Twitter

Follow palashbiswaskl on Twitter

Memories of Another day

Memories of Another day
While my Parents Pulin babu and Basanti devi were living

Saturday, June 15, 2013

Fwd: [NAMASHUDRA BROTHERHOOD] সত্যি বলতে কি-- বর্ন প্রথার আদৌ কি কোনো দরকার আছে ?




সত্যি বলতে কি-- বর্ন প্রথার আদৌ কি কোনো দরকার...
Koushik Roy 12:18pm Jun 15
সত্যি বলতে কি-- বর্ন প্রথার আদৌ কি কোনো দরকার আছে ?

এ কথাটি চোখ বুজে ভাবলে শুধুই হাতড়ে বেড়াতে হবে । তাই চোখ মেলে এর স্বরূপকে উপলব্ধি করা আমাদের জ্ঞানের পক্ষে অত্যন্ত দরকার ।
কাউকে জন্ম থেকেই বলা হচ্ছে তুমি শূদ্র-শূদ্রাণী । আর এভাবেই প্রতিটি বর্নের মানুষের অধিকার ও কাজকে সীমায় নির্ধারিত করে দেয়া হচ্ছে । এটা কতোটা মানবিক হতে পারে ? এতে শূদ্র যাদের বলা হচ্ছে তাদের মানসিক ভাবে গোলাম বাঁ নীচ বানিয়ে রাখা হচ্ছে । যাতে করে সে আর মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে , সে ব্যাবস্থা করা হচ্ছে ।

একক প্রথা ও জাতিতে একতাবদ্ধ যে ধর্ম তাতে তো এরকম দেখা যায় না । আর সে জন্যই বোধয় ঐসকল ধর্মাবলম্বিরা আধুনিক সমাজ ব্যাবস্থার অনুসারী হয়ে এই হিন্দু ধর্মের থেকে অনেকগুণ বেশি উন্নতি লাভ করতে পেরেছে । এ উন্নতি জ্ঞান , মান ও আর্থিক তথা সার্বিক ।
সেই মধ্যযুগের ভারতের পৌরাণিক উদাহরণ দিয়ে বর্তমান কালে এটা প্রমাণ করানো হচ্ছে যে--- বর্ন ব্যাবস্থা জন্মে নয় বরং কর্মে ।
এর মানে কি ? এর মানে এই যে , বর্ন প্রথা আমাদের মানা উচিৎ ।

কিন্তু , ব্রাহ্মণ যদি কর্মেই নির্ধারিত হয়ে থাকে তাহলে আজ পর্যন্ত এই আধুনিক জগতের অবিভক্ত ভারতবর্ষের অস্পৃশ্য-নিচু কোনো জ্ঞানী ব্যাক্তিকে জ্ঞানের মর্যাদায় কেন ব্রাহ্মণ(পণ্ডিত) বলা হয় নি ? কই সেরকম তো কোন কিছু শোনা যায় নি !
কারণ , আমরা মানসিক ভাবে এটা মানতে কেউই প্রস্তুত নই যে --> কোনো শূদ্র এখন আর শূদ্র নেই , সে এখন ব্রাহ্মণ ।

আর , এরকম মানসিক পরিস্থিতির কারণ হচ্ছে --> বর্নবাদের মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া সমাজকে পেষণ করে বড়ো হবার Practice এবং একে সুদূরপ্রসারী করবার চেষ্টা <<- যা ব্রাহ্মণরা করেছে এতোদিন ধরে ।

কিন্তু আমি বুঝি না-- আমরা কেন আধুনিক জগতের সামাজিক নিয়মকে ও সমাজ-ব্যাবস্থাকে বাদ দিয়ে পৌরাণিক যুগের কথামত চলবো ? কিসের জন্যে ? কেন ? এর উত্তর অতি স্বাভাবিক-- পারলৌকিক সুখ ও মুক্তির জন্যে । ( যা সম্পূর্ন অযৌক্তিক ) ।

আমি এ কথা এ জন্যই বলছি যে , বর্নবাদকে ও ব্রাহ্মন্যবাদ না মানলে পুরো আধ্যাত্মিকতা নিয়ে টান পড়বেই । কেননা সবই এক সুত্রে গাঁথা । পৌরাণিক যুক্তি এ কথাই বলবে । প্রশ্ন তখন একটাই -- > আপনি কি ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন ? নাকি করেন না ?

সোজা কথায় , যদি ইন্দ্র নামক দেবতাকে কিংবা রাক্ষস ও দেবতায় যদি কেউ বিশ্বাস করেন , তবে তিনি indirectly ব্রাহ্মন্যবাদ তথা বর্নবাদকেও মানছেন । কারণ সবই এক সুত্রে গাঁথা ।
ধরুন আপনি বর্নবাদকে সমর্থন করছেন , অথচ >>পিছিয়ে পড়া সমাজকে পেষণ করে বড়ো হবার যে Practice<< এটাকে সমর্থন করছেন না । আপনার এ উপলব্ধিকে স্বাভাবিক ভাবে মানা গেলেও যুক্তি তক্কে মানা যায় না । মানা যায় না - এটা আমি বলবো না । বলবে পৌরাণিক হিন্দু গ্রন্থগুলোর কাহিনী ও যুক্তি । কারণ সবই এক সুত্রে গাঁথা । তাই , বর্নবাদের মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া সমাজকে পেষণ করে বড়ো হবার যে Practice - তাকে সমর্থন করতেই হবে ।
বহু কাল ধরে আমরা যতবারই এই ব্যাপারটা বুঝে মাথা তুলে দাঁড়াবার চেষ্টা করেছি ততোবারই আমাদের সোজা কথায় ভুলিয়ে ঐটিই বোঝাবার চেষ্টা করা হয়েছে যে -- বর্ন ব্যাবস্থা জন্মে নয় বরং কর্মে । কিন্তু এখন তবে বলতেই হয় যে , এটা আমাদের জন্য বিশ্বাস করা কঠিন হলেও সত্যি যে -- বর্ন ব্যাবস্থা কর্মে নয় বরং জন্মে ।

এ কথা বলার একটাই কারণ , আমরা কি ভাবছি তাতে আমাদের নজর দেয়া দরকার । directly বা indirectly সব দিক থেকেই যদি আমরা ব্রাহ্মন্যবাদকে বাঁ পায়ে ঠেলে দিয়ে মাথা তুলে দাঁড়াতে যাই তবে এটা অবশ্যই অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে আমরা পারলৌকিকতায় বিশ্বাস করবো না । কোনোভাবেই না ।

View Post on Facebook · Edit Email Settings · Reply to this email to add a comment.

No comments:

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...