Twitter

Follow palashbiswaskl on Twitter

Memories of Another day

Memories of Another day
While my Parents Pulin babu and Basanti devi were living

Thursday, June 13, 2013

গেদের ধর্ষিতার দাদাকেও সেই চাকরির টোপ শাসকের

গেদের ধর্ষিতার দাদাকেও সেই চাকরির টোপ শাসকের

গেদের ধর্ষিতার দাদাকেও সেই চাকরির টোপ শাসকের
দীপশিখার মৃত্যুর প্রতিবাদে কৃষ্ণগঞ্জের উত্তরপাড়ায় স্কুলছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মিছিল।-----গৌতম ধোনি।
গেদে: আবারও চাকরির প্রলোভন৷
অপরাজিতার ভাইয়ের পরে দীপশিখার দাদা (সব নাম পরিবর্তিত)৷ নিরাপত্তা দিতে অপারগ প্রশাসনের নির্লজ্জ প্রস্তাব - সরকারি চাকরি
নিশ্চিত৷ কৃষ্ণগঞ্জের গেদে সীমান্তে ধর্ষিতা ও খুন হওয়া ছাত্রীর বাড়ি গিয়ে বুধবার এই আশ্বাসই দিলেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক তথা দলের
তফসিলি জাতি-উপজাতি বিষয়ক সেলের নেতা সুশীল বিশ্বাস৷ বারাসতে মৃত ছাত্রীর ভাইকে চাকরি দেওয়ার প্রস্তাবে ফুঁসে উঠেছিল তার
পরিবার৷ সে রকম অবশ্য কিছু ঘটেনি গেদেতে৷ কারণ, হতদরিদ্র দীপশিখার পরিবারে লোক বলতে ক্লাস টেনের ছাত্র তার দাদা এবং
মূক-বধির মা৷ তবে ক্লাস সেভেনের ছাত্রী দীপশিখাকে (নাম পরিবর্তিত) ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় বুধবার আরও এক জনকে গ্রেপ্তার করেছে
কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ৷ ধৃতের নাম ভরত পাহাড়িয়া৷ বাড়ি নদিয়ার হাঁসখালি থানার পিপুলবেড়িয়া গ্রামে৷ নিজের গ্রাম থেকেই এ দিন তাকে
ধরা হয়৷ মঙ্গলবার ধৃত বিমল সর্দারকে এ দিন আদালতে হাজির করানো হয়৷ বিচারক তাকে পাঁচ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন৷
গত মঙ্গলবার নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের গেদে সীমান্তে রাস্তার ধারে, বাঁশবন সংলগ্ন হলুদ খেতের মধ্যে পাওয়া যায় ক্লাস সেভেনের ছাত্রীর মৃতদেহ৷

গলার নলি কাটা, পোশাক বিস্রস্ত৷ গ্রেপ্তার করা হয় বিমল সর্দার নামে স্থানীয় এক যুবককে৷ পুলিশের দাবি, জেরায় বিমল স্বীকার করে, সে
এবং তার দুই বন্ধু মিলে ধর্ষণ করে খুন করেছে ওই ছাত্রীকে৷ স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য তাপস তরফদার বলেন, 'গ্রামবাসীর কাছে ধর্ষণ ও
খুনের কথা স্বীকার করে বিমল৷ তার পর তাকে উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়৷ উত্তেজিত গ্রামবাসীকে ঠেকানো যাচ্ছিল
না৷ পুলিশ এসে বিমলকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়৷' সেই রাতে গেদের সর্দারপাড়াতেও (এটি অভিযুক্ত বিমল সর্দারের পাড়া) ক্ষুব্ধ
জনতার রোষে গ্রামছাড়া হতে হয় বিমলের পড়শিদের৷ পরে অবশ্য পুলিশ সেখানে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে৷

এ দিকে, বুধবার দীপশিখার স্কুল-সহ এলাকার চারটি স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক শিক্ষিকারা প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করেন উত্তরপাড়া
গ্রামে৷ এই পদচারণায় সামিল হন এলাকার সাধারণ মানুষও৷ তবে দীপশিখার পরিবারের কেউ মিছিলে সামিল হননি৷ উত্তরপাড়ার ছোট্ট
বাড়িটাতে এ দিনও যেন স্তব্ধ হয়েছিল শোক৷ দীপশিখার বাবা নেই৷ মা মূক-বধির৷ কিন্তু কথা না বলেও যেন অনেক কিছু বলে ফেলছিলেন
শোকাহত মা৷ বারবার অস্ফূট কান্নায় ভেঙে পড়ে মাটিতে মাথা ঠুকছেন আর আঙুল দেখাচ্ছেন বাঁশবাগানের ধারে হলুদ খেতের দিকে, যেখান থেকে এক দিন আগেই মিলেছে তাঁর আদরিণীর নিথর দেহ৷ বাড়িতে ভিড়৷ সমবেদনা জানাতে জড়ো হয়েছেন আত্মীয়-পরিজন-গ্রামবাসী৷ তাঁদের দিকে তাকিয়ে নিঃশব্দে ফেরত চাইছেন একমাত্র মেয়েটাকে৷

দীপশিখার স্কুল বিদ্যাসাগর মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের প্রধানশিক্ষক শ্যামল নাথ এ দিন বলেন, 'দীপশিখার ঘটনাটা আমরা মেনে নিতে পারিনি৷
এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না যে মেয়েটাকে সোমবারও ক্লাস করতে দেখেছি, সে আজ নেই৷ ওর স্মরণেই আজ গ্রামে মিছিল করেছি
আমরা৷ ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক শিক্ষিকা এমনকী সাধারণ মানুষও স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এই মিছিলে যোগ দেন৷ মুখে কালো কাপড় বে‌ধেঁ মিছিলে হেঁটেছেন অনেকে৷' এ দিন বিকেলে নদিয়ার জেলাশাসক পি বি সেলিম দীপশিখার বাড়িতে যান৷ শোকার্ত পরিজনদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন৷ দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির আশ্বাসও দেন৷ নদিয়ার ডেপুটি পুলিশ সুপার দিব্যজ্যোতি দাস বলেন, 'ধৃত বিমল আর ভরতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে৷ খুব শীঘ্রই তৃতীয় অভিযুক্তকেও গ্রেপ্তার করা হবে৷ বিমল জানিয়েছে, তার জামাইবাবু বিশু সর্দার এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত৷ ভরত বিশুরই পরিচিত৷'

No comments:

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...