পতাকা তোলার 'অপরাধে' প্রাণ গেল দলিতের
রোহতাস: সময় বদলেছে, কিন্তু বদলায়নি চিত্র!
২০১৩-এর ১৫ অগস্ট৷ বিহারের রোহতাসে বাড্ডি গ্রামে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের 'অপরাধে' প্রাণ গেল এক দলিতের৷ উচ্চবর্ণের মানুষের আক্রমণে আহত হলেন মহিলা, শিশু-সহ কমপক্ষে ৪০ জন৷ অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি৷ স্বাধীন ভারতের সংবিধানে সমানাধিকারের কথা যে খাতায়-কলমেই থেকে গিয়েছে, বিহারের এই ঘটনাই তার প্রমাণ৷
ঘটনার সূত্রপাত ১৫ অগস্ট সকালে৷ স্বাধীনতা দিবসের দিন গুরু রামদাসের মন্দিরের কাছে জাতীয় পতাকা তুলতে চেয়েছিল বাড্ডির দলিত মানুষগুলো৷ কিন্ত্ত তাদের এই স্পর্ধা মেনে নিতে পারেননি গ্রামের উচ্চবর্ণের মানুষ৷ রামদাসের মন্দিরের সামনেই রয়েছে তাঁর একটি মূর্তি৷ উচ্চবর্ণের মানুষরা চেয়েছিলেন সেখানে স্বাধীনতা সংগ্রামী নিশান্ত সিংয়ের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করতে, যিনি এক সময় ওই গ্রামেরই বাসিন্দা ছিলেন৷ ইচ্ছেপূরণ না হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই দলিতদের উপর রাগ ছিল উচ্চবর্ণের মানুষদের৷ তাঁরা নির্দেশ জারি করেন, স্বাধীনতা দিবসের দিন পতাকা উত্তোলন করতে পারবে না দলিতরা৷
কিন্ত্ত সে নির্দেশ না-মেনেই সে দিন পতাকা উত্তোলন করতে গিয়েছিল দলিত মানুষগুলো৷ শাস্তিস্বরূপ পাথর ছুড়ে মারা হয় এক দলিতকে৷ আহত হন মহিলা, শিশু-সহ অনেকেই৷ পাটনা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে আহতদের৷ তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন লোকসভার স্পিকার মীরা কুমার৷ জানান, এই ধরনের ঘটনা 'নিন্দনীয়'৷ দোষীদের কড়া শাস্তির আশ্বাসও দেন তিনি৷
প্রসঙ্গত, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এ দিনই পাটনার নিকটবর্তী একটি দলিত গ্রামে গিয়ে পতাকা উত্তোলন করেন৷ দলিত ভোট হাতে রাখতে সম্প্রতি তাঁদের মন জয়ে উঠেপড়ে লেগেছে নীতীশের জেডিইউ৷ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে ভোট জয়ের হাতিয়ার করে 'মহাদলিত' শব্দে প্রচারের মঞ্চ কাঁপাচ্ছেন নেতা-কর্মীরা৷ অথচ সেই পাটনা থেকেই কিছু দূরে পতাকা তোলার 'অপরাধে' প্রাণ যাচ্ছে দলিতদের৷ স্বাধীনতা লাভের ৬৭ বছর পর স্বাধীনতার 'প্রকৃত চিত্র' এটাই৷ --সংবাদসংস্থা
২০১৩-এর ১৫ অগস্ট৷ বিহারের রোহতাসে বাড্ডি গ্রামে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের 'অপরাধে' প্রাণ গেল এক দলিতের৷ উচ্চবর্ণের মানুষের আক্রমণে আহত হলেন মহিলা, শিশু-সহ কমপক্ষে ৪০ জন৷ অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি৷ স্বাধীন ভারতের সংবিধানে সমানাধিকারের কথা যে খাতায়-কলমেই থেকে গিয়েছে, বিহারের এই ঘটনাই তার প্রমাণ৷
ঘটনার সূত্রপাত ১৫ অগস্ট সকালে৷ স্বাধীনতা দিবসের দিন গুরু রামদাসের মন্দিরের কাছে জাতীয় পতাকা তুলতে চেয়েছিল বাড্ডির দলিত মানুষগুলো৷ কিন্ত্ত তাদের এই স্পর্ধা মেনে নিতে পারেননি গ্রামের উচ্চবর্ণের মানুষ৷ রামদাসের মন্দিরের সামনেই রয়েছে তাঁর একটি মূর্তি৷ উচ্চবর্ণের মানুষরা চেয়েছিলেন সেখানে স্বাধীনতা সংগ্রামী নিশান্ত সিংয়ের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করতে, যিনি এক সময় ওই গ্রামেরই বাসিন্দা ছিলেন৷ ইচ্ছেপূরণ না হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই দলিতদের উপর রাগ ছিল উচ্চবর্ণের মানুষদের৷ তাঁরা নির্দেশ জারি করেন, স্বাধীনতা দিবসের দিন পতাকা উত্তোলন করতে পারবে না দলিতরা৷
কিন্ত্ত সে নির্দেশ না-মেনেই সে দিন পতাকা উত্তোলন করতে গিয়েছিল দলিত মানুষগুলো৷ শাস্তিস্বরূপ পাথর ছুড়ে মারা হয় এক দলিতকে৷ আহত হন মহিলা, শিশু-সহ অনেকেই৷ পাটনা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে আহতদের৷ তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন লোকসভার স্পিকার মীরা কুমার৷ জানান, এই ধরনের ঘটনা 'নিন্দনীয়'৷ দোষীদের কড়া শাস্তির আশ্বাসও দেন তিনি৷
প্রসঙ্গত, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এ দিনই পাটনার নিকটবর্তী একটি দলিত গ্রামে গিয়ে পতাকা উত্তোলন করেন৷ দলিত ভোট হাতে রাখতে সম্প্রতি তাঁদের মন জয়ে উঠেপড়ে লেগেছে নীতীশের জেডিইউ৷ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে ভোট জয়ের হাতিয়ার করে 'মহাদলিত' শব্দে প্রচারের মঞ্চ কাঁপাচ্ছেন নেতা-কর্মীরা৷ অথচ সেই পাটনা থেকেই কিছু দূরে পতাকা তোলার 'অপরাধে' প্রাণ যাচ্ছে দলিতদের৷ স্বাধীনতা লাভের ৬৭ বছর পর স্বাধীনতার 'প্রকৃত চিত্র' এটাই৷ --সংবাদসংস্থা
No comments:
Post a Comment