বিকল্প জোটের শুরুটা জমল না
নয়াদিল্লি: লক্ষ্য, ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলিকে এক করা, কিন্তু সে ফ্রন্ট আদৌ সফল হবে কি না, তার ইঙ্গিত প্রথম দিনের সম্মেলনে অন্তত মিলল না৷
তৃতীয় ফ্রন্ট গঠনের লক্ষ্যে আয়োজিত সম্মেলনে নীতীশ কুমার, মুলায়ম সিং যাদব-সহ চোদ্দটি দলের নেতাদের এক মঞ্চে আনতে পেরেছিলেন বামেরা৷ তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা আসেননি, তবে তাঁর লেখা ভাষণ পড়ে শুনিয়েছেন এআইএডিএমকে নেতা থাম্বিদুরাই৷ অনুপস্থিত তৃণমূল ও বিএসপি৷
বুধবার শুধুমাত্র সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রশ্নেই দলগুলি একজোট হয়েছিল৷ নেতৃত্ব নিয়ে যাতে বিতর্ক না হয়, তাই সম্মেলনের সভাপতি করা হয় ঐতিহাসিক ইরফান হাবিবকে৷ এ পর্যন্ত ঠিক পথেই এগোচ্ছিল, কিন্ত্ত নেতাদের বক্তৃতা শুরু হতেই স্পষ্ট হল দলগুলির বিরোধ৷ সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে একসঙ্গে কর্মসূচি নেওয়া বা আন্দোলন করা দূরে থাক, তাঁরা ব্যস্ত ছিলেন নিজেদের কৃতিত্ব জাহির করতে৷ নীতীশ কুমার ও বাবুলাল মারান্ডি ছাড়া কেউই ভবিষ্যতে এই মঞ্চকে টিকিয়ে রেখে কর্মসূচির ভিত্তিতে এগোনোর কথাও বললেন না৷
মুলায়ম সিং যাদব তো প্রথমেই ঘোষণা করে দিলেন, মঞ্চে যে ১৪টি দলের নেতারা আছেন, তার মধ্যে একমাত্র তিনিই সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আগাগোড়া লড়াই করছেন৷ তাঁকে শুধু বামপন্থীরা সাহায্য করেছে৷ অর্থাত্, নীতীশ, বিজেডি, জয়ললিতা, বাবুলাল মারান্ডি, অসম গণপরিষদ, মনপ্রীত বাদল সকলেই যে একসময় বিজেপির সঙ্গে ছিলেন তা বুঝিয়ে দিয়েছেন মুলায়ম৷ এ দিন তালকাটোরা স্টেডিয়ামে সবথেকে বেশি ভিড় জমিয়েছিলেন মুলায়মের সমর্থকেরাই৷ স্লোগান দিতে থাকা সমর্থকদের থামাতে মুলায়মকে বারকয়েক ধমকও দিতে হল৷ তাঁদের দাবি মানতে বাধ্য হলেন সঞ্চালক সীতারাম ইয়েচুরি৷ মুলায়মকে অনেক আগেই ভাষণ দিতে ডাকতে হল৷ তাঁদের 'নেতাজি'র ভাষণ শেষ হওয়ার পর তালকাটোরা অনেকটাই খালি হয়ে গেল৷
তবে মুজফফরনগরের দাঙ্গা এখনও মুলায়মের অস্বস্তির কারণ৷ তার জবাবদিহি দিয়ে জানালেন, তিনি এখন যে ব্যবস্থা নিয়েছেন, তাতে মুসলিমদের মনোবল কমবে না৷ কিন্ত্ত সিপিআই নেতা এ বি বর্ধন জানিয়ে দিলেন, দাঙ্গার পর যাঁরা ত্রাণশিবিরে আছেন, তাঁদের ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করুন মুলায়ম৷ নীতীশ আবার প্রথমেই বলে দিলেন, 'কোনও দাঙ্গা হলে জেলার ডিএম ও এসপি দায়ী হওয়া উচিত৷ তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷' একমাত্র নীতীশই এ দিন নরেন্দ্র মোদীর নাম না করে তাঁর সাম্প্রদায়িক কর্মসূচি, ফ্যাসিবাদী চরিত্র নিয়ে বলেছেন৷ অন্যরা কোথাও মোদীর নাম পর্যন্ত করেননি৷
থাম্বিদুরাইও জয়ললিতার যে ভাষণ পড়লেন, তাতে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের থেকে তামিলনাড়ুতে সরকার গরিবদের জন্য কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তার বিস্তারিত বর্ণনা ছিল৷ পিছিয়ে ছিলেন না দেবগৌড়াও৷ প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন কী করেছিলেন, সে কথা শোনালেন৷
বাবুলাল মারান্ডি বলেন, 'দেশের ৮০ শতাংশ গরিব, পিছিয়ে পড়া মানুষদের সমস্যা সমাধানের জন্য দলগুলি কী ভাবছে তা আগে বলতে হবে৷' প্রকাশ কারাটের দাবি, 'অন্য বিষয়ে দলগুলির মতবিরোধ থাকতে পারে, কিন্ত্ত সাম্প্রদায়িকতার বিরোধিতা নিয়ে সকলে একমত৷ কংগ্রেসের বিরুদ্ধেও একমাত্র কারাটের বক্তৃতাতেই সামান্য বিরোধিতা শোনা গিয়েছে, অন্যরা কংগ্রেসের নামও মুখে আনেননি৷এদিনের সম্মেলনে বাম নেতাদের সংখ্যাই ছিল বেশি৷ উপস্থিত ছিলেন বিমান বসু, ক্ষিতি গোস্বামী, দেবব্রত বিশ্বাস, অবনী রায়ের মতো নেতারা৷
তৃণমূল নেতা মুকুল রায় এ দিন এই সম্মেলন সম্পর্কে বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গ ও জাতীয় রাজনীতিতে সিপিএম এখন অপ্রাসঙ্গিক৷ নিজেদের দল রাখতে পারছে না, আবার তৃতীয় ফ্রন্টের কথা বলছে! লোকসভা ভোটের পর সিপিএম বিরল প্রজাতির প্রাণিতে পরিণত হবে৷'
তৃতীয় ফ্রন্ট গঠনের লক্ষ্যে আয়োজিত সম্মেলনে নীতীশ কুমার, মুলায়ম সিং যাদব-সহ চোদ্দটি দলের নেতাদের এক মঞ্চে আনতে পেরেছিলেন বামেরা৷ তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা আসেননি, তবে তাঁর লেখা ভাষণ পড়ে শুনিয়েছেন এআইএডিএমকে নেতা থাম্বিদুরাই৷ অনুপস্থিত তৃণমূল ও বিএসপি৷
বুধবার শুধুমাত্র সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রশ্নেই দলগুলি একজোট হয়েছিল৷ নেতৃত্ব নিয়ে যাতে বিতর্ক না হয়, তাই সম্মেলনের সভাপতি করা হয় ঐতিহাসিক ইরফান হাবিবকে৷ এ পর্যন্ত ঠিক পথেই এগোচ্ছিল, কিন্ত্ত নেতাদের বক্তৃতা শুরু হতেই স্পষ্ট হল দলগুলির বিরোধ৷ সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে একসঙ্গে কর্মসূচি নেওয়া বা আন্দোলন করা দূরে থাক, তাঁরা ব্যস্ত ছিলেন নিজেদের কৃতিত্ব জাহির করতে৷ নীতীশ কুমার ও বাবুলাল মারান্ডি ছাড়া কেউই ভবিষ্যতে এই মঞ্চকে টিকিয়ে রেখে কর্মসূচির ভিত্তিতে এগোনোর কথাও বললেন না৷
মুলায়ম সিং যাদব তো প্রথমেই ঘোষণা করে দিলেন, মঞ্চে যে ১৪টি দলের নেতারা আছেন, তার মধ্যে একমাত্র তিনিই সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আগাগোড়া লড়াই করছেন৷ তাঁকে শুধু বামপন্থীরা সাহায্য করেছে৷ অর্থাত্, নীতীশ, বিজেডি, জয়ললিতা, বাবুলাল মারান্ডি, অসম গণপরিষদ, মনপ্রীত বাদল সকলেই যে একসময় বিজেপির সঙ্গে ছিলেন তা বুঝিয়ে দিয়েছেন মুলায়ম৷ এ দিন তালকাটোরা স্টেডিয়ামে সবথেকে বেশি ভিড় জমিয়েছিলেন মুলায়মের সমর্থকেরাই৷ স্লোগান দিতে থাকা সমর্থকদের থামাতে মুলায়মকে বারকয়েক ধমকও দিতে হল৷ তাঁদের দাবি মানতে বাধ্য হলেন সঞ্চালক সীতারাম ইয়েচুরি৷ মুলায়মকে অনেক আগেই ভাষণ দিতে ডাকতে হল৷ তাঁদের 'নেতাজি'র ভাষণ শেষ হওয়ার পর তালকাটোরা অনেকটাই খালি হয়ে গেল৷
তবে মুজফফরনগরের দাঙ্গা এখনও মুলায়মের অস্বস্তির কারণ৷ তার জবাবদিহি দিয়ে জানালেন, তিনি এখন যে ব্যবস্থা নিয়েছেন, তাতে মুসলিমদের মনোবল কমবে না৷ কিন্ত্ত সিপিআই নেতা এ বি বর্ধন জানিয়ে দিলেন, দাঙ্গার পর যাঁরা ত্রাণশিবিরে আছেন, তাঁদের ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করুন মুলায়ম৷ নীতীশ আবার প্রথমেই বলে দিলেন, 'কোনও দাঙ্গা হলে জেলার ডিএম ও এসপি দায়ী হওয়া উচিত৷ তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷' একমাত্র নীতীশই এ দিন নরেন্দ্র মোদীর নাম না করে তাঁর সাম্প্রদায়িক কর্মসূচি, ফ্যাসিবাদী চরিত্র নিয়ে বলেছেন৷ অন্যরা কোথাও মোদীর নাম পর্যন্ত করেননি৷
থাম্বিদুরাইও জয়ললিতার যে ভাষণ পড়লেন, তাতে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের থেকে তামিলনাড়ুতে সরকার গরিবদের জন্য কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তার বিস্তারিত বর্ণনা ছিল৷ পিছিয়ে ছিলেন না দেবগৌড়াও৷ প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন কী করেছিলেন, সে কথা শোনালেন৷
বাবুলাল মারান্ডি বলেন, 'দেশের ৮০ শতাংশ গরিব, পিছিয়ে পড়া মানুষদের সমস্যা সমাধানের জন্য দলগুলি কী ভাবছে তা আগে বলতে হবে৷' প্রকাশ কারাটের দাবি, 'অন্য বিষয়ে দলগুলির মতবিরোধ থাকতে পারে, কিন্ত্ত সাম্প্রদায়িকতার বিরোধিতা নিয়ে সকলে একমত৷ কংগ্রেসের বিরুদ্ধেও একমাত্র কারাটের বক্তৃতাতেই সামান্য বিরোধিতা শোনা গিয়েছে, অন্যরা কংগ্রেসের নামও মুখে আনেননি৷এদিনের সম্মেলনে বাম নেতাদের সংখ্যাই ছিল বেশি৷ উপস্থিত ছিলেন বিমান বসু, ক্ষিতি গোস্বামী, দেবব্রত বিশ্বাস, অবনী রায়ের মতো নেতারা৷
তৃণমূল নেতা মুকুল রায় এ দিন এই সম্মেলন সম্পর্কে বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গ ও জাতীয় রাজনীতিতে সিপিএম এখন অপ্রাসঙ্গিক৷ নিজেদের দল রাখতে পারছে না, আবার তৃতীয় ফ্রন্টের কথা বলছে! লোকসভা ভোটের পর সিপিএম বিরল প্রজাতির প্রাণিতে পরিণত হবে৷'
No comments:
Post a Comment