গুগলের ডেটাবেস হ্যাক মার্কিন গোয়েন্দাদের
ওয়াশিংটন: বাঘে ছুঁলে নাকি ১৮ ঘা, আর স্নোডেন ছুঁলে? আপাতত তারই হিসেব চলছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার অন্দরে৷ এতদিন অভিযোগ তুলেছিল ফ্রান্স, স্পেন ও জার্মানির প্রশাসন, এ বার সেই দলে নাম লেখাল ইন্টারনেট জগতের অন্যতম শিরোমণি গুগলও৷ অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর৷ নজরদারি চালাতে গিয়ে গুগলের ডেটাবেস হ্যাক করেছেন মার্কিন গোয়েন্দারা৷
বাষিক ৫ হাজার কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি মূল্যের ব্যবসা করে মার্কিন বহুজাতিক সংস্থা গুগল৷ শেয়ার বাজারের নিরিখে আমেরিকার সেরা একশোটি সংস্থার মধ্যে অনায়াসে জায়গা পায় গুগল৷ এমন শক্তিশালী একটি সংস্থার তথ্যভাণ্ডারে চুরি? তা-ও নিছক সন্দেহের বশে. আপাতত এই নিয়েই তোলপাড় আন্তর্জাতিক বিশ্বে৷
আমেরিকার মাটিতে বসে কেউ রাষ্ট্রবিরোধী চক্রান্ত করছে কিনা তা জানার অধিকার রয়েছে মার্কিন প্রশাসনের৷ সেই মতো সরকারকে সাহায্যও করে গুগল ও ইয়াহু-র মতো বড় সংস্থারা৷ নজরদারির জন্য মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি (এনএসএ) তৈরি করেছিল 'প্রিজম' নামে একটি শক্তিশালী সফটওয়্যার৷
কিন্ত্ত মার্কিন ভূখণ্ডের বাইরে এমন নজরদারি একেবারেই আইনবিরুদ্ধ বলে জানিয়েছেন গুগলের কর্তারা৷ পুরো ঘটনার সূত্রপাত অবশ্য 'ওয়াশিংটন পোস্ট' কাগজে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে৷ মার্কিন কম্পিউটার বিেশেষজ্ঞ এডওয়ার্ড স্নোডেনই নাকি মার্কিন ওই সংবাদপত্রকে জানিয়েছেন খোদ 'ইন্টারনেট দৈত্য' গুগলের-ই ডেটাবেস হ্যাক করে ফেলেছেন মার্কিন গোয়েন্দারা৷
কী ভাবে চলছে গুগলের মতো বহুজাতিক সংস্থার ডেটা সেন্টারে হ্যাকিংয়ের কাজ? না, সাধারণ মানের হ্যাকাররা যা করে থাকেন অর্থাত্ সার্ভার হ্যাকিংয়ের পথে হাঁটেননি মার্কিন গোয়েন্দারা৷ স্নোডেন জানিয়েছেন, ওই পথে কাজ সারা খুব সহজ কাজ নয়৷ কারণ, গুগল বা ইয়াহু-র মতো সংস্থাগুলি তাদের সার্ভারকে এমন শত্রুর হাত থেকে বাঁচাতে উপযুক্ত ব্যবস্থাও নেয়৷
কিন্ত্ত ফাইবার অপ্টিকের মধ্যে দিয়ে যখন অজস্র তথ্য আদান-প্রদান করা হয়, তখনই সেই তথ্য চুরি করে নেয় এনএসএ৷ বহু ক্ষেত্রেই গুগলের সার্ভারে তথ্য পৌঁছানোর আগেই ডেটা সেন্টার থেকেই তথ্য তুলে নেয় এনএসএ৷ কতটা পরিমাণ তথ্য এমন ভাবে সরানো হয় নিয়মিত? প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে প্রতিদিন সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ রেকর্ড এমন বেআইনি পদ্ধতিতে হাতিয়ে নেওয়া হয়৷
কেবলমাত্র মার্কিনরাই নন, এই চুরিতে তাঁদের দোসরের ভূমিকা নিয়েছেন ব্রিটিশ গোয়েন্দারাও৷ গভর্নমেন্ট কমিউনিকেশন হেডকোয়ার্টার্স (জিসিএইচকিউ) গোয়েন্দাদের কাছে চুরির পর যাবতীয় তথ্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় 'মাস্কিউলার' নামে এক কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের সাহায্যে৷ এরপর সেই বিপুল পরিমাণ তথ্যের শ্রেণিবিভাগ করে তা বিভিন্ন বিভাগের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বিশ্লেষণের জন্য৷
গুগলের পক্ষ থেকে সংস্থার আইনজ্ঞ ডেভিড ড্রামন্ড জানিয়েছেন, তাঁর সংস্থা মার্কিন প্রশাসনকে কোনও তথ্য সরবরাহ করেনি৷ তবে, এমন যে হতে পারে তা তাঁরা আগেই আন্দাজ করেছিলেন৷ - সংবাদসংস্থা
বাষিক ৫ হাজার কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি মূল্যের ব্যবসা করে মার্কিন বহুজাতিক সংস্থা গুগল৷ শেয়ার বাজারের নিরিখে আমেরিকার সেরা একশোটি সংস্থার মধ্যে অনায়াসে জায়গা পায় গুগল৷ এমন শক্তিশালী একটি সংস্থার তথ্যভাণ্ডারে চুরি? তা-ও নিছক সন্দেহের বশে. আপাতত এই নিয়েই তোলপাড় আন্তর্জাতিক বিশ্বে৷
আমেরিকার মাটিতে বসে কেউ রাষ্ট্রবিরোধী চক্রান্ত করছে কিনা তা জানার অধিকার রয়েছে মার্কিন প্রশাসনের৷ সেই মতো সরকারকে সাহায্যও করে গুগল ও ইয়াহু-র মতো বড় সংস্থারা৷ নজরদারির জন্য মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি (এনএসএ) তৈরি করেছিল 'প্রিজম' নামে একটি শক্তিশালী সফটওয়্যার৷
কিন্ত্ত মার্কিন ভূখণ্ডের বাইরে এমন নজরদারি একেবারেই আইনবিরুদ্ধ বলে জানিয়েছেন গুগলের কর্তারা৷ পুরো ঘটনার সূত্রপাত অবশ্য 'ওয়াশিংটন পোস্ট' কাগজে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে৷ মার্কিন কম্পিউটার বিেশেষজ্ঞ এডওয়ার্ড স্নোডেনই নাকি মার্কিন ওই সংবাদপত্রকে জানিয়েছেন খোদ 'ইন্টারনেট দৈত্য' গুগলের-ই ডেটাবেস হ্যাক করে ফেলেছেন মার্কিন গোয়েন্দারা৷
কী ভাবে চলছে গুগলের মতো বহুজাতিক সংস্থার ডেটা সেন্টারে হ্যাকিংয়ের কাজ? না, সাধারণ মানের হ্যাকাররা যা করে থাকেন অর্থাত্ সার্ভার হ্যাকিংয়ের পথে হাঁটেননি মার্কিন গোয়েন্দারা৷ স্নোডেন জানিয়েছেন, ওই পথে কাজ সারা খুব সহজ কাজ নয়৷ কারণ, গুগল বা ইয়াহু-র মতো সংস্থাগুলি তাদের সার্ভারকে এমন শত্রুর হাত থেকে বাঁচাতে উপযুক্ত ব্যবস্থাও নেয়৷
কিন্ত্ত ফাইবার অপ্টিকের মধ্যে দিয়ে যখন অজস্র তথ্য আদান-প্রদান করা হয়, তখনই সেই তথ্য চুরি করে নেয় এনএসএ৷ বহু ক্ষেত্রেই গুগলের সার্ভারে তথ্য পৌঁছানোর আগেই ডেটা সেন্টার থেকেই তথ্য তুলে নেয় এনএসএ৷ কতটা পরিমাণ তথ্য এমন ভাবে সরানো হয় নিয়মিত? প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে প্রতিদিন সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ রেকর্ড এমন বেআইনি পদ্ধতিতে হাতিয়ে নেওয়া হয়৷
কেবলমাত্র মার্কিনরাই নন, এই চুরিতে তাঁদের দোসরের ভূমিকা নিয়েছেন ব্রিটিশ গোয়েন্দারাও৷ গভর্নমেন্ট কমিউনিকেশন হেডকোয়ার্টার্স (জিসিএইচকিউ) গোয়েন্দাদের কাছে চুরির পর যাবতীয় তথ্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় 'মাস্কিউলার' নামে এক কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের সাহায্যে৷ এরপর সেই বিপুল পরিমাণ তথ্যের শ্রেণিবিভাগ করে তা বিভিন্ন বিভাগের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বিশ্লেষণের জন্য৷
গুগলের পক্ষ থেকে সংস্থার আইনজ্ঞ ডেভিড ড্রামন্ড জানিয়েছেন, তাঁর সংস্থা মার্কিন প্রশাসনকে কোনও তথ্য সরবরাহ করেনি৷ তবে, এমন যে হতে পারে তা তাঁরা আগেই আন্দাজ করেছিলেন৷ - সংবাদসংস্থা
No comments:
Post a Comment