Twitter

Follow palashbiswaskl on Twitter

Memories of Another day

Memories of Another day
While my Parents Pulin babu and Basanti devi were living

Wednesday, August 14, 2013

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আসন ভরাতে বিকল্প ভাবনা

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আসন ভরাতে বিকল্প ভাবনা

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আসন ভরাতে বিকল্প ভাবনা
স্নেহাশিস নিয়োগী

পড়ুয়ার আকালে দেশজুড়েই বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলি ধঁুকছে৷ প্রবেশিকা পরীক্ষার ফলপ্রকাশের পর ভর্তি-পর্ব শেষ হতেই কলেজ-কলেজে বিভিন্ন শাখা বন্ধের ভ্রুকুটি৷ কলেজ বাঁচাতে অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল অব টেকনিক্যাল এডুকেশন-র (এআইসিটিই) কাছে দ্বি-মুখী প্রস্তাব দিয়েছে ফেডারেশন অব অ্যাসোসিয়েশন অব ম্যানেজমেন্ট অব আন-এইডেড প্রফেশনাল এডুকেশন ইনস্টিটিউশন ইন ইন্ডিয়া (ফামপেই)৷ সেই প্রস্তাব এআইসিটিই-র বিবেচনাধীন বলে সব রাজ্য সংস্থার সভাপতি ও সম্পাদককে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে ফামপেই৷

কী সেই প্রস্তাব?

কোনও কলেজের একটি শাখায় সামান্য কয়েকজন ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়েছেন, পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী মেলেনি--এই অবস্থায় ওই কলেজ অন্য প্রতিষ্ঠানে ওই শিক্ষার্থীদের পাঠিয়ে দিতে পারবে৷ আবার অন্য প্রতিষ্ঠানে কোনও বিষয়ে অপেক্ষাকৃত কম পড়ুয়া থাকলে তাদের নিজেদের কলেজে আনতে পারবে৷ আলোচনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কলেজগুলি পড়ুয়াদের এই আপস বদলি করতে পারবে৷ ফামপেই-এর এই প্রস্তাব কার্যকর হলে কোনও কলেজ সাময়িক ভাবে কোনও বিষয় পড়ানো বন্ধ রাখতে পারে৷ সে ক্ষেত্রে ওই বছরের জন্য শিক্ষক নিয়োগও বাধ্যতামূলক থাকবে না৷ অস্থায়ী ভিত্তিতে ক্লাস বন্ধ থাকলেও পরের বছর কলেজগুলি অবশ্য যথারীতি সেই সব বিষয় পড়ানোর স্বীকৃতি পাবে৷ এর ফলে কলেজও বাঁচবে এবং বিষয়গুলিও গ্রহণযোগ্য হবে৷ 

যদিও অ্যাসোসিয়েশন অব প্রফেশনাল আকাদেমিক ইনস্টিটিউশনের (আপাই) সাধারণ সম্পাদক ধূর্জটি বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, 'বিষয়টি অত সহজ নয়৷ কলেজের মালিকানা ভিন্ন হলে অন্য কলেজে ছাত্রছাত্রীদের আপস-বদলির অনুমতি সহজে মিলবে না৷' তবে তিনি জানান, এ ব্যাপারে এআইসিটিই-র সদস্য সচিব ড. কাঞ্চেরিয়া পি আইজাকের সঙ্গে ফামপেই-র সভাপতি জি পি সি নায়ারের আলোচনা সংক্রান্ত চিঠি পেয়েছেন৷ প্রসঙ্গত, গত বছর জয়েন্ট বোর্ডের কাউন্সেলিংয়ে নির্দিষ্ট কলেজে সুযোগ পাওয়া ৯৬ জন পড়ুয়া বিকেন্দ্রীভূত কাউন্সেলিংয়ে ফের নতুন কলেজ ও বিষয় নেওয়ায় পশ্চিমবঙ্গ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের রেজিস্ট্রেশন আটকে দিয়েছিল৷ আপাই-এর তরফে উচ্চশিক্ষা দপ্তর ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে পাল্টা প্রস্তাব, যে সব কলেজে একাধিক বিষয়ে মোট আসনের তুলনায় ভর্তি হওয়া পড়ুয়ার সংখ্যা একেবারেই নগণ্য, একই ধরনের সেই সব বিষয় অন্তত এক বছরের জন্য মিলিয়ে দেওয়া হোক৷ যেমন, ইনফরমেশন টেকনোলজি এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি মিলিয়ে দেওয়া যেতে পারে৷ ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংও মিলিয়ে দেওয়া যায়৷

এআইসিটিই-র পূর্বাঞ্চলীয় চেয়ারম্যান সব্যসাচী সেনগুপ্ত অবশ্য বলছেন, 'ফামপেই-এর প্রস্তাব দু'দিক থেকেই কার্যকরী৷ প্রথমত, কলেজে কোনও বিষয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা একেবারে হাতেগোনা হলে মোটেই পড়াশোনা হয় না৷ দ্বিতীয়ত, শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের বেতন দিতেও অসুবিধা হবে৷ এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের সুনির্দিষ্ট রুলও রয়েছে৷ এআইসিটি-র তুলনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত করারও অনেক সুবিধা৷ একাধিক বিষয় মিলিয়ে দেওয়ার প্রস্তাবও ইতিবাচক৷'
এআইসিটিই-রই পূর্বাঞ্চলীয় আঞ্চলিক অধিকর্তা পি কে সাহুও বলেন, 'মন্দা ও চাকরির অভাবে গোটা দেশে বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে হাজার হাজার আসন শূন্য৷ এই অবস্থায় ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাঁচাতে বিকল্প কোনও পথ নেই৷' এ ব্যাপারে প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সমীরকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও কথা বলতে চাননি৷ যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার রফিকুল ইসলাম বলেন, 'সরকার পড়ুয়া ভর্তি নিয়ে কোনও নির্দেশিকা দিলেই আমরা তা কার্যকরী করতে উদ্যোগী হব৷' 

No comments:

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...