশ্চর্য হয়েছেন৷ কেননা, বলতে বাধা নেই, আদবানি রেগেমেগে যে সব অভিযোগ এনেছেন, সেগুলির অধিকাংশই তাঁর ক্ষেত্রে অনেক বেশি করে প্রযোজ্য৷ 

যা পরিস্থিতি তাতে উনি হতে পারতেন একজন বর্ষীয়ান রাজনীতিক, সেই উচ্চতার এমন এক নেতা, দলের সর্বস্তরে এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের কাছে যাঁর গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নাতীত৷ কিন্তু তেমনটা হল কোথায়? সম্প্রতি এমন কিছু কাজ করে বসলেন যাতে নিজেই নিজেকে হাস্যাস্পদ করে তুললেন৷ দলের কাছে, হয়তো নিজের কাছেও৷ নীতিতে অনড়, আপসহীন- এই ছিল তাঁর ভাবমূর্তি৷ অন্তত মৌখিক ভাবে ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষার আগে দেশের স্বার্থকে ঠাঁই দিতেন৷ মনে করতেন, দলের সেবাই সর্বশ্রেষ্ঠ কাজ৷ হায়! সবই ভুললেন তিনি৷ হয়তো এমনই হয় যখন উচ্চাকাঙ্ক্ষা লাগামছাড়া ঘোড়ার মতো দৌড়তে শুরু করে৷ কিন্ত্ত যা-ই হোক, ফল একই--পরিবারের অস্বস্তি আর পড়শির উপাদেয় 'খাদ্য'৷ যুক্তিকে অগ্রাহ্য করে, দেওয়াল লিখনকে উপেক্ষা করে, বাজনদাররা যা বোঝায়, তা-ই বোঝেন৷ ভ্রান্তির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়াটা এই অবস্থায় স্বাভাবিক৷ 

যাঁরা বিজেপি'র রাজনীতিকে খুব কাছ থেকে দেখছেন, তাঁদের কাছে শীর্ষ নেতৃত্বের মনোভাব স্পষ্ট৷ তাঁরা সকলেই একবাক্যে নরেন্দ্র মোদীকে সামনে রেখে লোকসভা নির্বাচনে লড়ার পক্ষপাতী৷ একাহাতে মোদীই তাঁদের চাঙ্গা করতে পেরেছেন৷ ব্যতিক্রম কেবল আদবানিই৷ তিনি ও তাঁর অনুচরেরা এই বাস্তবটাই উপলব্ধি করতে চাননি বা পারেননি৷ মোদীর উত্থানে বিজেপি'র অনেকের গায়েই ফোস্কা পড়েছে৷ কিন্তু তাঁরা আদবানির মতো নন, বাস্তববাদী৷ দেওয়াল লিখন পড়তে পেরেছেন, তাই মুখ বুজে আছেন৷ আদবানি পারলেন না৷ 

একটা জায়গায় গিয়ে আদবানির প্রতি হয়তো সমবেদনা আসে৷ কারণ, রথযাত্রার ধ্বজা উড়িয়ে বিজেপি'কে সামনের সারিতে নিয়ে আসার কৃতিত্বটা যে তাঁরই ছিল৷ আমি নিশ্চিত, তিনি মাঠে নেমে চাষ করলেন আর ক্ষীর খেলেন বাজপেয়ী, এই যন্ত্রণাটা কোথাও না কোথাও তাঁকে আজও বিদ্ধ করে৷ যাঁরা ওয়াকিবহাল, তাঁরা ভালোই জানেন, মুখে মিষ্টি আচরণ করলেও, বাজপেয়ীর উত্থানে আদবানি কখনোই সন্তুষ্ট হননি৷ বিশেষ করে তাঁর গড়ে দেওয়া পথ বেয়ে বাজপেয়ী দিল্লির তখ্‌ত আলো করে বসলেন, অনিচ্ছা সত্ত্বেও এই তেতো বড়ি গলাদ্ধকরণ করতে হয়েছিল আদবানিকে৷ কিন্তু এটাই যে রাজনীতি! প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কথাই ধরা যাক৷ অর্থমন্ত্রী হিসেবে একসময়ে মনমোহন সিংয়ের 'বস' ছিলেন৷ কিন্তু মনমোহন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সেই অধস্তনের কাছেই তাঁকে রিপোর্ট করতে হত৷ আবার প্রণববাবু রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর এখন অন্য 'সম্পর্ক'৷

rajesh%20kalra%20modi%20advani.jpg



একজন চূড়ান্ত সফল কূটনীতিক ও সর্বজনগ্রাহ্য রাজনীতিক হওয়ার যাবতীয় উপাদানই ছিল আদবানির মধ্যে৷ পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি, সুবক্তা৷ বাবরি মসজিদ নামক কলঙ্কের দাগ গায়ে থাকলেও, লোকে তাঁকে সম্ভ্রম করত৷ কিন্তু এই একটি কীর্তি করে তিনি সে সব জলাঞ্জলি দিলেন৷ সংবাদমাধ্যমে নেতারা যে সব বিবৃতি দিচ্ছেন, তাতে মনে হতে পারে যে, আদবানির মানভঞ্জনে তাঁরা কতই না আন্তরিক৷ কিয়দংশে যা সঠিকও৷ কিন্তু বিজেপি'র অন্দরমহলে যাঁদের নিত্যি যাতায়াত, তাঁরা বোঝেন যে নেতানেত্রীদের অনেকেই হাঁফ ছাড়ছেন অন্তত এই ভেবে যে, যাক! শেষ পর্যন্ত বার্তাটা পাঠানো গিয়েছে৷ 

এই বার্তা তাঁর কাছে পৌঁছেছে কি না, বলা কঠিন৷ কিন্তু মোদীর উত্থানে দলের ক্যাডারদের মধ্যে যে উত্‍‌সাহের জোয়ার এসেছিল, আদবানির ইস্তফায় সে বেলুন এক ঝটকায় চুপসে গিয়েছে৷ সে বেলুন আপাতত বিরোধী, অর্থাত্‍‌ কংগ্রেস শিবিরে৷ মোদীকে সামাল দেওয়ার স্ট্র্যাটেজি নিয়ে মাথা ঘামানোর পরিবর্তে এখন কংগ্রেস শিবিরে 'সারপ্রাইজ পার্টি'৷ 

আর এ সব দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় বইবে না, তা-ও হয়? কিছু টুইট তো রীতিমতো উচ্চগ্রামের কৌতুক৷ শশী থারুর টুইট করেছিলেন, RT @Shashi Tharoor…'ইন কংগ্রেস, আওয়ার লিডার্স ডেফার টু ইচ আদার অ্যান্ড নট ডিফার উইথ ইচ আদার'৷ তার জবাব এসেছে, @hguptapolicy: 'ডিড নট নো সনিয়া গান্ধী চেঞ্জড হার নেম টু 'ইচ আদার'…

রাজেশ কালরা টুইটারে ফলো করুন।

ব্লগের কোনও লেখার দায় এই সময়-এর নয়। প্রতিটি ব্লগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব।

http://blogs.eisamay.indiatimes.com/rajeshkalra/entry/modi-advani-face-off

No comments:

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...