বাসে আগুন, বেরোতে না পেরে জীবন্ত দগ্ধ ৪৪
হায়দারাবাদ: রাস্তার ডিভাইডারে ধাক্কা লেগে আগুন লেগে গেল বেঙ্গালুরু থেকে হায়দরাবাদ-গামী একটি ভলভো বাসে৷ স্বয়ংক্রিয় ভাবে বন্ধ দরজা খুলতে না পারায় বাসের মধ্যেই জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মারা গেলেন কমপক্ষে ৪৫ জন যাত্রী৷
বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ অন্ধ্রপ্রদেশের রাজধানী হায়দরাবাদ থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মহবুবনগরে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে৷ তবে বাসের চালক, ক্লিনার এবং পাঁচ জন যাত্রী কোনওক্রমে জ্বলন্ত বাসের জানলা গলে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন৷ মঙ্গলবার রাতে বেঙ্গালুরুর কালাসিপালিয়া এলাকা থেকে যাত্রা শুরু করে ভলভো বাসটি ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে হায়দরাবাদের দিকে আসছিল৷ সে সময় বাসে মোট ৪৯ জন যাত্রী ছিল বলে খবর৷
তদন্তকারী অফিসারদের কাছে বাসচালক জানিয়েছেন যে, ভোরের দিকে একটি গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়েই বাসটি রাস্তার ডিভাইডারে ধাক্কা মারে৷ এর জেরে বাসটির জ্বালানি ট্যাঙ্কে বিস্ফোরণ ঘটে সেটিতে আগুন লেগে যায়৷ বাসটির ভিতরেও আগুন ছড়াতে শুরু করলে যাত্রীরা বেরোবার জন্য দরজার কাছে জড়ো হন৷ কিন্ত্ত সে সময় ভলভো বাসটির স্বয়ংক্রিয় ভাবে চালিত দরজা কিছুতেই খোলা যায়নি৷ ফলে জ্বলন্ত বাসের মধ্যেই ৪৪ জন যাত্রীর অসহায় মৃত্যু ঘটে৷ পরে পুলিশকর্মী ও রাজস্ব আধিকারিকরা দেহ উদ্ধার করতে গিয়ে দেখেন, বাসের পিছন দিককার 'এমারজেন্সি এক্সিট'-এর দরজার কাছেই বেশির ভাগ মৃতদেহ পড়ে রয়েছে৷ মৃতদের মধ্যে আইবিএম, গুগ্ল-সহ কয়েকটি সফ্টওয়্যার সংস্থায় কর্মরত মোট পাঁচ জন ইঞ্জিনিয়ার রয়েছেন৷ রয়েছে দু'বছর ও দেড় বছর বয়সি দু'টি শিশুও৷ জানা গিয়েছে, ওই ইঞ্জিনিয়াররা নিজেদের পরিবারের সঙ্গে দিওয়ালি উদযাপনের উদ্দেশ্যেই হায়দরাবাদে আসছিলেন৷ বাসচালক জানিয়েছেন, বাসের একটি টায়ার ফেটে যাওয়ার ফলেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন তিনি৷ এই দাবি সত্যতা খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷
এই দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং৷ বুধবার নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শোকাতুর পরিবারগুলির প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন৷ পাশাপাশি, ঘটনায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে রাজ্যের অধিকারিকদের দ্রুত কাজে নামার নির্দেশ দিয়েছেন অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী কিরণকুমার রেড্ডি৷ অন্ধ্রের পরিবহন মন্ত্রী বত্সা সত্যনারায়ণ ঘোষণা করেছেন, নিহতদের পরিবারকে সরকারি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে৷ নিহতদের নাম ঠিকানার তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে প্রশাসন৷ মহবুবনগরের পুলিশ সুপার নগেন্দ্র কুমার বলেন, 'বেঙ্গালুরু থেকে বাসে ওঠা ২৯ জনের পরিচয় পাওয়া গিয়েছে৷ বাকি যাত্রীদের হিন্দুপুর ও অনন্তপুর থেকে বাসে ওঠানো হয়ে থাকতে পারে৷'
দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটি 'জব্বর ট্রাভেল্স' নামে এক বেসরকারি সংস্থার মালিকানাধীন ছিল৷ হায়দরাবাদ, মুম্বই এবং পুনেতে তাদের অফিস রয়েছে৷ সংস্থার কর্ণধার ইমতিয়াজ খানের কথায়, 'বাসের চালক কিন্ত্ত এ কাজে একেবারেই নতুন নন৷ তিনি খুব ক্লান্ত ছিলেন বলেও তো শুনিনি৷ যাত্রীদের ব্যবহূত কাপড়চোপড় এবং প্লাস্টিকের জিনিসপত্রে আগুন ধরে যাওয়ার ফলে দুর্ঘটনার মাত্রা আরও বেড়েছে মনে হচ্ছে৷' এই ঘটনা সম্পর্কে তদন্ত চালিয়ে দ্রুত রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য মহবুবনগরের জেলা কালেক্টর গিরিজা শঙ্কর এবং পুলিশ সুপার নগেন্দ্র কুমারকে নির্দেশ দিয়েছেন কিরণকুমার রেড্ডি৷ -সংবাদসংস্থা
বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ অন্ধ্রপ্রদেশের রাজধানী হায়দরাবাদ থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মহবুবনগরে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে৷ তবে বাসের চালক, ক্লিনার এবং পাঁচ জন যাত্রী কোনওক্রমে জ্বলন্ত বাসের জানলা গলে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন৷ মঙ্গলবার রাতে বেঙ্গালুরুর কালাসিপালিয়া এলাকা থেকে যাত্রা শুরু করে ভলভো বাসটি ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে হায়দরাবাদের দিকে আসছিল৷ সে সময় বাসে মোট ৪৯ জন যাত্রী ছিল বলে খবর৷
তদন্তকারী অফিসারদের কাছে বাসচালক জানিয়েছেন যে, ভোরের দিকে একটি গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়েই বাসটি রাস্তার ডিভাইডারে ধাক্কা মারে৷ এর জেরে বাসটির জ্বালানি ট্যাঙ্কে বিস্ফোরণ ঘটে সেটিতে আগুন লেগে যায়৷ বাসটির ভিতরেও আগুন ছড়াতে শুরু করলে যাত্রীরা বেরোবার জন্য দরজার কাছে জড়ো হন৷ কিন্ত্ত সে সময় ভলভো বাসটির স্বয়ংক্রিয় ভাবে চালিত দরজা কিছুতেই খোলা যায়নি৷ ফলে জ্বলন্ত বাসের মধ্যেই ৪৪ জন যাত্রীর অসহায় মৃত্যু ঘটে৷ পরে পুলিশকর্মী ও রাজস্ব আধিকারিকরা দেহ উদ্ধার করতে গিয়ে দেখেন, বাসের পিছন দিককার 'এমারজেন্সি এক্সিট'-এর দরজার কাছেই বেশির ভাগ মৃতদেহ পড়ে রয়েছে৷ মৃতদের মধ্যে আইবিএম, গুগ্ল-সহ কয়েকটি সফ্টওয়্যার সংস্থায় কর্মরত মোট পাঁচ জন ইঞ্জিনিয়ার রয়েছেন৷ রয়েছে দু'বছর ও দেড় বছর বয়সি দু'টি শিশুও৷ জানা গিয়েছে, ওই ইঞ্জিনিয়াররা নিজেদের পরিবারের সঙ্গে দিওয়ালি উদযাপনের উদ্দেশ্যেই হায়দরাবাদে আসছিলেন৷ বাসচালক জানিয়েছেন, বাসের একটি টায়ার ফেটে যাওয়ার ফলেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন তিনি৷ এই দাবি সত্যতা খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷
এই দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং৷ বুধবার নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শোকাতুর পরিবারগুলির প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন৷ পাশাপাশি, ঘটনায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে রাজ্যের অধিকারিকদের দ্রুত কাজে নামার নির্দেশ দিয়েছেন অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী কিরণকুমার রেড্ডি৷ অন্ধ্রের পরিবহন মন্ত্রী বত্সা সত্যনারায়ণ ঘোষণা করেছেন, নিহতদের পরিবারকে সরকারি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে৷ নিহতদের নাম ঠিকানার তালিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে প্রশাসন৷ মহবুবনগরের পুলিশ সুপার নগেন্দ্র কুমার বলেন, 'বেঙ্গালুরু থেকে বাসে ওঠা ২৯ জনের পরিচয় পাওয়া গিয়েছে৷ বাকি যাত্রীদের হিন্দুপুর ও অনন্তপুর থেকে বাসে ওঠানো হয়ে থাকতে পারে৷'
দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটি 'জব্বর ট্রাভেল্স' নামে এক বেসরকারি সংস্থার মালিকানাধীন ছিল৷ হায়দরাবাদ, মুম্বই এবং পুনেতে তাদের অফিস রয়েছে৷ সংস্থার কর্ণধার ইমতিয়াজ খানের কথায়, 'বাসের চালক কিন্ত্ত এ কাজে একেবারেই নতুন নন৷ তিনি খুব ক্লান্ত ছিলেন বলেও তো শুনিনি৷ যাত্রীদের ব্যবহূত কাপড়চোপড় এবং প্লাস্টিকের জিনিসপত্রে আগুন ধরে যাওয়ার ফলে দুর্ঘটনার মাত্রা আরও বেড়েছে মনে হচ্ছে৷' এই ঘটনা সম্পর্কে তদন্ত চালিয়ে দ্রুত রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য মহবুবনগরের জেলা কালেক্টর গিরিজা শঙ্কর এবং পুলিশ সুপার নগেন্দ্র কুমারকে নির্দেশ দিয়েছেন কিরণকুমার রেড্ডি৷ -সংবাদসংস্থা
No comments:
Post a Comment