মহাকরণ স্থানান্তরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সরকারি কর্মচারীদের
এই সময়: রাইটার্স বিল্ডিংস থেকে বিভিন্ন দপ্তর হাওড়ার মন্দিরতলায় এইচআরবিসি ভবনে সরানোর সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মঙ্গলবার মহাকরণে বিক্ষোভে সামিল হল তৃণমূল-বিরোধী রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন সংগঠন৷ এইচআরবিসি ভবনে সংগঠনগুলির জন্য কোনও ঘর বরাদ্দ করা হচ্ছে না, এই জল্পনায় ক্ষোভ আরও বাড়ে৷ সংগঠনগুলির বক্তব্য, সরকার যেখানে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ৩৮ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) বকেয়া রেখেছে, সেখানে মহাকরণ স্থানান্তর বিপুল অর্থের অপচয় ছাড়া কিছু নয়৷ কর্মচারীদের এই বিক্ষোভের মধ্যেই রাইটার্স থেকে সমস্ত দপ্তর সরিয়ে ফেলা নিয়ে অবশ্য দফায় দফায় বৈঠক করেছেন প্রশাসনিক কর্তারা৷
রাজ্যের প্রশাসনিক সদর দপ্তর স্থানান্তরের প্রতিবাদে এ দিন দুপুরে মহাকরণে তিনটি কর্মচারী সংগঠন তুমুল বিক্ষোভ দেখায়৷ তারা আলাদা ভাবে মিছিলও করে৷ সিপিএম প্রভাবিত কো-অর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অনন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'ম্ুখ্যমন্ত্রীর সময় খারাপ৷ তাই উনি ভালো সময়ের খোঁজে ১৪ তলার পূর্বমুখী ঘরে বসবেন৷ পাঁচ লক্ষ বর্গ ফুট থেকে দেড় লক্ষ বর্গফুটে মহাকরণ যাবে৷ বেশির ভাগ আসবাবপত্র নদীর জলে ফেলে দিতে হবে৷ এখনই এই সিদ্ধান্ত সরকার প্রত্যাহার না করলে রাজ্যের সমস্ত সরকারি অফিসে বিক্ষোভ হবে৷' পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের বক্তব্য, যেখানে সরকারি কর্মচারীরা ডিএ পাচ্ছেন না, সেখানে রাইটার্স স্থানান্তরের নামে ৩৫০ কোটি টাকা খরচের কোনও অর্থই হয় না৷ এক ধাপ এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন (নবপর্যায়)-এর যুগ্ম সম্পাদক সন্দীপ দাশগুপ্তর অভিযোগ, 'এটা অপচয়৷ জনগণের টাকা আত্মসাত্ করে এ সব করা হচ্ছে৷'
বর্তমানে ১৪টি রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনের ঘর রয়েছে রাইটার্সে৷ এইচআরবিসি ভবনে কোনও সংগঠনকে ঘর দেওয়া হবে না বলে খবর পেয়ে কর্মচারীদের ক্ষোভ তীব্র হয়েছে৷ সংগঠনগুলির অভিযোগ, ঘর বরাদ্দ না করে সরকার আসলে কর্মচারীদের আন্দোলন করার অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে৷ এ ব্যাপারে প্রয়োজনে আইনের দ্বারস্থ হওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা৷ কংগ্রেস প্রভাবিত কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের নেতা মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, 'সরকারি কর্মচারীরা যাতে আন্দোলন করতে না পারেন, সংগঠন করতে না পারেন, সে জন্যই এই ব্যবস্থা৷ প্রয়োজনে আমরা আইনের দ্বারস্থ হব৷' তৃণমূল প্রভাবিত ইউনাইটেড স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের নেতা সঞ্জীব পালের অবশ্য বক্তব্য, 'আমার মনে হয় না মুখ্যমন্ত্রী এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন৷ তাঁর উপস্থিতিতেই মাস কয়েক আগে আমাদের সংগঠনের জন্ম হয়েছে৷ সেই সংগঠনই নতুন ভবনে কাজ করতে পারবে না, এমন সিদ্ধান্ত উনি নেবেন বলে আমার বিশ্বাস হয় না৷'
এ দিকে প্রশাসনিক সূত্রের খবর, রীতিমতো কর্পোরেট অফিসের কায়দায় এইচআরবিসি ভবন সাজানো হচ্ছে৷ সর্বোচ্চ তলায় বসবেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তার নীচের তলায় থাকবে তাঁর দপ্তর৷ মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবের দপ্তর হবে ১৩ তলায়৷ তবে মহাকরণের খাবারের স্টলগুলি ওই ভবনে যাবে না৷ কেন্দ্রীয় ভাবে একটি মাত্র ক্যান্টিন থাকবে সেখানে৷
রাজ্যের প্রশাসনিক সদর দপ্তর স্থানান্তরের প্রতিবাদে এ দিন দুপুরে মহাকরণে তিনটি কর্মচারী সংগঠন তুমুল বিক্ষোভ দেখায়৷ তারা আলাদা ভাবে মিছিলও করে৷ সিপিএম প্রভাবিত কো-অর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক অনন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'ম্ুখ্যমন্ত্রীর সময় খারাপ৷ তাই উনি ভালো সময়ের খোঁজে ১৪ তলার পূর্বমুখী ঘরে বসবেন৷ পাঁচ লক্ষ বর্গ ফুট থেকে দেড় লক্ষ বর্গফুটে মহাকরণ যাবে৷ বেশির ভাগ আসবাবপত্র নদীর জলে ফেলে দিতে হবে৷ এখনই এই সিদ্ধান্ত সরকার প্রত্যাহার না করলে রাজ্যের সমস্ত সরকারি অফিসে বিক্ষোভ হবে৷' পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের বক্তব্য, যেখানে সরকারি কর্মচারীরা ডিএ পাচ্ছেন না, সেখানে রাইটার্স স্থানান্তরের নামে ৩৫০ কোটি টাকা খরচের কোনও অর্থই হয় না৷ এক ধাপ এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন (নবপর্যায়)-এর যুগ্ম সম্পাদক সন্দীপ দাশগুপ্তর অভিযোগ, 'এটা অপচয়৷ জনগণের টাকা আত্মসাত্ করে এ সব করা হচ্ছে৷'
বর্তমানে ১৪টি রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনের ঘর রয়েছে রাইটার্সে৷ এইচআরবিসি ভবনে কোনও সংগঠনকে ঘর দেওয়া হবে না বলে খবর পেয়ে কর্মচারীদের ক্ষোভ তীব্র হয়েছে৷ সংগঠনগুলির অভিযোগ, ঘর বরাদ্দ না করে সরকার আসলে কর্মচারীদের আন্দোলন করার অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে৷ এ ব্যাপারে প্রয়োজনে আইনের দ্বারস্থ হওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা৷ কংগ্রেস প্রভাবিত কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের নেতা মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, 'সরকারি কর্মচারীরা যাতে আন্দোলন করতে না পারেন, সংগঠন করতে না পারেন, সে জন্যই এই ব্যবস্থা৷ প্রয়োজনে আমরা আইনের দ্বারস্থ হব৷' তৃণমূল প্রভাবিত ইউনাইটেড স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের নেতা সঞ্জীব পালের অবশ্য বক্তব্য, 'আমার মনে হয় না মুখ্যমন্ত্রী এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন৷ তাঁর উপস্থিতিতেই মাস কয়েক আগে আমাদের সংগঠনের জন্ম হয়েছে৷ সেই সংগঠনই নতুন ভবনে কাজ করতে পারবে না, এমন সিদ্ধান্ত উনি নেবেন বলে আমার বিশ্বাস হয় না৷'
এ দিকে প্রশাসনিক সূত্রের খবর, রীতিমতো কর্পোরেট অফিসের কায়দায় এইচআরবিসি ভবন সাজানো হচ্ছে৷ সর্বোচ্চ তলায় বসবেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তার নীচের তলায় থাকবে তাঁর দপ্তর৷ মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবের দপ্তর হবে ১৩ তলায়৷ তবে মহাকরণের খাবারের স্টলগুলি ওই ভবনে যাবে না৷ কেন্দ্রীয় ভাবে একটি মাত্র ক্যান্টিন থাকবে সেখানে৷
No comments:
Post a Comment