Twitter

Follow palashbiswaskl on Twitter

Memories of Another day

Memories of Another day
While my Parents Pulin babu and Basanti devi were living

Wednesday, October 16, 2013

ধর্মক্ষেত্রে রাজকার্য অবশেষে ঘূর্ণিঝড় পিলিন আছড়ে পড়লে ত্রাহি ত্রাহি রব উঠত পশ্চিমবঙ্গে जिन राज्यों में वंचित और निम्न कही जाने वाली जातियों के आंदोलन नहीं हैं, उनमें समृद्धि नहीं आई है, उनमें अधिकारों और हिस्सेदारी की चेतना नहीं है, उनकी सरकारें नहीं बनी हैं, उन राज्यों की तारीफ में कहा जाता है कि वहां जातिवाद नहीं है. जैसे पश्चिम बंगाल, ओडिशा.....। इस स्केल पर आप न्यूनतम जातिवादी राज्य से अधिकतम जातिवादी राज्य की पूरी लिस्ट बना सकते हैं. জল ছাড়ায় দিল্লিকে রুষ্ট মমতার চিঠি

ধর্মক্ষেত্রে রাজকার্য অবশেষে


ঘূর্ণিঝড় পিলিন আছড়ে পড়লে ত্রাহি ত্রাহি রব উঠত পশ্চিমবঙ্গে

जिन राज्यों में वंचित और निम्न कही जाने वाली जातियों के आंदोलन नहीं हैं, उनमें समृद्धि नहीं आई है, उनमें अधिकारों और हिस्सेदारी की चेतना नहीं है, उनकी सरकारें नहीं बनी हैं, उन राज्यों की तारीफ में कहा जाता है कि वहां जातिवाद नहीं है. जैसे पश्चिम बंगाल, ओडिशा.....। इस स्केल पर आप न्यूनतम जातिवादी राज्य से अधिकतम जातिवादी राज्य की पूरी लिस्ट बना सकते हैं.

জল ছাড়ায় দিল্লিকে রুষ্ট মমতার চিঠি



পলাশ বিশ্বাস


ধর্মক্ষেত্রে রাজকার্য অবশেষে

প্রতিপদে রাজধানী বদলে গেল

রাইটার্স অবলীলায় পার হল

হুগলী নদী ইতিহাস ডিঙ্গিয়ে


নবান্নে কিন্তু রাজকার্য

হয়নি শুরু এখনো


বাংলা এখন ধর্মরাষ্ট্র

ধর্মরাষ্ট্র গুজরাত ও

অনেক পিছনে,যদিও

মোদী দলিত জলগণের

বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষার

তদন্ত আদেশ দিয়ে

দিদিকে ছুঁড়ে দিয়েছেন

দারুন রগরগে চ্যালেন্জ


দলিতেরা বাংলায়

এই দুঃসাহস দেখাবে

দুঃস্বপ্নেও ভাববে না

ব্রাহ্মণ্য বাংলা এখন


চারিদিকে ধর্মের

জয় জয় জয় হো

চতুর্দিক ধর্ম ধ্বজা

আমরা সবাই

ধর্মধ্বজা বাহক


ধর্মীয় অনুষ্টান

একের পর এক

ধর্মীয় উত্সব

একের পর এক


রাজবাড়ি জমিদারবাড়ির

অঙিণা ছাড়িয়ে পুজো

বারোয়ারি সেই স্বদেশী

আন্দোলের সময় থেকে


বিপ্লব হয়ে গেল নিঃশব্দ

রাজতন্ত্র ফিরে এল

ফিরে এল দৈবীয়

রাষ্ট্রব্যবস্থা, দুর্যোগ

এড়াতে অবলীলায়

কালীমার দরবারে

মহিষমর্দিনীর নালিশ

পিলিনও থমকে গেল

অবলীলায়, তারপর

শুরু হলো কুরবানী


মৌলবী ইমামদের

ভাতা হল,ওয়াকফ

বোর্ড ডিঙ্গিয়ে

পুরোহিতদের হবে

হয়ত বিশুদ্ধতার

দক্ষতা বিবেচনা করে

বিশুদ্ধ সংস্কৃত

উচ্চারমের দোহাই দিয়ে


মুখ্যমন্ত্রী বেনজির

রেকর্ড করে রাজকার্য

সমাধা করেছেন

পুজা উদ্ঘাটন করে

একটি দুটি নয়

এক্কেবারে 273

সমানে সমানে তাল

মিলিয়েছেন রাজ্যপাল

মন্ত্রী সান্ত্রীরা

এবার রাজকীয়

কুরবানীর পালা

মসজিদে গিয়ে

মাথায় সাদা কাপড়

দিয়ে নমাজ

পড়ার পালা


সরকার ধর্মরক্ষায়

ব্যতিব্যস্ত, মুর্তি

সোনায় মড়া হল

ক্ষমতা দখলের

আবডালে,আমরা

জনগণ ঢালাও

উন্নয়নের মগডালে

শুধু সরকার নেই

নবান্নে, ধর্মীয়

ছুটিতে রাজকার্য

থমকে আছে

হানাবাড়ি হয়ে

গেল রাইটার্স

ভূতের ভবিষত্

নিয়ে মাথাব্যথা

হতেই পারে


বিপর্যয়ের মোকাবিলা

করার কথা নেই কারো

চিটফান্ড আটকানোর

দায় নেই কারো

অনুদান আছে

ঘোষণা বাহার আছে

ভাতা নানারকম

রং বেরংঙ উত্সব

সেও  নানা রকম


সুশীলদের সম্মান

আছে,মাইনে আছে

রাজকোষের হাল

হোক যতই খারাপ

কর্মিরা কেন্দ্র সমান

বেতন ভাতা পাবে

বেকার ভাতা হবে

ক্ষতিপূরণ কথায় কথায়

টাকা গৌরী সেন দেবে

শুধু প্রশ্ন যারা সাধারণ

যারা ব্রাত্য,অন্তজ

অস্পৃশ্য ও শূদ্র

সংখ্যালঘু সাধারণ

আমাদের কি হবে

হবে আবার কি

হবে লবডন্কা


রাইটার্সে নেই রাজকার্য

রাজকার্য এখন জলে

জঙ্গলে, জঙ্গল মহল

নাচছে,পাহাড় হাসছে

জলপ্লাবিত বাংলা

জলমগ্ন জনপদ

টুঁ শব্দটি করবে না

চুপ,ধর্মীয় উত্সব

এখনো চলছে

দুর্গা গেছেন জলে

বাংলাও জলমগ্ন

মায়ের সম্মানে

অসুর বধ ছা়ড়া

পুজো হয় না

অসুর বধ চলবে


কুণাল ঘোষ

বিপ্লবী সাংবাদিক

বিপ্লবী সাংসদ

দিল্লী তলব

সব রহস্য ফাঁস হবে

তাহলে এবার

দাগিরা সব্বাই

মহিষাসুর হবে

দুর বোকা

কোথাকার

দাগিরা সব্বাই

শাসক শ্রেণীর মানুষ

শ্বেত বিশুদ্ধ

অসুর মহিষাসুর

তো চিরকালই কালো

মায়ের পায়ের তলে

সিংহের কামড়ে

মৃত প্রায়

ত্রিশুল বুকে

লোকটা কিন্তু

যম কালো

কোঁকড়ানো

চুল তার

বিদিশার নিশা

অস্পৃশ্য ব্যাটা

অন্ত্যজ অশুদ্ধ

যত বদ ততটাই


শাসকরা

অসুর মহিষাসুর

হতে যাবে কোন কম্মে

ওর ধর্মে ও আছেন

আবার জিরাফেও

আছেন,ফাঁকতালে

টিভির প্যানেলে

ফাঁকতালে বিপ্লবে

ফাঁকতালে

সরাকারি পে রোলে

ফাঁকতালে বিদেশ যাত্রায়

ফাংকতালে নানা

কিসিমের ধান্দায় ওস্তাদ

বেশি বললেই

জাতরপাত নেই

বিপ্লবী প্রগতিশীল রাজ্যে

গোবলয়ের বিএসপি হয়ে যাবে


ফাঁকতালে শুধু

গদাম করে সাষ্টাঙ্গ

প্রণাম ঠুকে

নিজের দল

মতবাদ আদর্শ

তিলান্জলি  দিলে

সঠিক দেবা দেবির

স্তুতিতে

মন্ত্রপাঠ

করলেই কেল্লা ফতে

যোগ্যতা শুধু এতটাই


সুযোগ বুঝে

মিছিলে হাঁটা

সুযোগ বুঝে

মুখ দেখানো

সুযোগ বুঝে

গান কবিতা লেখা

সুযোগ  বুঝে

ছবি আঁকা

ধম্মমতো

পোশাক পরা

ধম্মমতো

মন্ত্রপাঠ

আবাহনী জাগরণী

আবার নামাজ পড়া

একই মুখে

হর হর মহাদেব

আবার

আল্লাহো আকবর

তবেই না কেল্লা ফতে


অসুর মহিষাসুরের

কম্মো নয়

তাই পায়ের তলায়

ত্রিশুল বুকে

সিংহের কামড়

বা সুন্দরবনের

মরিচঝাঁপিতে

বাঘেরখাবার

পূর্ব জন্মেরই ফল


দিল্লীতে সর্ব রাজনীতির

খিচড়ি পক রহি হ্যায়

যেমন সর্ব শিক্ষার

খিচুড়ি স্কুলে স্কুলে

সিবিআই তোতা পাখি

আইন শাসকের অস্ত্র

কুণালকে বাগে নিয়ে

লোকসভা নির্বাচন পরে

সরকার গড়ার খেল

চলছে দিল্লীতে


চিটফান্ড রুখতে

আইন হচ্ছিল

মহাসমারোহে

দিল্লীতে আবার

কোলকাতাতেও

কিসে কি

ঘোড়ার আবার

ডিম হয় নাকি

মৌচাক মধুচক্র

বন্ধ হয় নাকি

আবার ভারতবর্ষে

দুর্নীতিতে শাসকের

কোথাও সাজা হয় নাকি

কাগজ বিক্রী

টিভি টিআরপি

শুধু বাড়ে

আর মাঝে মাঝে

ভুরি ভোজ

সহকারে

শক্ষতিপুরণের চেক

বা মহার্ঘ চাকরি দিলেই

সব তদন্ত

সব প্রতিবাদ

সব বিপ্লব শেষ


বামফ্রন্ট দেখেছো

টানা চৌত্রিশ বছর

লাল এখন সবুজ

রং প্লাটাবেনা

কিছুতেই

টানা চৌত্রিশ

বছরের আগে

ফেন্স ডিঙিয়ে এখন

সব্বাই মা মাটি মানুষ

উড়ছে ধর্মীয় ফানুষ


অসুর বধ

হতেই হবে

হয়ে আসচে

চিরদিন

আসছে বছর

আবার হবে

বললেই হল

রোজ রোজ হবে

গ্রামে গ্রামে

জেলায় জেলায় হবে

বধ হলেই

অসুররা উদ্ধার হবে

সশরীর স্বর্গে যাবে



HISTORY
HISTORY IN THE HEADLINES: Last week, researchers announced that they have located living descendants of a prehistoric iceman discovered along the Italy-Austria border in 1991. Known as Ötzi, he is believed to have lived 5,300 years ago. The news of Ötzi's living descendants is just the latest in a long of discoveries scientists have made regarding the mummy. http://histv.co/1cqnofD

Like ·  · Share · 6,1853751,921 · 4 hours ago ·


যে সমস্ত রাজ্যে বন্চিত ও বর্ণহিন্দুদের চোখে নিচু জাতের মানুষের কোনো আন্দোলন নেই,যেমন বাংলা এবং উড়ীষ্যা,যেখানে দাবি করা হয় জাত পাতের বালাই নেই গো বলয়ের মত,উন্নয়নে তাঁরা সবচাইতে পিছিয়ে


ইন্ডিয়া টুডে হিন্দীর বাঙালি সম্পাদক পরম বন্ধু দিলীপ মন্ডলের এই মন্তব্য নিয়ে হোক আলোচনা


Dilip C Mandal
जिन राज्यों में वंचित और निम्न कही जाने वाली जातियों के आंदोलन नहीं हैं, उनमें समृद्धि नहीं आई है, उनमें अधिकारों और हिस्सेदारी की चेतना नहीं है, उनकी सरकारें नहीं बनी हैं, उन राज्यों की तारीफ में कहा जाता है कि वहां जातिवाद नहीं है. जैसे पश्चिम बंगाल, ओडिशा.....। इस स्केल पर आप न्यूनतम जातिवादी राज्य से अधिकतम जातिवादी राज्य की पूरी लिस्ट बना सकते हैं.


রাজ্যকে না-জানিয়ে ঝাড়খণ্ড জল ছেড়েছে বলেই রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। কোলাঘাটে প্রশাসনিক বৈঠকে এমনই মন্তব্য করেলন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি গোপীবল্লভপুরে ত্রাণ সামগ্রীও বিলি করেন তিনি। বন্যা দুর্গত এলাকার বিডিও-দের ছুটিও বাতিল করেছে প্রশাসন।


এদিকে নতুন করে জল ছেড়েছে ডিভিসি। তবে এবার জল ছাড়ার পরিমাণ কম বলে ডিভিসি (দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন)-র তরফে জানানো হয়েছে। কর্পোরেশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ন'টা থেকে বুধবার সকাল ন'টা পর্যন্ত মোট ৬২ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। পাঞ্চেত এবং মাইথন জলাধার থেকে এই জল ছাড়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫ হাজার কিউসেক পাঞ্চেত থেকে আর মাইথন থেকে ছাড়া হয়েছে ১৭ হাজার কিউসেক জল।


কিছু ক্ষণ পরেই দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকেও জল ছাড়া হয়। যার পরিমাণ ১ লক্ষ ৭ হাজার কিউসেক। জানানো হয়েছে, মাইথন এবং পাঞ্চেত থেকে যে ৬২ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিল, তা এখানে জমা হয়। ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেলা ১১টা নাগাদ ব্যারেজ থেকে মোট ১ লক্ষ ৭ হাজার কিউসেক জল ছাড়তে হয়।


ডিভিসি-র তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার ছাড়া হয়েছিল প্রায় ১ লক্ষ ৬৬ হাজার কিউসেক জল। তবে এদিন মাত্র ১ লক্ষ ৭ হাজার কিউসেক জল ছাড়ায় বিশেষ কোনও সমস্যা দেখছে না ডিভিসি।


এর পরও জল ছাড়া হবে কি না, সে ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, বৃষ্টি না-হলে জল ছাড়বে না ডিভিসি। তবে ফের যদি মুষলধারে বৃষ্টি হয়, তা হলে জল ছাড়ার ব্যাপারে তাদের নতুন করে চিন্তাভাবনা করতে হবে।


ইতিমধ্যেসারদা কেলেঙ্কারির জেরে এ বার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তৃণমূলের সাসপেন্ড হওয়া সাংসদ ও সংস্থার মিডিয়া গ্রুপের সিইও কুণাল ঘোষকে দিল্লিতে তলব করা হল৷ কেন্দ্রীয় কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের অধীনস্থ স্পেশাল ফ্রড ইনভেস্টিগেশন অফিস (এসএফআইও) কুণালবাবুকে বৃহস্পতিবার সকালে তাদের নয়াদিল্লির লোধি রোডের অফিসে ডেকে পাঠিয়েছে৷ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন এম সাহানির নেতৃত্বে তদন্তকারী অফিসাররা৷ কুণালের ঘনিষ্ঠ মহলের খবর, জিজ্ঞাসাবাদের পর তিনি তাঁর বক্তব্যের বয়ান লিখিত আকারে সিবিআই অধিকর্তা রণজিত্‍ সিনহার হাতে তুলে দেবেন৷ এই প্রথম কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও তদন্তকারী সংস্থা সারদা গ্রুপের কোনও কর্তাকে দিল্লিতে ডেকে জেরা করতে চলেছে৷ রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এ বার সারদা কেলেঙ্কারিতে কেন্দ্রীয় সরকার সরাসরি হস্তক্ষেপ করার দিকে অগ্রসর হচ্ছে৷


কেন্দ্রীয় কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক গত এপ্রিলেই সারদা-সহ বিভিন্ন অর্থলগ্নি সংস্থার কার্যকলাপ নিয়ে তদন্তের জন্য একটি বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করে৷ পুলিশ-সহ কোম্পানি বিষয়ক সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকরা এর সদস্য৷ গত ছ'মাসে এই দলকে পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও ত্রিপুরায় গিয়ে সারদার প্রধান সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা যায়নি৷ দিল্লিতে বসেই এই বিষয়ে কিছু তথ্য সংগ্রহ করা ছাড়া টাস্ক ফোর্স খুব একটা কিছু করেনি৷ ত্রিপুরা ও অসম সরকার সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্ত ভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে৷ পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যারে সরকার সিবিআই তদন্তের পক্ষপাতী নয়৷ তারা সিবিআই এবং 'সিট'কে দিয়ে তদন্ত করাচ্ছে৷


রাজ্যে অবশ্য সারদার দুই প্রধান কর্তা সুদীপ্ত-দেবযানীকে গ্রেপ্তার এবং শ্যামল সেন কমিশন গঠন করে পুজোর মুখে হাজারখানেক গরিব মানুষকে ক্ষতিপূরণ বাবদ কিছু টাকা পাইয়ে দেওয়া ছাড়া তদন্তের কাজ বিশেষ এগোয়নি৷ বিরোধীদের অভিযোগ, শাসক দলের নেতৃত্বের একাংশকে আড়াল করতেই এই তদন্তের দায়িত্ব সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে চায়নি৷ সারদার কাজকর্ম নিয়ে তবু নামকা ওয়াস্তে তদন্ত হলেও অন্য অর্থলগ্নি সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে কার্যত কোনও পদক্ষেপই করেনি৷


তৃণমূলের অন্দরের খবর, দলের মধ্যে সুবিধা করতে না পেরে আর এক বিতর্কিত সাংসদ সোমেন মিত্রকে নিয়ে কুণাল ঘোষ দল ভাঙার খেলায় মেতে উঠেছেন৷ এতেই বিরক্ত এবং ক্ষুব্ধ মমতা সারদা কেলেঙ্কারিকে সামনে রেখে কুণালকে কোণঠাসা করতে উদ্যত হন৷ সিআইডি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায়৷ এই জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীনই গ্রেপ্তার করা হয় সারদার আর এক কর্তা ও কুণালবাবুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সোমনাথ দত্তকে৷


রাজনৈতিক মহল মনে করছে, লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে বিজেপির মোকাবিলায় কংগ্রেস এবার মমতাকে পাল্টা চাপ দিতে সক্রিয় হল কোম্পানি বিষয়ক মন্ত্রকের তদন্তকারী দলকে ব্যবহার করে৷ তাই কেন্দ্রীয় কর্পোরেট মন্ত্রকের ছ'মাস আগে গঠন করা টাস্ক ফোর্স সম্প্রতি সক্রিয় হয়ে উঠেছে৷ সম্প্রতি কুণালবাবু সারদা-কাণ্ডের সঙ্গে তৃণমূলের নানা নেতার নাম জড়িয়ে নানা মন্তব্য করেছেন৷ তিনি প্রকাশ্যেই অভিযোগ করেন, দলের এক নেতা সুদীপ্তবাবুর কাছ থেকে ৪ কোটি টাকা নিয়েছিলেন৷ আরও নয় নেতার বিরুদ্ধেও তোপ দেগে তিনি সেই নামগুলি প্রকাশ করার জন্য সুদীপ্তবাবুকে পরামর্শ দেন৷ তাঁর এসব অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কেই এসএফআইও নিশ্চিত হতে চায়৷ কুণালবাবু হুমকি দেন, সুদীপ্তবাবু ওই সব নাম না-জানালে তিনিই সেগুলি প্রকাশ করে দেবেন৷ তৃণমূল নেতৃত্বের ভয়, কুণালবাবু সত্যিই সে সব নাম জানিয়ে দিলে দলকে চরম অস্বস্তিতে পড়তে হবে৷


এই সময়ঃ পিপিপি মডেলে মেডিক্যাল কলেজ গড়তে রাজ্য সরকারের প্রস্তাবে তেমন সাড়া মিলছে না৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন স্বাস্থ্যদপ্তর এই নতুন প্রস্তাব দিয়েছিল৷ দপ্তরের ওয়েবসাইটে তা প্রকাশ করা হয়৷ কিন্ত্ত দু'মাস ঘুরতে চললেও, তেমন ভাবে এগিয়ে আসেনি কোনও সংস্থা৷ স্বাভাবিক ভাবেই স্বাস্থ্যকর্তাদের কপালে ভাঁজ৷


কী ছিল সরকারের প্রস্তাবে? জেলায় মেডিক্যাল কলেজ খুলতে গত অগস্টে একটি অভিনব প্রস্তাব দিয়েছিল স্বাস্থ্যদপ্তর৷ বলা হয়, জেলায় বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ খুললে জেলা হাসপাতাল সাময়িক ভাবে 'লিজ' দেওয়া হবে৷ প্রাথমিক ভাবে কোচবিহার, নদিয়া ও উত্তর চব্বিশ পরগনার ভাঙড়ে মেডিক্যাল কলেজ গড়ার জন্য ইচ্ছাপত্র চাওয়া হয়৷ ছোটখাটো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের থেকে মৌখিক আশ্বাসও মেলে৷ কিন্ত্ত গত মাসদুয়েকে ছবিটা পাল্টেছে৷ বড় বেসরকারি সংস্থাগুলি এখনও আগ্রহ প্রকাশ করেনি৷ উল্টে খসড়ায় চোখ বুুলিয়ে উদ্যোগপতিদের মনে ভিড় করেছে একাধিক প্রশ্ন৷ অবস্থা এমনই যে, মাঝারি মানের প্রতিষ্ঠানগুলিও পিছিয়ে আসছে৷ সকলেই ইচ্ছাপত্র জমা দেওয়ার আগে ২৪ অক্টোবরের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে৷ ওই দিন স্বাস্থ্যদপ্তরের সঙ্গে বৈঠকে বসছে সংস্থাগুলি৷ জানা গিয়েছে, বৈঠকে তাদের প্রশ্নের যথাযথ উত্তর না-পেলে, কোনও সংস্থাই লিখিত ভাবে ইচ্ছাপত্র জমা দেবে না৷ খসড়া প্রকাশিত হওয়ার পর মৌখিক ভাবে যে সব সংস্থা উত্‍সাহ দেখিয়েছিল, তাদের তালিকাও খুব একটা লম্বা নয়৷


কেন পিছিয়ে আসছে সংস্থাগুলি? কর্তারা বলছেন, জমি সংক্রান্ত জটিলতা থেকে কর্মী নিয়োগ বা প্রশাসন চালানো, একাধিক বিষয়ে অস্পষ্টতা রয়েছে৷ নয়া প্রস্তাবে উত্‍সাহ দেখিয়েও পিছিয়ে এসেছে দুর্গাপুরের মিশন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷ সংস্থার কর্ণধার সত্যজিত্‍ বোস এ জন্য শিলিগুড়িতে মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল খুলতে গিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতাকে দায়ী করছেন৷ তিনি বলেছেন, 'রাজ্য সরকার চাইলেও সেবক রোডে তিনশো বেডের মাল্টি স্পোশালিটি হাসপাতালটি মামলা মোকদ্দমায় থমকে আছে৷ ইতিমধ্যে প্রকল্পের জন্য ১ কোটি টাকার বেশি খরচ হয়ে গিয়েছে৷ এই কারণে আমরা সাময়িক পিছিয়ে গিয়েছি৷' প্রায় একই বক্তব্য দক্ষিণ কলকাতায় এক বেসরকারি হাসপাতালের উচ্চপদস্থ কর্তার৷ তাঁর সাফ কথা, 'জেলার পরিবর্তে কলকাতায় মেডিক্যাল কলেজ খুলব৷ কারণ আমাদের চালু হাসপাতালে বাড়তি সুবিধে হবে৷ এখানে যথেষ্ট সংখ্যক রোগী আছেন৷ তাই কষ্ট করে কেন জেলায় যাব?'


অ্যাপোলো হসপিট্যালসের পূর্ব ভারতের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার রুপালি বসু অবশ্য রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন৷ তাঁর দাবি, 'রাজ্যে কমপক্ষে আরও পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজ প্রয়োজন৷ কিন্ত্ত জেলায় মেডিক্যাল কলেজ খুলতে গেলে, সেখানে শিক্ষক-চিকিত্‍সকদের উপস্থিত করাটাই কঠিন চ্যালেঞ্জ৷ এ ছাড়া, জেলায় একলপ্তে ২০ একর জমি সরকার না-দিলে মেডিক্যাল কলেজ গড়াও মুশকিল৷' তিনি জানিয়েছেন, 'আমাদের সংস্থা কলকাতায় একটি মেডিক্যাল কলেজ গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ৷ এ জন্য টাকাও বরাদ্দ করা আছে৷ কিন্ত্ত আমাদের ১০ একর জমি দিতে হবে৷' অপর একটি বেসরকারি চিকিত্‍সা প্রতিষ্ঠানের পদস্থ কর্তার মতে, রাজ্য সরকারকে অনেকটা নমনীয় হতে হবে৷ বেসরকারি সংস্থাগুলি কী চাইছে, সেটা বুঝে প্রস্তাবের খসড়া বানালে সমস্যা হবে না৷


স্বাস্থ্যদপ্তরের যে বিভাগ এই যৌথ উদ্যোগের দেখাশোনা করছে, তারা আশাবাদী৷ সেখানকার এক কর্তা জানিয়েছেন, 'ইচ্ছাপত্র জমা দেওয়ার আগে ২৪ তারিখের বৈঠকে কত জন আসছেন, সেটা দেখে প্রকৃত চিত্রটা বোঝা যাবে৷ বেসরকারি সংস্থাগুলির মতামত জেনে যদি মনে হয় খসড়ার প্রস্তাব পাল্টাতে হবে, তা-ই করা হবে৷' স্বাস্থ্যদপ্তরের মুখপাত্র সুমন বিশ্বাসের অবশ্য দাবি, 'বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থা মৌখিক ভাবে এই নয়া প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছিল৷ কার্যক্ষেত্রে কতগুলি লিখিত ইচ্ছাপত্র জমা পড়বে, তা এখন বলা সম্ভব নয়৷' উল্লেখ্য, রাজ্যে মোট মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যা ১৪৷ এর মধ্যে দু'টি মেডিক্যাল কলেজ বেসরকারি সংস্থার৷ একটি কলকাতায় এবং একটি হলদিয়ায়৷



ঘূর্ণিঝড় পিলিন আছড়ে পড়লে ত্রাহি ত্রাহি রব উঠত পশ্চিমবঙ্গে

অমল সরকার


ঘূর্ণিঝড় 'পিলিন'-এর হাত থেকে রক্ষা করতে প্রায় ৯ লাখ মানুষকে অন্যত্র সরিয়েছে ওডিশা সরকার৷ সেই সুবাদে গোটা দেশের পাশাপাশি বিদেশেও প্রশংসা কুড়িয়েছে নবীন পট্টনায়েকের প্রশাসন৷ ওই ঘূর্ণিঝড় বাংলার উপকূলে আছড়ে পড়লে কী হত? রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা একান্তে স্বীকার করে নিচ্ছেন, বাংলার উপকূলে পিলিন আছড়ে পড়লে রাজ্যের পাশাপাশি দেশেরও মুখ পুড়তে পারত৷ কারণ, ৯ লাখ দূরে থাক, এক লাখ লোককেও অন্যত্র নিয়ে রাখার পরিকাঠামো নেই দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূল এলাকায়৷ 'পিলিন'-এর মোকাবিলা করে প্রতিবেশী ওডিশা যে প্রশংসা কুড়োচ্ছে, তার পিছনে আছে ১৯৯৯-এর ঘূর্ণিঝড়ের অভিজ্ঞতা৷ তেমন অভিজ্ঞতাই হয়েছিল, ২০০৯-এর মে মাসে দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূল এলাকায় ঘূর্ণিঝড় আয়লা আছড়ে পড়ায়৷ কিন্ত্ত সেই ঘটনা থেকে পশ্চিমবঙ্গ কার্যত কোনও শিক্ষাই নেয়নি৷ ওডিশার সাফল্য নিয়ে আলোচনায় বারে বারেই উঠে আসছে পশ্চিমবঙ্গের ব্যর্থতার চিত্র৷ ঘূর্ণিঝড়প্রবণ ওই তিন জেলায় যে আড়াইশো আশ্রয়স্থল তৈরি করার কথা ছিল, সে কাজ এখনও শুরুই হয়নি৷ অন্যদিকে সুন্দরবন-সহ উপকূলবর্তী এলাকায় বাঁধ মেরামতির কাজ ঢিমে তালে চলছে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতায়৷


আয়লার পর ঘূর্ণিঝড়জনিত ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার ন্যাশনাল সাইক্লোন রিস্ক ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্টে পশ্চিমবঙ্গকে অন্তর্ভুক্ত করে৷ বিশ্ব ব্যাঙ্কের আর্থিক সহায়তায় চালিত ওই প্রকল্পের উপকূলবর্তী রাজ্যগুলিতে অত্যাধুনিক আশ্রয়স্থল নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল৷ ওই প্রকল্পে ৮০ শতাংশ টাকাই কেন্দ্রীয় সরকারের হাত ঘুরে বিশ্ব ব্যাঙ্কের কাছ থেকে আসার কথা৷ রাজ্য সরকারের দেওয়ার কথা বাকি ২০ শতাংশ অর্থ এবং জমি৷


কিন্ত্ত সরকারি সূত্রের খবর, যে ২৫০টি বহুমুখী আশ্রয়স্থল গড়ে তোলার কথা, তার একটিও হয়নি৷ কারণ জেলা প্রশাসন সময়মতো জমিই চিহ্নিত করে উঠতে পারেনি৷ তা ছাড়া, গত বছরের গোড়ায় বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিদল কলকাতায় এসে প্রকল্পে কিছু পরিবর্তনের সুপারিশ করে গিয়েছিল৷ সেই কাজও প্রশাসন সময়মতো শেষ করতে পারেনি৷ আশ্রয়স্থল তৈরি না-হওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়ে রাজ্যের দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের মন্ত্রী জাভেদ খান মঙ্গলবার বলেন, 'আমরা জমি চিহ্নিত করে তালিকা দিল্লিতে পাঠিয়েছি৷ বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করার কথা দিল্লির৷ ওরা এখনও কিছু জানায়নি৷' মন্ত্রী অবশ্য দাবি করেছেন, পিলিন এ রাজ্যে হানা দিলে উপকূল থেকে লোকজনকে অন্যত্র নিয়ে রাখার ব্যবস্থা এ রাজ্যে আছে৷

http://eisamay.indiatimes.com/state/what-happens-if-phailin-would-hited-bengal/articleshow/24233053.cms

24 Ghanta
BIG BREAKING NOW:
জঙ্গলমহলে মাওবাদী প্রভাবিত এলাকায় পথ হারাল মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়। ঝাড়গ্রাম যাওয়ার রাস্তায় বিভ্রাট। পাইলট কার ছিল না মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়। লোধাশুলির মোড় থেকে ভুল পথে চলে যায় কনভয়। ৫-৬ কিলোমিটার যাওয়ার পর ভুল বুঝতে পেরে সঠিক রাস্তায় ফেরে কনভয়। ৫টি গাড়ি ছিল কনভয়ে। রাতে সরকারি গেস্ট হাউসে ফেরেন মুখ্যমন্ত্রী। ছিল না পর্যাপ্ত পুলিসি নিরাপত্তা। প্রথম গাড়িতেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।


Apna Bihar
दुर्गापूजा के दौरान फ़ेलिन का आतंक, 19 मरे, पीरपैंती में नाव पलटने से 10 डूबे,
पटना(अपना बिहार, 16 अक्टूबर 2013) – फ़ेलिन ने दुर्गा यानी हिन्दू ब्राह्म्णवाद को कड़ी शिकस्त दी। फ़ेलिन के आतंक के आगे दुर्गा भी बेबस नजर आयी। बंगाल की खाड़ी में आये चक्रवाती तूफ़ान का असर बिहार में भी देखने को मिला read more on www.apnabihar.org

Like ·  · Share · 30 minutes ago ·


ঘূর্ণিঝড় পিলিনের দাপটে টানা বৃষ্টি ও ডিভিসির ছাড়া জলের সাঁড়াশি আক্রমণে বন্যাকবলিত হয়ে পড়ল এ রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা৷ ইতিমধ্যেই পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন৷ মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রাণ গিয়েছে ১১ জনের৷ বর্ধমান ও উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা বাড়ছে৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে সক্রিয় হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ একই সঙ্গে রাজ্য প্রশাসনকে 'না জানিয়ে' ডিভিসির জল ছাড়ার প্রতিবাদে এ দিনই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷

পিলিনের প্রভাবে অষ্টমী থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল দক্ষিণবঙ্গে৷ ঝাড়খণ্ডে প্রবল বৃষ্টির জেরে জলাধার থেকে জল ছাড়তে শুরু করে ডিভিসি৷ দশমীর দিনই এক লক্ষ কিউসেক হারে পাঞ্চেত ও মাইথন থেকে জল ছাড়ে ডিভিসি৷ জল ছাড়া হয় গালুডি জলাধার থেকেও৷ ফলে মুণ্ডেশ্বরী, রূপনারায়ণ, দামোদর, কংসাবতীর ফুলে ওঠা জলে ভেসে যায় চারপাশের বহু এলাকা৷ পশ্চিম মেদিনীপুরের বন্যা পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ৷ ভেসে গিয়েছে জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রাম, নয়াগ্রাম, কেশিয়ারি, সাঁকরাইল এবং দাঁতন৷ জেলার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাতেই মেদিনীপুর রওনা হয়েছেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়৷ হুগলির খানাকুল, পুরশুড়া, হাওড়ার আমতা, উদয়নারায়ণপুর, পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়াও প্লাবিত৷ এমনিতেই নিম্নচাপের জেরে অতি বর্ষণের ফলে নদীগুলি ফুলে রয়েছে৷ এর মধ্যেই বাঁধের ছাড়া জলে দ্বারকেশ্বর, কংসাবতী, শিলাবতী, শালি, সুবর্ণরেখার জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে৷ হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর, আমতা-২ ব্লকের বিভিন্ন অংশে বাঁধ উপচে জল ঢুকে পড়েছে৷ সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ সুলতান আহমেদ এলাকা পরিদর্শন করেছেন৷ নিচু এলাকা থেকে সরে যাওয়ার জন্য মাইকে প্রচার চালাচ্ছে প্রশাসন৷ একই অবস্থা হুগলির আরামবাগ, খানাকুলেরও৷ বিপর্যয় মোকাবিলায় এনডিআরএফ কর্মীদের নামানো হয়েছে৷

কয়েক দিন আগেই সাফল্যের সঙ্গে পিলিনের দাপট সামলে প্রশংসা কুড়িয়েছেন ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী বিজু পনায়েক৷ এই পরিস্থিতিতে এ রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাড়তি সতর্কতা নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কেন্দ্রীয় জলসম্পদ সচিবকে সোমবারই ফোন করে জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন মমতা৷ পুজোর ছুটির মধ্যে মঙ্গলবারই নিজের বাসভবনে সেচ দন্তরের আধিকারিকদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন তিনি৷ রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথী বলেন, 'স্বাস্থ্য দন্তর সতর্ক রয়েছে৷ প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কায় প্রতিটি জেলায় ওষুধ মজুত রয়েছে৷ পুজোর সময় যে সব এলাকায় বন্যার আশঙ্কা ছিল স্বাস্থ্য দন্তরের কর্মীরা সেখানে ছুটি বাতিল করে কাজ করছেন৷'

জল ছাড়া নিয়ে ডিভিসি এবং রাজ্য সরকারের চাপানউতোর পৌঁছে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দরবারেও৷ প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে চিঠি পাঠিয়ে ডিভিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তাঁর বক্তব্য, রাজ্য প্রশাসনকে ডিভিসি না জানিয়েই জল ছাড়ায় বিপন্ন হয়ে পড়েছে রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা৷ ডিভিসির চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ সেন অবশ্য এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, রাজ্য সেচ দন্তর, জেলা প্রশাসন ও মুখ্যমন্ত্রীর দন্তরকে জানিয়েই জল ছাড়া হয়েছে৷ তিনি জানিয়েছেন, মাইথন আর পাঞ্চেত জলাধার দু'টি থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ এক লক্ষ কিউসেক থেকে কমিয়ে মঙ্গলবার ৮০ হাজার কিউসেকে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে৷ তবে রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ডিভিসি এ দিন সকালেও এক লক্ষ ৬৩ হাজার কিউসেক হারে জল ছেড়েছে৷ গালুডি জলাধার থেকে ঝাড়খণ্ড সরকার এক লক্ষ তেরো হাজার কিউসেক হারে জল ছেড়েছে৷

তবে জেলায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতি উদ্বেগ বাড়িয়েছে প্রশাসনের৷ কংসাবতী ও ক্ষীরাই নদীর বাঁধ ভেঙে পাঁশকুড়া, তমলুক, নন্দকুমারের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত৷ সুবর্ণরেখার জলে রামনগরের বাধিয়া এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে৷ পশ্চিম মেদিনীপুরের গোপীবল্লভপুর-১, ২, সাঁকরাইল, নয়াগ্রাম ব্লকে ঘরবাড়ি, গবাদি পশু, আমন চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে৷ কেশপুর, ঘাটাল, ডেবরা, দাসপুরের বহু অংশ প্লাবিত৷ বিভিন্ন হাইস্কুলে ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে৷ পশ্চিমাঞ্চলের আইজি সিদ্ধিনাথ গুন্ত, পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ, জেলাশাসক গোলাম আলি আনসারি প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেন৷

আসানসোলে বাড়ি ধসে, মণ্ডপ ভেঙে পড়ে ও নদীতে ভেসে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে৷ বাঁকুড়ার বড়জোড়ার ঘুটগড়িয়ায় বৃষ্টির মধ্যে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে মাটির দেওয়াল ধসে মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধের৷ পশ্চিম মেদিনীপুরের ঝাড়গ্রামে সুবর্ণরেখার জলে ভেসে যান এক যুবক৷ দশমীর দিন পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুরে স্নান করতে গিয়ে সমুদ্রে তলিয়ে যান এয়ারপোর্ট থানার সুকান্তনগরের দুই যুবক৷ তাঁদের নাম সুজয় পাল (২১) ও রাহুল দাস (২৫)৷ বর্ধমানের আউশগ্রাম, কাঁকসা, কেতুগ্রামের বেশ কয়েকটি গ্রাম ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত৷ কালনা, কাটোয়া, বর্ধমান পুরসভার বহু এলাকা জলমগ্ন৷ জেলা প্রশাসনের তরফে কম্বল, খাবারদাবার বিলি করা হয়েছে৷

বাঁকুড়ার সোনামুখী-পাত্রসায়রেরও বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন৷ জেলার ২২টি ব্লকের প্রতিটিতেই কাঁচা বাড়ি ভেঙেছে৷ ডিভিসি জল ছাড়ায় দামোদর তীরবর্তী এলাকাগুলিতে সতর্কতা জারি করেছে জেলা প্রশাসন৷ সোনামুখীর পলাশডাঙা এবং পাত্রসায়রের শালখানায় দু'টি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে৷ দক্ষিণ বাঁকুড়ার সারেঙ্গা ব্লকেও পাঁচটি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে৷ শুকনো খাবার, জল, পোশাক দেওয়া হয়েছে বলে জানান জেলাশাসক বিজয় ভারতী৷ ইতিমধ্যেই রাস্তায় জল উঠে যাওয়ায় বাঁকুড়া-রানিবাঁধ ও বাঁকুড়া-ঝাড়গ্রামে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে৷ ঝড়ের দাপটে বীরভূম জেলায় বহু কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়েছে৷ ময়ূরাক্ষী, বক্রেশ্বরের জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে৷

প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গও৷ দার্জিলিংয়ের রম্ভি থানার বিরিকদারায় ধস নামলে জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে যায়৷ ধসে যান চলাচল বন্ধ সেবকে মালবাজারগামী ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কেও৷ পরে ধস পরিষ্কার করে যান চলাচলের ব্যবস্থা করে পূর্ত দফতর৷ নবমীর দুপুর থেকেই উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়েছে৷ জলপাইগুড়িতে এ দিন সকাল পর্যন্ত বৃষ্টি চলে৷ আবহাওয়া দন্তর জানিয়েছে, আরও ২৪ ঘণ্টা বিক্ষিন্ত ভাবে বৃষ্টি চলবে উত্তরবঙ্গে৷ ওডিশায় আছড়ে পড়ার পর পথ বিহারের দিকে এগিয়ে যায় পিলিন৷ তার জেরে ঝড়ের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে মালদহতেও৷ গাজোল ও রতুয়া ব্লকে রীতিমতো তাণ্ডব চলেছে৷ বৃষ্টিতে মাঠ-ঘাট ডুবে, ভেসে গিয়েছে পুকুরের মাছ৷ বিহারের বিভিন্ন নদীতে জল বাড়ায় বন্যার আশঙ্কা বাড়ছে মালদহেও৷ উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, তপন, হরিরামপুর, কুমারগঞ্জে বহু ঘর-বাড়ি ভেঙে পড়েছে৷ ব্লক অফিস থেকে ত্রিপল, শুকনো খাবার বিলি করা হয়েছে৷

জল ছাড়ায় দিল্লিকে রুষ্ট মমতার চিঠি

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের সঙ্গে কথা না বলে জল ছাড়ায় ডিভিসি-র ওপর রুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিন জেলায় বন্যা পরিস্থিতির জন্য ডিভিসিকে দায়ী করে প্রধানমন্ত্রীকে কড়া চিঠিও দিয়েছেন তিনি। আবার হুগলিতে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে খানাকুল যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।


ডিভিসির জলাধার থেকে নতুন করে জল ছাড়ায় ফুলেফেঁপে উঠেছে দামোদর, অজয়, দারকেশ্বর, কংসাবতী নদী। বাড়তি জল ছাড়ার ফলে বর্ধমান, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দুই মেদিনীপুর যাচ্ছেন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ও পশ্চিম মেদিনীপুর যাচ্ছেন।


উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে পাঞ্চেত জলাধার থেকে ছাড়া হয়েছে ৮০ হাজার কিউসেক জল। ৩৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে মাইথন থেকে। জল ছাড়ার ফলে বর্ধমান, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের নদীগুলিতে জল বাড়ছে। দারকেশ্বর, কংসাবতী, ভৈরোবাঁকি, শিলাবতী, শালি বাঁকুড়ার এই পাঁচটি নদীই ফুলে উঠেছে। আবার একটানা বৃষ্টিতে এমনিতেই জেরবার রাজ্যগুলি। তার ওপর জল ছাড়ায় জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই পরিস্থিতি পশ্চিম মেদিনীপুরের সাঁকরাইল, নয়াগ্রাম, গোপীবল্লভপুরে।


অন্য দিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত বর্ধমানের আউশগ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা। বনকুল, নৃসিংহপুর-সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম ঝড়ের তাণ্ডবে সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত। শুধুমাত্র বনকুল গ্রামেই ৩০০-র বেশি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। বনকুল গ্রামে প্রশাসনের তরফে ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। ঝড়ের তাণ্ডবে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ায় গোটা অঞ্চলে বিদ্যুত পরিষেবা ব্যাহত। আবার গাছ পড়ে রাস্তা বন্ধ থাকার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানোর ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিয়েছে।

ম্যান মেড বন্যা, ফের সরব মমতা

আশাবুল হোসেন, এবিপি আনন্দ

Wednesday, 16 October 2013 19:44

পশ্চিম মেদিনীপুর:  রাজ্য সরকারকে কিছু না জানিয়ে খেয়াল-খুশি মতো ডিভিসি ও ঝাড়খণ্ডের গালুডি থেকে বিপুল পরিমাণে জল ছাড়া হয়েছে৷ এর জেরে বিভিন্ন জেলা জলমগ্ন৷ এটা ম্যান মেড বন্যা৷ পশ্চিম মেদিনীপুরে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে এই ভাষাতেই ক্ষোভ উগড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

রাজ্যের কয়েকটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে না দিতেই মঙ্গলবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের উদ্দেশ রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ রাতে ঝাড়গ্রামে থেকে বুধবার সকালে তিনি রওনা দেন গোপীবল্লভপুরের উদেশে৷ সেখানে বাবুডুমারা, বংশীধরপুর, জালবেংটি সহ বেশ কিছু গ্রাম সুবর্ণরেখার জলে প্লাবিত৷ এই সব এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ গোপীবল্লভপুরের বাবুডুমারা হাইস্কুল মাঠে বন্যা দুর্গতদের হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তাঁর বার্তা, বন্যা দুর্গতদের জন্য রাজ্য সরকার পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা করেছে৷ কোনও দুর্গত মানুষ যাতে ত্রাণ সামগ্রী থেকে বঞ্চিত না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে জেলা প্রসাসনকে৷ বন্যায় যাঁদের বাড়ি ভেঙেছে, তাঁদের ১৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে৷ সেইসঙ্গে তিনি বলেন,  বন্যাপ্লাবিত এলাকায় কত বাড়ি ভেঙেছে ও কত মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সে ব্যাপারে তিনদিনের মধ্যে বিডিওদের রিপোর্ট দিতে হবে৷ রাজ্য সরকারকে অন্ধকারে রেখে ডিভিসি ও ঝাড়খণ্ড থেকে খেয়ালখুশি মতো জল ছাড়ছে বলে অভিযোগ জানিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে চিঠি লিখেছেন৷আর এদিন ফের কেন্দ্রের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে তিনি দাবি করেন, এটা ম্যান মেড বন্যা৷ডিভিসি, ঝাড়খণ্ড সরকার আমাদের রাজ্যকে কিছু না জানিয়েই জল ছাড়ছে। এমনকী জল ছাড়ার পর কী হল, সে ব্যাপারে মনিটরিংও চালায় না। বিরোধী নেত্রী থাকাকালেও বাম জমানায় ততকালীন শাসক দলকে আক্রমণ করে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ওই বন্যা ম্যান মেড! রাইটার্সে বসার পরও এই ইস্যুতে তিনি একই মন্তব্য করলেন৷

পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটে গিয়ে বন্যা পরিস্থিতি ও ত্রাণ বিলি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা৷ বৈঠক শেষে জানান, পাঁশকুড়ায় যে নদী বাঁধ ভেঙেছে, তা দ্রুত সারানো হবে৷ প্রয়োজনে সাহায্য নেওয়া হবে সেনা বাহিনীর৷

সুবর্ণরেখার জল ঢুকে পড়ায় গোপীবল্লভপুরের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ বিপন্ন৷ এর মধ্যে ধূলেশ্বর দেউরি নামে আসাঞ্জির বাসিন্দা চার জনকে রক্ষা করেছেন৷ বীরত্বের স্বীকৃতি হিসেব তাঁকে গীতাঞ্জলি প্রকল্পের আবাসন দেওয়া হবে বলে এদিন ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷  

এদিন হাওড়ায় গিয়ে বন্যা কবলিত গড়ভবানীপুর এলাকা পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ হাওড়ায় প্রশাসনিক বৈঠকও করেন তিনি৷ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে না হতেই যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করছেন, তাতে ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজ গতি পাবে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল৷

গোপীবল্লভপুরে বন্যা দুর্গতদের মধ্যে নিজে হাতে আজ তিনি ত্রাণ বিলি করেন৷ ঘাটাল, চন্দ্রকোণা, দাসপুরেও ত্রাণ পাঠানো হয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, বন্যার দাপটে যাঁদের বাড়ি ভেঙে গিয়েছে, তাঁদের পরিবারপিছু ১৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে৷ পরে আরও ৫ হাজার টাকা করে অতিরিক্ত আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে৷ ত্রাণের ক্ষেত্রে কেউ যাতে বঞ্চিত না হন, সেদিকে কড়া নজর রাখার জন্য বিডিওদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বন্যা দুর্গত এলাকায় বিডিওদের ছুটিও বাতিল করা হয়েছে৷ পূর্ব মেদিনীপুরে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আজই কোলাঘাটে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পূর্ব মেদিনীপুরের জলমগ্ন এলাকাগুলিতেও ত্রাণ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷

http://www.abpananda.newsbullet.in/state/34/42482

পূর্ব মেদিনীপুরের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, হুগলিতেও প্লাবিত বহু অঞ্চল, কিছুটা উন্নতি পশ্চিম মেদিনীপুরে

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। পাঁশকুড়া, তমলুক, কোলাঘাট, ময়না ও নন্দকুমার ব্লকের প্রায় তিনশোটি গ্রাম প্লাবিত। বহু বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। কয়েকশো মানুষ ঘর ছাড়া। তমলুক-পাঁশকুড়া রাজ্য সড়ক জলের তলায়। পাঁশকুড়া পৌরসভার চোদ্দো নম্বর ওয়ার্ডের গড়পুরুষোত্তমপুরে কংসাবতী নদীর বাঁধ ভেঙে নতুন করে বেশকিছু এলাকা জলমগ্ন। ত্রাণ নিয়েই সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ চরমে।


হুগলির খানাকুলে বন্যা পরিস্থিতির এখনও উন্নতি হয়নি। খানাকুলের এক ও দু নম্বর ব্লকের বেশ কিছু অংশ প্লাবিত। একমাত্র যোগাযোগকারী সড়ক মায়াপুর-গড়ের ঘাট রুটে জগদীশতলা এবং সাঁইবোনা এলাকায় পাকা রাস্তা জলমগ্ন। ঝুঁকি  নিয়েই এখনও পর্যন্ত বাস চলাচল করছে । প্লাবিত হয়েছে খানাকুল দু নম্বর ব্লকের মারোখানা, জগতপুর, রাজহাতি, শাবলসিংহপুর, চিংড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা ।


পশ্চিম মেদিনীপুরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। জল নামতে শুরু করায়, ঘরছাড়াদের অনেকেই ত্রাণশিবির থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। ঝাড়গ্রামে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই গোপীবল্লভপুরের উদ্দেশে রওনা হবেন তিনি। জলমগ্ন এলাকার বাসিন্দারা কী পরিস্থিতির মধ্যে আছেন, কতটা ত্রাণ পাচ্ছেন, তা খতিয়ে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী। ডিভিসির ছাড়া জলে পশ্চিম মেদিনীপুরের সাতটি ব্লক প্লাবিত। এগুলির মধ্যে রয়েছে গোপীবল্লভপুর এক ও দু-নম্বর ব্লক, নয়াগ্রাম, ঝাড়গ্রাম  মহকুমার সাঁকরাইল, দাঁতন এক নম্বর ব্লক ও কেশিয়াড়ি ব্লক। জেলায় প্রায় এগারো হাজার কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়েছে। বাইশ হাজার বাড়ি আংশিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাষট্টিটি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে।

http://zeenews.india.com/bengali/zila/flood-in-wb_17163.html


শাসনকালের ভুল শুধরে খেতমজুর সংগঠনের ভাবনা বিরোধী সিপিএমে

প্রসেনজিত্‍ বেরা


ক্ষমতায় থাকাকালীন যে বাস্তবতাকে অস্বীকারই করে এসেছে রাজ্য সিপিএম, এ বার বিরোধী অবস্থানে থেকে সেই ভুলই খণ্ডাতে চাইছে তারা৷ দীর্ঘ কয়েক দশকের টানাপোড়েন, তর্ক-বিতর্কের পর অবশেষে এ রাজ্যেও খেতমজুরদের পৃথক গণসংগঠন তৈরি করতে চলেছে সিপিএম৷ 'অপারেশন বর্গা'র সাফল্যের দাবিদাররা ৩৪ বছরের শাসনকালে মানতেই চায়নি, রাজ্যে উদ্বেগজনক ভাবে বেড়েছে ভূমিহীন খেতমজুরের সংখ্যা৷ কৃষিজীবী মানুষ ক্রম‌েই প্রান্তিক হয়েছেন৷ দুঃসহ হয়েছে তাঁদের সপরিবার বাঁচা৷ সত্যিটা মানলে নিজেদের সরকারের 'সাফল্য' যে আর দাবি করা যেত না! এখন ক্ষমতা খুইয়ে 'সর্বহারা' খেতমজুরদের সংগঠিত করার দায়িত্ব স্বীকার করতে চলেছে সর্বহারা পার্টি৷


কিছু দিনের মধ্যেই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সিপিএমের প্রদেশিক কৃষকসভা৷ এতদিন কৃষকসভার মধ্যেই খেতমজুরদের সংগঠিত করত সিপিএম৷ আলাদা সংগঠন ছিল না৷ সারা দেশে অসম এবং পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া প্রতিটি রাজ্যেই কিন্ত্ত কৃষক ও খেতমজুরদের আলাদা সংগঠন রয়েছে সিপিএমের৷ এ রাজ্যেও আলাদা খেতমজুর সংগঠনের জন্য দলের মধ্যেই প্রবল দাবি ছিল৷ কিন্ত্ত কৃষকসভার নেতৃত্বের একাংশের তীব্র বিরোধিতার কারণে আলাদা গণসংগঠন আর হয়নি৷ যতদিন শাসকদল ছিল সিপিএম, বস্ত্তত তারা এ বিষয়ে গা-ই করেনি৷


কিন্ত্ত হান্নান মোল্লার মতো কৃষক নেতাদের প্রবল চাপের মুখে অবশেষে এ রাজ্যেও খেতমজুরদের পৃথক সংগঠন তৈরি করতে চলেছে দল৷ তবে নতুন এই ভাবানা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে দলের অন্দরে৷ রেজ্জাক মোল্লার মতো নেতারা সরাসরি এই ভাবনার বিরোধিতা করছেন৷ ক্যানিং পূর্বের বিধায়কের দাবি, 'যখন আলাদা খেতমজুর সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা ছিল, তখন হয়নি৷ এখন রাজ্যে খেতমজুরের সংখ্যা কমছে ও অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছে৷ ফলে আলাদা সংগঠনের কোনও বাস্তবতা নেই৷' যদিও আদমসুমারি থেকে শুরু করে একাধিক সরকারি সমীক্ষায় খেতমজুর, ভূমিহীন কৃষিজীবীর সংখ্যা দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেও ক্রমবর্ধমান বলেই বারবার উঠে এসেছে৷


প্রাদেশিক কৃষকসভার সভাপতি মদন ঘোষের স্বীকারোক্তি, 'আগে কৃষকসভার মধ্যেই খেতমজুরদের সংগঠিত করা হত৷ এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে খেতমজুরদের পৃথক সংগঠন তৈরি নিয়ে আমাদের ভাবনা-চিন্তা চলছে৷' সিপিআই থেকে শুরু করে সিপিআইএমএল (লিবারেশন)-এর মতো বামদলগুলির কিন্ত্ত এই রাজ্যে আলাদা খেতমজুর সংগঠন আছে বরাবরই৷ সিপিএমের এমন সংগঠন না থাকার পিছনে এতদিন বলা হত, কৃষক ও খেতমজুররা অনেক সময়ে পরস্পরের উপর নির্ভরশীল, তাই এক সংগঠনের মধ্যে কাজ করতে অসুবিধা নেই৷ আলাদা সংগঠনে অনীহার মূলে কঠিন সত্যিকে এড়িয়ে যাওয়ার শাসকদলসুলভ মানসিকতাও যে প্রবল ভাবে কাজ করেছে, তা রেজ্জাক মোল্লার এখনকার মন্তব্যেও স্পষ্ট ('রাজ্যে খেতমজুরের সংখ্যা কমছে')৷


হান্নান মোল্লার মতো নেতারা কিন্ত্ত গত কয়েক বছর ধরেই আলাদা খেতমজুর সংগঠনের দাবি করছিলেন৷ দলীয় মুখপত্রের শারদ সংখ্যায় এই যুক্তির পক্ষে এর আগেও সওয়াল করেছেন তিনি৷ কৃষকসভার সর্বভারতীয় সম্পাদক হওয়ার পর ফের 'দেশহিতৈষী'তে পৃথক সংগঠনের পক্ষে জোরালো সওয়াল করেছেন তিনি৷ তাঁর যুক্তি, গ্রামের গরিবদের দিকে মুখ ফেরানো এবং গ্রামীণ আন্দোলনের নেতৃত্বে খেতমজুরদের তুলে আনার জন্য আলাদা সংগঠনের প্রয়োজন৷ তাঁর বক্তব্য, গ্রামীণ গরিব মানুষের মধ্যে বামপন্থীদের প্রভাব কমেছে৷ তাই খেতমজুরদের সংগঠিত করে তাদের আন্দোলনকে তীব্রতর করার প্রয়োজন আছে৷


ক্ষমতা খুইয়ে কি তা হলে বামপন্থার বিস্মৃত আদর্শ ফের আঁকড়ে ধরতেই চাইছে সিপিএম?

http://eisamay.indiatimes.com/state/cpm-thinks-about-khetmajdur-organisation/articleshow/23786692.cms

Lenin Raghuvanshi
A oLd document for reading to strengthen active peace building process:



http://www.friedenspsychologie.de/inpsysr/docs/ECP_Green.pdf

http://www.friedenspsychologie.de/inpsysr/docs/ECP_Green.pdf

www.friedenspsychologie.de

http://www.friedenspsychologie.de/inpsysr/docs/ECP_Green.pdf

Shabnam Hashmi
In memory of the 13 year old who was gang raped and burnt alive in Muzaffarnagar... whose mother could not even try and save the daughter as it would have meant risking the life of other children...


In memory of scores of those women whose stories have been buried skillfully...


In solidarity with women who were gang raped and had to keep hiding in the sugar cane field for days as they had no clothes on their bodies...


In protest against the shameless marauders and connivance of the local administration...


In disgust with the female doctor of the Civil Hospital , Muzaffarnagar who conducted the medical and misbehaved with traumatised women...


NO CELEBRATION
Xavier Dias and Mahtab Alam shared a link.

Truth behind Justice Verma's death

legalera.in

Sonam Saigal | Mumbai | Thursday, 26 September 2013 It was caused due to one of the common reasons in India - Medical Negligence 'Life and death is in...


Abhishek Srivastava
अगला लोकसभा चुनाव करीब आते-आते जिस तरह पत्रकारों को नेताओं व राजनीतिक दलों द्वारा co-opt किया जा रहा है, वह चिंताजनक बात है। इस फेहरिस्‍त में ताज़ा नाम वर्तिका नंदा का है जो कभी पत्रकार थीं, आजकल मीडिया पढ़ाती हैं और किताबें लिखती हैं।


फरवरी 2013 में Samast Bihar Jharkhand Samaj Trust नाम की सूरत, गुजरात स्थित एक संस्‍था ने इन्‍हें अपने कार्यक्रम में मुख्‍य वक्‍ता बनाकर बुलाया था। इस संस्‍था को चलाने वाले शख्‍स का नाम अजय चौधरी है जो सूरत बीजेपी का महामंत्री है। यही वह संस्‍था है जिसने बिहार के 100 साल पूरे होने पर नरेंद्र मोदी को मुख्‍य अतिथि बनाया था और उस कार्यक्रम में वामपंथी बुद्धिजीवी शिवमंगल सिद्धांतकार की भतीजी कथक नृत्‍यांगना पुनीता शर्मा को सम्‍मान दिया था। यह संस्‍था नरेंद्र मोदी को प्रधानमंत्री बनाने के लिए खुलकर प्रचार कर रही है और पिछले ही दिनों इसके कर्ताधर्ता श्री चौधरी दिल्‍ली में पत्रकारों से संपर्क बढ़ाने के लिए आए थे।


एकबारगी माना जा सकता है कि कलाकार पुनीता शर्मा को मोदी या चौधरी जैसे मोदी के टट्टुओं की राजनीति से मतलब न हो, लेकिन क्‍या यही बात वर्तिका नंदा पर भी लागू होती है जिन्‍हें टीवी मीडिया में ''सीजन्‍ड पत्रकार'' माना जाता रहा है? बीजेपी के जिला महामंत्री के जेबी संगठन के एफबी पेज पर लगी उनकी तस्‍वीर क्‍या कह रही है?


चन्द्रशेखर करगेती


एक दो लोगो की किसी हादसे में मौत हो जाने पर जब शासन से मजिस्ट्रेटी जाँच के आदेश हो सकते हैं तो उत्तराखण्ड आपदा में हजारों लोगो की मौत का जिम्मेदार कौन क्या इसकी जाँच और जिम्मेदारी तय नहीं होनी चाहिए ?



फैलिन ने बेपर्दा किया उत्तराखंड जल प्रलय का रहस्य !

आपदा से नहीं, राज्य सरकार की चूक से गईं जानें, केंद्रीय मंत्री की स्वीकारोक्ति ने खड़े किए सवाल ?


चक्रवाती तूफान फैलिन ने उत्तराखंड में जून माह में आई जल प्रलय के रहस्य को बेपर्दा कर दिया है । तूफान से राज्य सरकार का वह झूठ भी बेनकाब हुआ है कि हजारों मौतें और अरबों की सम्पत्ति के नुकसान के लिए दैवीय आपदा जिम्मेदार है । केन्द्र सरकार के एक मंत्री ने इन दावों की हवा निकाल दी है और साफ तौर पर कहा है कि उत्तराखंड की त्रासदी दैवीय आपदा नहीं है । केन्द्रीय कैबिनेट मंत्री ने राज्य सरकार के स्तर पर की गई लापरवाही और पर्यावरण के प्रति संवेदनहीनता को आपदा के लिए जिम्मेदार माना है । केन्द्रीय मंत्री की इस स्वीकारोक्ति ने कई सवाल खड़े कर दिए हैं । सबसे बड़ा सवाल यह है कि क्या वे शख्स चिह्न्ति हो पाएंगे, जिनकी वजह से इतनी जानें गईं और कई हजार करोड़ का नुकसान हुआ ?


आंध्र प्रदेश और ओडिशा में गत दिनों आए तूफान में अपेक्षाकृत कम नुकसान से भारत सरकार आह्लादित है और इसका र्शेय खुद को दे रही है । लेकिन जब बात उत्तराखंड की त्रासदी की आती है तो केन्द्र का रुख बदल जाता है । केन्द्रीय विज्ञान एवं तकनीक मंत्री जयपाल रेड्डी ने साफ कहा है कि उत्तराखंड में त्रासदी के आने से 24 घंटे पूर्व राज्स सरकार को एलर्ट कर दिया गया था । सरकार ने व्यापक प्रबंध नहीं किये । इतना ही नहीं रेड्डी यह भी कहते हैं कि बिजली परियोजनाओं के बांधों के टूटने और पर्यावरण की बिगड़ती दशा के कारण जून माह में उत्तराखंड में आई त्रासदी ने विकराल रूप धारण किया। उधर राज्य सरकार हमेशा यही कहती रही है कि मौसम विभाग ने कोई पूर्व चेतावनी नहीं दी और एक साथ कई स्थानों पर बादल फटने से बड़ी त्रासदी हुई ।


गौरतलब है कि जून माह के मध्य में आई आपदा में लगभग चार हजार लोग मारे गए और 14 हजार करोड़ से अधिक का नुकसान हुआ। इस व्यापक धन और जन हानि के लिए अब तक किसी की जिम्मेदारी तय नहीं हुई है । केन्द्रीय मंत्री जयपाल रेड्डी के बयान के बाद एक बार फिर राज्य सरकार कठघरे में है । राज्य सरकार इसलिए भी सवालों के घेरे में आती है क्योंकि उसने अब तक यह जानने का प्रयास भी नहीं किया कि आपदा के लिए जिम्मेदार कौन है ?

क्या यह सरकार का दायित्व नहीं है कि उन लोगों को चिह्न्ति किया जाए जो हजारों मौत के गुनहगार हैं ?

क्या इस सच्चाई को तलाशने की जरूरत नहीं है कि यदि 24 घंटे पूर्व त्रासदी के आने की सूचना प्रदेश सरकार को दे दी गई तो फिर निदान के उपाय क्यों नहीं किए गए ?

क्या इस शर्मिंदगी का जवाब शासन को खुद नहीं ढूंढना चाहिए कि 16 जून को आई आपदा में केदारनाथ में हजारों लोग मारे गए और राज्य सरकार को 17 जून की दोपहर तक स्थिति की गंभीरता का पता तक नहीं चला ?


अब चलते हैं केन्द्र की ओर । उत्तराखंड में आई आपदा की पुनरावृत्ति रोकने को केन्द्र सरकार ने नौ हजार करोड़ का प्रोजेक्ट तैयार किया है । प्रदेश में मौसम विभाग को और भी सक्षम और सूचना प्रेषण तकनीक को दक्ष बनाना इस प्रोजेक्ट का मकसद है । सवाल यह है कि हजारों करोड़ खर्च करने का क्या फायदा ? यदि उस पर अमल ही न हो । यदि केन्द्र सरकार यह मानती है कि आपदा के लिए राज्य सरकार की लापरवाही जिम्मेदार है तो क्या दंड का विधान नहीं होना चाहिए । दरअसल केन्द्र और राज्य सरकार आपदा के मुद्दे पर जनता को दिग्भ्रमित करना चाहती है । पुनर्विकास का झुनझुना थमाकर जनता को भटकाया जा रहा है । यदि केन्द्र और राज्य सरकार की मंशा ठीक होती तो त्रासदी की वजह और इसकी जिम्मेदारी तय करने के लिए किसी जांच आयोग का गठन किया जाता । दुर्भाग्य से अब तक न तो केन्द्र और न ही राज्य सरकार ने ऐसा कोई संकेत दिया है ।



आखिर क्यों चुप है हम लोग ?


(साभार : दैनिक जनवाणी)


Dilip C Mandal
भारत में जब स्वतंत्रता आंदोलन शुरू हो रहा था. ऐसे में यह बताना कि मेरी बिरादरी यूरोप से आई है....इसे देशभक्ति का कार्य माना जाए या नहीं, इस पर विचार किया जाना चाहिए.

Dilip C Mandal

आर्य यूरोप से, बल्कि उत्तरी ध्रुव से आए थे, यह सिद्धांत पहली बार लोकमान्य बाल गंगाधर तिलक ने प्रतिपादित किया. उन्होंने ही इस सिद्धांत को लोकप्रिय बनाया. उनका मकसद यूरोपीय शासकों से अपने समुदाय की निकटता स्थापित करना था.


तिलक कोई क्वालिफाइड हिस्टोरियन या भाषाशास्त्री नहीं थे. ग्रेजुएशन की पढ़ाई करने के बाद वे स्कूल में मैथ्स पढ़ाते थे. बाद में पत्रकारिता की. लेकिन इस किताब में उन्होंने एक ऐसे विषय पर हाथ आजमाया, जिनकी उन्होंने विधिवत पढ़ाई नहीं की थी. इसलिए एकेडमिक दृष्टि से उनके इस ग्रंथ का कोई महत्व नहीं है.


क्या इस ग्रंथ को महत्वपूर्ण एकेडेमिक कार्य माना जा सकता है?

Pradip Roy shared Takshak Lokhande's photo.

Unlike ·  · Share · 12 hours ago ·


Jagadishwar Chaturvedi
फेसबुक पर कुबुद्धि के प्रतिवाद में-2-


यह कुप्रचार है कि वैदिकयुग में शूद्रों को वेद नहीं पढाए जाते थे। आम्बेडकर ने लिखा है छांदोग्य उपनिषद में जानस्श्रुति की कथा है। वे शूद्र थे।उनको रैक्व ऋषि ने वेद विद्या सिखाई। जैमिनि ने बदरि ऋषि का उल्लेख किया वे कहते हैं शूद्रों को वैदिककर्म का अधिकार है।भारद्वाज का श्रौत सूत्र मानता है कि शूद्रों को वैदिक कर्म का अधिकार है। ऋषि कवष और ऐलूष शूद्र थे और ऋग्वेद के दसवें मंडल के अनेक सूक्तों के रचयिता भी थे। शूद्रों को सोमरस पीने का भी अधिकार था।
Virendra Yadav shared a photo.
इन दिनों विश्वविद्यालयी जीवन की स्मृतियाँ उमड़ घुमड़ रही हैं .छात्र जीवन के उस दौर में लखनऊ ,इलाहाबाद ,वाराणसी हर विश्वविद्यालय में समाजवादी युवजन सभा का बोलबाला था . सत्यदेव त्रिपाठी जैसे नेता इलाहाबाद से आकर लखनऊ की छात्र राजनीति के जरिये स.यु.स.की गतिविधियाँ तेज किये हुए थे .उन दिनों समाजवादी युवजन सभा की गतिविधियों में लखनऊ में मुख्तार अनीस ,हर्षवर्धन सिंह ,रवीन्द्र सिंह ,सी बी सिंह और मो.शोएब सक्रिय थे .मुख्तार अनीस तो बाद में मुलायम सिंह के मंत्रिमंडल में मंत्री भी हुए ,हर्षवर्धन कांग्रेस के सांसद बने और सी बी सिंह और मो. शोएब लखनऊ में वकालत करने लगे .मो.शोएब बी ए के राजनीति शास्त्र विषय में मेरे सहपाठी थे और कुरता पैजामा और मोटे शीशे का चश्मा पहनकर खांटी समाजवादी आचरण में रचे पगे थे ,. इन्ही के प्रभाव से हम कई मित्र भी सयुस में शामिल हुए थे और लखनऊ के पानदरीबा स्थित संसोपा के कार्यालय भी आना जाना शुरू हुआ जहाँ राजनारायण,रामसेवक यादव ,प्रभुनारायण सिंह अदि नेताओं को भी देखने मिलने के कई कई अवसर आये और 'जन' व'मैनकाईंड' सरीखी पत्रिकाओं से भी...See More

Like ·  · Share · about an hour ago ·


*পিলিনের আগমনী শুনতে শুনতেই পুজোয় ডুব দিয়েছিল কলকাতা। ছুটি পড়ে গিয়েছিল খবরের কাগজের দফতরেও। কিন্তু অষ্টমীর সকাল থেকে অঞ্জলির জটলায় প্রায় ঝড়ের বেগেই ছড়িয়ে পড়তে লাগল খবরটা সাইক্লোন আসছে! টিভি চ্যানেলগুলো বারবার জানান দিচ্ছে, অষ্টমীর রাত আটটার পরই গোপালপুরের কাছে আছড়ে পড়বে পিলিন! কলকাতার আকাশেও কালো মেঘ, খেপে খেপে বৃষ্টি। তার মধ্যেই বার্তা সম্পাদকের ফোন "শোনো, '৯৯-এর সুপার সাইক্লোনের কথা মনে আছে তো? ১০ হাজার লোক মারা গিয়েছিল। ছুটির কথা ভাবলে চলবে না। পত্রপাঠ বেরিয়ে পড়ো।" বিকেল ৩টে: তিন জন রিপোর্টার, দু'জন ফটোগ্রাফার। মোট পাঁচ। আর ড্রাইভার। তৈরি হয়ে গেল টিম। সব ট্রেন বাতিল, ফলে জাতীয় সড়কই ভরসা। ঝড়ের রাতে মোদের অভিযান। বিকেল ৫টা ৫: ঝলমলে আলোয় সেজে গোটা বাংলা যখন অষ্টমীর রাত জাগার তোড়জোড়ে ব্যস্ত, আনন্দবাজারের গাড়ি ছুটল সাগর-ঝড়ের মোলাকাতে।সবিস্তার...


*

জল ছাড়া নিয়ে ক্ষুব্ধ মমতা

চিঠি দিলেন প্রধানমন্ত্রীকে

নিজস্ব প্রতিবেদন

অতি-প্রবল ঘূর্ণিঝড় পিলিনের দাপটে গত কয়েক দিন অঝোরে বৃষ্টি হয়েছে। সেই বৃষ্টিতে ফুলেফেঁপে ওঠা বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়া নিয়ে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন (ডিভিসি) এবং পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডের ভূমিকায় রুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের ক্ষোভ, তাদের না জানিয়েই খেয়াল-খুশিমতো জল ছাড়া হয়েছে। মঙ্গলবারই সে ক্ষোভের কথা জানিয়ে মমতা চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে। তবে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ বা ঝাড়খণ্ড সরকার অভিযোগ মানতে নারাজ। বস্তুত, ষষ্ঠীর দিন থেকেই এ ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া শুরু করেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সোমবারেও তিনি কথা বলেন কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রকের সচিব অলোক রাওয়াতের সঙ্গে। মমতার বক্তব্য, এটা মানুষের তৈরি (ম্যান-মেড) বন্যা, যা এ রাজ্যের উপরে চাপিয়ে দেওয়া হল। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠানোর আগে রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এ দিনই দুপুরে নিজের বাড়িতে সচিব পর্যায়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী।সবিস্তার...


এই সংক্রান্ত আরও খবর...

• ফুলছে পরের পর নদী, ভাসছে ঘর-সংসার

*

১৯৯তম টেস্টটা ইডেনেই খেলব,

ফোনে চেয়ে নিলেন সচিন নিজেই

রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায় • জয়পুর

*ভারতীয় ক্রিকেটের প্রশাসনিক ইতিহাসে এমন ঘটনা ঘটেছে কি না, সন্দেহ। যেখানে ট্যুর অ্যান্ড ফিক্সচার্স কমিটির অস্তিত্ব প্রায় অবলুপ্ত! রোটেশন নামক নিয়মের কচকচি উড়ে যাচ্ছে নিমেষে! এবং এক মহানায়কের ক্রিকেট রোমান্সের সর্বশেষ দুই কেন্দ্রস্থল ঠিক করছে যুক্তি নয়, আবেগ! আগামী ১৪ নভেম্বর থেকে ওয়াংখেড়েতে ক্রিকেটজীবনের শেষ টেস্ট খেলতে নামছেন সচিন রমেশ তেন্ডুলকর। দু'শো টেস্টের মহাগৌরব তো বটেই, মহানায়কের চিরপ্রস্থানের বেদীও ওখানে। মুম্বই কেন? কারণ মায়ের জন্য সচিন তেন্ডুলকরের আবেগ। শেষ টেস্টে মাঠে মা-কে আনতে চান সচিন। তার আগে, নভেম্বরের ৬ তারিখ থেকে ইডেন দেখবে অবসরের প্রাক্-লগ্ন। বেঙ্গালুরু নয়, গত পাঁচ দিনের জল্পনামতো নয়াদিল্লিও নয়। ওটা দেখবে কলকাতা। কেন? কারণ কলকাতার সমর্থককুলের প্রতি মহানায়কের আবেগ। প্রস্থানের আগে সচিন চান, কলকাতাকে এক অনন্য ইতিহাসের সাক্ষী করে যেতে। সবিস্তার...

এই সংক্রান্ত আরও খবর...

• সে দিনের মতো হাসি মুখে ইডেন ছাড়ুন সচিন, চায় বাংলা

'সেঞ্চুরির সময় মাইক্রোফোনটা যেন হাতে পাই'

*

চাপের মুখে ভাড়া বৃদ্ধিতে রাশ মেট্রোর

নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা

শেষ পর্যন্ত মেট্রোর প্রস্তাবিত ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে কিছুটা পিছু হটল রেল। ভাড়া বাড়ানো হবে, তবে পূর্ব ঘোষিত ভাড়ার চেয়ে কম হারে। রাজনৈতিক মহলের খবর, প্রধানত তৃণমূলের প্রতিবাদের মুখে পড়েই এই বদল। প্রতিবাদ করেছিল সিপিএম-ও। এর সঙ্গেই ঠিক হয়েছে, পূর্ব ঘোষিত ১৮ তারিখের বদলে নতুন ভাড়া কার্যকর হবে দীপাবলির পরে। ২০০৯ সাল থেকে রেলমন্ত্রী ছিলেন বাংলার রাজনীতিকেরাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীতিগত ভাবেই রেল-ভাড়া বৃদ্ধির পক্ষপাতী ছিলেন না। পরবর্তী কালে দীনেশ ত্রিবেদী ভাড়া বাড়াতে চেয়ে দলের অন্দরে সমস্যায় পড়েন। রেলমন্ত্রীর পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল। তাঁর জায়গায় মন্ত্রী হন মুকুল রায়। ইউপিএ ছেড়ে তৃণমূল বেরিয়ে আসার পরে রেল প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী। রেল সূত্রের খবর, প্রতিমন্ত্রী হয়ে অধীরবাবু পরিষেবার স্বার্থে প্রথম থেকেই কিছুটা ভাড়া বাড়াতে চেয়েছেন। তাই ১৩ বছর পরে ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু রেল বোর্ড যে হারে ভাড়া বাড়িয়েছিল, তা পছন্দ হয়নি রেল প্রতিমন্ত্রীরও। সবিস্তার...

*

সীমান্ত সুরক্ষা নিয়ে এ বার চিনের সঙ্গে চুক্তি

অগ্নি রায় • নয়াদিল্লি

*ব্রিটিশদের চাপিয়ে দেওয়া সীমান্ত-বিরোধের উত্তরাধিকার থেকে বেরিয়ে আসতে উদ্যোগী এ বার ভারত ও চিন। ১৪টি দেশের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে চিনের। ১৩টির সঙ্গেই সীমান্ত-সমস্যা মিটিয়ে ফেলেছে তারা। নয়াদিল্লির সঙ্গেও এ বার সীমান্ত নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ, অস্থিরতা ও কূটনৈতিক উত্তেজনা সামলানোর একটা উপায় বার করতে চায় বেজিং। এবং সেই লক্ষ্যে আগামী ২৩ তারিখ একটি নতুন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (বর্ডার ডিফেন্স কো-অপারেশন প্রপোজাল বা সীমান্ত প্রতিরক্ষা সহযোগিতা প্রস্তাব)-এ সই করতে চলেছে দু'দেশ। মনমোহন সিংহ তাঁর দ্বিতীয় দফার প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রায় শেষ পর্বে এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপটি করতে চলেছেন বলে বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর। চলতি সপ্তাহে রাশিয়া যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে চিন। ওই সফরেই সই হওয়ার কথা নতুন প্রতিরক্ষা মেকানিজমে। সবিস্তার...
*

পুজোই তো সব নয়, ব্র্যান্ড-যুদ্ধ চলছে চলবে

ঋজু বসু • কলকাতা

শুধু পুজোয় চিঁড়ে ভেজে কই? এই তত্ত্বটাই আরও জোরালো হয়ে দেখা দিল ২০১৩-র শারদোৎসবে। বৃষ্টির বাধা তুড়ি মেরে শহরের রাজপথে জনতার ঢলের নেপথ্যেও এই তত্ত্ব। নইলে দক্ষিণ কলকাতার দর্শনার্থীদের কী দায় পড়েছিল মানিকতলার অখ্যাত গলি হালসিবাগানের পুজো দেখতে আসার? রাজা দীনেন্দ্র স্ট্রিট লাগোয়া এই গলির পুজোর কথা কয়েক বছর আগেও পাড়ার গুটিকয়েক লোকে জানত। এ বার তারাই আনন্দবাজার শারদ অর্ঘ্যের বিজয়ী। তিন বছর আগে সাবেক পুজো ছেড়ে থিম ধরেছিল তারা। সৃষ্টির দায়িত্বে আনকোরা দুই শিল্পী তুষারকান্তি প্রধান ও বাপ্পা হালদার। ফোম, জলের পাইপের মতো উপকরণের খেলায় দেবীর আবির্ভাবের কল্পজগৎ এ বার বাজিমাত করেছে। পাশের পাড়ায় লালাবাগান নবাঙ্কুরও শিল্পী প্রশান্ত পালের হাত ধরে জিতে নিয়েছে এই কুলীন পুরস্কার। তবে শুধু থিম নয়! শহরের প্রথম সারির পুজো এখন একটা প্যাকেজ।সবিস্তার...

*

প্রচারই সার, ফের অবাধে

নদী দূষণ হুগলির নানা ঘাটে

নিজস্ব সংবাদদাতা • শ্রীরামপুর

*কোথাও স্রোতের টানে ভেসে যাচ্ছে কাঠামোর খড়। জলের মধ্যে ডাঁই হয়ে পড়ে ফুল, বেলপাতা থেকে প্রতিমার সাজসজ্জা, প্লাস্টিকের প্যাকেট, ফলমূল। কোথাও আবার ঘাটের চেহারা সাফসুতরো। ফুল-মালা নির্দিষ্ট জায়গায়। কাঠামো পাড়ে। দুর্গাপুজোর ভাসানের পরে জলদূষণ রুখতে গত কয়েক বছর ধরে তৎপরতা দেখিয়েছিল হুগলি। তাতে কিছুটা সাফল্যও এসেছে। তবে তা শুধুমাত্র শহরাঞ্চলেই। শ্রীরামপুর, উত্তরপাড়া-কোতরং, রিষড়া, বৈদ্যবাটি, চন্দননগর, চুঁচুড়া সব পুরসভাই প্রতিমা নিরঞ্জনের অধিকাংশ ঘাটে ফুল-মালা ফেলার জন্য আলাদা জায়গা রাখা করেছিল। উত্তরপাড়া-কোতরং পুর এলাকায় শ'খানেক পুজো হয়। বিসর্জন হয় দোলতলা, শিমূলতলা, শিবতলা-সহ কয়েকটি ঘাটে। জলদূষণ রোধে পুরসভার তরফে মাইকে ঘোষণা করা হচ্ছিল। তা সত্ত্বেও অনেকেই গঙ্গায় ফুল ফেলেছেন। মঙ্গলবারেও তাই সাফ হয়নি এখানকার গঙ্গার ঘাট। সবিস্তার...

এই সংক্রান্ত আরও খবর...

• দামোদর সাফ, বিসর্জনের পরে খড়ের কাঠামো জমে ডাঁই পুকুরে

*

মেয়াদ-উত্তীর্ণ রক্ত দেওয়ার

অভিযোগ ক্যানসার রোগীকে

নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা

*সরকারি-বেসরকারি ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে রক্ত নিয়ে রোগীর দেহে গুরুতর সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগ আকছার ওঠে। এ বার মেয়াদ পেরোনো দু'বছরের পুরনো রক্ত এক ক্যানসার রোগীকে দেওয়ার অভিযোগ উঠল রাজ্যের সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে। শেষ মুহূর্তে রোগীর বাড়ির লোকজন বিষয়টি জানতে পারায় রোগীকে অবশ্য ওই রক্ত আর দেওয়া হয়নি। ব্লাড ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ মেয়াদ পেরোনো রক্ত দেওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, রক্ত পুরনো নয়। তারিখটা ভুল লেখা হয়েছে। বিষয়টিকে 'স্লিপ অফ পেন' বলে উল্লেখ করেছেন ব্লাড ব্যাঙ্কের অধিকর্তা। যদিও এমন ভুলের পরিণতি মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের মতে, এতে সুস্থ ও নিরাপদ রক্তের ধারণাটাই ধাক্কা খায়। স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। সবিস্তার...
*

এক নজরে...

• শেয়ার কিনতে ২৫.১০ টাকা দর আইওসি-র

*


*


http://www.anandabazar.com/


No comments:

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...