বারাসত ও কলকাতা: অপরাজিতার কামদুনি গ্রাম রাজনীতি চায়নি৷ চায়নি মহাকরণে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে৷ দাবি ছিল, মুখ্যমন্ত্রীকেই আসতে হবে গ্রামে৷ কিন্ত্ত শাসকদলের চাপে পড়ে তাঁর পরিবার বুধবার শেষ বেলায় মহাকরণে গেল৷ স্বেচ্ছায় নয়৷ তৃণমূল নেতৃত্বের 'অনুনয় বিনয়ে'৷ দিনভর নাটকের শেষে তাঁদের গ্রাম থেকে রীতিমতো হাইজ্যাক করে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাড়িতে৷
সেখানে গিয়েও অপরাজিতার দুই ভাই কিন্ত্ত দোষীদের ফাঁসির দাবিই জানিয়েছেন৷ মুখ্যমন্ত্রীকেও তাঁরা মুখের উপরই বলে দিয়েছেন, 'আমরা সরকারের কাছে চাকরি চাই না৷ যারা বোনকে ধর্ষণ করে খুন করেছে, তাদের ফাঁসির ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকে৷' দিনের শেষে এক প্রকার চাপের মুখে পড়েই রাজ্যের মুখ্যসচিবকেও তাই সংবাদমাধ্যমকে বলতে হয়েছে, 'রাজ্য সরকার আদালতে দোষীদের মৃত্যুদণ্ড চাইবে৷' অপরাজিতার দুই ভাই এবং জনা পাঁচেক গ্রামবাসীর আসা নিয়ে বিকেল থেকে মহাকরণও ছিল তটস্থ৷ কারণ, দফায় দফায় খবর আসছিল, গ্রাম থেকে বিশাল বাহিনী আসবে মহাকরণে৷
সকাল থেকেই কামদুনির লোকেরা কলকাতায় আসবেন কি না, তা নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল৷ কখনও তাঁরা পুলিশ এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের জানান, শ'দুয়েক লোক যাবে৷ কখনও বলা হচ্ছিল, কিছুতেই তাঁরা মহাকরণমুখো হবেন না৷ তবে পুলিশ-প্রশাসনের কর্তা এবং শাসক দলের নেতারা যে ভাবে অপরাজিতার পরিবারকে বগলদাবা করে মহাকরণে গেলেন তাতে ক্ষুব্ধ কামদুনির মানুষ৷ টানাপোড়েনে দিশাহারা ওই পরিবারও৷
এ-সবের মধ্যেই কামদুনি-কাণ্ড এ দিন নয়া মোড় নিয়েছে৷ ধৃতদের জেরা করে ঘটনার দিন অকুস্থলে এক মহিলার উপস্থিতির কথা জানতে পেরেছে পুলিশ৷ সেই মহিলা অপরাজিতাকে ধর্ষণ করে খুনের সময় ওই কারখানা চত্বরে হাজির ছিল কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে৷ এর পিছনে ওই মহিলার কোনও ভূমিকা রয়েছে কি না, তা-ও পুলিশ তদন্ত করে দেখছে৷
বুধবার সকাল থেকেই কামদুনি ব্যস্ত৷ সকালেই অপরাজিতার মা চন্দনা ঘোষ জানিয়েছিলেন, তিনি গ্রাম ছেড়ে কোথাও যাবেন না৷ যেতে হলে গ্রামের মানুষকে নিয়েই মহাকরণে যাবেন৷ অপরাজিতার দাদা সন্দীপও বলেন, 'আমরা যাব না৷ মুখ্যমন্ত্রীকেই আসতে হবে৷' তিনি পুলিশকেও এ কথা জানিয়ে দেন৷ বেলা ১২ টা নাগাদ আইনমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভাচার্য, বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার-সহ তৃণমূল মহিলা সেলের একটি দল অপরাজিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলতে যান৷ তাঁরা জানান, রাজ্য সরকার পরিবারের পাশে আছে৷ তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই এসেছেন৷ পরিবারের লোকেরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়ে অভাব-অভিযোগ জানাতে পারেন৷ তাঁদের ফিরিয়ে দেয় ঘোষ পরিবার৷ তখন গ্রামের আরও অনেকে ছিলেন ওই বাড়িতে৷
তাঁরা চলে যাওয়ার পরই আসরে নামেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা সোনা ঘোষ এবং তাঁর দলবল৷ তিনি জানান, গ্রামের সবাই মিলে মহাকরণে যাবেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে৷ হাজির হয় বেশ কয়েকটি ম্যাটাডর ভ্যান৷ শ'দুয়েক লোক প্রস্ত্তত হন৷ তখন বাদ সাধে পুলিশ৷ বারাসত থানার আইসি পরেশ রায় জানান, একটি গাড়িতে পরিবারের চার জন এবং গ্রামের চার জনের বেশি যাওয়া যাবে না৷ আন্দোলনকারীদের তরফে অধ্যাপিকা তাপসী চট্টোপাধায় পুলিশকে বলেন, 'এই গোপন আলোচনায় পরিবারের লোকেরা ঠিকঠাক কথা বলতে পারবেন না৷ তাই তাঁদের সঙ্গে আরও লোক যাওয়া দরকার৷' এ নিয়ে তাঁদের সঙ্গে পুলিশের কথা কাটাকাটিও হয়৷ তাপসীদেবীর অভিযোগ, পুলিশ তাঁকে জানিয়েছেন, তিনি নাকি গ্রামের শান্তি নষ্ট করছেন৷ এই সময় ময়দানে নামেন তৃণমূলের জেলা পরিষদ প্রার্থী মতিয়ার সাঁপুই এবং আরও কয়েক জন৷ তাঁর অভিযোগ, দিল্লি থেকে আসা ওই 'নকশালপন্থী' মহিলা ধর্ষণ নিয়ে রাজনীতি করছেন৷ পুলিশ অবশ্য তাঁর কথায় গুরুত্ব না-দিয়ে অপরাজিতার বাবা, মা, দুই ভাই, কাকিমা এবং তাপসীদেবীকে মহাকরণে নিয়ে যেতে চায়৷ তাঁদের সঙ্গে সোনাও গাড়িতে ওঠেন৷ গাড়ি রওনা দেয়৷ গ্রামবাসীরা বিষয়টি ভালো ভাবে নেননি৷ তাঁরা অপরাজিতার দুই ভাইকে আপত্তির কথা জানান৷ বিমানবন্দরের কাছাকাছি গিয়ে ঘোষ পরিবার সিদ্ধান্ত বদল করে৷ তাপসীদেবীও মাঝপথে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন৷ গাড়ি ফিরে আসে দোলতলায় পুলিশ লাইনের কাছে৷
সেখানে ফের পুলিশের সঙ্গে পরিবারের কয়েক দফা আলোচনা হয়৷ বিকেল চারটে নাগাদ সন্দীপ জানান, মহাকরণে যাওয়ার ব্যাপারে তাঁরা এখনও নিশ্চিত নন৷ কারণ বিষয়টা এখন আর তাঁদের হাতে নেই৷ তার পর সাড়ে চারটে নাগাদ ফের তাঁদের নিয়ে গাড়ি রওনা দেয় মহাকরণের উদ্দেশে৷ বলা দরকার, এই ধর্ষণ-কাণ্ডে যারা ধরা পড়েছে, তারা এই মতিয়ারের খুবই ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত৷
কামদুনি থেকে লোকজন আসছে জানতে পেরে মহাকরণেও শুরু হয়ে যায় পুলিশি তত্পরতা৷ খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক প্রথম দিন থেকে ঘোষ পরিবারকে মহাকরণে আনার জন্য উদ্যোগী ছিলেন৷ তাঁকে মহাকরণের করিডরে সেল ফোন কানে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়৷ কখনও মন্ত্রীকে ফোনে বলতে শোনা যায়, 'তাড়াতাড়ি আয়৷ দিদি বসে আছেন...৷ কী বললি? দশজন আসছে? এত লোক তুলিস না৷ চার-পাঁচ জনকে নিয়ে আয়৷' ঘন ঘন পুলিশ কর্তারাও ছোটাছুটি করতে থাকেন৷ এক সময় রটে যায়, সত্তর জন আসছে৷ আবার পুলিশ অফিসাররা তত্পর হন৷ পরে বিকেল পাঁচটা পঞ্চাশ নাগাদ সন্দীপদের নিয়ে সোনা ঘোষরা মহাকরণে ঢোকেন৷ কড়া পুলিশি বেষ্টনীতে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে৷ প্রায় এক ঘণ্টা সন্দীপরা ছিলেন তাঁর ঘরে৷ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার আগে এবং পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সন্দীপ বলেন, 'আমরা চাকরি চাই না, কিছু চাই না৷ শুধু ফাঁসি, ফাঁসি, ফাঁসি চাই৷' মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য এ নিয়ে মুখ খোলেননি৷ তবে মহাকরণ সূত্রের খবর, অপরাজিতার ভাইয়েরা তাঁর কাছেও অপরাধীদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন৷
এ দিন সল্টলেকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তৃণমূল কর্মী ইউনিয়নের একটি রক্তদান অনুষ্ঠান শেষে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, 'এটি একটি জঘন্য ঘটনা৷ তবে গ্রামে হয়েছে বলেই তেমন কোনও প্রতিবাদ হচ্ছে না৷ বিদ্বজ্জনেদের প্রতিবাদও শহরকেন্দ্রিক৷' এর পাশাপাশি তৃণমূল সাংসদের মন্তব্য, 'একটা ঘটনা ঘটেছে বলেই আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে, তা নয়৷' এ দিনও বারাসত শহরে এবং কামদুনি গ্রামে প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে, হয় মোমবাতি নিয়েও মিছিল৷
সেখানে গিয়েও অপরাজিতার দুই ভাই কিন্ত্ত দোষীদের ফাঁসির দাবিই জানিয়েছেন৷ মুখ্যমন্ত্রীকেও তাঁরা মুখের উপরই বলে দিয়েছেন, 'আমরা সরকারের কাছে চাকরি চাই না৷ যারা বোনকে ধর্ষণ করে খুন করেছে, তাদের ফাঁসির ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকে৷' দিনের শেষে এক প্রকার চাপের মুখে পড়েই রাজ্যের মুখ্যসচিবকেও তাই সংবাদমাধ্যমকে বলতে হয়েছে, 'রাজ্য সরকার আদালতে দোষীদের মৃত্যুদণ্ড চাইবে৷' অপরাজিতার দুই ভাই এবং জনা পাঁচেক গ্রামবাসীর আসা নিয়ে বিকেল থেকে মহাকরণও ছিল তটস্থ৷ কারণ, দফায় দফায় খবর আসছিল, গ্রাম থেকে বিশাল বাহিনী আসবে মহাকরণে৷
সকাল থেকেই কামদুনির লোকেরা কলকাতায় আসবেন কি না, তা নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল৷ কখনও তাঁরা পুলিশ এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের জানান, শ'দুয়েক লোক যাবে৷ কখনও বলা হচ্ছিল, কিছুতেই তাঁরা মহাকরণমুখো হবেন না৷ তবে পুলিশ-প্রশাসনের কর্তা এবং শাসক দলের নেতারা যে ভাবে অপরাজিতার পরিবারকে বগলদাবা করে মহাকরণে গেলেন তাতে ক্ষুব্ধ কামদুনির মানুষ৷ টানাপোড়েনে দিশাহারা ওই পরিবারও৷
এ-সবের মধ্যেই কামদুনি-কাণ্ড এ দিন নয়া মোড় নিয়েছে৷ ধৃতদের জেরা করে ঘটনার দিন অকুস্থলে এক মহিলার উপস্থিতির কথা জানতে পেরেছে পুলিশ৷ সেই মহিলা অপরাজিতাকে ধর্ষণ করে খুনের সময় ওই কারখানা চত্বরে হাজির ছিল কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে৷ এর পিছনে ওই মহিলার কোনও ভূমিকা রয়েছে কি না, তা-ও পুলিশ তদন্ত করে দেখছে৷
বুধবার সকাল থেকেই কামদুনি ব্যস্ত৷ সকালেই অপরাজিতার মা চন্দনা ঘোষ জানিয়েছিলেন, তিনি গ্রাম ছেড়ে কোথাও যাবেন না৷ যেতে হলে গ্রামের মানুষকে নিয়েই মহাকরণে যাবেন৷ অপরাজিতার দাদা সন্দীপও বলেন, 'আমরা যাব না৷ মুখ্যমন্ত্রীকেই আসতে হবে৷' তিনি পুলিশকেও এ কথা জানিয়ে দেন৷ বেলা ১২ টা নাগাদ আইনমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভাচার্য, বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার-সহ তৃণমূল মহিলা সেলের একটি দল অপরাজিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলতে যান৷ তাঁরা জানান, রাজ্য সরকার পরিবারের পাশে আছে৷ তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই এসেছেন৷ পরিবারের লোকেরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়ে অভাব-অভিযোগ জানাতে পারেন৷ তাঁদের ফিরিয়ে দেয় ঘোষ পরিবার৷ তখন গ্রামের আরও অনেকে ছিলেন ওই বাড়িতে৷
তাঁরা চলে যাওয়ার পরই আসরে নামেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা সোনা ঘোষ এবং তাঁর দলবল৷ তিনি জানান, গ্রামের সবাই মিলে মহাকরণে যাবেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে৷ হাজির হয় বেশ কয়েকটি ম্যাটাডর ভ্যান৷ শ'দুয়েক লোক প্রস্ত্তত হন৷ তখন বাদ সাধে পুলিশ৷ বারাসত থানার আইসি পরেশ রায় জানান, একটি গাড়িতে পরিবারের চার জন এবং গ্রামের চার জনের বেশি যাওয়া যাবে না৷ আন্দোলনকারীদের তরফে অধ্যাপিকা তাপসী চট্টোপাধায় পুলিশকে বলেন, 'এই গোপন আলোচনায় পরিবারের লোকেরা ঠিকঠাক কথা বলতে পারবেন না৷ তাই তাঁদের সঙ্গে আরও লোক যাওয়া দরকার৷' এ নিয়ে তাঁদের সঙ্গে পুলিশের কথা কাটাকাটিও হয়৷ তাপসীদেবীর অভিযোগ, পুলিশ তাঁকে জানিয়েছেন, তিনি নাকি গ্রামের শান্তি নষ্ট করছেন৷ এই সময় ময়দানে নামেন তৃণমূলের জেলা পরিষদ প্রার্থী মতিয়ার সাঁপুই এবং আরও কয়েক জন৷ তাঁর অভিযোগ, দিল্লি থেকে আসা ওই 'নকশালপন্থী' মহিলা ধর্ষণ নিয়ে রাজনীতি করছেন৷ পুলিশ অবশ্য তাঁর কথায় গুরুত্ব না-দিয়ে অপরাজিতার বাবা, মা, দুই ভাই, কাকিমা এবং তাপসীদেবীকে মহাকরণে নিয়ে যেতে চায়৷ তাঁদের সঙ্গে সোনাও গাড়িতে ওঠেন৷ গাড়ি রওনা দেয়৷ গ্রামবাসীরা বিষয়টি ভালো ভাবে নেননি৷ তাঁরা অপরাজিতার দুই ভাইকে আপত্তির কথা জানান৷ বিমানবন্দরের কাছাকাছি গিয়ে ঘোষ পরিবার সিদ্ধান্ত বদল করে৷ তাপসীদেবীও মাঝপথে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন৷ গাড়ি ফিরে আসে দোলতলায় পুলিশ লাইনের কাছে৷
সেখানে ফের পুলিশের সঙ্গে পরিবারের কয়েক দফা আলোচনা হয়৷ বিকেল চারটে নাগাদ সন্দীপ জানান, মহাকরণে যাওয়ার ব্যাপারে তাঁরা এখনও নিশ্চিত নন৷ কারণ বিষয়টা এখন আর তাঁদের হাতে নেই৷ তার পর সাড়ে চারটে নাগাদ ফের তাঁদের নিয়ে গাড়ি রওনা দেয় মহাকরণের উদ্দেশে৷ বলা দরকার, এই ধর্ষণ-কাণ্ডে যারা ধরা পড়েছে, তারা এই মতিয়ারের খুবই ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত৷
কামদুনি থেকে লোকজন আসছে জানতে পেরে মহাকরণেও শুরু হয়ে যায় পুলিশি তত্পরতা৷ খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক প্রথম দিন থেকে ঘোষ পরিবারকে মহাকরণে আনার জন্য উদ্যোগী ছিলেন৷ তাঁকে মহাকরণের করিডরে সেল ফোন কানে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়৷ কখনও মন্ত্রীকে ফোনে বলতে শোনা যায়, 'তাড়াতাড়ি আয়৷ দিদি বসে আছেন...৷ কী বললি? দশজন আসছে? এত লোক তুলিস না৷ চার-পাঁচ জনকে নিয়ে আয়৷' ঘন ঘন পুলিশ কর্তারাও ছোটাছুটি করতে থাকেন৷ এক সময় রটে যায়, সত্তর জন আসছে৷ আবার পুলিশ অফিসাররা তত্পর হন৷ পরে বিকেল পাঁচটা পঞ্চাশ নাগাদ সন্দীপদের নিয়ে সোনা ঘোষরা মহাকরণে ঢোকেন৷ কড়া পুলিশি বেষ্টনীতে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে৷ প্রায় এক ঘণ্টা সন্দীপরা ছিলেন তাঁর ঘরে৷ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার আগে এবং পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সন্দীপ বলেন, 'আমরা চাকরি চাই না, কিছু চাই না৷ শুধু ফাঁসি, ফাঁসি, ফাঁসি চাই৷' মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য এ নিয়ে মুখ খোলেননি৷ তবে মহাকরণ সূত্রের খবর, অপরাজিতার ভাইয়েরা তাঁর কাছেও অপরাধীদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন৷
এ দিন সল্টলেকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তৃণমূল কর্মী ইউনিয়নের একটি রক্তদান অনুষ্ঠান শেষে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, 'এটি একটি জঘন্য ঘটনা৷ তবে গ্রামে হয়েছে বলেই তেমন কোনও প্রতিবাদ হচ্ছে না৷ বিদ্বজ্জনেদের প্রতিবাদও শহরকেন্দ্রিক৷' এর পাশাপাশি তৃণমূল সাংসদের মন্তব্য, 'একটা ঘটনা ঘটেছে বলেই আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে, তা নয়৷' এ দিনও বারাসত শহরে এবং কামদুনি গ্রামে প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে, হয় মোমবাতি নিয়েও মিছিল৷
No comments:
Post a Comment