সোনার আমদানি শুল্ক বাড়ল ২ শতাংশ, দাম ৩০ হাজারে
এই সময়: সোনার উপর আমদানি শুল্ক আট শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করল সরকার৷ রুপোর আমদানি শুল্ক ছ'শতাংশ থেকে বেড়ে হল ১০ শতাংশ৷ সোনার বারে আমদানি শুল্ক সাত শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ন'শতাংশ করা হয়েছে৷ প্ল্যাটিনামের আমদানি শুল্ক আট শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ১০ শতাংশ৷ মঙ্গলবার ঘোষণা হতেই সোনার দাম এক ধাক্কায় ৬০০ টাকা বেড়ে পৌঁছে যায় ৩০ হাজারের কাছাকাছি৷ এদিন কলকাতায় ১০ গ্রাম পাকা সোনার (২৪ ক্যারাট) দর ছিল ২৯,৯৬৫ টাকা৷ ৫৭০ টাকা বেড়ে ১০ গ্রাম গয়না সোনার হয় ২৮,৪৩০ টাকা৷ কেজি প্রতি রুপোর দাম ২২৫০ টাকা বেড়ে হয় ৪৬,৩৫০ টাকা৷
সোমবারই সংসদে টাকাকে চাঙ্গা করতে এবং চলতি খাতের ঘাটতি রুখতে সোনা ও তেলের আমদানিতে রাশ টানার কথা বলেছিলেন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম৷ চলতি খাতের ঘাটতিকে জিডিপির ৩.৭ শতাংশে বেঁধে রাখতে সোনা-রুপো-তেল এবং অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন পণ্যের শুল্ক হার বৃদ্ধির ঘোষণা করেছিলেন তিনি৷ সেই মতো মঙ্গলবার সোনা-রুপো ও প্ল্যাটিনামের উপর বর্ধিত শুল্ক হার ঘোষণা করল সরকার৷ গত বছর ফেব্রুয়ারি থেকে এই নিয়ে চার বার সোনার আমদানি শুল্ক বাড়ানো হল৷ গত দেড় বছরে দু'শতাংশ থেকে সোনার আমদানি শুল্ক বেড়ে হয়েছে ১০ শতাংশ৷ ১৮ মাসে পাঁচগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে সোনার আমদানি শুল্ক৷
অর্থমন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সোনা-রুপো ও প্ল্যাটিনামের উপর অতিরিক্ত শুল্ক বসিয়ে চলতি অর্থবর্ষে ৪,৮৩০ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রাখছে সরকার৷ সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে অর্থমন্ত্রী বলেন, এ বছর সোনার আমদানি খরচ গত বছরের তুলনায় ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার কম রাখার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার৷
সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে গ্রাহকদের ভুগতে হবে বলে সাফ জানিয়েছেন জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি ট্রেড ফেডারেশনের ডিরেক্টর বাচ্ছারাজ বামালওয়াল৷ গত মাসেই অর্থমন্ত্রীকে সোনার উপর অতিরিক্ত শুল্ক না বসানোর আর্জি জানিয়েছিল এই সংগঠনটি৷ টাকার অবমূল্যায়নের পরিস্থিতিতে সরকারকে সাহায্য করতে এবং চলতি খাতের ঘাটতি ঠেকাতে সোনার -বার ও কয়েন বিক্রি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি ফেডারেশন৷ বাচ্ছারাজ বামালওয়ার দাবি, সংগঠনের ডাকে সাড়া দিয়ে সদস্য সোনা কারবারিরা সোনার বা-কয়েন বিক্রি বন্ধ করে দেয়৷ বার-কয়েনের বিক্রি বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য জুন এবং জুলাইতে সোনার আমদানি কমেছে বলে দাবি করেছেন বামালওয়াল৷ সোমবারই আমদানি-রপ্তানি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে সরকার৷ দেখা গিয়েছে, এ বছর জুলাইয়ে সোনার আমদানি গত বছর জুলাইয়ের তুলনায় ৩৪ শতাংশ কমেছে৷ তবে এ বছর জুনের তুলনায় জুলাইতে সোনার আমদানি বেড়েছে৷ জুনে ২৪৫ কোটি মার্কিন ডলারের সোনা আমদানি হয়েছে৷ জুলাইয়ে হয়েছে ২৯০ কোটি মার্কিন ডলারের আমদানি৷ এ প্রসঙ্গে বাচ্ছারাজ বামালওয়ার ব্যাখ্যা, 'ধনতেরাসের সোনা তৈরির জন্য সোনা কারবারিরা জুলাইতে একটু বেশি সোনা কেনেন৷ এটা সম্পূর্ণ অলঙ্কার ক্ষেত্রের চাহিদা৷ শুধু এ বছর নয়, প্রতি বছরই জুলাইতে সোনার আমদানি ঊর্ধ্বমুখী থাকে৷ কিন্ত্ত গত বছরের পরিপ্রেক্ষিতে এই জুলাইতে সোনা আমদানি কমেছে অন্তত ৩৫ শতাংশ৷
বার-কয়েনের বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্তেই এটা হয়েছে৷ তবে আমাদের আর্জি সোনা করবারিরা আর কতদিন শুনবেন জানি না৷ সংগঠনের আবেদন শুনেই বার-কয়েন বিক্রি বন্ধ করছিল তারা৷ সরকারকে বলা হয়েছিল, শুল্ক বাড়াবেন না, আমরা 'বুলিয়ন সেল' বন্ধ করছি৷ সরকার আমাদের আর্জি শোনেনি৷ আজকেও আমি জেজিএফের সদস্যদের বুলিয়ন বিক্রি বন্ধ রাখতে আর্জি জানিয়েছি৷ কিন্ত্ত তারা এ বার আমার আর্জি শুনবেন কিনা তা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না৷'
বাচ্ছারাজ বামালওয়া আরও বলেন, 'অর্থমন্ত্রী বলেছেন, সোনার আমদানি খরচ ৪০০ কোটি ডলার কমাবেন৷ আমি বলছি, লিখে নিন এ বছর সোনার আমদানি অন্তত ১০০০ কোটি ডলার কমবে৷ গত বছর ৪৭০০ কোটি ডলারের সোনা আমদানি হয়েছিল৷ এ বার হবে হয়তো ৩৫০০ কোটি ডলারের কাছাকাছি৷'
অলঙ্কার প্রস্ত্তকারক পি সি জুয়েলার্সের তরফে সঞ্জীব ভাটিয়া বলেছেন, বর্ধিত শুল্কের বোঝা গ্রাহকদের উপরই চাপানো হবে৷ গয়নার দাম আরও বাড়বে৷
আমদানি শুল্ক বাড়ানোর জেরে সোনার চোরাকারবার বাড়বে বলেও আশঙ্কা করছেন বাচ্ছারাজ বামালওয়া৷ অর্থমন্ত্রক ইতিমধ্যেই এক বিবৃতিতে বলেছিল, শুল্ক-হীন সোনা পাকিস্তান থেকে চোরাপথে ভারতে আসছে৷ কারণ ভারতের পড়শি পাকিস্তান-নেপাল-শ্রীলঙ্কায় সোনার আমদানি শুল্ক অনেক কম৷ তাই সে দেশ থেকে ঘুরপথে সোনা প্রবেশ করছে এখানে৷ এদিন রাজ্যসভাতেও অর্থপ্রতিমন্ত্রী জে ডি সালিম বলেছেন, সোনা-পাচারের আশঙ্কা থাকছেই৷ এপ্রিল-জুলাইতে মোট ২৯৪ কোডি বা ৭৫ কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ ভাবে আনা সোনা বাজেয়াপ্ত করেছে আবগারি দপ্তর৷
সোমবারই সংসদে টাকাকে চাঙ্গা করতে এবং চলতি খাতের ঘাটতি রুখতে সোনা ও তেলের আমদানিতে রাশ টানার কথা বলেছিলেন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম৷ চলতি খাতের ঘাটতিকে জিডিপির ৩.৭ শতাংশে বেঁধে রাখতে সোনা-রুপো-তেল এবং অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন পণ্যের শুল্ক হার বৃদ্ধির ঘোষণা করেছিলেন তিনি৷ সেই মতো মঙ্গলবার সোনা-রুপো ও প্ল্যাটিনামের উপর বর্ধিত শুল্ক হার ঘোষণা করল সরকার৷ গত বছর ফেব্রুয়ারি থেকে এই নিয়ে চার বার সোনার আমদানি শুল্ক বাড়ানো হল৷ গত দেড় বছরে দু'শতাংশ থেকে সোনার আমদানি শুল্ক বেড়ে হয়েছে ১০ শতাংশ৷ ১৮ মাসে পাঁচগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে সোনার আমদানি শুল্ক৷
অর্থমন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সোনা-রুপো ও প্ল্যাটিনামের উপর অতিরিক্ত শুল্ক বসিয়ে চলতি অর্থবর্ষে ৪,৮৩০ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রাখছে সরকার৷ সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে অর্থমন্ত্রী বলেন, এ বছর সোনার আমদানি খরচ গত বছরের তুলনায় ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার কম রাখার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার৷
সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে গ্রাহকদের ভুগতে হবে বলে সাফ জানিয়েছেন জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি ট্রেড ফেডারেশনের ডিরেক্টর বাচ্ছারাজ বামালওয়াল৷ গত মাসেই অর্থমন্ত্রীকে সোনার উপর অতিরিক্ত শুল্ক না বসানোর আর্জি জানিয়েছিল এই সংগঠনটি৷ টাকার অবমূল্যায়নের পরিস্থিতিতে সরকারকে সাহায্য করতে এবং চলতি খাতের ঘাটতি ঠেকাতে সোনার -বার ও কয়েন বিক্রি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি ফেডারেশন৷ বাচ্ছারাজ বামালওয়ার দাবি, সংগঠনের ডাকে সাড়া দিয়ে সদস্য সোনা কারবারিরা সোনার বা-কয়েন বিক্রি বন্ধ করে দেয়৷ বার-কয়েনের বিক্রি বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য জুন এবং জুলাইতে সোনার আমদানি কমেছে বলে দাবি করেছেন বামালওয়াল৷ সোমবারই আমদানি-রপ্তানি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে সরকার৷ দেখা গিয়েছে, এ বছর জুলাইয়ে সোনার আমদানি গত বছর জুলাইয়ের তুলনায় ৩৪ শতাংশ কমেছে৷ তবে এ বছর জুনের তুলনায় জুলাইতে সোনার আমদানি বেড়েছে৷ জুনে ২৪৫ কোটি মার্কিন ডলারের সোনা আমদানি হয়েছে৷ জুলাইয়ে হয়েছে ২৯০ কোটি মার্কিন ডলারের আমদানি৷ এ প্রসঙ্গে বাচ্ছারাজ বামালওয়ার ব্যাখ্যা, 'ধনতেরাসের সোনা তৈরির জন্য সোনা কারবারিরা জুলাইতে একটু বেশি সোনা কেনেন৷ এটা সম্পূর্ণ অলঙ্কার ক্ষেত্রের চাহিদা৷ শুধু এ বছর নয়, প্রতি বছরই জুলাইতে সোনার আমদানি ঊর্ধ্বমুখী থাকে৷ কিন্ত্ত গত বছরের পরিপ্রেক্ষিতে এই জুলাইতে সোনা আমদানি কমেছে অন্তত ৩৫ শতাংশ৷
বার-কয়েনের বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্তেই এটা হয়েছে৷ তবে আমাদের আর্জি সোনা করবারিরা আর কতদিন শুনবেন জানি না৷ সংগঠনের আবেদন শুনেই বার-কয়েন বিক্রি বন্ধ করছিল তারা৷ সরকারকে বলা হয়েছিল, শুল্ক বাড়াবেন না, আমরা 'বুলিয়ন সেল' বন্ধ করছি৷ সরকার আমাদের আর্জি শোনেনি৷ আজকেও আমি জেজিএফের সদস্যদের বুলিয়ন বিক্রি বন্ধ রাখতে আর্জি জানিয়েছি৷ কিন্ত্ত তারা এ বার আমার আর্জি শুনবেন কিনা তা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না৷'
বাচ্ছারাজ বামালওয়া আরও বলেন, 'অর্থমন্ত্রী বলেছেন, সোনার আমদানি খরচ ৪০০ কোটি ডলার কমাবেন৷ আমি বলছি, লিখে নিন এ বছর সোনার আমদানি অন্তত ১০০০ কোটি ডলার কমবে৷ গত বছর ৪৭০০ কোটি ডলারের সোনা আমদানি হয়েছিল৷ এ বার হবে হয়তো ৩৫০০ কোটি ডলারের কাছাকাছি৷'
অলঙ্কার প্রস্ত্তকারক পি সি জুয়েলার্সের তরফে সঞ্জীব ভাটিয়া বলেছেন, বর্ধিত শুল্কের বোঝা গ্রাহকদের উপরই চাপানো হবে৷ গয়নার দাম আরও বাড়বে৷
আমদানি শুল্ক বাড়ানোর জেরে সোনার চোরাকারবার বাড়বে বলেও আশঙ্কা করছেন বাচ্ছারাজ বামালওয়া৷ অর্থমন্ত্রক ইতিমধ্যেই এক বিবৃতিতে বলেছিল, শুল্ক-হীন সোনা পাকিস্তান থেকে চোরাপথে ভারতে আসছে৷ কারণ ভারতের পড়শি পাকিস্তান-নেপাল-শ্রীলঙ্কায় সোনার আমদানি শুল্ক অনেক কম৷ তাই সে দেশ থেকে ঘুরপথে সোনা প্রবেশ করছে এখানে৷ এদিন রাজ্যসভাতেও অর্থপ্রতিমন্ত্রী জে ডি সালিম বলেছেন, সোনা-পাচারের আশঙ্কা থাকছেই৷ এপ্রিল-জুলাইতে মোট ২৯৪ কোডি বা ৭৫ কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ ভাবে আনা সোনা বাজেয়াপ্ত করেছে আবগারি দপ্তর৷
No comments:
Post a Comment