মুকুল-চিদম্বরম আচমকা বৈঠকে নতুন জল্পনা
এই সময়, কলকাতা এবং নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের আচমকা বৈঠক ঘিরে জল্পনা শুরু হল দলের অন্দরে-বাইরে৷ মাত্র দশ দিন আগে দলের ২৮ জন সাংসদ মুকুলবাবুর নেতৃত্বে রাজ্যের প্রতি আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ নিয়ে চিদম্বরমের কাছে স্মারকলিপি দেন৷ তার পর বৃহস্পতিবার ফের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কেন মুকুলবাবুর বৈঠকের দরকার পড়ল, তা নিয়ে দলের ভিতরেই নানা প্রশ্ন উঠেছে৷
তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর, সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে দু'টি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি এবং এসএফআই-ও যে ভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে, তাতে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব রীতিমতো আতঙ্কিত৷ তাঁদের আশঙ্কা, ওই দুই সংস্থা অচিরেই তৃণমূলের কয়েকজন নেতা-মন্ত্রীকে জেরা করার জন্য ডাকতে পারে৷ বৃহস্পতিবার সকালেই মুকুলবাবু বেলা তিনটের সময় দেখা করার জন্য চিদম্বরমের অ্যাপয়েন্টমেন্ট চান৷ দলের ওই সূত্রটি বলছে, দলের নেতা-মন্ত্রীদের যাতে ইডি এবং এসএফআইও জেরা না-করে, তার আর্জি জানাতেই মুকুলবাবু কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন৷ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক সূত্রের খবর, মুকুলবাবু অর্থমন্ত্রীকে প্রস্তাব দিয়েছেন, একান্ত প্রয়োজন হলে ওই দুই তদন্তকারী সংস্থা যেন দলের নেতা-মন্ত্রীদের কাছে প্রশ্নাবলি পাঠিয়ে জবাব জেনে নেয়৷ মুকুলবাবু অবশ্য এই কথা মানতেই রাজি নন৷ চিদম্বরমের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'ইডি এবং এসএফআইও তাদের মতো করে সারদা-কাণ্ডের তদন্ত করছে৷ তাদের তদন্ত নিয়ে আমরা ভাবছি না৷ আপনারা বললেন, তাই জানলাম৷' মুকুলবাবুর দাবি, 'রাজ্যের দাবিদাওয়া নিয়ে কিছু বিষয় স্পষ্ট করার ব্যাপার ছিল৷ তাই দিল্লিতে এসেছি৷ অন্য কোনও বিষয়ে কথা হয়নি৷'
আজ শুক্রবারই রাজ্যের আর্থিক দাবি নিয়ে চিদম্বরমের সঙ্গে কথা বলতে দিল্লি আসছেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র৷ তার আগে ফের মুকুলবাবুকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে হল কেন? তৃণমূল নেতা বলেন, 'আগের বার আলোচনা করে কলকাতায় ফেরার পর আমাদের মনে হয়েছে, আরও কিছু বিষয়ের ব্যাখ্যা জরুরি ছিল৷ তাই এসেছি৷ রোজ রোজ তো আর ২৮ জন সাংসদকে নিয়ে আসা যায় না৷'
দলের সাসপেন্ড হওয়া সাংসদ কুণাল ঘোষ ইডি এবং এসএফআইও-র তদন্তকারী অফিসারদের জেরায় এবং পরে সাংবাদিকের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে সারদা-কাণ্ডে একের পর এক দলের নেতা-মন্ত্রীর নাম প্রকাশ্যে আনছেন, তাতে তৃণমূল নেতৃত্ব যথেষ্টই অস্বস্তিতে৷ কুণালবাবু আবার কবে কোন নেতার নাম জানাবেন, তা নিয়ে শাসকদলে আতঙ্কের আবহ তৈরি হয়েছে৷ তার উপর দলের আর এক বিদ্রোহী সাংসদ সোমেন মিত্র জানিয়েছেন, কালীপুজোর পর তিনি দল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেবেন৷ তাঁর স্ত্রী চৌরঙ্গির তৃণমূল বিধায়ক শিখা মিত্রও দল ছেড়ে কংগ্রেসে যাচ্ছেন বলে সোমেন শিবিরের দাবি৷ বৃহস্পতিবার সোমেনবাবু বলেন, 'আমি তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যাচ্ছি৷ তবে দিনক্ষণ এখনও ঠিক করিনি৷' তাঁর দাবি, কংগ্রেসে তিনি যথাযোগ্য মর্যাদাই পাবেন, যা তৃণমূলে পাচ্ছেন না৷ ইতিমধ্যে সোমেনবাবুর সঙ্গে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের কথাও হয়ে গিয়েছে৷
মিত্র দম্পতির সঙ্গে আরও এমএলএ-এমপি দল ছাড়বেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ তবে এই দম্পতি সাংসদ এবং বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েই কংগ্রেসে যাবেন, যাতে তৃণমূল নেতৃত্ব তাঁদের লোভী বলতে না পারেন৷ দল ছাড়ার পর সোমেনবাবুরা আরও কত কী বলবেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে, সেটাও দলের নেতৃত্বের একটা চিন্তার বিষয়৷ এর একটা বড় কারণ হল, সারদা-কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার আগেই সোমেনবাবু সারদা-সহ আরও নানা বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে চিঠি দিয়ে দলের বিরাগভাজন হয়েছিলেন৷
তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর, সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে দু'টি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি এবং এসএফআই-ও যে ভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে, তাতে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব রীতিমতো আতঙ্কিত৷ তাঁদের আশঙ্কা, ওই দুই সংস্থা অচিরেই তৃণমূলের কয়েকজন নেতা-মন্ত্রীকে জেরা করার জন্য ডাকতে পারে৷ বৃহস্পতিবার সকালেই মুকুলবাবু বেলা তিনটের সময় দেখা করার জন্য চিদম্বরমের অ্যাপয়েন্টমেন্ট চান৷ দলের ওই সূত্রটি বলছে, দলের নেতা-মন্ত্রীদের যাতে ইডি এবং এসএফআইও জেরা না-করে, তার আর্জি জানাতেই মুকুলবাবু কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন৷ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক সূত্রের খবর, মুকুলবাবু অর্থমন্ত্রীকে প্রস্তাব দিয়েছেন, একান্ত প্রয়োজন হলে ওই দুই তদন্তকারী সংস্থা যেন দলের নেতা-মন্ত্রীদের কাছে প্রশ্নাবলি পাঠিয়ে জবাব জেনে নেয়৷ মুকুলবাবু অবশ্য এই কথা মানতেই রাজি নন৷ চিদম্বরমের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'ইডি এবং এসএফআইও তাদের মতো করে সারদা-কাণ্ডের তদন্ত করছে৷ তাদের তদন্ত নিয়ে আমরা ভাবছি না৷ আপনারা বললেন, তাই জানলাম৷' মুকুলবাবুর দাবি, 'রাজ্যের দাবিদাওয়া নিয়ে কিছু বিষয় স্পষ্ট করার ব্যাপার ছিল৷ তাই দিল্লিতে এসেছি৷ অন্য কোনও বিষয়ে কথা হয়নি৷'
আজ শুক্রবারই রাজ্যের আর্থিক দাবি নিয়ে চিদম্বরমের সঙ্গে কথা বলতে দিল্লি আসছেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র৷ তার আগে ফের মুকুলবাবুকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে হল কেন? তৃণমূল নেতা বলেন, 'আগের বার আলোচনা করে কলকাতায় ফেরার পর আমাদের মনে হয়েছে, আরও কিছু বিষয়ের ব্যাখ্যা জরুরি ছিল৷ তাই এসেছি৷ রোজ রোজ তো আর ২৮ জন সাংসদকে নিয়ে আসা যায় না৷'
দলের সাসপেন্ড হওয়া সাংসদ কুণাল ঘোষ ইডি এবং এসএফআইও-র তদন্তকারী অফিসারদের জেরায় এবং পরে সাংবাদিকের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে সারদা-কাণ্ডে একের পর এক দলের নেতা-মন্ত্রীর নাম প্রকাশ্যে আনছেন, তাতে তৃণমূল নেতৃত্ব যথেষ্টই অস্বস্তিতে৷ কুণালবাবু আবার কবে কোন নেতার নাম জানাবেন, তা নিয়ে শাসকদলে আতঙ্কের আবহ তৈরি হয়েছে৷ তার উপর দলের আর এক বিদ্রোহী সাংসদ সোমেন মিত্র জানিয়েছেন, কালীপুজোর পর তিনি দল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেবেন৷ তাঁর স্ত্রী চৌরঙ্গির তৃণমূল বিধায়ক শিখা মিত্রও দল ছেড়ে কংগ্রেসে যাচ্ছেন বলে সোমেন শিবিরের দাবি৷ বৃহস্পতিবার সোমেনবাবু বলেন, 'আমি তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যাচ্ছি৷ তবে দিনক্ষণ এখনও ঠিক করিনি৷' তাঁর দাবি, কংগ্রেসে তিনি যথাযোগ্য মর্যাদাই পাবেন, যা তৃণমূলে পাচ্ছেন না৷ ইতিমধ্যে সোমেনবাবুর সঙ্গে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের কথাও হয়ে গিয়েছে৷
মিত্র দম্পতির সঙ্গে আরও এমএলএ-এমপি দল ছাড়বেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ তবে এই দম্পতি সাংসদ এবং বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েই কংগ্রেসে যাবেন, যাতে তৃণমূল নেতৃত্ব তাঁদের লোভী বলতে না পারেন৷ দল ছাড়ার পর সোমেনবাবুরা আরও কত কী বলবেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে, সেটাও দলের নেতৃত্বের একটা চিন্তার বিষয়৷ এর একটা বড় কারণ হল, সারদা-কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার আগেই সোমেনবাবু সারদা-সহ আরও নানা বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে চিঠি দিয়ে দলের বিরাগভাজন হয়েছিলেন৷
No comments:
Post a Comment