পুজোর আগেই বাড়তে পারে ভোগ্যপণ্যের দাম
নয়াদিল্লি: পুজোর আগে নতুন টিভি, ফ্রিজ বা এসি কেনার কথা ভাবলে, দেরি না করে এখনই কিনে ফেলুন৷ উত্সবের মুখে টিভি, ফ্রিজ-এর মতো দীর্ঘস্থায়ী ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ানোর কথা ভাবছে উত্পাদক সংস্থাগুলি৷ পুজোর মরসুমে চাহিদা বাড়লে এই সমস্ত ভোগ্যপণ্যের দাম পাঁচ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে৷টাকার বিনিময় দরে পতন এবং বৈদুতিক ভোগ্যপণ্যগুলির 'এনর্জি এফিসিয়েন্সি' নিয়ে প্রস্তাবিত বিধি মানতে সংস্থাগুলির উত্পাদন খরচ ইতিমধ্যেই বেড়ে গেছে৷ তাই পণ্যের বিক্রয় মূল্য বাড়ানোর কথা ভাবছে উত্পাদনকারী সংস্থাগুলি৷
ইতিমধ্যেই ভোলটাস ও ব্লু স্টার প্রভৃতি কয়েকটি সংস্থা তাদের এয়ার কন্ডিশনিং মেশিনের দাম পাঁচ শতাংশ বাড়িয়েছে৷ ব্লু স্টারের এয়ার কন্ডিশনিং অ্যান্ড রেফ্রিজারেটশন প্রোডাক্টের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর ও ভাইস প্রেসিডেন্ট বি ত্যাগরাজন বলেন, 'ভোগ্যপণ্যের সংস্থাগুলির উপর এখন দু'দিক থেকে চাপ আসছে- টাকার অবমূল্যায়ন ও এনার্জি এফিসিয়েন্সি সংক্রান্ত বিধি বদল৷' একই কথা বললেন ভোলটাসের সিইও প্রদীপ বকসী৷ তাঁর কথায়, 'নতুন স্টার রেটিং চালু হলে আমরা দাম বাড়াতে বাধ্য হব৷ তিন শতাংশ মতো দাম বাড়বে৷ তা ছাড়া টাকার দাম পড়ে যাওয়ার ফলেও লাভের অনুপাত কমছে৷'
ব্যুরো অফ এনার্জি এফিসিয়েন্সির নতুন নিয়ম আগামী বছর পয়লা জানুয়ারি থেকে লাগু হবে৷ সেই বিধি অনুযায়ী, বৈদ্যুতিক ভোগ্যপণ্যের বিদ্যুত্ খরচ সম্পর্কে গ্রাহকদের স্বচ্ছ ধারণা দিতে পণ্যগুলির গায়ে তারকা চিহ্ন ব্যবহার করতে হবে৷ যে পণ্য যত বেশি বিদ্যুত্ সাশ্রয়কারী সেই পণ্যের তত বেশি তারকা চিহ্ন থাকবে৷ সর্বাধিক পাঁচটি তারকা চিহ্ন থাকতে পারে৷ ধরা যাক, তারকা বিহীন (জিরো স্টার) কোনও এয়ার কন্ডিশন যন্ত্র ব্যবহারের ফলে বিদ্যুতের বিল হল ৫৫৩৭ টাকা৷ এক তারা থেকে পাঁচ তারা পর্যন্ত যন্ত্র ব্যবহার করলে বিদ্যুত্ বিলে সাশ্রয় হতো যথাক্রমে ৪৬২ টাকা, ৮৫৩ টাকা, ১১৮৯ টাকা, ১৪৭৯ টাকা ও ১৭৩৩ টাকা৷
আগামী বছরের গোড়ায় যাতে ধাক্কা খেতে না হয়, সে জন্য এ বছর অক্টোবর থেকেই ধীরে ধীরে নতুন বিধি মেনে উত্পাদন শুরু করতে চাইছে সংস্থাগুলি৷
টাকার বিনিময় দরে পতনের ফলে খরচ বাড়ছে সেই সমস্ত সংস্থাগুলির যাদের উত্পাদনের উপকরণ আমদানি করতে হয়৷ তাই, প্যানাসনিক ও সনি মতো সংস্থাগুলি ডলার-টাকা বিনিময় দরের উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছে৷ প্যানাসনিক ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মনীশ শর্মা বলেন, 'যদি ডলারের দাম ফের ৬২ টাকার বেশি হয় তা হলে আমাদের পণ্যের দাম বাড়তেই হবে৷ কতটা বাড়বে তা নির্ভর করছে পরিস্থিতির উপরে৷' সনি ইন্ডিয়ার মার্কেটিং হেড তাদাতো কিমুরা বলেন, 'আমরা পরিস্থিতি উপরে নজর রাখছি৷ ক্রেতাদের হতাশ করতে চাই না, তবে সবটাই নির্ভর করছে বাজারের অবস্থার উপরে৷'
ইতিমধ্যেই ভোলটাস ও ব্লু স্টার প্রভৃতি কয়েকটি সংস্থা তাদের এয়ার কন্ডিশনিং মেশিনের দাম পাঁচ শতাংশ বাড়িয়েছে৷ ব্লু স্টারের এয়ার কন্ডিশনিং অ্যান্ড রেফ্রিজারেটশন প্রোডাক্টের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর ও ভাইস প্রেসিডেন্ট বি ত্যাগরাজন বলেন, 'ভোগ্যপণ্যের সংস্থাগুলির উপর এখন দু'দিক থেকে চাপ আসছে- টাকার অবমূল্যায়ন ও এনার্জি এফিসিয়েন্সি সংক্রান্ত বিধি বদল৷' একই কথা বললেন ভোলটাসের সিইও প্রদীপ বকসী৷ তাঁর কথায়, 'নতুন স্টার রেটিং চালু হলে আমরা দাম বাড়াতে বাধ্য হব৷ তিন শতাংশ মতো দাম বাড়বে৷ তা ছাড়া টাকার দাম পড়ে যাওয়ার ফলেও লাভের অনুপাত কমছে৷'
ব্যুরো অফ এনার্জি এফিসিয়েন্সির নতুন নিয়ম আগামী বছর পয়লা জানুয়ারি থেকে লাগু হবে৷ সেই বিধি অনুযায়ী, বৈদ্যুতিক ভোগ্যপণ্যের বিদ্যুত্ খরচ সম্পর্কে গ্রাহকদের স্বচ্ছ ধারণা দিতে পণ্যগুলির গায়ে তারকা চিহ্ন ব্যবহার করতে হবে৷ যে পণ্য যত বেশি বিদ্যুত্ সাশ্রয়কারী সেই পণ্যের তত বেশি তারকা চিহ্ন থাকবে৷ সর্বাধিক পাঁচটি তারকা চিহ্ন থাকতে পারে৷ ধরা যাক, তারকা বিহীন (জিরো স্টার) কোনও এয়ার কন্ডিশন যন্ত্র ব্যবহারের ফলে বিদ্যুতের বিল হল ৫৫৩৭ টাকা৷ এক তারা থেকে পাঁচ তারা পর্যন্ত যন্ত্র ব্যবহার করলে বিদ্যুত্ বিলে সাশ্রয় হতো যথাক্রমে ৪৬২ টাকা, ৮৫৩ টাকা, ১১৮৯ টাকা, ১৪৭৯ টাকা ও ১৭৩৩ টাকা৷
আগামী বছরের গোড়ায় যাতে ধাক্কা খেতে না হয়, সে জন্য এ বছর অক্টোবর থেকেই ধীরে ধীরে নতুন বিধি মেনে উত্পাদন শুরু করতে চাইছে সংস্থাগুলি৷
টাকার বিনিময় দরে পতনের ফলে খরচ বাড়ছে সেই সমস্ত সংস্থাগুলির যাদের উত্পাদনের উপকরণ আমদানি করতে হয়৷ তাই, প্যানাসনিক ও সনি মতো সংস্থাগুলি ডলার-টাকা বিনিময় দরের উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছে৷ প্যানাসনিক ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মনীশ শর্মা বলেন, 'যদি ডলারের দাম ফের ৬২ টাকার বেশি হয় তা হলে আমাদের পণ্যের দাম বাড়তেই হবে৷ কতটা বাড়বে তা নির্ভর করছে পরিস্থিতির উপরে৷' সনি ইন্ডিয়ার মার্কেটিং হেড তাদাতো কিমুরা বলেন, 'আমরা পরিস্থিতি উপরে নজর রাখছি৷ ক্রেতাদের হতাশ করতে চাই না, তবে সবটাই নির্ভর করছে বাজারের অবস্থার উপরে৷'
No comments:
Post a Comment