Twitter

Follow palashbiswaskl on Twitter

Memories of Another day

Memories of Another day
While my Parents Pulin babu and Basanti devi were living

Saturday, June 15, 2013

আমদানির পরিমাণ না কমাতে হুমকি পান সব পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী

আমদানির পরিমাণ না কমাতে হুমকি পান সব পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী

আমদানির পরিমাণ না কমাতে হুমকি পান সব পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী
নয়াদিল্লি: দেশের তেল আমদানি নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় রয়েছে কিছু লবি৷ বিস্ফোরক এই মন্তব্য করলেন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী বীরাপ্পা মইলি৷ তিনি বলেছেন, ১৬ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের তেল আমদানি যাতে কোনওমতেই কমানো না হয়, সে জন্য কয়েকটি লবি কাজ করছে৷ যাদের চাপের মুখে আগে অনেক পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীই নতিস্বীকার করেছেন৷ কিন্ত্ত তিনি সে পথে হাঁটবেন না৷

সম্প্রতি, প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে বিরোধীদের কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন মইলি৷ সিপিআই সাংসদ গুরুদাস দাশগুপ্ত তো সরাসরি মইলির দিকে অভিযোগ আঙুল তুলে বলেছিলেন, মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স সংস্থাকে সুবিধা দিতেই প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক৷ তবে আত্মপক্ষ সমর্থনে শুক্রবার মইলি বলেছেন, দেশের তেল ও গ্যাস উত্তোলন ক্ষেত্র প্রায় ঝিমিয়ে রয়েছে৷ দেশের অভ্যন্তরীণ তেল ও গ্যাস সম্পদের পরিমাণ বাড়াতে ও আমদানি-নির্ভরতা কাটাতেই প্রাকৃতিক গ্যাসের দামবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি৷ কারণ দাম না বাড়লে এ ক্ষেত্রে লগ্নি আসবে না৷

সাংবাদিকদের মইলি বলেছেন, 'সজ্ঞানে আপনাদের জানাচ্ছি আমাদের দেশ তেল ও গ্যাসের উপর ভাসছে৷ আমাদের প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে৷ কিন্ত্ত আমরা তা সবসময় আহরণ করতে পারি না৷ কারণ করতে দেওয়া হয় না৷ আমলা-স্তর থেকে বাধা প্রাকৃতিক সম্পদ উত্তোলনে কাজ পিছিয়ে দেয়৷ এর পর রয়েছে লবি গোষ্ঠীর চাপ৷ তারা কিছুতেই চায় না আমরা আমদানির পরিমাণ কমাই৷ এটা বহুদিন ধরে চলে আসছে৷ একাধিক পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীকে এ বিষয়ে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়৷ তারা যেন এমন কোনও সিদ্ধান্ত না নেন যাতে আমদানির পরিমাণ কমে যায়৷'

কারা হুঁশিয়ারি দেয়? কারা এসব লবি নিয়ন্ত্রণ করে? কোন কোন মন্ত্রীই বা এমন হুমকি পেয়েছেন, এ বিষয়ে কিন্ত্ত স্পষ্ট কিছু জানাননি মইলি৷ শুধু বলছেন, ইতিহাসই এর জবাব দেবে৷

পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী বলেছেন, আন্তর্জাতিক দুনিয়ার মর্জি মাফিক তেল ও গ্যাসের দাম ওঠা-পড়া করে৷ তাই তেলের আমদানি ভারতের অর্থনীতির পক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ ২০১২-১৩ বর্ষে দেশে ১৬ হাজার কোটি মার্কিন ডলার মূল্যে তেল আমদানি হয়েছে৷ তেলের দাম ও তেলের আমদানি বাড়তে থাকলে তা দেশের চলতি খাতে ঘাটতির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে৷ তাই তেলের অভ্যন্তরীণ উত্‍পাদন খুবই দরকার৷ আর দেশের ভিতর উত্‍পাদন বাড়াতে লগ্নির প্রয়োজন৷ আর দাম নির্ধারণের নীতিতে পরিবর্তন না এলে লগ্নির পথ সুগম হবে না৷ মন্ত্রীর কথায়, 'গত চার-পাঁচ বছর ধরে এই ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের মনোভাব খুব একটা চাঙ্গা নয়৷ সমুদ্রগভীরে কুয়ো বসাতে গেলে কয়েক লক্ষ ডলার খরচ হয়৷ সঠিক দাম না দিলে কেউ আগ্রহী হবে বলুন৷'

২০৩০-এর মধ্যে ভারতকে শক্তি স্বনির্ভর দেশ করে তোলার স্বপ্ন রয়েছে মইলির৷ এবং সেই স্বপ্ন সফল করতে কারও কাছে মাথা ঝোঁকাবেন না বলে অঙ্গীকার করেছেন তিনি৷ তিনি জানিয়েছেন, দেশে গ্যাসের দাম ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট প্রতি ৪২ লক্ষ মার্কিন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৬৭ লক্ষ ডলার করার প্রস্তাব ক্যাবিনেট কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে৷

মইলি বলেছেন, 'আমাকে অসহায় ভাবে না যেন কেউ৷ আমি কারও চাপে নিজের সিদ্ধান্ত তেকে পিছু হটব না৷'

গুরুদাস দাশগুপ্তের অভিযোগর জবাব মইলি বলেছেন, 'গ্যাসে দাম না বাড়িয়ে এই ক্ষেত্রকে কীভাবে চাঙ্গা করা যায়, বিকল্প সমাধান নিয়ে আসুক গুরুদাসবাবু৷ আমি আলোচনায় রাজি৷'

No comments:

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...