মুম্বইয়ে কামদুনিকে আমন্ত্রণ আমিরের
বারাসত: মোবাইল ফোনে অচেনা নম্বর দেখে চমকে উঠেছিলেন মাস্টারমশাই৷ কারণ, কামদুনির আন্দোলন নিয়ে হইচই হওয়ার পর থেকে তিনি প্রায়ই নানা হুমকি-ফোন পাচ্ছিলেন৷ তাঁকে জড়িয়ে অশ্লীল পোস্টারও পড়েছিল মধ্যমগ্রামের পাড়ায়৷ সেই সব পোস্টারে শাসকদলের যুব সংগঠনের নাম ছিল৷ তাই মাস্টারমশাই এখন সাবধানী৷
রবিবার সন্ধ্যায় তাই অচেনা নম্বর দেখে কামদুনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রদীপ মুখোপাধ্যায় ফোন কলটি রিসিভ করবেন কি না, তা নিয়ে কিছুটা দ্বিধায় ছিলেন৷ একবার ফোনটি কেটেও দেন৷ কিছুক্ষণ পর ফের সেই নম্বর থেকেই ফোন৷ এ বার তিনি মোবাইলের কল রিসিভ করলেন৷ ফোনের অপর প্রান্ত থেকে ভেসে এল, 'মাস্টারজি, ম্যায় আমির খান বোল রহা হুঁ৷' কে আমির খান? অবাক মাস্টারমশাই৷ আবার শোনা গেল, 'মুম্বই সে আমির খান৷' দ্বিধা কাটল৷ প্রদীপবাবু বুঝলেন, মুম্বই থেকে চলচ্চিত্র পরিচালক এবং অভিনেতা আমির খানের ফোন৷ তখন আর উচ্ছ্বাস চেপে রাখতে পারলেন না প্রদীপবাবু৷ আমির তাঁকে এবং কামদুনির আরও চার জনকে মুম্বইয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন৷ আমিরের বিখ্যাত প্রযোজনা 'সত্যমেব জয়তে'র শ্যুটিংয়ে প্রদীপবাবুদের হাজির থাকার আমন্ত্রণ এল৷ আমির বললেন, 'কবে যেতে হবে, তা পরে জানিয়ে দেব৷ আপনার সঙ্গে কামদুনির প্রতিবাদী মহিলা মৌসুমি কয়াল, টুম্পা কয়াল এবং অপরাজিতার দুই ভাইকেও আসতে বলছি৷' এখানেই শেষ নয়৷ তিনি প্রদীপবাবুকে আরও জানালেন, কামদুনির এই প্রতিবাদী আন্দোলন সারা দেশে সাড়া ফেলে দিয়েছে৷ তিনি নিজেও এই আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি দেখে অভিভূত৷ ফোন ছাড়ার পরও প্রদীপবাবুর বিশ্বাস হচ্ছিল না, আমির তাঁকে ফোন করতে পারেন৷ রাতেই তিনি মৌসুমিদের ফোন করে এ কথা জানিয়ে দেন৷ আমিরের আমন্ত্রণ পেয়ে খুশি মৌসুমি, টুম্পা এবং অপরাজিতার ভাইয়েরাও৷
মাস খানেক আগেই আমিরের টিমের কয়েক জন কামদুনিতে এসে প্রাথমিক কাজ সেরে গিয়েছিলেন৷ তাঁরা প্রদীপবাবু, মৌসুমি, টুম্পা এবং অপরাজিতার বাড়ির লোকেদের সঙ্গে কথা বলেন৷ সেদিনই মৌসুমিরা আমিরের প্রতিনিধি এক মহিলার কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন, আমির নিজে যদি একবার কামদুনিতে আসেন, তা হলে তাঁরা খুশি হবেন৷ ওই মহিলা মৌসুমিদের আবেদন আমিরের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন৷
বারাসতের অদূরে আর এক প্রতিবাদী তরুণ স্কুল শিক্ষক দুষ্কৃতীদের হাতে নিহত বরুণ বিশ্বাসের কর্মকাণ্ডকে সামনে রেখে তৈরি বাংলা সিনেমা 'প্রলয়' চলছে রমরম করে৷ কামদুনির প্রতিবাদ নিয়েও বাংলা সিনেমা করতে চলেছেন অবসরপ্রাপ্ত এক রাজ্য সরকারি অফিসার৷ এর মধ্যেই যদি আমিরের 'সত্যমেব জয়তে'-তে কামদুনি জায়গা পেয়ে যায়, তা হলে প্রদীপবাবু-মৌসুমিদের প্রতিবাদী আন্দোলনের কথা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে৷
সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট কামদুনির মামলা বারাসত আদালত থেকে কলকাতার নগর দায়রা আদালতে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছে৷ সেটা নিয়ে কামদুনিবাসী অসন্ত্তষ্ট৷ তাঁরা চান, এই মামলা বারাসতেই চলুক৷ তা হলে গ্রামবাসীরা আদালতে উপস্থিত থাকতে পারবেন৷ এই ইস্যুতে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টেও আবেদন করতে চলেছেন৷
রবিবার সন্ধ্যায় তাই অচেনা নম্বর দেখে কামদুনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রদীপ মুখোপাধ্যায় ফোন কলটি রিসিভ করবেন কি না, তা নিয়ে কিছুটা দ্বিধায় ছিলেন৷ একবার ফোনটি কেটেও দেন৷ কিছুক্ষণ পর ফের সেই নম্বর থেকেই ফোন৷ এ বার তিনি মোবাইলের কল রিসিভ করলেন৷ ফোনের অপর প্রান্ত থেকে ভেসে এল, 'মাস্টারজি, ম্যায় আমির খান বোল রহা হুঁ৷' কে আমির খান? অবাক মাস্টারমশাই৷ আবার শোনা গেল, 'মুম্বই সে আমির খান৷' দ্বিধা কাটল৷ প্রদীপবাবু বুঝলেন, মুম্বই থেকে চলচ্চিত্র পরিচালক এবং অভিনেতা আমির খানের ফোন৷ তখন আর উচ্ছ্বাস চেপে রাখতে পারলেন না প্রদীপবাবু৷ আমির তাঁকে এবং কামদুনির আরও চার জনকে মুম্বইয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন৷ আমিরের বিখ্যাত প্রযোজনা 'সত্যমেব জয়তে'র শ্যুটিংয়ে প্রদীপবাবুদের হাজির থাকার আমন্ত্রণ এল৷ আমির বললেন, 'কবে যেতে হবে, তা পরে জানিয়ে দেব৷ আপনার সঙ্গে কামদুনির প্রতিবাদী মহিলা মৌসুমি কয়াল, টুম্পা কয়াল এবং অপরাজিতার দুই ভাইকেও আসতে বলছি৷' এখানেই শেষ নয়৷ তিনি প্রদীপবাবুকে আরও জানালেন, কামদুনির এই প্রতিবাদী আন্দোলন সারা দেশে সাড়া ফেলে দিয়েছে৷ তিনি নিজেও এই আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি দেখে অভিভূত৷ ফোন ছাড়ার পরও প্রদীপবাবুর বিশ্বাস হচ্ছিল না, আমির তাঁকে ফোন করতে পারেন৷ রাতেই তিনি মৌসুমিদের ফোন করে এ কথা জানিয়ে দেন৷ আমিরের আমন্ত্রণ পেয়ে খুশি মৌসুমি, টুম্পা এবং অপরাজিতার ভাইয়েরাও৷
মাস খানেক আগেই আমিরের টিমের কয়েক জন কামদুনিতে এসে প্রাথমিক কাজ সেরে গিয়েছিলেন৷ তাঁরা প্রদীপবাবু, মৌসুমি, টুম্পা এবং অপরাজিতার বাড়ির লোকেদের সঙ্গে কথা বলেন৷ সেদিনই মৌসুমিরা আমিরের প্রতিনিধি এক মহিলার কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন, আমির নিজে যদি একবার কামদুনিতে আসেন, তা হলে তাঁরা খুশি হবেন৷ ওই মহিলা মৌসুমিদের আবেদন আমিরের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন৷
বারাসতের অদূরে আর এক প্রতিবাদী তরুণ স্কুল শিক্ষক দুষ্কৃতীদের হাতে নিহত বরুণ বিশ্বাসের কর্মকাণ্ডকে সামনে রেখে তৈরি বাংলা সিনেমা 'প্রলয়' চলছে রমরম করে৷ কামদুনির প্রতিবাদ নিয়েও বাংলা সিনেমা করতে চলেছেন অবসরপ্রাপ্ত এক রাজ্য সরকারি অফিসার৷ এর মধ্যেই যদি আমিরের 'সত্যমেব জয়তে'-তে কামদুনি জায়গা পেয়ে যায়, তা হলে প্রদীপবাবু-মৌসুমিদের প্রতিবাদী আন্দোলনের কথা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে৷
সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট কামদুনির মামলা বারাসত আদালত থেকে কলকাতার নগর দায়রা আদালতে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছে৷ সেটা নিয়ে কামদুনিবাসী অসন্ত্তষ্ট৷ তাঁরা চান, এই মামলা বারাসতেই চলুক৷ তা হলে গ্রামবাসীরা আদালতে উপস্থিত থাকতে পারবেন৷ এই ইস্যুতে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টেও আবেদন করতে চলেছেন৷
No comments:
Post a Comment