এবং ফ্যাতাড়ুরা
কলকাতার তলা৷ ফ্যাতাড়ু থাকে৷ প্রথম দেখা-টিনের তলোয়ার-এ৷ বাবুর গায়ে ছেটানো কাদা৷ দে কাদা আরও৷ দেদ্দে৷ তারপর জগন্নাথ লাটকে৷ পরশুরাম ছবিতে৷ তিস্তাপারের বৃত্তান্তে৷ ল্যাংটো রাজা৷ লটকে লট লটকানো-ফ্যাতাড়ু৷ চাই না মোর সেট্লমেন্ট৷ ফিরে ফিরে আসা কলকাতা ঝোপ৷ নীচু কলকাতা৷ তলার কলকাতা৷ তলানো৷ কখনও গাঁজা পার্ক৷ কখনও কেওড়াতলা৷ কখনও গোপালনগর৷ কখনও বারদুয়ারি৷ কখনও বরানগর৷ ওরা খিস্তি করে৷ কখনওই মানে করে না৷ মজায় করে৷ দুপুরে গা ধোওয়া লোক৷ সেলুনে পেপার পড়া লোক৷ টোটাল আনসেরসর্ড৷ রেড লাইট৷ সঅবই নিচের তলার চাকতি-খেল৷ সবই মায়ানগর৷ ধাপে ধাপে নেমে গেলে গত ভোটের গলাগলা মুন্ডু৷ হাড়গিলে কঙ্কাল৷ বের হয়ে
থাকা দাঁত৷ যেন বা তোশামুদে হাসি৷
তা হলে জানা গেল নীচে থাকে ফ্যাতাড়ু৷ আর কে থাকে? থাকে দাঁড় কাক৷ পাশের বাড়ির কমোডের নীচে ছিল কামানটা৷ সত্তরের৷ সিমেন্ট ফাটালে নীচে বন্দুকটা৷ রণজয় দা'র৷ রণজয় দা'কে মেরে মাটির নীচে পুঁতে দিয়েছিল কারা যেন৷ ওপরে এখন পিকনিক ভিলা৷
পিকনিক ভিলার ছাতে আসত কাকটা৷ আসত ভাত ছড়ানোর পর থেকেই৷ কে যেন মারা গিয়েছিল স্টোভ বার্স্ট করে৷ বাড়িটা পুরে গিয়েছিল দাউদাউ৷ দৃশ্যমান নয় এগারো৷ মাটিতে নেমে আসে বাড়িটা৷ কাকটা আর আসেনি৷ রণজয় দা লকআপে জল চেয়েছিল৷ পুলিশ মুখ ফাঁক করে হিসি করে দেয়৷ নিচে থাকে যা যা, সব সময় সুবিধাজনক নয়৷ তাই কাকটা এসেছিল হঠাত্৷ ছাই আর কালোতে একাকার হয়৷
স্টিমারে যেতে যেতে ঢোঁক গেলার মতো শব্দ৷ তলিয়ে গেল সুবীর৷ টলটলে গঙ্গা৷ দ্যাখদ্যাখদ্যাখদ্যাখ৷ উপুড় হয়ে সকলে৷ তলিয়ে যাচ্ছে সুবীর৷ ছ'ফুট৷ গোছা চুল-দাড়ি ভাসছে৷ হঠাত্ 'নেই' হয়ে গেল৷ কলকাতার তলায় সুবীর থাকে৷ গঙ্গার জল এসে ধুয়ে দেয় গোটা পাড়া৷ ভেসে যায় ভবানীপুর৷ উপচে পড়ে সুবীর৷ ভিজিয়ে রাখে গোটা রাস্তাকে৷ সুবীর ভালোবাসার কথা বলত৷
পাড়ায় একবার জোড় হইহই৷ কী ব্যাপার? নালা থেকে উঠে এসছে মহাদেব৷ নাঙ্গা৷ কালো মানুষ৷ সারা শরীরে বমি-পায়খানা মাখা৷ আচমকা উঠে এসেছে নালার ঢাকনা সরিয়ে৷ কেউ বলল নক্সাল৷ কেউ বলল বাউল৷ কেউ কিচ্ছু বলল না৷ উলঙ্গ হয়ে সে হেঁটে গেল৷ হেঁটে গেল ন্যাঙটো মানুষ৷ বাজার মাড়িয়ে মাড়িয়ে৷ অফিস-বাজার-দোকানপাটের চোখে হাত৷ এঃ৷ ছ্যাছ্যাঃ৷ ব্যব্যাগোঃ৷ সে হেঁটে গেল৷ সোওওওজা৷ গায়ে সিগারেটের ছ্যাঁকা৷ মাথার পেছনটা কামানো৷ কোমরের কাছের মাংস খুবলে নেওয়া৷ কিছুটা দূরে ছোটো হয়ে যাওয়ার পর তাকে আর দেখা গেল না৷ হারিয়ে গেল লোকটা৷ কিছুটা ফ্রিজ শটের পর চলমান চারপাশ৷ ছুটছে পায়ে চলা মানুষ৷
আমার স্থির বিশ্বাস, লোকটার পিঠে দু'টো ক্লান্ত ডানা ছিল৷ লোকটা উড়ে যায়৷ লোকটা ফ্যাতাড়ু ছিল৷ ফ্যাতাড়ুরা পায়ে হাঁটে না৷ জাস্ট উড়ে যায়৷
থাকা দাঁত৷ যেন বা তোশামুদে হাসি৷
তা হলে জানা গেল নীচে থাকে ফ্যাতাড়ু৷ আর কে থাকে? থাকে দাঁড় কাক৷ পাশের বাড়ির কমোডের নীচে ছিল কামানটা৷ সত্তরের৷ সিমেন্ট ফাটালে নীচে বন্দুকটা৷ রণজয় দা'র৷ রণজয় দা'কে মেরে মাটির নীচে পুঁতে দিয়েছিল কারা যেন৷ ওপরে এখন পিকনিক ভিলা৷
পিকনিক ভিলার ছাতে আসত কাকটা৷ আসত ভাত ছড়ানোর পর থেকেই৷ কে যেন মারা গিয়েছিল স্টোভ বার্স্ট করে৷ বাড়িটা পুরে গিয়েছিল দাউদাউ৷ দৃশ্যমান নয় এগারো৷ মাটিতে নেমে আসে বাড়িটা৷ কাকটা আর আসেনি৷ রণজয় দা লকআপে জল চেয়েছিল৷ পুলিশ মুখ ফাঁক করে হিসি করে দেয়৷ নিচে থাকে যা যা, সব সময় সুবিধাজনক নয়৷ তাই কাকটা এসেছিল হঠাত্৷ ছাই আর কালোতে একাকার হয়৷
স্টিমারে যেতে যেতে ঢোঁক গেলার মতো শব্দ৷ তলিয়ে গেল সুবীর৷ টলটলে গঙ্গা৷ দ্যাখদ্যাখদ্যাখদ্যাখ৷ উপুড় হয়ে সকলে৷ তলিয়ে যাচ্ছে সুবীর৷ ছ'ফুট৷ গোছা চুল-দাড়ি ভাসছে৷ হঠাত্ 'নেই' হয়ে গেল৷ কলকাতার তলায় সুবীর থাকে৷ গঙ্গার জল এসে ধুয়ে দেয় গোটা পাড়া৷ ভেসে যায় ভবানীপুর৷ উপচে পড়ে সুবীর৷ ভিজিয়ে রাখে গোটা রাস্তাকে৷ সুবীর ভালোবাসার কথা বলত৷
পাড়ায় একবার জোড় হইহই৷ কী ব্যাপার? নালা থেকে উঠে এসছে মহাদেব৷ নাঙ্গা৷ কালো মানুষ৷ সারা শরীরে বমি-পায়খানা মাখা৷ আচমকা উঠে এসেছে নালার ঢাকনা সরিয়ে৷ কেউ বলল নক্সাল৷ কেউ বলল বাউল৷ কেউ কিচ্ছু বলল না৷ উলঙ্গ হয়ে সে হেঁটে গেল৷ হেঁটে গেল ন্যাঙটো মানুষ৷ বাজার মাড়িয়ে মাড়িয়ে৷ অফিস-বাজার-দোকানপাটের চোখে হাত৷ এঃ৷ ছ্যাছ্যাঃ৷ ব্যব্যাগোঃ৷ সে হেঁটে গেল৷ সোওওওজা৷ গায়ে সিগারেটের ছ্যাঁকা৷ মাথার পেছনটা কামানো৷ কোমরের কাছের মাংস খুবলে নেওয়া৷ কিছুটা দূরে ছোটো হয়ে যাওয়ার পর তাকে আর দেখা গেল না৷ হারিয়ে গেল লোকটা৷ কিছুটা ফ্রিজ শটের পর চলমান চারপাশ৷ ছুটছে পায়ে চলা মানুষ৷
আমার স্থির বিশ্বাস, লোকটার পিঠে দু'টো ক্লান্ত ডানা ছিল৷ লোকটা উড়ে যায়৷ লোকটা ফ্যাতাড়ু ছিল৷ ফ্যাতাড়ুরা পায়ে হাঁটে না৷ জাস্ট উড়ে যায়৷
No comments:
Post a Comment