উত্তরাখণ্ডে ধ্বংসস্তূপে যন্ত্রণা বাড়াচ্ছে রাজনীতি
এই সময় , নয়াদিল্লি : বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড নিয়ে তুঙ্গে পৌঁছল রাজনীতির চাপানউতোর৷ দুর্গতদের উদ্ধার, ত্রাণ ছাপিয়ে মুখ্য হয়ে দাঁড়াল বিজেপি -কংগ্রেসের কাজিয়া৷ বিজেপির নিশানায় রাহুল গান্ধী , কংগ্রেসের লক্ষ্য নরেন্দ্র মোদী৷ মঙ্গলবার রাহুল গান্ধীর উত্তরাখণ্ড সফর নিয়ে বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিং বললেন , 'উত্তরাখণ্ডের বিপর্যয় নিয়ে কোনও দলের রাজনীতি করা উচিত নয়৷ যদি কোনও মুখ্যমন্ত্রী বা কোনও রাজনৈতিক দল উত্তরাখণ্ডের দুর্গতদের সাহায্য করতে চায় , আমার মনে হয় তা নেওয়া উচিত৷ ' এর পাল্টা জবাব দিয়েছে কংগ্রেস৷
এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক দিগ্বিজয় সিংয়ের উত্তর, 'রাহুল উত্তরাখণ্ডে গিয়েছেন কাজ করতে৷ নরেন্দ্র মোদীর মতো ফলাও করে ছবি তুলে দিয়ে প্রচারের আলোর আসার জন্য তিনি যাননি৷ ' রাহুল গান্ধীকে নিয়ে কংগ্রেসের মনোভাব আসলে দ্বিচারিতা বলে ইতিমধ্যেই সমালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে সব মহলে৷ বাস্তব চিত্র অবশ্য অন্য৷ উত্তরাখণ্ডে উদ্ধার ও ত্রাণের কাজ করছে সেনা , আধা সেনা ও রাজ্য সরকারের কর্মীরা৷ তাঁদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন৷ সেখানে এই দুই প্রধান দলের দু'জন প্রথম সারির নেতা কী করছেন বা করেছেন ? এ প্রসঙ্গে দিগ্বিজয়ের বক্তব্য , 'মোদীর সফরের যে ভাবে প্রচার করা হচ্ছে এবং বলা হচ্ছে একদিনে তিনি ১৫ হাজার গুজরাটিকে উদ্ধার করেছেন , তা নিয়ে আমার আপত্তি রয়েছে৷ মোদী যদি সত্যিই কাজ করতে চাইতেন , তা হলে রাহুলের মতো চুপচাপ গিয়ে কাজ করতেন৷ মোদীর মতো হেলিকপ্টার নিয়েও দুর্গত এলাকায় যাননি রাহুল৷ গিয়েছেন সাধারণ মানুষ হিসেবে৷ এআইসিসি -র সম্পাদক হিসেবে৷ 'এ দিন গুপ্তকাশীর ত্রাণ শিবিরগুলিতে যান রাহুল৷ কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গেও৷ স্থানীয়রা তাঁকে তাঁদের দুর্দশার কথা জানান৷ স্থানীয়দের উদ্দেশে রাহুল বলেন , 'দুটো দিন আপনারা আমাদের দিন৷ পুণ্যার্থী এবং পর্যটকদের বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থাটা হোক৷ তার পর কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার আপনাদের সব ধরনের সাহায্য করবে৷ ' এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্ডে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন , আর কোনও ভিআইপিকে দুর্গত এলাকায় যেতে দেওয়া হবে না৷ উত্তরাখণ্ড সরকারকে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন , মুখ্যমন্ত্রী বিজয় বহুগুণা ছাড়া অন্য কোনও ভিআইপির দুর্গত এলাকায় যাওয়ার প্রয়োজন নেই৷ এ নিয়ে বিজেপির অভিযোগ , শিন্ডে আসলে এতদিন রাহুলের আসার জন্য অপেক্ষা করছিলেন৷ বিজেপি মুখপাত্র প্রকাশ জাভড়েকর ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন , উত্তরাখণ্ড নিয়ে তাঁদের অনেক প্রশ্ন আছে , পরে সেই প্রশ্ন করা হবে৷ আগে উদ্ধারকাজটা জরুরি৷
এহেন পরিস্থিতিতে বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে উত্তরাখণ্ডে দুর্গতদের উদ্ধার নিয়ে মোদীর কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছে শিবসেনা৷ সেনা মুখপত্র সামনা -য় প্রকাশিত একটি সম্পাদকীয়কে কেন্দ্র করে সমস্যার সূত্রপাত৷ উদ্ধব সেখানে মোদীর 'র্যাম্বো সুলভ ' ভঙ্গিতে ১৫ হাজার দুর্গত গুজরাটিকে উদ্ধারকাজের কড়া সমালোচনা করেন৷ এটাকে মোদীর সংকীর্ণ মানসিকতা বলে মন্তব্য করেন তিনি৷ জানান , বিপর্যয়ের সময় এ ধরনের আঞ্চলিক মানসিকতা পোষণ করা উচিত নয়৷ মোদীর প্রচার করার সময় মনে রাখা উচিত , তিনি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হলেও একটা জাতীয় ভূমিকা তাঁর জন্য নির্ধারিত হয়ে রয়েছে৷ তবে এ নিয়ে বিতর্ক বাড়তেই ভোল বদল করেন উদ্ধব৷ তড়িঘড়ি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে জানান , তাঁর সমলোচনা মোদীর বিরুদ্ধে ছিল না৷ ছিল তাঁর প্রচারের বিরুদ্ধে৷ তাঁর কাজের যে ভাবে অপপ্রচার হয়েছে , তার সমালোচনা করেছেন বলে জানান উদ্ধব৷ তিনি জানিয়ে দেন , মোদী তাঁদের শত্রু নন৷ তিনি একজন জাতীয় নেতা৷ তাঁরা মোদীর বিরোধিতা করছেন না৷
এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক দিগ্বিজয় সিংয়ের উত্তর, 'রাহুল উত্তরাখণ্ডে গিয়েছেন কাজ করতে৷ নরেন্দ্র মোদীর মতো ফলাও করে ছবি তুলে দিয়ে প্রচারের আলোর আসার জন্য তিনি যাননি৷ ' রাহুল গান্ধীকে নিয়ে কংগ্রেসের মনোভাব আসলে দ্বিচারিতা বলে ইতিমধ্যেই সমালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে সব মহলে৷ বাস্তব চিত্র অবশ্য অন্য৷ উত্তরাখণ্ডে উদ্ধার ও ত্রাণের কাজ করছে সেনা , আধা সেনা ও রাজ্য সরকারের কর্মীরা৷ তাঁদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন৷ সেখানে এই দুই প্রধান দলের দু'জন প্রথম সারির নেতা কী করছেন বা করেছেন ? এ প্রসঙ্গে দিগ্বিজয়ের বক্তব্য , 'মোদীর সফরের যে ভাবে প্রচার করা হচ্ছে এবং বলা হচ্ছে একদিনে তিনি ১৫ হাজার গুজরাটিকে উদ্ধার করেছেন , তা নিয়ে আমার আপত্তি রয়েছে৷ মোদী যদি সত্যিই কাজ করতে চাইতেন , তা হলে রাহুলের মতো চুপচাপ গিয়ে কাজ করতেন৷ মোদীর মতো হেলিকপ্টার নিয়েও দুর্গত এলাকায় যাননি রাহুল৷ গিয়েছেন সাধারণ মানুষ হিসেবে৷ এআইসিসি -র সম্পাদক হিসেবে৷ 'এ দিন গুপ্তকাশীর ত্রাণ শিবিরগুলিতে যান রাহুল৷ কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গেও৷ স্থানীয়রা তাঁকে তাঁদের দুর্দশার কথা জানান৷ স্থানীয়দের উদ্দেশে রাহুল বলেন , 'দুটো দিন আপনারা আমাদের দিন৷ পুণ্যার্থী এবং পর্যটকদের বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থাটা হোক৷ তার পর কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার আপনাদের সব ধরনের সাহায্য করবে৷ ' এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্ডে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন , আর কোনও ভিআইপিকে দুর্গত এলাকায় যেতে দেওয়া হবে না৷ উত্তরাখণ্ড সরকারকে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন , মুখ্যমন্ত্রী বিজয় বহুগুণা ছাড়া অন্য কোনও ভিআইপির দুর্গত এলাকায় যাওয়ার প্রয়োজন নেই৷ এ নিয়ে বিজেপির অভিযোগ , শিন্ডে আসলে এতদিন রাহুলের আসার জন্য অপেক্ষা করছিলেন৷ বিজেপি মুখপাত্র প্রকাশ জাভড়েকর ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন , উত্তরাখণ্ড নিয়ে তাঁদের অনেক প্রশ্ন আছে , পরে সেই প্রশ্ন করা হবে৷ আগে উদ্ধারকাজটা জরুরি৷
এহেন পরিস্থিতিতে বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে উত্তরাখণ্ডে দুর্গতদের উদ্ধার নিয়ে মোদীর কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছে শিবসেনা৷ সেনা মুখপত্র সামনা -য় প্রকাশিত একটি সম্পাদকীয়কে কেন্দ্র করে সমস্যার সূত্রপাত৷ উদ্ধব সেখানে মোদীর 'র্যাম্বো সুলভ ' ভঙ্গিতে ১৫ হাজার দুর্গত গুজরাটিকে উদ্ধারকাজের কড়া সমালোচনা করেন৷ এটাকে মোদীর সংকীর্ণ মানসিকতা বলে মন্তব্য করেন তিনি৷ জানান , বিপর্যয়ের সময় এ ধরনের আঞ্চলিক মানসিকতা পোষণ করা উচিত নয়৷ মোদীর প্রচার করার সময় মনে রাখা উচিত , তিনি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হলেও একটা জাতীয় ভূমিকা তাঁর জন্য নির্ধারিত হয়ে রয়েছে৷ তবে এ নিয়ে বিতর্ক বাড়তেই ভোল বদল করেন উদ্ধব৷ তড়িঘড়ি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে জানান , তাঁর সমলোচনা মোদীর বিরুদ্ধে ছিল না৷ ছিল তাঁর প্রচারের বিরুদ্ধে৷ তাঁর কাজের যে ভাবে অপপ্রচার হয়েছে , তার সমালোচনা করেছেন বলে জানান উদ্ধব৷ তিনি জানিয়ে দেন , মোদী তাঁদের শত্রু নন৷ তিনি একজন জাতীয় নেতা৷ তাঁরা মোদীর বিরোধিতা করছেন না৷
No comments:
Post a Comment