গুড়গাঁও: বস্তারের গরবা ঘাঁটির মাওবাদী হামলায় শরীর ফুঁড়ে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি ঘাতক বুলেট৷ তখনই মাথাচাড়া দিয়েছিল আশঙ্কাটা, অশীতিপর শরীর এই আঘাত সইতে পারবে তো? সন্দেহটা সত্যি হল৷ দু'সপ্তাহেরও বেশি লড়াই করে লড়াই ছাড়লেন বিদ্যাচরণ শুক্লা৷ গুড়গাঁওয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মঙ্গলবার দুপুর ২টো ৩৮ মিনিটে প্রয়াত হলেন ৮৪ বছরের এই কংগ্রেসি রাজনীতিবিদ৷
গুঁড়গাওয়ের ওই হাসপাতালের তরফে জারি করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শুক্লার অন্ত্র এবং যকৃতে কয়েকটি অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল৷ সঙ্কটজনক থাকায় আইসিইউ-তে রাখা হয়েছিল৷ ছিলেন ভেন্টিলেশনে৷ হাসপাতালে আনার সময় তাঁর ছাতি, পেট এবং থাইয়ে বুলেটের আঘাত ছিল৷ এর জেরেই মাল্টি অর্গান ফেলিয়োর হয়ে মারা গেলেন শুক্লা৷
বস্তারের মাওবাদী হামলায় গুরুতর আহত শুক্লার শরীর থেকে বুলেটগুলি বের করার জন্য অস্ত্রোপচার হয়েছিল জাগদালপুরের সরকারি হাসপাতালে৷ সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে পরের দিন অর্থাত্ ২৬ মে তাঁকে আনা হয়েছিল গুঁড়গাওয়ের ওই বেসরকারি হাসপাতালে৷ সেখানে চিকিত্সায় সাড়াও দিয়েছিলেন৷ গত সপ্তাহে তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতিও হয়৷ দিন কয়েক আগে ফের সংক্রমণ ছড়ায়৷ মূলত এই সংক্রমণ তাঁর শরীর সইতে পারেনি বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররা৷ প্রয়াত এই রাজনীতিবিদের স্ত্রী এবং তিন মেয়ে রয়েছে৷
বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডে-সহ রাজনীতির জগতের সহকর্মীরা৷ ছত্তিসগড়ের ওই মাওবাদী হামলার কড়া ভাষায় নিন্দে করেছেন শিন্ডে৷ শোকজ্ঞাপন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও৷ শোকজ্ঞাপন করেছেন ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোয়িশনের কার্যকরী সভাপতি বিজয়কুমার মালহোত্রাও৷ তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে ছত্তিসগড় সরকার৷
বিদ্যাচরণ শুক্লার রাজনৈতিক জীবনটা কিন্ত্ত বেশ বর্ণময়৷ জরুরি অবস্থার সময় ইন্দিরা গান্ধী মন্ত্রিসভায় তথ্য এবং সম্প্রচারমন্ত্রী হিসেবে কঠোর হাতে মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়টি তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য৷ কিশোর কুমার মুম্বইয়ের একটি কংগ্রেসের র্যালিতে গান গাইতে অস্বীকার করায়, দূরদর্শন এবং অল ইন্ডিয়া রেডিয়োয় তাঁর গান শোনানো পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলেন৷ ন'বার লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছেন তিনি৷ প্রথমবার নির্বাচিত হন ১৯৫৭ সালে, অবিভক্ত মহারাষ্ট্রের মহাসামুন্দ থেকে৷ ৮০-র দশকে বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কংগ্রেস ছেড়ে জনমোর্চায় যোগ দেন৷ ওই দলের হয়েই ১৯৮৯ সালের নির্বাচনে জেতেন তিনি৷ বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংয়ের মন্ত্রিসভায় মন্ত্রীও হন৷ পরে চন্দ্রশেখরের নেতৃত্বে জেডিএস সরকার গঠন হলে তিনি ওই দলে যোগ দেন৷ চন্দ্রশেখর সরকারেও বিদেশমন্ত্রী ছিলেন শুক্লা৷ তার পর অবশ্য কংগ্রেসে ফিরে আসেন তিনি৷ নরসিংহ রাও সরকারের সংসদ বিষয়ক এবং জলসম্পদমন্ত্রী ছিলেন তিনি৷
গুঁড়গাওয়ের ওই হাসপাতালের তরফে জারি করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শুক্লার অন্ত্র এবং যকৃতে কয়েকটি অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল৷ সঙ্কটজনক থাকায় আইসিইউ-তে রাখা হয়েছিল৷ ছিলেন ভেন্টিলেশনে৷ হাসপাতালে আনার সময় তাঁর ছাতি, পেট এবং থাইয়ে বুলেটের আঘাত ছিল৷ এর জেরেই মাল্টি অর্গান ফেলিয়োর হয়ে মারা গেলেন শুক্লা৷
বস্তারের মাওবাদী হামলায় গুরুতর আহত শুক্লার শরীর থেকে বুলেটগুলি বের করার জন্য অস্ত্রোপচার হয়েছিল জাগদালপুরের সরকারি হাসপাতালে৷ সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে পরের দিন অর্থাত্ ২৬ মে তাঁকে আনা হয়েছিল গুঁড়গাওয়ের ওই বেসরকারি হাসপাতালে৷ সেখানে চিকিত্সায় সাড়াও দিয়েছিলেন৷ গত সপ্তাহে তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতিও হয়৷ দিন কয়েক আগে ফের সংক্রমণ ছড়ায়৷ মূলত এই সংক্রমণ তাঁর শরীর সইতে পারেনি বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররা৷ প্রয়াত এই রাজনীতিবিদের স্ত্রী এবং তিন মেয়ে রয়েছে৷
বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার শিন্ডে-সহ রাজনীতির জগতের সহকর্মীরা৷ ছত্তিসগড়ের ওই মাওবাদী হামলার কড়া ভাষায় নিন্দে করেছেন শিন্ডে৷ শোকজ্ঞাপন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও৷ শোকজ্ঞাপন করেছেন ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোয়িশনের কার্যকরী সভাপতি বিজয়কুমার মালহোত্রাও৷ তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে ছত্তিসগড় সরকার৷
বিদ্যাচরণ শুক্লার রাজনৈতিক জীবনটা কিন্ত্ত বেশ বর্ণময়৷ জরুরি অবস্থার সময় ইন্দিরা গান্ধী মন্ত্রিসভায় তথ্য এবং সম্প্রচারমন্ত্রী হিসেবে কঠোর হাতে মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়টি তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য৷ কিশোর কুমার মুম্বইয়ের একটি কংগ্রেসের র্যালিতে গান গাইতে অস্বীকার করায়, দূরদর্শন এবং অল ইন্ডিয়া রেডিয়োয় তাঁর গান শোনানো পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলেন৷ ন'বার লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছেন তিনি৷ প্রথমবার নির্বাচিত হন ১৯৫৭ সালে, অবিভক্ত মহারাষ্ট্রের মহাসামুন্দ থেকে৷ ৮০-র দশকে বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কংগ্রেস ছেড়ে জনমোর্চায় যোগ দেন৷ ওই দলের হয়েই ১৯৮৯ সালের নির্বাচনে জেতেন তিনি৷ বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংয়ের মন্ত্রিসভায় মন্ত্রীও হন৷ পরে চন্দ্রশেখরের নেতৃত্বে জেডিএস সরকার গঠন হলে তিনি ওই দলে যোগ দেন৷ চন্দ্রশেখর সরকারেও বিদেশমন্ত্রী ছিলেন শুক্লা৷ তার পর অবশ্য কংগ্রেসে ফিরে আসেন তিনি৷ নরসিংহ রাও সরকারের সংসদ বিষয়ক এবং জলসম্পদমন্ত্রী ছিলেন তিনি৷
No comments:
Post a Comment