নয়াদিল্লি: দেশের তেল আমদানি নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় রয়েছে কিছু লবি৷ বিস্ফোরক এই মন্তব্য করলেন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী বীরাপ্পা মইলি৷ তিনি বলেছেন, ১৬ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের তেল আমদানি যাতে কোনওমতেই কমানো না হয়, সে জন্য কয়েকটি লবি কাজ করছে৷ যাদের চাপের মুখে আগে অনেক পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীই নতিস্বীকার করেছেন৷ কিন্ত্ত তিনি সে পথে হাঁটবেন না৷
সম্প্রতি, প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে বিরোধীদের কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন মইলি৷ সিপিআই সাংসদ গুরুদাস দাশগুপ্ত তো সরাসরি মইলির দিকে অভিযোগ আঙুল তুলে বলেছিলেন, মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স সংস্থাকে সুবিধা দিতেই প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক৷ তবে আত্মপক্ষ সমর্থনে শুক্রবার মইলি বলেছেন, দেশের তেল ও গ্যাস উত্তোলন ক্ষেত্র প্রায় ঝিমিয়ে রয়েছে৷ দেশের অভ্যন্তরীণ তেল ও গ্যাস সম্পদের পরিমাণ বাড়াতে ও আমদানি-নির্ভরতা কাটাতেই প্রাকৃতিক গ্যাসের দামবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি৷ কারণ দাম না বাড়লে এ ক্ষেত্রে লগ্নি আসবে না৷
সাংবাদিকদের মইলি বলেছেন, 'সজ্ঞানে আপনাদের জানাচ্ছি আমাদের দেশ তেল ও গ্যাসের উপর ভাসছে৷ আমাদের প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে৷ কিন্ত্ত আমরা তা সবসময় আহরণ করতে পারি না৷ কারণ করতে দেওয়া হয় না৷ আমলা-স্তর থেকে বাধা প্রাকৃতিক সম্পদ উত্তোলনে কাজ পিছিয়ে দেয়৷ এর পর রয়েছে লবি গোষ্ঠীর চাপ৷ তারা কিছুতেই চায় না আমরা আমদানির পরিমাণ কমাই৷ এটা বহুদিন ধরে চলে আসছে৷ একাধিক পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীকে এ বিষয়ে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়৷ তারা যেন এমন কোনও সিদ্ধান্ত না নেন যাতে আমদানির পরিমাণ কমে যায়৷'
কারা হুঁশিয়ারি দেয়? কারা এসব লবি নিয়ন্ত্রণ করে? কোন কোন মন্ত্রীই বা এমন হুমকি পেয়েছেন, এ বিষয়ে কিন্ত্ত স্পষ্ট কিছু জানাননি মইলি৷ শুধু বলছেন, ইতিহাসই এর জবাব দেবে৷
পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী বলেছেন, আন্তর্জাতিক দুনিয়ার মর্জি মাফিক তেল ও গ্যাসের দাম ওঠা-পড়া করে৷ তাই তেলের আমদানি ভারতের অর্থনীতির পক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ ২০১২-১৩ বর্ষে দেশে ১৬ হাজার কোটি মার্কিন ডলার মূল্যে তেল আমদানি হয়েছে৷ তেলের দাম ও তেলের আমদানি বাড়তে থাকলে তা দেশের চলতি খাতে ঘাটতির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে৷ তাই তেলের অভ্যন্তরীণ উত্পাদন খুবই দরকার৷ আর দেশের ভিতর উত্পাদন বাড়াতে লগ্নির প্রয়োজন৷ আর দাম নির্ধারণের নীতিতে পরিবর্তন না এলে লগ্নির পথ সুগম হবে না৷ মন্ত্রীর কথায়, 'গত চার-পাঁচ বছর ধরে এই ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের মনোভাব খুব একটা চাঙ্গা নয়৷ সমুদ্রগভীরে কুয়ো বসাতে গেলে কয়েক লক্ষ ডলার খরচ হয়৷ সঠিক দাম না দিলে কেউ আগ্রহী হবে বলুন৷'
২০৩০-এর মধ্যে ভারতকে শক্তি স্বনির্ভর দেশ করে তোলার স্বপ্ন রয়েছে মইলির৷ এবং সেই স্বপ্ন সফল করতে কারও কাছে মাথা ঝোঁকাবেন না বলে অঙ্গীকার করেছেন তিনি৷ তিনি জানিয়েছেন, দেশে গ্যাসের দাম ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট প্রতি ৪২ লক্ষ মার্কিন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৬৭ লক্ষ ডলার করার প্রস্তাব ক্যাবিনেট কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে৷
মইলি বলেছেন, 'আমাকে অসহায় ভাবে না যেন কেউ৷ আমি কারও চাপে নিজের সিদ্ধান্ত তেকে পিছু হটব না৷'
গুরুদাস দাশগুপ্তের অভিযোগর জবাব মইলি বলেছেন, 'গ্যাসে দাম না বাড়িয়ে এই ক্ষেত্রকে কীভাবে চাঙ্গা করা যায়, বিকল্প সমাধান নিয়ে আসুক গুরুদাসবাবু৷ আমি আলোচনায় রাজি৷'
সম্প্রতি, প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে বিরোধীদের কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন মইলি৷ সিপিআই সাংসদ গুরুদাস দাশগুপ্ত তো সরাসরি মইলির দিকে অভিযোগ আঙুল তুলে বলেছিলেন, মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স সংস্থাকে সুবিধা দিতেই প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক৷ তবে আত্মপক্ষ সমর্থনে শুক্রবার মইলি বলেছেন, দেশের তেল ও গ্যাস উত্তোলন ক্ষেত্র প্রায় ঝিমিয়ে রয়েছে৷ দেশের অভ্যন্তরীণ তেল ও গ্যাস সম্পদের পরিমাণ বাড়াতে ও আমদানি-নির্ভরতা কাটাতেই প্রাকৃতিক গ্যাসের দামবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি৷ কারণ দাম না বাড়লে এ ক্ষেত্রে লগ্নি আসবে না৷
সাংবাদিকদের মইলি বলেছেন, 'সজ্ঞানে আপনাদের জানাচ্ছি আমাদের দেশ তেল ও গ্যাসের উপর ভাসছে৷ আমাদের প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে৷ কিন্ত্ত আমরা তা সবসময় আহরণ করতে পারি না৷ কারণ করতে দেওয়া হয় না৷ আমলা-স্তর থেকে বাধা প্রাকৃতিক সম্পদ উত্তোলনে কাজ পিছিয়ে দেয়৷ এর পর রয়েছে লবি গোষ্ঠীর চাপ৷ তারা কিছুতেই চায় না আমরা আমদানির পরিমাণ কমাই৷ এটা বহুদিন ধরে চলে আসছে৷ একাধিক পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীকে এ বিষয়ে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়৷ তারা যেন এমন কোনও সিদ্ধান্ত না নেন যাতে আমদানির পরিমাণ কমে যায়৷'
কারা হুঁশিয়ারি দেয়? কারা এসব লবি নিয়ন্ত্রণ করে? কোন কোন মন্ত্রীই বা এমন হুমকি পেয়েছেন, এ বিষয়ে কিন্ত্ত স্পষ্ট কিছু জানাননি মইলি৷ শুধু বলছেন, ইতিহাসই এর জবাব দেবে৷
পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী বলেছেন, আন্তর্জাতিক দুনিয়ার মর্জি মাফিক তেল ও গ্যাসের দাম ওঠা-পড়া করে৷ তাই তেলের আমদানি ভারতের অর্থনীতির পক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ ২০১২-১৩ বর্ষে দেশে ১৬ হাজার কোটি মার্কিন ডলার মূল্যে তেল আমদানি হয়েছে৷ তেলের দাম ও তেলের আমদানি বাড়তে থাকলে তা দেশের চলতি খাতে ঘাটতির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে৷ তাই তেলের অভ্যন্তরীণ উত্পাদন খুবই দরকার৷ আর দেশের ভিতর উত্পাদন বাড়াতে লগ্নির প্রয়োজন৷ আর দাম নির্ধারণের নীতিতে পরিবর্তন না এলে লগ্নির পথ সুগম হবে না৷ মন্ত্রীর কথায়, 'গত চার-পাঁচ বছর ধরে এই ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের মনোভাব খুব একটা চাঙ্গা নয়৷ সমুদ্রগভীরে কুয়ো বসাতে গেলে কয়েক লক্ষ ডলার খরচ হয়৷ সঠিক দাম না দিলে কেউ আগ্রহী হবে বলুন৷'
২০৩০-এর মধ্যে ভারতকে শক্তি স্বনির্ভর দেশ করে তোলার স্বপ্ন রয়েছে মইলির৷ এবং সেই স্বপ্ন সফল করতে কারও কাছে মাথা ঝোঁকাবেন না বলে অঙ্গীকার করেছেন তিনি৷ তিনি জানিয়েছেন, দেশে গ্যাসের দাম ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট প্রতি ৪২ লক্ষ মার্কিন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৬৭ লক্ষ ডলার করার প্রস্তাব ক্যাবিনেট কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে৷
মইলি বলেছেন, 'আমাকে অসহায় ভাবে না যেন কেউ৷ আমি কারও চাপে নিজের সিদ্ধান্ত তেকে পিছু হটব না৷'
গুরুদাস দাশগুপ্তের অভিযোগর জবাব মইলি বলেছেন, 'গ্যাসে দাম না বাড়িয়ে এই ক্ষেত্রকে কীভাবে চাঙ্গা করা যায়, বিকল্প সমাধান নিয়ে আসুক গুরুদাসবাবু৷ আমি আলোচনায় রাজি৷'
No comments:
Post a Comment